নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্কুল-কলেজ খোলার পরিকল্পনা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। সব শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে কবে আবাসিক হলসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা যাবে তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউ। এমন পরিস্থিতিতে হল না খুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে সরকার।
স্কুল-কলেজের সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার দাবিতে সভা-সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা বলছেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা নিতে চাই।এ জন্য সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ আগামী সপ্তাহে সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা এবং পরীক্ষা নিয়ে তাদের অবস্থান জানাবে। এই পরিষদের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল আলম আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ আগামী ১৩ জুন খোলা হতে পারে বলে গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলছেন, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রথমে খোলা হবে। আর যেসব শিক্ষার্থী হলে থাকেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে খোলা হবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম আজ সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিকা না নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে, পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তবে হলে থাকা যাবে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেই নির্দেশনা দিতে যাচ্ছি। আজকে (বৃহস্পতিবার) সেই চিঠি ড্রাফট হচ্ছে, কাল (শুক্রবার) চিঠি যাবে। কোনো রেসটিকশন থাকবে না। যদি হল না খুলে পরীক্ষা নিতে পারে তাহলে পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
হল খোলার দাবিতে এর আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জড়ো হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে দিল আফরোজা বলেন, ছাত্ররা যদি হল না খুলে পরীক্ষা দিতে চায়, দিতে পারবে। তবে টিকা না দিয়ে হল খুলব না।
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলতে সেখানকার আবাসিক শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ করে টিকা দিতে ১২ লাখের মতো টিকা লাগবে বলে জানান ইউজিসির সদস্য দিল আফরোজা। তিনি বলেন, ওই পরিমাণ টিকা রিজার্ভ না করে তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ দেওয়া যায় না।
অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গাইডলাইন দেওয়া হলেও তা বাধ্যতামূলক করা হয়নি বলে জানান দিল আফরোজা। তিনি বলেন, যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার মত আছে তবে তারা ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিতে পারবে। কিন্তু যদি কোনো প্রবলেম হয়, সেই দায়-দায়িত্ব আমরা নেব না।
দিল আফরোজা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করলেও সশরীরে পরীক্ষা নিতে চান। যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে তাদের অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে তারা সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে। কারণ অনলাইনে পরীক্ষার কথা বললেই হবে না, তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থাকতে হবে।
‘এখন আমরা ওপেন করে দেব। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে, স্বশরীরেও নিতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। হল না খুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে কোনো সমস্যা নেই।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ফেসবুকের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। বিভিন্ন জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তাঁরা। ঢাকার একদল শিক্ষার্থী সব ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে গতকাল শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
একই দাবিতে গতকাল রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় এনে নিয়মিত মনিটরিংয়ের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তাঁরা। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে দুপুরে টিএসসিতে সমাবেশ করেছে জাতীয় ছাত্র সমাজ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক কামালউদ্দীন আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হোক এটা আমরা সব সময় চাই। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা জুনের শেষে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছি। বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সভা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরাও সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় আছেন।
অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা যে বই দেখে লিখবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, একেক দিন একেক বিভাগের পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জায়গায় অভাব নেই। মাস্ক পরে এক বেঞ্চে একজন করে যদি বসে তাহলে সমস্যা নেই।

ঢাকা: জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্কুল-কলেজ খোলার পরিকল্পনা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। সব শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে কবে আবাসিক হলসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা যাবে তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউ। এমন পরিস্থিতিতে হল না খুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে সরকার।
স্কুল-কলেজের সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার দাবিতে সভা-সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা বলছেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা নিতে চাই।এ জন্য সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ আগামী সপ্তাহে সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা এবং পরীক্ষা নিয়ে তাদের অবস্থান জানাবে। এই পরিষদের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল আলম আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ আগামী ১৩ জুন খোলা হতে পারে বলে গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলছেন, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রথমে খোলা হবে। আর যেসব শিক্ষার্থী হলে থাকেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে খোলা হবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম আজ সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিকা না নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে, পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তবে হলে থাকা যাবে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেই নির্দেশনা দিতে যাচ্ছি। আজকে (বৃহস্পতিবার) সেই চিঠি ড্রাফট হচ্ছে, কাল (শুক্রবার) চিঠি যাবে। কোনো রেসটিকশন থাকবে না। যদি হল না খুলে পরীক্ষা নিতে পারে তাহলে পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
হল খোলার দাবিতে এর আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জড়ো হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে দিল আফরোজা বলেন, ছাত্ররা যদি হল না খুলে পরীক্ষা দিতে চায়, দিতে পারবে। তবে টিকা না দিয়ে হল খুলব না।
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলতে সেখানকার আবাসিক শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ করে টিকা দিতে ১২ লাখের মতো টিকা লাগবে বলে জানান ইউজিসির সদস্য দিল আফরোজা। তিনি বলেন, ওই পরিমাণ টিকা রিজার্ভ না করে তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ দেওয়া যায় না।
অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গাইডলাইন দেওয়া হলেও তা বাধ্যতামূলক করা হয়নি বলে জানান দিল আফরোজা। তিনি বলেন, যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার মত আছে তবে তারা ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিতে পারবে। কিন্তু যদি কোনো প্রবলেম হয়, সেই দায়-দায়িত্ব আমরা নেব না।
দিল আফরোজা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করলেও সশরীরে পরীক্ষা নিতে চান। যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে তাদের অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে তারা সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে। কারণ অনলাইনে পরীক্ষার কথা বললেই হবে না, তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থাকতে হবে।
‘এখন আমরা ওপেন করে দেব। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে, স্বশরীরেও নিতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। হল না খুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে কোনো সমস্যা নেই।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ফেসবুকের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। বিভিন্ন জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তাঁরা। ঢাকার একদল শিক্ষার্থী সব ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে গতকাল শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
একই দাবিতে গতকাল রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় এনে নিয়মিত মনিটরিংয়ের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তাঁরা। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে দুপুরে টিএসসিতে সমাবেশ করেছে জাতীয় ছাত্র সমাজ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক কামালউদ্দীন আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হোক এটা আমরা সব সময় চাই। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা জুনের শেষে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছি। বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সভা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরাও সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় আছেন।
অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা যে বই দেখে লিখবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, একেক দিন একেক বিভাগের পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জায়গায় অভাব নেই। মাস্ক পরে এক বেঞ্চে একজন করে যদি বসে তাহলে সমস্যা নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্কুল-কলেজ খোলার পরিকল্পনা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। সব শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে কবে আবাসিক হলসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা যাবে তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউ। এমন পরিস্থিতিতে হল না খুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে সরকার।
স্কুল-কলেজের সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার দাবিতে সভা-সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা বলছেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা নিতে চাই।এ জন্য সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ আগামী সপ্তাহে সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা এবং পরীক্ষা নিয়ে তাদের অবস্থান জানাবে। এই পরিষদের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল আলম আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ আগামী ১৩ জুন খোলা হতে পারে বলে গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলছেন, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রথমে খোলা হবে। আর যেসব শিক্ষার্থী হলে থাকেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে খোলা হবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম আজ সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিকা না নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে, পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তবে হলে থাকা যাবে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেই নির্দেশনা দিতে যাচ্ছি। আজকে (বৃহস্পতিবার) সেই চিঠি ড্রাফট হচ্ছে, কাল (শুক্রবার) চিঠি যাবে। কোনো রেসটিকশন থাকবে না। যদি হল না খুলে পরীক্ষা নিতে পারে তাহলে পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
হল খোলার দাবিতে এর আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জড়ো হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে দিল আফরোজা বলেন, ছাত্ররা যদি হল না খুলে পরীক্ষা দিতে চায়, দিতে পারবে। তবে টিকা না দিয়ে হল খুলব না।
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলতে সেখানকার আবাসিক শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ করে টিকা দিতে ১২ লাখের মতো টিকা লাগবে বলে জানান ইউজিসির সদস্য দিল আফরোজা। তিনি বলেন, ওই পরিমাণ টিকা রিজার্ভ না করে তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ দেওয়া যায় না।
অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গাইডলাইন দেওয়া হলেও তা বাধ্যতামূলক করা হয়নি বলে জানান দিল আফরোজা। তিনি বলেন, যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার মত আছে তবে তারা ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিতে পারবে। কিন্তু যদি কোনো প্রবলেম হয়, সেই দায়-দায়িত্ব আমরা নেব না।
দিল আফরোজা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করলেও সশরীরে পরীক্ষা নিতে চান। যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে তাদের অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে তারা সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে। কারণ অনলাইনে পরীক্ষার কথা বললেই হবে না, তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থাকতে হবে।
‘এখন আমরা ওপেন করে দেব। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে, স্বশরীরেও নিতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। হল না খুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে কোনো সমস্যা নেই।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ফেসবুকের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। বিভিন্ন জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তাঁরা। ঢাকার একদল শিক্ষার্থী সব ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে গতকাল শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
একই দাবিতে গতকাল রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় এনে নিয়মিত মনিটরিংয়ের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তাঁরা। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে দুপুরে টিএসসিতে সমাবেশ করেছে জাতীয় ছাত্র সমাজ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক কামালউদ্দীন আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হোক এটা আমরা সব সময় চাই। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা জুনের শেষে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছি। বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সভা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরাও সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় আছেন।
অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা যে বই দেখে লিখবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, একেক দিন একেক বিভাগের পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জায়গায় অভাব নেই। মাস্ক পরে এক বেঞ্চে একজন করে যদি বসে তাহলে সমস্যা নেই।

ঢাকা: জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্কুল-কলেজ খোলার পরিকল্পনা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। সব শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে কবে আবাসিক হলসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা যাবে তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউ। এমন পরিস্থিতিতে হল না খুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে সরকার।
স্কুল-কলেজের সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার দাবিতে সভা-সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা বলছেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা নিতে চাই।এ জন্য সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ আগামী সপ্তাহে সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা এবং পরীক্ষা নিয়ে তাদের অবস্থান জানাবে। এই পরিষদের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল আলম আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ আগামী ১৩ জুন খোলা হতে পারে বলে গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলছেন, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রথমে খোলা হবে। আর যেসব শিক্ষার্থী হলে থাকেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে খোলা হবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম আজ সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিকা না নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে, পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তবে হলে থাকা যাবে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেই নির্দেশনা দিতে যাচ্ছি। আজকে (বৃহস্পতিবার) সেই চিঠি ড্রাফট হচ্ছে, কাল (শুক্রবার) চিঠি যাবে। কোনো রেসটিকশন থাকবে না। যদি হল না খুলে পরীক্ষা নিতে পারে তাহলে পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
হল খোলার দাবিতে এর আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জড়ো হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে দিল আফরোজা বলেন, ছাত্ররা যদি হল না খুলে পরীক্ষা দিতে চায়, দিতে পারবে। তবে টিকা না দিয়ে হল খুলব না।
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলতে সেখানকার আবাসিক শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ করে টিকা দিতে ১২ লাখের মতো টিকা লাগবে বলে জানান ইউজিসির সদস্য দিল আফরোজা। তিনি বলেন, ওই পরিমাণ টিকা রিজার্ভ না করে তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ দেওয়া যায় না।
অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গাইডলাইন দেওয়া হলেও তা বাধ্যতামূলক করা হয়নি বলে জানান দিল আফরোজা। তিনি বলেন, যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার মত আছে তবে তারা ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিতে পারবে। কিন্তু যদি কোনো প্রবলেম হয়, সেই দায়-দায়িত্ব আমরা নেব না।
দিল আফরোজা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করলেও সশরীরে পরীক্ষা নিতে চান। যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে তাদের অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে তারা সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে। কারণ অনলাইনে পরীক্ষার কথা বললেই হবে না, তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থাকতে হবে।
‘এখন আমরা ওপেন করে দেব। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে, স্বশরীরেও নিতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। হল না খুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে কোনো সমস্যা নেই।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ফেসবুকের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। বিভিন্ন জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তাঁরা। ঢাকার একদল শিক্ষার্থী সব ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে গতকাল শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
একই দাবিতে গতকাল রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় এনে নিয়মিত মনিটরিংয়ের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তাঁরা। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে দুপুরে টিএসসিতে সমাবেশ করেছে জাতীয় ছাত্র সমাজ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক কামালউদ্দীন আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হোক এটা আমরা সব সময় চাই। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা জুনের শেষে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছি। বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সভা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরাও সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষায় আছেন।
অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা যে বই দেখে লিখবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, একেক দিন একেক বিভাগের পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জায়গায় অভাব নেই। মাস্ক পরে এক বেঞ্চে একজন করে যদি বসে তাহলে সমস্যা নেই।

প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৯ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন একাদশ থেকে বাড়িয়ে দশম গ্রেডে নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রাজীব কুমার সরকার।
এদিন এই প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নতুন গ্রেডে বেতন ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গেল ২৭ অক্টোবর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এরপর ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকদের সবগুলো পদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ জুলাই অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও অক্টোবরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি দিয়েছিল।
পরে গত ১১ নভেম্বর অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।
৩ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায়ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর ফলে প্রধান শিক্ষকেরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও ‘সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত’ ভূমিকা রাখবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আরও উন্নত ও গতিশীল’ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
মন্ত্রণালয় বলছে, প্রধান শিক্ষকেরা অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনদের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান ‘কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে’ উন্নীত করবেন বলে প্রত্যাশা করছে সরকার।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন একাদশ থেকে বাড়িয়ে দশম গ্রেডে নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রাজীব কুমার সরকার।
এদিন এই প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নতুন গ্রেডে বেতন ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গেল ২৭ অক্টোবর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এরপর ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকদের সবগুলো পদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ জুলাই অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও অক্টোবরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি দিয়েছিল।
পরে গত ১১ নভেম্বর অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।
৩ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায়ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর ফলে প্রধান শিক্ষকেরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও ‘সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত’ ভূমিকা রাখবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আরও উন্নত ও গতিশীল’ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
মন্ত্রণালয় বলছে, প্রধান শিক্ষকেরা অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনদের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান ‘কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে’ উন্নীত করবেন বলে প্রত্যাশা করছে সরকার।

এখন আমরা ওপেন করে দেব। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে, স্বশরীরেও নিতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। হল না খুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে কোনো সমস্যা নেই
২৭ মে ২০২১
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ দিন আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অর্থ ব্যয় এবং পরিচালনায় এমন অনেক অনিয়ম ও অসংগতি পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অনিয়মে প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আইন লঙ্ঘন করে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানত ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনটির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন অনুবিভাগ) জহিরুল ইসলাম ১৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি এখনো হাতে পাননি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অবসর সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৭৭৫টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর মধ্যে স্কুলপর্যায়ের ২৭ হাজার ৮৬২টি, কলেজের ১৭ হাজার ২৭৮টি, মাদ্রাসার ১২ হাজার ৯৬৮টি এবং কারিগরির শিক্ষকদের ৬ হাজার ৬৬৭টি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসেবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৮ জন ভুয়া ইনডেক্সধারীকে বোর্ড তহবিল থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৭ টাকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা পরিশোধের আগে ইনডেক্স যাচাই আবশ্যক। অথচ ইনডেক্স যাচাই না করে ভুয়া ইনডেক্সের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসব অর্থ আদায় করে বোর্ডের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে নিরীক্ষা দল।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর ভাতা প্রাপ্তির আবেদন না করলেও এবং বোর্ড থেকে ব্যাংকে কোনো অ্যাডভাইস না পাঠালেও তাঁদের অনুকূলে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া একই ইনডেক্সধারীকে একাধিকবার অবসর সুবিধা দেওয়ায় বোর্ডের ১ কোটি চার লাখ ৭২ হাজার ৮৬১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাল আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাবে ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮ টাকা এবং ভুয়া ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে সফটওয়্যার ভেন্ডরের মাধ্যমে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৫ টাকা পরিশোধের তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ডের আইন লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে না রেখে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানতের টাকা ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৬১ হাজার ৭২৫ টাকা। এসব টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা করা আবশ্যক বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য আদায় করা ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তহবিল থেকে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিলে জমা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওর চেক নগদায়নপূর্বক নির্ধারিত সময়ে ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৩ টাকা জমা হয়নি। স্থায়ী তহবিলের প্রাপ্ত সুদ চলতি তহবিলে জমা না দেওয়ায় ৫৬ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার ৫২৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া তহবিল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না হওয়ায় ৯১ লাখ ৩৫ হাজার, যথাযথ নিয়মে হিসাবভুক্ত না করায় ২৯ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৭ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পরামর্শক বাবদ বিল পরিশোধ করায় অনিয়মিত ব্যয় ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪৮০ টাকা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাপ্যতা না থাকলেও সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা পারিতোষিক দেওয়া হয়েছে। আবার অতিরিক্ত অবসর সুবিধা পরিশোধ করায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৪ টাকা, ভ্যাট না কাটায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৩ টাকা, চেকের ব্যবহার না থাকলেও এ খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব ব্যয়কে প্রতিবেদনে আর্থিক ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে এসব অর্থ আদায় করে বোর্ড তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে উৎসে কর না কাটায় ১ লাখ ৬ হাজার ১১ টাকা, ক্রয় সিলিং না মেনে ২৬ লাখ ১৬ হাজার ৩০৪ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়, বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা না মেনে ১ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৭০৭ টাকা ব্যয় এবং আর্থিক ক্রয়সীমার অতিরিক্ত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪১ টাকা ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিল ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদিত কার্যাবলির প্রতিবেদন প্রণয়ন না করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন বোর্ডের আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড কর্তৃক ক্যাশবই ও স্টক রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয়নি। তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত না করে অধিক হারে পরিশোধের অঙ্গীকার করার অবসর সুবিধা বোর্ডের দায় উত্তরোত্তর বাড়ছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আপত্তিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষার আপত্তিগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে। সে আলোকে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অর্থ ব্যয় এবং পরিচালনায় এমন অনেক অনিয়ম ও অসংগতি পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অনিয়মে প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আইন লঙ্ঘন করে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানত ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনটির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন অনুবিভাগ) জহিরুল ইসলাম ১৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি এখনো হাতে পাননি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অবসর সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৭৭৫টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর মধ্যে স্কুলপর্যায়ের ২৭ হাজার ৮৬২টি, কলেজের ১৭ হাজার ২৭৮টি, মাদ্রাসার ১২ হাজার ৯৬৮টি এবং কারিগরির শিক্ষকদের ৬ হাজার ৬৬৭টি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসেবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৮ জন ভুয়া ইনডেক্সধারীকে বোর্ড তহবিল থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৭ টাকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা পরিশোধের আগে ইনডেক্স যাচাই আবশ্যক। অথচ ইনডেক্স যাচাই না করে ভুয়া ইনডেক্সের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসব অর্থ আদায় করে বোর্ডের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে নিরীক্ষা দল।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর ভাতা প্রাপ্তির আবেদন না করলেও এবং বোর্ড থেকে ব্যাংকে কোনো অ্যাডভাইস না পাঠালেও তাঁদের অনুকূলে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া একই ইনডেক্সধারীকে একাধিকবার অবসর সুবিধা দেওয়ায় বোর্ডের ১ কোটি চার লাখ ৭২ হাজার ৮৬১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাল আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাবে ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮ টাকা এবং ভুয়া ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে সফটওয়্যার ভেন্ডরের মাধ্যমে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৫ টাকা পরিশোধের তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ডের আইন লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে না রেখে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানতের টাকা ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৬১ হাজার ৭২৫ টাকা। এসব টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা করা আবশ্যক বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য আদায় করা ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তহবিল থেকে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিলে জমা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওর চেক নগদায়নপূর্বক নির্ধারিত সময়ে ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৩ টাকা জমা হয়নি। স্থায়ী তহবিলের প্রাপ্ত সুদ চলতি তহবিলে জমা না দেওয়ায় ৫৬ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার ৫২৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া তহবিল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না হওয়ায় ৯১ লাখ ৩৫ হাজার, যথাযথ নিয়মে হিসাবভুক্ত না করায় ২৯ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৭ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পরামর্শক বাবদ বিল পরিশোধ করায় অনিয়মিত ব্যয় ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪৮০ টাকা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাপ্যতা না থাকলেও সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা পারিতোষিক দেওয়া হয়েছে। আবার অতিরিক্ত অবসর সুবিধা পরিশোধ করায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৪ টাকা, ভ্যাট না কাটায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৩ টাকা, চেকের ব্যবহার না থাকলেও এ খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব ব্যয়কে প্রতিবেদনে আর্থিক ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে এসব অর্থ আদায় করে বোর্ড তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে উৎসে কর না কাটায় ১ লাখ ৬ হাজার ১১ টাকা, ক্রয় সিলিং না মেনে ২৬ লাখ ১৬ হাজার ৩০৪ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়, বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা না মেনে ১ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৭০৭ টাকা ব্যয় এবং আর্থিক ক্রয়সীমার অতিরিক্ত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪১ টাকা ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিল ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদিত কার্যাবলির প্রতিবেদন প্রণয়ন না করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন বোর্ডের আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড কর্তৃক ক্যাশবই ও স্টক রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয়নি। তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত না করে অধিক হারে পরিশোধের অঙ্গীকার করার অবসর সুবিধা বোর্ডের দায় উত্তরোত্তর বাড়ছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আপত্তিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষার আপত্তিগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে। সে আলোকে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

এখন আমরা ওপেন করে দেব। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে, স্বশরীরেও নিতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। হল না খুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে কোনো সমস্যা নেই
২৭ মে ২০২১
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৯ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এর আগে একসময় ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা শুরুর রেওয়াজ থাকলেও করোনা মহামারি ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন আসে।
২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষাকে আবারও ফেব্রুয়ারিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সে বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর রমজানের কারণে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি শুরু করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরে ঈদুল ফিতরের পর ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের প্রশ্নে এ পরীক্ষায় বসতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি, যাতে সরকার যেকোনো সময় বললে পরীক্ষা নিতে পারি। পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু চিন্তাভাবনা, কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিলে আমরা পরীক্ষা নেব।’
এহসানুল কবির আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এর মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা হবে। এরপর রমজান। এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কোন সময় আয়োজিত হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকারের। তাই পরীক্ষা কবে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘গত বছর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এপ্রিলে। এবার এপ্রিলেও শুরু হতে পারে, মে মাসেও শুরু হতে পারে। আবার এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার একটা বিষয় আছে। এসএসসি পরীক্ষা কবে হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা প্রস্তুতি রাখছি, সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে পরীক্ষার আনুষ্ঠিকতা শুরু হবে।’
গত বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা এবং ১৫ থেকে ২২ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা আয়োজনের পরিল্পনা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১৪ ও ১৫ মের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৮ মে। আর ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এরপর ২৬ জুন থেকে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
এদিকে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিলম্বসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণে এ ফি দিতে হবে। আর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এর আগে একসময় ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা শুরুর রেওয়াজ থাকলেও করোনা মহামারি ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন আসে।
২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষাকে আবারও ফেব্রুয়ারিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সে বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর রমজানের কারণে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি শুরু করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরে ঈদুল ফিতরের পর ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের প্রশ্নে এ পরীক্ষায় বসতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি, যাতে সরকার যেকোনো সময় বললে পরীক্ষা নিতে পারি। পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু চিন্তাভাবনা, কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিলে আমরা পরীক্ষা নেব।’
এহসানুল কবির আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এর মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা হবে। এরপর রমজান। এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কোন সময় আয়োজিত হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকারের। তাই পরীক্ষা কবে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘গত বছর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এপ্রিলে। এবার এপ্রিলেও শুরু হতে পারে, মে মাসেও শুরু হতে পারে। আবার এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার একটা বিষয় আছে। এসএসসি পরীক্ষা কবে হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা প্রস্তুতি রাখছি, সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে পরীক্ষার আনুষ্ঠিকতা শুরু হবে।’
গত বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা এবং ১৫ থেকে ২২ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা আয়োজনের পরিল্পনা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১৪ ও ১৫ মের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৮ মে। আর ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এরপর ২৬ জুন থেকে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
এদিকে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিলম্বসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণে এ ফি দিতে হবে। আর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এখন আমরা ওপেন করে দেব। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে, স্বশরীরেও নিতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। হল না খুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে কোনো সমস্যা নেই
২৭ মে ২০২১
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৯ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ দিন আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন, সহকারী প্রোক্টর মনিরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে একটি সুন্দর, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। কর্মসূচি শেষে উপস্থিত সবাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন, সহকারী প্রোক্টর মনিরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে একটি সুন্দর, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। কর্মসূচি শেষে উপস্থিত সবাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

এখন আমরা ওপেন করে দেব। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মনে করলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে, স্বশরীরেও নিতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। হল না খুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে কোনো সমস্যা নেই
২৭ মে ২০২১
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৯ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে