Ajker Patrika

কাজী নজরুলের গান বিকৃতি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ২৩: ৫৮
কাজী নজরুলের গান বিকৃতি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় পরিবার

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটিতে এ আর রাহমানের সুরারোপ নিয়ে বিতর্কে উত্তাল বাংলাদেশ ও ভারত। গানটির সম্পূর্ণ ‘বিকৃতি’ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অগ্রগণ্য নজরুলসংগীতশিল্পীরা। আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে কাজী পরিবার। 

এই গান বিকৃতির প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার আয়োজনে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে কবির নাতনি মিষ্টি কাজী বলেন, ‘আমি পরিবারের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাই। যেন একটি কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হয় এ ব্যাপারে। আমি নজরুল ইসলামের নাতি হিসেবে পরিবারের তরফ থেকে বলছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেন।’ 

‘কারণ এটা আমাদের জাতীয় কবির গান। তিনি শুধু বাংলার নন, সারা বিশ্বের একজন শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি। তাঁর জন্য আপনারা এগিয়ে এলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। এখন আমাদের প্রতিবাদ করার সময়। তাঁর গান কেন বিকৃত করা হলো? তাঁকে কে অনুমতি দিয়েছে? এ আর রাহমানের জানার দরকার ছিল যে, তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। আমার দাদু কাজী নজরুল ইসলামকে আমি অপমানিত হতে দেব না।’ 
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল। তিনি বলেন, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট গানের নজরুল সুরারোপিত আদি রেকর্ডটির প্রাপ্যতা সত্ত্বেও বিকৃত সুরে এর পরিবেশনা কেবল অন্যায় ও বেআইনি নয়, নজরুলের সৃষ্টির প্রতি অবজ্ঞাও বটে, তাই এটি নিতান্তই ঘৃণ্য ও হীন অপকর্ম।’ 

আয়োজনে শিল্পী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অনেক বিখ্যাত গানও সম্পূর্ণ ভিন্ন সুরে অনেকে গেয়েছেন। রেকর্ড করেছেন, পরিচিতিও পেয়েছেন। আস্তে আস্তে আবার শিল্পীরা সে গানের মূল সুর খুঁজে বের করে সেই সুরে গেয়েছেন। তেমনি নজরুল বিস্ময়কর প্রতিভা নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু জীবনের ব্যস্ততম সময়ে তিনি নির্বাক হয়ে গিয়েছিলেন। ফলে অনেক ধরনের সমস্যা হয়েছে। বিকৃত বা পরিবর্তিত ব্যাপারটা হয়েই এসেছে। 

‘যেহেতু দুর্গম গীরি কান্তার মরু বা কারার ঐ লৌহ কপাট অতি প্রতিষ্ঠিত গান। এ কারণেই আমাদের বেশি করে চিত্তে আঘাত দিয়েছে যে এভাবে করা উচিত হয়নি। আমরা সংস্কৃতিকর্মীরা এসেছি সবাই প্রতিবাদ করছি। এখানে একটি বিষয় একটু খেয়াল রাখতে হবে। সেটা হচ্ছে এ আর রাহমান এই উপমহাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ সংগীতকার। অকারণে তাঁকে যেন গালিগালাজ না করা হয়।’ 

খায়রুল আনাম শাকিল লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘এই গানটি অবিকৃত সুরে বিভিন্ন চলচ্চিত্রেও ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংগ্রামে মুক্তিসংগ্রামী ও যোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এই গানটির নজরুল সুরারোপিত আদি রেকর্ডটির প্রাপ্যতা সত্ত্বেও এর পরিবেশনা কেবল অন্যায় ও বেআইনি নয়, নজরুলের সৃষ্টির প্রতিও অবজ্ঞা প্রদর্শন। এটি নিতান্ত ঘৃণ্য ও হীন অপকর্ম, একধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক অনাচার।’

জ্যেষ্ঠ সংগীতশিল্পী বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘এ আর রাহমানের সংগীতায়োজনে বিকৃত সুরে কণ্ঠ মিলিয়েছেন বেশ কজন বাঙালি পেশাদার শিল্পী। তারা শিল্পী জাতির অযোগ্য। প্রতিবাদ চলছে, পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। গানটি ইউটিউব থেকে সরাতে হবে। সিনেমার জন্য গানটি আবার রেকর্ড করতে হবে এবং তা করতে হবে সঠিক সুরে। পরে ক্ষমাপ্রার্থনা করে সেই গানটি তারা সিনেমায় ব্যবহার করলে আমাদের আপত্তি নেই।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ আর রাহমানের কাণ্ডে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে, যেন উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় নজরুলের গান বিকৃত করা যায় না।’

সাদিয়া আফরিন মল্লিক বলেন, ‘জাতীয় কবির গান খোলনলচে বদলে দিয়ে এ আর রাহমান জাতির অস্তিত্বে নাড়া দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, রাজা কৃষ্ণ মেনন পরিচালিত ‘পিপ্পা’ ছবির জন্য এ আর রাহমান ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানে নতুন করে সুরারোপ করেন। কিন্তু গানটি ৭ নভেম্বর ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তীব্র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ ও ভারতে। তীব্র প্রতিবাদ জানান শিল্পীরা। 

তাঁদের অভিযোগ, এটি রিমেক নয়, গানের পুরো সুর বিকৃত করেছেন রাহমান। প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় গণনাট্য সংঘ, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটিও। এই প্রতিবাদ এখনো অব্যাহত আছে। যদিও এ ব্যাপারে এই ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি এন্টারটেইনমেন্ট এবং এ আর রাহমানের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিক, শাহীন সামাদ, ইয়াসমিন মুশতারী, লীনা তাপসী খান, সুজিত মুস্তাফা, বুলবুল ইসলাম, নজরুল গবেষক মাহবুবুল হক প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রটারড্যাম উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’ সিনেমার

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির। রইদ পরিচালনা করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, মাস্টার সিনেমার পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে গত নভেম্বরে দেশের হলে মুক্তি পাওয়া মোহাম্মদ তাওকীর ইসলামের ‘দেলুপি’।

‘হাওয়া’ দিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয় মেজবাউর রহমান সুমনের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন তিনি। তিন বছর পর তিনি নিয়ে আসছেন দ্বিতীয় সিনেমা রইদ। গত বছর রইদ সিনেমার শুটিং শুরু করেছিলেন সুমন। এতে অভিনয় করছেন মোস্তাফিজ নূর ইমরান, নাজিফা তুষি, গাজী রাকায়েতসহ অনেকে। নির্মাতা জানিয়েছিলেন, সিনেমার বিস্তারিত জানানো হবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে। অবশেষে গতকাল এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো রইদ সিনেমার। এই সিনেমার প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে রটারড্যাম উৎসবে। এরপর মুক্তি দেওয়া হবে দেশের হলে।

রইদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে টাইগার প্রতিযোগিতা (মূল প্রতিযোগিতা) বিভাগে। নির্মাতা জানান, এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা রটারড্যামের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে আমন্ত্রণ পেয়েছে। এই বিভাগে রইদসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১২টি সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে। এই সিনেমাগুলো থেকে নির্বাচকেরা বাছাই করবেন উৎসবের সেরা সিনেমা।

রইদ সিনেমার গল্প নিয়ে সুমন বলেন, ‘সাধু, তার পাগল স্ত্রী এবং তাদের বাড়ির পাশের তালগাছকে ঘিরে আবর্তিত এই গল্পে আমরা আদতে আদম ও হাওয়ার আদিম আখ্যানকেই খোঁজার চেষ্টা করেছি। আমরা সেই হাজার বছরের পুরোনো আখ্যানকে বর্তমানে পুনর্নির্মাণ করেছি, তবে সময়ের বর্তমানে নয়, বরং অনুভূতির বর্তমানে। এই সিনেমার প্রতিটি স্তরে জড়িয়ে আছে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের দেখা গ্রামীণ বাংলার আবহ।’

মোস্তাফিজ নূর ইমরান ও নাজিফা তুষি। ছবি: সংগৃহীত
মোস্তাফিজ নূর ইমরান ও নাজিফা তুষি। ছবি: সংগৃহীত

রইদের গল্প লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন ও সেলিনা বানু মনি। চিত্রনাট্য করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, জাহিন ফারুক আমিন, সিদ্দিক আহমেদ ও সুকর্ণ শাহেদ ধীমান। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে বঙ্গ, সহপ্রযোজনায় আছে ফেসকার্ড প্রোডাকশন।

এদিকে রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরানায় রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত বানিয়েছেন মাস্টার। গত বছর এপ্রিলে শেষ হয়েছিল সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার শুটিং। মাস্টারের শুটিং-পরবর্তী কাজ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। একটি উপজেলার স্থানীয় রাজনীতি এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। সিনেমাটি প্রতিযোগিতা করবে রটারড্যাম উৎসবের বিগ স্ক্রিন কম্পিটিশন বিভাগে

গল্পে দেখা যাবে, জহির আহমেদ নামের এক শিক্ষক সমাজসেবায় এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয়। ওই এলাকার উপজেলা নির্বাচনের সময় প্রার্থীর অভাব দেখা দেয়। তখন শিক্ষক জহির আহমেদকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী। সবার অনুরোধে ভোটে দাঁড়িয়ে যায় জহির। ভোটে জয় পেয়ে চেয়ারম্যানও হয়। উপজেলার চেয়ারম্যান হওয়ার পর বদলে যায় ওই শিক্ষকের জীবন। জহির আহমেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। আরও আছেন আজমেরী হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ফজলুর রহমান বাবু, লুৎফর রহমান জর্জ, শরিফ সিরাজ প্রমুখ।

এদিকে রটারড্যাম উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে দেলুপি। অভিনয় করেছেন স্থানীয়রা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায় সিনেমাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফেব্রুয়ারিতে আরিফিন শুভর ‘জ্যাজ সিটি’, দেখা যাবে ৩ ভাষায়

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘জ্যাজ সিটি’ সিরিজে শুভ। ছবি: সংগৃহীত
‘জ্যাজ সিটি’ সিরিজে শুভ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে জ্যাজ সিটি, দেখা যাবে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায়।

জ্যাজ সিটি পরিচালনা করেছেন সৌমিক সেন। সর্বশেষ তিনি যুক্ত ছিলেন গত বছর মুক্তি পাওয়া জনপ্রিয় হিন্দি সিরিজ ‘জুবিলি’র সঙ্গে। বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সৌমিক। প্রেক্ষাপট ছিল চল্লিশের দশকের শেষের দিকের মুম্বাই শহর ও বলিউডের শুরুর দিকের ঘটনা। জুবিলির মতো নতুন এ সিরিজেও সৌমিক পর্দায় তুলে ধরেছেন পুরোনো প্রেক্ষাপট।

২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের হিন্দি ভাষার ট্রেলারে দেখা গেল, ১৯৭০-৭১ সালের পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাপট। রয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গও। সেই সময়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বই মোটাদাগে তুলে ধরা হয়েছে এতে। ট্রেলার দেখে সহজেই আন্দাজ করা গেল, জ্যাজ সিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রেই আছেন শুভ। তাঁর চরিত্রের নাম জিমি রয়। ট্রেলারে শুভকে হিন্দি ভাষাতেও কথা বলতে শোনা যায়, যা তিনি নিজেই ডাবিং করেছেন। শুভর বিপরীতে দেখা যাবে কলকাতার অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্রকে। এ ছাড়া আরও আছেন কলকাতা ও হিন্দি সিনেমার একাধিক অভিনেতা।

জ্যাজ সিটি পশ্চিমবঙ্গে আরিফিন শুভর তৃতীয় ওয়েব কনটেন্ট। এর আগে তিনি অভিনয় করেছেন অরিন্দম শীলের ‘উনিশে এপ্রিল’ ও রাহুল মুখার্জির ‘লহু’তে। উনিশে এপ্রিল আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে লহু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে ‘পাওমুম পার্বণ’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে ‘পাওমুম পার্বণ’

বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই আয়োজন ম্রো ভাষা, শিল্পকলা, সংগীত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি রাজধানীতে প্রথমবারের মতো আদিবাসী শিশুদের সৃজনশীল কাজ প্রদর্শনের সুযোগ করে দেবে বলে জানিয়েছে আয়োজকেরা।

লামায় অবস্থিত পাওমুম থারক্লা একটি সম্প্রদায়নির্ভর বিদ্যালয়, যা গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ম্রো ভাষা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং শিশু শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। উৎসবে অংশ নেওয়া অনেক শিশুর জন্য এটিই পাহাড়ের বাইরে জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা।

উৎসবে শিশুদের তৈরি শিল্পকর্ম, বাঁশের কারুশিল্প, ফটোগ্রাফি, বুননের প্রদর্শনী, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং লাইভ পারফরম্যান্স যেমন ম্রো নৃত্য, গান ও ঐতিহ্যবাহী প্লাং বাঁশি উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন কর্মশালা, গাইডেড ট্যুর এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

পাওমুম থারক্লার সহপ্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, ‘আমাদের স্কুলটি শুরু হয়েছিল একটি ছোট বাঁশের ঝুপড়িতে, মাত্র কয়েকটি শিশু নিয়ে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে আমরা শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার কাজ করে যাচ্ছি। পাওমুম পার্বণ ২০২৫ শিশুদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ, যাতে তারা পাহাড়ের বাইরে নিজেকে তুলে ধরতে পারে। আমরা সব অংশীদারের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা এই যাত্রাকে সম্ভব করেছেন।’

প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (রোববার বন্ধ) চলবে এই আয়োজন। উৎসবটি সবার জন্য উন্মুক্ত। দর্শকেরা প্রদর্শনী ঘুরে দেখার পাশাপাশি শিশু ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিশে ম্রো জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মঞ্চে আসছে ফারুক আহমেদ নির্দেশিত প্রথম নাটক ‘রঙমহাল’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ। আগামীকাল রাজধানীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতির মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে তাঁর নির্দেশিত ‘রঙমহাল’ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। এটি ঢাকা থিয়েটারের ৫৪তম প্রযোজনা।

রঙমহাল নাটকটি রচনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবাইয়াৎ আহমেদ। মঞ্চ পরিকল্পনায় আছেন অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরিন নাহার, ফারজানা চুমকি, অনিকেত ইসলাম, তৌকির আলম, রতন, বাদলসহ অনেকে।

মহড়াকক্ষে নাটকের মঞ্চ পরিকল্পক আফজাল হোসেনের সঙ্গে নির্দেশক ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
মহড়াকক্ষে নাটকের মঞ্চ পরিকল্পক আফজাল হোসেনের সঙ্গে নির্দেশক ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

রঙমহাল নিয়ে নির্দেশক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘খুব ভালো একটা গল্প দেখা যাবে এই নাটকে। একবাক্যে যদি বলি, এটি সমাজের রূপ ও অরূপের আখ্যান। আমি রঙমহাল নাটকটিকে মোরাল প্লে হিসেবে অভিহিত করব। নৈতিক মূল্যবোধের নাটক। দর্শক এ কথার বিচার করবেন। আশা করছি নতুন ও পুরোনোর সম্মিলিত প্রয়াসে রঙমহাল হয়ে উঠবে সাম্প্রতিক সময়ের উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা।’

নির্দেশনায় আসতে এত সময় নেওয়ার কারণ জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে হলের নাট্যসম্পাদক ছিলাম। বেশ কয়েকটি নাটক নির্দেশনা দিয়েছিলাম। তবে ঢাকা থিয়েটারে এই প্রথম। ঢাকা থিয়েটারে অনেক বড় ও গুণী নির্দেশক ছিলেন এবং আছেন। বাচ্চু ভাই, জামিল ভাই, ফরীদি ভাইয়ের মতো মানুষ এখানে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁদের অসাধারণ সব নাটকে অভিনয় করেছেন গুণী শিল্পীরা। তা ছাড়া ব্যক্তিগত কারণে অনেক দিন সরাসরি থিয়েটার করতে পারিনি। সমস্ত ধাপ পেরিয়ে এখন নাটক নির্দেশনা দিচ্ছি, এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত