শাহ আলম খান ও মাহফুজুল ইসলাম

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের বেশি সময় শাসনের শেষ দিকে নানা সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়ে দেশের অর্থনীতি। আর্থিক খাতে নানা লুটপাটের কথা ফিরতে থাকে মুখে মুখে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা বোঝার চেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার। গঠন করা হয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সেই কমিটি তাদের কাজ সম্পন্ন করেছে। আজ রোববার তারা প্রতিবেদন জমা দেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে। আগামীকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জনসাধারণের কাছে নিজেদের অনুসন্ধান-বিশ্লেষণ তুলে ধরবে কমিটি। তখন জানা যাবে, কোথায় কতটুকু লুটপাট হয়েছিল, কীভাবে হয়েছিল।
তবে তার আগেই শ্বেতপত্র প্রণয়নকাজে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনে কী থাকছে, তা জানা গেছে কিছু কিছু। সূত্রমতে, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অবস্থা’ শীর্ষক ২৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি ২২টি অধ্যায়ে সাজানো। সারসংক্ষেপে দেশের আর্থিক খাত দীর্ঘদিন ধরে কিছু আমলা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের যোগসাজশে বিশৃঙ্খলার শিকার বলে তথ্য উঠে এসেছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত দুর্বলতাগুলো এ সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। একসময় ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন হোটেলে বসে সুদহার নির্ধারণ করত, যা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দ্বিধায় মেনে নিত। এ ধরনের দুর্বলতার কারণে বিগত ১৫ বছরে ঋণখেলাপির হার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতির নতুন মাত্রা।
সিপিডির বিশেষ ফেলো ও শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে জানান, দেশের অর্থনীতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে ২২টি ইস্যুতে অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির প্রকৃত অবস্থা কী, সেটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। সমস্যাগুলো কোন জায়গায় তা বলেছেন, উত্তরণে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সেসবও সুপারিশ আকারে শ্বেতপত্রে উঠে আসবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কমিটির সদস্য হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, অন্তর্বর্তী সরকার শ্বেতপত্রটিকে গভীরভাবে বিবেচনা করবে, আমরা যেসব পরামর্শ দিয়েছি, তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। বেশ কিছু উদ্যোগ ইতিমধ্যে সরকার গ্রহণ করেছে। সেসব কমিটিকেও সরকার কাজে ব্যবহার করবে বলে আমরা আশা করি।’
বেসরকারি আর্থিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে গত ২৮ আগস্ট ১২ সদস্যের এই শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বহিঃখাত (আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স, এফডিআই, রিজার্ভ ও বিদেশি ঋণ), ব্যাংকিং খাতের পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি, সরকারের ঋণ, পরিসংখ্যানের মান, বাণিজ্য, রাজস্ব, ব্যয়, মেগা প্রকল্প, ব্যবসার পরিবেশ, দারিদ্র্য ও সমতা, পুঁজিবাজার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও জলবায়ু ইস্যু এবং বেসরকারি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয় কমিটিকে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ১৫ বছরে বাংলাদেশে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে ১৪ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলার, যা টাকার হিসাবে প্রায় ১ দশমিক ৬১ থেকে ২ দশমিক ৮ লাখ কোটি টাকাই অপচয় হয়েছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের চাঁদাবাজি ও ঘুষ-বাণিজ্য ছিল ওপেন সিক্রেট। এতে রাষ্ট্রকে এই অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ওই সময়ে ভারতীয় সরকারের সঙ্গে যেসব লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) প্রকল্প করা হয়েছে, সেগুলো ছিল জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রকল্পগুলোতে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ সুরক্ষা হয়নি। ১৫ বছরে তিনটি এলওসিতে সড়ক ও রেল যোগাযোগ, জ্বালানি, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ অবকাঠামো খাতে এ পর্যন্ত ৩৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৫টি শেষ হয়েছে; বাস্তবায়নাধীন ৮টি। বাকি প্রকল্পগুলো পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ কিংবা প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। ভারত ২০১০, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তিনটি এলওসিতে বাংলাদেশকে মোট ৭৩৬ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে কাঙ্ক্ষিত হারে অর্থ ছাড় হয়নি। সর্বশেষ হিসাবে সব মিলিয়ে ছাড় হয়েছে মাত্র ১৮০ কোটি ডলার। এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে বড় পরিসরে অদক্ষতা এবং আর্থিক অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে, যা শুধু অর্থনৈতিক অপচয়ই নয়; বরং দেশের সার্বিক উন্নয়ন কাঠামোকেও বাধাগ্রস্ত করছে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির তথ্যমতে, অভ্যন্তরীণ উৎস খাত হিসেবে ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয়েছে ব্যাংক খাতে। এ সময়ে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। নানা অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে বের করে নেওয়া হয় এসব অর্থ। প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সময় সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে ঋণ কেলেঙ্কারি, প্রতারণা, ভুয়া ঋণ এবং ঋণের অপব্যবহারের ঘটনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় সহায়তায় কিছু গোষ্ঠীর ব্যাংক দখল এবং নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে পারে।
একটি সূত্র জানায়, প্রভাবশালী শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণে ঋণখেলাপি হওয়ার পরও সেগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করতে বাধা দিয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছিলেন। প্রতিবেদনের একটি অংশে এ বিষয় উল্লেখ থাকবে।
সূত্রমতে, প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত সরকার ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিসংখ্যান গোপন করেছিল। দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থা জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়নি; বরং তথ্যকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। এ ছাড়া নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার দরুন ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার তথ্য উল্লেখ থাকছে প্রতিবেদনে।
সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিকের হিসাবে এই ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ আট লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করতে পারে। কমিটির অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, ব্যাংক খাত থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থের একটি বড় অংশ পাচার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১৫ বছরে দেশ থেকে নির্বিঘ্নে প্রতিবছর প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটেছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও মিলেমিশে মহালুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তথ্যমতে, আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে বিদ্যুৎ খাতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। একই সময়ে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জের নামেই লুটপাট হয়েছে এক লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে শুধু সক্ষমতা দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ এই টাকা নিয়ে গেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এসব কেন্দ্রের বেশির ভাগের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা কিংবা তাঁদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও বড় পরিসরে দুর্নীতির অভিযোগ চিহ্নিত করেছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সূত্রমতে, প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এ সময়ে বাস্তবায়িত ২২টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা ২৫ হাজার কোটি টাকার বড় অংশ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, প্রকল্পগুলোর একটি বড় অংশে অর্থ অপচয় ও লুটপাটের প্রমাণ মিলেছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি দেখেছে, প্রায় প্রতিটি প্রকল্পেই অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং হিসাববহির্ভূত লেনদেন হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের বেশি সময় শাসনের শেষ দিকে নানা সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়ে দেশের অর্থনীতি। আর্থিক খাতে নানা লুটপাটের কথা ফিরতে থাকে মুখে মুখে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা বোঝার চেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার। গঠন করা হয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সেই কমিটি তাদের কাজ সম্পন্ন করেছে। আজ রোববার তারা প্রতিবেদন জমা দেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে। আগামীকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জনসাধারণের কাছে নিজেদের অনুসন্ধান-বিশ্লেষণ তুলে ধরবে কমিটি। তখন জানা যাবে, কোথায় কতটুকু লুটপাট হয়েছিল, কীভাবে হয়েছিল।
তবে তার আগেই শ্বেতপত্র প্রণয়নকাজে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনে কী থাকছে, তা জানা গেছে কিছু কিছু। সূত্রমতে, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অবস্থা’ শীর্ষক ২৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি ২২টি অধ্যায়ে সাজানো। সারসংক্ষেপে দেশের আর্থিক খাত দীর্ঘদিন ধরে কিছু আমলা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের যোগসাজশে বিশৃঙ্খলার শিকার বলে তথ্য উঠে এসেছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত দুর্বলতাগুলো এ সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। একসময় ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন হোটেলে বসে সুদহার নির্ধারণ করত, যা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দ্বিধায় মেনে নিত। এ ধরনের দুর্বলতার কারণে বিগত ১৫ বছরে ঋণখেলাপির হার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতির নতুন মাত্রা।
সিপিডির বিশেষ ফেলো ও শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে জানান, দেশের অর্থনীতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে ২২টি ইস্যুতে অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির প্রকৃত অবস্থা কী, সেটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। সমস্যাগুলো কোন জায়গায় তা বলেছেন, উত্তরণে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সেসবও সুপারিশ আকারে শ্বেতপত্রে উঠে আসবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কমিটির সদস্য হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, অন্তর্বর্তী সরকার শ্বেতপত্রটিকে গভীরভাবে বিবেচনা করবে, আমরা যেসব পরামর্শ দিয়েছি, তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। বেশ কিছু উদ্যোগ ইতিমধ্যে সরকার গ্রহণ করেছে। সেসব কমিটিকেও সরকার কাজে ব্যবহার করবে বলে আমরা আশা করি।’
বেসরকারি আর্থিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে গত ২৮ আগস্ট ১২ সদস্যের এই শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বহিঃখাত (আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স, এফডিআই, রিজার্ভ ও বিদেশি ঋণ), ব্যাংকিং খাতের পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি, সরকারের ঋণ, পরিসংখ্যানের মান, বাণিজ্য, রাজস্ব, ব্যয়, মেগা প্রকল্প, ব্যবসার পরিবেশ, দারিদ্র্য ও সমতা, পুঁজিবাজার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও জলবায়ু ইস্যু এবং বেসরকারি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয় কমিটিকে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ১৫ বছরে বাংলাদেশে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে ১৪ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলার, যা টাকার হিসাবে প্রায় ১ দশমিক ৬১ থেকে ২ দশমিক ৮ লাখ কোটি টাকাই অপচয় হয়েছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের চাঁদাবাজি ও ঘুষ-বাণিজ্য ছিল ওপেন সিক্রেট। এতে রাষ্ট্রকে এই অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ওই সময়ে ভারতীয় সরকারের সঙ্গে যেসব লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) প্রকল্প করা হয়েছে, সেগুলো ছিল জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রকল্পগুলোতে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ সুরক্ষা হয়নি। ১৫ বছরে তিনটি এলওসিতে সড়ক ও রেল যোগাযোগ, জ্বালানি, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ অবকাঠামো খাতে এ পর্যন্ত ৩৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৫টি শেষ হয়েছে; বাস্তবায়নাধীন ৮টি। বাকি প্রকল্পগুলো পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ কিংবা প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। ভারত ২০১০, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তিনটি এলওসিতে বাংলাদেশকে মোট ৭৩৬ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে কাঙ্ক্ষিত হারে অর্থ ছাড় হয়নি। সর্বশেষ হিসাবে সব মিলিয়ে ছাড় হয়েছে মাত্র ১৮০ কোটি ডলার। এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে বড় পরিসরে অদক্ষতা এবং আর্থিক অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে, যা শুধু অর্থনৈতিক অপচয়ই নয়; বরং দেশের সার্বিক উন্নয়ন কাঠামোকেও বাধাগ্রস্ত করছে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির তথ্যমতে, অভ্যন্তরীণ উৎস খাত হিসেবে ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয়েছে ব্যাংক খাতে। এ সময়ে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। নানা অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে বের করে নেওয়া হয় এসব অর্থ। প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সময় সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে ঋণ কেলেঙ্কারি, প্রতারণা, ভুয়া ঋণ এবং ঋণের অপব্যবহারের ঘটনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় সহায়তায় কিছু গোষ্ঠীর ব্যাংক দখল এবং নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে পারে।
একটি সূত্র জানায়, প্রভাবশালী শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণে ঋণখেলাপি হওয়ার পরও সেগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করতে বাধা দিয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছিলেন। প্রতিবেদনের একটি অংশে এ বিষয় উল্লেখ থাকবে।
সূত্রমতে, প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত সরকার ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিসংখ্যান গোপন করেছিল। দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থা জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়নি; বরং তথ্যকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। এ ছাড়া নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার দরুন ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার তথ্য উল্লেখ থাকছে প্রতিবেদনে।
সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিকের হিসাবে এই ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ আট লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করতে পারে। কমিটির অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, ব্যাংক খাত থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থের একটি বড় অংশ পাচার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১৫ বছরে দেশ থেকে নির্বিঘ্নে প্রতিবছর প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটেছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও মিলেমিশে মহালুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তথ্যমতে, আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে বিদ্যুৎ খাতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। একই সময়ে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জের নামেই লুটপাট হয়েছে এক লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে শুধু সক্ষমতা দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ এই টাকা নিয়ে গেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এসব কেন্দ্রের বেশির ভাগের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা কিংবা তাঁদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও বড় পরিসরে দুর্নীতির অভিযোগ চিহ্নিত করেছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সূত্রমতে, প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এ সময়ে বাস্তবায়িত ২২টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা ২৫ হাজার কোটি টাকার বড় অংশ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, প্রকল্পগুলোর একটি বড় অংশে অর্থ অপচয় ও লুটপাটের প্রমাণ মিলেছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি দেখেছে, প্রায় প্রতিটি প্রকল্পেই অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং হিসাববহির্ভূত লেনদেন হয়েছে।
শাহ আলম খান ও মাহফুজুল ইসলাম

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের বেশি সময় শাসনের শেষ দিকে নানা সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়ে দেশের অর্থনীতি। আর্থিক খাতে নানা লুটপাটের কথা ফিরতে থাকে মুখে মুখে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা বোঝার চেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার। গঠন করা হয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সেই কমিটি তাদের কাজ সম্পন্ন করেছে। আজ রোববার তারা প্রতিবেদন জমা দেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে। আগামীকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জনসাধারণের কাছে নিজেদের অনুসন্ধান-বিশ্লেষণ তুলে ধরবে কমিটি। তখন জানা যাবে, কোথায় কতটুকু লুটপাট হয়েছিল, কীভাবে হয়েছিল।
তবে তার আগেই শ্বেতপত্র প্রণয়নকাজে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনে কী থাকছে, তা জানা গেছে কিছু কিছু। সূত্রমতে, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অবস্থা’ শীর্ষক ২৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি ২২টি অধ্যায়ে সাজানো। সারসংক্ষেপে দেশের আর্থিক খাত দীর্ঘদিন ধরে কিছু আমলা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের যোগসাজশে বিশৃঙ্খলার শিকার বলে তথ্য উঠে এসেছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত দুর্বলতাগুলো এ সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। একসময় ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন হোটেলে বসে সুদহার নির্ধারণ করত, যা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দ্বিধায় মেনে নিত। এ ধরনের দুর্বলতার কারণে বিগত ১৫ বছরে ঋণখেলাপির হার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতির নতুন মাত্রা।
সিপিডির বিশেষ ফেলো ও শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে জানান, দেশের অর্থনীতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে ২২টি ইস্যুতে অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির প্রকৃত অবস্থা কী, সেটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। সমস্যাগুলো কোন জায়গায় তা বলেছেন, উত্তরণে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সেসবও সুপারিশ আকারে শ্বেতপত্রে উঠে আসবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কমিটির সদস্য হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, অন্তর্বর্তী সরকার শ্বেতপত্রটিকে গভীরভাবে বিবেচনা করবে, আমরা যেসব পরামর্শ দিয়েছি, তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। বেশ কিছু উদ্যোগ ইতিমধ্যে সরকার গ্রহণ করেছে। সেসব কমিটিকেও সরকার কাজে ব্যবহার করবে বলে আমরা আশা করি।’
বেসরকারি আর্থিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে গত ২৮ আগস্ট ১২ সদস্যের এই শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বহিঃখাত (আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স, এফডিআই, রিজার্ভ ও বিদেশি ঋণ), ব্যাংকিং খাতের পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি, সরকারের ঋণ, পরিসংখ্যানের মান, বাণিজ্য, রাজস্ব, ব্যয়, মেগা প্রকল্প, ব্যবসার পরিবেশ, দারিদ্র্য ও সমতা, পুঁজিবাজার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও জলবায়ু ইস্যু এবং বেসরকারি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয় কমিটিকে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ১৫ বছরে বাংলাদেশে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে ১৪ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলার, যা টাকার হিসাবে প্রায় ১ দশমিক ৬১ থেকে ২ দশমিক ৮ লাখ কোটি টাকাই অপচয় হয়েছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের চাঁদাবাজি ও ঘুষ-বাণিজ্য ছিল ওপেন সিক্রেট। এতে রাষ্ট্রকে এই অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ওই সময়ে ভারতীয় সরকারের সঙ্গে যেসব লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) প্রকল্প করা হয়েছে, সেগুলো ছিল জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রকল্পগুলোতে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ সুরক্ষা হয়নি। ১৫ বছরে তিনটি এলওসিতে সড়ক ও রেল যোগাযোগ, জ্বালানি, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ অবকাঠামো খাতে এ পর্যন্ত ৩৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৫টি শেষ হয়েছে; বাস্তবায়নাধীন ৮টি। বাকি প্রকল্পগুলো পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ কিংবা প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। ভারত ২০১০, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তিনটি এলওসিতে বাংলাদেশকে মোট ৭৩৬ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে কাঙ্ক্ষিত হারে অর্থ ছাড় হয়নি। সর্বশেষ হিসাবে সব মিলিয়ে ছাড় হয়েছে মাত্র ১৮০ কোটি ডলার। এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে বড় পরিসরে অদক্ষতা এবং আর্থিক অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে, যা শুধু অর্থনৈতিক অপচয়ই নয়; বরং দেশের সার্বিক উন্নয়ন কাঠামোকেও বাধাগ্রস্ত করছে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির তথ্যমতে, অভ্যন্তরীণ উৎস খাত হিসেবে ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয়েছে ব্যাংক খাতে। এ সময়ে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। নানা অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে বের করে নেওয়া হয় এসব অর্থ। প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সময় সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে ঋণ কেলেঙ্কারি, প্রতারণা, ভুয়া ঋণ এবং ঋণের অপব্যবহারের ঘটনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় সহায়তায় কিছু গোষ্ঠীর ব্যাংক দখল এবং নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে পারে।
একটি সূত্র জানায়, প্রভাবশালী শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণে ঋণখেলাপি হওয়ার পরও সেগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করতে বাধা দিয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছিলেন। প্রতিবেদনের একটি অংশে এ বিষয় উল্লেখ থাকবে।
সূত্রমতে, প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত সরকার ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিসংখ্যান গোপন করেছিল। দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থা জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়নি; বরং তথ্যকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। এ ছাড়া নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার দরুন ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার তথ্য উল্লেখ থাকছে প্রতিবেদনে।
সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিকের হিসাবে এই ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ আট লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করতে পারে। কমিটির অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, ব্যাংক খাত থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থের একটি বড় অংশ পাচার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১৫ বছরে দেশ থেকে নির্বিঘ্নে প্রতিবছর প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটেছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও মিলেমিশে মহালুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তথ্যমতে, আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে বিদ্যুৎ খাতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। একই সময়ে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জের নামেই লুটপাট হয়েছে এক লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে শুধু সক্ষমতা দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ এই টাকা নিয়ে গেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এসব কেন্দ্রের বেশির ভাগের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা কিংবা তাঁদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও বড় পরিসরে দুর্নীতির অভিযোগ চিহ্নিত করেছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সূত্রমতে, প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এ সময়ে বাস্তবায়িত ২২টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা ২৫ হাজার কোটি টাকার বড় অংশ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, প্রকল্পগুলোর একটি বড় অংশে অর্থ অপচয় ও লুটপাটের প্রমাণ মিলেছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি দেখেছে, প্রায় প্রতিটি প্রকল্পেই অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং হিসাববহির্ভূত লেনদেন হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের বেশি সময় শাসনের শেষ দিকে নানা সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়ে দেশের অর্থনীতি। আর্থিক খাতে নানা লুটপাটের কথা ফিরতে থাকে মুখে মুখে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা বোঝার চেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার। গঠন করা হয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সেই কমিটি তাদের কাজ সম্পন্ন করেছে। আজ রোববার তারা প্রতিবেদন জমা দেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে। আগামীকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জনসাধারণের কাছে নিজেদের অনুসন্ধান-বিশ্লেষণ তুলে ধরবে কমিটি। তখন জানা যাবে, কোথায় কতটুকু লুটপাট হয়েছিল, কীভাবে হয়েছিল।
তবে তার আগেই শ্বেতপত্র প্রণয়নকাজে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনে কী থাকছে, তা জানা গেছে কিছু কিছু। সূত্রমতে, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অবস্থা’ শীর্ষক ২৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি ২২টি অধ্যায়ে সাজানো। সারসংক্ষেপে দেশের আর্থিক খাত দীর্ঘদিন ধরে কিছু আমলা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের যোগসাজশে বিশৃঙ্খলার শিকার বলে তথ্য উঠে এসেছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত দুর্বলতাগুলো এ সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। একসময় ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন হোটেলে বসে সুদহার নির্ধারণ করত, যা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দ্বিধায় মেনে নিত। এ ধরনের দুর্বলতার কারণে বিগত ১৫ বছরে ঋণখেলাপির হার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতির নতুন মাত্রা।
সিপিডির বিশেষ ফেলো ও শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে জানান, দেশের অর্থনীতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে ২২টি ইস্যুতে অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির প্রকৃত অবস্থা কী, সেটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। সমস্যাগুলো কোন জায়গায় তা বলেছেন, উত্তরণে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সেসবও সুপারিশ আকারে শ্বেতপত্রে উঠে আসবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কমিটির সদস্য হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, অন্তর্বর্তী সরকার শ্বেতপত্রটিকে গভীরভাবে বিবেচনা করবে, আমরা যেসব পরামর্শ দিয়েছি, তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। বেশ কিছু উদ্যোগ ইতিমধ্যে সরকার গ্রহণ করেছে। সেসব কমিটিকেও সরকার কাজে ব্যবহার করবে বলে আমরা আশা করি।’
বেসরকারি আর্থিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে গত ২৮ আগস্ট ১২ সদস্যের এই শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বহিঃখাত (আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স, এফডিআই, রিজার্ভ ও বিদেশি ঋণ), ব্যাংকিং খাতের পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি, সরকারের ঋণ, পরিসংখ্যানের মান, বাণিজ্য, রাজস্ব, ব্যয়, মেগা প্রকল্প, ব্যবসার পরিবেশ, দারিদ্র্য ও সমতা, পুঁজিবাজার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও জলবায়ু ইস্যু এবং বেসরকারি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয় কমিটিকে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ১৫ বছরে বাংলাদেশে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে ১৪ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলার, যা টাকার হিসাবে প্রায় ১ দশমিক ৬১ থেকে ২ দশমিক ৮ লাখ কোটি টাকাই অপচয় হয়েছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের চাঁদাবাজি ও ঘুষ-বাণিজ্য ছিল ওপেন সিক্রেট। এতে রাষ্ট্রকে এই অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ওই সময়ে ভারতীয় সরকারের সঙ্গে যেসব লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) প্রকল্প করা হয়েছে, সেগুলো ছিল জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রকল্পগুলোতে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ সুরক্ষা হয়নি। ১৫ বছরে তিনটি এলওসিতে সড়ক ও রেল যোগাযোগ, জ্বালানি, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ অবকাঠামো খাতে এ পর্যন্ত ৩৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৫টি শেষ হয়েছে; বাস্তবায়নাধীন ৮টি। বাকি প্রকল্পগুলো পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ কিংবা প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। ভারত ২০১০, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তিনটি এলওসিতে বাংলাদেশকে মোট ৭৩৬ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে কাঙ্ক্ষিত হারে অর্থ ছাড় হয়নি। সর্বশেষ হিসাবে সব মিলিয়ে ছাড় হয়েছে মাত্র ১৮০ কোটি ডলার। এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে বড় পরিসরে অদক্ষতা এবং আর্থিক অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে, যা শুধু অর্থনৈতিক অপচয়ই নয়; বরং দেশের সার্বিক উন্নয়ন কাঠামোকেও বাধাগ্রস্ত করছে।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির তথ্যমতে, অভ্যন্তরীণ উৎস খাত হিসেবে ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয়েছে ব্যাংক খাতে। এ সময়ে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। নানা অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে বের করে নেওয়া হয় এসব অর্থ। প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতে বিভিন্ন সময় সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে ঋণ কেলেঙ্কারি, প্রতারণা, ভুয়া ঋণ এবং ঋণের অপব্যবহারের ঘটনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় সহায়তায় কিছু গোষ্ঠীর ব্যাংক দখল এবং নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে পারে।
একটি সূত্র জানায়, প্রভাবশালী শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণে ঋণখেলাপি হওয়ার পরও সেগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করতে বাধা দিয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছিলেন। প্রতিবেদনের একটি অংশে এ বিষয় উল্লেখ থাকবে।
সূত্রমতে, প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত সরকার ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিসংখ্যান গোপন করেছিল। দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থা জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়নি; বরং তথ্যকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। এ ছাড়া নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার দরুন ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার তথ্য উল্লেখ থাকছে প্রতিবেদনে।
সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিকের হিসাবে এই ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ আট লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করতে পারে। কমিটির অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, ব্যাংক খাত থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থের একটি বড় অংশ পাচার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১৫ বছরে দেশ থেকে নির্বিঘ্নে প্রতিবছর প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটেছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও মিলেমিশে মহালুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তথ্যমতে, আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে বিদ্যুৎ খাতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। একই সময়ে শুধু ক্যাপাসিটি চার্জের নামেই লুটপাট হয়েছে এক লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে শুধু সক্ষমতা দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ এই টাকা নিয়ে গেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এসব কেন্দ্রের বেশির ভাগের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা কিংবা তাঁদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও বড় পরিসরে দুর্নীতির অভিযোগ চিহ্নিত করেছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সূত্রমতে, প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এ সময়ে বাস্তবায়িত ২২টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা ২৫ হাজার কোটি টাকার বড় অংশ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, প্রকল্পগুলোর একটি বড় অংশে অর্থ অপচয় ও লুটপাটের প্রমাণ মিলেছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি দেখেছে, প্রায় প্রতিটি প্রকল্পেই অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং হিসাববহির্ভূত লেনদেন হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১৮ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেখালেদা জিয়ার মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের বেশি সময় শাসনের শেষ দিকে নানা সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়ে দেশের অর্থনীতি। আর্থিক খাতে নানা লুটপাটের কথা ফিরতে থাকে মুখে মুখে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা বোঝার চেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার। গঠন করা হয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সেই কমিটি ত
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের বেশি সময় শাসনের শেষ দিকে নানা সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়ে দেশের অর্থনীতি। আর্থিক খাতে নানা লুটপাটের কথা ফিরতে থাকে মুখে মুখে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা বোঝার চেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার। গঠন করা হয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সেই কমিটি ত
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের বেশি সময় শাসনের শেষ দিকে নানা সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়ে দেশের অর্থনীতি। আর্থিক খাতে নানা লুটপাটের কথা ফিরতে থাকে মুখে মুখে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা বোঝার চেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার। গঠন করা হয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সেই কমিটি ত
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১৮ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের বেশি সময় শাসনের শেষ দিকে নানা সংকটে জর্জরিত হয়ে পড়ে দেশের অর্থনীতি। আর্থিক খাতে নানা লুটপাটের কথা ফিরতে থাকে মুখে মুখে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা বোঝার চেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার। গঠন করা হয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সেই কমিটি ত
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১৮ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে