প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট)

চুঁইঝাল বা চইঝাল। খুলনা অঞ্চলের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মসলাজাতীয় উদ্ভিদ। বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলে অনেকে এখন বাণিজ্যিকভাবে এই মসলার চাষ শুরু করেছেন। তবে এক গাছেই বাজিমাত করেছেন লালমনিরহাটের এক শৌখিন খামারি। একটি চুঁই গাছই তিনি বিক্রি করেছেন লক্ষাধিক টাকায়।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের বাসিন্দা বুলবুল। গত মঙ্গলবার বুলবুলের ছেলে তাঁর ফেসবুক পোস্টে অবিশ্বাস্য দামে চুঁই গাছ বিক্রির কথা জানান। দ্রুতই বিষয়টি ভাইরাল হয়। ফলে চুঁই ঝাল নিয়ে হঠাৎ করে এলাকায় অনেকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই এর চাষ পদ্ধতি নিয়ে খোঁজখবর করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বানিনগর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মহিউল ইসলাম বুলবুল। চার বছর আগে শখের বশে পাঁচটি চুঁই গাছ বাড়ির বাগানে বিভিন্ন গাছের গোড়ায় রোপণ করেন। আম গাছে লাগানো একটি চুঁই গাছ গত মঙ্গলবার ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিনেছেন একই উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের চুঁই ঝালের পাইকারি ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম। গাছের গোড়াটির দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে ৪ ফুট, ওজন সাড়ে ৩৭ কেজি। শিকড়ের ওজন ছিল ৬০ কেজি এবং লতার ওজন ১৪০ কেজি।

মহিউল ফারুক বুলবুল জানান, শখের বশে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে চার বছর আগে পাঁচটি চুঁই গাছ এনে লাগিয়েছিলেন। এক বছর ধরেই কেনার জন্য লোক আসছে। গত মঙ্গলবার একটি গাছ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। ফেসবুকে প্রচারের ফলে অনেকেই চুঁই গাছ নিয়ে জানতে তাঁর কাছে আসছেন। এর মধ্যে তিনি প্রায় ১০০ গাছ লাগিয়েছেন। লালমনিরহাটে এখন অনেক আবাদি জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে তামাক চাষিদের চুঁই চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান বুলবুল।
চুঁই গাছটির ক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, তিনি এলাকা থেকে চুঁই গাছ কিনে খুলনা, সাতক্ষীরার মহাজনের কাছে বিক্রি করেন। এই গাছটি তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় কিনে খুলনার মোকাররম নামে এক মহাজনের কাছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। জেলায় এখন অনেক বাড়িতে চুঁইয়ের চাষ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চুঁই লতাজাতীয় গাছ। কাণ্ড ধূসর, পাতা পানের মতো। কাণ্ড থেকে আকর্ষি বের হয়, সেই আকর্ষি মাটিতে বিশেষভাবে রোপণ করলে সেটি থেকে গাছ হয়। এর কাণ্ডটি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আঙুলের মতো চিকন এ গাছের লতার দাম কম। আর গাছের গোড়ার দাম সবচেয়ে বেশি। দেশে অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে অনেক দিন আগ থেকেই চুঁই ঝাল চাষ করে আসছেন। দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় চুঁই ঝাল বেশ জনপ্রিয়। দেশের সিংহভাগ চুঁই ঝাল সেখানেই আবাদ হয়। এসব এলাকায় চুঁই ঝালের কাণ্ড, শিকড়, পাতার বোঁটা রান্নার সঙ্গে ব্যঞ্জন হিসেবে এবং ওষুধ–পথ্য হিসেবে খাওয়া হয়। আমাদের দেশে এর ফল খাওয়া হয় না। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার কোনো কোনো দেশে চুঁই ঝালের ফল মসলা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এই ফল শুকালে লবঙ্গের মতো হয়।

চুঁই গাছ অন্য গাছের আশ্রয় নিয়ে বেড়ে ওঠে। মাটিতে লতানো ফসল হিসেবেও বৃদ্ধি ঘটায়। মোটামুটি সব গাছের সঙ্গেই বাড়ে। এর মধ্যে আম, কাঁঠাল, সুপারি, শিমুল, নারিকেল, মেহগনি গাছে ভালো হয়। তবে আম ও কাঁঠাল গাছে বেড়ে ওঠা চুঁই সবচেয়ে ভালো মানের হয়।
চুঁই শুকনো এবং কাঁচা উভয় অবস্থায়ই বিক্রি হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা চুঁই লতা অঞ্চল ভেদে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে শাখা ডাল থেকে শিকড়ে ঝাল বেশি, তাই এর দামও একটু বেশি। শুকনো চুঁইয়ের দাম কাঁচার চেয়ে ২-৩ গুণ বেশি। প্রতি কেজির দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান জানান, কালীগঞ্জে মূলত সুপারি বাগানে সাথি ফসল হিসেবে চুঁই লাগানো হয়। বাড়তি আয় হওয়ায় দিন দিন চুঁই চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলায় প্রায় ২৫০ বাড়িতে চুঁই চাষ হচ্ছে। মরিচের বিকল্প হিসেবে চুঁইকে যুক্ত করতে পারলে দেশের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সেই সঙ্গে ভেষজগুণ তো রয়েছেই।

চুঁইঝাল বা চইঝাল। খুলনা অঞ্চলের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মসলাজাতীয় উদ্ভিদ। বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলে অনেকে এখন বাণিজ্যিকভাবে এই মসলার চাষ শুরু করেছেন। তবে এক গাছেই বাজিমাত করেছেন লালমনিরহাটের এক শৌখিন খামারি। একটি চুঁই গাছই তিনি বিক্রি করেছেন লক্ষাধিক টাকায়।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের বাসিন্দা বুলবুল। গত মঙ্গলবার বুলবুলের ছেলে তাঁর ফেসবুক পোস্টে অবিশ্বাস্য দামে চুঁই গাছ বিক্রির কথা জানান। দ্রুতই বিষয়টি ভাইরাল হয়। ফলে চুঁই ঝাল নিয়ে হঠাৎ করে এলাকায় অনেকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই এর চাষ পদ্ধতি নিয়ে খোঁজখবর করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বানিনগর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মহিউল ইসলাম বুলবুল। চার বছর আগে শখের বশে পাঁচটি চুঁই গাছ বাড়ির বাগানে বিভিন্ন গাছের গোড়ায় রোপণ করেন। আম গাছে লাগানো একটি চুঁই গাছ গত মঙ্গলবার ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিনেছেন একই উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের চুঁই ঝালের পাইকারি ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম। গাছের গোড়াটির দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে ৪ ফুট, ওজন সাড়ে ৩৭ কেজি। শিকড়ের ওজন ছিল ৬০ কেজি এবং লতার ওজন ১৪০ কেজি।

মহিউল ফারুক বুলবুল জানান, শখের বশে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে চার বছর আগে পাঁচটি চুঁই গাছ এনে লাগিয়েছিলেন। এক বছর ধরেই কেনার জন্য লোক আসছে। গত মঙ্গলবার একটি গাছ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। ফেসবুকে প্রচারের ফলে অনেকেই চুঁই গাছ নিয়ে জানতে তাঁর কাছে আসছেন। এর মধ্যে তিনি প্রায় ১০০ গাছ লাগিয়েছেন। লালমনিরহাটে এখন অনেক আবাদি জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে তামাক চাষিদের চুঁই চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান বুলবুল।
চুঁই গাছটির ক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, তিনি এলাকা থেকে চুঁই গাছ কিনে খুলনা, সাতক্ষীরার মহাজনের কাছে বিক্রি করেন। এই গাছটি তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় কিনে খুলনার মোকাররম নামে এক মহাজনের কাছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। জেলায় এখন অনেক বাড়িতে চুঁইয়ের চাষ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চুঁই লতাজাতীয় গাছ। কাণ্ড ধূসর, পাতা পানের মতো। কাণ্ড থেকে আকর্ষি বের হয়, সেই আকর্ষি মাটিতে বিশেষভাবে রোপণ করলে সেটি থেকে গাছ হয়। এর কাণ্ডটি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আঙুলের মতো চিকন এ গাছের লতার দাম কম। আর গাছের গোড়ার দাম সবচেয়ে বেশি। দেশে অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে অনেক দিন আগ থেকেই চুঁই ঝাল চাষ করে আসছেন। দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় চুঁই ঝাল বেশ জনপ্রিয়। দেশের সিংহভাগ চুঁই ঝাল সেখানেই আবাদ হয়। এসব এলাকায় চুঁই ঝালের কাণ্ড, শিকড়, পাতার বোঁটা রান্নার সঙ্গে ব্যঞ্জন হিসেবে এবং ওষুধ–পথ্য হিসেবে খাওয়া হয়। আমাদের দেশে এর ফল খাওয়া হয় না। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার কোনো কোনো দেশে চুঁই ঝালের ফল মসলা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এই ফল শুকালে লবঙ্গের মতো হয়।

চুঁই গাছ অন্য গাছের আশ্রয় নিয়ে বেড়ে ওঠে। মাটিতে লতানো ফসল হিসেবেও বৃদ্ধি ঘটায়। মোটামুটি সব গাছের সঙ্গেই বাড়ে। এর মধ্যে আম, কাঁঠাল, সুপারি, শিমুল, নারিকেল, মেহগনি গাছে ভালো হয়। তবে আম ও কাঁঠাল গাছে বেড়ে ওঠা চুঁই সবচেয়ে ভালো মানের হয়।
চুঁই শুকনো এবং কাঁচা উভয় অবস্থায়ই বিক্রি হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা চুঁই লতা অঞ্চল ভেদে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে শাখা ডাল থেকে শিকড়ে ঝাল বেশি, তাই এর দামও একটু বেশি। শুকনো চুঁইয়ের দাম কাঁচার চেয়ে ২-৩ গুণ বেশি। প্রতি কেজির দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান জানান, কালীগঞ্জে মূলত সুপারি বাগানে সাথি ফসল হিসেবে চুঁই লাগানো হয়। বাড়তি আয় হওয়ায় দিন দিন চুঁই চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলায় প্রায় ২৫০ বাড়িতে চুঁই চাষ হচ্ছে। মরিচের বিকল্প হিসেবে চুঁইকে যুক্ত করতে পারলে দেশের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সেই সঙ্গে ভেষজগুণ তো রয়েছেই।
প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট)

চুঁইঝাল বা চইঝাল। খুলনা অঞ্চলের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মসলাজাতীয় উদ্ভিদ। বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলে অনেকে এখন বাণিজ্যিকভাবে এই মসলার চাষ শুরু করেছেন। তবে এক গাছেই বাজিমাত করেছেন লালমনিরহাটের এক শৌখিন খামারি। একটি চুঁই গাছই তিনি বিক্রি করেছেন লক্ষাধিক টাকায়।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের বাসিন্দা বুলবুল। গত মঙ্গলবার বুলবুলের ছেলে তাঁর ফেসবুক পোস্টে অবিশ্বাস্য দামে চুঁই গাছ বিক্রির কথা জানান। দ্রুতই বিষয়টি ভাইরাল হয়। ফলে চুঁই ঝাল নিয়ে হঠাৎ করে এলাকায় অনেকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই এর চাষ পদ্ধতি নিয়ে খোঁজখবর করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বানিনগর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মহিউল ইসলাম বুলবুল। চার বছর আগে শখের বশে পাঁচটি চুঁই গাছ বাড়ির বাগানে বিভিন্ন গাছের গোড়ায় রোপণ করেন। আম গাছে লাগানো একটি চুঁই গাছ গত মঙ্গলবার ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিনেছেন একই উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের চুঁই ঝালের পাইকারি ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম। গাছের গোড়াটির দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে ৪ ফুট, ওজন সাড়ে ৩৭ কেজি। শিকড়ের ওজন ছিল ৬০ কেজি এবং লতার ওজন ১৪০ কেজি।

মহিউল ফারুক বুলবুল জানান, শখের বশে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে চার বছর আগে পাঁচটি চুঁই গাছ এনে লাগিয়েছিলেন। এক বছর ধরেই কেনার জন্য লোক আসছে। গত মঙ্গলবার একটি গাছ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। ফেসবুকে প্রচারের ফলে অনেকেই চুঁই গাছ নিয়ে জানতে তাঁর কাছে আসছেন। এর মধ্যে তিনি প্রায় ১০০ গাছ লাগিয়েছেন। লালমনিরহাটে এখন অনেক আবাদি জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে তামাক চাষিদের চুঁই চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান বুলবুল।
চুঁই গাছটির ক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, তিনি এলাকা থেকে চুঁই গাছ কিনে খুলনা, সাতক্ষীরার মহাজনের কাছে বিক্রি করেন। এই গাছটি তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় কিনে খুলনার মোকাররম নামে এক মহাজনের কাছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। জেলায় এখন অনেক বাড়িতে চুঁইয়ের চাষ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চুঁই লতাজাতীয় গাছ। কাণ্ড ধূসর, পাতা পানের মতো। কাণ্ড থেকে আকর্ষি বের হয়, সেই আকর্ষি মাটিতে বিশেষভাবে রোপণ করলে সেটি থেকে গাছ হয়। এর কাণ্ডটি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আঙুলের মতো চিকন এ গাছের লতার দাম কম। আর গাছের গোড়ার দাম সবচেয়ে বেশি। দেশে অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে অনেক দিন আগ থেকেই চুঁই ঝাল চাষ করে আসছেন। দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় চুঁই ঝাল বেশ জনপ্রিয়। দেশের সিংহভাগ চুঁই ঝাল সেখানেই আবাদ হয়। এসব এলাকায় চুঁই ঝালের কাণ্ড, শিকড়, পাতার বোঁটা রান্নার সঙ্গে ব্যঞ্জন হিসেবে এবং ওষুধ–পথ্য হিসেবে খাওয়া হয়। আমাদের দেশে এর ফল খাওয়া হয় না। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার কোনো কোনো দেশে চুঁই ঝালের ফল মসলা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এই ফল শুকালে লবঙ্গের মতো হয়।

চুঁই গাছ অন্য গাছের আশ্রয় নিয়ে বেড়ে ওঠে। মাটিতে লতানো ফসল হিসেবেও বৃদ্ধি ঘটায়। মোটামুটি সব গাছের সঙ্গেই বাড়ে। এর মধ্যে আম, কাঁঠাল, সুপারি, শিমুল, নারিকেল, মেহগনি গাছে ভালো হয়। তবে আম ও কাঁঠাল গাছে বেড়ে ওঠা চুঁই সবচেয়ে ভালো মানের হয়।
চুঁই শুকনো এবং কাঁচা উভয় অবস্থায়ই বিক্রি হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা চুঁই লতা অঞ্চল ভেদে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে শাখা ডাল থেকে শিকড়ে ঝাল বেশি, তাই এর দামও একটু বেশি। শুকনো চুঁইয়ের দাম কাঁচার চেয়ে ২-৩ গুণ বেশি। প্রতি কেজির দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান জানান, কালীগঞ্জে মূলত সুপারি বাগানে সাথি ফসল হিসেবে চুঁই লাগানো হয়। বাড়তি আয় হওয়ায় দিন দিন চুঁই চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলায় প্রায় ২৫০ বাড়িতে চুঁই চাষ হচ্ছে। মরিচের বিকল্প হিসেবে চুঁইকে যুক্ত করতে পারলে দেশের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সেই সঙ্গে ভেষজগুণ তো রয়েছেই।

চুঁইঝাল বা চইঝাল। খুলনা অঞ্চলের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মসলাজাতীয় উদ্ভিদ। বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলে অনেকে এখন বাণিজ্যিকভাবে এই মসলার চাষ শুরু করেছেন। তবে এক গাছেই বাজিমাত করেছেন লালমনিরহাটের এক শৌখিন খামারি। একটি চুঁই গাছই তিনি বিক্রি করেছেন লক্ষাধিক টাকায়।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের বাসিন্দা বুলবুল। গত মঙ্গলবার বুলবুলের ছেলে তাঁর ফেসবুক পোস্টে অবিশ্বাস্য দামে চুঁই গাছ বিক্রির কথা জানান। দ্রুতই বিষয়টি ভাইরাল হয়। ফলে চুঁই ঝাল নিয়ে হঠাৎ করে এলাকায় অনেকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই এর চাষ পদ্ধতি নিয়ে খোঁজখবর করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বানিনগর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মহিউল ইসলাম বুলবুল। চার বছর আগে শখের বশে পাঁচটি চুঁই গাছ বাড়ির বাগানে বিভিন্ন গাছের গোড়ায় রোপণ করেন। আম গাছে লাগানো একটি চুঁই গাছ গত মঙ্গলবার ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিনেছেন একই উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের চুঁই ঝালের পাইকারি ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম। গাছের গোড়াটির দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে ৪ ফুট, ওজন সাড়ে ৩৭ কেজি। শিকড়ের ওজন ছিল ৬০ কেজি এবং লতার ওজন ১৪০ কেজি।

মহিউল ফারুক বুলবুল জানান, শখের বশে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে চার বছর আগে পাঁচটি চুঁই গাছ এনে লাগিয়েছিলেন। এক বছর ধরেই কেনার জন্য লোক আসছে। গত মঙ্গলবার একটি গাছ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। ফেসবুকে প্রচারের ফলে অনেকেই চুঁই গাছ নিয়ে জানতে তাঁর কাছে আসছেন। এর মধ্যে তিনি প্রায় ১০০ গাছ লাগিয়েছেন। লালমনিরহাটে এখন অনেক আবাদি জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে তামাক চাষিদের চুঁই চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান বুলবুল।
চুঁই গাছটির ক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, তিনি এলাকা থেকে চুঁই গাছ কিনে খুলনা, সাতক্ষীরার মহাজনের কাছে বিক্রি করেন। এই গাছটি তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় কিনে খুলনার মোকাররম নামে এক মহাজনের কাছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। জেলায় এখন অনেক বাড়িতে চুঁইয়ের চাষ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চুঁই লতাজাতীয় গাছ। কাণ্ড ধূসর, পাতা পানের মতো। কাণ্ড থেকে আকর্ষি বের হয়, সেই আকর্ষি মাটিতে বিশেষভাবে রোপণ করলে সেটি থেকে গাছ হয়। এর কাণ্ডটি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আঙুলের মতো চিকন এ গাছের লতার দাম কম। আর গাছের গোড়ার দাম সবচেয়ে বেশি। দেশে অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে অনেক দিন আগ থেকেই চুঁই ঝাল চাষ করে আসছেন। দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় চুঁই ঝাল বেশ জনপ্রিয়। দেশের সিংহভাগ চুঁই ঝাল সেখানেই আবাদ হয়। এসব এলাকায় চুঁই ঝালের কাণ্ড, শিকড়, পাতার বোঁটা রান্নার সঙ্গে ব্যঞ্জন হিসেবে এবং ওষুধ–পথ্য হিসেবে খাওয়া হয়। আমাদের দেশে এর ফল খাওয়া হয় না। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার কোনো কোনো দেশে চুঁই ঝালের ফল মসলা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এই ফল শুকালে লবঙ্গের মতো হয়।

চুঁই গাছ অন্য গাছের আশ্রয় নিয়ে বেড়ে ওঠে। মাটিতে লতানো ফসল হিসেবেও বৃদ্ধি ঘটায়। মোটামুটি সব গাছের সঙ্গেই বাড়ে। এর মধ্যে আম, কাঁঠাল, সুপারি, শিমুল, নারিকেল, মেহগনি গাছে ভালো হয়। তবে আম ও কাঁঠাল গাছে বেড়ে ওঠা চুঁই সবচেয়ে ভালো মানের হয়।
চুঁই শুকনো এবং কাঁচা উভয় অবস্থায়ই বিক্রি হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি কাঁচা চুঁই লতা অঞ্চল ভেদে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে শাখা ডাল থেকে শিকড়ে ঝাল বেশি, তাই এর দামও একটু বেশি। শুকনো চুঁইয়ের দাম কাঁচার চেয়ে ২-৩ গুণ বেশি। প্রতি কেজির দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান জানান, কালীগঞ্জে মূলত সুপারি বাগানে সাথি ফসল হিসেবে চুঁই লাগানো হয়। বাড়তি আয় হওয়ায় দিন দিন চুঁই চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলায় প্রায় ২৫০ বাড়িতে চুঁই চাষ হচ্ছে। মরিচের বিকল্প হিসেবে চুঁইকে যুক্ত করতে পারলে দেশের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সেই সঙ্গে ভেষজগুণ তো রয়েছেই।

সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
২১ ঘণ্টা আগে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বানিনগর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মহিউল ইসলাম বুলবুল। চার বছর আগে শখের বশে পাঁচটি চুঁই গাছ বাড়ির বাগানে বিভিন্ন গাছের গোড়ায় রোপণ করেন। আম গাছে লাগানো একটি চুঁই গাছ গত মঙ্গলবার ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিনেছেন একই উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের চুঁ
১৬ জুলাই ২০২১
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
২১ ঘণ্টা আগে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বানিনগর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মহিউল ইসলাম বুলবুল। চার বছর আগে শখের বশে পাঁচটি চুঁই গাছ বাড়ির বাগানে বিভিন্ন গাছের গোড়ায় রোপণ করেন। আম গাছে লাগানো একটি চুঁই গাছ গত মঙ্গলবার ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিনেছেন একই উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের চুঁ
১৬ জুলাই ২০২১
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১০ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
২১ ঘণ্টা আগে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। চলতে পারে ঘন কুয়াশার ভোগান্তিও। তবে কয়েক দিন পরই নতুন বছরের শুরুতে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক জানিয়েছেন, গতকাল সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামা মানে রীতিমতো হাড়কাঁপানো শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সোমবারসহ আগামী চার দিন সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদর অব্যাহত থাকতে পারে।
লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়।
কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌযোগাযোগের পাশাপাশি বিমান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার প্রভাবে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকালও ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত একাধিক আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট দেরিতে অবতরণ ও উড্ডয়ন করে। তবে কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট অন্যত্র পাঠানো হয়নি।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ গতকাল দুপুরের দিকে বলেন, ‘ভোরে রানওয়ের দৃশ্যমানতা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। তবে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ফ্লাইট অপারেশন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে’।
বাগেরহাটে বৃদ্ধের মৃত্যু
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শীতের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে বৈদ্যনাথ মণ্ডল (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। বৈদ্যনাথ চিতলমারী উপজেলার খিলিগাতী গ্রামের মুকুন্দলাল মণ্ডলের ছেলে।
এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়ে গত চার দিনে মোট ৫৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
উত্তরে জীবন বিপর্যস্ত
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কুয়াশার জন্য মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। হিমালয়ের পাদদেশের কাছাকাছি হওয়ায় বরাবরই উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সে অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, গত দুই দিনে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন ১৩ এবং সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার ও গতকাল দুপুর ১২টার আগে বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, এটি চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সকাল ৬টা থেকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির ছিল। এটি চলতি মৌসুমে এখানকার সর্বনিম্ন।’

আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। চলতে পারে ঘন কুয়াশার ভোগান্তিও। তবে কয়েক দিন পরই নতুন বছরের শুরুতে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক জানিয়েছেন, গতকাল সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামা মানে রীতিমতো হাড়কাঁপানো শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সোমবারসহ আগামী চার দিন সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদর অব্যাহত থাকতে পারে।
লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়।
কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌযোগাযোগের পাশাপাশি বিমান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার প্রভাবে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকালও ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত একাধিক আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট দেরিতে অবতরণ ও উড্ডয়ন করে। তবে কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট অন্যত্র পাঠানো হয়নি।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ গতকাল দুপুরের দিকে বলেন, ‘ভোরে রানওয়ের দৃশ্যমানতা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। তবে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ফ্লাইট অপারেশন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে’।
বাগেরহাটে বৃদ্ধের মৃত্যু
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শীতের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে বৈদ্যনাথ মণ্ডল (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। বৈদ্যনাথ চিতলমারী উপজেলার খিলিগাতী গ্রামের মুকুন্দলাল মণ্ডলের ছেলে।
এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়ে গত চার দিনে মোট ৫৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
উত্তরে জীবন বিপর্যস্ত
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কুয়াশার জন্য মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। হিমালয়ের পাদদেশের কাছাকাছি হওয়ায় বরাবরই উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সে অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, গত দুই দিনে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন ১৩ এবং সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার ও গতকাল দুপুর ১২টার আগে বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, এটি চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সকাল ৬টা থেকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির ছিল। এটি চলতি মৌসুমে এখানকার সর্বনিম্ন।’

উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বানিনগর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মহিউল ইসলাম বুলবুল। চার বছর আগে শখের বশে পাঁচটি চুঁই গাছ বাড়ির বাগানে বিভিন্ন গাছের গোড়ায় রোপণ করেন। আম গাছে লাগানো একটি চুঁই গাছ গত মঙ্গলবার ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিনেছেন একই উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের চুঁ
১৬ জুলাই ২০২১
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
১৪ ঘণ্টা আগে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য পৌষে এসে সারা দেশে শীত যেন জেঁকে বসেছে। গতকালের তুলনায় আজ রোববার তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। এর সঙ্গে পড়বে ঘন কুয়াশা।
আজ বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নিকলীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ৩।
বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সকালে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, রংপুর, বরিশালে ১৩; ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৩, সিলেটে ১৪ দশমিক ৮, চট্টগ্রামে ১৬, খুলনায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সারা দেশে আজ রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া আজ ঢাকায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২৯ ডিসেম্বরও পরিস্থিতির পরিবর্তন তেমন হবে না উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এদিন রাতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

মধ্য পৌষে এসে সারা দেশে শীত যেন জেঁকে বসেছে। গতকালের তুলনায় আজ রোববার তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। এর সঙ্গে পড়বে ঘন কুয়াশা।
আজ বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নিকলীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ৩।
বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সকালে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, রংপুর, বরিশালে ১৩; ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৩, সিলেটে ১৪ দশমিক ৮, চট্টগ্রামে ১৬, খুলনায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সারা দেশে আজ রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া আজ ঢাকায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২৯ ডিসেম্বরও পরিস্থিতির পরিবর্তন তেমন হবে না উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এদিন রাতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বানিনগর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মহিউল ইসলাম বুলবুল। চার বছর আগে শখের বশে পাঁচটি চুঁই গাছ বাড়ির বাগানে বিভিন্ন গাছের গোড়ায় রোপণ করেন। আম গাছে লাগানো একটি চুঁই গাছ গত মঙ্গলবার ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। কিনেছেন একই উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের চুঁ
১৬ জুলাই ২০২১
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১০ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
২১ ঘণ্টা আগে