অজয় দাশগুপ্ত

যে যা-ই বলুক আর যত উন্নয়নই হোক না কেন, বাংলাদেশ যেহেতু একটি জনবহুল দেশ, মানুষ দেশের বাইরে আসবে, আসতে চাইবে—এটাই স্বাভাবিক। এখানে এ কথাটাও মাথায় রাখা দরকার, বাংলাদেশের উন্নয়ন সূচকের বড় মাপকাঠি প্রবাসীদের আয়। এই আয় বা রেমিট্যান্সের কারণেই আজ অর্থনীতি মুখ ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। এরপরও প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভুগছেন। তাঁদের পাসপোর্ট নবায়ন থেকে শুরু করে নতুন করে পাওয়া, ভিসা—সব বিষয়েই জটিলতা আছে। ঢালাওভাবে এর জন্য প্রবাসে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে কাজ করা মানুষজনকে দোষী করা অন্যায়।
সম্প্রতি আমি আমার পাসপোর্ট নবায়নের জন্য ক্যানবেরায় গিয়েছিলাম। যাঁরা আমাকে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের আন্তরিকতা ছিল চমৎকার। তাঁরা যথাযথ কাজকর্ম শেষে ফরমটি পুরোনো পাসপোর্টসহ দেশে পাঠানোর পরপরই শুরু হয়ে যায় আসল নাটক। সেই নাটকের দৃশ্যপট সবার জানা। প্রথমত, যে ধাক্কা সেটা হচ্ছে, আপনি যে অফিসেই যাবেন, এক কথা, ‘আমি জানি না, উনি জানেন।’ আর এই ‘উনি’টাকে খুঁজে পেতে পেতে আপনার মাস পার। এরপর শুরু হয় কী লাগবে, কেন লাগবের প্রশ্নোত্তর।
সব মিলিয়ে আপনি মোটামুটি মেয়ে বিয়ে দেওয়ার মতো একটা পরিস্থিতি পার করে তারপর পাসপোর্ট পাবেন। যদিও আমি এখনো পাইনি। বাংলাদেশের নাগরিকদের সমান অধিকার সংবিধানসম্মত। সবার এক অধিকার—এটাই খাতা-কলমে লেখা আছে। এখন কোনটা যে সমান অধিকার আর কতটা, সেটা সবাই জানেন। প্রশ্ন হচ্ছে, যে প্রবাসী লোকটি কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করে দেশে পাঠিয়ে সরকার ও সমাজকে লাভবান করেন, তাঁর প্রয়োজনে এরা কি পাশে দাঁড়ায়? দাঁড়ালে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের নানা দেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিদের এই দুর্ভোগ কেন? দুর্ভোগ কী কী? তাঁরা টাকা জমিয়ে দেশে জমিজমা কিনতে চান, কিন্তু তাঁদের আইডি কার্ড নেই। জাতীয় পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড ছাড়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা বা পরিচালনা করা যায় না। অথচ সবাই ভুলে যান এই মানুষগুলো যখন দেশ ছেড়ে এসেছেন, তখন হয়তো এই পরিচয়পত্রই চালু হয়নি। চালু হওয়ার পর আপনি লাল ফিতা দিয়ে বেঁধে রাখা সিস্টেমে তাঁদের হয়রানি করছেন। দেশে না থাকলে কী হবে, তাঁরা দেশের প্রতিটি খবর নখদর্পণে রাখেন। তাঁরা আপনাদের ভোটারদের প্রভাবিত করেন। তাঁরা জনমত তৈরিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। আপনি হয়তো বলবেন, ‘কে এসব কেয়ার করে?’ ভোটের দরকার যেখানে জিরো, সেখানে হিরো আলমের জয়জয়কার।
আর ভোট ও ফলাফল যে কী চিজ, সে তো সবাই জানেন। মানুষের দরকার ফুরিয়ে গেছে বা কমে গেছে বলেই কি কেউ গা করেন না?
মূল কথা হলো, প্রধানমন্ত্রী সব সময় প্রবাসীদের দেখভাল করার কথা বলেন। উপদেশও দেন। কিন্তু মাঠপর্যায়ের লোকজন তা মানে না। মুখে তারা যতই বলুক যে টাকাপয়সা লাগে না বা সেসব দিয়ে কাজ হয় না, কথাগুলো ভিত্তিহীন। ঠিকই হয়। এমনকি সব ধরনের কাগজপত্র থাকার পরও পাসপোর্ট বা আইডি কার্ড নিতে দরকার হয়। নেতা, পাতি নেতা, ক্যাডার থাকলে ঠিক আছে। না থাকলে এখন আর ঘুষ লাগে না, তবে লাগে ‘স্পিড মানি’। এই স্পিড মানি প্রসেস ত্বরান্বিত করতে নাকি সাহায্য করে।
সে যা-ই হোক, যেটা বলার কথা—বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ যে রেমিট্যান্স, তার জোগানদাতাদের যেন হয়রানি করা না হয়। একটা কথা মনে রাখা দরকার, আমরা যাঁরা দ্বৈত নাগরিকত্বের দেশে বসবাস করি, আমাদের সমস্যা কম। আমরা সবুর করলেও তেমন কোনো লোকসান নেই। কিন্তু যাঁরা বাংলাদেশি পাসপোর্টে বিভিন্ন দেশে দীর্ঘ সময় বসবাস করেন এবং তার ওপর ভিত্তি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন, তাঁদের কথা আলাদা। তাঁদের পাসপোর্টের মেয়াদ থাকা, পাসপোর্ট সচল থাকা অত্যন্ত জরুরি। তাঁদের আইডি কার্ডও জরুরি। সহজ কথায়, তাঁরা যে আমাদের দেশের মানুষ, সেটার লিগ্যাল পরিচয়পত্র চাই। তাহলে এটা কার দায়িত্ব? সরকার বা রাষ্ট্র ব্যতীত কে পারবে সব ঠিক করে দিতে?
জীবনের সর্বস্তরে যে অনিয়ম আর দুর্নীতি ও দীর্ঘসূত্রতা, সেটা এই বেলায়ও ছাড় দেবে কোন সুখে? বাংলাদেশের অগ্রগতি যেমন সত্য, তেমনি এসবও অসত্য কিছু না। আমরা মুখে যতই বলি জাতি হিসেবে এখনো কলোনিয়াল মনোভাবের বাইরে যেতে পারিনি, সে কারণে দৌরাত্ম্য আর দাপটের শেষ নেই। আজকের বাংলাদেশে যে নতুন প্রজন্ম তারা কীভাবে বিষয়টা দেখছে? তারা সেই প্রজন্ম, যাদের হাতের মুঠোয় বিশ্বজগৎ। দুনিয়ার উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে তারা যে চিত্র দেখছে বা দেখবে, তা কি খুব শোভন কিছু? এদের কথাই শুরুতে বলছিলাম যে এরা দেশের বাইরে আসবে, আসতে থাকবে। দেশের পাট চুকিয়ে বাইরে পড়াশোনা করবে, চাকরি করবে, ব্যবসা করবে কিন্তু পা বা শিকড় থাকবে বাংলাদেশে। এই সেদিন বিনয়ী এক যুবক কথায় কথায় বলছিলেন তাঁর দুর্ভোগের কথা। স্বামী-স্ত্রী দেশের বাইরে উন্নত জীবন আর দেশে ফেরার আশায় প্রচুর পরিশ্রম করেন। তাঁদের চোখে স্বপ্ন অর্জিত বিদ্যা আর অর্থ নিয়ে একদিন দেশে ফিরে যাবেন তাঁরা। আজকাল এমন স্বপ্ন তো মিথ্যা কিছু না। এমন অসংখ্য তরুণ-তরুণী দেশে ফিরে গেছেন। কাজ করছেন সমাজের উন্নয়নে। তাঁদের শ্রম ও মেধার ফসলে ভরে উঠছে বাংলাদেশ।
আর একটা বিষয় হলো ঘর ও বাইরের দূরত্ব ঘুচে যাওয়া। এখন ঘর থেকে আঙিনা বিদেশ। অথচ ওই তরুণ দুঃখ করছিলেন তাঁর পাসপোর্টটি হাতে পেলেও স্ত্রীর পাসপোর্টটি আসেনি। একই সমস্যা—কেউ সঠিক কিছু বলে না। এ বলে ও জানে, ও বলে সে জানে। এই ‘ও’, ‘সে’ আর ‘কে’ মিলে এক গোলকধাঁধা! ধাঁধাটা এমন যে আপনি মেলাতে পারবেন না। ডিএমপি বলে পুলিশ জানে, পুলিশ বলে কর্তারা জানে, কর্তারা বলে বিদেশি মিশনে খোঁজ নেন আর মিশনগুলো বলে দেশে খোঁজ করেন জনাব। এমন এক সিস্টেম, আপনি অভিযোগ করলেও টিকবে না। কোন অভিযোগটা টেকে বলেন তো? শেষ পর্যন্ত যাঁর কাজটা হয় তিনি ভাবেন, যাক বাবা বছর পাঁচেকের জন্য বাঁচা গেল! এই হচ্ছে সারমর্ম।
এভাবে কি আসলেই আমরা উন্নত দেশ বা সমাজে পৌঁছাতে পারব? এটা মানি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। কৃষি-শিল্পসহ নানা খাতে অভূতপূর্ব পরিবর্তনে বদলে গেছে দৃশ্যপট। কিন্তু আসল যে সমাজ আর নিয়ম তার বেলায় কি কোনো পরিবর্তন দেখছি আমরা? বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দেশপ্রেম ও ভালোবাসা সরকার বা দেশের কর্তারা টের পায় কি না, জানা নেই। কিন্তু দেশ জানে, মানুষ বোঝে। তাদের ভালোবাসা ও বিশ্বাস নিয়ে সময়ক্ষেপণ কি উচিত? তা কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে? চাইলেই এসব সমস্যার সমাধান করা যায়। শুনেছি, বেশ কিছু দেশের দূতাবাসে এখন সবকিছু প্রসেসে করা হচ্ছে। এর আওতায় যদি জনবহুল বাংলাদেশি-অধ্যুষিত দেশগুলোকে আনা যায় তাহলে সমস্যার ভার কমবে। সহজ হবে প্রক্রিয়া ও সমাধান। এটা সবাই জানেন ডলারে, পাউন্ডে, দিনারে বা বিদেশি মুদ্রায় ভালো অঙ্কের টাকা খরচ করেই এই সবকিছুর আবেদন করতে হয়। ফলে সার্ভিসও জরুরি বৈকি।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের এক বড় স্তম্ভ প্রবাসী জনগোষ্ঠী। তাঁদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয়ও আছে। বছর বছর শুধু বাইরে শ্রমিক পাঠানোই তাদের কাজ? তারা কি এসব বিষয় নিয়ে ভাবে আদৌ? সব মিলিয়ে হাজারো প্রশ্নের জট আর সমস্যা। তারপরও আমরা আশাবাদী। শেখ হাসিনার সরকার অনেক পরিবর্তন সাধন করে দেখিয়ে দিয়েছে। সেদিন নতুন পাসপোর্টে দেখলাম লেখা আছে, এই পাসপোর্ট দুনিয়ার সব দেশে যাওয়ার জন্য উন্মুক্ত। স্যালুট জানাই। একসময় কারণে-অকারণে পাঁচ-ছয়টি দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকার দিন ফুরিয়েছে। এ জন্য অভিনন্দন। এখন আমাদের প্রত্যাশা—জট আর পেঁচকি খুলে পাসপোর্ট নবায়নসহ অন্যান্য কাজে গতি আসবে। শান্তি পাবে দেশের বাইরের বিশাল জনশক্তি।

যে যা-ই বলুক আর যত উন্নয়নই হোক না কেন, বাংলাদেশ যেহেতু একটি জনবহুল দেশ, মানুষ দেশের বাইরে আসবে, আসতে চাইবে—এটাই স্বাভাবিক। এখানে এ কথাটাও মাথায় রাখা দরকার, বাংলাদেশের উন্নয়ন সূচকের বড় মাপকাঠি প্রবাসীদের আয়। এই আয় বা রেমিট্যান্সের কারণেই আজ অর্থনীতি মুখ ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। এরপরও প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভুগছেন। তাঁদের পাসপোর্ট নবায়ন থেকে শুরু করে নতুন করে পাওয়া, ভিসা—সব বিষয়েই জটিলতা আছে। ঢালাওভাবে এর জন্য প্রবাসে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে কাজ করা মানুষজনকে দোষী করা অন্যায়।
সম্প্রতি আমি আমার পাসপোর্ট নবায়নের জন্য ক্যানবেরায় গিয়েছিলাম। যাঁরা আমাকে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের আন্তরিকতা ছিল চমৎকার। তাঁরা যথাযথ কাজকর্ম শেষে ফরমটি পুরোনো পাসপোর্টসহ দেশে পাঠানোর পরপরই শুরু হয়ে যায় আসল নাটক। সেই নাটকের দৃশ্যপট সবার জানা। প্রথমত, যে ধাক্কা সেটা হচ্ছে, আপনি যে অফিসেই যাবেন, এক কথা, ‘আমি জানি না, উনি জানেন।’ আর এই ‘উনি’টাকে খুঁজে পেতে পেতে আপনার মাস পার। এরপর শুরু হয় কী লাগবে, কেন লাগবের প্রশ্নোত্তর।
সব মিলিয়ে আপনি মোটামুটি মেয়ে বিয়ে দেওয়ার মতো একটা পরিস্থিতি পার করে তারপর পাসপোর্ট পাবেন। যদিও আমি এখনো পাইনি। বাংলাদেশের নাগরিকদের সমান অধিকার সংবিধানসম্মত। সবার এক অধিকার—এটাই খাতা-কলমে লেখা আছে। এখন কোনটা যে সমান অধিকার আর কতটা, সেটা সবাই জানেন। প্রশ্ন হচ্ছে, যে প্রবাসী লোকটি কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করে দেশে পাঠিয়ে সরকার ও সমাজকে লাভবান করেন, তাঁর প্রয়োজনে এরা কি পাশে দাঁড়ায়? দাঁড়ালে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের নানা দেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিদের এই দুর্ভোগ কেন? দুর্ভোগ কী কী? তাঁরা টাকা জমিয়ে দেশে জমিজমা কিনতে চান, কিন্তু তাঁদের আইডি কার্ড নেই। জাতীয় পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড ছাড়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা বা পরিচালনা করা যায় না। অথচ সবাই ভুলে যান এই মানুষগুলো যখন দেশ ছেড়ে এসেছেন, তখন হয়তো এই পরিচয়পত্রই চালু হয়নি। চালু হওয়ার পর আপনি লাল ফিতা দিয়ে বেঁধে রাখা সিস্টেমে তাঁদের হয়রানি করছেন। দেশে না থাকলে কী হবে, তাঁরা দেশের প্রতিটি খবর নখদর্পণে রাখেন। তাঁরা আপনাদের ভোটারদের প্রভাবিত করেন। তাঁরা জনমত তৈরিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। আপনি হয়তো বলবেন, ‘কে এসব কেয়ার করে?’ ভোটের দরকার যেখানে জিরো, সেখানে হিরো আলমের জয়জয়কার।
আর ভোট ও ফলাফল যে কী চিজ, সে তো সবাই জানেন। মানুষের দরকার ফুরিয়ে গেছে বা কমে গেছে বলেই কি কেউ গা করেন না?
মূল কথা হলো, প্রধানমন্ত্রী সব সময় প্রবাসীদের দেখভাল করার কথা বলেন। উপদেশও দেন। কিন্তু মাঠপর্যায়ের লোকজন তা মানে না। মুখে তারা যতই বলুক যে টাকাপয়সা লাগে না বা সেসব দিয়ে কাজ হয় না, কথাগুলো ভিত্তিহীন। ঠিকই হয়। এমনকি সব ধরনের কাগজপত্র থাকার পরও পাসপোর্ট বা আইডি কার্ড নিতে দরকার হয়। নেতা, পাতি নেতা, ক্যাডার থাকলে ঠিক আছে। না থাকলে এখন আর ঘুষ লাগে না, তবে লাগে ‘স্পিড মানি’। এই স্পিড মানি প্রসেস ত্বরান্বিত করতে নাকি সাহায্য করে।
সে যা-ই হোক, যেটা বলার কথা—বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ যে রেমিট্যান্স, তার জোগানদাতাদের যেন হয়রানি করা না হয়। একটা কথা মনে রাখা দরকার, আমরা যাঁরা দ্বৈত নাগরিকত্বের দেশে বসবাস করি, আমাদের সমস্যা কম। আমরা সবুর করলেও তেমন কোনো লোকসান নেই। কিন্তু যাঁরা বাংলাদেশি পাসপোর্টে বিভিন্ন দেশে দীর্ঘ সময় বসবাস করেন এবং তার ওপর ভিত্তি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন, তাঁদের কথা আলাদা। তাঁদের পাসপোর্টের মেয়াদ থাকা, পাসপোর্ট সচল থাকা অত্যন্ত জরুরি। তাঁদের আইডি কার্ডও জরুরি। সহজ কথায়, তাঁরা যে আমাদের দেশের মানুষ, সেটার লিগ্যাল পরিচয়পত্র চাই। তাহলে এটা কার দায়িত্ব? সরকার বা রাষ্ট্র ব্যতীত কে পারবে সব ঠিক করে দিতে?
জীবনের সর্বস্তরে যে অনিয়ম আর দুর্নীতি ও দীর্ঘসূত্রতা, সেটা এই বেলায়ও ছাড় দেবে কোন সুখে? বাংলাদেশের অগ্রগতি যেমন সত্য, তেমনি এসবও অসত্য কিছু না। আমরা মুখে যতই বলি জাতি হিসেবে এখনো কলোনিয়াল মনোভাবের বাইরে যেতে পারিনি, সে কারণে দৌরাত্ম্য আর দাপটের শেষ নেই। আজকের বাংলাদেশে যে নতুন প্রজন্ম তারা কীভাবে বিষয়টা দেখছে? তারা সেই প্রজন্ম, যাদের হাতের মুঠোয় বিশ্বজগৎ। দুনিয়ার উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে তারা যে চিত্র দেখছে বা দেখবে, তা কি খুব শোভন কিছু? এদের কথাই শুরুতে বলছিলাম যে এরা দেশের বাইরে আসবে, আসতে থাকবে। দেশের পাট চুকিয়ে বাইরে পড়াশোনা করবে, চাকরি করবে, ব্যবসা করবে কিন্তু পা বা শিকড় থাকবে বাংলাদেশে। এই সেদিন বিনয়ী এক যুবক কথায় কথায় বলছিলেন তাঁর দুর্ভোগের কথা। স্বামী-স্ত্রী দেশের বাইরে উন্নত জীবন আর দেশে ফেরার আশায় প্রচুর পরিশ্রম করেন। তাঁদের চোখে স্বপ্ন অর্জিত বিদ্যা আর অর্থ নিয়ে একদিন দেশে ফিরে যাবেন তাঁরা। আজকাল এমন স্বপ্ন তো মিথ্যা কিছু না। এমন অসংখ্য তরুণ-তরুণী দেশে ফিরে গেছেন। কাজ করছেন সমাজের উন্নয়নে। তাঁদের শ্রম ও মেধার ফসলে ভরে উঠছে বাংলাদেশ।
আর একটা বিষয় হলো ঘর ও বাইরের দূরত্ব ঘুচে যাওয়া। এখন ঘর থেকে আঙিনা বিদেশ। অথচ ওই তরুণ দুঃখ করছিলেন তাঁর পাসপোর্টটি হাতে পেলেও স্ত্রীর পাসপোর্টটি আসেনি। একই সমস্যা—কেউ সঠিক কিছু বলে না। এ বলে ও জানে, ও বলে সে জানে। এই ‘ও’, ‘সে’ আর ‘কে’ মিলে এক গোলকধাঁধা! ধাঁধাটা এমন যে আপনি মেলাতে পারবেন না। ডিএমপি বলে পুলিশ জানে, পুলিশ বলে কর্তারা জানে, কর্তারা বলে বিদেশি মিশনে খোঁজ নেন আর মিশনগুলো বলে দেশে খোঁজ করেন জনাব। এমন এক সিস্টেম, আপনি অভিযোগ করলেও টিকবে না। কোন অভিযোগটা টেকে বলেন তো? শেষ পর্যন্ত যাঁর কাজটা হয় তিনি ভাবেন, যাক বাবা বছর পাঁচেকের জন্য বাঁচা গেল! এই হচ্ছে সারমর্ম।
এভাবে কি আসলেই আমরা উন্নত দেশ বা সমাজে পৌঁছাতে পারব? এটা মানি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। কৃষি-শিল্পসহ নানা খাতে অভূতপূর্ব পরিবর্তনে বদলে গেছে দৃশ্যপট। কিন্তু আসল যে সমাজ আর নিয়ম তার বেলায় কি কোনো পরিবর্তন দেখছি আমরা? বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দেশপ্রেম ও ভালোবাসা সরকার বা দেশের কর্তারা টের পায় কি না, জানা নেই। কিন্তু দেশ জানে, মানুষ বোঝে। তাদের ভালোবাসা ও বিশ্বাস নিয়ে সময়ক্ষেপণ কি উচিত? তা কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে? চাইলেই এসব সমস্যার সমাধান করা যায়। শুনেছি, বেশ কিছু দেশের দূতাবাসে এখন সবকিছু প্রসেসে করা হচ্ছে। এর আওতায় যদি জনবহুল বাংলাদেশি-অধ্যুষিত দেশগুলোকে আনা যায় তাহলে সমস্যার ভার কমবে। সহজ হবে প্রক্রিয়া ও সমাধান। এটা সবাই জানেন ডলারে, পাউন্ডে, দিনারে বা বিদেশি মুদ্রায় ভালো অঙ্কের টাকা খরচ করেই এই সবকিছুর আবেদন করতে হয়। ফলে সার্ভিসও জরুরি বৈকি।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের এক বড় স্তম্ভ প্রবাসী জনগোষ্ঠী। তাঁদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয়ও আছে। বছর বছর শুধু বাইরে শ্রমিক পাঠানোই তাদের কাজ? তারা কি এসব বিষয় নিয়ে ভাবে আদৌ? সব মিলিয়ে হাজারো প্রশ্নের জট আর সমস্যা। তারপরও আমরা আশাবাদী। শেখ হাসিনার সরকার অনেক পরিবর্তন সাধন করে দেখিয়ে দিয়েছে। সেদিন নতুন পাসপোর্টে দেখলাম লেখা আছে, এই পাসপোর্ট দুনিয়ার সব দেশে যাওয়ার জন্য উন্মুক্ত। স্যালুট জানাই। একসময় কারণে-অকারণে পাঁচ-ছয়টি দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকার দিন ফুরিয়েছে। এ জন্য অভিনন্দন। এখন আমাদের প্রত্যাশা—জট আর পেঁচকি খুলে পাসপোর্ট নবায়নসহ অন্যান্য কাজে গতি আসবে। শান্তি পাবে দেশের বাইরের বিশাল জনশক্তি।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

যে যা-ই বলুক আর যত উন্নয়নই হোক না কেন, বাংলাদেশ যেহেতু একটি জনবহুল দেশ, মানুষ দেশের বাইরে আসবে, আসতে চাইবে—এটাই স্বাভাবিক। এখানে এ কথাটাও মাথায় রাখা দরকার, বাংলাদেশের উন্নয়ন সূচকের বড় মাপকাঠি প্রবাসীদের আয়। এই আয় বা রেমিট্যান্সের কারণেই আজ অর্থনীতি মুখ ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। এরপরও প্রবাসী বাংলাদেশিরা
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

যে যা-ই বলুক আর যত উন্নয়নই হোক না কেন, বাংলাদেশ যেহেতু একটি জনবহুল দেশ, মানুষ দেশের বাইরে আসবে, আসতে চাইবে—এটাই স্বাভাবিক। এখানে এ কথাটাও মাথায় রাখা দরকার, বাংলাদেশের উন্নয়ন সূচকের বড় মাপকাঠি প্রবাসীদের আয়। এই আয় বা রেমিট্যান্সের কারণেই আজ অর্থনীতি মুখ ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। এরপরও প্রবাসী বাংলাদেশিরা
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

যে যা-ই বলুক আর যত উন্নয়নই হোক না কেন, বাংলাদেশ যেহেতু একটি জনবহুল দেশ, মানুষ দেশের বাইরে আসবে, আসতে চাইবে—এটাই স্বাভাবিক। এখানে এ কথাটাও মাথায় রাখা দরকার, বাংলাদেশের উন্নয়ন সূচকের বড় মাপকাঠি প্রবাসীদের আয়। এই আয় বা রেমিট্যান্সের কারণেই আজ অর্থনীতি মুখ ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। এরপরও প্রবাসী বাংলাদেশিরা
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

যে যা-ই বলুক আর যত উন্নয়নই হোক না কেন, বাংলাদেশ যেহেতু একটি জনবহুল দেশ, মানুষ দেশের বাইরে আসবে, আসতে চাইবে—এটাই স্বাভাবিক। এখানে এ কথাটাও মাথায় রাখা দরকার, বাংলাদেশের উন্নয়ন সূচকের বড় মাপকাঠি প্রবাসীদের আয়। এই আয় বা রেমিট্যান্সের কারণেই আজ অর্থনীতি মুখ ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। এরপরও প্রবাসী বাংলাদেশিরা
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫