বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক সমাজে একজন শিক্ষার্থীর সফলতা শুধু পাঠ্যবই-নির্ভর নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে একটি সুশৃঙ্খল জীবনধারা। একজন শিক্ষার্থীর লাইফস্টাইল যেমন হবে, তার ব্যক্তিত্ব ও ভবিষ্যৎ অনেকটা সেভাবেই গড়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা একটি সুস্থ জীবনধারা যেভাবে গড়ে তুলতে পারে, সে পরামর্শ দিয়েছেন ক্যারিয়ার-বিষয়ক লেখক এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস
ভোরে ঘুম থেকে ওঠা শুধু একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়, এটি একজন শিক্ষার্থীর মনোযোগ বাড়াতে এবং একাগ্রতা গড়তে সাহায্য করে। সকালের নির্মল বাতাস, পাখির ডাক আর শান্ত পরিবেশ—সবকিছু মনকে সতেজ করে তোলে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ভোরে উঠে পড়াশোনা করে, তাদের শেখার গতি ও স্মৃতিশক্তি অপেক্ষাকৃত বেশি কার্যকর। তা ছাড়া ভোরে ঘুম থেকে উঠলে দিনে বেশি সময় পাওয়া যায়।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো
ছোটবেলায় আমরা একটি প্রবাদ শিখেছি, ‘আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ, মেকস অ্যা ম্যান হেলদি অ্যান্ড ওয়াইজ’। এটা শুধু প্রবাদ বাক্য নয়। এটা বাস্তবজীবনের অনেক বড় শিক্ষা। শরীর-মন সুস্থ রাখতে, জীবনে সফল হতে এটা মেনে চলা উচিত। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ও মন—দুই-ই দুর্বল হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাই গভীর রাত না জেগে সন্ধ্যা থেকে পড়াশোনা করে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলে ভালো হয়।
নিয়মিত ও পরিকল্পিত পড়াশোনা
পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এলে না পড়ে অল্প সময়ে সব শেষ করার প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বড় সমস্যা। বরং প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনা করলে চাপ কমে যায় এবং বিষয়বস্তুও ভালোভাবে আয়ত্তে আসে। একটি রুটিন মেনে চলা, যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্রাম ও বিনোদনের সময়ও থাকবে। নিয়মিত ও পরিকল্পিত পড়াশোনা একজন শিক্ষার্থীর উন্নতির চাবিকাঠি।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও শরীরচর্চা
শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে জাঙ্ক ফুড/ভাজাপোড়া খাবার খেতে পছন্দ করে। এতে শরীরের উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। জাঙ্ক ফুড বা অতিরিক্ত ক্যাফেইনভিত্তিক খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার শরীর সুস্থ রাখে এবং তার ফলে মস্তিষ্কও সতেজ থাকে। শরীর সুস্থ না থাকলে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে যায়। পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা শরীরকে ফিট রাখে ও মনকে চাঙা করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন
পরীক্ষার ফল, প্রতিযোগিতা, পারিবারিক প্রত্যাশা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী মানসিক চাপে ভোগে। তাই নিজের মানসিক সুস্থতার দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা, সময়মতো বিশ্রাম নেওয়া, মাঝে মাঝে প্রিয় কাজের মধ্যে ডুবে যাওয়া—এসব মন ভালো রাখে। সবচেয়ে ভালো হয়, কোনো শখের কাজ করা। অবসর সময়ে শখের কাজ করলে মন ভালো থাকে। এটা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
মাদক ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা
মাদক ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সবার জানা। এটা শুধু নিজের ক্ষতি করে না, বরং সমাজ ও পরিবারের ক্ষতি ডেকে আনে। মাদকসেবী ও ধূমপায়ীদের মানুষ অপছন্দ করে। এ ছাড়া মাদক গ্রহণ করা আইনগতভাবে অপরাধ। তাই মাদক ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা ভালো।
সুশৃঙ্খল জীবনযাপন
একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সাফল্যের জন্য মেধা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুশৃঙ্খল জীবনযাপন। সময়ের কাজ সময়ে করা, সুস্থ শরীর ও প্রশান্ত মন বজায় রাখার অভ্যাসগুলো একজন শিক্ষার্থীকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। তাই আজ থেকে হোক সুশৃঙ্খল জীবনযাপন।
ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস
ভোরে ঘুম থেকে ওঠা শুধু একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়, এটি একজন শিক্ষার্থীর মনোযোগ বাড়াতে এবং একাগ্রতা গড়তে সাহায্য করে। সকালের নির্মল বাতাস, পাখির ডাক আর শান্ত পরিবেশ—সবকিছু মনকে সতেজ করে তোলে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ভোরে উঠে পড়াশোনা করে, তাদের শেখার গতি ও স্মৃতিশক্তি অপেক্ষাকৃত বেশি কার্যকর। তা ছাড়া ভোরে ঘুম থেকে উঠলে দিনে বেশি সময় পাওয়া যায়।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো
ছোটবেলায় আমরা একটি প্রবাদ শিখেছি, ‘আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ, মেকস অ্যা ম্যান হেলদি অ্যান্ড ওয়াইজ’। এটা শুধু প্রবাদ বাক্য নয়। এটা বাস্তবজীবনের অনেক বড় শিক্ষা। শরীর-মন সুস্থ রাখতে, জীবনে সফল হতে এটা মেনে চলা উচিত। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ও মন—দুই-ই দুর্বল হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাই গভীর রাত না জেগে সন্ধ্যা থেকে পড়াশোনা করে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলে ভালো হয়।
নিয়মিত ও পরিকল্পিত পড়াশোনা
পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এলে না পড়ে অল্প সময়ে সব শেষ করার প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বড় সমস্যা। বরং প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনা করলে চাপ কমে যায় এবং বিষয়বস্তুও ভালোভাবে আয়ত্তে আসে। একটি রুটিন মেনে চলা, যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্রাম ও বিনোদনের সময়ও থাকবে। নিয়মিত ও পরিকল্পিত পড়াশোনা একজন শিক্ষার্থীর উন্নতির চাবিকাঠি।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও শরীরচর্চা
শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে জাঙ্ক ফুড/ভাজাপোড়া খাবার খেতে পছন্দ করে। এতে শরীরের উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। জাঙ্ক ফুড বা অতিরিক্ত ক্যাফেইনভিত্তিক খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার শরীর সুস্থ রাখে এবং তার ফলে মস্তিষ্কও সতেজ থাকে। শরীর সুস্থ না থাকলে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে যায়। পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা শরীরকে ফিট রাখে ও মনকে চাঙা করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন
পরীক্ষার ফল, প্রতিযোগিতা, পারিবারিক প্রত্যাশা ইত্যাদি কারণে অনেক শিক্ষার্থী মানসিক চাপে ভোগে। তাই নিজের মানসিক সুস্থতার দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা, সময়মতো বিশ্রাম নেওয়া, মাঝে মাঝে প্রিয় কাজের মধ্যে ডুবে যাওয়া—এসব মন ভালো রাখে। সবচেয়ে ভালো হয়, কোনো শখের কাজ করা। অবসর সময়ে শখের কাজ করলে মন ভালো থাকে। এটা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
মাদক ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা
মাদক ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সবার জানা। এটা শুধু নিজের ক্ষতি করে না, বরং সমাজ ও পরিবারের ক্ষতি ডেকে আনে। মাদকসেবী ও ধূমপায়ীদের মানুষ অপছন্দ করে। এ ছাড়া মাদক গ্রহণ করা আইনগতভাবে অপরাধ। তাই মাদক ও ধূমপান থেকে দূরে থাকা ভালো।
সুশৃঙ্খল জীবনযাপন
একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সাফল্যের জন্য মেধা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুশৃঙ্খল জীবনযাপন। সময়ের কাজ সময়ে করা, সুস্থ শরীর ও প্রশান্ত মন বজায় রাখার অভ্যাসগুলো একজন শিক্ষার্থীকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। তাই আজ থেকে হোক সুশৃঙ্খল জীবনযাপন।
বর্তমান যুগে জ্ঞান বিনিময়ের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হলো প্রেজেন্টেশন। শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে করপোরেট দুনিয়া, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে শুরু করে গবেষণা সম্মেলন—সব জায়গাতে একটি পরিষ্কার ও গোছানো প্রেজেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু শুধু স্লাইড তৈরি করলেই একটি প্রভাবশালী প্রেজেন্টেশন হয় না।
৬ দিন আগেবিজেএস পরীক্ষার জন্য একটি সুসংগঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি প্রয়োজন। অনার্স ও মাস্টার্সে যে বিষয়গুলো বিজেএসের সঙ্গে সম্পর্কিত, সেগুলো আগে শেষ করতে হবে। প্রথম দিকে প্রস্তুতি এলোমেলো মনে হতে পারে। কোথা থেকে শুরু করবেন, বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। তাই মূল প্রস্তুতি শুরু করুন আইন বিষয় দিয়ে।
৬ দিন আগেবাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) রাজস্ব বাজেটভুক্ত শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। নবম ও দশম গ্রেডে মোট ৯০টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
২৬ মার্চ ২০২৫জীবনে সফল হতে হলে একটি পরিষ্কার ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা প্রয়োজন। লক্ষ্য ছাড়া জীবনে কোনো সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় না। যেকোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রথমে সেই লক্ষ্যকে মানসিকভাবে গ্রহণ করা এবং তার প্রতি অটুট মনোভাব রাখতে হবে। আপনি যদি নিশ্চিত না হন যে আপনার লক্ষ্য কী, তবে আপনার জীবনও লক্ষ্যহীন
০৬ মার্চ ২০২৫