নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের সাবেক থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে ফেনী নির্বাচন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে যাঁর নামে এনআইডি তৈরি করা হয়—আবদুল জলিল নামের চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ হালিশহরের এক বাসিন্দা।
দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালের ২২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালের ১৪ মে একই ব্যক্তি আবারও একই ওয়ার্ড থেকে জন্মনিবন্ধন করেন। সেই জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে তিনি পরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে আবেদন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পান।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আবদুল জলিল নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের আবেদনে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করেছেন—চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা; কিন্তু নির্বাচন কমিশনে তিনি যে জন্মনিবন্ধন জমা দিয়েছেন, সেখানে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ আছে—কক্সবাজার জেলার চৌফলদণ্ডী এবং বর্তমান ঠিকানা হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর আব্দুল লতিফ রোড উল্লেখ আছে।
কিন্তু জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় আবদুল জলিল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কখনো বসবাসের কোনো তথ্য পায়নি দুদক। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে আবেদন ফরমের ৪৬টি ঘরে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক অসংগতি পেয়েছে দুদক। ফরমে মোবাইল নম্বর, ধর্ম, ভোটার তালিকায় বাদ পড়ার কারণ, শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, তথ্য সংগ্রহকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, সুপারভাইজারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যাচাইকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের সংশ্লিষ্ট ঘরে কোনো তথ্য উল্লেখ না করে ঘরগুলো খালি রাখা হয়।
এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ফরমের সঙ্গে আবদুল জলিল জমির কাগজ, জাতীয়তা সনদ, শিক্ষা সনদ, বিদ্যুৎ বিলের কপি ও প্রত্যয়নপত্র জমা দেননি। শুধু একটি জন্মনিবন্ধন জমা দিয়ে কোনো জাতীয়তা সনদ ছাড়াই তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনে যে জন্মসনদ জমা দিয়েছেন, সেটার যাচাইকারী ও নিবন্ধকের স্বাক্ষর দুদকের ফরেনসিক প্রতিবেদনে সঠিক পাওয়া যায়নি।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, আবদুল জলিল ও তাঁর পূর্বপুরুষদের বাংলাদেশি নাগরিত্বের কোনো বৈধ রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর কোনো জাতীয়তা সনদ নেই। তিনি কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডীতে জন্মগ্রহণ করেছেন দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর বাবা-মায়ের নামে কোনো ভূমির রেকর্ডপত্র নেই। আবার ভূমিহীন সনদও নেই। আবদুল জলিলের দাবি, তাঁর বাবা-মা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর কাছে তাঁদের কোনো মৃত্যুসনদ নেই।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালে বৈধ কোনো নথিপত্র জমা না দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমারের সঙ্গে যোগসাজশ করে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জন্মনিবন্ধন সহকারীর স্বাক্ষর জাল করে জন্মনিবন্ধন করেন। এরপর নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম নির্বাচন কমিশনে কোনো রেকর্ডপত্র জমা না দিয়ে কার্যালয়ের নিজের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ব্যবহার করে জাল জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে আবদুল জলিলের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দেন।

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের সাবেক থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে ফেনী নির্বাচন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে যাঁর নামে এনআইডি তৈরি করা হয়—আবদুল জলিল নামের চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ হালিশহরের এক বাসিন্দা।
দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালের ২২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালের ১৪ মে একই ব্যক্তি আবারও একই ওয়ার্ড থেকে জন্মনিবন্ধন করেন। সেই জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে তিনি পরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা কার্যালয়ে আবেদন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পান।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আবদুল জলিল নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের আবেদনে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করেছেন—চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা; কিন্তু নির্বাচন কমিশনে তিনি যে জন্মনিবন্ধন জমা দিয়েছেন, সেখানে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ আছে—কক্সবাজার জেলার চৌফলদণ্ডী এবং বর্তমান ঠিকানা হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর আব্দুল লতিফ রোড উল্লেখ আছে।
কিন্তু জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় আবদুল জলিল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কখনো বসবাসের কোনো তথ্য পায়নি দুদক। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে আবেদন ফরমের ৪৬টি ঘরে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক অসংগতি পেয়েছে দুদক। ফরমে মোবাইল নম্বর, ধর্ম, ভোটার তালিকায় বাদ পড়ার কারণ, শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, তথ্য সংগ্রহকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, সুপারভাইজারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যাচাইকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের সংশ্লিষ্ট ঘরে কোনো তথ্য উল্লেখ না করে ঘরগুলো খালি রাখা হয়।
এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ফরমের সঙ্গে আবদুল জলিল জমির কাগজ, জাতীয়তা সনদ, শিক্ষা সনদ, বিদ্যুৎ বিলের কপি ও প্রত্যয়নপত্র জমা দেননি। শুধু একটি জন্মনিবন্ধন জমা দিয়ে কোনো জাতীয়তা সনদ ছাড়াই তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনে যে জন্মসনদ জমা দিয়েছেন, সেটার যাচাইকারী ও নিবন্ধকের স্বাক্ষর দুদকের ফরেনসিক প্রতিবেদনে সঠিক পাওয়া যায়নি।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, আবদুল জলিল ও তাঁর পূর্বপুরুষদের বাংলাদেশি নাগরিত্বের কোনো বৈধ রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর কোনো জাতীয়তা সনদ নেই। তিনি কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডীতে জন্মগ্রহণ করেছেন দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো রেকর্ডপত্র নেই। তাঁর বাবা-মায়ের নামে কোনো ভূমির রেকর্ডপত্র নেই। আবার ভূমিহীন সনদও নেই। আবদুল জলিলের দাবি, তাঁর বাবা-মা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর কাছে তাঁদের কোনো মৃত্যুসনদ নেই।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, আবদুল জলিল ২০১১ সালে বৈধ কোনো নথিপত্র জমা না দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমারের সঙ্গে যোগসাজশ করে জন্মনিবন্ধন করেন। পরে ২০১৭ সালে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জন্মনিবন্ধন সহকারীর স্বাক্ষর জাল করে জন্মনিবন্ধন করেন। এরপর নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম নির্বাচন কমিশনে কোনো রেকর্ডপত্র জমা না দিয়ে কার্যালয়ের নিজের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ব্যবহার করে জাল জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে আবদুল জলিলের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দেন।

ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি আজকের (শনিবার) মতো শেষ হয়েছে। রাতে হাদি চত্বরে (শাহবাগ) কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
২১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।’
২৬ মিনিট আগে
রাজশাহীর ষাট বিঘা চরের সর্বত্র এখন শিয়ালের আতঙ্ক। রাতে বাথানে ঢুকে কামড়াচ্ছে গরু-মহিষ। এক রাতে প্রায় ২০০ গরু এবং তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে বলে জানা গেছে। পরে সকালে দুজনের ওপর আক্রমণ করে তাদের আহত করেছে। এরপরও শিয়ালগুলো দূরে না গিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিচ্ছে। কোনো কৃষক হাঁসুয়া কিংবা লাঠি হাতে না নিয়ে মা
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে রাকিব হোসেন বিশাল নামের এক যুবদল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বাবর রোডের জহুরী মহল্লায় বায়তুল তাইয়োব জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি আজকের (শনিবার) মতো শেষ হয়েছে। রাতে হাদি চত্বরে (শাহবাগ) কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন পর্যালোচনার পর দুপুর ২টা থেকে ঢাকাসহ ৮ বিভাগে অবরোধ কর্মসূচি চলবে ।

ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি আজকের (শনিবার) মতো শেষ হয়েছে। রাতে হাদি চত্বরে (শাহবাগ) কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন পর্যালোচনার পর দুপুর ২টা থেকে ঢাকাসহ ৮ বিভাগে অবরোধ কর্মসূচি চলবে ।

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের
১২ নভেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।’
২৬ মিনিট আগে
রাজশাহীর ষাট বিঘা চরের সর্বত্র এখন শিয়ালের আতঙ্ক। রাতে বাথানে ঢুকে কামড়াচ্ছে গরু-মহিষ। এক রাতে প্রায় ২০০ গরু এবং তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে বলে জানা গেছে। পরে সকালে দুজনের ওপর আক্রমণ করে তাদের আহত করেছে। এরপরও শিয়ালগুলো দূরে না গিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিচ্ছে। কোনো কৃষক হাঁসুয়া কিংবা লাঠি হাতে না নিয়ে মা
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে রাকিব হোসেন বিশাল নামের এক যুবদল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বাবর রোডের জহুরী মহল্লায় বায়তুল তাইয়োব জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।’
আজ শনিবার রাত ১১টার দিকে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে ডিএমপি কমিশনার বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি হত্যার তদন্ত চলছে। সরকার পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ সব গোয়েন্দা বাহিনীকে এই ঘটনার পেছনে কারা আছে, তা উদ্ঘাটনের জন্য নিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে। তদন্তের স্বার্থে আমি সব বিষয় এখানে বলাটা ঠিক হবে না। তাহলে প্রতিপক্ষ আমাদের রহস্যগুলো জেনে নেবে। তাই যতটুকু সম্ভব তদন্তের যে অংশটুকু বলা যায়, আমি সেগুলো আপনাদের কাছে এখন বলছি। মামলার তদন্ত চলাকালে এ যাবৎ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির, মা হাসি বেগম, স্ত্রী সামিয়া, স্ত্রীর বড় ভাই শিপু, গার্লফ্রেন্ড মারিয়া।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এই তদন্তে যে দুটি পিস্তল ব্যবহার করা হয়, আমরা সেই পিস্তল দুটি উদ্ধার করেছি। সেই পিস্তল দুটি এখন সিআইডিতে সায়েন্টিফিক পরীক্ষার জন্য আছে। সেটা তদন্তের স্বার্থে আমাদের প্রয়োজন। যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে, সেই মোটরসাইকেল ডিবি পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অনেক টাকা ব্যয় করানো হয়। ২১৮ কোটির সই করা চেকও আমরা উদ্ধার করেছি। এটি একটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড এবং এর পেছনে অনেকের জড়িত থাকার কথা। এর পেছনে কারা আছে, সেগুলো উদ্ঘাটনের জন্য আমরা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি এবং অনেক ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে।’
শেখ মো. সাজ্জাদ আলী আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী ১০ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেব। এই এই মামলাসংক্রান্ত আমার কাছে যে তথ্য আছে আপনাদের দিলাম। তদন্তের যতটুকু প্রকাশ করা যায়, ততটুকুই বললাম। আগামীকাল (রোববার) আরও বিস্তারিতভাবে আপনাদের আমার মিডিয়া সেন্টার থেকে বলবেন। আপনারা নিশ্চয় আমার কথা বুঝতে পেরেছেন, সবাই ধৈর্য ধারণ করুন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচন করে দেব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘শহীদ হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তদন্তের চূড়ান্ত ধাপ প্রায় শেষের পথে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে নির্ভুল ও শক্ত প্রমাণভিত্তিক চার্জশিট দাখিল করা হবে ৭ জানুয়ারির পর।’
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘আমি হাদিকে আমার ভাই মনে করতাম, এখনো করি। দেশের তাঁকে আরও অনেক দিন প্রয়োজন ছিল। যেই লোকের মৃত্যুতে ১২ থেকে ১৫ লাখ মানুষ জানাজা পড়ে, সেই মানুষের মৃত্যুর বিচার আসলে একটা জাতীয় কর্তব্য।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো আপনাদের মতোন এখানে বসে নেই। কিন্তু সরকার আমাদের শহীদ হাদিকে যারা খুন করেছে, সে সমস্ত চিহ্নিত খুনির পেছনে যারা ছিল, সকলকে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
শিশু আসিয়া হত্যার বিচারের প্রসঙ্গ তুলে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘আসিয়ার ঘটনায় ছয় কার্যদিবস মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা গেছিল। কাজেই চার্জশিটটা যাতে আমরা নির্ভুলভাবে দিতে পারি, নিখুঁতভাবে দিতে পারি। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে যাতে কোথাও কোনো ফাঁকফোকর না থাকে। সেটা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ৭ জানুয়ারির পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা অবশ্যই করে যাব।’
উপদেষ্টা জানান, অপরাধী যদি পালিয়েও থাকে, তারপরেও আমাদের সর্বান্তঃকরণ চেষ্টা আছে, তাদেরকে যেন আমরা অবশ্যই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই হাদি হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এই বাংলাদেশের মাটিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার থাকাকালীন আমাদের হাদিকে যারা মেরে ফেলল, তাদের বিচার সম্পন্ন করে যাব।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।’
আজ শনিবার রাত ১১টার দিকে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে ডিএমপি কমিশনার বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি হত্যার তদন্ত চলছে। সরকার পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ সব গোয়েন্দা বাহিনীকে এই ঘটনার পেছনে কারা আছে, তা উদ্ঘাটনের জন্য নিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে। তদন্তের স্বার্থে আমি সব বিষয় এখানে বলাটা ঠিক হবে না। তাহলে প্রতিপক্ষ আমাদের রহস্যগুলো জেনে নেবে। তাই যতটুকু সম্ভব তদন্তের যে অংশটুকু বলা যায়, আমি সেগুলো আপনাদের কাছে এখন বলছি। মামলার তদন্ত চলাকালে এ যাবৎ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির, মা হাসি বেগম, স্ত্রী সামিয়া, স্ত্রীর বড় ভাই শিপু, গার্লফ্রেন্ড মারিয়া।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এই তদন্তে যে দুটি পিস্তল ব্যবহার করা হয়, আমরা সেই পিস্তল দুটি উদ্ধার করেছি। সেই পিস্তল দুটি এখন সিআইডিতে সায়েন্টিফিক পরীক্ষার জন্য আছে। সেটা তদন্তের স্বার্থে আমাদের প্রয়োজন। যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে, সেই মোটরসাইকেল ডিবি পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অনেক টাকা ব্যয় করানো হয়। ২১৮ কোটির সই করা চেকও আমরা উদ্ধার করেছি। এটি একটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড এবং এর পেছনে অনেকের জড়িত থাকার কথা। এর পেছনে কারা আছে, সেগুলো উদ্ঘাটনের জন্য আমরা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি এবং অনেক ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে।’
শেখ মো. সাজ্জাদ আলী আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী ১০ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেব। এই এই মামলাসংক্রান্ত আমার কাছে যে তথ্য আছে আপনাদের দিলাম। তদন্তের যতটুকু প্রকাশ করা যায়, ততটুকুই বললাম। আগামীকাল (রোববার) আরও বিস্তারিতভাবে আপনাদের আমার মিডিয়া সেন্টার থেকে বলবেন। আপনারা নিশ্চয় আমার কথা বুঝতে পেরেছেন, সবাই ধৈর্য ধারণ করুন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচন করে দেব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘শহীদ হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তদন্তের চূড়ান্ত ধাপ প্রায় শেষের পথে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে নির্ভুল ও শক্ত প্রমাণভিত্তিক চার্জশিট দাখিল করা হবে ৭ জানুয়ারির পর।’
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘আমি হাদিকে আমার ভাই মনে করতাম, এখনো করি। দেশের তাঁকে আরও অনেক দিন প্রয়োজন ছিল। যেই লোকের মৃত্যুতে ১২ থেকে ১৫ লাখ মানুষ জানাজা পড়ে, সেই মানুষের মৃত্যুর বিচার আসলে একটা জাতীয় কর্তব্য।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো আপনাদের মতোন এখানে বসে নেই। কিন্তু সরকার আমাদের শহীদ হাদিকে যারা খুন করেছে, সে সমস্ত চিহ্নিত খুনির পেছনে যারা ছিল, সকলকে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
শিশু আসিয়া হত্যার বিচারের প্রসঙ্গ তুলে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘আসিয়ার ঘটনায় ছয় কার্যদিবস মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা গেছিল। কাজেই চার্জশিটটা যাতে আমরা নির্ভুলভাবে দিতে পারি, নিখুঁতভাবে দিতে পারি। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে যাতে কোথাও কোনো ফাঁকফোকর না থাকে। সেটা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ৭ জানুয়ারির পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা অবশ্যই করে যাব।’
উপদেষ্টা জানান, অপরাধী যদি পালিয়েও থাকে, তারপরেও আমাদের সর্বান্তঃকরণ চেষ্টা আছে, তাদেরকে যেন আমরা অবশ্যই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই হাদি হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এই বাংলাদেশের মাটিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার থাকাকালীন আমাদের হাদিকে যারা মেরে ফেলল, তাদের বিচার সম্পন্ন করে যাব।’

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের
১২ নভেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি আজকের (শনিবার) মতো শেষ হয়েছে। রাতে হাদি চত্বরে (শাহবাগ) কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
২১ মিনিট আগে
রাজশাহীর ষাট বিঘা চরের সর্বত্র এখন শিয়ালের আতঙ্ক। রাতে বাথানে ঢুকে কামড়াচ্ছে গরু-মহিষ। এক রাতে প্রায় ২০০ গরু এবং তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে বলে জানা গেছে। পরে সকালে দুজনের ওপর আক্রমণ করে তাদের আহত করেছে। এরপরও শিয়ালগুলো দূরে না গিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিচ্ছে। কোনো কৃষক হাঁসুয়া কিংবা লাঠি হাতে না নিয়ে মা
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে রাকিব হোসেন বিশাল নামের এক যুবদল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বাবর রোডের জহুরী মহল্লায় বায়তুল তাইয়োব জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহীর ষাট বিঘা চরের সর্বত্র এখন শিয়ালের আতঙ্ক। রাতে বাথানে ঢুকে কামড়াচ্ছে গরু-মহিষ। এক রাতে প্রায় ২০০ গরু এবং তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে বলে জানা গেছে। পরে সকালে দুজনের ওপর আক্রমণ করে তাদের আহত করেছে। এরপরও শিয়ালগুলো দূরে না গিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিচ্ছে। কোনো কৃষক হাঁসুয়া কিংবা লাঠি হাতে না নিয়ে মাঠে যাচ্ছেন না।
ষাট বিঘা চর রাজশাহী শহরের ওপারে। ভারতীয় সীমানা লাগোয়া পদ্মা নদীর এ চরে আগে ৩৮০টি বাড়ি ছিল। পদ্মার ভাঙনে বাড়ির সংখ্যা কমতে কমতে এখন মাত্র চারটিতে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রামের কিছুটা দূরে বালুচরে বাথান করে গরু-মহিষ রাখা হয়। সেখানে মানুষ থাকে না। ২০ ডিসেম্বর রাতে ওই বাথানেই হামলা করে শিয়ালের দল। তারা কয়েকটি বাথানের ভেতর ঢুকে প্রায় ২০০ গরু ও তিনটি মহিষকে কামড়ে জখম করে।
ষাট বিঘা চরের বাসিন্দা আফসার আলী ঝুড়ি বিক্রি করেন। পরদিন সকালে তিনি ঝুড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তাঁর চাচাশ্বশুর আক্কাস আলীও ছিলেন। একটি শিয়াল এসে প্রথমে আফসারকে আক্রমণ করে। তখন আফসারকে বাঁচাতে হাতের হাঁসুয়া দিয়ে শিয়ালকে আক্রমণ করতে যান আক্কাস। এ সময় আক্কাস আলীর হাতের মাংস তুলে নেয় শিয়ালটি। আর আফসারের ঠোঁট এবং একটি আঙুল জখম করে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নেন আহত দুজন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ষাট বিঘা চরে গরুর বাথানে গিয়ে কথা হয় মাজারদিয়াড় চরের বাসিন্দা আসলাম আলী সঙ্গে। তিনি জানান, শিয়ালগুলো সব গরুর মুখে কামড়েছে। আক্রমণের পর সব গরু বাথান থেকে বের হয়ে যায়। সকালে ফসলের খেতে গরু চরে বেড়াচ্ছে শুনে তাঁরা ছুটে আসেন। এসে দেখেন, বেশির ভাগ গরুর মুখে জখম। যেসব বাথানের দরজায় জাল দেওয়া ছিল, শিয়াল শুধু সে বাথানগুলোয় ঢোকেনি। অন্য সব বাথানে ঢুকে গরুকে জখম করেছে।
একটি বাথানের মোট ১১৬টি গরু ও তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড় দেয় বলে জানালেন বাথান মালিক মো. সিজান। তিনি জানান, তাঁর তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে। এ ছাড়া ৪০টি গরুর মধ্যে ২৬টি, আসলামের ২৬টি গরুর মধ্যে ১১টি, কাজিমের ৪০টি গরুর মধ্যে ১৮টি, সুজনের ৩০টি গরুর মধ্যে ২০টি, মাহাবুলের ২৯টি গরুর সব কটি এবং রিপনের ১৫টি গরুর মধ্যে ১২টিকে শিয়াল কামড়েছে। সিজান জানান, পরদিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের চিকিৎসক দল আহত গরুগুলোকে ভ্যাকসিন দিতে আসেন। তখনো বাথানের চারপাশে কয়েকটি শিয়াল মহড়া দিচ্ছিল। তেড়ে গেলেও তারা দূরে সরছিল না। শিয়ালের এমন আচরণে তারা আতঙ্কিত। ভয়ে ভয়ে গরু চরাচ্ছেন।
দুপুরে ষাট বিঘা চরে আফসার আলীর বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তার ঠোঁটে ও হাতের আঙুলে শিয়ালের কামড়ের জখম। কয়েক দিন ধরে তিনি ঝুড়ি বিক্রি করতে যেতে পারেননি। আফসার আলী বলেন, শিয়াল সব বাঘের মতো হয়ে গেছে। লাফ দিয়ে এসে আমার ঠোঁটে আক্রমণ করে। তাঁর চাচাশ্বশুরের হাতে হাঁসুয়া না থাকলে শিয়াল তাঁদের হয়তো মেরেই ফেলত।

গ্রামে কুকুরের দেখা পাওয়া গেল না। তবে মুরগি ও ভেড়ার ডাকাডাকি শুনলেই আফসারের স্ত্রী ফাহিমা বেগম একটু পরপর ‘আই তু’ বলে কুকুর ডাকছিলেন। তিনি জানান, প্রচুর শিয়াল হয়েছে। একটু খেয়াল না করলে মুরগি নিয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে তাঁদের কয়েকটি মুরগি নিয়ে গেছে। একটি ছাগল ও একটি ভেড়াও শিয়ালের পেটে গেছে।
ফাহিমা জানান, তাঁর স্বামী ও চাচার ওপর হামলার পর কয়েকটি শিয়াল গ্রামের চারজনকে ধাওয়া দেয়। তাঁরা নদীর পানিতে নেমে পড়ায় রক্ষা পান। পরে সেখানে আরও লোকজন জড়ো হয়ে একটি শিয়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তারপরও শিয়াল বাড়ির পাশে ঘুর ঘুর করছে।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই বাড়ির দুপাশে চারটি শিয়ালকে দেখা যায়। আফসারের প্রতিবেশী আবুল কালাম জানালেন, আফসার ও আক্কাসের ওপর হামলার পর একটি শিয়াল তাঁর পাশ দিয়ে হেঁটে যায়। তখন শিয়ালটির মুখে রক্ত ছিল। তার পাশে এসেই শিয়ালটি মাটিতে মুখের রক্ত মোছে।
গ্রামের কৃষক সুজন আলী জানান, বাথানে তাঁর ২০টি গরুকে জখম করে শিয়াল। তিন দিন আগে মাঠের মধ্যে একটা গরুকে একা পেয়ে চারটি শিয়াল ঘিরে ধরেছিল। পরে সবাই মিলে গিয়ে গরুটি রক্ষা করেন। এখন ভয়ে লাঠি ছাড়া লোকজন মাঠে কাজে যাচ্ছে না।
কথা হয় মাজারদিয়াড় গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নানের সঙ্গে। তিনি বলেন, শিয়ালের কোনো দোষ নেই। আগের দিন খানপুরের রাখালেরা একটি শিয়ালকে পিটিয়ে মারে। তখন চারটি শিয়াল দূরে দাঁড়িয়ে দেখে। এরপর রাতেই বাথানে আক্রমণ হয়। শিয়াল এভাবে প্রতিশোধ নিয়েছে।
গ্রামের গরুর রাখালেরা অবশ্য শিয়াল হত্যার অভিযোগ স্বীকার করছেন না। তাঁরা দাবি করছেন, আগের দিন সাঁওতালদের একটি দল এসে জঙ্গলে বুনো শুয়োর, ইঁদুর ও খরগোশ ধরতে অভিযান চালায়। তারা একটি শিয়ালের বাচ্চাও ধরে নিয়ে যায়। এ কারণেই শিয়ালেরা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা শুরু করেছে। এখন মাঠে গরু চরাতেই তাঁরা ভয় পাচ্ছেন।
চরে মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করেন মো. শাকিল। তিনি জানান, কয়েক দিন আগে তাঁর সামনে দুটি শিয়াল এসে দাঁড়িয়েছিল। ভয় পেয়ে তিনি দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। গোটা চরের মানুষ এখন শিয়ালের আতঙ্কে রয়েছেন। কাউকে একা পেলেই শিয়াল তাড়া করছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতোয়ার রহমান জানান, বাথানে শিয়ালের আক্রমণের খবর পেয়ে তাঁদের চিকিৎসক দল পাঠিয়েছিলেন। গরুগুলোকে ইতিমধ্যে দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আরও তিন ডোজ করে দরকার। এত ভ্যাকসিন তাঁদের নেই। এ জন্য জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি জেলা পরিষদ থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করতে চেয়েছেন। তাঁরা বাকি তিন ডোজ ভ্যাকসিনও দেবেন।
পবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল লতিফ জানান, পরদিনই তাঁরা ভ্যাকসিন দিতে যান। মুখে জখম রয়েছে এমন দেখে দেখে তাঁরা ২০০টি গরুকে ভ্যাকসিন দিয়েছেন। বাথানে প্রায় ৬০০ গরু ছিল। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২০০ গরুকে শিয়াল জখম করে। ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে তিনি নিজেই দেখেছেন যে শিয়াল মানুষকেও আক্রমণ করছে।
শিয়ালের এমন আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি ব্যবস্থাপনা বিভাগের রাজশাহীর বন্য প্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, শিয়ালের প্রজনন মৌসুম ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি। এই সময় শিয়ালদের কেউ বিরক্ত করলে তারা এমন আচরণ করতে পারে। তা ছাড়া আবাসস্থল ও খাবারের অভাব শিয়ালের ক্ষুব্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ।

রাজশাহীর ষাট বিঘা চরের সর্বত্র এখন শিয়ালের আতঙ্ক। রাতে বাথানে ঢুকে কামড়াচ্ছে গরু-মহিষ। এক রাতে প্রায় ২০০ গরু এবং তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে বলে জানা গেছে। পরে সকালে দুজনের ওপর আক্রমণ করে তাদের আহত করেছে। এরপরও শিয়ালগুলো দূরে না গিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিচ্ছে। কোনো কৃষক হাঁসুয়া কিংবা লাঠি হাতে না নিয়ে মাঠে যাচ্ছেন না।
ষাট বিঘা চর রাজশাহী শহরের ওপারে। ভারতীয় সীমানা লাগোয়া পদ্মা নদীর এ চরে আগে ৩৮০টি বাড়ি ছিল। পদ্মার ভাঙনে বাড়ির সংখ্যা কমতে কমতে এখন মাত্র চারটিতে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রামের কিছুটা দূরে বালুচরে বাথান করে গরু-মহিষ রাখা হয়। সেখানে মানুষ থাকে না। ২০ ডিসেম্বর রাতে ওই বাথানেই হামলা করে শিয়ালের দল। তারা কয়েকটি বাথানের ভেতর ঢুকে প্রায় ২০০ গরু ও তিনটি মহিষকে কামড়ে জখম করে।
ষাট বিঘা চরের বাসিন্দা আফসার আলী ঝুড়ি বিক্রি করেন। পরদিন সকালে তিনি ঝুড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তাঁর চাচাশ্বশুর আক্কাস আলীও ছিলেন। একটি শিয়াল এসে প্রথমে আফসারকে আক্রমণ করে। তখন আফসারকে বাঁচাতে হাতের হাঁসুয়া দিয়ে শিয়ালকে আক্রমণ করতে যান আক্কাস। এ সময় আক্কাস আলীর হাতের মাংস তুলে নেয় শিয়ালটি। আর আফসারের ঠোঁট এবং একটি আঙুল জখম করে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নেন আহত দুজন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ষাট বিঘা চরে গরুর বাথানে গিয়ে কথা হয় মাজারদিয়াড় চরের বাসিন্দা আসলাম আলী সঙ্গে। তিনি জানান, শিয়ালগুলো সব গরুর মুখে কামড়েছে। আক্রমণের পর সব গরু বাথান থেকে বের হয়ে যায়। সকালে ফসলের খেতে গরু চরে বেড়াচ্ছে শুনে তাঁরা ছুটে আসেন। এসে দেখেন, বেশির ভাগ গরুর মুখে জখম। যেসব বাথানের দরজায় জাল দেওয়া ছিল, শিয়াল শুধু সে বাথানগুলোয় ঢোকেনি। অন্য সব বাথানে ঢুকে গরুকে জখম করেছে।
একটি বাথানের মোট ১১৬টি গরু ও তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড় দেয় বলে জানালেন বাথান মালিক মো. সিজান। তিনি জানান, তাঁর তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে। এ ছাড়া ৪০টি গরুর মধ্যে ২৬টি, আসলামের ২৬টি গরুর মধ্যে ১১টি, কাজিমের ৪০টি গরুর মধ্যে ১৮টি, সুজনের ৩০টি গরুর মধ্যে ২০টি, মাহাবুলের ২৯টি গরুর সব কটি এবং রিপনের ১৫টি গরুর মধ্যে ১২টিকে শিয়াল কামড়েছে। সিজান জানান, পরদিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের চিকিৎসক দল আহত গরুগুলোকে ভ্যাকসিন দিতে আসেন। তখনো বাথানের চারপাশে কয়েকটি শিয়াল মহড়া দিচ্ছিল। তেড়ে গেলেও তারা দূরে সরছিল না। শিয়ালের এমন আচরণে তারা আতঙ্কিত। ভয়ে ভয়ে গরু চরাচ্ছেন।
দুপুরে ষাট বিঘা চরে আফসার আলীর বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তার ঠোঁটে ও হাতের আঙুলে শিয়ালের কামড়ের জখম। কয়েক দিন ধরে তিনি ঝুড়ি বিক্রি করতে যেতে পারেননি। আফসার আলী বলেন, শিয়াল সব বাঘের মতো হয়ে গেছে। লাফ দিয়ে এসে আমার ঠোঁটে আক্রমণ করে। তাঁর চাচাশ্বশুরের হাতে হাঁসুয়া না থাকলে শিয়াল তাঁদের হয়তো মেরেই ফেলত।

গ্রামে কুকুরের দেখা পাওয়া গেল না। তবে মুরগি ও ভেড়ার ডাকাডাকি শুনলেই আফসারের স্ত্রী ফাহিমা বেগম একটু পরপর ‘আই তু’ বলে কুকুর ডাকছিলেন। তিনি জানান, প্রচুর শিয়াল হয়েছে। একটু খেয়াল না করলে মুরগি নিয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে তাঁদের কয়েকটি মুরগি নিয়ে গেছে। একটি ছাগল ও একটি ভেড়াও শিয়ালের পেটে গেছে।
ফাহিমা জানান, তাঁর স্বামী ও চাচার ওপর হামলার পর কয়েকটি শিয়াল গ্রামের চারজনকে ধাওয়া দেয়। তাঁরা নদীর পানিতে নেমে পড়ায় রক্ষা পান। পরে সেখানে আরও লোকজন জড়ো হয়ে একটি শিয়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তারপরও শিয়াল বাড়ির পাশে ঘুর ঘুর করছে।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই বাড়ির দুপাশে চারটি শিয়ালকে দেখা যায়। আফসারের প্রতিবেশী আবুল কালাম জানালেন, আফসার ও আক্কাসের ওপর হামলার পর একটি শিয়াল তাঁর পাশ দিয়ে হেঁটে যায়। তখন শিয়ালটির মুখে রক্ত ছিল। তার পাশে এসেই শিয়ালটি মাটিতে মুখের রক্ত মোছে।
গ্রামের কৃষক সুজন আলী জানান, বাথানে তাঁর ২০টি গরুকে জখম করে শিয়াল। তিন দিন আগে মাঠের মধ্যে একটা গরুকে একা পেয়ে চারটি শিয়াল ঘিরে ধরেছিল। পরে সবাই মিলে গিয়ে গরুটি রক্ষা করেন। এখন ভয়ে লাঠি ছাড়া লোকজন মাঠে কাজে যাচ্ছে না।
কথা হয় মাজারদিয়াড় গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নানের সঙ্গে। তিনি বলেন, শিয়ালের কোনো দোষ নেই। আগের দিন খানপুরের রাখালেরা একটি শিয়ালকে পিটিয়ে মারে। তখন চারটি শিয়াল দূরে দাঁড়িয়ে দেখে। এরপর রাতেই বাথানে আক্রমণ হয়। শিয়াল এভাবে প্রতিশোধ নিয়েছে।
গ্রামের গরুর রাখালেরা অবশ্য শিয়াল হত্যার অভিযোগ স্বীকার করছেন না। তাঁরা দাবি করছেন, আগের দিন সাঁওতালদের একটি দল এসে জঙ্গলে বুনো শুয়োর, ইঁদুর ও খরগোশ ধরতে অভিযান চালায়। তারা একটি শিয়ালের বাচ্চাও ধরে নিয়ে যায়। এ কারণেই শিয়ালেরা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা শুরু করেছে। এখন মাঠে গরু চরাতেই তাঁরা ভয় পাচ্ছেন।
চরে মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করেন মো. শাকিল। তিনি জানান, কয়েক দিন আগে তাঁর সামনে দুটি শিয়াল এসে দাঁড়িয়েছিল। ভয় পেয়ে তিনি দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। গোটা চরের মানুষ এখন শিয়ালের আতঙ্কে রয়েছেন। কাউকে একা পেলেই শিয়াল তাড়া করছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতোয়ার রহমান জানান, বাথানে শিয়ালের আক্রমণের খবর পেয়ে তাঁদের চিকিৎসক দল পাঠিয়েছিলেন। গরুগুলোকে ইতিমধ্যে দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আরও তিন ডোজ করে দরকার। এত ভ্যাকসিন তাঁদের নেই। এ জন্য জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি জেলা পরিষদ থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করতে চেয়েছেন। তাঁরা বাকি তিন ডোজ ভ্যাকসিনও দেবেন।
পবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল লতিফ জানান, পরদিনই তাঁরা ভ্যাকসিন দিতে যান। মুখে জখম রয়েছে এমন দেখে দেখে তাঁরা ২০০টি গরুকে ভ্যাকসিন দিয়েছেন। বাথানে প্রায় ৬০০ গরু ছিল। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২০০ গরুকে শিয়াল জখম করে। ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে তিনি নিজেই দেখেছেন যে শিয়াল মানুষকেও আক্রমণ করছে।
শিয়ালের এমন আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি ব্যবস্থাপনা বিভাগের রাজশাহীর বন্য প্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, শিয়ালের প্রজনন মৌসুম ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি। এই সময় শিয়ালদের কেউ বিরক্ত করলে তারা এমন আচরণ করতে পারে। তা ছাড়া আবাসস্থল ও খাবারের অভাব শিয়ালের ক্ষুব্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ।

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের
১২ নভেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি আজকের (শনিবার) মতো শেষ হয়েছে। রাতে হাদি চত্বরে (শাহবাগ) কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
২১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।’
২৬ মিনিট আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে রাকিব হোসেন বিশাল নামের এক যুবদল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বাবর রোডের জহুরী মহল্লায় বায়তুল তাইয়োব জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে রাকিব হোসেন বিশাল নামের এক যুবদল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বাবর রোডের জহুরী মহল্লায় বায়তুল তাইয়োব জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিনার মসজিদের পাশের রাস্তায় অবস্থানকালে রাকিব হোসেন বিশালকে লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাঁকে গুরুতরভাবে জখম করা হয়।
ঘটনার পরপরই মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের টহলরত টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পালানোর চেষ্টাকালে দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন, মো. নাইম ও মো. রাজিব (২১)। উভয়ের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানায় এবং বর্তমানে তাঁরা আদাবর এলাকায় বসবাস করছিলেন।
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আহত রাকিব হোসেন বিশাল আদাবর যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হামলার পেছনে পূর্ববিরোধ রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রাকিব হোসেন বিশালকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা গুরুতর।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত অব্যাহত আছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে রাকিব হোসেন বিশাল নামের এক যুবদল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বাবর রোডের জহুরী মহল্লায় বায়তুল তাইয়োব জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিনার মসজিদের পাশের রাস্তায় অবস্থানকালে রাকিব হোসেন বিশালকে লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাঁকে গুরুতরভাবে জখম করা হয়।
ঘটনার পরপরই মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের টহলরত টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পালানোর চেষ্টাকালে দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন, মো. নাইম ও মো. রাজিব (২১)। উভয়ের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানায় এবং বর্তমানে তাঁরা আদাবর এলাকায় বসবাস করছিলেন।
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আহত রাকিব হোসেন বিশাল আদাবর যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হামলার পেছনে পূর্ববিরোধ রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রাকিব হোসেন বিশালকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা গুরুতর।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত অব্যাহত আছে।

চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে এক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্মনিবন্ধন সহকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এ মামলাটি করেন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের
১২ নভেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি আজকের (শনিবার) মতো শেষ হয়েছে। রাতে হাদি চত্বরে (শাহবাগ) কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
২১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।’
২৬ মিনিট আগে
রাজশাহীর ষাট বিঘা চরের সর্বত্র এখন শিয়ালের আতঙ্ক। রাতে বাথানে ঢুকে কামড়াচ্ছে গরু-মহিষ। এক রাতে প্রায় ২০০ গরু এবং তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে বলে জানা গেছে। পরে সকালে দুজনের ওপর আক্রমণ করে তাদের আহত করেছে। এরপরও শিয়ালগুলো দূরে না গিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিচ্ছে। কোনো কৃষক হাঁসুয়া কিংবা লাঠি হাতে না নিয়ে মা
১ ঘণ্টা আগে