আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
কিন্তু এই বিপর্যয় সত্ত্বেও ইন্ডিগো তাদের পুরো বিমানবহর গ্রাউন্ড করেনি বা প্রতিদিন পরিচালিত ২ হাজার ২০০-এর বেশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বাতিলও করেনি। ফলে বিলম্ব ও বিঘ্নের কারণে গতকাল শুক্রবার ১ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়।
বাতিলের তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল দিল্লি থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো। কলকাতা-গুয়াহাটি, চেন্নাই-কোয়েম্বাটুর রুট এবং যেসব রুট নন-মেট্রো শহরগুলোকে যুক্ত করে যেসব ফ্লাইট রুট রয়েছে, সেগুলো চলছে। তবে সেগুলোতে কমেছে ফ্লাইটের সংখ্যা, বেড়েছে বিলম্ব।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে প্রতিদিন এত ফ্লাইট বাতিলের পরও তারা কেন এবং কীভাবে এত টিকিট বিক্রি করছে আর ভাড়াই বা এত বেশি কেন?
সাধারণত এয়ারলাইনসগুলো প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই ফ্লাইট বাতিল করে না, যদি না পুরো সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্ডিগোর ক্ষেত্রে এই বিঘ্নগুলো দৈনন্দিন ভিত্তিতে সামলানো হচ্ছে। অর্থাৎ আজকের ফ্লাইট বাতিল হতে পারে, কিন্তু তিন দিন বা এমনকি দুই দিন পরের ফ্লাইটগুলোর বুকিং খোলা আছে, এই আশায় যে ওই সময়ের মধ্যে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, ফ্লাইটগুলো বাতিল করা ছিল এককালীন ‘সিস্টেম রিবুট’-এর অংশ, যাতে বিমান ও ক্রু পুনর্বিন্যস্ত করা যায় এবং নিয়মিত সময়সূচি পুনরায় চালু করা যায়। তারা আশা করছে, ধাপে ধাপে অপারেশন স্বাভাবিক হবে এবং ১০-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
ভারতের বাণিজ্যিক অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন বাজারের অর্ধেকের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে ইন্ডিগো। কিছু হিসাবে ৬০ শতাংশের বেশি। তাই বিপুলসংখ্যক ফ্লাইট বাতিলের ফলে মুহূর্তেই সব এয়ারলাইনসের মোট আসনের সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু যাত্রীদের চাহিদা একই রয়ে গেছে।
আর চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে এই আকস্মিক ও চরম বৈপরীত্যের কারণে টিকিটের মূল্যও উচ্চ হারে বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি-মুম্বাই ওয়ান-ওয়ে ভাড়া বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা আর রিটার্ন ভাড়া ছুঁয়েছে ৬০ হাজার। অন্যদিকে দিল্লি-বেঙ্গালুরু টিকিটের দাম ১ লাখ টাকায় পৌঁছে যায়। বেঙ্গালুরু-মুম্বাই সর্বোচ্চ ভাড়া থাকে প্রায় ৭ হাজার টাকা, যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার টাকায়।
এ অবস্থায় অনেকেই বলছেন, এখন মনে হচ্ছে দিল্লি-লন্ডন টিকিটই যেন সস্তা!
নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, সংকট বা জরুরি অবস্থার সময়ে এয়ারলাইন ও সরকার কি এসব অ্যালগরিদম নিষ্ক্রিয় করবে না? যাত্রীদের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা আদায় করার বদলে যারা ইতিমধ্যে অর্থ প্রদান করেছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করা কি জরুরি নয়?
বিঘ্নের সময়ে কোনো ফ্লাইটে ক্রু পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বা বিমান ঘুরে আসার (aircraft rotation) প্রক্রিয়া ব্যর্থ না হওয়া পর্যন্ত এয়ারলাইনস সেই ফ্লাইটের সিট বিক্রি চালিয়ে যেতে পারে। শুধু এসব নিশ্চিত হওয়ার পরই ফ্লাইটটিকে ‘বাতিল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফলস্বরূপ এয়ারলাইনের সিস্টেম এমনভাবে তৈরি, যদি না পরিচালনা করা যাবে না এমন নিশ্চিত হওয়া যায় ততক্ষণ পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলে। টিকিট বিক্রি বন্ধ করা হবে কেবল তখনই, যদি ইন্ডিগো নিজে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় বা বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ সেবা স্থগিতের নির্দেশ দেয়। যার কোনোটিই এখনো ঘটেনি।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা হচ্ছে, তবে পুরোপুরি স্থিতিশীল হতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
কিন্তু এই বিপর্যয় সত্ত্বেও ইন্ডিগো তাদের পুরো বিমানবহর গ্রাউন্ড করেনি বা প্রতিদিন পরিচালিত ২ হাজার ২০০-এর বেশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বাতিলও করেনি। ফলে বিলম্ব ও বিঘ্নের কারণে গতকাল শুক্রবার ১ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়।
বাতিলের তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল দিল্লি থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো। কলকাতা-গুয়াহাটি, চেন্নাই-কোয়েম্বাটুর রুট এবং যেসব রুট নন-মেট্রো শহরগুলোকে যুক্ত করে যেসব ফ্লাইট রুট রয়েছে, সেগুলো চলছে। তবে সেগুলোতে কমেছে ফ্লাইটের সংখ্যা, বেড়েছে বিলম্ব।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে প্রতিদিন এত ফ্লাইট বাতিলের পরও তারা কেন এবং কীভাবে এত টিকিট বিক্রি করছে আর ভাড়াই বা এত বেশি কেন?
সাধারণত এয়ারলাইনসগুলো প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই ফ্লাইট বাতিল করে না, যদি না পুরো সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্ডিগোর ক্ষেত্রে এই বিঘ্নগুলো দৈনন্দিন ভিত্তিতে সামলানো হচ্ছে। অর্থাৎ আজকের ফ্লাইট বাতিল হতে পারে, কিন্তু তিন দিন বা এমনকি দুই দিন পরের ফ্লাইটগুলোর বুকিং খোলা আছে, এই আশায় যে ওই সময়ের মধ্যে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, ফ্লাইটগুলো বাতিল করা ছিল এককালীন ‘সিস্টেম রিবুট’-এর অংশ, যাতে বিমান ও ক্রু পুনর্বিন্যস্ত করা যায় এবং নিয়মিত সময়সূচি পুনরায় চালু করা যায়। তারা আশা করছে, ধাপে ধাপে অপারেশন স্বাভাবিক হবে এবং ১০-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
ভারতের বাণিজ্যিক অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন বাজারের অর্ধেকের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে ইন্ডিগো। কিছু হিসাবে ৬০ শতাংশের বেশি। তাই বিপুলসংখ্যক ফ্লাইট বাতিলের ফলে মুহূর্তেই সব এয়ারলাইনসের মোট আসনের সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু যাত্রীদের চাহিদা একই রয়ে গেছে।
আর চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে এই আকস্মিক ও চরম বৈপরীত্যের কারণে টিকিটের মূল্যও উচ্চ হারে বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি-মুম্বাই ওয়ান-ওয়ে ভাড়া বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা আর রিটার্ন ভাড়া ছুঁয়েছে ৬০ হাজার। অন্যদিকে দিল্লি-বেঙ্গালুরু টিকিটের দাম ১ লাখ টাকায় পৌঁছে যায়। বেঙ্গালুরু-মুম্বাই সর্বোচ্চ ভাড়া থাকে প্রায় ৭ হাজার টাকা, যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার টাকায়।
এ অবস্থায় অনেকেই বলছেন, এখন মনে হচ্ছে দিল্লি-লন্ডন টিকিটই যেন সস্তা!
নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, সংকট বা জরুরি অবস্থার সময়ে এয়ারলাইন ও সরকার কি এসব অ্যালগরিদম নিষ্ক্রিয় করবে না? যাত্রীদের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা আদায় করার বদলে যারা ইতিমধ্যে অর্থ প্রদান করেছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করা কি জরুরি নয়?
বিঘ্নের সময়ে কোনো ফ্লাইটে ক্রু পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বা বিমান ঘুরে আসার (aircraft rotation) প্রক্রিয়া ব্যর্থ না হওয়া পর্যন্ত এয়ারলাইনস সেই ফ্লাইটের সিট বিক্রি চালিয়ে যেতে পারে। শুধু এসব নিশ্চিত হওয়ার পরই ফ্লাইটটিকে ‘বাতিল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফলস্বরূপ এয়ারলাইনের সিস্টেম এমনভাবে তৈরি, যদি না পরিচালনা করা যাবে না এমন নিশ্চিত হওয়া যায় ততক্ষণ পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলে। টিকিট বিক্রি বন্ধ করা হবে কেবল তখনই, যদি ইন্ডিগো নিজে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় বা বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ সেবা স্থগিতের নির্দেশ দেয়। যার কোনোটিই এখনো ঘটেনি।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা হচ্ছে, তবে পুরোপুরি স্থিতিশীল হতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
কিন্তু এই বিপর্যয় সত্ত্বেও ইন্ডিগো তাদের পুরো বিমানবহর গ্রাউন্ড করেনি বা প্রতিদিন পরিচালিত ২ হাজার ২০০-এর বেশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বাতিলও করেনি। ফলে বিলম্ব ও বিঘ্নের কারণে গতকাল শুক্রবার ১ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়।
বাতিলের তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল দিল্লি থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো। কলকাতা-গুয়াহাটি, চেন্নাই-কোয়েম্বাটুর রুট এবং যেসব রুট নন-মেট্রো শহরগুলোকে যুক্ত করে যেসব ফ্লাইট রুট রয়েছে, সেগুলো চলছে। তবে সেগুলোতে কমেছে ফ্লাইটের সংখ্যা, বেড়েছে বিলম্ব।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে প্রতিদিন এত ফ্লাইট বাতিলের পরও তারা কেন এবং কীভাবে এত টিকিট বিক্রি করছে আর ভাড়াই বা এত বেশি কেন?
সাধারণত এয়ারলাইনসগুলো প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই ফ্লাইট বাতিল করে না, যদি না পুরো সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্ডিগোর ক্ষেত্রে এই বিঘ্নগুলো দৈনন্দিন ভিত্তিতে সামলানো হচ্ছে। অর্থাৎ আজকের ফ্লাইট বাতিল হতে পারে, কিন্তু তিন দিন বা এমনকি দুই দিন পরের ফ্লাইটগুলোর বুকিং খোলা আছে, এই আশায় যে ওই সময়ের মধ্যে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, ফ্লাইটগুলো বাতিল করা ছিল এককালীন ‘সিস্টেম রিবুট’-এর অংশ, যাতে বিমান ও ক্রু পুনর্বিন্যস্ত করা যায় এবং নিয়মিত সময়সূচি পুনরায় চালু করা যায়। তারা আশা করছে, ধাপে ধাপে অপারেশন স্বাভাবিক হবে এবং ১০-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
ভারতের বাণিজ্যিক অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন বাজারের অর্ধেকের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে ইন্ডিগো। কিছু হিসাবে ৬০ শতাংশের বেশি। তাই বিপুলসংখ্যক ফ্লাইট বাতিলের ফলে মুহূর্তেই সব এয়ারলাইনসের মোট আসনের সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু যাত্রীদের চাহিদা একই রয়ে গেছে।
আর চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে এই আকস্মিক ও চরম বৈপরীত্যের কারণে টিকিটের মূল্যও উচ্চ হারে বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি-মুম্বাই ওয়ান-ওয়ে ভাড়া বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা আর রিটার্ন ভাড়া ছুঁয়েছে ৬০ হাজার। অন্যদিকে দিল্লি-বেঙ্গালুরু টিকিটের দাম ১ লাখ টাকায় পৌঁছে যায়। বেঙ্গালুরু-মুম্বাই সর্বোচ্চ ভাড়া থাকে প্রায় ৭ হাজার টাকা, যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার টাকায়।
এ অবস্থায় অনেকেই বলছেন, এখন মনে হচ্ছে দিল্লি-লন্ডন টিকিটই যেন সস্তা!
নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, সংকট বা জরুরি অবস্থার সময়ে এয়ারলাইন ও সরকার কি এসব অ্যালগরিদম নিষ্ক্রিয় করবে না? যাত্রীদের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা আদায় করার বদলে যারা ইতিমধ্যে অর্থ প্রদান করেছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করা কি জরুরি নয়?
বিঘ্নের সময়ে কোনো ফ্লাইটে ক্রু পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বা বিমান ঘুরে আসার (aircraft rotation) প্রক্রিয়া ব্যর্থ না হওয়া পর্যন্ত এয়ারলাইনস সেই ফ্লাইটের সিট বিক্রি চালিয়ে যেতে পারে। শুধু এসব নিশ্চিত হওয়ার পরই ফ্লাইটটিকে ‘বাতিল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফলস্বরূপ এয়ারলাইনের সিস্টেম এমনভাবে তৈরি, যদি না পরিচালনা করা যাবে না এমন নিশ্চিত হওয়া যায় ততক্ষণ পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলে। টিকিট বিক্রি বন্ধ করা হবে কেবল তখনই, যদি ইন্ডিগো নিজে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় বা বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ সেবা স্থগিতের নির্দেশ দেয়। যার কোনোটিই এখনো ঘটেনি।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা হচ্ছে, তবে পুরোপুরি স্থিতিশীল হতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
কিন্তু এই বিপর্যয় সত্ত্বেও ইন্ডিগো তাদের পুরো বিমানবহর গ্রাউন্ড করেনি বা প্রতিদিন পরিচালিত ২ হাজার ২০০-এর বেশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বাতিলও করেনি। ফলে বিলম্ব ও বিঘ্নের কারণে গতকাল শুক্রবার ১ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়।
বাতিলের তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল দিল্লি থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো। কলকাতা-গুয়াহাটি, চেন্নাই-কোয়েম্বাটুর রুট এবং যেসব রুট নন-মেট্রো শহরগুলোকে যুক্ত করে যেসব ফ্লাইট রুট রয়েছে, সেগুলো চলছে। তবে সেগুলোতে কমেছে ফ্লাইটের সংখ্যা, বেড়েছে বিলম্ব।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে প্রতিদিন এত ফ্লাইট বাতিলের পরও তারা কেন এবং কীভাবে এত টিকিট বিক্রি করছে আর ভাড়াই বা এত বেশি কেন?
সাধারণত এয়ারলাইনসগুলো প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই ফ্লাইট বাতিল করে না, যদি না পুরো সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্ডিগোর ক্ষেত্রে এই বিঘ্নগুলো দৈনন্দিন ভিত্তিতে সামলানো হচ্ছে। অর্থাৎ আজকের ফ্লাইট বাতিল হতে পারে, কিন্তু তিন দিন বা এমনকি দুই দিন পরের ফ্লাইটগুলোর বুকিং খোলা আছে, এই আশায় যে ওই সময়ের মধ্যে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, ফ্লাইটগুলো বাতিল করা ছিল এককালীন ‘সিস্টেম রিবুট’-এর অংশ, যাতে বিমান ও ক্রু পুনর্বিন্যস্ত করা যায় এবং নিয়মিত সময়সূচি পুনরায় চালু করা যায়। তারা আশা করছে, ধাপে ধাপে অপারেশন স্বাভাবিক হবে এবং ১০-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
ভারতের বাণিজ্যিক অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন বাজারের অর্ধেকের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে ইন্ডিগো। কিছু হিসাবে ৬০ শতাংশের বেশি। তাই বিপুলসংখ্যক ফ্লাইট বাতিলের ফলে মুহূর্তেই সব এয়ারলাইনসের মোট আসনের সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু যাত্রীদের চাহিদা একই রয়ে গেছে।
আর চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে এই আকস্মিক ও চরম বৈপরীত্যের কারণে টিকিটের মূল্যও উচ্চ হারে বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি-মুম্বাই ওয়ান-ওয়ে ভাড়া বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা আর রিটার্ন ভাড়া ছুঁয়েছে ৬০ হাজার। অন্যদিকে দিল্লি-বেঙ্গালুরু টিকিটের দাম ১ লাখ টাকায় পৌঁছে যায়। বেঙ্গালুরু-মুম্বাই সর্বোচ্চ ভাড়া থাকে প্রায় ৭ হাজার টাকা, যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার টাকায়।
এ অবস্থায় অনেকেই বলছেন, এখন মনে হচ্ছে দিল্লি-লন্ডন টিকিটই যেন সস্তা!
নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, সংকট বা জরুরি অবস্থার সময়ে এয়ারলাইন ও সরকার কি এসব অ্যালগরিদম নিষ্ক্রিয় করবে না? যাত্রীদের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা আদায় করার বদলে যারা ইতিমধ্যে অর্থ প্রদান করেছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করা কি জরুরি নয়?
বিঘ্নের সময়ে কোনো ফ্লাইটে ক্রু পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বা বিমান ঘুরে আসার (aircraft rotation) প্রক্রিয়া ব্যর্থ না হওয়া পর্যন্ত এয়ারলাইনস সেই ফ্লাইটের সিট বিক্রি চালিয়ে যেতে পারে। শুধু এসব নিশ্চিত হওয়ার পরই ফ্লাইটটিকে ‘বাতিল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফলস্বরূপ এয়ারলাইনের সিস্টেম এমনভাবে তৈরি, যদি না পরিচালনা করা যাবে না এমন নিশ্চিত হওয়া যায় ততক্ষণ পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলে। টিকিট বিক্রি বন্ধ করা হবে কেবল তখনই, যদি ইন্ডিগো নিজে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় বা বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ সেবা স্থগিতের নির্দেশ দেয়। যার কোনোটিই এখনো ঘটেনি।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি আশা করা হচ্ছে, তবে পুরোপুরি স্থিতিশীল হতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পারমাণবিক চুল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিস্ফোরণে চুল্লিটির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। এ অবস্থায় যেন বিকিরণ না ছড়ায়, সে জন্য চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত অংশটির ওপর কংক্রিট ও স্টিলের তৈরি একটি প্রতিরক্ষা স্তর সংযুক্ত করা হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তাপ বেড়েছে। তাকে নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লির ওপর তৈরি একটি সুরক্ষামূলক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে এটি আর তেজস্ক্রিয়তা আটকানোর কাজ করতে পারছে না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের পরমাণু কর্মসূচিবিষয়ক পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা (আইএইএ)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ড্রোন হামলায় এর একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ওই হামলায় চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লির সুরক্ষা আবরণে একটি ছিদ্র তৈরি হয়।
এর আগে ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পারমাণবিক চুল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিস্ফোরণে চুল্লিটির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। এ অবস্থায় যেন বিকিরণ না ছড়ায়, সে জন্য চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত অংশটির ওপর কংক্রিট ও স্টিলের তৈরি একটি প্রতিরক্ষা স্তর সংযুক্ত করা হয়েছিল।
তবে গত সপ্তাহে আইএইএর পরিদর্শনে দেখা গেছে, ড্রোনের আঘাতে কংক্রিট ও স্টিলের তৈরি ওই সুরক্ষা কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে। আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি, সুরক্ষামূলক কাঠামোটি প্রাথমিক নিরাপত্তা কার্যকারিতা (তেজস্ক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা) হারিয়েছে।’ তবে তিনি জানান, এর ভার বহনকারী কাঠামোর তেমন ক্ষতি হয়নি।
গ্রোসি বলেন, সাময়িকভাবে মেরামত করা হয়েছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন জানায়, বিস্ফোরক বহনকারী একটি ড্রোন চেরনোবিল চুল্লিতে আঘাত হানে, যার ফলে আগুন লাগে এবং চুল্লির চারপাশের প্রতিরক্ষামূলক আচ্ছাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ ড্রোনটি রাশিয়ার বলে দাবি করেছিল। তবে মস্কো প্ল্যান্টে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণের প্রথম কয়েক সপ্তাহ রুশ বাহিনী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে এক মাসের বেশি সময় চেরনোবিল ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা দখল করে রেখেছিল।
প্রায় চার দশক আগে (১৯৮৬ সালে) চেরনোবিল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হিসাব অনুযায়ী, বিস্ফোরণে তৎক্ষণাৎ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে জাতিসংঘের হিসাব মতে, সরাসরি বিকিরণের কারণে ৫০ জন মারা গিয়েছিলেন। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ অনুমান করেছিল, ভবিষ্যতে চেরনোবিলের বিকিরণজনিত কারণে আরও ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লির ওপর তৈরি একটি সুরক্ষামূলক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে এটি আর তেজস্ক্রিয়তা আটকানোর কাজ করতে পারছে না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের পরমাণু কর্মসূচিবিষয়ক পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা (আইএইএ)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ড্রোন হামলায় এর একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ওই হামলায় চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লির সুরক্ষা আবরণে একটি ছিদ্র তৈরি হয়।
এর আগে ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পারমাণবিক চুল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিস্ফোরণে চুল্লিটির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। এ অবস্থায় যেন বিকিরণ না ছড়ায়, সে জন্য চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত অংশটির ওপর কংক্রিট ও স্টিলের তৈরি একটি প্রতিরক্ষা স্তর সংযুক্ত করা হয়েছিল।
তবে গত সপ্তাহে আইএইএর পরিদর্শনে দেখা গেছে, ড্রোনের আঘাতে কংক্রিট ও স্টিলের তৈরি ওই সুরক্ষা কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে। আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি, সুরক্ষামূলক কাঠামোটি প্রাথমিক নিরাপত্তা কার্যকারিতা (তেজস্ক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা) হারিয়েছে।’ তবে তিনি জানান, এর ভার বহনকারী কাঠামোর তেমন ক্ষতি হয়নি।
গ্রোসি বলেন, সাময়িকভাবে মেরামত করা হয়েছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন জানায়, বিস্ফোরক বহনকারী একটি ড্রোন চেরনোবিল চুল্লিতে আঘাত হানে, যার ফলে আগুন লাগে এবং চুল্লির চারপাশের প্রতিরক্ষামূলক আচ্ছাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ ড্রোনটি রাশিয়ার বলে দাবি করেছিল। তবে মস্কো প্ল্যান্টে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণের প্রথম কয়েক সপ্তাহ রুশ বাহিনী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে এক মাসের বেশি সময় চেরনোবিল ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা দখল করে রেখেছিল।
প্রায় চার দশক আগে (১৯৮৬ সালে) চেরনোবিল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হিসাব অনুযায়ী, বিস্ফোরণে তৎক্ষণাৎ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে জাতিসংঘের হিসাব মতে, সরাসরি বিকিরণের কারণে ৫০ জন মারা গিয়েছিলেন। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ অনুমান করেছিল, ভবিষ্যতে চেরনোবিলের বিকিরণজনিত কারণে আরও ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে...
১১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তাপ বেড়েছে। তাকে নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তাপ বেড়েছে। তাকে নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আইএসপিআর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী ইমরান খানকে ‘মানসিক রোগী’ ও ‘জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি’ আখ্যা দিয়েছেন। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পিটিআই নেতা–কর্মী, সমর্থক ও সাবেক এই বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের ভক্তরা। ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে তাঁরা নানা ধরনের ভিডিও–মন্টাজ, পুরোনো অর্জনের তালিকা, রাজনৈতিক বক্তব্য ও মিছিলের দৃশ্য শেয়ার করে এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সের শুরুতেই আহমেদ শরীফ চৌধুরী ‘ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি’র কথা উল্লেখ করেন, যা সেনাবাহিনীর জন্য মোকাবিলা করা প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।
ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে আইএসপিআর ডিজি বলেন, ‘এই হুমকি আসে এক বিভ্রমগ্রস্ত মানুষের বিভ্রমপূর্ণ মানসিকতা থেকে, যিনি নিজের অহংকারের কাছে বন্দী। তিনি মনে করেন তাঁর ইচ্ছাই পাকিস্তান রাষ্ট্রের ইচ্ছার চেয়ে বড়। তাঁর অহং, তাঁর ইচ্ছা আর হতাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তিনি মনে করেন তাঁকে ছাড়া দুনিয়া টিকে থাকতে পারবে না। তুমি কে? নিজেকে কী ভাবো তুমি?’
ডিজি আইএসপিআর আরও বলেন, ‘আমার কাছ থেকে এটা শোনা হয়তো কিছুটা অস্বাভাবিক লাগতে পারে, কিন্তু ওই ব্যক্তিটি যে বয়ান দিচ্ছে, তা এখন আর রাজনীতি নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হয়ে গেছে।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরি বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে সব বলা, সব দ্বিধা ও সন্দেহ দূর করা এবং প্রয়োজনীয় কথাগুলো প্রকাশ করা সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার জন্য জরুরি হয়ে উঠেছে। আমাদের বুঝতে হবে এই বয়ান কীভাবে কাজ করছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এটি কীভাবে বাইরের শক্তির গভীর যোগসাজশে কাজ করছে।’
ইমরান খানের ‘রাষ্ট্রবিরোধী বর্ণনা ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার’ মোকাবিলায় সামরিক বাহিনী কঠোর হবে বলে জানান আইএসপিআর প্রধান। এরপরই সামাজিকমাধ্যমে ইমরান খানের সমর্থকদের প্রবল সাড়া দেখা যায়।
খানের ভক্তরা তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক ও ক্রীড়া জীবনের নানা অর্জন তুলে ধরে পোস্ট দিতে থাকেন। অভিনেত্রী মাহিরা খান ও ফাওয়াদ খানের ইমরান খানের নেতৃত্বগুণের প্রশংসামূলক বক্তব্যের পুরোনো ক্লিপ জুড়ে তৈরি করা মন্টাজ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তাঁর ক্রীড়া জীবনের প্রধান মাইলফলকগুলো—
এই পোস্টগুলোতে সমর্থকরা দাবি করছেন, ‘এমন একজন জাতীয় আইকনকে রাষ্ট্রবিরোধী চ্যালেঞ্জ বলা হচ্ছে— এটা দেশের জন্যই লজ্জাজনক।’
ইমরান খানকে সমর্থন জানাতে অনেকেই সাম্প্রতিক পিটিআই সমর্থকদের র্যালির ভিডিও পোস্ট করেছেন। এসব পোস্টে জিন্নাহর নাগরিক–সামরিক সম্পর্কতত্ত্ব থেকে উদ্ধৃতি তুলে দিয়ে বেসামরিক নেতৃত্বের প্রাধান্যের পক্ষে দাবিও দেখা গেছে। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘ইমরান খান কেবল খেলার মাঠেই নয়, রাজনীতিতেও দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিয়েছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা মুছে দেওয়া যাবে না।’
সামরিক বাহিনীর প্রতি পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঐতিহাসিকর বার্তাটিও অনেকে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ভুলে যেও না, সশস্ত্র বাহিনী জনগণের চাকর। তোমরা জাতীয় নীতি তৈরি কর না, আমরা বেসামরিকরাই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিই। আর তোমাদের দায়িত্ব হলো অর্পিত দায়িত্বপালন করা।’
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ইমরান খান ২০২৩ সাল থেকে কারাবন্দি। তবুও অনলাইনে যে প্রবল সমর্থন ছড়িয়ে পড়েছে, তা তাঁর রাজনৈতিক সক্রিয়তা এবং স্মারক–ইমেজ কতটা প্রভাবশালী রয়ে গেছে!’
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, আইএসপিআর ডিজির মন্তব্য খানের সমর্থকদের আরও সংগঠিত করে তুলেছে। তাঁদের মতে, পরিস্থিতির রাজনৈতিক উত্তাপ দেখে মনে হচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে অনলাইনে এই বিরোধ–বিতর্ক আরও তীব্র হবে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তাপ বেড়েছে। তাকে নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আইএসপিআর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী ইমরান খানকে ‘মানসিক রোগী’ ও ‘জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি’ আখ্যা দিয়েছেন। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পিটিআই নেতা–কর্মী, সমর্থক ও সাবেক এই বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের ভক্তরা। ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে তাঁরা নানা ধরনের ভিডিও–মন্টাজ, পুরোনো অর্জনের তালিকা, রাজনৈতিক বক্তব্য ও মিছিলের দৃশ্য শেয়ার করে এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সের শুরুতেই আহমেদ শরীফ চৌধুরী ‘ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি’র কথা উল্লেখ করেন, যা সেনাবাহিনীর জন্য মোকাবিলা করা প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।
ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে আইএসপিআর ডিজি বলেন, ‘এই হুমকি আসে এক বিভ্রমগ্রস্ত মানুষের বিভ্রমপূর্ণ মানসিকতা থেকে, যিনি নিজের অহংকারের কাছে বন্দী। তিনি মনে করেন তাঁর ইচ্ছাই পাকিস্তান রাষ্ট্রের ইচ্ছার চেয়ে বড়। তাঁর অহং, তাঁর ইচ্ছা আর হতাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তিনি মনে করেন তাঁকে ছাড়া দুনিয়া টিকে থাকতে পারবে না। তুমি কে? নিজেকে কী ভাবো তুমি?’
ডিজি আইএসপিআর আরও বলেন, ‘আমার কাছ থেকে এটা শোনা হয়তো কিছুটা অস্বাভাবিক লাগতে পারে, কিন্তু ওই ব্যক্তিটি যে বয়ান দিচ্ছে, তা এখন আর রাজনীতি নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হয়ে গেছে।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরি বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে সব বলা, সব দ্বিধা ও সন্দেহ দূর করা এবং প্রয়োজনীয় কথাগুলো প্রকাশ করা সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার জন্য জরুরি হয়ে উঠেছে। আমাদের বুঝতে হবে এই বয়ান কীভাবে কাজ করছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এটি কীভাবে বাইরের শক্তির গভীর যোগসাজশে কাজ করছে।’
ইমরান খানের ‘রাষ্ট্রবিরোধী বর্ণনা ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার’ মোকাবিলায় সামরিক বাহিনী কঠোর হবে বলে জানান আইএসপিআর প্রধান। এরপরই সামাজিকমাধ্যমে ইমরান খানের সমর্থকদের প্রবল সাড়া দেখা যায়।
খানের ভক্তরা তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক ও ক্রীড়া জীবনের নানা অর্জন তুলে ধরে পোস্ট দিতে থাকেন। অভিনেত্রী মাহিরা খান ও ফাওয়াদ খানের ইমরান খানের নেতৃত্বগুণের প্রশংসামূলক বক্তব্যের পুরোনো ক্লিপ জুড়ে তৈরি করা মন্টাজ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তাঁর ক্রীড়া জীবনের প্রধান মাইলফলকগুলো—
এই পোস্টগুলোতে সমর্থকরা দাবি করছেন, ‘এমন একজন জাতীয় আইকনকে রাষ্ট্রবিরোধী চ্যালেঞ্জ বলা হচ্ছে— এটা দেশের জন্যই লজ্জাজনক।’
ইমরান খানকে সমর্থন জানাতে অনেকেই সাম্প্রতিক পিটিআই সমর্থকদের র্যালির ভিডিও পোস্ট করেছেন। এসব পোস্টে জিন্নাহর নাগরিক–সামরিক সম্পর্কতত্ত্ব থেকে উদ্ধৃতি তুলে দিয়ে বেসামরিক নেতৃত্বের প্রাধান্যের পক্ষে দাবিও দেখা গেছে। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘ইমরান খান কেবল খেলার মাঠেই নয়, রাজনীতিতেও দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিয়েছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা মুছে দেওয়া যাবে না।’
সামরিক বাহিনীর প্রতি পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঐতিহাসিকর বার্তাটিও অনেকে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ভুলে যেও না, সশস্ত্র বাহিনী জনগণের চাকর। তোমরা জাতীয় নীতি তৈরি কর না, আমরা বেসামরিকরাই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিই। আর তোমাদের দায়িত্ব হলো অর্পিত দায়িত্বপালন করা।’
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ইমরান খান ২০২৩ সাল থেকে কারাবন্দি। তবুও অনলাইনে যে প্রবল সমর্থন ছড়িয়ে পড়েছে, তা তাঁর রাজনৈতিক সক্রিয়তা এবং স্মারক–ইমেজ কতটা প্রভাবশালী রয়ে গেছে!’
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, আইএসপিআর ডিজির মন্তব্য খানের সমর্থকদের আরও সংগঠিত করে তুলেছে। তাঁদের মতে, পরিস্থিতির রাজনৈতিক উত্তাপ দেখে মনে হচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে অনলাইনে এই বিরোধ–বিতর্ক আরও তীব্র হবে।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে...
১১ ঘণ্টা আগে
১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পারমাণবিক চুল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিস্ফোরণে চুল্লিটির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। এ অবস্থায় যেন বিকিরণ না ছড়ায়, সে জন্য চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত অংশটির ওপর কংক্রিট ও স্টিলের তৈরি একটি প্রতিরক্ষা স্তর সংযুক্ত করা হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট এবং রুশ ভাষায় অনূদিত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার একটি কপি।
উপহারগুলোর বিশেষত্ব সম্পর্কে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে বলা হয়েছে—
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা
এটি মহাভারতের একটি অংশ। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কর্তব্য, আত্মা ও মোক্ষলাভ সম্পর্কে যে উপদেশ দিয়েছিলেন, তা-ই এই গ্রন্থে রয়েছে। শ্রীগীতার দর্শন নৈতিক জীবন, মন নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ শান্তিকে অনুপ্রাণিত করে।
আসামের ব্ল্যাক টি
সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি—উর্বর ব্রহ্মপুত্রের সমভূমিতে উৎপাদিত আসামের ব্ল্যাক টি তার শক্তিশালী মাল্টি ফ্লেভার, উজ্জ্বল রং এবং ঐতিহ্যবাহী ‘আসামিকা’ প্রজাতির জন্য বিখ্যাত। ২০০৭ সালে জিআই ট্যাগ পাওয়া এই চা ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু ও শতবর্ষের ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। শুধু সাংস্কৃতিক মূল্যই নয়, স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কারণেও এটি সমানভাবে জনপ্রিয়।
মুর্শিদাবাদের অলংকৃত রুপার টি-সেট
মুর্শিদাবাদে তৈরি জটিল নকশা খোদাই রুপার টি-সেট পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ কারুশিল্পকে তুলে ধরে। ভারত ও রাশিয়া উভয় দেশেই পানীয় হিসেবে চা বেশ জনপ্রিয়। এই উপহার দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকেই প্রতিফলিত করে।
মহারাষ্ট্রের শিল্পীদের হাতে বানানো রুপার ঘোড়া
মহারাষ্ট্রের এই হস্তশিল্প ভারতের ধাতব কারুশিল্পের সূক্ষ্মতার নিদর্শন। ভারতীয় ও রুশ—উভয় সংস্কৃতিতেই এটি মর্যাদা ও বীরত্বের প্রতীক। ঘোড়াটির গতিশীল ভঙ্গি ভারত-রাশিয়া অংশীদারত্বের অগ্রগতিকে তুলে ধরে।
আগ্রার মার্বেলে তৈরি দাবার বোর্ড
আগ্রার তৈরি হাতে বানানো মার্বেলের দাবার সেট সূক্ষ্ম পাথরের কারুকার্যের ঐতিহ্য তুলে ধরে।
কাশ্মীরি জাফরান
স্থানীয় ভাষায় ‘কঙ’ বা ‘জাফরান’ নামে পরিচিত কাশ্মীরি জাফরান তার রং, সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাত। এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও রন্ধনশৈলীর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক এই সফরে ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।
মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট এবং রুশ ভাষায় অনূদিত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার একটি কপি।
উপহারগুলোর বিশেষত্ব সম্পর্কে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে বলা হয়েছে—
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা
এটি মহাভারতের একটি অংশ। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কর্তব্য, আত্মা ও মোক্ষলাভ সম্পর্কে যে উপদেশ দিয়েছিলেন, তা-ই এই গ্রন্থে রয়েছে। শ্রীগীতার দর্শন নৈতিক জীবন, মন নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ শান্তিকে অনুপ্রাণিত করে।
আসামের ব্ল্যাক টি
সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি—উর্বর ব্রহ্মপুত্রের সমভূমিতে উৎপাদিত আসামের ব্ল্যাক টি তার শক্তিশালী মাল্টি ফ্লেভার, উজ্জ্বল রং এবং ঐতিহ্যবাহী ‘আসামিকা’ প্রজাতির জন্য বিখ্যাত। ২০০৭ সালে জিআই ট্যাগ পাওয়া এই চা ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু ও শতবর্ষের ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। শুধু সাংস্কৃতিক মূল্যই নয়, স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কারণেও এটি সমানভাবে জনপ্রিয়।
মুর্শিদাবাদের অলংকৃত রুপার টি-সেট
মুর্শিদাবাদে তৈরি জটিল নকশা খোদাই রুপার টি-সেট পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ কারুশিল্পকে তুলে ধরে। ভারত ও রাশিয়া উভয় দেশেই পানীয় হিসেবে চা বেশ জনপ্রিয়। এই উপহার দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকেই প্রতিফলিত করে।
মহারাষ্ট্রের শিল্পীদের হাতে বানানো রুপার ঘোড়া
মহারাষ্ট্রের এই হস্তশিল্প ভারতের ধাতব কারুশিল্পের সূক্ষ্মতার নিদর্শন। ভারতীয় ও রুশ—উভয় সংস্কৃতিতেই এটি মর্যাদা ও বীরত্বের প্রতীক। ঘোড়াটির গতিশীল ভঙ্গি ভারত-রাশিয়া অংশীদারত্বের অগ্রগতিকে তুলে ধরে।
আগ্রার মার্বেলে তৈরি দাবার বোর্ড
আগ্রার তৈরি হাতে বানানো মার্বেলের দাবার সেট সূক্ষ্ম পাথরের কারুকার্যের ঐতিহ্য তুলে ধরে।
কাশ্মীরি জাফরান
স্থানীয় ভাষায় ‘কঙ’ বা ‘জাফরান’ নামে পরিচিত কাশ্মীরি জাফরান তার রং, সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাত। এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও রন্ধনশৈলীর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক এই সফরে ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।
মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে...
১১ ঘণ্টা আগে
১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পারমাণবিক চুল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিস্ফোরণে চুল্লিটির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। এ অবস্থায় যেন বিকিরণ না ছড়ায়, সে জন্য চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত অংশটির ওপর কংক্রিট ও স্টিলের তৈরি একটি প্রতিরক্ষা স্তর সংযুক্ত করা হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তাপ বেড়েছে। তাকে নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন ইন্ডিগো টানা পাঁচ দিন ৩৮৫টি ফ্লাইট বাতিল করায় আজ শনিবার বিমান ভাড়ায় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার। বলা হয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলে বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই বিমানবন্দরের বাইরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। এতে দেশজুড়ে বিমান যোগাযোগ কার্যত ভেঙে পড়েছে।
মূলত পাইলট সংকটের কারণে চলতি সপ্তাহে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করে ইন্ডিগো। পাইলটদের কর্মঘণ্টা সীমিত করার নতুন নিয়মের জন্য আগাম পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ভারত সরকার গতকাল শুক্রবার চলমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় এয়ারলাইনটির জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেয় এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড় কমাতে অতিরিক্ত ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করে।
দিল্লি বিমানবন্দর আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানায়, ধীরে ধীরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে ফ্লাইট বাতিলের হার এখনো বেশি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলের কারণে ভারতের অন্যান্য এয়ারলাইনের জনপ্রিয় রুটের ভাড়া বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ তাই বিমান ভাড়ায় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলো।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা রিয়েল-টাইম ডেটা ও এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ভাড়ার মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় বিমান ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

নিজেদের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন ইন্ডিগো টানা পাঁচ দিন ৩৮৫টি ফ্লাইট বাতিল করায় আজ শনিবার বিমান ভাড়ায় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার। বলা হয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলে বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই বিমানবন্দরের বাইরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। এতে দেশজুড়ে বিমান যোগাযোগ কার্যত ভেঙে পড়েছে।
মূলত পাইলট সংকটের কারণে চলতি সপ্তাহে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করে ইন্ডিগো। পাইলটদের কর্মঘণ্টা সীমিত করার নতুন নিয়মের জন্য আগাম পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ভারত সরকার গতকাল শুক্রবার চলমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় এয়ারলাইনটির জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেয় এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড় কমাতে অতিরিক্ত ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করে।
দিল্লি বিমানবন্দর আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানায়, ধীরে ধীরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে ফ্লাইট বাতিলের হার এখনো বেশি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলের কারণে ভারতের অন্যান্য এয়ারলাইনের জনপ্রিয় রুটের ভাড়া বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ তাই বিমান ভাড়ায় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলো।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা রিয়েল-টাইম ডেটা ও এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ভাড়ার মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় বিমান ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগোর শত শত ফ্লাইট বাতিলের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে হাজারো যাত্রী। দেশটির আকাশপথে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শিডিউল বিপর্যয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে...
১১ ঘণ্টা আগে
১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পারমাণবিক চুল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিস্ফোরণে চুল্লিটির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। এ অবস্থায় যেন বিকিরণ না ছড়ায়, সে জন্য চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত অংশটির ওপর কংক্রিট ও স্টিলের তৈরি একটি প্রতিরক্ষা স্তর সংযুক্ত করা হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তাপ বেড়েছে। তাকে নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট
৩ ঘণ্টা আগে