Ajker Patrika

আমাদের বই আড্ডা

বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা যেন আমাদের নতুন পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়, অজানা অনুভূতিগুলোর কথা বলে এবং জীবনকে আরও গভীরভাবে বোঝার সুযোগ দেয়। এরই অংশ হিসেবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম কলেজ শাখা পাঠকবন্ধুর উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বই আড্ডার।

পাঠকবন্ধু ডেস্ক
বই আড্ডায় মেতেছেন যবিপ্রবির বন্ধুরা। ছবি: পাঠকবন্ধু
বই আড্ডায় মেতেছেন যবিপ্রবির বন্ধুরা। ছবি: পাঠকবন্ধু

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

মোতালেব হোসাইন

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) পাঠকবন্ধু শাখার উদ্যোগে এক প্রাণবন্ত বই আড্ডা ও নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সমরেশ মজুমদারের কালজয়ী উপন্যাস ‘উত্তরাধিকার’ নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধুরা।

সভা শুরু হয় নবগঠিত কমিটির পরিচিতির মাধ্যমে। এরপর ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর শর্মিলী আক্তার সমরেশ মজুমদার ও তাঁর উপন্যাস ‘উত্তরাধিকার’-এর প্রেক্ষাপট এবং চরিত্রগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপরে অংশগ্রহণকারীরা একে একে তাঁদের বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠকবন্ধু শাখার সভাপতি আব্দুল আহাদ সৈকত বলেন, ‘এমন আয়োজন আমাদের বইপড়ার অভ্যাসকে আরও দৃঢ় করবে এবং সাহিত্যপ্রেমীদের মধ্যে বন্ধন তৈরি করবে।’

আলোচনায় উঠে আসে সমাজ, রাজনীতি এবং ব্যক্তিগত সংগ্রামের চিত্র, যা উপন্যাসটির মূল প্রতিপাদ্য। বক্তারা বলেন, সমরেশ মজুমদারের লেখনীতে সময়ের সংকট, সম্পর্কের জটিলতা এবং সমাজের রূপান্তরের প্রতিফলন ফুটে ওঠে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পাঠকবন্ধু সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোতালেব হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা গালিব, সহসভাপতি রকিবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক জালিস মাহমুদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন ও নাঈম হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক তানজিলা হোসাইন বৈশাখী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইমদাদুল ইসলাম, বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য অজয় রায়, শেফা খানম প্রমুখ।

‘না বলতে শিখুন’ বইয়ের ওপর আড্ডায় শাবিপ্রবির বন্ধুরা।  ছবি: রুমান আহমেদ
‘না বলতে শিখুন’ বইয়ের ওপর আড্ডায় শাবিপ্রবির বন্ধুরা। ছবি: রুমান আহমেদ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সাগর হাসান শুভ্র

‘না বলতে শিখুন’ বইয়ের ওপর বই আড্ডার আয়োজন করেছে ‘পাঠকবন্ধু’ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা। বইটি রেনু সরন রচিত। এ বইয়ে লেখক তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতা থেকে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ বলার প্রেক্ষাপটে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ তুলে ধরেছেন।

সম্প্রতি শাবিপ্রবির ইউনিভার্সিটি সেন্টারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির শুরুতে পরিচিতি সভা, পাঠকবন্ধু নিয়ে শাবিপ্রবি শাখার বন্ধুদের ভাবনা ও আগামীতে পাঠকবন্ধুর নানা কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাঠকবন্ধুর আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) আল আমিন। পাঠকবন্ধু শাবিপ্রবি শাখার সদস্যসচিব সাগর হাসান শুভ্রর সঞ্চালনায় বইটি নিয়ে আলোচনা করেন পাঠকবন্ধু সদস্য আসাদুল্লাহ আসাদ। তিনি বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলেন, ‘না বলতে শিখুন বইটি রেনু সরনের লেখা। লেখক তাঁর ভাবনার জগতের সঙ্গে বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি এ বইয়ে তুলে ধরেছেন।’

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে পাঠকবন্ধুর আহ্বায়ক আল আমিন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যে স্পিরিট নিয়ে তরুণেরা দেশ পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন, পাঠকবন্ধু তার অংশ হয়ে দেশ এগিয়ে নিতে কাজ করবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার শাবিপ্রবি প্রতিনিধি তানভীর হাসান, সিলেটের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার রুমান আহমেদসহ পাঠকবন্ধুর সদস্যরা।

‘ডোপামিন ডিটক্স’ বইটি নিয়ে আলোচনা করছেন চট্টগ্রাম কলেজের বন্ধুরা। ছবি: পাঠকবন্ধু
‘ডোপামিন ডিটক্স’ বইটি নিয়ে আলোচনা করছেন চট্টগ্রাম কলেজের বন্ধুরা। ছবি: পাঠকবন্ধু

চট্টগ্রাম কলেজ

আহছানুল করিম

পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার উদ্যোগে প্রাণবন্ত বই আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত বই আড্ডার আলোচ্য বই ছিল জনপ্রিয় লেখক থিবাউট মিউরিসের ‘ডোপামিন ডিটক্স’ বইটি।

ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর আবু সাঈদের সঞ্চালনায় বই আড্ডায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাঠকবন্ধু মাহদির মোহাম্মদ সাআদ। তিনি বলেন, ‘ডোপামিন ডিটক্স বইটিতে নিজের মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু কার্যকরী কৌশল বর্ণনা করা হয়েছে। মূলত ডোপামিনের ক্ষতিকর দিক থেকে বেরিয়ে সেটাকে ভালো কাজে ব্যবহার করাই ডোপামিন ডিটক্স।’

পাঠকবন্ধু রাকিব বলেন, ‘বইটি আমাদের বাস্তব জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বইটির মূল বক্তব্য হচ্ছে, আমাদের মনোযোগ কীভাবে বাড়াতে পারব। কাজের মধ্যে গড়িমসি ও বিক্ষিপ্ততা পরিহার করে আমাদের মূল লক্ষ্য পূরণ করার জন্য ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কীভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারি।’

পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজ শাখার সভাপতি ‘ডোপামিন ডিটক্স’ বইটি সম্পর্কে বলেন, ডোপামিনের নিঃসরণ মানুষের ব্রেইনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটি মস্তিষ্ককে কর্মোদ্যমী করে তোলে। বিপত্তি তখনই বাধে, যখন আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ডোপামিনের অতিরিক্ত নিঃসরণ ঘটে। ফলে আমরা মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।’

বই আড্ডায় আরও উপস্থিত ছিলেন পাঠকবন্ধু চট্টগ্রাম কলেজের অন্য অ্যাম্বাসেডর সাবিহা জামান, বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক তাসমিয়া অনন্যা, কার্যনির্বাহী সদস্য জাফরুল ইসলাম, সদস্য আবদুল ওয়াহেদ আশফাক প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর বুটেক্সে প্রথম সমাবর্তন

শেফাক মাহমুদ, বুটেক্স
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"

হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মধ্য জানুয়ারির আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে শতভাগ বই পৌঁছাবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।

রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।

আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।

এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’

নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’

বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।

বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সমুদ্রের বাতাসে স্বাস্থ্যের বার্তা

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৫
সমুদ্রের বাতাসে স্বাস্থ্যের বার্তা

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।

ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।

ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’

ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এআইইউবিতে সাইবার গেমিং ফেস্ট

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
এআইইউবিতে সাইবার গেমিং ফেস্ট

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী অংশ নেন।

উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খান, অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের বিশেষ সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক অভিজিৎ ভৌমিক, সহকারী অধ্যাপক এবং বিশেষ সহকারী মো. মাজেদ-উল-হক এবং প্রভাষক ও বিশেষ সহকারী এস এম আবদুল্লাহ শাফি।

অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত ও প্রতিযোগিতামূলক গেমিং অঙ্গনে। পাবজি মোবাইল প্রতিযোগিতার অনলাইন কোয়ালিফায়ার পর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ৩২টি দল সেমিফাইনালে এবং পরবর্তী সময়ে ১৬টি দল ক্যাম্পাস ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। চূড়ান্ত দিনে অনুষ্ঠিত চারটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

ভ্যালোরান্ট বিভাগে অনলাইন লোয়ার-ব্র্যাকেট পর্ব ও ক্যাম্পাসে ল্যান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। লোয়ার-ব্র্যাকেট থেকে উঠে এসে অলস্টারস দল গ্র্যান্ড ফাইনালে ন্যাক্সআর ই-স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়। তিন ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শেষ পর্যন্ত অলস্টারস চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করে।

এ ছাড়া উৎসবে মোবাইল লেজেন্ডস: ব্যাঙ ব্যাঙ (এমএলবিবি), এফসি ২৫ এবং ই-ফুটবল প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। এমএলবিবি বিভাগে ভাইপার স্ট্রাইকার্স, এফসি ২৫ বিভাগে নিও, ই-ফুটবল একক বিভাগে শাওন শান্ত এবং দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। বক্তারা আয়োজনের ব্যাপ্তি, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি তিনজন সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর এবং এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, এআইইউবি ই-স্পোর্টস ক্লাব ও এআইইউবি পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত