জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার অজুহাতে কয়েকটি ব্যাংককে হাজার হাজার কোটি টাকা নগদ সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিরা গণবিরোধী ও আত্মঘাতী বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার দুর্বলতা ও দায়িত্বহীন পরিদর্শনের সুযোগে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে অর্থ পাচারের ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। ঋণ জালিয়াতি এবং ব্যাংক তছরুপে সহযোগীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর অবহেলার পরিচায়ক বলে অভিযোগ করেছেন আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় ঢাকায় অবস্থানরত আইএমএফ মিশনটি গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে, যেখানে তারা বিএফআইইউ এবং ব্যাংকগুলোর শিথিলতা ও অবহেলার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এর আগে গত মঙ্গলবারের বৈঠকেও একই বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রতিনিধিদল পরিস্থিতি দ্রুত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আইএমএফের সদস্যরা দাবি করেছেন, প্রেসক্রাইবড পরিদর্শনের মাধ্যমে বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে ব্যাংক খাতে ঋণ অনাচারের কারণে ব্যাপক অর্থ হরিলুট হয়েছে। ঋণের নামে চুরি ও ডাকাতি একসঙ্গে সংঘটিত হয়েছে। বিশেষ করে কয়েকটি গ্রুপ এবং কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ব্যাংক খাতের নিয়মকানুনকে নিজেদের স্বার্থে ভেঙে ফেলেন। যার ফলে ব্যাংক খাত পঙ্গু হয়ে পড়েছে এবং সেখান থেকে দেখা দিয়েছে তারল্যসংকট। আরও কিছু ব্যাংক গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছে, যার কারণে গ্রাহকদের আস্থা তলানিতে নেমে এসেছে।
এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে সংকটগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে হাজার হাজার কোটি টাকার নগদ সহায়তা দিয়েছে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিতে পারে। উসকানি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কিছু দুর্বলতা আইএমএফ ‘রেড মার্ক’ করে চিহ্নিত করেছে এবং ব্যাংকিং খাতে লুটপাটের কড়া নজরদারি নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে। আইএমএফের মতে, টাকা ছাপানো একটি আত্মঘাতী ও গণবিরোধী পদক্ষেপ, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।
এদিকে প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) শিথিলতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষত গত ১৫ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি প্রভাবশালী মহল বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরও বিএফআইইউ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছে। আইএমএফ পাচারে সন্দেহভাজন কিছু হিসাব তলব, লেনদেনে স্থিতাদেশ এবং জব্দের মতো পদক্ষেপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার বিষয়ে বিএফআইইউর সদস্যদের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, আইএমএফ এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য চাপ দিয়েছে।
জানতে চাইলে অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মইনুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘এ অবস্থায় ব্যাংক খাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সামনে দেশের অর্থনীতি গভীর সংকটে পড়বে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছা অত্যন্ত জরুরি। ব্যাংক লুটেরা এবং খেলাপি ঋণগ্রহীতা এবং অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।’
বৈঠকে উপস্থিত অপর একটি সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলোর নিয়মনীতি পরিপালনে ঘাটতি, ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি, পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বহীনতা এবং আইন প্রয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বল ভূমিকা আইএমএফের কাছে দায়িত্বে অবহেলার অংশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আইএমএফ ব্যাংকগুলোর উন্নতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ যাচাই-বাছাই করছে। তারা ব্যাংকগুলোর ক্যামেল রেটিংয়ের আওতায় মূলধন পর্যাপ্ততা, সম্পদের গুণগত মান, ব্যবস্থাপনা, মুনাফাজনিত আয়, তারল্য এবং বাজারের ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও তদারক কার্যক্রমের কার্যকারিতা পর্যালোচনা করছে।
এ ছাড়া ঋণ আদায়ের সমস্যা, গ্রাহকের অবস্থান এবং বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তারা মতামত দিয়েছে এবং ব্যাংকগুলোর ঋণের চাহিদা এবং গ্রাহকের আস্থা ফেরানোর উদ্যোগের বাস্তবতার প্রতি নজর দিয়েছে। আইএমএফের পক্ষ থেকে খেলাপি ঋণের মান, পরিমাণ ও লক্ষ্য অর্জন নিয়ে কড়া মতামত প্রদান করা হয়েছে; যা ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরেক কর্মকর্তা জানান, বেনামি ও জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার ফলে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ, নীতিমালার দুর্বলতা এবং সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ব্যাংকের নির্বাহী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার শিথিলতা, পরিদর্শনে ত্রুটি এবং অর্থঋণ আদালতের কার্যকারিতা জোরদারে তাঁরা আরও মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া ডলারের রেট, আমদানি-রপ্তানির আড়ালে পাচার, কার্যকর মুদ্রানীতি প্রণয়ন এবং পরবর্তী ১২ মাসের জন্য বেঞ্চমার্ক কাঠামো নির্ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, আইএমএফের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ব্যাংককে তাৎক্ষণিক কিছু পরামর্শ দিয়েছেন এবং কিছু বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে অতিরিক্ত তথ্য চেয়েছেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত শ্বেতপত্রের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত ১০টি ব্যাংক বর্তমানে টেকনিক্যালি দেউলিয়া এবং সংকটে রয়েছে। সিপিডি জানিয়েছে, কিছু ব্যাংক কার্যত মৃত এবং অনেক ব্যাংক ‘ক্লিনিক্যালি ডেথ’ হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরও একই মন্তব্য করেছেন, ১০টি ব্যাংক তারল্যসংকটে এবং দেউলিয়ার পথে যাচ্ছে। এ ছাড়া গত ২ নভেম্বর টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান দাবি করেন, প্রতিবছর ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার অজুহাতে কয়েকটি ব্যাংককে হাজার হাজার কোটি টাকা নগদ সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিরা গণবিরোধী ও আত্মঘাতী বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার দুর্বলতা ও দায়িত্বহীন পরিদর্শনের সুযোগে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে অর্থ পাচারের ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। ঋণ জালিয়াতি এবং ব্যাংক তছরুপে সহযোগীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর অবহেলার পরিচায়ক বলে অভিযোগ করেছেন আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় ঢাকায় অবস্থানরত আইএমএফ মিশনটি গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে, যেখানে তারা বিএফআইইউ এবং ব্যাংকগুলোর শিথিলতা ও অবহেলার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এর আগে গত মঙ্গলবারের বৈঠকেও একই বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রতিনিধিদল পরিস্থিতি দ্রুত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আইএমএফের সদস্যরা দাবি করেছেন, প্রেসক্রাইবড পরিদর্শনের মাধ্যমে বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে ব্যাংক খাতে ঋণ অনাচারের কারণে ব্যাপক অর্থ হরিলুট হয়েছে। ঋণের নামে চুরি ও ডাকাতি একসঙ্গে সংঘটিত হয়েছে। বিশেষ করে কয়েকটি গ্রুপ এবং কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ব্যাংক খাতের নিয়মকানুনকে নিজেদের স্বার্থে ভেঙে ফেলেন। যার ফলে ব্যাংক খাত পঙ্গু হয়ে পড়েছে এবং সেখান থেকে দেখা দিয়েছে তারল্যসংকট। আরও কিছু ব্যাংক গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছে, যার কারণে গ্রাহকদের আস্থা তলানিতে নেমে এসেছে।
এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে সংকটগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে হাজার হাজার কোটি টাকার নগদ সহায়তা দিয়েছে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিতে পারে। উসকানি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কিছু দুর্বলতা আইএমএফ ‘রেড মার্ক’ করে চিহ্নিত করেছে এবং ব্যাংকিং খাতে লুটপাটের কড়া নজরদারি নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে। আইএমএফের মতে, টাকা ছাপানো একটি আত্মঘাতী ও গণবিরোধী পদক্ষেপ, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।
এদিকে প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) শিথিলতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষত গত ১৫ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি প্রভাবশালী মহল বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরও বিএফআইইউ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছে। আইএমএফ পাচারে সন্দেহভাজন কিছু হিসাব তলব, লেনদেনে স্থিতাদেশ এবং জব্দের মতো পদক্ষেপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার বিষয়ে বিএফআইইউর সদস্যদের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, আইএমএফ এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য চাপ দিয়েছে।
জানতে চাইলে অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মইনুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘এ অবস্থায় ব্যাংক খাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সামনে দেশের অর্থনীতি গভীর সংকটে পড়বে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছা অত্যন্ত জরুরি। ব্যাংক লুটেরা এবং খেলাপি ঋণগ্রহীতা এবং অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।’
বৈঠকে উপস্থিত অপর একটি সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলোর নিয়মনীতি পরিপালনে ঘাটতি, ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি, পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বহীনতা এবং আইন প্রয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বল ভূমিকা আইএমএফের কাছে দায়িত্বে অবহেলার অংশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আইএমএফ ব্যাংকগুলোর উন্নতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ যাচাই-বাছাই করছে। তারা ব্যাংকগুলোর ক্যামেল রেটিংয়ের আওতায় মূলধন পর্যাপ্ততা, সম্পদের গুণগত মান, ব্যবস্থাপনা, মুনাফাজনিত আয়, তারল্য এবং বাজারের ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও তদারক কার্যক্রমের কার্যকারিতা পর্যালোচনা করছে।
এ ছাড়া ঋণ আদায়ের সমস্যা, গ্রাহকের অবস্থান এবং বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তারা মতামত দিয়েছে এবং ব্যাংকগুলোর ঋণের চাহিদা এবং গ্রাহকের আস্থা ফেরানোর উদ্যোগের বাস্তবতার প্রতি নজর দিয়েছে। আইএমএফের পক্ষ থেকে খেলাপি ঋণের মান, পরিমাণ ও লক্ষ্য অর্জন নিয়ে কড়া মতামত প্রদান করা হয়েছে; যা ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরেক কর্মকর্তা জানান, বেনামি ও জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার ফলে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ, নীতিমালার দুর্বলতা এবং সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ব্যাংকের নির্বাহী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার শিথিলতা, পরিদর্শনে ত্রুটি এবং অর্থঋণ আদালতের কার্যকারিতা জোরদারে তাঁরা আরও মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া ডলারের রেট, আমদানি-রপ্তানির আড়ালে পাচার, কার্যকর মুদ্রানীতি প্রণয়ন এবং পরবর্তী ১২ মাসের জন্য বেঞ্চমার্ক কাঠামো নির্ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, আইএমএফের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ব্যাংককে তাৎক্ষণিক কিছু পরামর্শ দিয়েছেন এবং কিছু বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে অতিরিক্ত তথ্য চেয়েছেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত শ্বেতপত্রের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত ১০টি ব্যাংক বর্তমানে টেকনিক্যালি দেউলিয়া এবং সংকটে রয়েছে। সিপিডি জানিয়েছে, কিছু ব্যাংক কার্যত মৃত এবং অনেক ব্যাংক ‘ক্লিনিক্যালি ডেথ’ হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরও একই মন্তব্য করেছেন, ১০টি ব্যাংক তারল্যসংকটে এবং দেউলিয়ার পথে যাচ্ছে। এ ছাড়া গত ২ নভেম্বর টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান দাবি করেন, প্রতিবছর ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৬ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার অজুহাতে কয়েকটি ব্যাংককে হাজার হাজার কোটি টাকা নগদ সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিরা গণবিরোধী ও আত্মঘাতী বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের...
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৬ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২০ ঘণ্টা আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার অজুহাতে কয়েকটি ব্যাংককে হাজার হাজার কোটি টাকা নগদ সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিরা গণবিরোধী ও আত্মঘাতী বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের...
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৬ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২০ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার অজুহাতে কয়েকটি ব্যাংককে হাজার হাজার কোটি টাকা নগদ সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিরা গণবিরোধী ও আত্মঘাতী বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের...
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৮ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার অজুহাতে কয়েকটি ব্যাংককে হাজার হাজার কোটি টাকা নগদ সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিরা গণবিরোধী ও আত্মঘাতী বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের...
১০ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৬ ঘণ্টা আগে