কামরুল হাসান

একদিন রাতে হঠাৎ এক নারীর ফোন। নিজের পরিচয় সম্পর্কে শুধু জানালেন, তিনি ফিরোজ আল মামুনের স্ত্রী। তারপর বললেন, ‘সাংবাদিক সাহেব, বিরাট চাকরি করেন, কাঁড়ি কাঁড়ি বেতন পান। কিন্তু আমার মতো অসহায় মানুষের কথা কখনো ভেবেছেন? খোঁজ নিয়েছেন, আমরা কীভাবে এত বছর ধরে বেঁচে আছি? কেউ কি নিয়েছে?’ তারপর কান্নার শব্দ। আর কোনো কথা না বলে কাঁদতে কাঁদতেই তিনি ফোন রেখে দিলেন। এই নারীর কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। হঠাৎ মেঘ জমলে যেমন লাগে, ঠিক সেই রকম বিষণ্ন-নিঃস্ব মনে হলো নিজেকে।
একটু পরে মনে হলো, ফোনটা পেয়ে ভালোই হয়েছে। অনেক দিন ধরে আমি এই নারীকেই যেন খুঁজছি। কিন্তু ঠিকানা না জানায় হদিস করতে পারিনি। এবার অন্তত ফোন নম্বরটা পাওয়া গেল। দুই দিন পরে ফোন দিলাম, ধরল তার কিশোরী মেয়ে। মাকে চাইতেই ধরিয়ে দিল। পরিচয় দিয়ে বললাম, কাল আসতে চাই। প্রথমে একটু ইতস্তত করলেন, তারপর বাড়ির ঠিকানা দিলেন।
পুরান ঢাকার বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি। সেই গলি ধরে লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়িটি খুঁজতে ঘাম ছুটে গেল। বাড়ি না বলে একে বাসা বলাই ভালো। জরাজীর্ণ বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি আর দুই সন্তান। দুই হাজার টাকার এই ভাড়াটের খোঁজ আশপাশের বাসিন্দারাও ঠিকমতো জানেন না। সারাটা জীবন নীরব থাকা এই নারী আমাকে কোনো কথা বলতে চাইছিলেন না। পাশে বসা ছেলে মায়ের হাত ধরে ঝাঁকুনি দিয়ে বলল, মা, বলো, সবাই জানুক। এর পরই মুখ খুললেন নিলুফার।
তার আগে বলি নিলুফারের বাড়িতে যাওয়ার হেতু। ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আমার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর হইচই পড়ে গিয়েছিল। সেটি প্রকাশের পর রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিলেন সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তখনকার আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদকে এর জন্য তিনবার সংবাদ সম্মেলন করে ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছিল।
সেই খবরে বলা হয়েছিল, জোড়া খুনের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুইডেনপ্রবাসী বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু ২৩ বছর পলাতক থাকার পর ২০০৫ সালের ৩ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আত্মসমর্পণের পর ১৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি অতি দ্রুততার সঙ্গে ফাঁসির সাজা মওকুফ করে দেন। সেদিনই তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে যান। জিন্টু ও তাঁর সহযোগীদের হাতে যাঁরা খুন হয়েছিলেন, তাঁদের একজন ছিলেন নিলুফার ইয়াসমিন লিলি নামের এই নারীর স্বামী ফিরোজ আল মামুন।
নিলুফারের বাড়িতে আলাদা করে বসার কোনো বন্দোবস্ত নেই। কথা হচ্ছিল তাঁর চৌকিতে বসে। সেটির এক পাশে আমি, অন্য পাশে তিনি, তাঁর ছেলে সুমন ও মেয়ে সোমা। তিনি আমাকে বললেন, ১৯৮২ সালের ২৫ জানুয়ারি ডেমরা এলাকায় তাঁর স্বামী ফিরোজ আল মামুন খুন হন। তাঁর সঙ্গে খুন হয়েছিলেন আবদুল খালেক রানা নামের এক ব্যবসায়ী। সে সময় এক হোটেল কর্মচারী তাঁকে জানিয়েছিলেন, অভিসার সিনেমা হলের পাশের একটি হোটেলে জিন্টু ও মানিকের সঙ্গে ফিরোজকেও দেখা গিয়েছিল। তখন বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সেই ঘটনায় মহিউদ্দিন জিন্টু, গালকাটা কামাল, শহীদ হোসেন ও আবুল কাসেম মানিকের ফাঁসির আদেশ হয়। পরে এরশাদ রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে আবুল কাশেম মানিকের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে দেন। তবে জিন্টু ও শহীদ পলাতক ছিলেন।
নিলুফার বললেন, ফিরোজ আল মামুন যখন খুন হন, তখন তাঁর কোলে দুই মাস আর দেড় বছর বয়সী দুই শিশু। কোথাও কোনো সহায় নেই। দিশেহারা হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ান। থানায় মামলা করেন। কিন্তু মূল আসামির নামই বাদ রাখা হয়। মামলার শুনানির সময় তিনি সামরিক আদালতে স্বামীর হত্যাকারী হিসেবে জিন্টুর নাম বলেন। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত স্বস্তি পান যখন জিন্টুসহ হত্যাকারীদের ফাঁসির আদেশ হয়।
স্বামীর হত্যাকারীদের শাস্তি হয়েছে—এই স্বস্তি নিয়ে নিলুফার এবার ঝাঁপিয়ে পড়েন সন্তানদের গড়ে তুলতে। সংসারের হাল ধরতে শ্যামলীর একটি এতিমখানায় শিশু লালন-পালনের কাজ নেন। নিলুফারের সেই ছেলে-মেয়ে এরপর বড় হয়। ক্লান্তিকর অতীত পেরিয়ে যখন কিছুটা সুখের মুখ দেখতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই আবার তাঁর জীবনে ঝড় বয়ে যায়। মহিউদ্দিন জিন্টুর ফাঁসির দণ্ড রাষ্ট্রপতি মওকুফ করে দিয়েছেন—এ কথা শুনে হতাশায় ভেঙে পড়েন নিলুফার। তবে ঘটনাটি নিয়ে চারদিকে এত আলোচনা হলেও পরিবারটি কিছুই জানতে পারেনি। তাঁর ছেলে সুমন একটি বাড়িতে টিউশনি করতে গিয়ে পুরোনো পত্রিকা পড়ে সব জানতে পারেন। এরপর বাড়ি ফিরে মাকে জানান।
নিলুফার বললেন, ফিরোজ নিহত হওয়ার সময় মেয়ে সোমার বয়স ছিল দেড় বছর আর সুমনের দুই মাস। বাবার কোনো স্মৃতিই তাদের মনে নেই। সুমন ছবি আঁকতে পারে। অসহায় পরিবারটির খরচ জোগাড় হচ্ছিল ভালো আঁকিয়ে সুমনের টিউশনির টাকায়।
নিলুফার বলেছিলেন, লাশ পাওয়ার পর সেই হোটেলের কর্মচারী আবার তাঁর কাছে এসে খুনের ঘটনা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, জিন্টু ও মানিকের সঙ্গে সন্ত্রাসী গালকাটা কামাল তাঁর হোটেলে বসে খুনের ব্যাপারে আলাপ করেছেন। টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী গালকাটা কামাল ফিরোজকে খুন করেন। লাশ দাফনের পর তিনি নিজে ডেমরা থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন। পুলিশ মামলার বিবরণ লিখে তাঁকে সই করতে বললে তিনি সই করেন। এরপর চার্জশিট দেওয়ার সময় জিন্টুর নাম বাদ দেওয়া হয়।
হত্যা মামলাটির বিচার হয় তৎকালীন সামরিক আদালত-১-এ। আদালত নিলুফারের জবানবন্দি নেওয়ার পর মামলাটি আবার তদন্তের নির্দেশ দেন। বিচার শেষে মামলার রায় ঘোষণা হয় ১৯৮২ সালের ২০ জুলাই। রায়ে তখনকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গালকাটা কামাল, তাঁর দুই সহযোগী শহীদ হোসেন ও আবুল কাসেম মানিকের সঙ্গে মহিউদ্দিন জিন্টুরও ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। ফাঁসি কার্যকর করার আগে নিলুফারের সামনে কামালকে হাজির করা হয়েছিল। তখন কামাল তাঁর কাছে মাফ চেয়ে বলেছিলেন, ‘ফিরোজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা ছিল না। টাকার বিনিময়ে আমি তাঁকে খুন করেছি।’ কারা টাকা দিয়েছিল, আপনি তা জানতে চেয়েছিলেন? জবাবে নিলুফার বললেন, ‘হ্যাঁ, কামাল বলেছিল, মানিক ও জিন্টু তাঁকে খুন করার জন্য টাকা দিয়ে ভাড়া করেছিল।’
এই খুনের ১০-১২ দিন পর সে সময়ের এক মন্ত্রীও তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। খুনের সঙ্গে জিন্টু ও মানিক জড়িত ছিলেন বলে জানালে তিনি ‘দেখবেন’ বলে চলে যান। সেই আশ্বাসে ২৩ বছর কাটে। কিন্তু কেউ কিছুই করেননি।
স্বামীকে হারানোর পর দুই সন্তান নিয়ে নিলুফার বিপাকে পড়েন। বনগ্রামের বাসা ছেড়ে দিয়ে চলে যান মায়ের কাছে। প্রাণে-মানে বাঁচতে এতিমখানায় কাজ নেন। ২০ বছর সেখানেই শিশু লালন-পালনের কাজ করেন। মাত্র দুই বছর আগে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ায় সেই কাজ ছেড়ে দেন।
নিলুফার বলেছিলেন, স্বামীর খুনির সাজা মওকুফের কথা শুনে তিনি খুব কেঁদেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ছেলেমেয়েরাও। একবার তাঁরা একসঙ্গে আত্মহত্যা করবেন বলেও স্থির করেছিলেন। কিন্তু পরে মনে হয়েছিল, তাঁদের মতো গরিব মানুষের কোনো কিছুতেই কোনো আক্ষেপ নেই, কারও কাছে কিছু চাওয়ার নেই। জীবনে তাঁদের কোনো প্রাপ্তি নেই—সবই হারানোর। তাহলে শুধু শুধু কেন মরতে যাবেন। এরপর সিদ্ধান্ত বদল করেন।
নিলুফারের সঙ্গে কথা শেষ করে ফিরছি। রাস্তায় চলছি, কিন্তু ঘোর কাটছে না। অতিসাধারণ এক নারীর এই জীবনবোধ আমাকে হতবাক করেছে। মনে হয়েছিল, এই নারী সাধারণ কেউ নন, তিনি বড় কোনো দার্শনিক আর আমি তাঁর শিক্ষার্থীমাত্র।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

একদিন রাতে হঠাৎ এক নারীর ফোন। নিজের পরিচয় সম্পর্কে শুধু জানালেন, তিনি ফিরোজ আল মামুনের স্ত্রী। তারপর বললেন, ‘সাংবাদিক সাহেব, বিরাট চাকরি করেন, কাঁড়ি কাঁড়ি বেতন পান। কিন্তু আমার মতো অসহায় মানুষের কথা কখনো ভেবেছেন? খোঁজ নিয়েছেন, আমরা কীভাবে এত বছর ধরে বেঁচে আছি? কেউ কি নিয়েছে?’ তারপর কান্নার শব্দ। আর কোনো কথা না বলে কাঁদতে কাঁদতেই তিনি ফোন রেখে দিলেন। এই নারীর কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। হঠাৎ মেঘ জমলে যেমন লাগে, ঠিক সেই রকম বিষণ্ন-নিঃস্ব মনে হলো নিজেকে।
একটু পরে মনে হলো, ফোনটা পেয়ে ভালোই হয়েছে। অনেক দিন ধরে আমি এই নারীকেই যেন খুঁজছি। কিন্তু ঠিকানা না জানায় হদিস করতে পারিনি। এবার অন্তত ফোন নম্বরটা পাওয়া গেল। দুই দিন পরে ফোন দিলাম, ধরল তার কিশোরী মেয়ে। মাকে চাইতেই ধরিয়ে দিল। পরিচয় দিয়ে বললাম, কাল আসতে চাই। প্রথমে একটু ইতস্তত করলেন, তারপর বাড়ির ঠিকানা দিলেন।
পুরান ঢাকার বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি। সেই গলি ধরে লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়িটি খুঁজতে ঘাম ছুটে গেল। বাড়ি না বলে একে বাসা বলাই ভালো। জরাজীর্ণ বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি আর দুই সন্তান। দুই হাজার টাকার এই ভাড়াটের খোঁজ আশপাশের বাসিন্দারাও ঠিকমতো জানেন না। সারাটা জীবন নীরব থাকা এই নারী আমাকে কোনো কথা বলতে চাইছিলেন না। পাশে বসা ছেলে মায়ের হাত ধরে ঝাঁকুনি দিয়ে বলল, মা, বলো, সবাই জানুক। এর পরই মুখ খুললেন নিলুফার।
তার আগে বলি নিলুফারের বাড়িতে যাওয়ার হেতু। ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আমার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর হইচই পড়ে গিয়েছিল। সেটি প্রকাশের পর রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিলেন সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তখনকার আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদকে এর জন্য তিনবার সংবাদ সম্মেলন করে ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছিল।
সেই খবরে বলা হয়েছিল, জোড়া খুনের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুইডেনপ্রবাসী বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু ২৩ বছর পলাতক থাকার পর ২০০৫ সালের ৩ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর আত্মসমর্পণের পর ১৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি অতি দ্রুততার সঙ্গে ফাঁসির সাজা মওকুফ করে দেন। সেদিনই তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে যান। জিন্টু ও তাঁর সহযোগীদের হাতে যাঁরা খুন হয়েছিলেন, তাঁদের একজন ছিলেন নিলুফার ইয়াসমিন লিলি নামের এই নারীর স্বামী ফিরোজ আল মামুন।
নিলুফারের বাড়িতে আলাদা করে বসার কোনো বন্দোবস্ত নেই। কথা হচ্ছিল তাঁর চৌকিতে বসে। সেটির এক পাশে আমি, অন্য পাশে তিনি, তাঁর ছেলে সুমন ও মেয়ে সোমা। তিনি আমাকে বললেন, ১৯৮২ সালের ২৫ জানুয়ারি ডেমরা এলাকায় তাঁর স্বামী ফিরোজ আল মামুন খুন হন। তাঁর সঙ্গে খুন হয়েছিলেন আবদুল খালেক রানা নামের এক ব্যবসায়ী। সে সময় এক হোটেল কর্মচারী তাঁকে জানিয়েছিলেন, অভিসার সিনেমা হলের পাশের একটি হোটেলে জিন্টু ও মানিকের সঙ্গে ফিরোজকেও দেখা গিয়েছিল। তখন বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সেই ঘটনায় মহিউদ্দিন জিন্টু, গালকাটা কামাল, শহীদ হোসেন ও আবুল কাসেম মানিকের ফাঁসির আদেশ হয়। পরে এরশাদ রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে আবুল কাশেম মানিকের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে দেন। তবে জিন্টু ও শহীদ পলাতক ছিলেন।
নিলুফার বললেন, ফিরোজ আল মামুন যখন খুন হন, তখন তাঁর কোলে দুই মাস আর দেড় বছর বয়সী দুই শিশু। কোথাও কোনো সহায় নেই। দিশেহারা হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ান। থানায় মামলা করেন। কিন্তু মূল আসামির নামই বাদ রাখা হয়। মামলার শুনানির সময় তিনি সামরিক আদালতে স্বামীর হত্যাকারী হিসেবে জিন্টুর নাম বলেন। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত স্বস্তি পান যখন জিন্টুসহ হত্যাকারীদের ফাঁসির আদেশ হয়।
স্বামীর হত্যাকারীদের শাস্তি হয়েছে—এই স্বস্তি নিয়ে নিলুফার এবার ঝাঁপিয়ে পড়েন সন্তানদের গড়ে তুলতে। সংসারের হাল ধরতে শ্যামলীর একটি এতিমখানায় শিশু লালন-পালনের কাজ নেন। নিলুফারের সেই ছেলে-মেয়ে এরপর বড় হয়। ক্লান্তিকর অতীত পেরিয়ে যখন কিছুটা সুখের মুখ দেখতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই আবার তাঁর জীবনে ঝড় বয়ে যায়। মহিউদ্দিন জিন্টুর ফাঁসির দণ্ড রাষ্ট্রপতি মওকুফ করে দিয়েছেন—এ কথা শুনে হতাশায় ভেঙে পড়েন নিলুফার। তবে ঘটনাটি নিয়ে চারদিকে এত আলোচনা হলেও পরিবারটি কিছুই জানতে পারেনি। তাঁর ছেলে সুমন একটি বাড়িতে টিউশনি করতে গিয়ে পুরোনো পত্রিকা পড়ে সব জানতে পারেন। এরপর বাড়ি ফিরে মাকে জানান।
নিলুফার বললেন, ফিরোজ নিহত হওয়ার সময় মেয়ে সোমার বয়স ছিল দেড় বছর আর সুমনের দুই মাস। বাবার কোনো স্মৃতিই তাদের মনে নেই। সুমন ছবি আঁকতে পারে। অসহায় পরিবারটির খরচ জোগাড় হচ্ছিল ভালো আঁকিয়ে সুমনের টিউশনির টাকায়।
নিলুফার বলেছিলেন, লাশ পাওয়ার পর সেই হোটেলের কর্মচারী আবার তাঁর কাছে এসে খুনের ঘটনা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, জিন্টু ও মানিকের সঙ্গে সন্ত্রাসী গালকাটা কামাল তাঁর হোটেলে বসে খুনের ব্যাপারে আলাপ করেছেন। টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী গালকাটা কামাল ফিরোজকে খুন করেন। লাশ দাফনের পর তিনি নিজে ডেমরা থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন। পুলিশ মামলার বিবরণ লিখে তাঁকে সই করতে বললে তিনি সই করেন। এরপর চার্জশিট দেওয়ার সময় জিন্টুর নাম বাদ দেওয়া হয়।
হত্যা মামলাটির বিচার হয় তৎকালীন সামরিক আদালত-১-এ। আদালত নিলুফারের জবানবন্দি নেওয়ার পর মামলাটি আবার তদন্তের নির্দেশ দেন। বিচার শেষে মামলার রায় ঘোষণা হয় ১৯৮২ সালের ২০ জুলাই। রায়ে তখনকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গালকাটা কামাল, তাঁর দুই সহযোগী শহীদ হোসেন ও আবুল কাসেম মানিকের সঙ্গে মহিউদ্দিন জিন্টুরও ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। ফাঁসি কার্যকর করার আগে নিলুফারের সামনে কামালকে হাজির করা হয়েছিল। তখন কামাল তাঁর কাছে মাফ চেয়ে বলেছিলেন, ‘ফিরোজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা ছিল না। টাকার বিনিময়ে আমি তাঁকে খুন করেছি।’ কারা টাকা দিয়েছিল, আপনি তা জানতে চেয়েছিলেন? জবাবে নিলুফার বললেন, ‘হ্যাঁ, কামাল বলেছিল, মানিক ও জিন্টু তাঁকে খুন করার জন্য টাকা দিয়ে ভাড়া করেছিল।’
এই খুনের ১০-১২ দিন পর সে সময়ের এক মন্ত্রীও তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। খুনের সঙ্গে জিন্টু ও মানিক জড়িত ছিলেন বলে জানালে তিনি ‘দেখবেন’ বলে চলে যান। সেই আশ্বাসে ২৩ বছর কাটে। কিন্তু কেউ কিছুই করেননি।
স্বামীকে হারানোর পর দুই সন্তান নিয়ে নিলুফার বিপাকে পড়েন। বনগ্রামের বাসা ছেড়ে দিয়ে চলে যান মায়ের কাছে। প্রাণে-মানে বাঁচতে এতিমখানায় কাজ নেন। ২০ বছর সেখানেই শিশু লালন-পালনের কাজ করেন। মাত্র দুই বছর আগে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ায় সেই কাজ ছেড়ে দেন।
নিলুফার বলেছিলেন, স্বামীর খুনির সাজা মওকুফের কথা শুনে তিনি খুব কেঁদেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ছেলেমেয়েরাও। একবার তাঁরা একসঙ্গে আত্মহত্যা করবেন বলেও স্থির করেছিলেন। কিন্তু পরে মনে হয়েছিল, তাঁদের মতো গরিব মানুষের কোনো কিছুতেই কোনো আক্ষেপ নেই, কারও কাছে কিছু চাওয়ার নেই। জীবনে তাঁদের কোনো প্রাপ্তি নেই—সবই হারানোর। তাহলে শুধু শুধু কেন মরতে যাবেন। এরপর সিদ্ধান্ত বদল করেন।
নিলুফারের সঙ্গে কথা শেষ করে ফিরছি। রাস্তায় চলছি, কিন্তু ঘোর কাটছে না। অতিসাধারণ এক নারীর এই জীবনবোধ আমাকে হতবাক করেছে। মনে হয়েছিল, এই নারী সাধারণ কেউ নন, তিনি বড় কোনো দার্শনিক আর আমি তাঁর শিক্ষার্থীমাত্র।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

একদিন রাতে হঠাৎ এক নারীর ফোন। নিজের পরিচয় সম্পর্কে শুধু জানালেন, তিনি ফিরোজ আল মামুনের স্ত্রী। তারপর বললেন, ‘সাংবাদিক সাহেব, বিরাট চাকরি করেন, কাঁড়ি কাঁড়ি বেতন পান। কিন্তু আমার মতো অসহায় মানুষের কথা কখনো ভেবেছেন? খোঁজ নিয়েছেন, আমরা কীভাবে এত বছর ধরে বেঁচে
০৩ জুন ২০২৩
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

একদিন রাতে হঠাৎ এক নারীর ফোন। নিজের পরিচয় সম্পর্কে শুধু জানালেন, তিনি ফিরোজ আল মামুনের স্ত্রী। তারপর বললেন, ‘সাংবাদিক সাহেব, বিরাট চাকরি করেন, কাঁড়ি কাঁড়ি বেতন পান। কিন্তু আমার মতো অসহায় মানুষের কথা কখনো ভেবেছেন? খোঁজ নিয়েছেন, আমরা কীভাবে এত বছর ধরে বেঁচে
০৩ জুন ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

একদিন রাতে হঠাৎ এক নারীর ফোন। নিজের পরিচয় সম্পর্কে শুধু জানালেন, তিনি ফিরোজ আল মামুনের স্ত্রী। তারপর বললেন, ‘সাংবাদিক সাহেব, বিরাট চাকরি করেন, কাঁড়ি কাঁড়ি বেতন পান। কিন্তু আমার মতো অসহায় মানুষের কথা কখনো ভেবেছেন? খোঁজ নিয়েছেন, আমরা কীভাবে এত বছর ধরে বেঁচে
০৩ জুন ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

একদিন রাতে হঠাৎ এক নারীর ফোন। নিজের পরিচয় সম্পর্কে শুধু জানালেন, তিনি ফিরোজ আল মামুনের স্ত্রী। তারপর বললেন, ‘সাংবাদিক সাহেব, বিরাট চাকরি করেন, কাঁড়ি কাঁড়ি বেতন পান। কিন্তু আমার মতো অসহায় মানুষের কথা কখনো ভেবেছেন? খোঁজ নিয়েছেন, আমরা কীভাবে এত বছর ধরে বেঁচে
০৩ জুন ২০২৩
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে