আশিকুর রহমান সমী

বর্ষাকাল চলছে। এই বৃষ্টির সঙ্গে অনন্য সম্পর্ক যে প্রাণীটির সেটি ব্যাঙ। বাঙালির বর্ষাকালের সঙ্গে ব্যাঙের সম্পর্ক আরও গভীর। প্রাচীনকাল থেকে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও। বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় রয়েছে এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। শুধু প্রকৃতির জন্য নয়, বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির স্বার্থেও জরুরি ব্যাঙ সংরক্ষণ।
বাংলাদেশের দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট একটি দেশ হলেও জীববৈচিত্র্য অনেকই সমৃদ্ধ। ওরিয়েন্টাল নামক প্রাণি-ভৌগলিক অঞ্চলের ইন্দো-বার্মা ও ইন্দো-চায়না হটস্পটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এ দেশ প্রাণীবৈচিত্র্যে তথা বন্যপ্রাণী বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এ দেশের উত্তর- পূর্বাঞ্চলে এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে পাহাড়ি চির সবুজ বন, দক্ষিণ-পশ্চিমে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন, দক্ষিণজুড়ে বঙ্গোপসাগর আর মধ্যাঞ্চল থেকে উত্তর-পশ্চিম পর্যন্ত শালবন ও জালের মতো ছড়ানো নদ-নদী। যা সম্মিলিতভাবে গড়ে তুলেছে জীব-বৈচিত্র্যের এক অপূর্ব সমাহার।
এখানকার বন্যপ্রাণীদের একটি অংশ উভচর শ্রেণির সদস্য। বাংলাদেশে Anura (অ্যানুরা) এবং Gymnophiona (জিমনোফিনা) পরিবারের উভচরদের দেখা মেলে। উভচর গবেষণা সংস্থা এম্ফিবিয়ান স্পিসিস অব দ্য ওয়ার্ল্ডের তথ্যমতে বিশ্বে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত উভচর প্রাণীর সংখ্যা ৮ হাজার ৭৫২ টি। এর মধ্যে অ্যানুরা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ৭ হাজার ৭০৭ টি। তবে বর্তমানে নিত্য-নতুন গবেষণায় আবিষ্কৃত হচ্ছে নতুন নতুন প্রজাতি। বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণায় বাংলাদেশেও বেড়েছে উভচরের সংখ্যা। আর এদের মধ্যে অন্যতম বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙ। এরা দেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশসহ কৃষি অর্থনীতিতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
বাংলাদেশে ব্যাঙেদের অবস্থা
গত ৫০ বছরের বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে ব্যাঙের প্রজাতিগত সংখ্যা ৬৩টি। কিন্তু আমাদের বন্যপ্রাণীবিষয়ক বিজ্ঞানীরা মনে করেন এই সংখ্যাটি প্রকৃতপক্ষে ১০০-র ওপরে হতে পারে। আর গত ১২ বছরে বাংলাদেশ মোট ২৪টি নতুন প্রজাতির ব্যাঙের সন্ধান মিলেছে, যার মধ্যে ৯টি প্রজাতি শুধু যে বাংলাদেশের জন্য নতুন তা নয়, পুরো পৃথিবীর জন্যই নতুন। ২০১৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশনের (আইইউসিএন) মূল্যায়িত তথ্য অনুযায়ী ৯ প্রজাতির ব্যাঙকে বিলুপ্তির ঝুঁকির লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ব্যাঙেদের আবাসস্থল
সারাদেশ জুড়েই রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙের সমারোহ। জলজ-স্থলজ সব পরিবেশেই ব্যাঙ পাওয়া যায়, তবে ব্যাঙের জীবন ধারণের জন্য জলজ পরিবেশ অত্যাবশ্যকীয়। তাই সারাদেশের জলাশয়কেন্দ্রিক মিঠাপানিতে ব্যাঙের দেখা মেলে। কুনো ব্যাঙ, কোলা ব্যাঙ, গেছো ব্যাঙ, লাউবিচি ব্যাঙ, ঝিঁঝি ব্যাঙ, কটকটি ব্যাঙ, ভেপু ব্যাঙ সচরাচর দেখতে পাওয়া ব্যাঙের প্রজাতি। তবে সিলেট ও চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে বিশেষ করে পাহাড়ি ছড়া এবং ঝিরিতে বেশি এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যাঙের দেখা মেলে। এ ছাড়া শালবন ব্যাঙের জন্য একটি আদর্শ আবাসস্থল। সিলেটের হাওর ও গঙ্গা প্লাবনভূমির জলাভূমিও ব্যাঙের চমৎকার আবাসস্থল। বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে ব্যাঙের আনাগোনা বাড়ে। এ সময়টা মূলত ব্যাঙের প্রজনন মৌসুম।
শহরেও থাকে ব্যাঙ, রাখে মশা দমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান
বর্তমানে পৃথিবীর ৫৫ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করে। ফলে কমছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। ব্যাঙ টিকে থাকার জন্য জল ও স্থল দুটিরই প্রয়োজন। কিন্তু শহরের জলজ পরিবেশ দিন দিন দূষিত হচ্ছে। বাংলাদেশের বড় শহরগুলো বিশেষ করে ঢাকার কথা যদি চিন্তা করি, বর্ষাকালে ব্যাঙের জন্য প্রয়োজনীয় জলাশয় একেবারেই কম। আর অস্থায়ী যেসব জলাশয় দেখা যায়, সেখানেও পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাঙের প্রজনন বিঘ্নিত হয়। এ কারণে শহরের প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে ব্যাঙ। এতে বেড়ে যাচ্ছে ব্যাঙের খাদ্য মশাসহ ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গ। কিছুদিন আগে মশা দমনে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জলাশয়ে ব্যাঙ অবমুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাঙগুলো টিকে থাকার মতো পরিবেশ সেখানে আছে কিনা তা কতটা বিবেচনা করা হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়াসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগের বাহক মশার লার্ভা ব্যাঙাচি অবস্থায় খায় ব্যাঙ। যা মশা দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান শিল্পায়ন, নগরায়ণের ফলে ব্যাঙের আবাসস্থল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি প্রজনন ক্ষেত্রও নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে কমছে তাদের সংখ্যা। প্রকৃতি হারিয়ে ফেলছে ভারসাম্য। ফলাফল হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুরো মানবজাতি।
হাজার বছর ধরে কুনো ব্যাঙের প্যারোটিড গ্রন্থি ও অন্যান্য ত্বকীয় গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসা হয়।
পরিবেশের নির্দেশক ও আবহাওয়া পূর্বাভাসে ব্যাঙ
পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক ব্যাঙ। একটি পরিবেশ বিশেষ করে জলজ পরিবেশ কতটা সুস্থ তার নির্দেশক হিসেবে কাজ করে বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙ। বাস্তুতন্ত্র ও খাদ্যশৃঙ্খলে রয়েছে প্রাণীটির বড় ভূমিকা। অর্থাৎ পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনার একটি নির্দেশক হিসেবে কাজ করে ব্যাঙ।
কৃষকের বন্ধু ব্যাঙ
ব্যাঙ এক রাতে শরীরের ওজনের দ্বিগুণ পোকামাকড় খেতে পারে। এই পোকামাকড় ফসলের ক্ষতি করে। এতে অতিরিক্ত কীটনাশক যেমন প্রয়োগ করতে হয় না, তেমন ঠিক থাকে ফসলের গুণগত মান ও মাটির গুনাগুণ। আর ঠিক থাকে প্রকৃতির ভারসাম্য। আবার ব্যাঙের মূত্রে ইউরিয়া-জাতীয় পদার্থ থাকে, যা জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে এবং ফসলের উৎপাদন ত্বরান্বিত করে। এক হিসেবে দেখা গেছে, একটি কোলা ব্যাঙ তার পুরো জীবনে প্রায় ৪ লাখ টাকার ফসল রক্ষা করে। পর্যাপ্ত ব্যাঙ থাকলে জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পায়। এতে যে আমরা শুধু আর্থিক ভাবে লাভবান হবো তা নয়, পাব কীটনাশক ও বিষমুক্ত খাবারের সরবরাহ। এতে কীটনাশকের বিষও পরিবেশে ছড়াবে না। এতে পরিবেশ, বিশেষ করে জলজ পরিবেশ থাকবে বিষক্রিয়া এবং দূষণ মুক্ত।
আমাদের সংস্কৃতির অংশ
আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ব্যাঙ। এখনো বৃষ্টির আশায় দেশীয় প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী দেওয়া হয় ব্যাঙের বিয়ে। এ ছাড়াও ব্যাঙ নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রবাদ প্রবচন। যা বহুকাল ধরে বাংলায় প্রচলিত। পাশাপাশি বাংলাদেশের লোকসাহিত্য, রূপকথা, উপন্যাস, কবিতায় বারবার উঠে এসেছে এই প্রাণীটির নাম। খনার বচনেও এসেছে ব্যাঙের কথা, ‘ব্যাঙ ডাকে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ, শীঘ্রই হবে বৃষ্টি জান’।
মানব কল্যাণেই চাই বাংলাদেশে ব্যাঙ সংরক্ষণ
সংরক্ষিত এলাকাগুলোর বাইরে এই নতুন আবিষ্কৃত ব্যাঙ বা বিলুপ্তির হুমকিতে থাকা ব্যাঙের একটি বড় অংশ রয়েছে। আমাদের হুমকিগ্রস্ত ৯টি ব্যাঙের মধ্যে ৬টি ব্যাঙই সংরক্ষিত এলাকার বাইরে এমনকি নতুন আবিষ্কৃত ২৪টি ব্যাঙের মধ্যে ৯টি আবিষ্কৃত হয়েছে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে। এ ছাড়া ঢাকাইয়া ঝিঁঝি ব্যাঙ পাওয়া গেছে দূষিত শহর ঢাকা থেকে। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত সব ব্যাঙই কয়েকটি সংরক্ষিত এলাকায় পাওয়া গেছে। এই তথ্য এটাই নির্দেশ করে যে, ব্যাঙ নিয়ে এই অঞ্চলে আরও বিস্তৃত গবেষণা হলে নতুন নতুন ব্যাঙ প্রজাতির তথ্য বের হয়ে আসবে।
আমাদের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বের চিরসবুজ বা মিশ্র চিরসবুজ বন বন্যপ্রাণীর জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হলেও আমাদের সারা দেশই ব্যাঙের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, গঙ্গা অববাহিকায় তিন ধরনের বিপন্ন প্রজাতির ব্যাঙ পাওয়া যায় এবং ২ প্রজাতির নতুন ব্যাঙ এখান থেকে পাওয়া গেছে। এ রকম প্রতিটি অঞ্চলই ব্যাঙের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তবে বিশেষ করে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে ব্যাঙেরা আজ হুমকির সম্মুখীন। ক্রমশ ধ্বংস হচ্ছে জলজ পরিবেশ। সেই সঙ্গে জলজ পরিবেশে টিকে থাকা ব্যাঙের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। জলজ পরিবেশ দূষণ, গুণগত মান নষ্ট হওয়া, জলজ পরিবেশের নিয়ামকগুলোর মান নষ্ট হওয়া, জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার, শহরের আয়তন বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক পরিবেশের বিলুপ্তি, রাস্তায় অতিরিক্ত যানবাহনের ফলে ব্যাঙের দুর্ঘটনায় মৃত্যু, পাহাড়ে অবৈধভাবে ব্যাঙ শিকার ইত্যাদি কারণে প্রাণীটির সংখ্যা আজ কমে যাচ্ছে। সংরক্ষিত এলাকার বাইরে আমাদের অগোচরে কত ব্যাঙ হারিয়ে যাচ্ছে, তা আমরা বুঝতে পর্যন্ত পারছি না।
তাই সময় এসেছে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে পরিবেশের এই পরম বন্ধু ব্যাঙ সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার। বড় কোনো প্রাণী যেরকম সংরক্ষণে গুরুত্ব পায় ঠিক ওই রকম না হলেও ন্যূনতম গুরুত্ব যেন বাংলাদেশের ব্যাঙেরা পায়।
লেখক: বন্যপ্রাণী গবেষক, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)

বর্ষাকাল চলছে। এই বৃষ্টির সঙ্গে অনন্য সম্পর্ক যে প্রাণীটির সেটি ব্যাঙ। বাঙালির বর্ষাকালের সঙ্গে ব্যাঙের সম্পর্ক আরও গভীর। প্রাচীনকাল থেকে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও। বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় রয়েছে এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। শুধু প্রকৃতির জন্য নয়, বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির স্বার্থেও জরুরি ব্যাঙ সংরক্ষণ।
বাংলাদেশের দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট একটি দেশ হলেও জীববৈচিত্র্য অনেকই সমৃদ্ধ। ওরিয়েন্টাল নামক প্রাণি-ভৌগলিক অঞ্চলের ইন্দো-বার্মা ও ইন্দো-চায়না হটস্পটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এ দেশ প্রাণীবৈচিত্র্যে তথা বন্যপ্রাণী বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এ দেশের উত্তর- পূর্বাঞ্চলে এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে পাহাড়ি চির সবুজ বন, দক্ষিণ-পশ্চিমে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন, দক্ষিণজুড়ে বঙ্গোপসাগর আর মধ্যাঞ্চল থেকে উত্তর-পশ্চিম পর্যন্ত শালবন ও জালের মতো ছড়ানো নদ-নদী। যা সম্মিলিতভাবে গড়ে তুলেছে জীব-বৈচিত্র্যের এক অপূর্ব সমাহার।
এখানকার বন্যপ্রাণীদের একটি অংশ উভচর শ্রেণির সদস্য। বাংলাদেশে Anura (অ্যানুরা) এবং Gymnophiona (জিমনোফিনা) পরিবারের উভচরদের দেখা মেলে। উভচর গবেষণা সংস্থা এম্ফিবিয়ান স্পিসিস অব দ্য ওয়ার্ল্ডের তথ্যমতে বিশ্বে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত উভচর প্রাণীর সংখ্যা ৮ হাজার ৭৫২ টি। এর মধ্যে অ্যানুরা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ৭ হাজার ৭০৭ টি। তবে বর্তমানে নিত্য-নতুন গবেষণায় আবিষ্কৃত হচ্ছে নতুন নতুন প্রজাতি। বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণায় বাংলাদেশেও বেড়েছে উভচরের সংখ্যা। আর এদের মধ্যে অন্যতম বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙ। এরা দেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশসহ কৃষি অর্থনীতিতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
বাংলাদেশে ব্যাঙেদের অবস্থা
গত ৫০ বছরের বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে ব্যাঙের প্রজাতিগত সংখ্যা ৬৩টি। কিন্তু আমাদের বন্যপ্রাণীবিষয়ক বিজ্ঞানীরা মনে করেন এই সংখ্যাটি প্রকৃতপক্ষে ১০০-র ওপরে হতে পারে। আর গত ১২ বছরে বাংলাদেশ মোট ২৪টি নতুন প্রজাতির ব্যাঙের সন্ধান মিলেছে, যার মধ্যে ৯টি প্রজাতি শুধু যে বাংলাদেশের জন্য নতুন তা নয়, পুরো পৃথিবীর জন্যই নতুন। ২০১৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশনের (আইইউসিএন) মূল্যায়িত তথ্য অনুযায়ী ৯ প্রজাতির ব্যাঙকে বিলুপ্তির ঝুঁকির লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ব্যাঙেদের আবাসস্থল
সারাদেশ জুড়েই রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙের সমারোহ। জলজ-স্থলজ সব পরিবেশেই ব্যাঙ পাওয়া যায়, তবে ব্যাঙের জীবন ধারণের জন্য জলজ পরিবেশ অত্যাবশ্যকীয়। তাই সারাদেশের জলাশয়কেন্দ্রিক মিঠাপানিতে ব্যাঙের দেখা মেলে। কুনো ব্যাঙ, কোলা ব্যাঙ, গেছো ব্যাঙ, লাউবিচি ব্যাঙ, ঝিঁঝি ব্যাঙ, কটকটি ব্যাঙ, ভেপু ব্যাঙ সচরাচর দেখতে পাওয়া ব্যাঙের প্রজাতি। তবে সিলেট ও চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে বিশেষ করে পাহাড়ি ছড়া এবং ঝিরিতে বেশি এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যাঙের দেখা মেলে। এ ছাড়া শালবন ব্যাঙের জন্য একটি আদর্শ আবাসস্থল। সিলেটের হাওর ও গঙ্গা প্লাবনভূমির জলাভূমিও ব্যাঙের চমৎকার আবাসস্থল। বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে ব্যাঙের আনাগোনা বাড়ে। এ সময়টা মূলত ব্যাঙের প্রজনন মৌসুম।
শহরেও থাকে ব্যাঙ, রাখে মশা দমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান
বর্তমানে পৃথিবীর ৫৫ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করে। ফলে কমছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। ব্যাঙ টিকে থাকার জন্য জল ও স্থল দুটিরই প্রয়োজন। কিন্তু শহরের জলজ পরিবেশ দিন দিন দূষিত হচ্ছে। বাংলাদেশের বড় শহরগুলো বিশেষ করে ঢাকার কথা যদি চিন্তা করি, বর্ষাকালে ব্যাঙের জন্য প্রয়োজনীয় জলাশয় একেবারেই কম। আর অস্থায়ী যেসব জলাশয় দেখা যায়, সেখানেও পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাঙের প্রজনন বিঘ্নিত হয়। এ কারণে শহরের প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে ব্যাঙ। এতে বেড়ে যাচ্ছে ব্যাঙের খাদ্য মশাসহ ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গ। কিছুদিন আগে মশা দমনে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জলাশয়ে ব্যাঙ অবমুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাঙগুলো টিকে থাকার মতো পরিবেশ সেখানে আছে কিনা তা কতটা বিবেচনা করা হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়াসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগের বাহক মশার লার্ভা ব্যাঙাচি অবস্থায় খায় ব্যাঙ। যা মশা দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান শিল্পায়ন, নগরায়ণের ফলে ব্যাঙের আবাসস্থল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি প্রজনন ক্ষেত্রও নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে কমছে তাদের সংখ্যা। প্রকৃতি হারিয়ে ফেলছে ভারসাম্য। ফলাফল হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুরো মানবজাতি।
হাজার বছর ধরে কুনো ব্যাঙের প্যারোটিড গ্রন্থি ও অন্যান্য ত্বকীয় গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসা হয়।
পরিবেশের নির্দেশক ও আবহাওয়া পূর্বাভাসে ব্যাঙ
পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক ব্যাঙ। একটি পরিবেশ বিশেষ করে জলজ পরিবেশ কতটা সুস্থ তার নির্দেশক হিসেবে কাজ করে বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙ। বাস্তুতন্ত্র ও খাদ্যশৃঙ্খলে রয়েছে প্রাণীটির বড় ভূমিকা। অর্থাৎ পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনার একটি নির্দেশক হিসেবে কাজ করে ব্যাঙ।
কৃষকের বন্ধু ব্যাঙ
ব্যাঙ এক রাতে শরীরের ওজনের দ্বিগুণ পোকামাকড় খেতে পারে। এই পোকামাকড় ফসলের ক্ষতি করে। এতে অতিরিক্ত কীটনাশক যেমন প্রয়োগ করতে হয় না, তেমন ঠিক থাকে ফসলের গুণগত মান ও মাটির গুনাগুণ। আর ঠিক থাকে প্রকৃতির ভারসাম্য। আবার ব্যাঙের মূত্রে ইউরিয়া-জাতীয় পদার্থ থাকে, যা জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে এবং ফসলের উৎপাদন ত্বরান্বিত করে। এক হিসেবে দেখা গেছে, একটি কোলা ব্যাঙ তার পুরো জীবনে প্রায় ৪ লাখ টাকার ফসল রক্ষা করে। পর্যাপ্ত ব্যাঙ থাকলে জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পায়। এতে যে আমরা শুধু আর্থিক ভাবে লাভবান হবো তা নয়, পাব কীটনাশক ও বিষমুক্ত খাবারের সরবরাহ। এতে কীটনাশকের বিষও পরিবেশে ছড়াবে না। এতে পরিবেশ, বিশেষ করে জলজ পরিবেশ থাকবে বিষক্রিয়া এবং দূষণ মুক্ত।
আমাদের সংস্কৃতির অংশ
আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ব্যাঙ। এখনো বৃষ্টির আশায় দেশীয় প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী দেওয়া হয় ব্যাঙের বিয়ে। এ ছাড়াও ব্যাঙ নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রবাদ প্রবচন। যা বহুকাল ধরে বাংলায় প্রচলিত। পাশাপাশি বাংলাদেশের লোকসাহিত্য, রূপকথা, উপন্যাস, কবিতায় বারবার উঠে এসেছে এই প্রাণীটির নাম। খনার বচনেও এসেছে ব্যাঙের কথা, ‘ব্যাঙ ডাকে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ, শীঘ্রই হবে বৃষ্টি জান’।
মানব কল্যাণেই চাই বাংলাদেশে ব্যাঙ সংরক্ষণ
সংরক্ষিত এলাকাগুলোর বাইরে এই নতুন আবিষ্কৃত ব্যাঙ বা বিলুপ্তির হুমকিতে থাকা ব্যাঙের একটি বড় অংশ রয়েছে। আমাদের হুমকিগ্রস্ত ৯টি ব্যাঙের মধ্যে ৬টি ব্যাঙই সংরক্ষিত এলাকার বাইরে এমনকি নতুন আবিষ্কৃত ২৪টি ব্যাঙের মধ্যে ৯টি আবিষ্কৃত হয়েছে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে। এ ছাড়া ঢাকাইয়া ঝিঁঝি ব্যাঙ পাওয়া গেছে দূষিত শহর ঢাকা থেকে। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত সব ব্যাঙই কয়েকটি সংরক্ষিত এলাকায় পাওয়া গেছে। এই তথ্য এটাই নির্দেশ করে যে, ব্যাঙ নিয়ে এই অঞ্চলে আরও বিস্তৃত গবেষণা হলে নতুন নতুন ব্যাঙ প্রজাতির তথ্য বের হয়ে আসবে।
আমাদের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বের চিরসবুজ বা মিশ্র চিরসবুজ বন বন্যপ্রাণীর জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হলেও আমাদের সারা দেশই ব্যাঙের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, গঙ্গা অববাহিকায় তিন ধরনের বিপন্ন প্রজাতির ব্যাঙ পাওয়া যায় এবং ২ প্রজাতির নতুন ব্যাঙ এখান থেকে পাওয়া গেছে। এ রকম প্রতিটি অঞ্চলই ব্যাঙের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তবে বিশেষ করে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে ব্যাঙেরা আজ হুমকির সম্মুখীন। ক্রমশ ধ্বংস হচ্ছে জলজ পরিবেশ। সেই সঙ্গে জলজ পরিবেশে টিকে থাকা ব্যাঙের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। জলজ পরিবেশ দূষণ, গুণগত মান নষ্ট হওয়া, জলজ পরিবেশের নিয়ামকগুলোর মান নষ্ট হওয়া, জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার, শহরের আয়তন বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক পরিবেশের বিলুপ্তি, রাস্তায় অতিরিক্ত যানবাহনের ফলে ব্যাঙের দুর্ঘটনায় মৃত্যু, পাহাড়ে অবৈধভাবে ব্যাঙ শিকার ইত্যাদি কারণে প্রাণীটির সংখ্যা আজ কমে যাচ্ছে। সংরক্ষিত এলাকার বাইরে আমাদের অগোচরে কত ব্যাঙ হারিয়ে যাচ্ছে, তা আমরা বুঝতে পর্যন্ত পারছি না।
তাই সময় এসেছে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে পরিবেশের এই পরম বন্ধু ব্যাঙ সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার। বড় কোনো প্রাণী যেরকম সংরক্ষণে গুরুত্ব পায় ঠিক ওই রকম না হলেও ন্যূনতম গুরুত্ব যেন বাংলাদেশের ব্যাঙেরা পায়।
লেখক: বন্যপ্রাণী গবেষক, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
২১ ঘণ্টা আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২১ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুল।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২০২, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা কাবুলের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ৪৯৫, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো ভারতের দিল্লি (৩৯৩), বাহরাইনের মানামা (২৬৪), ভারতের কলকাতা (২২৬) ও পাকিস্তানের করাচি (২০৩)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— দক্ষিণ পল্লবী, কল্যাণপুর, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গোড়ান, শান্তা ফোরাম, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুল।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২০২, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা কাবুলের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ৪৯৫, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো ভারতের দিল্লি (৩৯৩), বাহরাইনের মানামা (২৬৪), ভারতের কলকাতা (২২৬) ও পাকিস্তানের করাচি (২০৩)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— দক্ষিণ পল্লবী, কল্যাণপুর, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গোড়ান, শান্তা ফোরাম, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

বর্ষাকাল চলছে। এই বৃষ্টির সঙ্গে অনন্য সম্পর্ক যে প্রাণীটির সেটি ব্যাঙ। বাঙালির বর্ষাকালের সঙ্গে ব্যাঙের সম্পর্ক আরও গভীর। প্রাচীনকাল থেকে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও। বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় রয়েছে এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। শুধু প্রকৃতির জন্য নয়, বাংলাদেশের কৃ
১২ আগস্ট ২০২৪
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২১ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশে কিছুটা মেঘের আনাগোনা দেখা যেতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এ ছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশে কিছুটা মেঘের আনাগোনা দেখা যেতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এ ছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বর্ষাকাল চলছে। এই বৃষ্টির সঙ্গে অনন্য সম্পর্ক যে প্রাণীটির সেটি ব্যাঙ। বাঙালির বর্ষাকালের সঙ্গে ব্যাঙের সম্পর্ক আরও গভীর। প্রাচীনকাল থেকে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও। বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় রয়েছে এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। শুধু প্রকৃতির জন্য নয়, বাংলাদেশের কৃ
১২ আগস্ট ২০২৪
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
২১ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

বর্ষাকাল চলছে। এই বৃষ্টির সঙ্গে অনন্য সম্পর্ক যে প্রাণীটির সেটি ব্যাঙ। বাঙালির বর্ষাকালের সঙ্গে ব্যাঙের সম্পর্ক আরও গভীর। প্রাচীনকাল থেকে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও। বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় রয়েছে এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। শুধু প্রকৃতির জন্য নয়, বাংলাদেশের কৃ
১২ আগস্ট ২০২৪
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
২১ ঘণ্টা আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বর্ষাকাল চলছে। এই বৃষ্টির সঙ্গে অনন্য সম্পর্ক যে প্রাণীটির সেটি ব্যাঙ। বাঙালির বর্ষাকালের সঙ্গে ব্যাঙের সম্পর্ক আরও গভীর। প্রাচীনকাল থেকে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও। বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় রয়েছে এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। শুধু প্রকৃতির জন্য নয়, বাংলাদেশের কৃ
১২ আগস্ট ২০২৪
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
২১ ঘণ্টা আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২১ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২ দিন আগে