জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার আসামি ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন ‘অবৈধ অর্থে গড়া’ পাঁচতলা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। সম্পদ বিক্রি করে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। কাউন্টার টেররিজমের হাতে মঙ্গলবার রাতে তিনি গ্রেপ্তার হন।
২০২১ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পর মাঝেমধ্যে অফিসেও যেতেন সাময়িক চাকরিচ্যুত জয়নাল। প্রতি মাসে ১৪ হাজার টাকা বেতনও পেতেন। যোগাযোগ ছিল নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, কাউন্সিলর ও পাসপোর্ট অফিসের চক্রের সঙ্গে, যাঁদের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে করতেন ভোটার, পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধন।
অবৈধ সুযোগ নিয়ে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জয়নালকে তাঁর সম্পদ বিক্রির সুযোগ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে এত অবৈধ সম্পদ পেয়েও সেসব কেন দুদক জব্দ করেনি, সেই প্রশ্ন সামনে আসছে এখন। এমনকি জয়নালের তিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বারবার বদলি হওয়া নিয়ে দুদকের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী।
আখতার কবির বলেন, ‘১৬৪ ধারায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি জয়নাল স্বীকার করেছেন বলে মিডিয়ায় এসেছে। তাঁর তো জামিন হওয়ারও কথা না। দুদকের মামলায় অবৈধ সম্পদের টাকায় পাঁচতলা বাড়ি করার প্রমাণও মিলেছে। ব্যাংকের অবৈধ টাকা ফ্রিজ না করে বাড়িসহ অবৈধ আয়ে অর্জিত স্থাবর সম্পদ দুদক হেফাজতে না নিয়ে মারাত্মক গাফিলতি করেছে। এই মামলায় তৎপর না হওয়া মানে দুদকের কর্মকর্তারাই দুর্নীতিতে জড়িত। দুদকের এখনই উচিত জয়নাল যাতে বিদেশ যেতে না পারেন, সে জন্য পাসপোর্ট জব্দ করা। যেহেতু মামলা চলমান, তাই আদালত থেকে সম্পদ হেফাজতের আদেশ দ্রুত নিয়ে দুদকের উচিত তাঁর সব সম্পদ ক্রোক করা।’
২০১৯ সালে রোহিঙ্গা নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটিতে তাঁকে এক নম্বর আসামি করা হয়। মামলা দুটি হলো—দুদক চট্টগ্রাম ২, মামলা নম্বর ১, ১ (১২) ১৯। এই মামলার বাদী তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী, যাকে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে বদলি করা হয়।
এরপর মামলার তদন্তভার পান চট্টগ্রাম দুদকের আরেক কর্মকর্তা রতন কুমার দাশ। তাঁকেও বদলি করা হয়। আরেকটি মামলা হলো ৪৭/ ১৯। এটির বাদী ছিলেন দুদক থেকে রাঘববোয়ালের রোষে চাকরি হারানো আলোচিত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। এখন এই মামলার তদন্ত করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার পৌর এলাকার আশকরিয়াপাড়ায় তার পাঁচতলা ভবনের সন্ধান পায়, যেটি অবৈধ টাকায় তৈরি বলে দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ১ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় চট্টগ্রামে এমএলএসএস পদে যোগদান করেন জয়নাল। তখন মাসিক বেতন পেতেন ৫ হাজার ৯৬০ টাকা। ২০১৯ সালে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তিনি বেতন পেতেন ১৩ হাজার ৯০০ টাকা। চাকরিতে যোগদান থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের মামলার আগ পর্যন্ত বেতন পান ২২ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা। ওই বেতনই জয়নালের একমাত্র আয়ের উৎস। তাঁর নামে কোনো আয়কর নথিও নেই। বেতনের ৮০ ভাগ পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য খরচ বাদ দিলে খরচ হয় ১৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫২০ টাকা। তাঁর কাছে থাকার কথা ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৩৮০ টাকা।
কিন্তু দুদকের মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলীর অনুসন্ধানে জয়নালের লাখ লাখ টাকার হদিস মেলে। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই বাঁশখালীর গ্রামের বাড়িতে সাড়ে ৫ লাখ টাকায় পাঁচ শতক নাল জমি কেনেন। ওই জমিতে পাঁচতলার ভিত্তি দিয়ে চারতলা তোলেন। এতে খরচ হয় ৬৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে আরেকটি জায়গা কেনেন। এভাবে জয়নালের স্থাবর-অস্থাবর ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮২২ টাকার সম্পদের হদিস পায় দুদক। এর মধ্যে বেতনের সাড়ে ৪ লাখ টাকা বাদ দিলে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় জয়নালের।
কয়েক কোটি টাকার বাড়িটি তড়িঘড়ি করে বিক্রি
এর আগে জয়নালকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর পাঁচতলা ভবনটি নির্মাণাধীন ছিল। ওই সময় তিনতলা পর্যন্ত কাঠ-বাঁশ দিয়ে ঢালাইয়ের জন্য রেখেছিলেন।
আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে চারতলা পর্যন্ত। তোলা হয়নি রুমের দেয়াল। ভবনের অনেক জায়গায় রং করেছেন, ফিনিশিং করেছেন। এমনকি নিচতলায় তিন পরিবার ভাড়াও থাকে। ২০২১ সালে জয়নাল জেল থেকে বের হয়ে বাড়িটি রেডি করে বিক্রি করেছেন বলে দাবি তাঁর।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে বাঁশখালীর পৌর সদরের বাসিন্দা আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুল মোনাফের কাছে কোটি টাকার বাড়িটি তড়িঘড়ি করে ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন বলে স্বীকার করেন জয়নাল। যার কাছে বিক্রি করেছেন, তিনি তাঁর বাবা।
জমির অংশটিও আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানান জয়নাল। বাড়ি ও জমিটি এখন তাঁর নামে নেই। যাঁদের কাছে বিক্রি করেছেন, তাঁদের নামে নামজারিও হয়ে গেছে। গ্রেপ্তারের আগে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
ওই সময়ে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার পর বাড়িটি সরকারি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল বলে তদন্ত করা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে আদালত জয়নালের সম্পদ সরকারের হেফাজতে নেওয়ার পর আদেশ দিয়েছেন কি না, তা জানাতে পারেননি দুদকের আইনজীবী মুজিবুল হক চৌধুরী।
চট্টগ্রাম আদালতে চট্টগ্রাম-১-এর দুদকের সহকারী পরিদর্শক এম এ লতিফ (জিআরও) অফিসে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জয়নালের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা ৪৭/ ১৯ এখনো তদন্তাধীন পর্যায়ে। এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়নি। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুদকের মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। একইভাবে রতন কুমার দাশও তদন্ত করে ওই প্রতিবেদন দিয়ে মামলার চার্জশিট দিয়েছেন। তবে সেখানে জয়নালের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীকেও আসামি করা হয়েছে, যেটি এখন নিষ্পত্তির পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে দুদকের শরীফের করা মানি লন্ডারিং মামলায় জয়নালকে এক নম্বর আসামি করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, জয়নাল আবেদীন রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন। এখান থেকে অর্জিত অবৈধ টাকা ঢাকায় এই মামলায় আরেক আসামি সত্য সুন্দর দের কাছে পাঠাতেন। সত্য সুন্দর দে নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি আল-আরাফাহ ব্যাংকে ১ লাখ ৯৭ হাজার, ইসলামী ব্যাংকে ১ লাখ ৫০ হাজার, কুরিয়ারে ৩ লাখ ৫০ হাজারসহ মোট ৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা অবৈধ উপায়ে গ্রহণ করেন। আরেক আসামি মো. জাফর ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় জয়নালের হিসাবটিতে ৬০ হাজার টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা জমা দেন। একই সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় ৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় ৬ লাখ টাকাসহ মোট ১৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে কমিশন পান। এ ছাড়া আসামি ঋষিকেশ দাশ আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা, ইসলামী ব্যাংকে ৭০ হাজার টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ৩ লাখসহ মোট ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা আদান-প্রদানে সহায়তা করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
জেল থেকে বের হয়েও আগের পেশায় জয়নাল
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং মামলায় ২০১৯ সালে জেলে যান জয়নাল। পরে সাময়িক চাকরিচ্যুতও হন, যেটি গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত বহাল রাখেন। যাওয়া-আসা ছিল চট্টগ্রাম ও ঢাকার নির্বাচন কমিশন অফিসে। ১০ আত্মীয় ছাড়াও তাঁর হয়ে কাজ করেন অন্তত ৫০ জন অপারেটর, যাদের মাধ্যমে এখনো অবৈধভাবে এনআইডি ও পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। চাকরিচ্যুত হলেও তিনি কর্মস্থলে যান বলে আজকের পত্রিকাকে নিজেই স্বীকার করেন জয়নাল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চট্টগ্রামে জয়নালের নেতৃত্বে এখনো একটি প্রতারক চক্র সক্রিয়। এখন প্রায় সময় অফিস করেন ডবলমুরিং থানা অফিসের কার্যালয়ে। যাতায়াত আছে নগরের লাভ লেইনের সামনে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসেও। কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে ডেটা এন্ট্রি অফিসার পদে রয়েছেন তাঁর খালাতো ভাই মোজাফ্ফের আহমেদ। তাঁর বোনের জামাই নুর আহমেদ চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি হাটহাজারীতে বদলি হন। এই দুজন যে আত্মীয়, তা স্বীকার করেন জয়নাল। ২০১৯ সালে দুদকের মামলায় তাঁর আত্মীয় খালাতো ভাই মোজাফ্ফের আহমেদ, তাঁর বোনের জামাই নুর আহমেদকে দিয়ে জয়নাল অবৈধ কাজ করাতেন বলে দুদক মামলায় উল্লেখ করেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে কম সময়ে এনআইডি পাইয়ে দেবেন বলে এক ভুক্তভোগী থেকে ৬ হাজার টাকা নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই ভুক্তভোগী কাজ করেন আবার আরেকজনের মাধ্যমে। যাঁর এনআইডির কাজ করেন, তাঁর নাম নোমান ইবনে জামাল।
এ ছাড়া কাগজপত্র ছাড়া জন্মনিবন্ধন পেতে ৫০ হাজার টাকা নিতেন তিনি। শুধু নাম সংশোধনীর জন্য দুটি জন্মনিবন্ধনের কাজ করে দিতে ৪৫ হাজার টাকা চান। কিন্তু ডবলমুরিং হাজিপাড়া এলাকার দুজন বাসিন্দা বেশি টাকা চাওয়ায় আর দেননি। ঘটনাটি দুই মাস আগের। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, জয়নালের চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ ও মনসুরাবাদ পাসপোর্ট অফিসে ছয়জন কর্মচারী রয়েছেন, যাঁরা জয়নালের হয়ে অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরির কাজে সহযোগিতা করতেন। ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসের দুজন কর্মচারী, চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কাউন্সিলর অফিস, কোতোয়ালির ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিস, বাঁশখালীর একজন মহিলা কাউন্সিলর, রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীতে বেশ কয়েকজন তাঁর হয়ে কাজ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নাল আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘সাময়িক চাকরিচ্যুত হলেও মাঝেমধ্যে আমি অফিসে যাই, কাজ করি। পাঁচতলা বাড়িটি ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। তবে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’
এদিকে অফিসে জয়নালের কাজ করার বিষয়টি আজকের পত্রিকার কাছে অস্বীকার করেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ডবলমুরিং নয়, জয়নাল আবেদীন বিভিন্নজনের কাজ নিয়ে লাভ লেইন এলাকার চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসেও যাতায়াত করেন।
দুদকের চট্টগ্রাম-২ উপপরিচালক মো. আতিকুর আলমের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। দুদকের সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালে করা মামলাটির চার্জশিট সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করার আইন রয়েছে। তিনটি মামলার মধ্যে মাত্র একটির চার্জশিট দিতে পেরেছে দুদক।
চট্টগ্রাম দুদকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তদন্ত শেষে চার্জশিটের জন্য মামলাটি কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তারা চার্জশিট দেওয়ার জন্য এখনো অনুমোদন দেয়নি, তাই আদালতে জমা দিতে পারিনি।’

৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার আসামি ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন ‘অবৈধ অর্থে গড়া’ পাঁচতলা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। সম্পদ বিক্রি করে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। কাউন্টার টেররিজমের হাতে মঙ্গলবার রাতে তিনি গ্রেপ্তার হন।
২০২১ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পর মাঝেমধ্যে অফিসেও যেতেন সাময়িক চাকরিচ্যুত জয়নাল। প্রতি মাসে ১৪ হাজার টাকা বেতনও পেতেন। যোগাযোগ ছিল নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, কাউন্সিলর ও পাসপোর্ট অফিসের চক্রের সঙ্গে, যাঁদের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে করতেন ভোটার, পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধন।
অবৈধ সুযোগ নিয়ে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জয়নালকে তাঁর সম্পদ বিক্রির সুযোগ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে এত অবৈধ সম্পদ পেয়েও সেসব কেন দুদক জব্দ করেনি, সেই প্রশ্ন সামনে আসছে এখন। এমনকি জয়নালের তিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বারবার বদলি হওয়া নিয়ে দুদকের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী।
আখতার কবির বলেন, ‘১৬৪ ধারায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি জয়নাল স্বীকার করেছেন বলে মিডিয়ায় এসেছে। তাঁর তো জামিন হওয়ারও কথা না। দুদকের মামলায় অবৈধ সম্পদের টাকায় পাঁচতলা বাড়ি করার প্রমাণও মিলেছে। ব্যাংকের অবৈধ টাকা ফ্রিজ না করে বাড়িসহ অবৈধ আয়ে অর্জিত স্থাবর সম্পদ দুদক হেফাজতে না নিয়ে মারাত্মক গাফিলতি করেছে। এই মামলায় তৎপর না হওয়া মানে দুদকের কর্মকর্তারাই দুর্নীতিতে জড়িত। দুদকের এখনই উচিত জয়নাল যাতে বিদেশ যেতে না পারেন, সে জন্য পাসপোর্ট জব্দ করা। যেহেতু মামলা চলমান, তাই আদালত থেকে সম্পদ হেফাজতের আদেশ দ্রুত নিয়ে দুদকের উচিত তাঁর সব সম্পদ ক্রোক করা।’
২০১৯ সালে রোহিঙ্গা নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটিতে তাঁকে এক নম্বর আসামি করা হয়। মামলা দুটি হলো—দুদক চট্টগ্রাম ২, মামলা নম্বর ১, ১ (১২) ১৯। এই মামলার বাদী তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী, যাকে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে বদলি করা হয়।
এরপর মামলার তদন্তভার পান চট্টগ্রাম দুদকের আরেক কর্মকর্তা রতন কুমার দাশ। তাঁকেও বদলি করা হয়। আরেকটি মামলা হলো ৪৭/ ১৯। এটির বাদী ছিলেন দুদক থেকে রাঘববোয়ালের রোষে চাকরি হারানো আলোচিত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। এখন এই মামলার তদন্ত করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার পৌর এলাকার আশকরিয়াপাড়ায় তার পাঁচতলা ভবনের সন্ধান পায়, যেটি অবৈধ টাকায় তৈরি বলে দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ১ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় চট্টগ্রামে এমএলএসএস পদে যোগদান করেন জয়নাল। তখন মাসিক বেতন পেতেন ৫ হাজার ৯৬০ টাকা। ২০১৯ সালে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তিনি বেতন পেতেন ১৩ হাজার ৯০০ টাকা। চাকরিতে যোগদান থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের মামলার আগ পর্যন্ত বেতন পান ২২ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা। ওই বেতনই জয়নালের একমাত্র আয়ের উৎস। তাঁর নামে কোনো আয়কর নথিও নেই। বেতনের ৮০ ভাগ পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য খরচ বাদ দিলে খরচ হয় ১৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫২০ টাকা। তাঁর কাছে থাকার কথা ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৩৮০ টাকা।
কিন্তু দুদকের মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলীর অনুসন্ধানে জয়নালের লাখ লাখ টাকার হদিস মেলে। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই বাঁশখালীর গ্রামের বাড়িতে সাড়ে ৫ লাখ টাকায় পাঁচ শতক নাল জমি কেনেন। ওই জমিতে পাঁচতলার ভিত্তি দিয়ে চারতলা তোলেন। এতে খরচ হয় ৬৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে আরেকটি জায়গা কেনেন। এভাবে জয়নালের স্থাবর-অস্থাবর ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮২২ টাকার সম্পদের হদিস পায় দুদক। এর মধ্যে বেতনের সাড়ে ৪ লাখ টাকা বাদ দিলে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় জয়নালের।
কয়েক কোটি টাকার বাড়িটি তড়িঘড়ি করে বিক্রি
এর আগে জয়নালকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর পাঁচতলা ভবনটি নির্মাণাধীন ছিল। ওই সময় তিনতলা পর্যন্ত কাঠ-বাঁশ দিয়ে ঢালাইয়ের জন্য রেখেছিলেন।
আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে চারতলা পর্যন্ত। তোলা হয়নি রুমের দেয়াল। ভবনের অনেক জায়গায় রং করেছেন, ফিনিশিং করেছেন। এমনকি নিচতলায় তিন পরিবার ভাড়াও থাকে। ২০২১ সালে জয়নাল জেল থেকে বের হয়ে বাড়িটি রেডি করে বিক্রি করেছেন বলে দাবি তাঁর।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে বাঁশখালীর পৌর সদরের বাসিন্দা আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুল মোনাফের কাছে কোটি টাকার বাড়িটি তড়িঘড়ি করে ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন বলে স্বীকার করেন জয়নাল। যার কাছে বিক্রি করেছেন, তিনি তাঁর বাবা।
জমির অংশটিও আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানান জয়নাল। বাড়ি ও জমিটি এখন তাঁর নামে নেই। যাঁদের কাছে বিক্রি করেছেন, তাঁদের নামে নামজারিও হয়ে গেছে। গ্রেপ্তারের আগে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
ওই সময়ে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার পর বাড়িটি সরকারি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল বলে তদন্ত করা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে আদালত জয়নালের সম্পদ সরকারের হেফাজতে নেওয়ার পর আদেশ দিয়েছেন কি না, তা জানাতে পারেননি দুদকের আইনজীবী মুজিবুল হক চৌধুরী।
চট্টগ্রাম আদালতে চট্টগ্রাম-১-এর দুদকের সহকারী পরিদর্শক এম এ লতিফ (জিআরও) অফিসে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জয়নালের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা ৪৭/ ১৯ এখনো তদন্তাধীন পর্যায়ে। এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়নি। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুদকের মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। একইভাবে রতন কুমার দাশও তদন্ত করে ওই প্রতিবেদন দিয়ে মামলার চার্জশিট দিয়েছেন। তবে সেখানে জয়নালের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীকেও আসামি করা হয়েছে, যেটি এখন নিষ্পত্তির পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে দুদকের শরীফের করা মানি লন্ডারিং মামলায় জয়নালকে এক নম্বর আসামি করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, জয়নাল আবেদীন রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেন। এখান থেকে অর্জিত অবৈধ টাকা ঢাকায় এই মামলায় আরেক আসামি সত্য সুন্দর দের কাছে পাঠাতেন। সত্য সুন্দর দে নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি আল-আরাফাহ ব্যাংকে ১ লাখ ৯৭ হাজার, ইসলামী ব্যাংকে ১ লাখ ৫০ হাজার, কুরিয়ারে ৩ লাখ ৫০ হাজারসহ মোট ৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা অবৈধ উপায়ে গ্রহণ করেন। আরেক আসামি মো. জাফর ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় জয়নালের হিসাবটিতে ৬০ হাজার টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা জমা দেন। একই সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় ৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় ৬ লাখ টাকাসহ মোট ১৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে কমিশন পান। এ ছাড়া আসামি ঋষিকেশ দাশ আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক শাখায় মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা, ইসলামী ব্যাংকে ৭০ হাজার টাকা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ৩ লাখসহ মোট ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা আদান-প্রদানে সহায়তা করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
জেল থেকে বের হয়েও আগের পেশায় জয়নাল
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং মামলায় ২০১৯ সালে জেলে যান জয়নাল। পরে সাময়িক চাকরিচ্যুতও হন, যেটি গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত বহাল রাখেন। যাওয়া-আসা ছিল চট্টগ্রাম ও ঢাকার নির্বাচন কমিশন অফিসে। ১০ আত্মীয় ছাড়াও তাঁর হয়ে কাজ করেন অন্তত ৫০ জন অপারেটর, যাদের মাধ্যমে এখনো অবৈধভাবে এনআইডি ও পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। চাকরিচ্যুত হলেও তিনি কর্মস্থলে যান বলে আজকের পত্রিকাকে নিজেই স্বীকার করেন জয়নাল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চট্টগ্রামে জয়নালের নেতৃত্বে এখনো একটি প্রতারক চক্র সক্রিয়। এখন প্রায় সময় অফিস করেন ডবলমুরিং থানা অফিসের কার্যালয়ে। যাতায়াত আছে নগরের লাভ লেইনের সামনে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসেও। কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে ডেটা এন্ট্রি অফিসার পদে রয়েছেন তাঁর খালাতো ভাই মোজাফ্ফের আহমেদ। তাঁর বোনের জামাই নুর আহমেদ চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি হাটহাজারীতে বদলি হন। এই দুজন যে আত্মীয়, তা স্বীকার করেন জয়নাল। ২০১৯ সালে দুদকের মামলায় তাঁর আত্মীয় খালাতো ভাই মোজাফ্ফের আহমেদ, তাঁর বোনের জামাই নুর আহমেদকে দিয়ে জয়নাল অবৈধ কাজ করাতেন বলে দুদক মামলায় উল্লেখ করেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে কম সময়ে এনআইডি পাইয়ে দেবেন বলে এক ভুক্তভোগী থেকে ৬ হাজার টাকা নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই ভুক্তভোগী কাজ করেন আবার আরেকজনের মাধ্যমে। যাঁর এনআইডির কাজ করেন, তাঁর নাম নোমান ইবনে জামাল।
এ ছাড়া কাগজপত্র ছাড়া জন্মনিবন্ধন পেতে ৫০ হাজার টাকা নিতেন তিনি। শুধু নাম সংশোধনীর জন্য দুটি জন্মনিবন্ধনের কাজ করে দিতে ৪৫ হাজার টাকা চান। কিন্তু ডবলমুরিং হাজিপাড়া এলাকার দুজন বাসিন্দা বেশি টাকা চাওয়ায় আর দেননি। ঘটনাটি দুই মাস আগের। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, জয়নালের চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ ও মনসুরাবাদ পাসপোর্ট অফিসে ছয়জন কর্মচারী রয়েছেন, যাঁরা জয়নালের হয়ে অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরির কাজে সহযোগিতা করতেন। ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসের দুজন কর্মচারী, চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কাউন্সিলর অফিস, কোতোয়ালির ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিস, বাঁশখালীর একজন মহিলা কাউন্সিলর, রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীতে বেশ কয়েকজন তাঁর হয়ে কাজ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নাল আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘সাময়িক চাকরিচ্যুত হলেও মাঝেমধ্যে আমি অফিসে যাই, কাজ করি। পাঁচতলা বাড়িটি ৪৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। তবে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’
এদিকে অফিসে জয়নালের কাজ করার বিষয়টি আজকের পত্রিকার কাছে অস্বীকার করেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ডবলমুরিং নয়, জয়নাল আবেদীন বিভিন্নজনের কাজ নিয়ে লাভ লেইন এলাকার চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসেও যাতায়াত করেন।
দুদকের চট্টগ্রাম-২ উপপরিচালক মো. আতিকুর আলমের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। দুদকের সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালে করা মামলাটির চার্জশিট সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করার আইন রয়েছে। তিনটি মামলার মধ্যে মাত্র একটির চার্জশিট দিতে পেরেছে দুদক।
চট্টগ্রাম দুদকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তদন্ত শেষে চার্জশিটের জন্য মামলাটি কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তারা চার্জশিট দেওয়ার জন্য এখনো অনুমোদন দেয়নি, তাই আদালতে জমা দিতে পারিনি।’

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন অবৈধ উপায়ে কয়েক কোটি টাকায় তোলা পাঁচতলা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এই বাড়িটি অবৈধ টাকায় নির্মাণ করেন বলে দুদক মামলার এজাহারে বলা হয়। দুদক সব মিলিয়ে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পায় জয়নালের। এখন এসব সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন অবৈধ উপায়ে কয়েক কোটি টাকায় তোলা পাঁচতলা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এই বাড়িটি অবৈধ টাকায় নির্মাণ করেন বলে দুদক মামলার এজাহারে বলা হয়। দুদক সব মিলিয়ে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পায় জয়নালের। এখন এসব সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন অবৈধ উপায়ে কয়েক কোটি টাকায় তোলা পাঁচতলা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এই বাড়িটি অবৈধ টাকায় নির্মাণ করেন বলে দুদক মামলার এজাহারে বলা হয়। দুদক সব মিলিয়ে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পায় জয়নালের। এখন এসব সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন অবৈধ উপায়ে কয়েক কোটি টাকায় তোলা পাঁচতলা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এই বাড়িটি অবৈধ টাকায় নির্মাণ করেন বলে দুদক মামলার এজাহারে বলা হয়। দুদক সব মিলিয়ে ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৪৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পায় জয়নালের। এখন এসব সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে