Ajker Patrika

সোহানুর রহমান সোহানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শোবিজ

সোহানুর রহমান সোহানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শোবিজ

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান মারা গেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সোহানুর রহমানের মৃত্যুতে শোবিজে শোক নেমেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারকারা স্মরণ করছেন তাঁর সঙ্গে নানান স্মৃতি। সোহানুর রহমানকে নিয়ে আজকের পত্রিকার কথা হয় তারকাদের সঙ্গে। তারকারা জানিয়েছেন সোহানুর রহমান সোহানের সঙ্গে সম্পর্ক ও তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা।

অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। ছবি: সংগৃহীতবুঝতে পারিনি জীবনের শেষ দোয়া চেয়ে নিল সে

—ইলিয়াস কাঞ্চন, অভিনেতা

সোহান ও আমার ক্যারিয়ার শুরু একসঙ্গে। একই বছর, ১৯৭৭ সালে আমি অভিনয় শুরু করি, আর সোহান কাজ শুরু করে শিবলি সাদিকের সঙ্গে। তাঁর প্রথম সিনেমাতেও আমি অভিনয় করেছি। আমার নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনেও সে আমার পাশে ছিল সব সময়। নিরাপদ সড়ক চাই-এর কার্যকরী পরিষদের সদস্যও ছিল সে। সব মিলিয়ে আমার জীবনের একটা বড় অংশ ছিল সোহান। সেদিন এফডিসির কমপ্লেক্স উদ্বোধনের দিন তাঁর সঙ্গে আমার শেষ দেখা। বরাবরই যা হয়, দেখা হলেই দোয়া চায়, এবারও চেয়েছে। বুঝতে পারিনি জীবনের শেষ দোয়া চেয়ে নিল সে। ভালো মানুষ ছিলেন বলেই হয়তো আল্লাহ তাঁকে শান্তির মৃত্যু দিয়েছেন। ঘুমের মধ্যেই চলে গেল আমার প্রিয় মানুষটি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।

অভিনেত্রী মৌসুমী। ছবি: সংগৃহীতখুব কষ্ট লাগছে, তিনি ট্রিটমেন্টটা নিতে পারলেন না

—মৌসুমী, অভিনেত্রী

কী বলব এই সময়ে! বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। সোহান ভাই তো আমার জীবনের অংশ। তাঁর ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়েই আমি চলচ্চিত্র জগতে এসেছি। তাঁর যত সৃষ্টি, যত সিনেমা, যত ভালো কাজ সব স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে। তিনি অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁর ট্রিটমেন্ট হওয়ার কথা ছিল। খুব কষ্ট লাগছে, তিনি ট্রিটমেন্টটা নিতে পারলেন না। তার আগেই চলে গেলেন। অনেক দোয়া করি সোহান ভাই, আল্লাহ যেন আপনাকে ভালো রাখেন।

অভিনেতা ওমর সানি। ছবি: সংগৃহীততাঁর মতো জ্ঞানী আর গুণী নির্মাতা দেশের সম্পদ
—ওমর সানি, অভিনেতা

এমন মৃত্যুর সংবাদ থমকে দেয় সবাইকে। স্ত্রী চলে যাওয়ার একদিন পরেই চলে গেলেন গুণী নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। কী বেদনাদায়ক ঘটনা। তাঁর সঙ্গে তো আমার পিতা-পুত্রের সম্পর্ক। মান-অভিমানও ছিল আমাদের মাঝে। আমি মনে করি, তিনি মৌসুমীকে সিনেমায় এনেছিলেন বলেই আজ তাঁকে আমি জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি। মৌসুমীর কাছেও তো তিনি পিতার সমান। আমি নিজেও তাঁর সিনেমায় অভিনয় করেছি। তাঁর মতো জ্ঞানী আর গুণী নির্মাতা দেশের সম্পদ। দোয়া করি আল্লাহ তাঁকে ভালো রাখুন।

অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীতবাংলা চলচ্চিত্রে অমর হয়ে থাকবেন তিনি

—অপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী 

সোহান ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদটা শোনার পর বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। গতকাল তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন। ভেবেছিলাম সেই খবরটাই মনে হয় ছড়িয়েছে। যখন শুনলাম সত্যি তিনি আর নেই তখন আমার মধ্যে একটা শূন্যতা কাজ করছিল। ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না এটা কত কষ্টের। আমার সৌভাগ্য হয়েছে তাঁর মতো গুণী নির্মাতার সঙ্গে কাজ করার। সোহান ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ করেছি ‘কথা দাও সাথী হবে’ সিনেমায়। তাঁর সঙ্গে আমার খুব মিষ্টি মধুর সম্পর্ক ছিল। আমার মনে আছে কথা দাও সাথী হবে সিনেমার শুটিং হওয়ার কথা ছিল গুলশানে। ব্যস্ত এলাকা হওয়ার কারণে আমি শুটিং করতে রাজি হচ্ছিলাম না। তখন ওনার সঙ্গে আমার চুক্তি হয়েছিল প্রত্যেকটা শটের পর আমাকে কিটক্যাট চকলেট দিতে হবে। পরে তিনি পকেটে ২০ টির মতো চকলেট রেখে দিয়েছিল। সবগুলো চকলেট নেওয়ার জন্য অল্প করে শট দিচ্ছিলাম। এ কারণে পরে আমি তাকে সরি বলেছিলাম। তিনি হেসে দিয়ে বলল ‘আরে পাগল তুমি তো আমার মেয়ের মতো। আমি জানতাম তুমি সব চকলেট খাবে। এ জন্য আমিও অল্প করে শট নেওয়ার পর ওকে ওকে বলছিলাম। যাতে তুমি সব নিতে পারো।’

আরও কত কথা যে আছে তাঁকে নিয়ে। এই মুহূর্তে একটি কথা খুব মনে পড়ছে। একবার চ্যানেল আইতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সোহান ভাই। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আপনার হাত ধরে অনেক জনপ্রিয় শিল্পী তৈরি হয়েছে। বিশেষ এ দিনে এখানে আরেকজন অতিথি থাকলে আপনার পাশে কোন শিল্পীকে রাখতে চান। তিনি বলেছিলেন, আমি অপু বিশ্বাসকে আমার পাশে দেখতে চাইতাম। এটা আমার জীবনের অন্যতম বড় কমপ্লিমেন্ট। তাঁর কাছ থেকে এ রকম মন্তব্য শোনা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এ ছাড়া আমার প্রযোজিত প্রথম সিনেমা লাল শাড়ির প্রিমিয়ারে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে কাছে পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল। সোহান ভাই বাংলা চলচ্চিত্রে অমর হয়ে থাকবেন। একটাই চাওয়া সৃষ্টি তিনি যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক। তাঁর পরিবার যেন এই কঠিন সময়ে শক্ত থাকতে পারে।

দীর্ঘদিন ধরেই স্নায়বিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। টাঙ্গাইলে স্ত্রীর দাফন শেষে উত্তরার বাসভবনে ফিরে আসেন সোহান। আজ দুপুরে ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সন্ধ্যা নাগাদ তাঁর সাড়া মিলছিল না। এ অবস্থায় তাঁকে দ্রুত উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তকাল রাতেই মারা গেছেন সোহানের স্ত্রী প্রিয়া। স্ত্রীর মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই তিনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

সোহানুর রহমান সোহান ক্যারিয়ার শুরু করেন নির্মাতা শিবলী সাদিকের সহকারী পরিচালক হিসেবে। নির্মাতা হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ১৯৮৮ সালে ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ সিনেমা দিয়ে। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে নির্মাতা হিসেবে জনপ্রিয়তা পান তিনি। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত আলোচিত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘আমার দেশ আমার প্রেম’, ‘স্বজন’, ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘স্বামী ছিনতাই’, ‘আমার জান আমার প্রাণ’, ‘পরান যায় জ্বলিয়া রে’ ইত্যাদি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাক্ষস সিনেমায় অভিনয়ের গুঞ্জন নাকচ করলেন ইধিকা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪২
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।

আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।

এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।

এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রকাশিত হলো শিরোনামহীনের ‘এই অবেলায় ২’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।

‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।

২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।

শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপে সোনার বাংলা সার্কাস

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।

সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।

এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।

রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘মিশন: ইম্পসিবল’সহ এসেছে যেসব সিনেমা-সিরিজ

বিনোদন ডেস্ক
‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমার দৃশ্য ছবি: সংগৃহীত
‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমার দৃশ্য ছবি: সংগৃহীত

অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)

  • অভিনয়: শাকিব খান, দর্শনা বণিক
  • মুক্তি: আইস্ক্রিন (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ছোটবেলায় প্রথমের (শাকিব) মা-বাবা খুন হয় সন্ত্রাসীদের হাতে। বড় হয়ে প্রথম হয়ে ওঠে সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক। কিছুরই অভাব নেই তার। তবে সে খুব একা। তার সঙ্গে দেখা হয় রূপকথার (দর্শনা)। তার প্রেমে পড়ে প্রথম। বিয়েও করে। তবু তার জীবনে স্থিরতা আসে না।

বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)

  • অভিনয়: তুষার চৌধুরী, মিরান্দা দাস, সুধির রায়
  • মুক্তি: বঙ্গ (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: উত্তরবঙ্গের এক নিভৃত গ্রামে কানাই আর কোয়েলের নিষ্পাপ প্রেমের গল্প বিহান। ক্রাউড ফান্ডে সিনেমাটি বানিয়েছেন সৌরভ সাহা।

মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)

  • অভিনয়: টম ক্রুজ, হেইলি অ্যাটওয়েল, ভিং র‍্যামস
  • মুক্তি: প্রাইম ভিডিও (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং দিয়ে শেষ হলো ইথান হান্টের যাত্রা। এ পর্বের পর আর এই চরিত্রে দেখা যাবে না টম ক্রুজকে। ১৯৯৬ সালে মিশন ইম্পসিবলের সঙ্গে যে জার্নি শুরু হয়েছিল টমের, ২০২৫ সালে দ্য ফাইনাল রেকনিং দিয়ে শেষ হলো সেই সফর। এ সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য লড়াই করে ইথান হান্ট ও তার টিম।

জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)

  • অভিনয়: জর্জ ক্লুনি, অ্যাডাম স্যান্ডলার
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (৫ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: এক জনপ্রিয় অভিনেতা (ক্লুনি) এবং তার ম্যানেজারের (স্যান্ডলার) মধ্যকার বন্ধুত্বের গল্প। কয়েক দশক ধরে ক্যারিয়ারকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার পর জীবন নিয়ে নতুন উপলব্ধি হয় অভিনেতার। মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ইউরোপের উদ্দেশে রওনা হয়। সঙ্গী হয় ম্যানেজার। এই যাত্রা অভিনেতাকে যেন নতুন জীবন দেয়।

দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

  • অভিনয়: তিরাদন সুপাপুনপিনিও, পাচারা চিরাথিভাত, আচিয়ারা
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: থাইল্যান্ডের এই ক্রাইম সিরিজের দ্বিতীয় পর্বেও তিন উদ্যোক্তার ব্যবসায়িক উদ্যোগের গল্প দেখা যাবে। একটি বৌদ্ধ মন্দির পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করে তারা। দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় রাজনীতি তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তৈরি হয় দ্বন্দ্ব, বিশৃঙ্খলা।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত