আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে। চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলে জড়ানোর পেছনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে সৃষ্ট শূন্যতা ও অস্থিরতার কারণে অসাধু নতুন লোকজনের সুযোগ নেওয়ার প্রবণতাসহ ৬টি কারণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ জুলাই থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশের আট বিভাগে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগে ৬৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে ৩৭১ জনই নতুন চাঁদাবাজ বা দখলদার। অর্থাৎ মোট গ্রেপ্তারের ৫৭.০৮ শতাংশ নতুন অপরাধী। এ সময়ে দুই অপরাধের অভিযোগে সবচেয়ে বেশি (৩২৩ জন) গ্রেপ্তার হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ঢাকা মহানগর এলাকা ও বিভাগের ১৩টি জেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ২২৩ জনই নতুন চাঁদাবাজ বা দখলদার। আর গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিচয় বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দীর্ঘ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক ছিল। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে মাথাচাড়া দিয়েছে নতুন অপরাধীরা। তারা চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের মতো তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ছে। এর একটা বড় অংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত।
৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান নিকেতনের ২ নম্বর গেটের পাশে রাজউকের ২৭ কাঠা জমি দখলে নিতে যায় একটি চক্র। খবর পেয়ে রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেখানে যান। তখন দখলদারেরা তাঁদের হুমকি দেয়। রাজউকের লোকজন গুলশান থানায় ফোন করলে পুলিশ গিয়ে চারজনকে আটক করে। তাঁরা হচ্ছেন রুহুল আমিন রাহুল, মোস্তাক আহম্মেদ, ইকবাল হোসেন বুলেট ও নৃপেন ব্যাপারী। এ ছাড়াও মো. আব্দুল রহমান সোহেল ও জসিম উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি পালিয়ে যান। পরে রাজউকের উপসহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। আটক চার ব্যক্তিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় গুলশান থানা-পুলিশ। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ বলেছে, নিকেতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার ব্যক্তির মধ্যে তিনজনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া আব্দুল রহমান সোহেলের হয়ে সরকারি জায়গা দখল করতে এসেছিলেন। ইকবাল হোসেন বুলেট বরগুনা জেলা যুবদলের সহসভাপতি এবং রুহুল আমিন রাহুল বরগুনার তালতলী উপজেলা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অতীতে দখলবাজির কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তাই পুলিশের কাছে তাঁরা নতুন অবৈধ দখলদার হিসেবে পরিচিত।
মামলার বাদী রাজউকের উপসহকারী প্রকৌশলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিকেতনের ওই জায়গা হাতিরঝিল প্রকল্পের। সেখানে একটি লেডিস পার্ক করার কথা রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে জায়গাটি দখলের পাঁয়তারা করছেন আব্দুল রহমান সোহেল। তাঁরা সেখানকার অনেক গাছ কেটেছেন এবং টিনের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। রাজউকের লোকজন খবর পেয়ে সেখানে গেলে সোহেল ও তাঁর লোকজন হুমকি-ধমকি দেন।
গুলশানের এ ঘটনার মতো বহু চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে গ্রেপ্তার হচ্ছে কথিত নতুন অপরাধীরা। এমনই আরেকটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর লালবাগে। মাস কয়েক আগে এলাকার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায়ী মো. শফিক রাত ৯টার দিকে শহীদনগর বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ মো. চান মিয়া নামের এক ব্যক্তি ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী শফিককে ঘিরে ধরেন। চান মিয়া শফিককে হুমকি দিয়ে বলেন, একসময় তাঁর (শফিকের) ভাই চান মিয়াকে অনেক জ্বালাতন করেছেন এবং পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন। এখন দিন বদলেছে, এলাকায় থাকতে হলে মাসে ১ লাখ করে টাকা দিতে হবে। আর তা না হলে শফিক ও তাঁর ভাইকে এলাকা ছাড়তে হবে। টাকা না দিলে তাঁদের দুই ভাইকে মব তৈরি করে মেরে ফেলা হবে।
গত ৮ জুলাই সেনাসদস্যরা চান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় ৯ জুলাই লালবাগ থানায় মামলা করেন ব্যবসায়ী শফিক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চান মিয়া এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চান মিয়া ২৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লালবাগ বেড়িবাঁধের ঘোড়াপট্টিতে সরকারি জায়গা দখল করে রিকশার গ্যারেজ স্থাপন করেন তিনি। এ ছাড়া ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
প্রধান কারণ ছয়টি
চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলে নতুন নতুন নাম আসা ও তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর প্রধান ছয়টি কারণের কথা উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের পতনে পুরোনো অপরাধ সিন্ডিকেট দুর্বল হয়ে ‘শূন্য স্থান’ তৈরি হওয়া, রাজনৈতিক দলের সুযোগসন্ধানী নেতা-কর্মীদের অস্থিরতার সুযোগ নেওয়া, আগে নজরদারির বাইরে থাকা অপরাধীদের এখন সক্রিয় হতে গিয়ে ধরা পড়া।
চাঁদাবাজি ও দখলের প্রধান ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে পরিবহন, বাজার, আবাসন, শ্রমিক সংগঠন। রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি স্থানীয় দাপটও কাজে লাগানো হচ্ছে। গ্যাং সংস্কৃতিসহ নানা কারণে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াও নতুন চাঁদাবাজ উঠে আসছে।
নতুন ব্যক্তিদের চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. মো. আশরাফুর রহমান বলেন, ‘সমাজের অস্থিরতার সুযোগ নিচ্ছে কিছু ব্যক্তি। তারা রাতারাতি বহু কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করছি, আইনের আওতায় আনছি। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ কাজ করে যাচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন:
চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে। চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলে জড়ানোর পেছনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে সৃষ্ট শূন্যতা ও অস্থিরতার কারণে অসাধু নতুন লোকজনের সুযোগ নেওয়ার প্রবণতাসহ ৬টি কারণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ জুলাই থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশের আট বিভাগে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগে ৬৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে ৩৭১ জনই নতুন চাঁদাবাজ বা দখলদার। অর্থাৎ মোট গ্রেপ্তারের ৫৭.০৮ শতাংশ নতুন অপরাধী। এ সময়ে দুই অপরাধের অভিযোগে সবচেয়ে বেশি (৩২৩ জন) গ্রেপ্তার হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ঢাকা মহানগর এলাকা ও বিভাগের ১৩টি জেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ২২৩ জনই নতুন চাঁদাবাজ বা দখলদার। আর গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিচয় বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দীর্ঘ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক ছিল। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে মাথাচাড়া দিয়েছে নতুন অপরাধীরা। তারা চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের মতো তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ছে। এর একটা বড় অংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত।
৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান নিকেতনের ২ নম্বর গেটের পাশে রাজউকের ২৭ কাঠা জমি দখলে নিতে যায় একটি চক্র। খবর পেয়ে রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেখানে যান। তখন দখলদারেরা তাঁদের হুমকি দেয়। রাজউকের লোকজন গুলশান থানায় ফোন করলে পুলিশ গিয়ে চারজনকে আটক করে। তাঁরা হচ্ছেন রুহুল আমিন রাহুল, মোস্তাক আহম্মেদ, ইকবাল হোসেন বুলেট ও নৃপেন ব্যাপারী। এ ছাড়াও মো. আব্দুল রহমান সোহেল ও জসিম উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি পালিয়ে যান। পরে রাজউকের উপসহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। আটক চার ব্যক্তিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় গুলশান থানা-পুলিশ। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ বলেছে, নিকেতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার ব্যক্তির মধ্যে তিনজনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া আব্দুল রহমান সোহেলের হয়ে সরকারি জায়গা দখল করতে এসেছিলেন। ইকবাল হোসেন বুলেট বরগুনা জেলা যুবদলের সহসভাপতি এবং রুহুল আমিন রাহুল বরগুনার তালতলী উপজেলা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অতীতে দখলবাজির কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তাই পুলিশের কাছে তাঁরা নতুন অবৈধ দখলদার হিসেবে পরিচিত।
মামলার বাদী রাজউকের উপসহকারী প্রকৌশলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিকেতনের ওই জায়গা হাতিরঝিল প্রকল্পের। সেখানে একটি লেডিস পার্ক করার কথা রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে জায়গাটি দখলের পাঁয়তারা করছেন আব্দুল রহমান সোহেল। তাঁরা সেখানকার অনেক গাছ কেটেছেন এবং টিনের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। রাজউকের লোকজন খবর পেয়ে সেখানে গেলে সোহেল ও তাঁর লোকজন হুমকি-ধমকি দেন।
গুলশানের এ ঘটনার মতো বহু চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে গ্রেপ্তার হচ্ছে কথিত নতুন অপরাধীরা। এমনই আরেকটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর লালবাগে। মাস কয়েক আগে এলাকার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায়ী মো. শফিক রাত ৯টার দিকে শহীদনগর বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ মো. চান মিয়া নামের এক ব্যক্তি ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী শফিককে ঘিরে ধরেন। চান মিয়া শফিককে হুমকি দিয়ে বলেন, একসময় তাঁর (শফিকের) ভাই চান মিয়াকে অনেক জ্বালাতন করেছেন এবং পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন। এখন দিন বদলেছে, এলাকায় থাকতে হলে মাসে ১ লাখ করে টাকা দিতে হবে। আর তা না হলে শফিক ও তাঁর ভাইকে এলাকা ছাড়তে হবে। টাকা না দিলে তাঁদের দুই ভাইকে মব তৈরি করে মেরে ফেলা হবে।
গত ৮ জুলাই সেনাসদস্যরা চান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় ৯ জুলাই লালবাগ থানায় মামলা করেন ব্যবসায়ী শফিক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চান মিয়া এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চান মিয়া ২৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লালবাগ বেড়িবাঁধের ঘোড়াপট্টিতে সরকারি জায়গা দখল করে রিকশার গ্যারেজ স্থাপন করেন তিনি। এ ছাড়া ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
প্রধান কারণ ছয়টি
চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলে নতুন নতুন নাম আসা ও তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর প্রধান ছয়টি কারণের কথা উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের পতনে পুরোনো অপরাধ সিন্ডিকেট দুর্বল হয়ে ‘শূন্য স্থান’ তৈরি হওয়া, রাজনৈতিক দলের সুযোগসন্ধানী নেতা-কর্মীদের অস্থিরতার সুযোগ নেওয়া, আগে নজরদারির বাইরে থাকা অপরাধীদের এখন সক্রিয় হতে গিয়ে ধরা পড়া।
চাঁদাবাজি ও দখলের প্রধান ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে পরিবহন, বাজার, আবাসন, শ্রমিক সংগঠন। রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি স্থানীয় দাপটও কাজে লাগানো হচ্ছে। গ্যাং সংস্কৃতিসহ নানা কারণে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াও নতুন চাঁদাবাজ উঠে আসছে।
নতুন ব্যক্তিদের চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. মো. আশরাফুর রহমান বলেন, ‘সমাজের অস্থিরতার সুযোগ নিচ্ছে কিছু ব্যক্তি। তারা রাতারাতি বহু কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করছি, আইনের আওতায় আনছি। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ কাজ করে যাচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন:
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে। চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলে জড়ানোর পেছনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে সৃষ্ট শূন্যতা ও অস্থিরতার কারণে অসাধু নতুন লোকজনের সুযোগ নেওয়ার প্রবণতাসহ ৬টি কারণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ জুলাই থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশের আট বিভাগে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগে ৬৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে ৩৭১ জনই নতুন চাঁদাবাজ বা দখলদার। অর্থাৎ মোট গ্রেপ্তারের ৫৭.০৮ শতাংশ নতুন অপরাধী। এ সময়ে দুই অপরাধের অভিযোগে সবচেয়ে বেশি (৩২৩ জন) গ্রেপ্তার হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ঢাকা মহানগর এলাকা ও বিভাগের ১৩টি জেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ২২৩ জনই নতুন চাঁদাবাজ বা দখলদার। আর গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিচয় বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দীর্ঘ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক ছিল। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে মাথাচাড়া দিয়েছে নতুন অপরাধীরা। তারা চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের মতো তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ছে। এর একটা বড় অংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত।
৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান নিকেতনের ২ নম্বর গেটের পাশে রাজউকের ২৭ কাঠা জমি দখলে নিতে যায় একটি চক্র। খবর পেয়ে রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেখানে যান। তখন দখলদারেরা তাঁদের হুমকি দেয়। রাজউকের লোকজন গুলশান থানায় ফোন করলে পুলিশ গিয়ে চারজনকে আটক করে। তাঁরা হচ্ছেন রুহুল আমিন রাহুল, মোস্তাক আহম্মেদ, ইকবাল হোসেন বুলেট ও নৃপেন ব্যাপারী। এ ছাড়াও মো. আব্দুল রহমান সোহেল ও জসিম উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি পালিয়ে যান। পরে রাজউকের উপসহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। আটক চার ব্যক্তিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় গুলশান থানা-পুলিশ। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ বলেছে, নিকেতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার ব্যক্তির মধ্যে তিনজনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া আব্দুল রহমান সোহেলের হয়ে সরকারি জায়গা দখল করতে এসেছিলেন। ইকবাল হোসেন বুলেট বরগুনা জেলা যুবদলের সহসভাপতি এবং রুহুল আমিন রাহুল বরগুনার তালতলী উপজেলা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অতীতে দখলবাজির কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তাই পুলিশের কাছে তাঁরা নতুন অবৈধ দখলদার হিসেবে পরিচিত।
মামলার বাদী রাজউকের উপসহকারী প্রকৌশলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিকেতনের ওই জায়গা হাতিরঝিল প্রকল্পের। সেখানে একটি লেডিস পার্ক করার কথা রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে জায়গাটি দখলের পাঁয়তারা করছেন আব্দুল রহমান সোহেল। তাঁরা সেখানকার অনেক গাছ কেটেছেন এবং টিনের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। রাজউকের লোকজন খবর পেয়ে সেখানে গেলে সোহেল ও তাঁর লোকজন হুমকি-ধমকি দেন।
গুলশানের এ ঘটনার মতো বহু চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে গ্রেপ্তার হচ্ছে কথিত নতুন অপরাধীরা। এমনই আরেকটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর লালবাগে। মাস কয়েক আগে এলাকার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায়ী মো. শফিক রাত ৯টার দিকে শহীদনগর বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ মো. চান মিয়া নামের এক ব্যক্তি ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী শফিককে ঘিরে ধরেন। চান মিয়া শফিককে হুমকি দিয়ে বলেন, একসময় তাঁর (শফিকের) ভাই চান মিয়াকে অনেক জ্বালাতন করেছেন এবং পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন। এখন দিন বদলেছে, এলাকায় থাকতে হলে মাসে ১ লাখ করে টাকা দিতে হবে। আর তা না হলে শফিক ও তাঁর ভাইকে এলাকা ছাড়তে হবে। টাকা না দিলে তাঁদের দুই ভাইকে মব তৈরি করে মেরে ফেলা হবে।
গত ৮ জুলাই সেনাসদস্যরা চান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় ৯ জুলাই লালবাগ থানায় মামলা করেন ব্যবসায়ী শফিক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চান মিয়া এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চান মিয়া ২৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লালবাগ বেড়িবাঁধের ঘোড়াপট্টিতে সরকারি জায়গা দখল করে রিকশার গ্যারেজ স্থাপন করেন তিনি। এ ছাড়া ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
প্রধান কারণ ছয়টি
চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলে নতুন নতুন নাম আসা ও তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর প্রধান ছয়টি কারণের কথা উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের পতনে পুরোনো অপরাধ সিন্ডিকেট দুর্বল হয়ে ‘শূন্য স্থান’ তৈরি হওয়া, রাজনৈতিক দলের সুযোগসন্ধানী নেতা-কর্মীদের অস্থিরতার সুযোগ নেওয়া, আগে নজরদারির বাইরে থাকা অপরাধীদের এখন সক্রিয় হতে গিয়ে ধরা পড়া।
চাঁদাবাজি ও দখলের প্রধান ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে পরিবহন, বাজার, আবাসন, শ্রমিক সংগঠন। রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি স্থানীয় দাপটও কাজে লাগানো হচ্ছে। গ্যাং সংস্কৃতিসহ নানা কারণে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াও নতুন চাঁদাবাজ উঠে আসছে।
নতুন ব্যক্তিদের চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. মো. আশরাফুর রহমান বলেন, ‘সমাজের অস্থিরতার সুযোগ নিচ্ছে কিছু ব্যক্তি। তারা রাতারাতি বহু কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করছি, আইনের আওতায় আনছি। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ কাজ করে যাচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন:
চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে। চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলে জড়ানোর পেছনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে সৃষ্ট শূন্যতা ও অস্থিরতার কারণে অসাধু নতুন লোকজনের সুযোগ নেওয়ার প্রবণতাসহ ৬টি কারণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ জুলাই থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশের আট বিভাগে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগে ৬৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে ৩৭১ জনই নতুন চাঁদাবাজ বা দখলদার। অর্থাৎ মোট গ্রেপ্তারের ৫৭.০৮ শতাংশ নতুন অপরাধী। এ সময়ে দুই অপরাধের অভিযোগে সবচেয়ে বেশি (৩২৩ জন) গ্রেপ্তার হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ঢাকা মহানগর এলাকা ও বিভাগের ১৩টি জেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ২২৩ জনই নতুন চাঁদাবাজ বা দখলদার। আর গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিচয় বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দীর্ঘ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক ছিল। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে মাথাচাড়া দিয়েছে নতুন অপরাধীরা। তারা চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের মতো তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ছে। এর একটা বড় অংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত।
৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান নিকেতনের ২ নম্বর গেটের পাশে রাজউকের ২৭ কাঠা জমি দখলে নিতে যায় একটি চক্র। খবর পেয়ে রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেখানে যান। তখন দখলদারেরা তাঁদের হুমকি দেয়। রাজউকের লোকজন গুলশান থানায় ফোন করলে পুলিশ গিয়ে চারজনকে আটক করে। তাঁরা হচ্ছেন রুহুল আমিন রাহুল, মোস্তাক আহম্মেদ, ইকবাল হোসেন বুলেট ও নৃপেন ব্যাপারী। এ ছাড়াও মো. আব্দুল রহমান সোহেল ও জসিম উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি পালিয়ে যান। পরে রাজউকের উপসহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। আটক চার ব্যক্তিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় গুলশান থানা-পুলিশ। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ বলেছে, নিকেতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার ব্যক্তির মধ্যে তিনজনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া আব্দুল রহমান সোহেলের হয়ে সরকারি জায়গা দখল করতে এসেছিলেন। ইকবাল হোসেন বুলেট বরগুনা জেলা যুবদলের সহসভাপতি এবং রুহুল আমিন রাহুল বরগুনার তালতলী উপজেলা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অতীতে দখলবাজির কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তাই পুলিশের কাছে তাঁরা নতুন অবৈধ দখলদার হিসেবে পরিচিত।
মামলার বাদী রাজউকের উপসহকারী প্রকৌশলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিকেতনের ওই জায়গা হাতিরঝিল প্রকল্পের। সেখানে একটি লেডিস পার্ক করার কথা রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে জায়গাটি দখলের পাঁয়তারা করছেন আব্দুল রহমান সোহেল। তাঁরা সেখানকার অনেক গাছ কেটেছেন এবং টিনের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। রাজউকের লোকজন খবর পেয়ে সেখানে গেলে সোহেল ও তাঁর লোকজন হুমকি-ধমকি দেন।
গুলশানের এ ঘটনার মতো বহু চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে গ্রেপ্তার হচ্ছে কথিত নতুন অপরাধীরা। এমনই আরেকটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর লালবাগে। মাস কয়েক আগে এলাকার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায়ী মো. শফিক রাত ৯টার দিকে শহীদনগর বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ মো. চান মিয়া নামের এক ব্যক্তি ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী শফিককে ঘিরে ধরেন। চান মিয়া শফিককে হুমকি দিয়ে বলেন, একসময় তাঁর (শফিকের) ভাই চান মিয়াকে অনেক জ্বালাতন করেছেন এবং পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন। এখন দিন বদলেছে, এলাকায় থাকতে হলে মাসে ১ লাখ করে টাকা দিতে হবে। আর তা না হলে শফিক ও তাঁর ভাইকে এলাকা ছাড়তে হবে। টাকা না দিলে তাঁদের দুই ভাইকে মব তৈরি করে মেরে ফেলা হবে।
গত ৮ জুলাই সেনাসদস্যরা চান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় ৯ জুলাই লালবাগ থানায় মামলা করেন ব্যবসায়ী শফিক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চান মিয়া এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চান মিয়া ২৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লালবাগ বেড়িবাঁধের ঘোড়াপট্টিতে সরকারি জায়গা দখল করে রিকশার গ্যারেজ স্থাপন করেন তিনি। এ ছাড়া ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
প্রধান কারণ ছয়টি
চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলে নতুন নতুন নাম আসা ও তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর প্রধান ছয়টি কারণের কথা উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের পতনে পুরোনো অপরাধ সিন্ডিকেট দুর্বল হয়ে ‘শূন্য স্থান’ তৈরি হওয়া, রাজনৈতিক দলের সুযোগসন্ধানী নেতা-কর্মীদের অস্থিরতার সুযোগ নেওয়া, আগে নজরদারির বাইরে থাকা অপরাধীদের এখন সক্রিয় হতে গিয়ে ধরা পড়া।
চাঁদাবাজি ও দখলের প্রধান ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে পরিবহন, বাজার, আবাসন, শ্রমিক সংগঠন। রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি স্থানীয় দাপটও কাজে লাগানো হচ্ছে। গ্যাং সংস্কৃতিসহ নানা কারণে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াও নতুন চাঁদাবাজ উঠে আসছে।
নতুন ব্যক্তিদের চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. মো. আশরাফুর রহমান বলেন, ‘সমাজের অস্থিরতার সুযোগ নিচ্ছে কিছু ব্যক্তি। তারা রাতারাতি বহু কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করছি, আইনের আওতায় আনছি। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ কাজ করে যাচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
১ দিন আগে
পুলিশ বলছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়। তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
২ দিন আগে
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১০ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পুলিশ বলছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়। তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
২ দিন আগে
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১০ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাইফ মামুনকে হত্যার ঘটনায় দুই পেশাদার শুটারসহ চারজনকে শনাক্ত করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। শুটার দুজনের মধ্যে একজন ধানমন্ডি, আরেকজন তেজগাঁও এলাকার একাধিক মামলার আসামি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, যেকোনো সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।
গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ফটকে মামুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়, তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে তারা দেশের ভেতরেই অবস্থান করছে এবং তাদের ধরার জন্য পুলিশ একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে। এ অবস্থায় সীমান্তে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মো. মোস্তাক সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুজনকে শনাক্ত করেছি। তারা দেশেই আছে। তাদের গ্রেপ্তারের খুব কাছাকাছি রয়েছি।’
ডিএমপির অপর এক কর্মকর্তা বলেন, শুটাররা মুখে মাস্ক ও মাথায় টুপি পরিধান করলেও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মামুন হত্যার আগে অন্তত একজন তাঁকে অনুসরণ করছিল। হামলার আগে তাদের পরিকল্পনা সূক্ষ্মভাবে ছিল এবং তারা পেশাদারত্বের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম রুবেল, অপরজন ইব্রাহীম। এ ছাড়া আরও দুটি দল আলাদাভাবে হত্যাকাণ্ডে ব্যাকআপ টিম হিসেবে কাজ করেছে। এতে সোহেল ও কামাল নামে দুই সন্ত্রাসীর নাম এসেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একাধিক পুলিশের টিম কাজ করছে। শনাক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তাদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।’
মামুনের একসময় ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু ইমনের সঙ্গে পারিবারিক ও চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব তীব্র ছিল। এ কারণে ইমনের অনুসারীরা একাধিকবার হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। ২০১৭ সালে তেজগাঁওয়ে মামুনের ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছিল, তখনো তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল নিহত হন।
মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং শুটারদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মল্লিক এহসান আহসান সামী জানান, গুলিতে নিহত ব্যক্তিটি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। তিনি কোনো ব্যবসায়ী নন।

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাইফ মামুনকে হত্যার ঘটনায় দুই পেশাদার শুটারসহ চারজনকে শনাক্ত করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। শুটার দুজনের মধ্যে একজন ধানমন্ডি, আরেকজন তেজগাঁও এলাকার একাধিক মামলার আসামি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, যেকোনো সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।
গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ফটকে মামুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়, তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে তারা দেশের ভেতরেই অবস্থান করছে এবং তাদের ধরার জন্য পুলিশ একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে। এ অবস্থায় সীমান্তে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মো. মোস্তাক সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুজনকে শনাক্ত করেছি। তারা দেশেই আছে। তাদের গ্রেপ্তারের খুব কাছাকাছি রয়েছি।’
ডিএমপির অপর এক কর্মকর্তা বলেন, শুটাররা মুখে মাস্ক ও মাথায় টুপি পরিধান করলেও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মামুন হত্যার আগে অন্তত একজন তাঁকে অনুসরণ করছিল। হামলার আগে তাদের পরিকল্পনা সূক্ষ্মভাবে ছিল এবং তারা পেশাদারত্বের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম রুবেল, অপরজন ইব্রাহীম। এ ছাড়া আরও দুটি দল আলাদাভাবে হত্যাকাণ্ডে ব্যাকআপ টিম হিসেবে কাজ করেছে। এতে সোহেল ও কামাল নামে দুই সন্ত্রাসীর নাম এসেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একাধিক পুলিশের টিম কাজ করছে। শনাক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তাদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।’
মামুনের একসময় ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু ইমনের সঙ্গে পারিবারিক ও চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব তীব্র ছিল। এ কারণে ইমনের অনুসারীরা একাধিকবার হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। ২০১৭ সালে তেজগাঁওয়ে মামুনের ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছিল, তখনো তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল নিহত হন।
মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং শুটারদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মল্লিক এহসান আহসান সামী জানান, গুলিতে নিহত ব্যক্তিটি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। তিনি কোনো ব্যবসায়ী নন।

চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
১ দিন আগে
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১০ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
১ দিন আগে
পুলিশ বলছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়। তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
১ দিন আগে
পুলিশ বলছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়। তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
২ দিন আগে
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১০ দিন আগে