রাহুল শর্মা, ঢাকা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরকে দুই ভাগ করা উদ্যোগ এবং প্রাথমিকের বই ছাপানোর কাজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) দেওয়ার প্রস্তাবসহ নানা কারণে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে নতুন পদ সৃষ্টি না হওয়া, পদোন্নতি আটকে থাকা এবং তৃতীয় গ্রেড না পাওয়ার কারণেও হতাশ হয়ে পড়ছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত এমন ২০ জন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, আশা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সাধারণ শিক্ষায় যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে; কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষায়।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি। সচিবালয়ে তাঁদের দপ্তরে গিয়েও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। পরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকা'কে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না, যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়ে আমরা আন্তরিক।’
কর্মকর্তার সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় দুটি ক্যাডারের একটি হলো শিক্ষা। এই ক্যাডারে মোট ১৯ হাজার ৮৬৮টি পদের বিপরীতে কর্মরত সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তা। তাঁদের অধিকাংশ সরকারি কলেজের শিক্ষক। কিছু সদস্য মাউশিসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত।
মুখোমুখি শিক্ষক-শিক্ষার্থী
আলাদা ক্যাম্পাসে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে সাত কলেজকে অধিভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা। তবে শিক্ষকদের এ দাবিকে ষড়যন্ত্র মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শুরু থেকেই নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এখন আবার নতুন করে এ কার্যক্রমের বিপক্ষে একটি পক্ষ অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে বুধবার শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে মানববন্ধন করে প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়) না করার দাবি জানান।
ওই দিন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসেসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানায়, ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজের বিদ্যমান প্রশাসনিক ও আর্থিক কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়। হঠাৎ করে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা বা প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তন করা জাতীয় স্বার্থ ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী।
গত আগস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজকে চারটি স্কুলে ভাগ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষাব্যবস্থা হবে ‘ইন্টার ডিসিপ্লিনারি’ ও ‘হাইব্রিড ধরনের’। সেখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে ও ৬০ শতাংশ ক্লাস অফলাইনে হবে। তবে সব পরীক্ষা হবে সশরীরে।
ঢাকার সরকারি সাত কলেজ একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। এ কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে কলেজগুলোকে অধিভুক্তি থেকে সরানো হয় এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
মূলত ঢাকায় শিক্ষকদের পদায়নের সুযোগ কমে যাওয়া এবং প্রায় ১ হাজার ৪০০ পদ বিলুপ্ত হওয়ার শঙ্কায় সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকেরা ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করছেন বলে জানিয়েছেন অন্তত ১০ জন শিক্ষক। তাঁদের ভাষ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পর শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত ১ হাজার পদ বিলুপ্ত হয়েছিল। এবারও তাঁরা এমনই শঙ্কা করছেন।
জানতে চাইলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করা জরুরি।
বই ছাপবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পরিবর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মাধ্যমে মুদ্রণ ও বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এনসিটিবি আইনের খসড়া প্রণয়ন করে সে বিষয়ে মতামত চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও ডিপিইর মাধ্যমে বই ছাপার চেষ্টা শুরু হয়েছিল আড়াই বছর আগে।
এনসিটিবির কর্মকর্তাদের শঙ্কা, ডিপিইর মাধ্যমে বই ছাপার কাজ শুরু হলে এনসিটিবির ক্ষমতা খর্ব হবে। এর সামগ্রিক প্রভাব পড়বে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের ওপর। কারণ এতে এনসিটিবিতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদেরই পদায়ন কমে যাবে।
মাউশি বিভাজনের প্রস্তাব
২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর ভেঙে দুই ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি এই উদ্যোগে নতুন করে গতি এসেছে। এর একটি ভাগের নাম হবে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, অন্যটি কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও শিক্ষা প্রশাসনে পদায়নের সুযোগ সীমিত হবে। একই সঙ্গে আমলাদের খবরদারি বাড়বে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিক্ষায়।
এ বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির সভাপতি এস এম কামাল আহমেদ বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা টেকসই হবে না।
আটকে রয়েছে পদোন্নতি
১৭ মাস ধরে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। পদোন্নতির দাবিতে ১৫ সেপ্টেম্বর মাউশি কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন ৩২ ও ৩৩ ব্যাচের শতাধিক প্রভাষক।
তাঁদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চনা একদিকে যেমন সামাজিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির কারণ, অন্যদিকে তা গুণগত শিক্ষারও অন্তরায়। ধারণা করা হয়েছিল, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষায় যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে; কিন্তু তা দৃশ্যমান হচ্ছে না।
এর বাইরে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্যাডারে নতুন পদ ও তৃতীয় গ্রেডের পদ সৃষ্টি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষকেরা।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরকে দুই ভাগ করা উদ্যোগ এবং প্রাথমিকের বই ছাপানোর কাজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) দেওয়ার প্রস্তাবসহ নানা কারণে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে নতুন পদ সৃষ্টি না হওয়া, পদোন্নতি আটকে থাকা এবং তৃতীয় গ্রেড না পাওয়ার কারণেও হতাশ হয়ে পড়ছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত এমন ২০ জন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, আশা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সাধারণ শিক্ষায় যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে; কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষায়।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি। সচিবালয়ে তাঁদের দপ্তরে গিয়েও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। পরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকা'কে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না, যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়ে আমরা আন্তরিক।’
কর্মকর্তার সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় দুটি ক্যাডারের একটি হলো শিক্ষা। এই ক্যাডারে মোট ১৯ হাজার ৮৬৮টি পদের বিপরীতে কর্মরত সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তা। তাঁদের অধিকাংশ সরকারি কলেজের শিক্ষক। কিছু সদস্য মাউশিসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত।
মুখোমুখি শিক্ষক-শিক্ষার্থী
আলাদা ক্যাম্পাসে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে সাত কলেজকে অধিভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা। তবে শিক্ষকদের এ দাবিকে ষড়যন্ত্র মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শুরু থেকেই নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এখন আবার নতুন করে এ কার্যক্রমের বিপক্ষে একটি পক্ষ অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে বুধবার শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে মানববন্ধন করে প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়) না করার দাবি জানান।
ওই দিন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসেসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানায়, ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজের বিদ্যমান প্রশাসনিক ও আর্থিক কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়। হঠাৎ করে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা বা প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তন করা জাতীয় স্বার্থ ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী।
গত আগস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজকে চারটি স্কুলে ভাগ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষাব্যবস্থা হবে ‘ইন্টার ডিসিপ্লিনারি’ ও ‘হাইব্রিড ধরনের’। সেখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে ও ৬০ শতাংশ ক্লাস অফলাইনে হবে। তবে সব পরীক্ষা হবে সশরীরে।
ঢাকার সরকারি সাত কলেজ একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। এ কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে কলেজগুলোকে অধিভুক্তি থেকে সরানো হয় এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
মূলত ঢাকায় শিক্ষকদের পদায়নের সুযোগ কমে যাওয়া এবং প্রায় ১ হাজার ৪০০ পদ বিলুপ্ত হওয়ার শঙ্কায় সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকেরা ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করছেন বলে জানিয়েছেন অন্তত ১০ জন শিক্ষক। তাঁদের ভাষ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পর শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত ১ হাজার পদ বিলুপ্ত হয়েছিল। এবারও তাঁরা এমনই শঙ্কা করছেন।
জানতে চাইলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করা জরুরি।
বই ছাপবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পরিবর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মাধ্যমে মুদ্রণ ও বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এনসিটিবি আইনের খসড়া প্রণয়ন করে সে বিষয়ে মতামত চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও ডিপিইর মাধ্যমে বই ছাপার চেষ্টা শুরু হয়েছিল আড়াই বছর আগে।
এনসিটিবির কর্মকর্তাদের শঙ্কা, ডিপিইর মাধ্যমে বই ছাপার কাজ শুরু হলে এনসিটিবির ক্ষমতা খর্ব হবে। এর সামগ্রিক প্রভাব পড়বে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের ওপর। কারণ এতে এনসিটিবিতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদেরই পদায়ন কমে যাবে।
মাউশি বিভাজনের প্রস্তাব
২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর ভেঙে দুই ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি এই উদ্যোগে নতুন করে গতি এসেছে। এর একটি ভাগের নাম হবে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, অন্যটি কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও শিক্ষা প্রশাসনে পদায়নের সুযোগ সীমিত হবে। একই সঙ্গে আমলাদের খবরদারি বাড়বে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিক্ষায়।
এ বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির সভাপতি এস এম কামাল আহমেদ বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা টেকসই হবে না।
আটকে রয়েছে পদোন্নতি
১৭ মাস ধরে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। পদোন্নতির দাবিতে ১৫ সেপ্টেম্বর মাউশি কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন ৩২ ও ৩৩ ব্যাচের শতাধিক প্রভাষক।
তাঁদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চনা একদিকে যেমন সামাজিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির কারণ, অন্যদিকে তা গুণগত শিক্ষারও অন্তরায়। ধারণা করা হয়েছিল, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষায় যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে; কিন্তু তা দৃশ্যমান হচ্ছে না।
এর বাইরে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্যাডারে নতুন পদ ও তৃতীয় গ্রেডের পদ সৃষ্টি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষকেরা।
আরও খবর পড়ুন:
রাহুল শর্মা, ঢাকা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরকে দুই ভাগ করা উদ্যোগ এবং প্রাথমিকের বই ছাপানোর কাজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) দেওয়ার প্রস্তাবসহ নানা কারণে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে নতুন পদ সৃষ্টি না হওয়া, পদোন্নতি আটকে থাকা এবং তৃতীয় গ্রেড না পাওয়ার কারণেও হতাশ হয়ে পড়ছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত এমন ২০ জন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, আশা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সাধারণ শিক্ষায় যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে; কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষায়।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি। সচিবালয়ে তাঁদের দপ্তরে গিয়েও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। পরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকা'কে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না, যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়ে আমরা আন্তরিক।’
কর্মকর্তার সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় দুটি ক্যাডারের একটি হলো শিক্ষা। এই ক্যাডারে মোট ১৯ হাজার ৮৬৮টি পদের বিপরীতে কর্মরত সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তা। তাঁদের অধিকাংশ সরকারি কলেজের শিক্ষক। কিছু সদস্য মাউশিসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত।
মুখোমুখি শিক্ষক-শিক্ষার্থী
আলাদা ক্যাম্পাসে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে সাত কলেজকে অধিভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা। তবে শিক্ষকদের এ দাবিকে ষড়যন্ত্র মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শুরু থেকেই নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এখন আবার নতুন করে এ কার্যক্রমের বিপক্ষে একটি পক্ষ অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে বুধবার শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে মানববন্ধন করে প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়) না করার দাবি জানান।
ওই দিন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসেসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানায়, ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজের বিদ্যমান প্রশাসনিক ও আর্থিক কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়। হঠাৎ করে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা বা প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তন করা জাতীয় স্বার্থ ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী।
গত আগস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজকে চারটি স্কুলে ভাগ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষাব্যবস্থা হবে ‘ইন্টার ডিসিপ্লিনারি’ ও ‘হাইব্রিড ধরনের’। সেখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে ও ৬০ শতাংশ ক্লাস অফলাইনে হবে। তবে সব পরীক্ষা হবে সশরীরে।
ঢাকার সরকারি সাত কলেজ একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। এ কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে কলেজগুলোকে অধিভুক্তি থেকে সরানো হয় এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
মূলত ঢাকায় শিক্ষকদের পদায়নের সুযোগ কমে যাওয়া এবং প্রায় ১ হাজার ৪০০ পদ বিলুপ্ত হওয়ার শঙ্কায় সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকেরা ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করছেন বলে জানিয়েছেন অন্তত ১০ জন শিক্ষক। তাঁদের ভাষ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পর শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত ১ হাজার পদ বিলুপ্ত হয়েছিল। এবারও তাঁরা এমনই শঙ্কা করছেন।
জানতে চাইলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করা জরুরি।
বই ছাপবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পরিবর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মাধ্যমে মুদ্রণ ও বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এনসিটিবি আইনের খসড়া প্রণয়ন করে সে বিষয়ে মতামত চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও ডিপিইর মাধ্যমে বই ছাপার চেষ্টা শুরু হয়েছিল আড়াই বছর আগে।
এনসিটিবির কর্মকর্তাদের শঙ্কা, ডিপিইর মাধ্যমে বই ছাপার কাজ শুরু হলে এনসিটিবির ক্ষমতা খর্ব হবে। এর সামগ্রিক প্রভাব পড়বে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের ওপর। কারণ এতে এনসিটিবিতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদেরই পদায়ন কমে যাবে।
মাউশি বিভাজনের প্রস্তাব
২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর ভেঙে দুই ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি এই উদ্যোগে নতুন করে গতি এসেছে। এর একটি ভাগের নাম হবে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, অন্যটি কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও শিক্ষা প্রশাসনে পদায়নের সুযোগ সীমিত হবে। একই সঙ্গে আমলাদের খবরদারি বাড়বে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিক্ষায়।
এ বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির সভাপতি এস এম কামাল আহমেদ বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা টেকসই হবে না।
আটকে রয়েছে পদোন্নতি
১৭ মাস ধরে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। পদোন্নতির দাবিতে ১৫ সেপ্টেম্বর মাউশি কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন ৩২ ও ৩৩ ব্যাচের শতাধিক প্রভাষক।
তাঁদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চনা একদিকে যেমন সামাজিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির কারণ, অন্যদিকে তা গুণগত শিক্ষারও অন্তরায়। ধারণা করা হয়েছিল, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষায় যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে; কিন্তু তা দৃশ্যমান হচ্ছে না।
এর বাইরে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্যাডারে নতুন পদ ও তৃতীয় গ্রেডের পদ সৃষ্টি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষকেরা।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরকে দুই ভাগ করা উদ্যোগ এবং প্রাথমিকের বই ছাপানোর কাজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) দেওয়ার প্রস্তাবসহ নানা কারণে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে নতুন পদ সৃষ্টি না হওয়া, পদোন্নতি আটকে থাকা এবং তৃতীয় গ্রেড না পাওয়ার কারণেও হতাশ হয়ে পড়ছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত এমন ২০ জন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, আশা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সাধারণ শিক্ষায় যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে; কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষায়।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি। সচিবালয়ে তাঁদের দপ্তরে গিয়েও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। পরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকা'কে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না, যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়ে আমরা আন্তরিক।’
কর্মকর্তার সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় দুটি ক্যাডারের একটি হলো শিক্ষা। এই ক্যাডারে মোট ১৯ হাজার ৮৬৮টি পদের বিপরীতে কর্মরত সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি কর্মকর্তা। তাঁদের অধিকাংশ সরকারি কলেজের শিক্ষক। কিছু সদস্য মাউশিসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত।
মুখোমুখি শিক্ষক-শিক্ষার্থী
আলাদা ক্যাম্পাসে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে সাত কলেজকে অধিভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা। তবে শিক্ষকদের এ দাবিকে ষড়যন্ত্র মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শুরু থেকেই নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এখন আবার নতুন করে এ কার্যক্রমের বিপক্ষে একটি পক্ষ অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে বুধবার শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে মানববন্ধন করে প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়) না করার দাবি জানান।
ওই দিন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসেসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানায়, ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজের বিদ্যমান প্রশাসনিক ও আর্থিক কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়। হঠাৎ করে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা বা প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তন করা জাতীয় স্বার্থ ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী।
গত আগস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজকে চারটি স্কুলে ভাগ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষাব্যবস্থা হবে ‘ইন্টার ডিসিপ্লিনারি’ ও ‘হাইব্রিড ধরনের’। সেখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে ও ৬০ শতাংশ ক্লাস অফলাইনে হবে। তবে সব পরীক্ষা হবে সশরীরে।
ঢাকার সরকারি সাত কলেজ একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। এ কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে কলেজগুলোকে অধিভুক্তি থেকে সরানো হয় এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
মূলত ঢাকায় শিক্ষকদের পদায়নের সুযোগ কমে যাওয়া এবং প্রায় ১ হাজার ৪০০ পদ বিলুপ্ত হওয়ার শঙ্কায় সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকেরা ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করছেন বলে জানিয়েছেন অন্তত ১০ জন শিক্ষক। তাঁদের ভাষ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের পর শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত ১ হাজার পদ বিলুপ্ত হয়েছিল। এবারও তাঁরা এমনই শঙ্কা করছেন।
জানতে চাইলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করা জরুরি।
বই ছাপবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পরিবর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মাধ্যমে মুদ্রণ ও বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এনসিটিবি আইনের খসড়া প্রণয়ন করে সে বিষয়ে মতামত চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও ডিপিইর মাধ্যমে বই ছাপার চেষ্টা শুরু হয়েছিল আড়াই বছর আগে।
এনসিটিবির কর্মকর্তাদের শঙ্কা, ডিপিইর মাধ্যমে বই ছাপার কাজ শুরু হলে এনসিটিবির ক্ষমতা খর্ব হবে। এর সামগ্রিক প্রভাব পড়বে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের ওপর। কারণ এতে এনসিটিবিতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদেরই পদায়ন কমে যাবে।
মাউশি বিভাজনের প্রস্তাব
২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর ভেঙে দুই ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি এই উদ্যোগে নতুন করে গতি এসেছে। এর একটি ভাগের নাম হবে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, অন্যটি কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও শিক্ষা প্রশাসনে পদায়নের সুযোগ সীমিত হবে। একই সঙ্গে আমলাদের খবরদারি বাড়বে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিক্ষায়।
এ বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির সভাপতি এস এম কামাল আহমেদ বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা টেকসই হবে না।
আটকে রয়েছে পদোন্নতি
১৭ মাস ধরে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। পদোন্নতির দাবিতে ১৫ সেপ্টেম্বর মাউশি কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন ৩২ ও ৩৩ ব্যাচের শতাধিক প্রভাষক।
তাঁদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চনা একদিকে যেমন সামাজিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির কারণ, অন্যদিকে তা গুণগত শিক্ষারও অন্তরায়। ধারণা করা হয়েছিল, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষায় যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে; কিন্তু তা দৃশ্যমান হচ্ছে না।
এর বাইরে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্যাডারে নতুন পদ ও তৃতীয় গ্রেডের পদ সৃষ্টি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষকেরা।
আরও খবর পড়ুন:

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।
বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।
জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।
সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।
বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।
জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।
সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরকে দুই ভাগ করা উদ্যোগ এবং প্রাথমিকের বই ছাপানোর কাজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) দেওয়ার প্রস্তাবসহ নানা কারণে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরকে দুই ভাগ করা উদ্যোগ এবং প্রাথমিকের বই ছাপানোর কাজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) দেওয়ার প্রস্তাবসহ নানা কারণে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
৮ ঘণ্টা আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরকে দুই ভাগ করা উদ্যোগ এবং প্রাথমিকের বই ছাপানোর কাজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) দেওয়ার প্রস্তাবসহ নানা কারণে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরকে দুই ভাগ করা উদ্যোগ এবং প্রাথমিকের বই ছাপানোর কাজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) দেওয়ার প্রস্তাবসহ নানা কারণে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে