
ইকুয়েডরের চকো ক্লাউড ফরেস্ট বিখ্যাত তার বৈচিত্র্যময় বন্য প্রাণী আর উদ্ভিদের জন্য। উঁচু উঁচু সব গাছপালার ওপরে ঝুলে থাকা মেঘেদের জন্য এ ধরনের জঙ্গল ‘মেঘ অরণ্য’ বা ক্লাউড ফরেস্ট নাম পায়। ক্লাউড ফরেস্টে প্রচুর বৃষ্টিপাতও হয়। চকো ক্লাউড ফরেস্ট সম্প্রতি আরেকটি কারণে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। সেটি বনের মধ্যে তৈরি করা বিলাসবহুল এক হোটেল।
চকো ক্লাউড ফরেস্টের মাত্র ২ শতাংশ প্রাকৃতিক বন অবশিষ্ট আছে এখন। এমন পরিস্থিতিতে মাশপি লজ বিলাসবহুল কিন্তু জঙ্গল ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্ভাবনী এক পদক্ষেপ নিয়েছে। রোমাঞ্চপ্রেমী অতিথিদের জঙ্গল অভিযানে এখানকার বন্য প্রাণী সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেওয়া হয়। ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো থেকে হোটেলটির দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের আশপাশে।
সকালের সূর্যের আলো যখন ঘন কুয়াশার পর্দায় ঢাকা চকো ক্লাউড ফরেস্টের গাছপালার মাঝখান দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে বের হচ্ছে, তখন মাশপি লজের একজন পর্যটক হয়তো গাছের শাখায় শাখায় উড়ে বেড়ানো রঙিন প্রজাপতি দেখছেন মুগ্ধ চোখে। এটা তিনি করছেন তাঁর শয্যায় শরীর এলিয়ে দিয়ে। বাইরের জগৎ এবং তাঁর মধ্যে ব্যবধান বলতে একটি কাচের দেয়াল। ‘ইকো-ট্যুরিজম’ নামের যে শব্দটির সঙ্গে আমরা পরিচিত, ইকুয়েডরের জঙ্গলের মাঝখানে অবস্থিত মাশপি লজের চেয়ে এর বড় উদাহরণ আর কিছু হতে পারে না।
জঙ্গলের মধ্যে অনেক উঁচু কোনো দালান নয় এটি। বিশাল সব কাচের জানালাসহ এর নকশা এভাবে করা হয়েছে, যেন জঙ্গল ও লজটির মধ্যে একটি নিবিড় সম্পর্ক থাকে।
হোটেলটি হয়তো ধনী পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। তবে এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে স্থানীয় অধিবাসীদের জীবন। মাশপির শতকরা ৮০ শতাংশ কর্মচারী আশপাশের অঞ্চলের বাসিন্দা। পর্যটনের বিকাশ মানেই এখনকার মানুষের বেঁচে থাকার একটি অবলম্বন তৈরি হওয়া। এর বিকল্প পেশা তাঁদের কাছে বনের গাছ কাটা ও খনি থেকে স্বর্ণ আহরণ। আর এগুলো করেই এখানকার মূল প্রাকৃতিক অরণ্যের কেবল ২ শতাংশ অবশিষ্ট আছে আর। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
এই হতাশাজনক পরিসংখ্যানই কুইটোর সাবেক মেয়র রোক সেভিয়াকে ২০০১ সালে চকো ক্লাউড ফরেস্টের এক টুকরো জমি কিনতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এটা তিনি করেন শুধু সংরক্ষণের স্বার্থেই। তারপর তিনি ক্রমাগত জমি কিনতে থাকেন। এর ফলাফল ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি সংরক্ষিত বন, ৬ হাজার ১৭৮ একরের মাশপি রিজার্ভ।
একটি গাছও কাটা পড়েনি গোটা লজটি বানাতে। তবে এটি তৈরির উপকরণ সংগ্রহ করা হয়েছে আশপাশের এলাকা থেকে, যেন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসারণ কম হয়।
গত এক দশকে মাশপি রিজার্ভের গবেষণায় ১৬টি নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা চকো ক্লাউড ফরেস্ট সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
লজের রেস্তোরাঁটিতে ব্যবহার করা বেশির ভাগ উপাদানের উৎস ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা। এটি ১৫টি স্থানীয় পরিবারের জীবিকা নির্বাহে এবং নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সাহায্য করে।

অরণ্যটি রক্ষায় এবং টেকসই পর্যটনের শক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় সম্প্রদায়কে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনার মিশন নিয়ে কাজ শুরু করা সেভিয়া একটি পুরোনো করাতকলের জায়গায় মাশপি লজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। ‘আমি দেখতে চাই যে মাশপির অতিথিরা এই বিস্ময়কর বন সংরক্ষণের উৎসাহী একজন মানুষ হিসেবে তাঁদের বাড়িতে ফিরে যাবেন।’ তিনি বলেন। সেভিয়া আশা করেন, এখানকার জঙ্গল ভ্রমণে যে অভিজ্ঞতা হয়, তা-ই অতিথিদের অরণ্যের প্রতি ভালোবাসার জন্ম নেয়।
মাশপির একজন আবাসিক জীববিজ্ঞানীর নেতৃত্বে চকো ক্লাউড ফরেস্ট সম্পর্কে পরিচিতিমূলক কিছু আলোচনার পর পর্যটকদের একটি দলের সঙ্গে হয়তো আপনি মাশপির প্রধান আকর্ষণ ‘ড্রাগনফ্লাই ক্যানোপি গন্দোলা’য় চেপে বসবেন। এটি আসলে জঙ্গলের ওপর দিয়ে দুই কিলোমিটারের একটি কেব্ল কার রাইড।
ছাদ ছাড়া ধাতুর তৈরি কেব্ল কারটিতে ভ্রমণের সময় উঁচু উঁচু গাছগুলোর মাঝখান দিয়ে যাবেন। চাইলেই কোনো গাছের পাতা ছুঁয়ে দেখতে পারবেন। হয়তো বৃক্ষ শিখরে উঠে পড়া কোনো কাঠবিড়ালির দেখা মিলে যাবে। পাশ দিয়ে রঙিন ডানা মেলে উড়ে যাবে কোনো পাখি। ওপর থেকে নিচের অরণ্যও অন্য এক সৌন্দর্য নিয়ে ধরা দেবে আপনার চোখে। এত ওপরের আশ্চর্য শান্ত পরিবেশও আনন্দিত করবে আপনাকে।
এই যাত্রাপথে সঙ্গে থাকা গাইড হয়তো আপনাকে সংরক্ষণে মাশপি লজের নেওয়া নানা পদক্ষেপের বিষয় জানাবে। এখানকার বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষার উদ্দেশ্য নিয়েই এর পুরো নকশা করা হয়েছে। ‘বনের রক্ষক’ নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সৌরশক্তিচালিত ১০টি অডিও রেকর্ডার বসিয়েছে মাশপি লজ কর্তৃপক্ষ সংরক্ষিত বনটির বিভিন্ন অংশে। এটি করাতের শব্দ শনাক্ত করতে এবং এই অবৈধ কার্যকলাপের বিষয়ে পার্কের রেঞ্জারদের সতর্ক করতে সক্ষম।
প্রাণীদের গতিবিধি ও চলাফেরা পরীক্ষার জন্য ক্যামেরা ট্র্যাপও বসানো হয়েছে জঙ্গলের নানা অংশে। লজের পাশের একটি ছোট পরীক্ষাগারে মাশপিস রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা ক্যামেরাবন্দী হওয়া ছবিগুলো বিশ্লেষণ করেন। সংরক্ষিত বনটিতে ১৬টি নতুন প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মাশপি ম্যাগনোলিয়া নামের একটি উদ্ভিদ। এর কাণ্ডে বেড়ে ওঠে অর্কিডের মতো কয়েক ডজন পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ।
‘এ কারণেই এখানে গবেষণা করা এত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনেক নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের অপেক্ষায় আছে।’ বলেন মাশপির আবাসিক জীববিজ্ঞানী চিয়ারা করেরা। তিনি সংরক্ষিত এলাকাটির বন্য প্রাণী নিয়ে গবেষণা করছেন এবং লজের ধারেই বিজ্ঞানের কাছে নতুন এক জাতের অর্কিড আবিষ্কার করেছেন।
মেঘ-অরণ্যের বন্য প্রাণী, গাছপালা ও সংরক্ষণের প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানতে পর্যটকদের জঙ্গলের গভীরে নিয়ে যাওয়ার কেবল একটি পদ্ধতি ক্যানোপি গন্দোলা। এ ছাড়া লজের ‘লাইফ সেন্টারে’ প্রজাপতি এবং এদের আচরণ সম্পর্কে জানানো হয়। আবার দুজন উঠতে পারেন গন্দোলার এমন একটি পা-চালিত সংস্করণ স্কাই বাইকে চেপেও জঙ্গলের অন্ধি-সন্ধিতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়। এ সময় হয়তো দেখা হয়ে যেতে পারে খুদে পাখি হামিংবার্ডদের সঙ্গে।
শুধু জঙ্গলে ঘুরে বেড়ালে তো হবে না, খেতেও হবে। লজের ডাইনিং রুমে চারপাশের অরণ্যের দৃশ্য উপভোগ করতে করতে তিন বেলা খেতে পারবেন। মেন্যু ঋতুভেদে বদলায় এবং জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন উদ্ভিদ স্বাদে, গন্ধে খাবারগুলোকে করে তুলে অনন্য। যেমন বন্য রসুন এবং চিল্লাগুয়া (ধনেপাতার মতো) ব্যবহার করা হয় এখানকার নানা পদের খাবারে।
হয়তো সবজিতে ভরপুর একটি ‘মাউন্টেন স্টু’ ভাজা কাঁচা কলার পাশে প্লেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে আপনার। এতে শোভা বর্ধক হিসেবে থাকবে খাওয়ার উপযোগী ফুল। আখের রসের সঙ্গে মিষ্টি আনারস দিয়েও একটি পদ পরিবেশন করা হতে পারে।
বেশির ভাগ উপাদানই লজের ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়। ইকুয়েডরের নারীদের একটি নিয়মিত আয়ের উৎস তৈরির জন্য নারী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে কেনা হয় মধু, জ্যামসহ অনেক জিনিসই।
রাতেও গাইড জঙ্গল ভ্রমণে নিয়ে যাবে আপনাকে। হেডল্যাম্পের আলোয় দেখবেন নানা ধরনের গাছ। হয়তো কোনো গাছে দেখা পেয়ে যাবেন একটি অপোসামের (বৃক্ষচর স্তন্যপায়ী প্রাণী), কিংবা চোখ আটকে যাবে বিশ্রামরত কোনো ট্যারান্টুলা মাকড়সায়। সকালে লজের কাছের ৮৫ ফুট উঁচু অবজারভেশন টাওয়ারে দাঁড়ালেই চোখ জুড়িয়ে যাবে, দেখবেন মেঘেরা কীভাবে উঁচু গাছপালার ওপরে আর পাহাড়চূড়ায় জেঁকে বসেছে। তারপর যখন আশ্চর্য এই অরণ্য ও মাশপি লজ থেকে ফিরে আসবেন, আপনার মন চাইবে সেখানে কিংবা এমন কোনো মনোমুগ্ধকর রাজ্যে ফিরে যেতে এখনই তল্পিতল্পা গুছানো শুরু করতে।
সূত্র: বিবিসি

ইকুয়েডরের চকো ক্লাউড ফরেস্ট বিখ্যাত তার বৈচিত্র্যময় বন্য প্রাণী আর উদ্ভিদের জন্য। উঁচু উঁচু সব গাছপালার ওপরে ঝুলে থাকা মেঘেদের জন্য এ ধরনের জঙ্গল ‘মেঘ অরণ্য’ বা ক্লাউড ফরেস্ট নাম পায়। ক্লাউড ফরেস্টে প্রচুর বৃষ্টিপাতও হয়। চকো ক্লাউড ফরেস্ট সম্প্রতি আরেকটি কারণে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। সেটি বনের মধ্যে তৈরি করা বিলাসবহুল এক হোটেল।
চকো ক্লাউড ফরেস্টের মাত্র ২ শতাংশ প্রাকৃতিক বন অবশিষ্ট আছে এখন। এমন পরিস্থিতিতে মাশপি লজ বিলাসবহুল কিন্তু জঙ্গল ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্ভাবনী এক পদক্ষেপ নিয়েছে। রোমাঞ্চপ্রেমী অতিথিদের জঙ্গল অভিযানে এখানকার বন্য প্রাণী সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেওয়া হয়। ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো থেকে হোটেলটির দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের আশপাশে।
সকালের সূর্যের আলো যখন ঘন কুয়াশার পর্দায় ঢাকা চকো ক্লাউড ফরেস্টের গাছপালার মাঝখান দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে বের হচ্ছে, তখন মাশপি লজের একজন পর্যটক হয়তো গাছের শাখায় শাখায় উড়ে বেড়ানো রঙিন প্রজাপতি দেখছেন মুগ্ধ চোখে। এটা তিনি করছেন তাঁর শয্যায় শরীর এলিয়ে দিয়ে। বাইরের জগৎ এবং তাঁর মধ্যে ব্যবধান বলতে একটি কাচের দেয়াল। ‘ইকো-ট্যুরিজম’ নামের যে শব্দটির সঙ্গে আমরা পরিচিত, ইকুয়েডরের জঙ্গলের মাঝখানে অবস্থিত মাশপি লজের চেয়ে এর বড় উদাহরণ আর কিছু হতে পারে না।
জঙ্গলের মধ্যে অনেক উঁচু কোনো দালান নয় এটি। বিশাল সব কাচের জানালাসহ এর নকশা এভাবে করা হয়েছে, যেন জঙ্গল ও লজটির মধ্যে একটি নিবিড় সম্পর্ক থাকে।
হোটেলটি হয়তো ধনী পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। তবে এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে স্থানীয় অধিবাসীদের জীবন। মাশপির শতকরা ৮০ শতাংশ কর্মচারী আশপাশের অঞ্চলের বাসিন্দা। পর্যটনের বিকাশ মানেই এখনকার মানুষের বেঁচে থাকার একটি অবলম্বন তৈরি হওয়া। এর বিকল্প পেশা তাঁদের কাছে বনের গাছ কাটা ও খনি থেকে স্বর্ণ আহরণ। আর এগুলো করেই এখানকার মূল প্রাকৃতিক অরণ্যের কেবল ২ শতাংশ অবশিষ্ট আছে আর। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
এই হতাশাজনক পরিসংখ্যানই কুইটোর সাবেক মেয়র রোক সেভিয়াকে ২০০১ সালে চকো ক্লাউড ফরেস্টের এক টুকরো জমি কিনতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এটা তিনি করেন শুধু সংরক্ষণের স্বার্থেই। তারপর তিনি ক্রমাগত জমি কিনতে থাকেন। এর ফলাফল ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি সংরক্ষিত বন, ৬ হাজার ১৭৮ একরের মাশপি রিজার্ভ।
একটি গাছও কাটা পড়েনি গোটা লজটি বানাতে। তবে এটি তৈরির উপকরণ সংগ্রহ করা হয়েছে আশপাশের এলাকা থেকে, যেন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসারণ কম হয়।
গত এক দশকে মাশপি রিজার্ভের গবেষণায় ১৬টি নতুন প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা চকো ক্লাউড ফরেস্ট সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
লজের রেস্তোরাঁটিতে ব্যবহার করা বেশির ভাগ উপাদানের উৎস ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা। এটি ১৫টি স্থানীয় পরিবারের জীবিকা নির্বাহে এবং নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সাহায্য করে।

অরণ্যটি রক্ষায় এবং টেকসই পর্যটনের শক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় সম্প্রদায়কে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনার মিশন নিয়ে কাজ শুরু করা সেভিয়া একটি পুরোনো করাতকলের জায়গায় মাশপি লজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। ‘আমি দেখতে চাই যে মাশপির অতিথিরা এই বিস্ময়কর বন সংরক্ষণের উৎসাহী একজন মানুষ হিসেবে তাঁদের বাড়িতে ফিরে যাবেন।’ তিনি বলেন। সেভিয়া আশা করেন, এখানকার জঙ্গল ভ্রমণে যে অভিজ্ঞতা হয়, তা-ই অতিথিদের অরণ্যের প্রতি ভালোবাসার জন্ম নেয়।
মাশপির একজন আবাসিক জীববিজ্ঞানীর নেতৃত্বে চকো ক্লাউড ফরেস্ট সম্পর্কে পরিচিতিমূলক কিছু আলোচনার পর পর্যটকদের একটি দলের সঙ্গে হয়তো আপনি মাশপির প্রধান আকর্ষণ ‘ড্রাগনফ্লাই ক্যানোপি গন্দোলা’য় চেপে বসবেন। এটি আসলে জঙ্গলের ওপর দিয়ে দুই কিলোমিটারের একটি কেব্ল কার রাইড।
ছাদ ছাড়া ধাতুর তৈরি কেব্ল কারটিতে ভ্রমণের সময় উঁচু উঁচু গাছগুলোর মাঝখান দিয়ে যাবেন। চাইলেই কোনো গাছের পাতা ছুঁয়ে দেখতে পারবেন। হয়তো বৃক্ষ শিখরে উঠে পড়া কোনো কাঠবিড়ালির দেখা মিলে যাবে। পাশ দিয়ে রঙিন ডানা মেলে উড়ে যাবে কোনো পাখি। ওপর থেকে নিচের অরণ্যও অন্য এক সৌন্দর্য নিয়ে ধরা দেবে আপনার চোখে। এত ওপরের আশ্চর্য শান্ত পরিবেশও আনন্দিত করবে আপনাকে।
এই যাত্রাপথে সঙ্গে থাকা গাইড হয়তো আপনাকে সংরক্ষণে মাশপি লজের নেওয়া নানা পদক্ষেপের বিষয় জানাবে। এখানকার বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষার উদ্দেশ্য নিয়েই এর পুরো নকশা করা হয়েছে। ‘বনের রক্ষক’ নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সৌরশক্তিচালিত ১০টি অডিও রেকর্ডার বসিয়েছে মাশপি লজ কর্তৃপক্ষ সংরক্ষিত বনটির বিভিন্ন অংশে। এটি করাতের শব্দ শনাক্ত করতে এবং এই অবৈধ কার্যকলাপের বিষয়ে পার্কের রেঞ্জারদের সতর্ক করতে সক্ষম।
প্রাণীদের গতিবিধি ও চলাফেরা পরীক্ষার জন্য ক্যামেরা ট্র্যাপও বসানো হয়েছে জঙ্গলের নানা অংশে। লজের পাশের একটি ছোট পরীক্ষাগারে মাশপিস রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা ক্যামেরাবন্দী হওয়া ছবিগুলো বিশ্লেষণ করেন। সংরক্ষিত বনটিতে ১৬টি নতুন প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মাশপি ম্যাগনোলিয়া নামের একটি উদ্ভিদ। এর কাণ্ডে বেড়ে ওঠে অর্কিডের মতো কয়েক ডজন পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ।
‘এ কারণেই এখানে গবেষণা করা এত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনেক নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের অপেক্ষায় আছে।’ বলেন মাশপির আবাসিক জীববিজ্ঞানী চিয়ারা করেরা। তিনি সংরক্ষিত এলাকাটির বন্য প্রাণী নিয়ে গবেষণা করছেন এবং লজের ধারেই বিজ্ঞানের কাছে নতুন এক জাতের অর্কিড আবিষ্কার করেছেন।
মেঘ-অরণ্যের বন্য প্রাণী, গাছপালা ও সংরক্ষণের প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানতে পর্যটকদের জঙ্গলের গভীরে নিয়ে যাওয়ার কেবল একটি পদ্ধতি ক্যানোপি গন্দোলা। এ ছাড়া লজের ‘লাইফ সেন্টারে’ প্রজাপতি এবং এদের আচরণ সম্পর্কে জানানো হয়। আবার দুজন উঠতে পারেন গন্দোলার এমন একটি পা-চালিত সংস্করণ স্কাই বাইকে চেপেও জঙ্গলের অন্ধি-সন্ধিতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়। এ সময় হয়তো দেখা হয়ে যেতে পারে খুদে পাখি হামিংবার্ডদের সঙ্গে।
শুধু জঙ্গলে ঘুরে বেড়ালে তো হবে না, খেতেও হবে। লজের ডাইনিং রুমে চারপাশের অরণ্যের দৃশ্য উপভোগ করতে করতে তিন বেলা খেতে পারবেন। মেন্যু ঋতুভেদে বদলায় এবং জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন উদ্ভিদ স্বাদে, গন্ধে খাবারগুলোকে করে তুলে অনন্য। যেমন বন্য রসুন এবং চিল্লাগুয়া (ধনেপাতার মতো) ব্যবহার করা হয় এখানকার নানা পদের খাবারে।
হয়তো সবজিতে ভরপুর একটি ‘মাউন্টেন স্টু’ ভাজা কাঁচা কলার পাশে প্লেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে আপনার। এতে শোভা বর্ধক হিসেবে থাকবে খাওয়ার উপযোগী ফুল। আখের রসের সঙ্গে মিষ্টি আনারস দিয়েও একটি পদ পরিবেশন করা হতে পারে।
বেশির ভাগ উপাদানই লজের ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়। ইকুয়েডরের নারীদের একটি নিয়মিত আয়ের উৎস তৈরির জন্য নারী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে কেনা হয় মধু, জ্যামসহ অনেক জিনিসই।
রাতেও গাইড জঙ্গল ভ্রমণে নিয়ে যাবে আপনাকে। হেডল্যাম্পের আলোয় দেখবেন নানা ধরনের গাছ। হয়তো কোনো গাছে দেখা পেয়ে যাবেন একটি অপোসামের (বৃক্ষচর স্তন্যপায়ী প্রাণী), কিংবা চোখ আটকে যাবে বিশ্রামরত কোনো ট্যারান্টুলা মাকড়সায়। সকালে লজের কাছের ৮৫ ফুট উঁচু অবজারভেশন টাওয়ারে দাঁড়ালেই চোখ জুড়িয়ে যাবে, দেখবেন মেঘেরা কীভাবে উঁচু গাছপালার ওপরে আর পাহাড়চূড়ায় জেঁকে বসেছে। তারপর যখন আশ্চর্য এই অরণ্য ও মাশপি লজ থেকে ফিরে আসবেন, আপনার মন চাইবে সেখানে কিংবা এমন কোনো মনোমুগ্ধকর রাজ্যে ফিরে যেতে এখনই তল্পিতল্পা গুছানো শুরু করতে।
সূত্র: বিবিসি

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

ইকুয়েডরের চকো ক্লাউড ফরেস্ট বিখ্যাত তার বৈচিত্র্যময় বন্য প্রাণী আর উদ্ভিদের জন্য। এখানকার উঁচু উঁচু সব গাছপালার ওপরে ঝুলে থাকে মেঘেরা। সম্প্রতি আরেকটি কারণে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে অরণ্যটি। সেটি বনের মধ্যে তৈরি করা বিলাসবহুল এক হোটেল। জঙ্গলে সংরক্ষণেও কাজ করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
১২ অক্টোবর ২০২৩
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ইকুয়েডরের চকো ক্লাউড ফরেস্ট বিখ্যাত তার বৈচিত্র্যময় বন্য প্রাণী আর উদ্ভিদের জন্য। এখানকার উঁচু উঁচু সব গাছপালার ওপরে ঝুলে থাকে মেঘেরা। সম্প্রতি আরেকটি কারণে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে অরণ্যটি। সেটি বনের মধ্যে তৈরি করা বিলাসবহুল এক হোটেল। জঙ্গলে সংরক্ষণেও কাজ করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
১২ অক্টোবর ২০২৩
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ইকুয়েডরের চকো ক্লাউড ফরেস্ট বিখ্যাত তার বৈচিত্র্যময় বন্য প্রাণী আর উদ্ভিদের জন্য। এখানকার উঁচু উঁচু সব গাছপালার ওপরে ঝুলে থাকে মেঘেরা। সম্প্রতি আরেকটি কারণে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে অরণ্যটি। সেটি বনের মধ্যে তৈরি করা বিলাসবহুল এক হোটেল। জঙ্গলে সংরক্ষণেও কাজ করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
১২ অক্টোবর ২০২৩
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

ইকুয়েডরের চকো ক্লাউড ফরেস্ট বিখ্যাত তার বৈচিত্র্যময় বন্য প্রাণী আর উদ্ভিদের জন্য। এখানকার উঁচু উঁচু সব গাছপালার ওপরে ঝুলে থাকে মেঘেরা। সম্প্রতি আরেকটি কারণে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে অরণ্যটি। সেটি বনের মধ্যে তৈরি করা বিলাসবহুল এক হোটেল। জঙ্গলে সংরক্ষণেও কাজ করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
১২ অক্টোবর ২০২৩
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১ দিন আগে