কামরুল হাসান

আজকের গল্পে দুটি চরিত্র। একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী আর অন্যজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীর গল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষটিকে টেনে আনার একটি যোগসূত্র আছে। সেটা হলো, একদিন এই সন্ত্রাসী খুন হন। আর সেই খুনের মামলায় জড়ানো হয় এই সাধারণ মানুষটিকে। এরপর ফাঁসির আসামি হয়ে তিনি দুই বছর ‘কনডেম সেলে’ কাটান। পরে বেঁচে ফিরে আসেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে। সে ঘটনা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।
দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রথমে বলি সেই সন্ত্রাসী লোকটির গল্প। তাঁর নাম গাজি লিয়াকত ওরফে কালা লিয়াকত। নামটি শুনেই আশা করি বুঝতে পারছেন, কী ভয়ংকর লোকটি। কালা লিয়াকত থাকতেন পুরান ঢাকার জুড়িয়াটুলি লেনে। তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল সূত্রাপুরজুড়ে। ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে কালা লিয়াকতের নাম শুনলেই ভয়ে কেঁপে উঠতেন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা। তাঁর আধিপত্য ছিল শ্যামবাজার থেকে শুরু করে বাবুবাজার পর্যন্ত। একদিন সকালে সেই কালা লিয়াকত খুন হন প্রতিপক্ষের হাতে।
জনকণ্ঠ অফিস তখন মতিঝিলে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রিপোর্টারদের মিটিং। সকালে অফিসে এসে শুনি পিএবিএক্স নম্বরে ফোন এসেছে—কালা লিয়াকত খুন। সবার হাতে-হাতে তখন মোবাইল ফোন ছিল না। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর সাধারণ মানুষ ছিল খুবই শ্রদ্ধাশীল। কোনো কিছু ঘটলেই তারা সংবাদপত্র অফিসে ফোন করে খবর দিত। অনেক সময় থানার ওসিরাও ফোন করে লোক পাঠাতে বলতেন।
খুনের খবর শুনে গেলাম জুড়িয়াটুলি লেনে। দেখি, কালা লিয়াকতের লাশ বাসার সামনে ফাঁকা একটা জায়গায় খাটিয়ার ওপর রাখা। তার চারপাশে একদল যুবক ঘোরাঘুরি করছে, যাদের চলাফেরা অন্যরকম। কেমন যেন একটা ভুতুড়ে পরিবেশ। যাকে জিজ্ঞাসা করি কেউ কিছু বলে না। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সব দেখছি। একজন এসে আমার পরিচয় জানতে চাইলেন। একটু পর এক নারী এসে আমাকে নিয়ে একটি ঘরের ভেতরে গেলেন। বলেন, ‘ওখানে যারা আছে সবার মাথা গরম, হাতে অস্ত্র আছে। কোনো কিছু জানতে চাইলে আমাকে বলেন।’ তিনি আমার দরকারি প্রশ্নগুলোর জবাব দিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা শেষ করে বের হব—এমন সময় তিনি একটু অপেক্ষা করতে বলে চলে গেলেন। ফিরে এলেন এক প্লেট বিরিয়ানি হাতে নিয়ে। সামনে লাশ পড়ে আছে, আর তার সামনে বসে আমি বিরিয়ানি খাব? খুবই অস্বাভাবিক মনে হলো। কিন্তু তিনি নাছোড়। পরে অনেক অনুনয়বিনয় করে বেরিয়ে এলাম।
পরে জানলাম তিনিই কালা লিয়াকতের স্ত্রী। নাম রোকেয়া বেগম। আমাকে বলেছিলেন, তাঁর স্বামীকে যাঁরা খুন করেছেন তিনি তাঁদের চেনেন। এই খুনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কালা লিয়াকতের প্রতিপক্ষ সুন্দর বাবু নামের আরেক সন্ত্রাসী। রোকেয়া বেগম সুন্দর বাবুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন।
এরপর দিন যায়। কালা লিয়াকতের কথা ভুলে যাই। জনকণ্ঠ ছেড়ে আসি প্রথম আলোয়। ২০০৬ সালে পুরোনো মামলা নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে আবার সামনে আসে কালা লিয়াকতের নাম। তত দিনে ডিবির পরিদর্শক রেজাউল করিম এই খুনের মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছেন, বিচারও শেষ হয়েছে।
আমার উদ্দেশ্য ছিল, সন্ত্রাসীরা খুন হওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা কেমন আছে, তা তুলে আনা। সেই তালিকায় এলো কালা লিয়াকতের নাম। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পেলাম কালা লিয়াকতের স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে। কথা বলতে গিয়ে তিনি দিলেন বিস্ফোরক তথ্য। বললেন, সুন্দর বাবু নামে যাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তিনি তাঁর স্বামীর খুনি সুন্দর বাবু নন। এই কথা তিনি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং আদালতকে বলেছেন। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি। তাঁর এই কথা কয়েকটি পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে। রোকেয়া বেগমের কাছে মামলার নথিপত্র ছিল। দেখি, শাহ আলম বাবু ওরফে সুন্দর বাবু নামের যে আসামি আছেন, তাঁর বাবার নাম আফজাল হোসেন। ৫৭ নম্বর নয়াপল্টনের বাসিন্দা তিনি। ২০০৩ সালের ২৬ জুন সেই শাহ আলম বাবু আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০০৪ সালের ১৮ আগস্ট আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। সেই থেকে তিনি কনডেম সেলে।
মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেল। এবার যেতে হবে ৫৭ নম্বর নয়াপল্টনে শাহ আলম বাবুর বাড়িতে। এসে পেয়ে গেলাম শাহ আলমের স্ত্রী জমিলা খাতুনকে। তিনি আমাকে দেখে প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেন। তারপর খুব ভালো করে দেখলেন। একটি ঘরে বসতে দিয়ে বললেন, এই ঘরে ব্লক ও বাটিকের কারখানা ছিল। সেই কারখানার কাপড় বিক্রি করা হতো নিউমার্কেটে। ব্যবসা ভালোই চলছিল। হঠাৎ একদিন জানতে পারেন, তাঁর স্বামী খুনের আসামি। যে লোকটি কোনো দিন নিজের সন্তানের গায়ে হাত তোলেননি, তিনি কী করে মানুষ খুন করবেন? কোনো কিছুতেই হিসাব মেলে না।
জমিলা বলেন, তাঁদের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন আবদুল গণি নামের এক মুহুরি। তিনি প্রথম এ ঘটনাটি জানান। এরপর গণিকে দিয়ে মামলার নকল তোলেন। কয়েক দিন পর বাড়িতে পুলিশ আসে। জমিলা এরপর শাহ আলমকে নিয়ে যান এপিপি গোলাম মোস্তফার কাছে। তিনি সব শুনে বলেন, আত্মসমর্পণের সময় কাগজপত্রে শাহ আলম বাবু নামের সঙ্গে ‘সুন্দর বাবু’ লিখতে হবে। শাহ আলম এতে রাজি না হলেও পরে সুন্দর বাবু নামেই আদালতে হাজির হতে বাধ্য হন।
২০০৩ সালের ২৬ জুন শাহ আলম বাবু আদালতে হাজির হয়ে জানান, তিনি প্রকৃত ‘সুন্দর বাবু’ নন। মামলার বাদীও আদালতে হাজির হয়ে জানান, এই বাবু তাঁর স্বামীর হত্যাকারী নন। আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণকালে সাক্ষীরাও শাহ আলমকে শনাক্ত করেননি। তবুও তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়।
জমিলা বলেন, রেজাউল করিম নামের সেই পুলিশ তাঁর স্বামীর কাছে টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না পেয়ে তিনি অভিযোগপত্রে শাহ আলমের নাম ঢুকিয়ে দেন। ফাঁসির আসামি হয়ে শাহ আলম যান কারাগারে। কিন্তু জমিলা দমার পাত্র নন। তিনি লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। এক অফিস থেকে অন্য অফিস, এক আদালত থেকে আরেক আদালতে। মামলা হাইকোর্টে আসে।
জমিলাকে নিয়ে প্রতিবেদন করি প্রথম আলোয়। এতে বেশ সাড়া পড়ে। এরপর ফলোআপ চলতে থাকে। একটি মানবাধিকার সংস্থা এগিয়ে আসে। জমিলা একটু ভরসা পান। তিনি প্রায়ই ফোনে তাঁর কষ্টের কথা বলেন। একদিন বলেন, স্বামীর জন্য এত কিছু করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। শাহ আলম জেলে যাওয়ার পর প্রথমে হাত পড়ে কারখানাটায়। এরপর একে একে গ্রামের জমি, ভিটের গাছপালা, গাভি, গয়না, ঘরের আসবাব, টিভি, ফ্রিজ সবকিছু বিক্রি হয়ে যায়। জমিলার তিন সন্তানের মধ্যে মেজ ছেলে সেলিম পড়ত বিকেএসপিতে। তার পড়া বন্ধ হয়ে যায়। বড় মেয়ে আফসানার বিয়ের চিন্তা করছিলেন জমিলা। তা-ও থেমে যায়। ছোট ছেলে রাকিব মহল্লার পাশে একটি স্কুলে পড়ত। বাবার জেল হওয়ার পর কয়েক দিন সে ঠিকমতো খায়নি। বায়না ধরেছিল, বাবা না এলে কিছুই খাবে না। কিন্তু ক্ষুধার কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানে ছেলেটি। তবু লড়াই চালিয়ে যান জমিলা। তাঁর জয়ও হয়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ শাহ আলমকে মুক্তি দেন। ২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। তখনো আসল খুনি ‘সুন্দর বাবু’ ধরা পড়েননি।
পরদিন শুক্রবার সকালে যাই শাহ আলমের নয়াপল্টনের বাসায়। দেখি আশপাশের শত শত মানুষ সেখানে ভিড় করেছে। জমিলার বাড়িতে যেন ঈদের আনন্দ। অনেকবার রিপোর্টের কারণে ওই পরিবারের সবাই আমাকে চেনে। আমাকে দেখে এগিয়ে আসেন জমিলা। আমাকে নিয়ে যান শাহ আলমের কাছে। শাহ আলম শোনান তাঁর কনডেম সেলের গল্প। বলেন, ‘রাত এলেই মনে হতো আমাকে মেরে ফেলা হবে। যেকোনো মুহূর্তে কনডেম সেল থেকে নেওয়া হবে ফাঁসির মঞ্চে। ভয়ে দুই চোখ এক করতে পারতাম না। এভাবে দুই বছর নির্ঘুম কেটেছে, প্রায় অন্ধকারে ছিলাম। এখন স্বাভাবিক আলোয় এসে তাকাতে পারছি না। নিজের কাছে বিশ্বাস হয় না, আমি বেঁচে আছি।’
শাহ আলমের সব বক্তব্য রেকর্ড করি। রেকর্ডার পকেটে ঢুকিয়ে জমিলাকে বলি, এবার তাহলে যাই। গাড়ির সামনে আসতেই জমিলা ছেলে-মেয়েদের নাম ধরে ডাকেন। সবাইকে বলেন, আংকেলকে সালাম করো। ছেলে-মেয়েরা লাইন ধরে সালাম করে। আমি জমিলার মেয়ে আফসানার মাথায় হাত রাখতেই সে আমাকে জড়িয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে। সে কান্না সংক্রমিত করে জমিলা ও শাহ আলমকে। আমাকেও। নয়াপল্টনের রাস্তায় তখন অনেক মানুষ। তাদের চোখও তখন ভেজা।

আজকের গল্পে দুটি চরিত্র। একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী আর অন্যজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীর গল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষটিকে টেনে আনার একটি যোগসূত্র আছে। সেটা হলো, একদিন এই সন্ত্রাসী খুন হন। আর সেই খুনের মামলায় জড়ানো হয় এই সাধারণ মানুষটিকে। এরপর ফাঁসির আসামি হয়ে তিনি দুই বছর ‘কনডেম সেলে’ কাটান। পরে বেঁচে ফিরে আসেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে। সে ঘটনা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।
দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রথমে বলি সেই সন্ত্রাসী লোকটির গল্প। তাঁর নাম গাজি লিয়াকত ওরফে কালা লিয়াকত। নামটি শুনেই আশা করি বুঝতে পারছেন, কী ভয়ংকর লোকটি। কালা লিয়াকত থাকতেন পুরান ঢাকার জুড়িয়াটুলি লেনে। তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল সূত্রাপুরজুড়ে। ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে কালা লিয়াকতের নাম শুনলেই ভয়ে কেঁপে উঠতেন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা। তাঁর আধিপত্য ছিল শ্যামবাজার থেকে শুরু করে বাবুবাজার পর্যন্ত। একদিন সকালে সেই কালা লিয়াকত খুন হন প্রতিপক্ষের হাতে।
জনকণ্ঠ অফিস তখন মতিঝিলে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রিপোর্টারদের মিটিং। সকালে অফিসে এসে শুনি পিএবিএক্স নম্বরে ফোন এসেছে—কালা লিয়াকত খুন। সবার হাতে-হাতে তখন মোবাইল ফোন ছিল না। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর সাধারণ মানুষ ছিল খুবই শ্রদ্ধাশীল। কোনো কিছু ঘটলেই তারা সংবাদপত্র অফিসে ফোন করে খবর দিত। অনেক সময় থানার ওসিরাও ফোন করে লোক পাঠাতে বলতেন।
খুনের খবর শুনে গেলাম জুড়িয়াটুলি লেনে। দেখি, কালা লিয়াকতের লাশ বাসার সামনে ফাঁকা একটা জায়গায় খাটিয়ার ওপর রাখা। তার চারপাশে একদল যুবক ঘোরাঘুরি করছে, যাদের চলাফেরা অন্যরকম। কেমন যেন একটা ভুতুড়ে পরিবেশ। যাকে জিজ্ঞাসা করি কেউ কিছু বলে না। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সব দেখছি। একজন এসে আমার পরিচয় জানতে চাইলেন। একটু পর এক নারী এসে আমাকে নিয়ে একটি ঘরের ভেতরে গেলেন। বলেন, ‘ওখানে যারা আছে সবার মাথা গরম, হাতে অস্ত্র আছে। কোনো কিছু জানতে চাইলে আমাকে বলেন।’ তিনি আমার দরকারি প্রশ্নগুলোর জবাব দিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা শেষ করে বের হব—এমন সময় তিনি একটু অপেক্ষা করতে বলে চলে গেলেন। ফিরে এলেন এক প্লেট বিরিয়ানি হাতে নিয়ে। সামনে লাশ পড়ে আছে, আর তার সামনে বসে আমি বিরিয়ানি খাব? খুবই অস্বাভাবিক মনে হলো। কিন্তু তিনি নাছোড়। পরে অনেক অনুনয়বিনয় করে বেরিয়ে এলাম।
পরে জানলাম তিনিই কালা লিয়াকতের স্ত্রী। নাম রোকেয়া বেগম। আমাকে বলেছিলেন, তাঁর স্বামীকে যাঁরা খুন করেছেন তিনি তাঁদের চেনেন। এই খুনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কালা লিয়াকতের প্রতিপক্ষ সুন্দর বাবু নামের আরেক সন্ত্রাসী। রোকেয়া বেগম সুন্দর বাবুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন।
এরপর দিন যায়। কালা লিয়াকতের কথা ভুলে যাই। জনকণ্ঠ ছেড়ে আসি প্রথম আলোয়। ২০০৬ সালে পুরোনো মামলা নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে আবার সামনে আসে কালা লিয়াকতের নাম। তত দিনে ডিবির পরিদর্শক রেজাউল করিম এই খুনের মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছেন, বিচারও শেষ হয়েছে।
আমার উদ্দেশ্য ছিল, সন্ত্রাসীরা খুন হওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা কেমন আছে, তা তুলে আনা। সেই তালিকায় এলো কালা লিয়াকতের নাম। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পেলাম কালা লিয়াকতের স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে। কথা বলতে গিয়ে তিনি দিলেন বিস্ফোরক তথ্য। বললেন, সুন্দর বাবু নামে যাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তিনি তাঁর স্বামীর খুনি সুন্দর বাবু নন। এই কথা তিনি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং আদালতকে বলেছেন। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি। তাঁর এই কথা কয়েকটি পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে। রোকেয়া বেগমের কাছে মামলার নথিপত্র ছিল। দেখি, শাহ আলম বাবু ওরফে সুন্দর বাবু নামের যে আসামি আছেন, তাঁর বাবার নাম আফজাল হোসেন। ৫৭ নম্বর নয়াপল্টনের বাসিন্দা তিনি। ২০০৩ সালের ২৬ জুন সেই শাহ আলম বাবু আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০০৪ সালের ১৮ আগস্ট আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। সেই থেকে তিনি কনডেম সেলে।
মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেল। এবার যেতে হবে ৫৭ নম্বর নয়াপল্টনে শাহ আলম বাবুর বাড়িতে। এসে পেয়ে গেলাম শাহ আলমের স্ত্রী জমিলা খাতুনকে। তিনি আমাকে দেখে প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেন। তারপর খুব ভালো করে দেখলেন। একটি ঘরে বসতে দিয়ে বললেন, এই ঘরে ব্লক ও বাটিকের কারখানা ছিল। সেই কারখানার কাপড় বিক্রি করা হতো নিউমার্কেটে। ব্যবসা ভালোই চলছিল। হঠাৎ একদিন জানতে পারেন, তাঁর স্বামী খুনের আসামি। যে লোকটি কোনো দিন নিজের সন্তানের গায়ে হাত তোলেননি, তিনি কী করে মানুষ খুন করবেন? কোনো কিছুতেই হিসাব মেলে না।
জমিলা বলেন, তাঁদের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন আবদুল গণি নামের এক মুহুরি। তিনি প্রথম এ ঘটনাটি জানান। এরপর গণিকে দিয়ে মামলার নকল তোলেন। কয়েক দিন পর বাড়িতে পুলিশ আসে। জমিলা এরপর শাহ আলমকে নিয়ে যান এপিপি গোলাম মোস্তফার কাছে। তিনি সব শুনে বলেন, আত্মসমর্পণের সময় কাগজপত্রে শাহ আলম বাবু নামের সঙ্গে ‘সুন্দর বাবু’ লিখতে হবে। শাহ আলম এতে রাজি না হলেও পরে সুন্দর বাবু নামেই আদালতে হাজির হতে বাধ্য হন।
২০০৩ সালের ২৬ জুন শাহ আলম বাবু আদালতে হাজির হয়ে জানান, তিনি প্রকৃত ‘সুন্দর বাবু’ নন। মামলার বাদীও আদালতে হাজির হয়ে জানান, এই বাবু তাঁর স্বামীর হত্যাকারী নন। আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণকালে সাক্ষীরাও শাহ আলমকে শনাক্ত করেননি। তবুও তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়।
জমিলা বলেন, রেজাউল করিম নামের সেই পুলিশ তাঁর স্বামীর কাছে টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না পেয়ে তিনি অভিযোগপত্রে শাহ আলমের নাম ঢুকিয়ে দেন। ফাঁসির আসামি হয়ে শাহ আলম যান কারাগারে। কিন্তু জমিলা দমার পাত্র নন। তিনি লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। এক অফিস থেকে অন্য অফিস, এক আদালত থেকে আরেক আদালতে। মামলা হাইকোর্টে আসে।
জমিলাকে নিয়ে প্রতিবেদন করি প্রথম আলোয়। এতে বেশ সাড়া পড়ে। এরপর ফলোআপ চলতে থাকে। একটি মানবাধিকার সংস্থা এগিয়ে আসে। জমিলা একটু ভরসা পান। তিনি প্রায়ই ফোনে তাঁর কষ্টের কথা বলেন। একদিন বলেন, স্বামীর জন্য এত কিছু করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। শাহ আলম জেলে যাওয়ার পর প্রথমে হাত পড়ে কারখানাটায়। এরপর একে একে গ্রামের জমি, ভিটের গাছপালা, গাভি, গয়না, ঘরের আসবাব, টিভি, ফ্রিজ সবকিছু বিক্রি হয়ে যায়। জমিলার তিন সন্তানের মধ্যে মেজ ছেলে সেলিম পড়ত বিকেএসপিতে। তার পড়া বন্ধ হয়ে যায়। বড় মেয়ে আফসানার বিয়ের চিন্তা করছিলেন জমিলা। তা-ও থেমে যায়। ছোট ছেলে রাকিব মহল্লার পাশে একটি স্কুলে পড়ত। বাবার জেল হওয়ার পর কয়েক দিন সে ঠিকমতো খায়নি। বায়না ধরেছিল, বাবা না এলে কিছুই খাবে না। কিন্তু ক্ষুধার কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানে ছেলেটি। তবু লড়াই চালিয়ে যান জমিলা। তাঁর জয়ও হয়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ শাহ আলমকে মুক্তি দেন। ২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। তখনো আসল খুনি ‘সুন্দর বাবু’ ধরা পড়েননি।
পরদিন শুক্রবার সকালে যাই শাহ আলমের নয়াপল্টনের বাসায়। দেখি আশপাশের শত শত মানুষ সেখানে ভিড় করেছে। জমিলার বাড়িতে যেন ঈদের আনন্দ। অনেকবার রিপোর্টের কারণে ওই পরিবারের সবাই আমাকে চেনে। আমাকে দেখে এগিয়ে আসেন জমিলা। আমাকে নিয়ে যান শাহ আলমের কাছে। শাহ আলম শোনান তাঁর কনডেম সেলের গল্প। বলেন, ‘রাত এলেই মনে হতো আমাকে মেরে ফেলা হবে। যেকোনো মুহূর্তে কনডেম সেল থেকে নেওয়া হবে ফাঁসির মঞ্চে। ভয়ে দুই চোখ এক করতে পারতাম না। এভাবে দুই বছর নির্ঘুম কেটেছে, প্রায় অন্ধকারে ছিলাম। এখন স্বাভাবিক আলোয় এসে তাকাতে পারছি না। নিজের কাছে বিশ্বাস হয় না, আমি বেঁচে আছি।’
শাহ আলমের সব বক্তব্য রেকর্ড করি। রেকর্ডার পকেটে ঢুকিয়ে জমিলাকে বলি, এবার তাহলে যাই। গাড়ির সামনে আসতেই জমিলা ছেলে-মেয়েদের নাম ধরে ডাকেন। সবাইকে বলেন, আংকেলকে সালাম করো। ছেলে-মেয়েরা লাইন ধরে সালাম করে। আমি জমিলার মেয়ে আফসানার মাথায় হাত রাখতেই সে আমাকে জড়িয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে। সে কান্না সংক্রমিত করে জমিলা ও শাহ আলমকে। আমাকেও। নয়াপল্টনের রাস্তায় তখন অনেক মানুষ। তাদের চোখও তখন ভেজা।

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

আজকের গল্পে দুটি চরিত্র। একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী আর অন্যজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীর গল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষটিকে টেনে আনার একটি যোগসূত্র আছে। সেটা হলো, একদিন এই সন্ত্রাসী খুন হন। আর সেই খুনের মামলায় জড়ানো
১৩ নভেম্বর ২০২১
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

আজকের গল্পে দুটি চরিত্র। একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী আর অন্যজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীর গল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষটিকে টেনে আনার একটি যোগসূত্র আছে। সেটা হলো, একদিন এই সন্ত্রাসী খুন হন। আর সেই খুনের মামলায় জড়ানো
১৩ নভেম্বর ২০২১
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজকের গল্পে দুটি চরিত্র। একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী আর অন্যজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীর গল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষটিকে টেনে আনার একটি যোগসূত্র আছে। সেটা হলো, একদিন এই সন্ত্রাসী খুন হন। আর সেই খুনের মামলায় জড়ানো
১৩ নভেম্বর ২০২১
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আজকের গল্পে দুটি চরিত্র। একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী আর অন্যজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীর গল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষটিকে টেনে আনার একটি যোগসূত্র আছে। সেটা হলো, একদিন এই সন্ত্রাসী খুন হন। আর সেই খুনের মামলায় জড়ানো
১৩ নভেম্বর ২০২১
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে