জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

চারপাশে গাছগাছালিতে ঘেরা দিঘি ভরা পানি। পড়ন্ত বেলায় দিঘির পাড়ে নানা বয়সীদের সমাগম। কেউ বসে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, কেউবা ধরছেন মাছ। দিঘিতে চলছে সাঁতার কাটা ও গোসল—এই চিত্র চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানের ঐতিহাসিক আসকারদীঘির। কিন্তু সেটি এখন অতীত।
সাড়ে ৪০০ বছর আগে মুঘলদের শাসনামলে প্রায় সাড়ে ৮ একর জমিতে খনন করা এই দিঘির বেশির ভাগটাই চলে গেছে দখলদারদের পেটে। দিঘি আছে মাত্র ২ একর জায়গাজুড়ে। চারদিকে দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে ঘরবাড়ি, এমনকি মসজিদ-মন্দিরও। এখন দিঘির পাড়ে আর মানুষ বসতে পারে না। কারণ, এখন সেখানে বসলে নাকে সৌরভ ভেসে আসে না। দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে পথ চলাও দায়।
চট্টগ্রাম শহরের বুকে আসকারদীঘির মতোই আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিঘি বলুয়ারদীঘি। এটির চারপাশ দখল হয়ে গেছে। এটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত। এ রকম আরও অনেক দিঘি কিছু পুরো ভরাট হয়ে গেছে, আর কিছু ভরাট হওয়ার অপেক্ষায়। এসব দখলের পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের ছত্রচ্ছায়া।
আসকারদীঘি নামেই পরিচিত এলাকাটির স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জব্বার। ৭৫ বছর বয়সী সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দিঘিতে আমরা সাঁতার কেটেছি। আমাদের শৈশব কেটেছে এখানে। দিঘি ভরা পানি, চারপাশে গাছ। এখন তো সব দখল।’
কয়েক বছর ধরে বলুয়ারদীঘি দখলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন স্থানীয় মো. আরশেদ আজিম আরিফ। দখলের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, এমনকি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক চিঠি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের নীরব ভূমিকায় প্রভাবশালীরা দিঘিটি দখলে নিচ্ছেন প্রতিদিন। এক বছর আগে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আসকারদীঘি, বলুয়ারদীঘিসহ দখলে থাকা পুকুর জলাশয় পুনরুদ্ধার করার ঘোষণা দিলেও এখনো কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
আরশেদ আজিম আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরা দিনদুপুরে মাটি ফেলে বলুয়ারদীঘি দখল করছেন। প্রশাসনকে এ বিষয়ে বারবার বলার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন অভিযানও পরিচালনা করছে না।
মৎস অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ৩০ বছরে চট্টগ্রামে ১৯ হাজার ২৫০টি পুকুর–জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে বা দখল হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে অনেক ঐতিহ্যবাহী পুকুর-জলাশয়ও। তবে ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মোরশেদ হোসেন মোল্লার এক সমীক্ষায় চট্টগ্রাম শহরে ১ হাজার ২৪৯টি জলাশয়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এখনো বেঁচে থাকা চট্টগ্রাম শহরের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দিঘি ও ডেবা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। এগুলো হলো—চট্টগ্রামের কোতোয়ালির আসকারদীঘি, বলুয়ারদীঘি, আগ্রাবাদ ডেবা, পাহাড়তলীর জোর ডেবা ও ভেলুয়ারদীঘি। আসকারদীঘি ও বলুয়ারদীঘির চারদিকে উঠেছে বহুতল স্থাপনা; রয়েছে মসজিদ-মন্দিরও। দখল-দূষণে সংকুচিত হচ্ছে এনায়েত বাজার এলাকার রানীর দীঘি, পাহাড়তলীর পদ্মপুকুর, বড় মিয়ার মসজিদ পুকুর। বড়মিয়া মসজিদের পুকুর ওপরের উঠেছে মসজিদ। চারপাশে হয়ে গেছে দোকানপাঠও।
এ ছাড়া হালিশহরের খাজাদীঘি, চান্দগাঁওয়ের মুন্সি পুকুর, বাকলিয়ার আবদুল্লাহ সওদাগর পুকুর, আগ্রাবাদের দাম্মো দীঘি, কর্নেল হাট দীঘি, হাজারীর দীঘি, কারবালা পুকুর, কাজীর দীঘি ও রামপুর বড় পুকুরেরও আর অস্তিত্ব নেই। পাহাড়তলীর জোড় ডেবার আয়তন ২১ দশমিক ৪৮ একর।
সরেজমিন দেখা যায়, পাহাড়তলী বাজারের শেষে রেলওয়ের জোড় ডেবা। এটির চারপাশে ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাচ্ছে। গড়ে উঠেছে বস্তি-দোকান। জোড় ডেবার প্রবেশমুখ থেকে সোজা পশ্চিম ঝরনাপাড়া পর্যন্ত দুই শতাধিক বসতি ও ১২টি দোকান। এখান থেকে প্রতি মাসে গণি সরদারের লোকজন এসে আট হাজার টাকা নিয়ে যান বলে জানা গেছে। তবে, গণি সরদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
১৯ দশমিক ৭৮ একর আয়তনের আগ্রাবাদ জলাশয়। এই জলাশয়ের এক পাড়ে রেলওয়ের বাসা, অন্য পাড়ে বসতি-দোকান। স্থানীয়রা জানান, অন্তত পাঁচ শতাধিক বাসা-দোকান গড়ে উঠেছে। এখান থেকেও প্রতি মাসে টাকা তোলা হয়। প্রতিবছর এখানেও প্রায় অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্য হয়। হাবিব উল্লাহ চৌধুরী এই টাকা তোলেন বলে অভিযোগ। তবে তিনি এসব অস্বীকার করেন।
পাহাড়তলীর ১৩ দশমিক ৭৪ একরের ভেলুয়ার দীঘি ঘিরে প্রায় তিন দশক ধরে চলছে দখলের মহোৎসব। এতে কমে গেছে দিঘির আয়তন। ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটন ও নূর হোসেন বাক্কু এই জলাশয় দখলের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাঁরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের তথ্যমতে, ১৯৯১ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের এক জরিপে ১৯ হাজার ২৫০টি পুকুর-জলাশয়ের অস্তিত্ব মেলে। ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক জরিপে চার হাজার ৫২৩টি পুকুর-জলাশয় পাওয়া যায়।
পরিবেশবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা রসায়নের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৯৯১ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের জরিপে ১৯ হাজার ২৫০টি পুকুর-জলাশয়ের অস্তিত্ব মেললেও এখন (২০২৪ সালে) ১০ শতাংশও নেই। অর্থাৎ এখন ২০০ মতো জলাশয় আছে। তাও দখল হয়ে গেছে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব দিঘি-জলাশয় দখল হচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব দিঘি-পুকুর ও জলাশয় দখলে নিতে বেশ অভিনব কৌশল নেওয়া হয়। প্রভাবশালীরা প্রথমে পুকুরের পাশের নাল জমিতে ছোট স্থাপনা নির্মাণ করেন। পরে স্থাপনার পাশে ধীরে ধীরে পুকুর ভরাট করেন। একসময়ে ভূমি অফিসে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার আবেদন করেন। পরিদর্শনে গিয়ে ভূমি অফিসের লোকজন যদি দেখেন, পুকুরের কোনো অস্তিত্ব নেই, তখন তারা শ্রেণি পরিবর্তনের পক্ষে প্রতিবেদন দেন। এভাবে পুকুর নাল কিংবা কিলা ভুমিতে পরিণত হয়।
অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী বলেন, মানুষ কৌশলে পুকুরের শ্রেণি পরিবর্তন করছে। এ ক্ষেত্রে খতিয়ানে জমির শ্রেণির পুকুর লেখা না থাকলে প্রতিকার পাওয়া দুষ্কর। পুকুর-জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন জনপ্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচাল মো. ফেরদৌস আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুকুর ভরাটের কোনো সংবাদ পেলে আমরা দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি; জরিমানা করি। কিছুদিন আগে কর্ণফুলীতে পুকুর ভরাট করায় জরিমানা করেছি। যেগুলো ভরাট হয়ে গেছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে খতিয়ান দেখে জলাশয় থাকলে, খনন করে আগের অবস্থায় ফিরে নিয়ে আসি। তবে এ ক্ষেত্রে মানুষকে আগে সচেতন হতে হবে।’

চারপাশে গাছগাছালিতে ঘেরা দিঘি ভরা পানি। পড়ন্ত বেলায় দিঘির পাড়ে নানা বয়সীদের সমাগম। কেউ বসে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, কেউবা ধরছেন মাছ। দিঘিতে চলছে সাঁতার কাটা ও গোসল—এই চিত্র চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানের ঐতিহাসিক আসকারদীঘির। কিন্তু সেটি এখন অতীত।
সাড়ে ৪০০ বছর আগে মুঘলদের শাসনামলে প্রায় সাড়ে ৮ একর জমিতে খনন করা এই দিঘির বেশির ভাগটাই চলে গেছে দখলদারদের পেটে। দিঘি আছে মাত্র ২ একর জায়গাজুড়ে। চারদিকে দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে ঘরবাড়ি, এমনকি মসজিদ-মন্দিরও। এখন দিঘির পাড়ে আর মানুষ বসতে পারে না। কারণ, এখন সেখানে বসলে নাকে সৌরভ ভেসে আসে না। দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে পথ চলাও দায়।
চট্টগ্রাম শহরের বুকে আসকারদীঘির মতোই আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিঘি বলুয়ারদীঘি। এটির চারপাশ দখল হয়ে গেছে। এটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত। এ রকম আরও অনেক দিঘি কিছু পুরো ভরাট হয়ে গেছে, আর কিছু ভরাট হওয়ার অপেক্ষায়। এসব দখলের পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের ছত্রচ্ছায়া।
আসকারদীঘি নামেই পরিচিত এলাকাটির স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জব্বার। ৭৫ বছর বয়সী সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দিঘিতে আমরা সাঁতার কেটেছি। আমাদের শৈশব কেটেছে এখানে। দিঘি ভরা পানি, চারপাশে গাছ। এখন তো সব দখল।’
কয়েক বছর ধরে বলুয়ারদীঘি দখলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন স্থানীয় মো. আরশেদ আজিম আরিফ। দখলের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, এমনকি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক চিঠি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের নীরব ভূমিকায় প্রভাবশালীরা দিঘিটি দখলে নিচ্ছেন প্রতিদিন। এক বছর আগে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আসকারদীঘি, বলুয়ারদীঘিসহ দখলে থাকা পুকুর জলাশয় পুনরুদ্ধার করার ঘোষণা দিলেও এখনো কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
আরশেদ আজিম আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরা দিনদুপুরে মাটি ফেলে বলুয়ারদীঘি দখল করছেন। প্রশাসনকে এ বিষয়ে বারবার বলার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন অভিযানও পরিচালনা করছে না।
মৎস অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ৩০ বছরে চট্টগ্রামে ১৯ হাজার ২৫০টি পুকুর–জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে বা দখল হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে অনেক ঐতিহ্যবাহী পুকুর-জলাশয়ও। তবে ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মোরশেদ হোসেন মোল্লার এক সমীক্ষায় চট্টগ্রাম শহরে ১ হাজার ২৪৯টি জলাশয়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এখনো বেঁচে থাকা চট্টগ্রাম শহরের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দিঘি ও ডেবা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। এগুলো হলো—চট্টগ্রামের কোতোয়ালির আসকারদীঘি, বলুয়ারদীঘি, আগ্রাবাদ ডেবা, পাহাড়তলীর জোর ডেবা ও ভেলুয়ারদীঘি। আসকারদীঘি ও বলুয়ারদীঘির চারদিকে উঠেছে বহুতল স্থাপনা; রয়েছে মসজিদ-মন্দিরও। দখল-দূষণে সংকুচিত হচ্ছে এনায়েত বাজার এলাকার রানীর দীঘি, পাহাড়তলীর পদ্মপুকুর, বড় মিয়ার মসজিদ পুকুর। বড়মিয়া মসজিদের পুকুর ওপরের উঠেছে মসজিদ। চারপাশে হয়ে গেছে দোকানপাঠও।
এ ছাড়া হালিশহরের খাজাদীঘি, চান্দগাঁওয়ের মুন্সি পুকুর, বাকলিয়ার আবদুল্লাহ সওদাগর পুকুর, আগ্রাবাদের দাম্মো দীঘি, কর্নেল হাট দীঘি, হাজারীর দীঘি, কারবালা পুকুর, কাজীর দীঘি ও রামপুর বড় পুকুরেরও আর অস্তিত্ব নেই। পাহাড়তলীর জোড় ডেবার আয়তন ২১ দশমিক ৪৮ একর।
সরেজমিন দেখা যায়, পাহাড়তলী বাজারের শেষে রেলওয়ের জোড় ডেবা। এটির চারপাশে ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাচ্ছে। গড়ে উঠেছে বস্তি-দোকান। জোড় ডেবার প্রবেশমুখ থেকে সোজা পশ্চিম ঝরনাপাড়া পর্যন্ত দুই শতাধিক বসতি ও ১২টি দোকান। এখান থেকে প্রতি মাসে গণি সরদারের লোকজন এসে আট হাজার টাকা নিয়ে যান বলে জানা গেছে। তবে, গণি সরদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
১৯ দশমিক ৭৮ একর আয়তনের আগ্রাবাদ জলাশয়। এই জলাশয়ের এক পাড়ে রেলওয়ের বাসা, অন্য পাড়ে বসতি-দোকান। স্থানীয়রা জানান, অন্তত পাঁচ শতাধিক বাসা-দোকান গড়ে উঠেছে। এখান থেকেও প্রতি মাসে টাকা তোলা হয়। প্রতিবছর এখানেও প্রায় অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্য হয়। হাবিব উল্লাহ চৌধুরী এই টাকা তোলেন বলে অভিযোগ। তবে তিনি এসব অস্বীকার করেন।
পাহাড়তলীর ১৩ দশমিক ৭৪ একরের ভেলুয়ার দীঘি ঘিরে প্রায় তিন দশক ধরে চলছে দখলের মহোৎসব। এতে কমে গেছে দিঘির আয়তন। ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটন ও নূর হোসেন বাক্কু এই জলাশয় দখলের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাঁরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের তথ্যমতে, ১৯৯১ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের এক জরিপে ১৯ হাজার ২৫০টি পুকুর-জলাশয়ের অস্তিত্ব মেলে। ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক জরিপে চার হাজার ৫২৩টি পুকুর-জলাশয় পাওয়া যায়।
পরিবেশবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা রসায়নের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৯৯১ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের জরিপে ১৯ হাজার ২৫০টি পুকুর-জলাশয়ের অস্তিত্ব মেললেও এখন (২০২৪ সালে) ১০ শতাংশও নেই। অর্থাৎ এখন ২০০ মতো জলাশয় আছে। তাও দখল হয়ে গেছে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব দিঘি-জলাশয় দখল হচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব দিঘি-পুকুর ও জলাশয় দখলে নিতে বেশ অভিনব কৌশল নেওয়া হয়। প্রভাবশালীরা প্রথমে পুকুরের পাশের নাল জমিতে ছোট স্থাপনা নির্মাণ করেন। পরে স্থাপনার পাশে ধীরে ধীরে পুকুর ভরাট করেন। একসময়ে ভূমি অফিসে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার আবেদন করেন। পরিদর্শনে গিয়ে ভূমি অফিসের লোকজন যদি দেখেন, পুকুরের কোনো অস্তিত্ব নেই, তখন তারা শ্রেণি পরিবর্তনের পক্ষে প্রতিবেদন দেন। এভাবে পুকুর নাল কিংবা কিলা ভুমিতে পরিণত হয়।
অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী বলেন, মানুষ কৌশলে পুকুরের শ্রেণি পরিবর্তন করছে। এ ক্ষেত্রে খতিয়ানে জমির শ্রেণির পুকুর লেখা না থাকলে প্রতিকার পাওয়া দুষ্কর। পুকুর-জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন জনপ্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচাল মো. ফেরদৌস আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুকুর ভরাটের কোনো সংবাদ পেলে আমরা দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি; জরিমানা করি। কিছুদিন আগে কর্ণফুলীতে পুকুর ভরাট করায় জরিমানা করেছি। যেগুলো ভরাট হয়ে গেছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে খতিয়ান দেখে জলাশয় থাকলে, খনন করে আগের অবস্থায় ফিরে নিয়ে আসি। তবে এ ক্ষেত্রে মানুষকে আগে সচেতন হতে হবে।’

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৭ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

চারপাশে গাছগাছালিতে ঘেরা দিঘি ভরা পানি। পড়ন্ত বেলায় দিঘির পাড়ে নানা বয়সীদের সমাগম। কেউ বসে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, কেউবা ধরছেন মাছ। দিঘিতে চলছে সাঁতার কাটা ও গোসল—এই চিত্র চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানের ঐতিহাসিক আসকারদীঘির। কিন্তু সেটি এখন অতীত।
১৭ জুন ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

চারপাশে গাছগাছালিতে ঘেরা দিঘি ভরা পানি। পড়ন্ত বেলায় দিঘির পাড়ে নানা বয়সীদের সমাগম। কেউ বসে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, কেউবা ধরছেন মাছ। দিঘিতে চলছে সাঁতার কাটা ও গোসল—এই চিত্র চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানের ঐতিহাসিক আসকারদীঘির। কিন্তু সেটি এখন অতীত।
১৭ জুন ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৭ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

চারপাশে গাছগাছালিতে ঘেরা দিঘি ভরা পানি। পড়ন্ত বেলায় দিঘির পাড়ে নানা বয়সীদের সমাগম। কেউ বসে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, কেউবা ধরছেন মাছ। দিঘিতে চলছে সাঁতার কাটা ও গোসল—এই চিত্র চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানের ঐতিহাসিক আসকারদীঘির। কিন্তু সেটি এখন অতীত।
১৭ জুন ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৭ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

চারপাশে গাছগাছালিতে ঘেরা দিঘি ভরা পানি। পড়ন্ত বেলায় দিঘির পাড়ে নানা বয়সীদের সমাগম। কেউ বসে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, কেউবা ধরছেন মাছ। দিঘিতে চলছে সাঁতার কাটা ও গোসল—এই চিত্র চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানের ঐতিহাসিক আসকারদীঘির। কিন্তু সেটি এখন অতীত।
১৭ জুন ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৭ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে