Ajker Patrika

সাবেক এমপি শাজাহান খানের মেয়ে ও নুরুন্নবী চৌধুরীর স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৫
সাবেক এমপি শাজাহান খানের মেয়ে ও নুরুন্নবী চৌধুরীর স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা অনুমোদন

সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান এবং ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঐশী খানের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানে ঐশী খানের নামে ১ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ৭৫০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। তাঁর পারিবারিক ব্যয় ধরা হয় ১১ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৪ টাকা।

দুদক জানায়, ঐশী খানের ব্যয়সহ মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৮১ লাখ ৭১ হাজার ৯০৪ টাকা। এসব সম্পদের বিপরীতে তাঁর বৈধ আয় পাওয়া যায় মাত্র ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৮৯২ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৭১ লাখ ১৮ হাজার ৯০২ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর নামে ও বেনামে আরও সম্পদ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে দুদক।

দুদক সূত্রটি বলছে, দুদক আইনের ২৬(১) ধারা অনুযায়ী তাঁকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। পরে তিনি সময় বৃদ্ধির আবেদন করলে অতিরিক্ত ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত ২১ কার্যদিবস ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়েও তিনি বিবরণী জমা দেননি। যা দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা অনুমোদন করেছে কমিশন।

অন্যদিকে, সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর নামে অনুসন্ধানে ২ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। তাঁর বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া গেছে ২ কোটি ২৭ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯৫ টাকা।

তাঁর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ ৮ হাজার ৫২৬ টাকা। ব্যয় বাদে গ্রহণযোগ্য আয় দাঁড়ায় ৭৫ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৯ টাকা। ফলে তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ২০ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৩ টাকা।

দুদক অনুসন্ধান টিমের সুপারিশের ভিত্তিতে তাঁকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ পাঠানো হলেও তিনি বা তাঁর পক্ষে কেউ নোটিশ গ্রহণ করেননি। পরে নিয়ম অনুযায়ী মূল ফরমটি ঝুলিয়ে জারি করা হয়। নির্ধারিত সময়েও তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি, সময় বৃদ্ধির আবেদনও করেননি। এটি আইনের ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাঁর বিরুদ্ধেও ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা রুজুর অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ