সৌগত বসু, ঢাকা

গত মে মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে উল্লেখ ছিল, একটি লঘুচাপ এবং তা থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২২ মে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরে সেটি শক্তি অর্জন করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল। ২৫ মে সন্ধ্যায় পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড় রিমালে। পরদিন সকালে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। ওই দিন বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ বাংলাদেশ উপকূল স্পর্শ করে।
এই ঝড় উপকূলে থাকে টানা ১৫ ঘণ্টা। আর স্থল নিম্নচাপ হিসেবে দেশে অবস্থান করে ৩৪ ঘণ্টা। রিমালে সবচেয়ে বেশি বিপদ দেখা দেয় জলোচ্ছ্বাসের কারণে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিমালকে শুরুতে হালকাভাবে নেওয়া হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় অনেকেই একে গতি দিয়ে বিবেচনা করেছেন। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে কেউ ভাবেননি। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তারা সময়মতো পূর্বাভাস দিয়েছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেছে।
লঘুচাপ সৃষ্টির দুই দিন পর থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, এটি ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ হিসেবে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮৯-১২০ কিলোমিটার। তবে এর স্থায়িত্ব নিয়ে শুরুতে কিছু বলা হয়নি। ২৫ মে সকাল থেকে এর গতিবিধি নিয়ে তথ্য দিতে শুরু করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকালে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দিয়ে দুপুর ১২টার পর ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেতে উন্নীত করা হয়। বিকেলের পর করা হয় যথাক্রমে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত এবং ৫ নম্বর বিপৎসংকেত। রাতে ৬ ও ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেওয়া হয়। ২৬ মে সকালে দেখাতে বলা হয় ৯ ও ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত। রিমালে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার।
রিমালের কেন্দ্রভাগ পটুয়াখালীর খেপুপাড়া দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও পরে তা পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও সুন্দরবন দিয়ে ভারতের দিকে যায়। আরেকটি অংশ খুলনা ও খেপুপাড়া দিয়ে পার হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রিমালে জোয়ার আর জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়েছে। উপকূলের এই অঞ্চলের নদীগুলোর ভাটা থাকে বিকেলে আর জোয়ার রাত ৯টার পর থেকে ১২টা।
স্থলভাগ অতিক্রম করার সময় রিমালের গতি (ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার) কম থাকায় এটি বেশি সময় নিয়েছে। এতে ভাটার পর জোয়ারও পেয়েছে। তাই উপকূলে রাতে জোয়ারের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, রিমালের প্রভাবে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে সুন্দরবনে ১১১টি হরিণ ও ৪টি বন্য শূকর মারা গেছে। ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির। উপকূল ও এর আশপাশের ১৯টি জেলায় প্রায় পৌনে ২ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝড়টি অনেক বেশি সময় স্থলে ছিল। ফলে উপকূলে এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। সমুদ্রে তাপমাত্রার পার্থক্য কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। এখন গড় তাপমাত্রা থাকছে ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা অনেক বেশি। এতে এই অংশে মাঝেমধ্যেই সাইক্লোন তৈরি হচ্ছে।
এই দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, সাধারণত সাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তা একটু সময় নিয়ে উপকূলের দিকে আসতে থাকে। রিমালের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছে। সাগরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় সেটি দ্রুত স্থলে চলে আসে। আবার স্থলে এসেও তাপমাত্রা বেশি পাওয়ায় এটি অনেক সময় শক্তি ধরে রেখেছিল। বিষয়টি আগে কখনো বলা হয়নি। শুধু গতি এবং ঘূর্ণিঝড় হিসেবে না দেখে সামগ্রিকভাবে যদি আগে থেকে বোঝা যেত, তাহলে হয়তো কিছু ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান অবশ্য বলেন, তাদের পূর্বাভাসে কোনো সমস্যা ছিল না। ঝড় যে বড় একটা সময় নিয়ে উপকূলে অবস্থান করবে, সেটির জন্যই ভারী বর্ষণের সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল। জলোচ্ছ্বাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে ৮ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাস হবে। এটা স্থানীয় প্রশাসন থেকে ভালো জানা যাবে। অধিদপ্তরের যে মডেল আছে, সেটি সর্বোচ্চ ৩ মিটার পর্যন্ত বলেছিল।
সমন্বয় প্রসঙ্গে মো. আজিজুর রহমান বলেন, সমন্বয় না থাকার কোনো কারণ নেই। শনিবার ছুটির দিন বেলা ১১টায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা হয়। এটা ঘূর্ণিঝড় ঘোষণা করার আগেই। তখন রাতে মহাবিপৎসংকেত দেওয়ার কথা বলা হয়। তখনই কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।
আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় না হওয়া পর্যন্ত আগে থেকে সিগন্যাল দেওয়ার নিয়ম নেই। তাই চাইলেও সেটা সম্ভব না। সংকেত দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভুল ছিল না।

গত মে মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে উল্লেখ ছিল, একটি লঘুচাপ এবং তা থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২২ মে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরে সেটি শক্তি অর্জন করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল। ২৫ মে সন্ধ্যায় পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড় রিমালে। পরদিন সকালে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। ওই দিন বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ বাংলাদেশ উপকূল স্পর্শ করে।
এই ঝড় উপকূলে থাকে টানা ১৫ ঘণ্টা। আর স্থল নিম্নচাপ হিসেবে দেশে অবস্থান করে ৩৪ ঘণ্টা। রিমালে সবচেয়ে বেশি বিপদ দেখা দেয় জলোচ্ছ্বাসের কারণে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিমালকে শুরুতে হালকাভাবে নেওয়া হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় অনেকেই একে গতি দিয়ে বিবেচনা করেছেন। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে কেউ ভাবেননি। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তারা সময়মতো পূর্বাভাস দিয়েছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেছে।
লঘুচাপ সৃষ্টির দুই দিন পর থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, এটি ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ হিসেবে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮৯-১২০ কিলোমিটার। তবে এর স্থায়িত্ব নিয়ে শুরুতে কিছু বলা হয়নি। ২৫ মে সকাল থেকে এর গতিবিধি নিয়ে তথ্য দিতে শুরু করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকালে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দিয়ে দুপুর ১২টার পর ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেতে উন্নীত করা হয়। বিকেলের পর করা হয় যথাক্রমে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত এবং ৫ নম্বর বিপৎসংকেত। রাতে ৬ ও ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেওয়া হয়। ২৬ মে সকালে দেখাতে বলা হয় ৯ ও ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত। রিমালে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার।
রিমালের কেন্দ্রভাগ পটুয়াখালীর খেপুপাড়া দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও পরে তা পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও সুন্দরবন দিয়ে ভারতের দিকে যায়। আরেকটি অংশ খুলনা ও খেপুপাড়া দিয়ে পার হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রিমালে জোয়ার আর জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়েছে। উপকূলের এই অঞ্চলের নদীগুলোর ভাটা থাকে বিকেলে আর জোয়ার রাত ৯টার পর থেকে ১২টা।
স্থলভাগ অতিক্রম করার সময় রিমালের গতি (ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার) কম থাকায় এটি বেশি সময় নিয়েছে। এতে ভাটার পর জোয়ারও পেয়েছে। তাই উপকূলে রাতে জোয়ারের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, রিমালের প্রভাবে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে সুন্দরবনে ১১১টি হরিণ ও ৪টি বন্য শূকর মারা গেছে। ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির। উপকূল ও এর আশপাশের ১৯টি জেলায় প্রায় পৌনে ২ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝড়টি অনেক বেশি সময় স্থলে ছিল। ফলে উপকূলে এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। সমুদ্রে তাপমাত্রার পার্থক্য কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। এখন গড় তাপমাত্রা থাকছে ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা অনেক বেশি। এতে এই অংশে মাঝেমধ্যেই সাইক্লোন তৈরি হচ্ছে।
এই দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, সাধারণত সাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তা একটু সময় নিয়ে উপকূলের দিকে আসতে থাকে। রিমালের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছে। সাগরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় সেটি দ্রুত স্থলে চলে আসে। আবার স্থলে এসেও তাপমাত্রা বেশি পাওয়ায় এটি অনেক সময় শক্তি ধরে রেখেছিল। বিষয়টি আগে কখনো বলা হয়নি। শুধু গতি এবং ঘূর্ণিঝড় হিসেবে না দেখে সামগ্রিকভাবে যদি আগে থেকে বোঝা যেত, তাহলে হয়তো কিছু ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান অবশ্য বলেন, তাদের পূর্বাভাসে কোনো সমস্যা ছিল না। ঝড় যে বড় একটা সময় নিয়ে উপকূলে অবস্থান করবে, সেটির জন্যই ভারী বর্ষণের সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল। জলোচ্ছ্বাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে ৮ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাস হবে। এটা স্থানীয় প্রশাসন থেকে ভালো জানা যাবে। অধিদপ্তরের যে মডেল আছে, সেটি সর্বোচ্চ ৩ মিটার পর্যন্ত বলেছিল।
সমন্বয় প্রসঙ্গে মো. আজিজুর রহমান বলেন, সমন্বয় না থাকার কোনো কারণ নেই। শনিবার ছুটির দিন বেলা ১১টায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা হয়। এটা ঘূর্ণিঝড় ঘোষণা করার আগেই। তখন রাতে মহাবিপৎসংকেত দেওয়ার কথা বলা হয়। তখনই কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।
আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় না হওয়া পর্যন্ত আগে থেকে সিগন্যাল দেওয়ার নিয়ম নেই। তাই চাইলেও সেটা সম্ভব না। সংকেত দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভুল ছিল না।
সৌগত বসু, ঢাকা

গত মে মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে উল্লেখ ছিল, একটি লঘুচাপ এবং তা থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২২ মে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরে সেটি শক্তি অর্জন করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল। ২৫ মে সন্ধ্যায় পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড় রিমালে। পরদিন সকালে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। ওই দিন বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ বাংলাদেশ উপকূল স্পর্শ করে।
এই ঝড় উপকূলে থাকে টানা ১৫ ঘণ্টা। আর স্থল নিম্নচাপ হিসেবে দেশে অবস্থান করে ৩৪ ঘণ্টা। রিমালে সবচেয়ে বেশি বিপদ দেখা দেয় জলোচ্ছ্বাসের কারণে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিমালকে শুরুতে হালকাভাবে নেওয়া হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় অনেকেই একে গতি দিয়ে বিবেচনা করেছেন। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে কেউ ভাবেননি। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তারা সময়মতো পূর্বাভাস দিয়েছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেছে।
লঘুচাপ সৃষ্টির দুই দিন পর থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, এটি ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ হিসেবে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮৯-১২০ কিলোমিটার। তবে এর স্থায়িত্ব নিয়ে শুরুতে কিছু বলা হয়নি। ২৫ মে সকাল থেকে এর গতিবিধি নিয়ে তথ্য দিতে শুরু করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকালে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দিয়ে দুপুর ১২টার পর ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেতে উন্নীত করা হয়। বিকেলের পর করা হয় যথাক্রমে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত এবং ৫ নম্বর বিপৎসংকেত। রাতে ৬ ও ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেওয়া হয়। ২৬ মে সকালে দেখাতে বলা হয় ৯ ও ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত। রিমালে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার।
রিমালের কেন্দ্রভাগ পটুয়াখালীর খেপুপাড়া দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও পরে তা পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও সুন্দরবন দিয়ে ভারতের দিকে যায়। আরেকটি অংশ খুলনা ও খেপুপাড়া দিয়ে পার হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রিমালে জোয়ার আর জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়েছে। উপকূলের এই অঞ্চলের নদীগুলোর ভাটা থাকে বিকেলে আর জোয়ার রাত ৯টার পর থেকে ১২টা।
স্থলভাগ অতিক্রম করার সময় রিমালের গতি (ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার) কম থাকায় এটি বেশি সময় নিয়েছে। এতে ভাটার পর জোয়ারও পেয়েছে। তাই উপকূলে রাতে জোয়ারের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, রিমালের প্রভাবে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে সুন্দরবনে ১১১টি হরিণ ও ৪টি বন্য শূকর মারা গেছে। ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির। উপকূল ও এর আশপাশের ১৯টি জেলায় প্রায় পৌনে ২ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝড়টি অনেক বেশি সময় স্থলে ছিল। ফলে উপকূলে এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। সমুদ্রে তাপমাত্রার পার্থক্য কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। এখন গড় তাপমাত্রা থাকছে ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা অনেক বেশি। এতে এই অংশে মাঝেমধ্যেই সাইক্লোন তৈরি হচ্ছে।
এই দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, সাধারণত সাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তা একটু সময় নিয়ে উপকূলের দিকে আসতে থাকে। রিমালের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছে। সাগরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় সেটি দ্রুত স্থলে চলে আসে। আবার স্থলে এসেও তাপমাত্রা বেশি পাওয়ায় এটি অনেক সময় শক্তি ধরে রেখেছিল। বিষয়টি আগে কখনো বলা হয়নি। শুধু গতি এবং ঘূর্ণিঝড় হিসেবে না দেখে সামগ্রিকভাবে যদি আগে থেকে বোঝা যেত, তাহলে হয়তো কিছু ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান অবশ্য বলেন, তাদের পূর্বাভাসে কোনো সমস্যা ছিল না। ঝড় যে বড় একটা সময় নিয়ে উপকূলে অবস্থান করবে, সেটির জন্যই ভারী বর্ষণের সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল। জলোচ্ছ্বাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে ৮ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাস হবে। এটা স্থানীয় প্রশাসন থেকে ভালো জানা যাবে। অধিদপ্তরের যে মডেল আছে, সেটি সর্বোচ্চ ৩ মিটার পর্যন্ত বলেছিল।
সমন্বয় প্রসঙ্গে মো. আজিজুর রহমান বলেন, সমন্বয় না থাকার কোনো কারণ নেই। শনিবার ছুটির দিন বেলা ১১টায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা হয়। এটা ঘূর্ণিঝড় ঘোষণা করার আগেই। তখন রাতে মহাবিপৎসংকেত দেওয়ার কথা বলা হয়। তখনই কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।
আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় না হওয়া পর্যন্ত আগে থেকে সিগন্যাল দেওয়ার নিয়ম নেই। তাই চাইলেও সেটা সম্ভব না। সংকেত দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভুল ছিল না।

গত মে মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে উল্লেখ ছিল, একটি লঘুচাপ এবং তা থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২২ মে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরে সেটি শক্তি অর্জন করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল। ২৫ মে সন্ধ্যায় পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড় রিমালে। পরদিন সকালে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। ওই দিন বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ বাংলাদেশ উপকূল স্পর্শ করে।
এই ঝড় উপকূলে থাকে টানা ১৫ ঘণ্টা। আর স্থল নিম্নচাপ হিসেবে দেশে অবস্থান করে ৩৪ ঘণ্টা। রিমালে সবচেয়ে বেশি বিপদ দেখা দেয় জলোচ্ছ্বাসের কারণে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিমালকে শুরুতে হালকাভাবে নেওয়া হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় অনেকেই একে গতি দিয়ে বিবেচনা করেছেন। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে কেউ ভাবেননি। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তারা সময়মতো পূর্বাভাস দিয়েছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেছে।
লঘুচাপ সৃষ্টির দুই দিন পর থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, এটি ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ হিসেবে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮৯-১২০ কিলোমিটার। তবে এর স্থায়িত্ব নিয়ে শুরুতে কিছু বলা হয়নি। ২৫ মে সকাল থেকে এর গতিবিধি নিয়ে তথ্য দিতে শুরু করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকালে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দিয়ে দুপুর ১২টার পর ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেতে উন্নীত করা হয়। বিকেলের পর করা হয় যথাক্রমে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত এবং ৫ নম্বর বিপৎসংকেত। রাতে ৬ ও ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেওয়া হয়। ২৬ মে সকালে দেখাতে বলা হয় ৯ ও ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত। রিমালে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার।
রিমালের কেন্দ্রভাগ পটুয়াখালীর খেপুপাড়া দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও পরে তা পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও সুন্দরবন দিয়ে ভারতের দিকে যায়। আরেকটি অংশ খুলনা ও খেপুপাড়া দিয়ে পার হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রিমালে জোয়ার আর জলোচ্ছ্বাস বেশি হয়েছে। উপকূলের এই অঞ্চলের নদীগুলোর ভাটা থাকে বিকেলে আর জোয়ার রাত ৯টার পর থেকে ১২টা।
স্থলভাগ অতিক্রম করার সময় রিমালের গতি (ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার) কম থাকায় এটি বেশি সময় নিয়েছে। এতে ভাটার পর জোয়ারও পেয়েছে। তাই উপকূলে রাতে জোয়ারের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, রিমালের প্রভাবে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে সুন্দরবনে ১১১টি হরিণ ও ৪টি বন্য শূকর মারা গেছে। ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির। উপকূল ও এর আশপাশের ১৯টি জেলায় প্রায় পৌনে ২ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝড়টি অনেক বেশি সময় স্থলে ছিল। ফলে উপকূলে এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। সমুদ্রে তাপমাত্রার পার্থক্য কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। এখন গড় তাপমাত্রা থাকছে ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা অনেক বেশি। এতে এই অংশে মাঝেমধ্যেই সাইক্লোন তৈরি হচ্ছে।
এই দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, সাধারণত সাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তা একটু সময় নিয়ে উপকূলের দিকে আসতে থাকে। রিমালের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছে। সাগরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় সেটি দ্রুত স্থলে চলে আসে। আবার স্থলে এসেও তাপমাত্রা বেশি পাওয়ায় এটি অনেক সময় শক্তি ধরে রেখেছিল। বিষয়টি আগে কখনো বলা হয়নি। শুধু গতি এবং ঘূর্ণিঝড় হিসেবে না দেখে সামগ্রিকভাবে যদি আগে থেকে বোঝা যেত, তাহলে হয়তো কিছু ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান অবশ্য বলেন, তাদের পূর্বাভাসে কোনো সমস্যা ছিল না। ঝড় যে বড় একটা সময় নিয়ে উপকূলে অবস্থান করবে, সেটির জন্যই ভারী বর্ষণের সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল। জলোচ্ছ্বাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে ৮ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাস হবে। এটা স্থানীয় প্রশাসন থেকে ভালো জানা যাবে। অধিদপ্তরের যে মডেল আছে, সেটি সর্বোচ্চ ৩ মিটার পর্যন্ত বলেছিল।
সমন্বয় প্রসঙ্গে মো. আজিজুর রহমান বলেন, সমন্বয় না থাকার কোনো কারণ নেই। শনিবার ছুটির দিন বেলা ১১টায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা হয়। এটা ঘূর্ণিঝড় ঘোষণা করার আগেই। তখন রাতে মহাবিপৎসংকেত দেওয়ার কথা বলা হয়। তখনই কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।
আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় না হওয়া পর্যন্ত আগে থেকে সিগন্যাল দেওয়ার নিয়ম নেই। তাই চাইলেও সেটা সম্ভব না। সংকেত দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভুল ছিল না।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২০ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

গত মে মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে উল্লেখ ছিল, একটি লঘুচাপ এবং তা থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২২ মে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরে সেটি শক্তি অর্জন করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল।
০১ জুন ২০২৪
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

গত মে মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে উল্লেখ ছিল, একটি লঘুচাপ এবং তা থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২২ মে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরে সেটি শক্তি অর্জন করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল।
০১ জুন ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২০ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

গত মে মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে উল্লেখ ছিল, একটি লঘুচাপ এবং তা থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২২ মে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরে সেটি শক্তি অর্জন করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল।
০১ জুন ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২০ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

গত মে মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে উল্লেখ ছিল, একটি লঘুচাপ এবং তা থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২২ মে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরে সেটি শক্তি অর্জন করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল।
০১ জুন ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২০ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগে