
১৯৮২ সাল। ভারতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে কুষ্ঠরোগ। সে সময় পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহা দুজন রোগীর চিকিৎসা করছিলেন। তাঁদের ত্বকে কালো ছোপ ছোপ ক্ষত দেখা গিয়েছিল। প্রথমে সাহা ধারণা করেছিলেন, এটি কুষ্ঠরোগ। তবে পরে নানা পর্যবেক্ষণে তিনি ভিন্ন এক স্বাস্থ্য সমস্যা আবিষ্কার করেন। তাঁর মতে, এটি ছিল আর্সেনিকোসিস বা আর্সেনিক বিষক্রিয়ার ফল।
ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহার এই আবিষ্কার পশ্চিমবঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানিতে ব্যাপক আর্সেনিক দূষণ সন্ধানের পথ খুলে দেয়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আর্সেনিকোসিসকে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিষক্রিয়ার ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে।
সেই আবিষ্কারের চার দশক পরও, ভারতে আনুমানিক ৯ কোটি এবং বাংলাদেশে আরও ৪ কোটি মানুষ উচ্চমাত্রার আর্সেনিকে দূষিত পানি পান করছে। এত দিনেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি, বরং কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে।
ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে প্রথমবারের মতো ২০০৪ সালে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকার সমভূমিতে এই ধাতব উপাদান স্বাভাবিকভাবেই বেশি পাওয়া যায়। কারণ, হিমালয় থেকে নদীটি এই ধাতব পদার্থ বয়ে আনে।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, আসামের ৩০টি জেলার মধ্যে ২০ টিতেই ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা প্রতি লিটারে ৫০ মাইক্রোগ্রামের বেশি। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত সর্বোচ্চ নিরাপদ সীমা ১০ মাইক্রোগ্রাম। অর্থাৎ, প্রতি লিটার পানিতে সর্বোচ্চ এই পরিমাণ আর্সেনিক থাকলে তা সহনীয় বা তুলনামূলক নিরাপদ বলে ধরে নেওয়া হয়।
ব্রিটেনের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানী জগন্নাথ বিশ্বকর্মা বলেন, ‘আমরা লাখ লাখ মানুষের কথা বলছি, যারা হিমালয়ের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করে এবং এই সমস্যার সম্মুখীন।’ তাঁর ব্যাখ্যা অনুসারে, পানি আর্সেনিক দূষণমুক্ত করতে খুব উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন হয় না। সাধারণ বালু ও লোহার পেরেক দিয়ে তৈরি ফিল্টার ব্যবহার করলেই এটি পানি থেকে সরানো সম্ভব।
ব্রিটিশ এই গবেষক আরও বলেন, ‘তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এ ধরনের ফিল্টার সরবরাহ করা কঠিন। একই সঙ্গে, পর্যাপ্ত সম্পদের অভাবে আসামের ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক বিস্তারের পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করা সম্ভব হয়নি, ফলে দূষণের সঠিক মানচিত্র তৈরি করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’
তবে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকর্মা ও তাঁর সহকর্মীদের গবেষণার ফলে বিজ্ঞানীরা এখন আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছেন, কোথায় এবং কীভাবে বিভিন্ন মাত্রায় ও রূপে আর্সেনিকের বিস্তার ঘটে। পরিবেশে আর্সেনিক প্রধানত দুটি রাসায়নিক যৌগ অবস্থায় থাকে—আর্সেনাইট এবং আর্সেনেট।
বিশ্বকর্মার মেন্টর ও মার্কিন জৈব–রসায়নবিদ জ্যানেট হারিং ২০০৩ সালে প্রথম এই আবিষ্কার করেন। বিশ্বকর্মা বলেন, ‘এটি জানার পর মানুষ বিভিন্ন ধরনের আর্সেনিক দিয়ে দূষিত পানির জন্য ভিন্নভাবে পরিশোধন পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করে। এক পদ্ধতি সব জায়গার জন্য কার্যকর নয়, তাই প্রথমে সঠিকভাবে এলাকাভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে সমস্যাটি চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এই গবেষণা আর্সেনিক দূষণ রোধে নতুন কৌশল বিকাশের পথ সুগম করছে, পাশাপাশি এর ভৌগোলিক বিস্তৃতি সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা দিচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় অবস্থিত আসামের মতো বাংলাদেশও একই ধরনের ঝুঁকিতে আছে। কারণ, বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র থেকে দুটি নদী—পুরোনো ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা—বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সত্তরের দশকে বাংলাদেশ ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগে প্রচুর শিশুর মৃত্যু হতো। ওই সময় সরকারি উদ্যোগে ইউনিসেফ এবং আরও কিছু সংস্থার সহায়তায় দুই দশকের মধ্যে দেশজুড়ে লাখ লাখ নলকূপ বসানো হয়। এতে দ্রুতই শিশু মৃত্যুর হার কমে। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে এসে জানা যায়, এসব নলকূপের পানিতে বিপুল পরিমাণে আর্সেনিক রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর আর্সেনিকের বিষক্রিয়া থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যায় মারা যান অন্তত ৪৩ হাজার মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আর্সেনিককে মানবদেহের জন্য কার্সিনোজেনিক বা ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্পর্শে থাকার ফলে ক্যানসার, ত্বকের ক্ষত, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো নানা অসংক্রামক রোগ হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে।
আসামে জন্মগ্রহণ করা বিশ্বকর্মা বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি কীভাবে মানুষ প্রতিদিন নিরাপদ পানির জন্য লড়াই করছে। সম্ভবত এ কারণেই আমি পরিবেশ বিজ্ঞানের দিকে ঝুঁকেছি—এটি ছিল আমার খুবই সচেতন একটি সিদ্ধান্ত, কারণ আমি এ বিষয়ে কিছু করতে চেয়েছিলাম।’
বিশ্বকর্মা শিগগির আসামে ফিরে যাচ্ছেন একটি বড় পরিসরের মাঠ গবেষণার জন্য। যেখানে তিনি মাটি থেকে জীবাণু এবং অন্যান্য উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করবেন, যা সঠিক পরিশোধন কৌশল ও নীতিমালা নির্ধারণে সহায়তা করতে পারে। তাঁর গবেষণা দূষিত ভূগর্ভস্থ পানির সমস্যায় ভুগতে থাকা অন্যান্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় আর্সেনিক দূষণ সবচেয়ে প্রকট হলেও, এটি পৃথিবীর বায়ু, পানি এবং ভূমির প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে রয়েছে। ৭০ টিরও বেশি দেশে পানীয় জলে আর্সেনিক দূষণের উপস্থিতি নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ কোটি মানুষের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। চীন, আর্জেন্টিনা, চিলি, মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর পানীয় জলে আর্সেনিকের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) পানি বিশেষজ্ঞ জো আয়ট এবং তাঁর সহকর্মীদের সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ গৃহস্থালির কূপ থেকে পানি ব্যবহার করে, যা আর্সেনিক দ্বারা দূষিত হওয়ার সমূহ শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই ইউনিসেফ কাজ করছে। নিয়মিত নলকূপ পরীক্ষার কাজ চলছে। এ নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডও রয়েছে। তবে পানি থেকে আর্সেনিক আলাদা করার কোনো প্রযুক্তিই এখনো পর্যন্ত তেমন একটা কার্যকরী নয়।
এর একটাই সমাধান, তা হলো গভীর নলকূপ স্থাপন। কিন্তু সবার সামর্থ্যে কুলায় না। ফলে আর্সেনিক ঝুঁকি থাকছেই।
তথ্যসূত্র: ব্রিটিশ বিজ্ঞান সাময়িকী জিওগ্রাফিকাল ইউকে

১৯৮২ সাল। ভারতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে কুষ্ঠরোগ। সে সময় পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহা দুজন রোগীর চিকিৎসা করছিলেন। তাঁদের ত্বকে কালো ছোপ ছোপ ক্ষত দেখা গিয়েছিল। প্রথমে সাহা ধারণা করেছিলেন, এটি কুষ্ঠরোগ। তবে পরে নানা পর্যবেক্ষণে তিনি ভিন্ন এক স্বাস্থ্য সমস্যা আবিষ্কার করেন। তাঁর মতে, এটি ছিল আর্সেনিকোসিস বা আর্সেনিক বিষক্রিয়ার ফল।
ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহার এই আবিষ্কার পশ্চিমবঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানিতে ব্যাপক আর্সেনিক দূষণ সন্ধানের পথ খুলে দেয়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আর্সেনিকোসিসকে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিষক্রিয়ার ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে।
সেই আবিষ্কারের চার দশক পরও, ভারতে আনুমানিক ৯ কোটি এবং বাংলাদেশে আরও ৪ কোটি মানুষ উচ্চমাত্রার আর্সেনিকে দূষিত পানি পান করছে। এত দিনেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি, বরং কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে।
ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে প্রথমবারের মতো ২০০৪ সালে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকার সমভূমিতে এই ধাতব উপাদান স্বাভাবিকভাবেই বেশি পাওয়া যায়। কারণ, হিমালয় থেকে নদীটি এই ধাতব পদার্থ বয়ে আনে।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, আসামের ৩০টি জেলার মধ্যে ২০ টিতেই ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা প্রতি লিটারে ৫০ মাইক্রোগ্রামের বেশি। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত সর্বোচ্চ নিরাপদ সীমা ১০ মাইক্রোগ্রাম। অর্থাৎ, প্রতি লিটার পানিতে সর্বোচ্চ এই পরিমাণ আর্সেনিক থাকলে তা সহনীয় বা তুলনামূলক নিরাপদ বলে ধরে নেওয়া হয়।
ব্রিটেনের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানী জগন্নাথ বিশ্বকর্মা বলেন, ‘আমরা লাখ লাখ মানুষের কথা বলছি, যারা হিমালয়ের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করে এবং এই সমস্যার সম্মুখীন।’ তাঁর ব্যাখ্যা অনুসারে, পানি আর্সেনিক দূষণমুক্ত করতে খুব উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন হয় না। সাধারণ বালু ও লোহার পেরেক দিয়ে তৈরি ফিল্টার ব্যবহার করলেই এটি পানি থেকে সরানো সম্ভব।
ব্রিটিশ এই গবেষক আরও বলেন, ‘তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এ ধরনের ফিল্টার সরবরাহ করা কঠিন। একই সঙ্গে, পর্যাপ্ত সম্পদের অভাবে আসামের ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক বিস্তারের পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করা সম্ভব হয়নি, ফলে দূষণের সঠিক মানচিত্র তৈরি করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’
তবে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকর্মা ও তাঁর সহকর্মীদের গবেষণার ফলে বিজ্ঞানীরা এখন আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছেন, কোথায় এবং কীভাবে বিভিন্ন মাত্রায় ও রূপে আর্সেনিকের বিস্তার ঘটে। পরিবেশে আর্সেনিক প্রধানত দুটি রাসায়নিক যৌগ অবস্থায় থাকে—আর্সেনাইট এবং আর্সেনেট।
বিশ্বকর্মার মেন্টর ও মার্কিন জৈব–রসায়নবিদ জ্যানেট হারিং ২০০৩ সালে প্রথম এই আবিষ্কার করেন। বিশ্বকর্মা বলেন, ‘এটি জানার পর মানুষ বিভিন্ন ধরনের আর্সেনিক দিয়ে দূষিত পানির জন্য ভিন্নভাবে পরিশোধন পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করে। এক পদ্ধতি সব জায়গার জন্য কার্যকর নয়, তাই প্রথমে সঠিকভাবে এলাকাভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে সমস্যাটি চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এই গবেষণা আর্সেনিক দূষণ রোধে নতুন কৌশল বিকাশের পথ সুগম করছে, পাশাপাশি এর ভৌগোলিক বিস্তৃতি সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা দিচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় অবস্থিত আসামের মতো বাংলাদেশও একই ধরনের ঝুঁকিতে আছে। কারণ, বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র থেকে দুটি নদী—পুরোনো ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা—বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সত্তরের দশকে বাংলাদেশ ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগে প্রচুর শিশুর মৃত্যু হতো। ওই সময় সরকারি উদ্যোগে ইউনিসেফ এবং আরও কিছু সংস্থার সহায়তায় দুই দশকের মধ্যে দেশজুড়ে লাখ লাখ নলকূপ বসানো হয়। এতে দ্রুতই শিশু মৃত্যুর হার কমে। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে এসে জানা যায়, এসব নলকূপের পানিতে বিপুল পরিমাণে আর্সেনিক রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর আর্সেনিকের বিষক্রিয়া থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যায় মারা যান অন্তত ৪৩ হাজার মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আর্সেনিককে মানবদেহের জন্য কার্সিনোজেনিক বা ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্পর্শে থাকার ফলে ক্যানসার, ত্বকের ক্ষত, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো নানা অসংক্রামক রোগ হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে।
আসামে জন্মগ্রহণ করা বিশ্বকর্মা বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি কীভাবে মানুষ প্রতিদিন নিরাপদ পানির জন্য লড়াই করছে। সম্ভবত এ কারণেই আমি পরিবেশ বিজ্ঞানের দিকে ঝুঁকেছি—এটি ছিল আমার খুবই সচেতন একটি সিদ্ধান্ত, কারণ আমি এ বিষয়ে কিছু করতে চেয়েছিলাম।’
বিশ্বকর্মা শিগগির আসামে ফিরে যাচ্ছেন একটি বড় পরিসরের মাঠ গবেষণার জন্য। যেখানে তিনি মাটি থেকে জীবাণু এবং অন্যান্য উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করবেন, যা সঠিক পরিশোধন কৌশল ও নীতিমালা নির্ধারণে সহায়তা করতে পারে। তাঁর গবেষণা দূষিত ভূগর্ভস্থ পানির সমস্যায় ভুগতে থাকা অন্যান্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় আর্সেনিক দূষণ সবচেয়ে প্রকট হলেও, এটি পৃথিবীর বায়ু, পানি এবং ভূমির প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে রয়েছে। ৭০ টিরও বেশি দেশে পানীয় জলে আর্সেনিক দূষণের উপস্থিতি নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ কোটি মানুষের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। চীন, আর্জেন্টিনা, চিলি, মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর পানীয় জলে আর্সেনিকের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) পানি বিশেষজ্ঞ জো আয়ট এবং তাঁর সহকর্মীদের সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ গৃহস্থালির কূপ থেকে পানি ব্যবহার করে, যা আর্সেনিক দ্বারা দূষিত হওয়ার সমূহ শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই ইউনিসেফ কাজ করছে। নিয়মিত নলকূপ পরীক্ষার কাজ চলছে। এ নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডও রয়েছে। তবে পানি থেকে আর্সেনিক আলাদা করার কোনো প্রযুক্তিই এখনো পর্যন্ত তেমন একটা কার্যকরী নয়।
এর একটাই সমাধান, তা হলো গভীর নলকূপ স্থাপন। কিন্তু সবার সামর্থ্যে কুলায় না। ফলে আর্সেনিক ঝুঁকি থাকছেই।
তথ্যসূত্র: ব্রিটিশ বিজ্ঞান সাময়িকী জিওগ্রাফিকাল ইউকে

১৯৮২ সাল। ভারতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে কুষ্ঠরোগ। সে সময় পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহা দুজন রোগীর চিকিৎসা করছিলেন। তাঁদের ত্বকে কালো ছোপ ছোপ ক্ষত দেখা গিয়েছিল। প্রথমে সাহা ধারণা করেছিলেন, এটি কুষ্ঠরোগ। তবে পরে নানা পর্যবেক্ষণে তিনি ভিন্ন এক স্বাস্থ্য সমস্যা আবিষ্কার করেন। তাঁর মতে, এটি ছিল আর্সেনিকোসিস বা আর্সেনিক বিষক্রিয়ার ফল।
ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহার এই আবিষ্কার পশ্চিমবঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানিতে ব্যাপক আর্সেনিক দূষণ সন্ধানের পথ খুলে দেয়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আর্সেনিকোসিসকে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিষক্রিয়ার ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে।
সেই আবিষ্কারের চার দশক পরও, ভারতে আনুমানিক ৯ কোটি এবং বাংলাদেশে আরও ৪ কোটি মানুষ উচ্চমাত্রার আর্সেনিকে দূষিত পানি পান করছে। এত দিনেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি, বরং কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে।
ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে প্রথমবারের মতো ২০০৪ সালে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকার সমভূমিতে এই ধাতব উপাদান স্বাভাবিকভাবেই বেশি পাওয়া যায়। কারণ, হিমালয় থেকে নদীটি এই ধাতব পদার্থ বয়ে আনে।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, আসামের ৩০টি জেলার মধ্যে ২০ টিতেই ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা প্রতি লিটারে ৫০ মাইক্রোগ্রামের বেশি। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত সর্বোচ্চ নিরাপদ সীমা ১০ মাইক্রোগ্রাম। অর্থাৎ, প্রতি লিটার পানিতে সর্বোচ্চ এই পরিমাণ আর্সেনিক থাকলে তা সহনীয় বা তুলনামূলক নিরাপদ বলে ধরে নেওয়া হয়।
ব্রিটেনের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানী জগন্নাথ বিশ্বকর্মা বলেন, ‘আমরা লাখ লাখ মানুষের কথা বলছি, যারা হিমালয়ের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করে এবং এই সমস্যার সম্মুখীন।’ তাঁর ব্যাখ্যা অনুসারে, পানি আর্সেনিক দূষণমুক্ত করতে খুব উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন হয় না। সাধারণ বালু ও লোহার পেরেক দিয়ে তৈরি ফিল্টার ব্যবহার করলেই এটি পানি থেকে সরানো সম্ভব।
ব্রিটিশ এই গবেষক আরও বলেন, ‘তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এ ধরনের ফিল্টার সরবরাহ করা কঠিন। একই সঙ্গে, পর্যাপ্ত সম্পদের অভাবে আসামের ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক বিস্তারের পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করা সম্ভব হয়নি, ফলে দূষণের সঠিক মানচিত্র তৈরি করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’
তবে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকর্মা ও তাঁর সহকর্মীদের গবেষণার ফলে বিজ্ঞানীরা এখন আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছেন, কোথায় এবং কীভাবে বিভিন্ন মাত্রায় ও রূপে আর্সেনিকের বিস্তার ঘটে। পরিবেশে আর্সেনিক প্রধানত দুটি রাসায়নিক যৌগ অবস্থায় থাকে—আর্সেনাইট এবং আর্সেনেট।
বিশ্বকর্মার মেন্টর ও মার্কিন জৈব–রসায়নবিদ জ্যানেট হারিং ২০০৩ সালে প্রথম এই আবিষ্কার করেন। বিশ্বকর্মা বলেন, ‘এটি জানার পর মানুষ বিভিন্ন ধরনের আর্সেনিক দিয়ে দূষিত পানির জন্য ভিন্নভাবে পরিশোধন পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করে। এক পদ্ধতি সব জায়গার জন্য কার্যকর নয়, তাই প্রথমে সঠিকভাবে এলাকাভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে সমস্যাটি চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এই গবেষণা আর্সেনিক দূষণ রোধে নতুন কৌশল বিকাশের পথ সুগম করছে, পাশাপাশি এর ভৌগোলিক বিস্তৃতি সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা দিচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় অবস্থিত আসামের মতো বাংলাদেশও একই ধরনের ঝুঁকিতে আছে। কারণ, বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র থেকে দুটি নদী—পুরোনো ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা—বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সত্তরের দশকে বাংলাদেশ ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগে প্রচুর শিশুর মৃত্যু হতো। ওই সময় সরকারি উদ্যোগে ইউনিসেফ এবং আরও কিছু সংস্থার সহায়তায় দুই দশকের মধ্যে দেশজুড়ে লাখ লাখ নলকূপ বসানো হয়। এতে দ্রুতই শিশু মৃত্যুর হার কমে। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে এসে জানা যায়, এসব নলকূপের পানিতে বিপুল পরিমাণে আর্সেনিক রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর আর্সেনিকের বিষক্রিয়া থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যায় মারা যান অন্তত ৪৩ হাজার মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আর্সেনিককে মানবদেহের জন্য কার্সিনোজেনিক বা ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্পর্শে থাকার ফলে ক্যানসার, ত্বকের ক্ষত, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো নানা অসংক্রামক রোগ হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে।
আসামে জন্মগ্রহণ করা বিশ্বকর্মা বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি কীভাবে মানুষ প্রতিদিন নিরাপদ পানির জন্য লড়াই করছে। সম্ভবত এ কারণেই আমি পরিবেশ বিজ্ঞানের দিকে ঝুঁকেছি—এটি ছিল আমার খুবই সচেতন একটি সিদ্ধান্ত, কারণ আমি এ বিষয়ে কিছু করতে চেয়েছিলাম।’
বিশ্বকর্মা শিগগির আসামে ফিরে যাচ্ছেন একটি বড় পরিসরের মাঠ গবেষণার জন্য। যেখানে তিনি মাটি থেকে জীবাণু এবং অন্যান্য উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করবেন, যা সঠিক পরিশোধন কৌশল ও নীতিমালা নির্ধারণে সহায়তা করতে পারে। তাঁর গবেষণা দূষিত ভূগর্ভস্থ পানির সমস্যায় ভুগতে থাকা অন্যান্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় আর্সেনিক দূষণ সবচেয়ে প্রকট হলেও, এটি পৃথিবীর বায়ু, পানি এবং ভূমির প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে রয়েছে। ৭০ টিরও বেশি দেশে পানীয় জলে আর্সেনিক দূষণের উপস্থিতি নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ কোটি মানুষের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। চীন, আর্জেন্টিনা, চিলি, মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর পানীয় জলে আর্সেনিকের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) পানি বিশেষজ্ঞ জো আয়ট এবং তাঁর সহকর্মীদের সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ গৃহস্থালির কূপ থেকে পানি ব্যবহার করে, যা আর্সেনিক দ্বারা দূষিত হওয়ার সমূহ শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই ইউনিসেফ কাজ করছে। নিয়মিত নলকূপ পরীক্ষার কাজ চলছে। এ নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডও রয়েছে। তবে পানি থেকে আর্সেনিক আলাদা করার কোনো প্রযুক্তিই এখনো পর্যন্ত তেমন একটা কার্যকরী নয়।
এর একটাই সমাধান, তা হলো গভীর নলকূপ স্থাপন। কিন্তু সবার সামর্থ্যে কুলায় না। ফলে আর্সেনিক ঝুঁকি থাকছেই।
তথ্যসূত্র: ব্রিটিশ বিজ্ঞান সাময়িকী জিওগ্রাফিকাল ইউকে

১৯৮২ সাল। ভারতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে কুষ্ঠরোগ। সে সময় পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহা দুজন রোগীর চিকিৎসা করছিলেন। তাঁদের ত্বকে কালো ছোপ ছোপ ক্ষত দেখা গিয়েছিল। প্রথমে সাহা ধারণা করেছিলেন, এটি কুষ্ঠরোগ। তবে পরে নানা পর্যবেক্ষণে তিনি ভিন্ন এক স্বাস্থ্য সমস্যা আবিষ্কার করেন। তাঁর মতে, এটি ছিল আর্সেনিকোসিস বা আর্সেনিক বিষক্রিয়ার ফল।
ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহার এই আবিষ্কার পশ্চিমবঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানিতে ব্যাপক আর্সেনিক দূষণ সন্ধানের পথ খুলে দেয়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আর্সেনিকোসিসকে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিষক্রিয়ার ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে।
সেই আবিষ্কারের চার দশক পরও, ভারতে আনুমানিক ৯ কোটি এবং বাংলাদেশে আরও ৪ কোটি মানুষ উচ্চমাত্রার আর্সেনিকে দূষিত পানি পান করছে। এত দিনেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি, বরং কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে।
ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে প্রথমবারের মতো ২০০৪ সালে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকার সমভূমিতে এই ধাতব উপাদান স্বাভাবিকভাবেই বেশি পাওয়া যায়। কারণ, হিমালয় থেকে নদীটি এই ধাতব পদার্থ বয়ে আনে।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, আসামের ৩০টি জেলার মধ্যে ২০ টিতেই ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা প্রতি লিটারে ৫০ মাইক্রোগ্রামের বেশি। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত সর্বোচ্চ নিরাপদ সীমা ১০ মাইক্রোগ্রাম। অর্থাৎ, প্রতি লিটার পানিতে সর্বোচ্চ এই পরিমাণ আর্সেনিক থাকলে তা সহনীয় বা তুলনামূলক নিরাপদ বলে ধরে নেওয়া হয়।
ব্রিটেনের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানী জগন্নাথ বিশ্বকর্মা বলেন, ‘আমরা লাখ লাখ মানুষের কথা বলছি, যারা হিমালয়ের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করে এবং এই সমস্যার সম্মুখীন।’ তাঁর ব্যাখ্যা অনুসারে, পানি আর্সেনিক দূষণমুক্ত করতে খুব উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন হয় না। সাধারণ বালু ও লোহার পেরেক দিয়ে তৈরি ফিল্টার ব্যবহার করলেই এটি পানি থেকে সরানো সম্ভব।
ব্রিটিশ এই গবেষক আরও বলেন, ‘তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এ ধরনের ফিল্টার সরবরাহ করা কঠিন। একই সঙ্গে, পর্যাপ্ত সম্পদের অভাবে আসামের ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক বিস্তারের পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করা সম্ভব হয়নি, ফলে দূষণের সঠিক মানচিত্র তৈরি করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’
তবে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকর্মা ও তাঁর সহকর্মীদের গবেষণার ফলে বিজ্ঞানীরা এখন আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছেন, কোথায় এবং কীভাবে বিভিন্ন মাত্রায় ও রূপে আর্সেনিকের বিস্তার ঘটে। পরিবেশে আর্সেনিক প্রধানত দুটি রাসায়নিক যৌগ অবস্থায় থাকে—আর্সেনাইট এবং আর্সেনেট।
বিশ্বকর্মার মেন্টর ও মার্কিন জৈব–রসায়নবিদ জ্যানেট হারিং ২০০৩ সালে প্রথম এই আবিষ্কার করেন। বিশ্বকর্মা বলেন, ‘এটি জানার পর মানুষ বিভিন্ন ধরনের আর্সেনিক দিয়ে দূষিত পানির জন্য ভিন্নভাবে পরিশোধন পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করে। এক পদ্ধতি সব জায়গার জন্য কার্যকর নয়, তাই প্রথমে সঠিকভাবে এলাকাভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে সমস্যাটি চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এই গবেষণা আর্সেনিক দূষণ রোধে নতুন কৌশল বিকাশের পথ সুগম করছে, পাশাপাশি এর ভৌগোলিক বিস্তৃতি সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা দিচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় অবস্থিত আসামের মতো বাংলাদেশও একই ধরনের ঝুঁকিতে আছে। কারণ, বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র থেকে দুটি নদী—পুরোনো ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা—বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সত্তরের দশকে বাংলাদেশ ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগে প্রচুর শিশুর মৃত্যু হতো। ওই সময় সরকারি উদ্যোগে ইউনিসেফ এবং আরও কিছু সংস্থার সহায়তায় দুই দশকের মধ্যে দেশজুড়ে লাখ লাখ নলকূপ বসানো হয়। এতে দ্রুতই শিশু মৃত্যুর হার কমে। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে এসে জানা যায়, এসব নলকূপের পানিতে বিপুল পরিমাণে আর্সেনিক রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর আর্সেনিকের বিষক্রিয়া থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যায় মারা যান অন্তত ৪৩ হাজার মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আর্সেনিককে মানবদেহের জন্য কার্সিনোজেনিক বা ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্পর্শে থাকার ফলে ক্যানসার, ত্বকের ক্ষত, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো নানা অসংক্রামক রোগ হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে।
আসামে জন্মগ্রহণ করা বিশ্বকর্মা বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি কীভাবে মানুষ প্রতিদিন নিরাপদ পানির জন্য লড়াই করছে। সম্ভবত এ কারণেই আমি পরিবেশ বিজ্ঞানের দিকে ঝুঁকেছি—এটি ছিল আমার খুবই সচেতন একটি সিদ্ধান্ত, কারণ আমি এ বিষয়ে কিছু করতে চেয়েছিলাম।’
বিশ্বকর্মা শিগগির আসামে ফিরে যাচ্ছেন একটি বড় পরিসরের মাঠ গবেষণার জন্য। যেখানে তিনি মাটি থেকে জীবাণু এবং অন্যান্য উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করবেন, যা সঠিক পরিশোধন কৌশল ও নীতিমালা নির্ধারণে সহায়তা করতে পারে। তাঁর গবেষণা দূষিত ভূগর্ভস্থ পানির সমস্যায় ভুগতে থাকা অন্যান্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় আর্সেনিক দূষণ সবচেয়ে প্রকট হলেও, এটি পৃথিবীর বায়ু, পানি এবং ভূমির প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে রয়েছে। ৭০ টিরও বেশি দেশে পানীয় জলে আর্সেনিক দূষণের উপস্থিতি নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ কোটি মানুষের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। চীন, আর্জেন্টিনা, চিলি, মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর পানীয় জলে আর্সেনিকের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) পানি বিশেষজ্ঞ জো আয়ট এবং তাঁর সহকর্মীদের সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ গৃহস্থালির কূপ থেকে পানি ব্যবহার করে, যা আর্সেনিক দ্বারা দূষিত হওয়ার সমূহ শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই ইউনিসেফ কাজ করছে। নিয়মিত নলকূপ পরীক্ষার কাজ চলছে। এ নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডও রয়েছে। তবে পানি থেকে আর্সেনিক আলাদা করার কোনো প্রযুক্তিই এখনো পর্যন্ত তেমন একটা কার্যকরী নয়।
এর একটাই সমাধান, তা হলো গভীর নলকূপ স্থাপন। কিন্তু সবার সামর্থ্যে কুলায় না। ফলে আর্সেনিক ঝুঁকি থাকছেই।
তথ্যসূত্র: ব্রিটিশ বিজ্ঞান সাময়িকী জিওগ্রাফিকাল ইউকে

চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। দেশের ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট লক্ষ্য শিশুর ৯৭ শতাংশের বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনার পর সেই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায়’ তাঁকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
১ দিন আগে
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যালায়েন্স ফর হেলথ রিফর্মস বাংলাদেশ (এএইচআরবি) ওষুধশিল্পকে কৌশলগতভাবে শক্তিশালী ও জাতীয় স্বাস্থ্যনিরাপত্তা জোরদার করতে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) নীতি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো খোলাচিঠিতে এই নীতিকে ‘জাতীয় স্বার্থে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ হিসেবে বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও এএইচআরবির আহ্বায়ক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন।
চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এপিআই, ভ্যাকসিন, আইভিডি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনে দ্রুত দেশীয় সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য গবেষণা–উন্নয়নে বিনিয়োগ, প্রণোদনা ও উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ধাপে ধাপে আমদানি সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতির সফল বাস্তবায়ন উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, কঠোর তদারকি ও দৃঢ় রাজনৈতিক নেতৃত্বে বড় নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জ্ঞানভিত্তিক শিল্পে রূপান্তর না ঘটলে দেশের ট্যাক্স–জিডিপি অনুপাত ৭ শতাংশের নিচে থাকবে। ফার্মাসিউটিক্যাল খাত এই রূপান্তরের বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে। ভারতে মোট রপ্তানির ৫ শতাংশ আসে ওষুধশিল্প থেকে, যেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ০.৫ শতাংশ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোয়েল মকিয়ের উদ্ধৃত করে চিঠিতে বলা হয়, ‘জ্ঞানই আধুনিক অর্থনীতির প্রধান চালক।’ তাই খাতটিকে টেকসই জ্ঞানভিত্তিক শিল্পে রূপান্তরিত করা জরুরি।
এপিআই নীতি কার্যকর করতে পাঁচটি জরুরি পদক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে—প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত বাধা দূর করা, আকর্ষণীয় প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিম চালু করা, আর অ্যান্ড ডি-তে ধারাবাহিক সরকারি অনুদান, একাডেমিয়া–ইন্ডাস্ট্রি সহযোগিতা জোরদার এবং নির্দিষ্ট সময়সীমায় বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্থায়ী টাস্কফোর্স গঠন।
চিঠিতে বলা হয়, এ নীতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে এগোবে না। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও দ্রুত তদারকি নিশ্চিত করলে এপিআই নীতি কাগুজে অবস্থায় আটকে থাকবে না। আমদানিনির্ভরতা কমবে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, রপ্তানি বাড়বে, দক্ষ কর্মসংস্থান বাড়বে এবং ট্যাক্স–জিডিপি অনুপাত উন্নত হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এটি কেবল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং দেশের ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা, সক্ষমতা ও জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত কৌশলগত রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার।

অ্যালায়েন্স ফর হেলথ রিফর্মস বাংলাদেশ (এএইচআরবি) ওষুধশিল্পকে কৌশলগতভাবে শক্তিশালী ও জাতীয় স্বাস্থ্যনিরাপত্তা জোরদার করতে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) নীতি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো খোলাচিঠিতে এই নীতিকে ‘জাতীয় স্বার্থে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ হিসেবে বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও এএইচআরবির আহ্বায়ক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন।
চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এপিআই, ভ্যাকসিন, আইভিডি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনে দ্রুত দেশীয় সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য গবেষণা–উন্নয়নে বিনিয়োগ, প্রণোদনা ও উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ধাপে ধাপে আমদানি সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতির সফল বাস্তবায়ন উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, কঠোর তদারকি ও দৃঢ় রাজনৈতিক নেতৃত্বে বড় নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জ্ঞানভিত্তিক শিল্পে রূপান্তর না ঘটলে দেশের ট্যাক্স–জিডিপি অনুপাত ৭ শতাংশের নিচে থাকবে। ফার্মাসিউটিক্যাল খাত এই রূপান্তরের বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে। ভারতে মোট রপ্তানির ৫ শতাংশ আসে ওষুধশিল্প থেকে, যেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ০.৫ শতাংশ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোয়েল মকিয়ের উদ্ধৃত করে চিঠিতে বলা হয়, ‘জ্ঞানই আধুনিক অর্থনীতির প্রধান চালক।’ তাই খাতটিকে টেকসই জ্ঞানভিত্তিক শিল্পে রূপান্তরিত করা জরুরি।
এপিআই নীতি কার্যকর করতে পাঁচটি জরুরি পদক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে—প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত বাধা দূর করা, আকর্ষণীয় প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিম চালু করা, আর অ্যান্ড ডি-তে ধারাবাহিক সরকারি অনুদান, একাডেমিয়া–ইন্ডাস্ট্রি সহযোগিতা জোরদার এবং নির্দিষ্ট সময়সীমায় বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্থায়ী টাস্কফোর্স গঠন।
চিঠিতে বলা হয়, এ নীতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে এগোবে না। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও দ্রুত তদারকি নিশ্চিত করলে এপিআই নীতি কাগুজে অবস্থায় আটকে থাকবে না। আমদানিনির্ভরতা কমবে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, রপ্তানি বাড়বে, দক্ষ কর্মসংস্থান বাড়বে এবং ট্যাক্স–জিডিপি অনুপাত উন্নত হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এটি কেবল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং দেশের ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা, সক্ষমতা ও জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত কৌশলগত রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার।

ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহার এই আবিষ্কার পশ্চিমবঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানিতে ব্যাপক আর্সেনিক দূষণ সন্ধানের পথ খুলে দেয়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আর্সেনিকোসিসকে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিষক্রিয়ার ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। দেশের ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট লক্ষ্য শিশুর ৯৭ শতাংশের বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনার পর সেই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায়’ তাঁকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
১ দিন আগে
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স জানিয়েছেন, দেশে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট লক্ষ্য শিশুর ৯৭ শতাংশের বেশি।
আজ রোববার (৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে রানা ফ্লাওয়ার্স এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, এই অর্জন প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ সরকার শিশুদের প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে সুরক্ষা এবং পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক ও মানসিক চাপ কমাতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি উল্লেখ করেন, টিসিভি চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ টাইফয়েড প্রতিরোধে বিশ্বের অষ্টম দেশ হিসেবে অগ্রগামী অবস্থানে এসেছে।
এই টিকা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন শিশুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিসেফের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা সর্বশেষ মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভেতে (এমআইসিএস) দেখা গেছে, বাংলাদেশে মাত্র ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের নিরাপদ ব্যবস্থাপনার আওতায় পানি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, পানির সব ধরনের উৎসের প্রায় অর্ধেক (৪৭ দশমিক ২ শতাংশ) এবং প্রতি ১০টির মধ্যে আটটি পরিবারে ব্যবহৃত পানির নমুনায় (৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ) ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষণ রয়েছে। এসব সংখ্যা এটাই বোঝায় যে, লাখ লাখ শিশুর জন্য টাইফয়েডের মতো অসুখে আক্রান্ত হওয়া খুবই সহজ। তারা প্রতিটি দিন এই ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে এবং সাধারণ এক গ্লাস পানিই তাদের জন্য ভয়ানক বিপদ নিয়ে আসতে পারে।
রানা ফ্লাওয়ার্স আরও বলেন, ‘এ কারণে ইউনিসেফ এ ক্যাম্পেইন শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে জরুরিভাবে সহায়তা করে। প্রতিটি পরিবারের জন্য পরিষ্কার ও নিরাপদ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার আগপর্যন্ত শিশুদের গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দেওয়া, তাদের ভবিষ্যতের সুরক্ষা এবং বাবা-মায়েদের দুশ্চিন্তামুক্ত রাখার জন্য আমরা সবচেয়ে শক্তিশালী যেসব সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা দিতে পারি, তার মধ্যে টিসিভি টিকা অন্যতম।’
রানা ফ্লাওয়ার্স জানান, ক্যাম্পেইন সফল করতে ইউনিসেফ ৫ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিসিভি সরবরাহ করেছে, নতুন কোল্ড রুম স্থাপন ও ভ্যাক্সইপিআই (VaxEPI) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা উন্নত করেছে। পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করেছে সংস্থাটি।
রানা ফ্লাওয়ার্স অভিভাবক ও স্থানীয় কমিউনিটির সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জনসম্পৃক্ততা ও সচেতনতা তৈরিতে ইউনিসেফ ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সহযোগীকে নিয়ে ১২ কোটির বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, দেশের সব অঞ্চলের শিশুকে—জলাভূমি, পাহাড়ি এলাকা, উপকূলীয় অঞ্চল, ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠী, আদিবাসী সম্প্রদায়, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, চা-বাগানের শ্রমিকদের সন্তান এবং রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা ৪ লাখ ২৪ হাজার শিশুকে—এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হয়েছে।
রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিকে (ইপিআই) তাদের নেতৃত্ব ও নিরলস প্রচেষ্টার জন্য আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের সহায়তার কারণেই একসময় দেশের সব শিশুকে টিকা দেওয়ার এই কর্মসূচি নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য আমাদের পাশে থাকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও অন্য অংশীজনদের ভূমিকাও আমরা স্মরণ করছি।’
রানা ফ্লাওয়ার্স গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ভুল তথ্যের যুগে গণমাধ্যম পরিবারগুলোকে আস্থাপূর্ণ তথ্য দিয়ে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
বাংলাদেশ ইউনিসেফের প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘আমাদের শিশুদের জন্য ভালো কিছু করার যেসব প্রতিশ্রুতি আমরা করতে পারি, তার মধ্যে টিকা প্রদান সবচেয়ে শক্তিশালী—এটি কেবল টিকার নয়, বরং স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও আশার প্রতিশ্রুতি। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিটি শিশুর জন্য টাইফয়েডমুক্ত ভবিষ্যতের দিকে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়েছে।’

বাংলাদেশ ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স জানিয়েছেন, দেশে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট লক্ষ্য শিশুর ৯৭ শতাংশের বেশি।
আজ রোববার (৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে রানা ফ্লাওয়ার্স এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, এই অর্জন প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ সরকার শিশুদের প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে সুরক্ষা এবং পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক ও মানসিক চাপ কমাতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি উল্লেখ করেন, টিসিভি চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ টাইফয়েড প্রতিরোধে বিশ্বের অষ্টম দেশ হিসেবে অগ্রগামী অবস্থানে এসেছে।
এই টিকা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন শিশুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিসেফের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা সর্বশেষ মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভেতে (এমআইসিএস) দেখা গেছে, বাংলাদেশে মাত্র ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের নিরাপদ ব্যবস্থাপনার আওতায় পানি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, পানির সব ধরনের উৎসের প্রায় অর্ধেক (৪৭ দশমিক ২ শতাংশ) এবং প্রতি ১০টির মধ্যে আটটি পরিবারে ব্যবহৃত পানির নমুনায় (৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ) ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষণ রয়েছে। এসব সংখ্যা এটাই বোঝায় যে, লাখ লাখ শিশুর জন্য টাইফয়েডের মতো অসুখে আক্রান্ত হওয়া খুবই সহজ। তারা প্রতিটি দিন এই ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে এবং সাধারণ এক গ্লাস পানিই তাদের জন্য ভয়ানক বিপদ নিয়ে আসতে পারে।
রানা ফ্লাওয়ার্স আরও বলেন, ‘এ কারণে ইউনিসেফ এ ক্যাম্পেইন শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে জরুরিভাবে সহায়তা করে। প্রতিটি পরিবারের জন্য পরিষ্কার ও নিরাপদ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার আগপর্যন্ত শিশুদের গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দেওয়া, তাদের ভবিষ্যতের সুরক্ষা এবং বাবা-মায়েদের দুশ্চিন্তামুক্ত রাখার জন্য আমরা সবচেয়ে শক্তিশালী যেসব সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা দিতে পারি, তার মধ্যে টিসিভি টিকা অন্যতম।’
রানা ফ্লাওয়ার্স জানান, ক্যাম্পেইন সফল করতে ইউনিসেফ ৫ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিসিভি সরবরাহ করেছে, নতুন কোল্ড রুম স্থাপন ও ভ্যাক্সইপিআই (VaxEPI) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা উন্নত করেছে। পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করেছে সংস্থাটি।
রানা ফ্লাওয়ার্স অভিভাবক ও স্থানীয় কমিউনিটির সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জনসম্পৃক্ততা ও সচেতনতা তৈরিতে ইউনিসেফ ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সহযোগীকে নিয়ে ১২ কোটির বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, দেশের সব অঞ্চলের শিশুকে—জলাভূমি, পাহাড়ি এলাকা, উপকূলীয় অঞ্চল, ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠী, আদিবাসী সম্প্রদায়, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, চা-বাগানের শ্রমিকদের সন্তান এবং রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা ৪ লাখ ২৪ হাজার শিশুকে—এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হয়েছে।
রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিকে (ইপিআই) তাদের নেতৃত্ব ও নিরলস প্রচেষ্টার জন্য আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের সহায়তার কারণেই একসময় দেশের সব শিশুকে টিকা দেওয়ার এই কর্মসূচি নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য আমাদের পাশে থাকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও অন্য অংশীজনদের ভূমিকাও আমরা স্মরণ করছি।’
রানা ফ্লাওয়ার্স গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ভুল তথ্যের যুগে গণমাধ্যম পরিবারগুলোকে আস্থাপূর্ণ তথ্য দিয়ে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
বাংলাদেশ ইউনিসেফের প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘আমাদের শিশুদের জন্য ভালো কিছু করার যেসব প্রতিশ্রুতি আমরা করতে পারি, তার মধ্যে টিকা প্রদান সবচেয়ে শক্তিশালী—এটি কেবল টিকার নয়, বরং স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও আশার প্রতিশ্রুতি। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিটি শিশুর জন্য টাইফয়েডমুক্ত ভবিষ্যতের দিকে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহার এই আবিষ্কার পশ্চিমবঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানিতে ব্যাপক আর্সেনিক দূষণ সন্ধানের পথ খুলে দেয়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আর্সেনিকোসিসকে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিষক্রিয়ার ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল।
৮ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনার পর সেই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায়’ তাঁকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
১ দিন আগে
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ থেকে

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনার পর সেই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায়’ তাঁকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেয়। বিকেল ৪টার দিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস।
ওই চিকিৎসককে জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাইনউদ্দিন খান। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা সরকারি চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসেন স্বাস্থ্যের ডিজি মো. আবু জাফর। সেমিনারে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ উত্তর দিতে গেলে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ সার্ভিসের ইনচার্জ হিসেবে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ধনদেব চন্দ্র বর্মণ। চলতি বছরের জুলাই মাসে আবাসিক সার্জন থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান তিনি।
মমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের ইনচার্জ ও সহকারী অধ্যাপক ডা. ধনদেব বর্মণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি চাকরির শেষ বয়সে চলে এসেছি। আমার বন্ধুবান্ধব সবাই অধ্যাপক পদে রয়েছেন। আমাকে সারাজীবন লেকচারার হিসেবেই থাকতে হয়েছে। স্বাস্থ্যের ডিজি আমার সমবয়সী হবেন। আমি হাসপাতালের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা বলেছি তাঁকে। এটি শুনে তিনি রেগে গেছেন। রোগী ও ডাক্তারদের সামনে আমার সঙ্গে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি ডিজি তাই আমার সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।’
ধনদেব বর্মণ আরও বলেন, ‘আমাকে নাকি শোকজ করা হয়েছে। আমি আর চাকরি করব না। নিজে থেকেই চলে যাব দু-এক দিনের মধ্যে।’

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনার পর সেই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায়’ তাঁকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেয়। বিকেল ৪টার দিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস।
ওই চিকিৎসককে জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাইনউদ্দিন খান। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা সরকারি চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসেন স্বাস্থ্যের ডিজি মো. আবু জাফর। সেমিনারে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ উত্তর দিতে গেলে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ সার্ভিসের ইনচার্জ হিসেবে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ধনদেব চন্দ্র বর্মণ। চলতি বছরের জুলাই মাসে আবাসিক সার্জন থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান তিনি।
মমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের ইনচার্জ ও সহকারী অধ্যাপক ডা. ধনদেব বর্মণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি চাকরির শেষ বয়সে চলে এসেছি। আমার বন্ধুবান্ধব সবাই অধ্যাপক পদে রয়েছেন। আমাকে সারাজীবন লেকচারার হিসেবেই থাকতে হয়েছে। স্বাস্থ্যের ডিজি আমার সমবয়সী হবেন। আমি হাসপাতালের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা বলেছি তাঁকে। এটি শুনে তিনি রেগে গেছেন। রোগী ও ডাক্তারদের সামনে আমার সঙ্গে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি ডিজি তাই আমার সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।’
ধনদেব বর্মণ আরও বলেন, ‘আমাকে নাকি শোকজ করা হয়েছে। আমি আর চাকরি করব না। নিজে থেকেই চলে যাব দু-এক দিনের মধ্যে।’

ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহার এই আবিষ্কার পশ্চিমবঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানিতে ব্যাপক আর্সেনিক দূষণ সন্ধানের পথ খুলে দেয়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আর্সেনিকোসিসকে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিষক্রিয়ার ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। দেশের ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট লক্ষ্য শিশুর ৯৭ শতাংশের বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে
ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
পুরুষের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। পুরুষ ও নারী নাক ডাকার অনুপাত ২.৩: ১। নাক ডাকার প্রধান কারণ স্থূলতা হলেও এক-তৃতীয়াংশ হালকা-পাতলা মানুষও নাক ডাকেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে গলার শিথিল টিস্যুগুলো কেঁপে ওঠে এবং জোরে শব্দ সৃষ্টি হয়। শিশুবিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম শেখ বলেন, শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাড়তি ওজন নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ করে দেয়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাচলের সময় শব্দের সৃষ্টি হয়। তাই ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব।

ঘুমিয়ে পড়া কি আপনাকে লোকের সামনে হাসির পাত্র বানিয়ে তুলছে? এ জন্য কি কারও সঙ্গে ঘুমাতে সংকোচ বোধ করছেন? সোজাভাবে জিজ্ঞাসা করি, ঘুমালে কি আপনি নাক ডাকেন? নাক ডাকা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি শুধু আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না, বরং অনেক সময় গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যেমন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
পুরুষের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। পুরুষ ও নারী নাক ডাকার অনুপাত ২.৩: ১। নাক ডাকার প্রধান কারণ স্থূলতা হলেও এক-তৃতীয়াংশ হালকা-পাতলা মানুষও নাক ডাকেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে গলার শিথিল টিস্যুগুলো কেঁপে ওঠে এবং জোরে শব্দ সৃষ্টি হয়। শিশুবিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম শেখ বলেন, শরীরের অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাড়তি ওজন নাকের ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা সংকীর্ণ করে দেয়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাচলের সময় শব্দের সৃষ্টি হয়। তাই ওজন কমালে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব।

ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহার এই আবিষ্কার পশ্চিমবঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানিতে ব্যাপক আর্সেনিক দূষণ সন্ধানের পথ খুলে দেয়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আর্সেনিকোসিসকে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিষক্রিয়ার ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। দেশের ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মোট লক্ষ্য শিশুর ৯৭ শতাংশের বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কাতর্কির ঘটনার পর সেই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায়’ তাঁকে শোকজ নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে হবে।
১ দিন আগে