Ajker Patrika

কুমির–বাঘের ভয় দেখিয়ে বৈধ করা হয় ৫০০ কোটি টাকা

তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২১: ৫৪
কুমির–বাঘের ভয় দেখিয়ে বৈধ করা হয় ৫০০ কোটি টাকা

ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলমের দুই ছেলে আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহির অপ্রদর্শিত ৫০০ কোটি টাকা বৈধ করা হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে এ কাজটি করায় সরকার ৭৫ কোটি টাকা কর থেকে বঞ্চিত হয়েছে। প্রথমে দুটি পে-অর্ডার দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে কালোটাকা সাদা করতে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় দফায় কয়েক মাস পর আইনগত সময় পার হওয়ার পর তাঁদের এ সুবিধা দেওয়া হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখার মাধ্যমে এ কাজটি করা সম্ভব হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। 

এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ১৪ অক্টোবর জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে এস আলমের ছেলেদের এ আর্থিক অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তে এসব ঘটনার সঙ্গে তৎকালীন কর কমিশনার (বর্তমানে সদস্য–আন্তর্জাতিক) সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, সহকারী কর কমিশনার মো. আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম কর কমিশনার এ কে এম শামসুজ্জামান, যুগ্ম কমিশনার সাইফুল আলমসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। 

এনবিআরের তদন্ত কর্মকর্তা (কর কমিশনার) মোহাম্মদ আবদুর রকিব তদন্তকাজের অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্তরের ১১ জন কর্মকর্তার জবানবন্দি নেন। জবানবন্দিতে জানা গেছে, সদস্য আবু দাউদ এ কাজে অধীন কর্মকর্তাকে এমনকি কুমির ও বাঘের ভয়ও দেখান। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবারই আমিনুল ইসলাম, এ কে এম শামসুজ্জামান, সাইফুল আলমসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এস আলমের দুই পুত্রের নামে অপ্রদর্শিত ৫০০ কোটি টাকা কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে এবং নিজেদের মালিকানাধীন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বাধ্য করে জালিয়াতির মাধ্যমে বৈধ করা হয়। ব্যাংক কর্মকর্তাদের বাধ্য করে ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর তারিখে দুটি ভুয়া পে-অর্ডার ইস্যু করানো হয়। এ ইস্যু করা পে-অর্ডার দেখিয়ে আয়কর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে আয়কর নথির সব কাগজপত্র তৈরি করা হয়। কিন্তু কর অফিস ও ব্যাংকের রেকর্ডপত্র, বিভিন্ন রেজিস্টার ও চিঠিপত্র পর্যালোচনা করে পে-অর্ডার গ্রহণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

সংস্থাটির কর কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রকিবের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘করদাতা আসাদুল আলম মাহির ও আশরাফুল আলম তাঁদের দাবি করা মনোনীত প্রতিনিধি নিউটন চক্রবর্তী তৎকালীন সার্কেল কর্মকর্তা অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মো. আমিনুল ইসলামসহ কর অঞ্চলের একটি চক্রের সহযোগিতায় বেআইনি প্রক্রিয়ায় ২৫০ কোটি টাকা করে মোট ৫০০ কোটি টাকা অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করেছেন। এর মাধ্যমে ৭৫ কোটি টাকা কম কর দিয়ে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অসৎ উদ্দেশ্যে আয়কর নথির সব রেকর্ডপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের পরিবারের মালিকানাধীন ব্যাংকের আইটি ব্যবস্থায় কারসাজি (ম্যানিপুলেট) করে তিনটি ব্যাংক হিসাবে ভুয়া তথ্য সন্নিবেশিত করেছেন। ঘটনাটির সঙ্গে অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মো. আমিনুল ইসলাম সরাসরি জড়িত। তৎকালীন পরিদর্শী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল আলমও (বর্তমানে অতিরিক্ত কর কমিশনার) এই পরিকল্পিত অপকর্মের দায় এড়াতে পারেন না। তদন্ত কর্মকর্তার অভিমত, স্পষ্টতই এর সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ রয়েছে। 

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার এ কে এম শামসুজ্জামান পরবর্তী সময়ে প্রকৃত ঘটনা জেনে রাজস্ব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করলেও পরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা স্থগিত করেন। তদন্তকালে তিনি তৎকালীন কর কমিশনারের চাপে কার্যক্রম স্থগিত করার কথা মৌখিকভাবে স্বীকার করেন। দৃশ্যত এ ধরনের আইনবহির্ভূত কার্যক্রম থেকে তিনি অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করেছেন। অনিয়মের মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা বৈধ করার ঘটনাপ্রবাহে (কর অঞ্চল-০১, চট্টগ্রাম) তিনজন কর কমিশনার দায়িত্ব পালন করলেও অপকর্মটি সংঘটিত হওয়ার প্রকৃত সময়ে কর্মরত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (গ্রেড-১), সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ। প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ, এত বড় একটি অপকর্ম তাঁর অজ্ঞাতসারে ঘটেনি বলেই প্রতীয়মান। তবে এ বিষয়ে অন্য দুজন কর কমিশনার মো. রিয়াজুল ইসলাম ও মো. ইকবাল বাহারের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

তদন্ত প্রতিবেদনে জালিয়াতির মাধ্যমে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করে রাষ্ট্রের রাজস্ব ক্ষতি করায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের মাধ্যমে তদন্ত করে হৃত রাজস্ব পুনরুদ্ধার করা যায়। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের তথ্যে কারসাজির বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়। প্রতিবেদনে কর পরিদর্শক লোকমান আহম্মেদ, প্রধান সহকারী জমির আহমেদ, তৎকালীন যুগ্ম কর কমিশনার সাইফুল আলমও ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে তৎকালীন কর কমিশনার (বর্তমানে সদস্য–আন্তর্জাতিক) সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এস আমলের দুই ছেলের রিটার্ন দাখিল করা হয় ২০২১ সালের ২৯ জুন। তখন আমি কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের কমিশনার ছিলাম না। তখন কমিশনার ছিলেন রিয়াজুল ইসলাম। তখনই রিটার্নগুলো গ্রহণ করা হয়। আমি ২০২১ সালের ১ নভেম্বর যোগদান করি। পরে আমার কার্যকালীন একজন এগুলোর অ্যাসেসমেন্ট (যাচাই) করে। কিন্তু আমাকে কিছুই জানানো বা অনুমোদন নেওয়া হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তায় গেজেট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৩১
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তায় গেজেট

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রণীত ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধিমালা-২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না স্বাক্ষরিত এই গেজেট প্রকাশ করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেটটি জারি করা হয়েছে।

গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, এই বিধিমালা অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। নতুন বিধিমালার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত, আধুনিক ও আইনগত কাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ০৫
মঙ্গলবার সরকারের পক্ষে ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
মঙ্গলবার সরকারের পক্ষে ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার শিকার দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে রাষ্ট্র। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়াকান্দা গ্রামে দীপুর বাড়িতে সহমর্মিতা জানাতে গিয়ে এই খবর জানান শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। উপদেষ্টা বলেন, ‘দীপুর দাসের সন্তান ও স্ত্রী এবং বাবা-মায়ের দেখভালের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করল। আমি আসার আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি আমাকে পরিবারটির সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। পরিবারের কী চাহিদা, তা পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে নিরূপণ করা হবে। আমাদের স্থানীয় প্রশাসন আছে, তাদের মাধ্যমে এই যোগাযোগ হবে।’

দীপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ডকে ’নৃশংস অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি আইন-শাসিত রাষ্ট্র। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার রাখে না। অন্যায় হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ বসবাস করে। সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে এবং তার রাষ্ট্র যথাযথ সম্মান করে।’

ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সি আর আবরার বলেন, ‘অভিযোগ, গুজব বা বিশ্বাসগত পার্থক্য—এই ধরনের বর্বরতার অজুহাত হতে পারে না। সরকার সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখে। ইতিমধ্যে দীপু হত্যাকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। এর সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে।’

এসব ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে, তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনোভাবেই প্রভাব পড়বে না এবং বাইরের দেশের উসকানিতেও নির্বাচনে কোনো প্রভাবে পড়বে না।’

১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ বিবস্ত্র করে গাছে ঝুলিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই অপু দাস ১৯ ডিসেম্বর বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা দায়ের করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত দীপু চন্দ্র দাস ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়াকান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। দুই বছর ধরে তিনি ভালুকার জামিরদিয়া পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানিতে কাজ করছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিমানবন্দর এলাকায় ড্রোন উড্ডয়ন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

জাতীয় নিরাপত্তা ও নিরাপদ বিমান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় ড্রোন উড্ডয়ন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এক তথ্যবিবরণীতে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করেছে।

তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় অনুমোদনহীন ড্রোন উড্ডয়ন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও ১৯ ডিসেম্বর শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ গ্রহণ উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনজন উপদেষ্টা ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে কয়েকটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া ড্রোন উড্ডয়ন করে ছবি ধারণ করে।

বেবিচক জানায়, এ ধরনের অননুমোদিত ড্রোন উড্ডয়ন বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিসহ সর্বসাধারণকে ড্রোন উড্ডয়ন থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেবিচক সতর্ক করে জানায়, ভবিষ্যতে এ ধরনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া নিশ্চিতে ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল

সম্ভাব্য অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া নিশ্চিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল।

এতে বলা হয়, সমঝোতার আওতায় দেশের কেপিআই প্রতিষ্ঠান (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন–অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) বাংলাদেশ ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় সম্ভাব্য অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে একটি স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের মতো সার্বক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের জনবল ও গাড়ি-পাম্প মোতায়েন থাকবে।

এ লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদের ১৩ জন সদস্য প্রয়োজনীয় সাজ-সরঞ্জামসহ সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন।

সমঝোতা স্মারকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পক্ষে ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে যুগ্ম পরিচালক (এইচআরডি-১) মো. রিয়াদ ফারজান্দ স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. নিয়ামুল কবির, নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. ফারুক হাওলাদার, পরিচালক (এইচআরডি-১) মো. জবদুল ইসলামসহ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, উপপরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত