নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত করে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকারের স্বাধীন টাস্কফোর্স। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম বদলে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’। আর এর প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদের মর্যাদা দেওয়ার পরামর্শ রেখেছে টাস্কফোর্স।
গতকাল সোমবার পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কাছে এই সংস্কার প্যাকেজ প্রস্তাব ও সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয় টাস্কফোর্স। প্রতিবেদনে শুধু নাম বা পদ পরিবর্তনের প্রস্তাব নয়; বরং পুরো সংস্থাকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য বৈপ্লবিক পরিবর্তনধর্মী কিছু সুপারিশ করা হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থা বিশ্বমানের মানদণ্ডে দাঁড়াবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাস্কফোর্সের প্রধান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সাহসী, সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। এখানে কোনো আমলাতান্ত্রিক কাটছাঁট নেই। তবে এর বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত একটি বিশেষ টিম গঠন করা জরুরি, যেখানে শুধু আমলাতন্ত্র নয়, স্বাধীন বিশেষজ্ঞও থাকতে হবে।’
টাস্কফোর্স কমিটিতে অন্যান্যের মধ্যে সদস্য ছিলেন বিবিএসের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদাৎ হোসেন, ড. মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম, আতনু রাব্বানি এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা বাড়াতে ‘ট্রাস্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি কাউন্সিল অব স্ট্যাটিসটিকস (টিটিসিএস)’ নামে সাত সদস্যের একটি নতুন সংস্থা গঠন করতে হবে। এই সংস্থা বার্ষিক কর্ম সম্পাদন ও ব্যয় পর্যালোচনা করবে, এমনকি চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান নিয়োগেও ভূমিকা রাখবে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা থাকবেন এর প্রধান।

সংস্কারের আরেকটি বড় দিক হলো আইনগত পরিবর্তন। টাস্কফোর্স সুপারিশ করেছে, ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান আইন সংশোধন করে স্ট্যাটবিডিকে কারিগরি সিদ্ধান্তে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে, যাতে কোনো প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না ঘটে। একই সঙ্গে জরিপ কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে অবিলম্বে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং মূল জরিপগুলোর জন্য বিশেষ রাজস্ব তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
জনবলসংকট মোকাবিলায় বিবিএসের বর্তমান আটটি উইং বাড়িয়ে ১৬টি করার পরামর্শ এসেছে। উপজেলা পর্যায়ে ৪৩৭টি নতুন পদ সৃষ্টি, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার একীভূত করে পরিসংখ্যানবিদদের জন্য অভিন্ন পেশাগত কাঠামো গঠন করার কথাও উল্লেখ রয়েছে।
জনগণের আস্থা ফেরানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তথ্য প্রকাশে পূর্ণ উন্মুক্ত নীতি গ্রহণ, পূর্বঘোষিত ক্যালেন্ডার মেনে তথ্য প্রকাশ এবং প্রতিটি জরিপের পূর্ণ মেটাডেটা প্রকাশ করা। পাশাপাশি বার্ষিক স্টেকহোল্ডার সম্মেলন আয়োজন, বড় জরিপের জন্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন এবং তরুণ পেশাজীবীদের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরির কথাও প্রতিবেদনে এসেছে।
এ ছাড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে ‘স্ট্যাটবিডি ট্রেনিং একাডেমি’ হিসেবে উন্নীত করা এবং একটি মেথডোলজিক্যাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের সদস্যরা জানিয়েছেন, রিপোর্টটি এখনো খসড়া আকারে রয়েছে। বিবিএস, এসআইডি, পরিকল্পনা কমিশন, গণমাধ্যম ও ব্যবহারকারীদের মতামত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষের মতামত নিয়ে এটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।
পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, ‘বিবিএসকে শক্তিশালী করতেই বিশেষজ্ঞদের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন তৈরি করে দিয়েছে। আমরা সুপারিশগুলো দেখে বাস্তবায়নযোগ্য দিকগুলো অগ্রাধিকার দেব।’
স্বাধীন টাস্কফোর্সের দেওয়া সংস্কার প্যাকেজ প্রতিবেদন গ্রহণ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ মন্তব্য করেন, ‘একটি দেশের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণে নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান অপরিহার্য। পরিসংখ্যান যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে নীতি প্রণয়ন দুর্বল হয়ে পড়ে। আশা করছি, এই প্রতিবেদনের প্যাকেজ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে অভ্যন্তরীণভাবে আস্থা বাড়বে, আন্তর্জাতিক পরিসরেও বাংলাদেশের তথ্য গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত করে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকারের স্বাধীন টাস্কফোর্স। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম বদলে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’। আর এর প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদের মর্যাদা দেওয়ার পরামর্শ রেখেছে টাস্কফোর্স।
গতকাল সোমবার পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কাছে এই সংস্কার প্যাকেজ প্রস্তাব ও সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয় টাস্কফোর্স। প্রতিবেদনে শুধু নাম বা পদ পরিবর্তনের প্রস্তাব নয়; বরং পুরো সংস্থাকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য বৈপ্লবিক পরিবর্তনধর্মী কিছু সুপারিশ করা হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থা বিশ্বমানের মানদণ্ডে দাঁড়াবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাস্কফোর্সের প্রধান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সাহসী, সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। এখানে কোনো আমলাতান্ত্রিক কাটছাঁট নেই। তবে এর বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত একটি বিশেষ টিম গঠন করা জরুরি, যেখানে শুধু আমলাতন্ত্র নয়, স্বাধীন বিশেষজ্ঞও থাকতে হবে।’
টাস্কফোর্স কমিটিতে অন্যান্যের মধ্যে সদস্য ছিলেন বিবিএসের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদাৎ হোসেন, ড. মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম, আতনু রাব্বানি এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা বাড়াতে ‘ট্রাস্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি কাউন্সিল অব স্ট্যাটিসটিকস (টিটিসিএস)’ নামে সাত সদস্যের একটি নতুন সংস্থা গঠন করতে হবে। এই সংস্থা বার্ষিক কর্ম সম্পাদন ও ব্যয় পর্যালোচনা করবে, এমনকি চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান নিয়োগেও ভূমিকা রাখবে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা থাকবেন এর প্রধান।

সংস্কারের আরেকটি বড় দিক হলো আইনগত পরিবর্তন। টাস্কফোর্স সুপারিশ করেছে, ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান আইন সংশোধন করে স্ট্যাটবিডিকে কারিগরি সিদ্ধান্তে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে, যাতে কোনো প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না ঘটে। একই সঙ্গে জরিপ কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে অবিলম্বে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং মূল জরিপগুলোর জন্য বিশেষ রাজস্ব তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
জনবলসংকট মোকাবিলায় বিবিএসের বর্তমান আটটি উইং বাড়িয়ে ১৬টি করার পরামর্শ এসেছে। উপজেলা পর্যায়ে ৪৩৭টি নতুন পদ সৃষ্টি, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার একীভূত করে পরিসংখ্যানবিদদের জন্য অভিন্ন পেশাগত কাঠামো গঠন করার কথাও উল্লেখ রয়েছে।
জনগণের আস্থা ফেরানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তথ্য প্রকাশে পূর্ণ উন্মুক্ত নীতি গ্রহণ, পূর্বঘোষিত ক্যালেন্ডার মেনে তথ্য প্রকাশ এবং প্রতিটি জরিপের পূর্ণ মেটাডেটা প্রকাশ করা। পাশাপাশি বার্ষিক স্টেকহোল্ডার সম্মেলন আয়োজন, বড় জরিপের জন্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন এবং তরুণ পেশাজীবীদের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরির কথাও প্রতিবেদনে এসেছে।
এ ছাড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে ‘স্ট্যাটবিডি ট্রেনিং একাডেমি’ হিসেবে উন্নীত করা এবং একটি মেথডোলজিক্যাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের সদস্যরা জানিয়েছেন, রিপোর্টটি এখনো খসড়া আকারে রয়েছে। বিবিএস, এসআইডি, পরিকল্পনা কমিশন, গণমাধ্যম ও ব্যবহারকারীদের মতামত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষের মতামত নিয়ে এটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।
পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, ‘বিবিএসকে শক্তিশালী করতেই বিশেষজ্ঞদের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন তৈরি করে দিয়েছে। আমরা সুপারিশগুলো দেখে বাস্তবায়নযোগ্য দিকগুলো অগ্রাধিকার দেব।’
স্বাধীন টাস্কফোর্সের দেওয়া সংস্কার প্যাকেজ প্রতিবেদন গ্রহণ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ মন্তব্য করেন, ‘একটি দেশের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণে নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান অপরিহার্য। পরিসংখ্যান যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে নীতি প্রণয়ন দুর্বল হয়ে পড়ে। আশা করছি, এই প্রতিবেদনের প্যাকেজ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে অভ্যন্তরীণভাবে আস্থা বাড়বে, আন্তর্জাতিক পরিসরেও বাংলাদেশের তথ্য গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত করে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকারের স্বাধীন টাস্কফোর্স। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম বদলে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’। আর এর প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদের মর্যাদা দেওয়ার পরামর্শ রেখেছে টাস্কফোর্স।
গতকাল সোমবার পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কাছে এই সংস্কার প্যাকেজ প্রস্তাব ও সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয় টাস্কফোর্স। প্রতিবেদনে শুধু নাম বা পদ পরিবর্তনের প্রস্তাব নয়; বরং পুরো সংস্থাকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য বৈপ্লবিক পরিবর্তনধর্মী কিছু সুপারিশ করা হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থা বিশ্বমানের মানদণ্ডে দাঁড়াবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাস্কফোর্সের প্রধান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সাহসী, সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। এখানে কোনো আমলাতান্ত্রিক কাটছাঁট নেই। তবে এর বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত একটি বিশেষ টিম গঠন করা জরুরি, যেখানে শুধু আমলাতন্ত্র নয়, স্বাধীন বিশেষজ্ঞও থাকতে হবে।’
টাস্কফোর্স কমিটিতে অন্যান্যের মধ্যে সদস্য ছিলেন বিবিএসের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদাৎ হোসেন, ড. মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম, আতনু রাব্বানি এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা বাড়াতে ‘ট্রাস্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি কাউন্সিল অব স্ট্যাটিসটিকস (টিটিসিএস)’ নামে সাত সদস্যের একটি নতুন সংস্থা গঠন করতে হবে। এই সংস্থা বার্ষিক কর্ম সম্পাদন ও ব্যয় পর্যালোচনা করবে, এমনকি চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান নিয়োগেও ভূমিকা রাখবে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা থাকবেন এর প্রধান।

সংস্কারের আরেকটি বড় দিক হলো আইনগত পরিবর্তন। টাস্কফোর্স সুপারিশ করেছে, ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান আইন সংশোধন করে স্ট্যাটবিডিকে কারিগরি সিদ্ধান্তে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে, যাতে কোনো প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না ঘটে। একই সঙ্গে জরিপ কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে অবিলম্বে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং মূল জরিপগুলোর জন্য বিশেষ রাজস্ব তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
জনবলসংকট মোকাবিলায় বিবিএসের বর্তমান আটটি উইং বাড়িয়ে ১৬টি করার পরামর্শ এসেছে। উপজেলা পর্যায়ে ৪৩৭টি নতুন পদ সৃষ্টি, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার একীভূত করে পরিসংখ্যানবিদদের জন্য অভিন্ন পেশাগত কাঠামো গঠন করার কথাও উল্লেখ রয়েছে।
জনগণের আস্থা ফেরানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তথ্য প্রকাশে পূর্ণ উন্মুক্ত নীতি গ্রহণ, পূর্বঘোষিত ক্যালেন্ডার মেনে তথ্য প্রকাশ এবং প্রতিটি জরিপের পূর্ণ মেটাডেটা প্রকাশ করা। পাশাপাশি বার্ষিক স্টেকহোল্ডার সম্মেলন আয়োজন, বড় জরিপের জন্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন এবং তরুণ পেশাজীবীদের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরির কথাও প্রতিবেদনে এসেছে।
এ ছাড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে ‘স্ট্যাটবিডি ট্রেনিং একাডেমি’ হিসেবে উন্নীত করা এবং একটি মেথডোলজিক্যাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের সদস্যরা জানিয়েছেন, রিপোর্টটি এখনো খসড়া আকারে রয়েছে। বিবিএস, এসআইডি, পরিকল্পনা কমিশন, গণমাধ্যম ও ব্যবহারকারীদের মতামত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষের মতামত নিয়ে এটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।
পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, ‘বিবিএসকে শক্তিশালী করতেই বিশেষজ্ঞদের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন তৈরি করে দিয়েছে। আমরা সুপারিশগুলো দেখে বাস্তবায়নযোগ্য দিকগুলো অগ্রাধিকার দেব।’
স্বাধীন টাস্কফোর্সের দেওয়া সংস্কার প্যাকেজ প্রতিবেদন গ্রহণ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ মন্তব্য করেন, ‘একটি দেশের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণে নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান অপরিহার্য। পরিসংখ্যান যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে নীতি প্রণয়ন দুর্বল হয়ে পড়ে। আশা করছি, এই প্রতিবেদনের প্যাকেজ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে অভ্যন্তরীণভাবে আস্থা বাড়বে, আন্তর্জাতিক পরিসরেও বাংলাদেশের তথ্য গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত করে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকারের স্বাধীন টাস্কফোর্স। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম বদলে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’। আর এর প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদের মর্যাদা দেওয়ার পরামর্শ রেখেছে টাস্কফোর্স।
গতকাল সোমবার পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কাছে এই সংস্কার প্যাকেজ প্রস্তাব ও সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয় টাস্কফোর্স। প্রতিবেদনে শুধু নাম বা পদ পরিবর্তনের প্রস্তাব নয়; বরং পুরো সংস্থাকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য বৈপ্লবিক পরিবর্তনধর্মী কিছু সুপারিশ করা হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থা বিশ্বমানের মানদণ্ডে দাঁড়াবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাস্কফোর্সের প্রধান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সাহসী, সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। এখানে কোনো আমলাতান্ত্রিক কাটছাঁট নেই। তবে এর বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত একটি বিশেষ টিম গঠন করা জরুরি, যেখানে শুধু আমলাতন্ত্র নয়, স্বাধীন বিশেষজ্ঞও থাকতে হবে।’
টাস্কফোর্স কমিটিতে অন্যান্যের মধ্যে সদস্য ছিলেন বিবিএসের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদাৎ হোসেন, ড. মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম, আতনু রাব্বানি এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা বাড়াতে ‘ট্রাস্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি কাউন্সিল অব স্ট্যাটিসটিকস (টিটিসিএস)’ নামে সাত সদস্যের একটি নতুন সংস্থা গঠন করতে হবে। এই সংস্থা বার্ষিক কর্ম সম্পাদন ও ব্যয় পর্যালোচনা করবে, এমনকি চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান নিয়োগেও ভূমিকা রাখবে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা থাকবেন এর প্রধান।

সংস্কারের আরেকটি বড় দিক হলো আইনগত পরিবর্তন। টাস্কফোর্স সুপারিশ করেছে, ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান আইন সংশোধন করে স্ট্যাটবিডিকে কারিগরি সিদ্ধান্তে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে, যাতে কোনো প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না ঘটে। একই সঙ্গে জরিপ কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে অবিলম্বে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং মূল জরিপগুলোর জন্য বিশেষ রাজস্ব তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
জনবলসংকট মোকাবিলায় বিবিএসের বর্তমান আটটি উইং বাড়িয়ে ১৬টি করার পরামর্শ এসেছে। উপজেলা পর্যায়ে ৪৩৭টি নতুন পদ সৃষ্টি, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার একীভূত করে পরিসংখ্যানবিদদের জন্য অভিন্ন পেশাগত কাঠামো গঠন করার কথাও উল্লেখ রয়েছে।
জনগণের আস্থা ফেরানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তথ্য প্রকাশে পূর্ণ উন্মুক্ত নীতি গ্রহণ, পূর্বঘোষিত ক্যালেন্ডার মেনে তথ্য প্রকাশ এবং প্রতিটি জরিপের পূর্ণ মেটাডেটা প্রকাশ করা। পাশাপাশি বার্ষিক স্টেকহোল্ডার সম্মেলন আয়োজন, বড় জরিপের জন্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন এবং তরুণ পেশাজীবীদের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরির কথাও প্রতিবেদনে এসেছে।
এ ছাড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে ‘স্ট্যাটবিডি ট্রেনিং একাডেমি’ হিসেবে উন্নীত করা এবং একটি মেথডোলজিক্যাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের সদস্যরা জানিয়েছেন, রিপোর্টটি এখনো খসড়া আকারে রয়েছে। বিবিএস, এসআইডি, পরিকল্পনা কমিশন, গণমাধ্যম ও ব্যবহারকারীদের মতামত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষের মতামত নিয়ে এটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।
পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, ‘বিবিএসকে শক্তিশালী করতেই বিশেষজ্ঞদের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন তৈরি করে দিয়েছে। আমরা সুপারিশগুলো দেখে বাস্তবায়নযোগ্য দিকগুলো অগ্রাধিকার দেব।’
স্বাধীন টাস্কফোর্সের দেওয়া সংস্কার প্যাকেজ প্রতিবেদন গ্রহণ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ মন্তব্য করেন, ‘একটি দেশের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণে নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান অপরিহার্য। পরিসংখ্যান যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে নীতি প্রণয়ন দুর্বল হয়ে পড়ে। আশা করছি, এই প্রতিবেদনের প্যাকেজ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে অভ্যন্তরীণভাবে আস্থা বাড়বে, আন্তর্জাতিক পরিসরেও বাংলাদেশের তথ্য গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১২ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত করে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকারের স্বাধীন টাস্কফোর্স। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম বদলে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’। আর এর প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১২ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত করে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকারের স্বাধীন টাস্কফোর্স। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম বদলে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’। আর এর প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত করে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকারের স্বাধীন টাস্কফোর্স। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম বদলে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’। আর এর প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত করে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকারের স্বাধীন টাস্কফোর্স। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম বদলে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’। আর এর প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১২ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৮ ঘণ্টা আগে