পুঁজিবাজারে অদূরদর্শী বিনিয়োগ
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

দেশের পুঁজিবাজারের জন্য মন্দার বছর ছিল ২০২৪ সাল। বছরটিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতোই ব্যাংকগুলোও মুনাফা করতে পারেনি। উল্টো বড় অঙ্কের লোকসান গুনেছে অনেক ব্যাংক। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্ত নয়, এমন ৩৪ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ২০২৪ সালে ৩১টি ব্যাংকই লোকসান করছে; যার পরিমাণ সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। শুধু তিনটি ব্যাংক মুনাফা করেছে ২৩ কোটি টাকা। দেশের সব ব্যাংকের তথ্য প্রকাশ করলে এর পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিশ্লেষক ও পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মন্দার বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক পরিচালনাকারীদের অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত, তহবিলের সঠিক ব্যবহার করতে না পারা, ফ্লোর প্রাইসের কারণে সময়মতো শেয়ার বিক্রি করতে না পারা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো জাঙ্ক বা খারাপ শেয়ারে বিনিয়োগের কারণেই ব্যাংকগুলোর এই লোকসান হয়েছে।
পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য অধ্যাপক আল-আমিন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, বিগত বছরগুলোতে কোনো ক্ষেত্রেই সুশাসন ছিল না। অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই দেখবেন অনেক ব্রোকারেজ হাউস ও ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনিয়ম ছিল। আইসিবির মতো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও অনিয়মে জড়িত ছিলেন, যার কারণে ফরচুনের শেয়ার কিনে আইসিবি লোকসান করেছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যেও এ ধরনের ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। ওই সময় কোনো ক্ষেত্রেই গুড গভর্ন্যান্স পাবেন না। এগুলোর বিরুদ্ধে কতটুকু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেটাতে ফোকাস করা দরকার।
প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩৪টি ব্যাংকের মধ্যে ৩১টির মোট লোকসানের পরিমাণ ৩ হাজার ৬২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। লোকসান করা ৩১ ব্যাংকের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জনতা ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির লোকসানের পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা। ৩৯৮ কোটি টাকা লোকসান করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সোনালী ব্যাংক। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচের মধ্যে থাকা অপর তিন ব্যাংক হলো—ইস্টার্ন ব্যাংক (ইবিএল), সাউথইস্ট ও এবি ব্যাংক। ব্যাংক তিনটির লোকসানের পরিমাণ যথাক্রমে ৩৫৩ কোটি, ৩২৬ কোটি ও ২৬১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের লোকসানের পরিমাণ ১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারে বাকি ২৬ ব্যাংকের লোকসানের পরিমাণ ১ হাজার ৮৯১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক ২২৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক (এনবিএল) ২১৭ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ২১৬ কোটি, উত্তরা ব্যাংক ১৭২ কোটি, এনসিসি ব্যাংক ১৬৫ কোটি, রূপালী ব্যাংক ১৫৩ কোটি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ১৩৩ কোটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১০৭ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংক ৮৩ কোটি, এসবিএসি ব্যাংক ৬৪ কোটি, এনআরবি ব্যাংক ৫৫ কোটি, পূবালী ব্যাংক ৪৮ কোটি, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ৪৬ কোটি, ইউসিবি ৩৩ কোটি, বেসিক ব্যাংক ৩১ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৩০ কোটি, ব্যাংক এশিয়া ২৩ কোটি, সিটি ব্যাংক ১৯ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ১৪ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) ১৩ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) ১৩ কোটি, মেঘনা ব্যাংক ১০ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ৯ কোটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ৭ কোটি, যমুনা ব্যাংক ১ কোটি ৫০ লাখ এবং ঢাকা ব্যাংক ১ কোটি টাকা লোকসান করেছে।
বিপরীতে মার্কেটাইল, ব্র্যাক এবং প্রাইম ব্যাংক মুনাফা করেছে যথাক্রমে ১২ কোটি, ৭ কোটি এবং ৪ কোটি মিলিয়ে মোট ২৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে জানতে জনতা, সোনালী, ইবিএল, সাউথইস্ট, এবি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালীসহ বেশ কিছু ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
তবে সাউথইস্ট ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুঁজিবাজার খারাপ ছিল, যার কারণে আমাদের শেয়ারের দাম কমে গেছে। মার্কেট ভালো হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। শুধু ব্যাংক নয়, যেকোনো বিনিয়োগকারীর জন্য একই কথা।
ইবিএলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস আরোপের কারণে সময়মতো শেয়ার বিক্রি করা যায়নি, সেটা ডিলার অ্যাকাউন্ট, কাস্টমার অ্যাকাউন্ট—উভয় ক্ষেত্রেই। মার্জিন ঋণও সমন্বয় করা যায়নি। আমার ৪০০ কোটি টাকার লোন আছে, সেটা তো ব্লক, সেটার সুদ কত, তার সঙ্গে ম্যানেজমেন্ট কস্ট আছে। কারণ, ওই সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাননি পুঁজিবাজারে পতন হোক। তারা ফোন করে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা চেয়েছিলাম কমপ্লায়েন্সের মধ্যে থেকে সব করতে। তা ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ—এই বিষয়গুলো একের পর এক এসেছে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, ব্যাংকগুলোর লোকসানের বড় কারণ জাঙ্ক বা পচা শেয়ারে বড় আকারে বিনিয়োগ। বেশ কয়েকটি ব্যাংক বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ করে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছিল। ২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার এবং কারাগারে থাকায় গত বছর এর দর প্রায় অর্ধেক কমে ৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এবং পিপলস লিজিংয়ের মতো সমস্যায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বিনিয়োগ করেছিল কিছু ব্যাংক।
বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটসের (বিএএসএম) মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, যে যেভাবেই তহবিল পরিচালনা করুক না কেন, একটি ব্যাংক কীভাবে জাঙ্ক শেয়ারে বিনিয়োগ করে? কারণ, এই ধরনের বিনিয়োগের রিটার্ন অনিশ্চিত। অথচ ব্যাংকগুলোকে আমানতের মতো স্থায়ী দায় সামলাতে হয়।
ব্যাংকগুলোর ক্ষতির পেছনে দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে বলে জানান এজ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও আলী ইমাম। তিনি বলেন, এই দুর্বল পারফরম্যান্স থেকে বোঝা যায় যে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ পোর্টফোলিও পরিচালনার পদ্ধতিতে বড় ধরনের সমস্যা আছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমে সুশাসন থাকার পরেও বিশাল ক্ষতি হয়েছে, যার প্রধান কারণ দক্ষতার ঘাটতি।
আলী ইমাম যোগ করেন, ব্যাংকের কর্মকর্তারা জামানতভিত্তিক ঋণ পরিচালনা করার জন্য অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত হন। কিন্তু ইকুইটি মার্কেটের বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেই। ওই কর্মকর্তারাই যখন ইকুইটি (শেয়ারে) বিনিয়োগ পরিচালনা করেন, তখন ভালো করতে পারেন না বা রিটার্ন আসে না।
২০২৪ সালজুড়ে বাজার নিম্নমুখী ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত বছর ১ হাজার ২৬ পয়েন্ট বা ১৬ শতাংশ কমেছিল। তবে আলী ইমাম বলেন, এটিই ব্যাংকগুলোর ক্ষতির প্রধান কারণ নয়। পোর্টফোলিও ম্যানেজাররা মন্দা পুঁজিবাজারেও ভালো দক্ষতা দেখাতে পারেন। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন, যা ব্যাংকিং থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
আরও খবর পড়ুন:

দেশের পুঁজিবাজারের জন্য মন্দার বছর ছিল ২০২৪ সাল। বছরটিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতোই ব্যাংকগুলোও মুনাফা করতে পারেনি। উল্টো বড় অঙ্কের লোকসান গুনেছে অনেক ব্যাংক। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্ত নয়, এমন ৩৪ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ২০২৪ সালে ৩১টি ব্যাংকই লোকসান করছে; যার পরিমাণ সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। শুধু তিনটি ব্যাংক মুনাফা করেছে ২৩ কোটি টাকা। দেশের সব ব্যাংকের তথ্য প্রকাশ করলে এর পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিশ্লেষক ও পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মন্দার বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক পরিচালনাকারীদের অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত, তহবিলের সঠিক ব্যবহার করতে না পারা, ফ্লোর প্রাইসের কারণে সময়মতো শেয়ার বিক্রি করতে না পারা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো জাঙ্ক বা খারাপ শেয়ারে বিনিয়োগের কারণেই ব্যাংকগুলোর এই লোকসান হয়েছে।
পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য অধ্যাপক আল-আমিন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, বিগত বছরগুলোতে কোনো ক্ষেত্রেই সুশাসন ছিল না। অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই দেখবেন অনেক ব্রোকারেজ হাউস ও ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনিয়ম ছিল। আইসিবির মতো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও অনিয়মে জড়িত ছিলেন, যার কারণে ফরচুনের শেয়ার কিনে আইসিবি লোকসান করেছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যেও এ ধরনের ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। ওই সময় কোনো ক্ষেত্রেই গুড গভর্ন্যান্স পাবেন না। এগুলোর বিরুদ্ধে কতটুকু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেটাতে ফোকাস করা দরকার।
প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩৪টি ব্যাংকের মধ্যে ৩১টির মোট লোকসানের পরিমাণ ৩ হাজার ৬২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। লোকসান করা ৩১ ব্যাংকের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জনতা ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির লোকসানের পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা। ৩৯৮ কোটি টাকা লোকসান করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সোনালী ব্যাংক। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচের মধ্যে থাকা অপর তিন ব্যাংক হলো—ইস্টার্ন ব্যাংক (ইবিএল), সাউথইস্ট ও এবি ব্যাংক। ব্যাংক তিনটির লোকসানের পরিমাণ যথাক্রমে ৩৫৩ কোটি, ৩২৬ কোটি ও ২৬১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের লোকসানের পরিমাণ ১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারে বাকি ২৬ ব্যাংকের লোকসানের পরিমাণ ১ হাজার ৮৯১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক ২২৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক (এনবিএল) ২১৭ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ২১৬ কোটি, উত্তরা ব্যাংক ১৭২ কোটি, এনসিসি ব্যাংক ১৬৫ কোটি, রূপালী ব্যাংক ১৫৩ কোটি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ১৩৩ কোটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১০৭ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংক ৮৩ কোটি, এসবিএসি ব্যাংক ৬৪ কোটি, এনআরবি ব্যাংক ৫৫ কোটি, পূবালী ব্যাংক ৪৮ কোটি, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ৪৬ কোটি, ইউসিবি ৩৩ কোটি, বেসিক ব্যাংক ৩১ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৩০ কোটি, ব্যাংক এশিয়া ২৩ কোটি, সিটি ব্যাংক ১৯ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ১৪ কোটি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) ১৩ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) ১৩ কোটি, মেঘনা ব্যাংক ১০ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ৯ কোটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ৭ কোটি, যমুনা ব্যাংক ১ কোটি ৫০ লাখ এবং ঢাকা ব্যাংক ১ কোটি টাকা লোকসান করেছে।
বিপরীতে মার্কেটাইল, ব্র্যাক এবং প্রাইম ব্যাংক মুনাফা করেছে যথাক্রমে ১২ কোটি, ৭ কোটি এবং ৪ কোটি মিলিয়ে মোট ২৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে জানতে জনতা, সোনালী, ইবিএল, সাউথইস্ট, এবি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালীসহ বেশ কিছু ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
তবে সাউথইস্ট ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুঁজিবাজার খারাপ ছিল, যার কারণে আমাদের শেয়ারের দাম কমে গেছে। মার্কেট ভালো হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। শুধু ব্যাংক নয়, যেকোনো বিনিয়োগকারীর জন্য একই কথা।
ইবিএলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস আরোপের কারণে সময়মতো শেয়ার বিক্রি করা যায়নি, সেটা ডিলার অ্যাকাউন্ট, কাস্টমার অ্যাকাউন্ট—উভয় ক্ষেত্রেই। মার্জিন ঋণও সমন্বয় করা যায়নি। আমার ৪০০ কোটি টাকার লোন আছে, সেটা তো ব্লক, সেটার সুদ কত, তার সঙ্গে ম্যানেজমেন্ট কস্ট আছে। কারণ, ওই সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাননি পুঁজিবাজারে পতন হোক। তারা ফোন করে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা চেয়েছিলাম কমপ্লায়েন্সের মধ্যে থেকে সব করতে। তা ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ—এই বিষয়গুলো একের পর এক এসেছে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, ব্যাংকগুলোর লোকসানের বড় কারণ জাঙ্ক বা পচা শেয়ারে বড় আকারে বিনিয়োগ। বেশ কয়েকটি ব্যাংক বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ করে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছিল। ২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার এবং কারাগারে থাকায় গত বছর এর দর প্রায় অর্ধেক কমে ৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এবং পিপলস লিজিংয়ের মতো সমস্যায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বিনিয়োগ করেছিল কিছু ব্যাংক।
বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটসের (বিএএসএম) মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, যে যেভাবেই তহবিল পরিচালনা করুক না কেন, একটি ব্যাংক কীভাবে জাঙ্ক শেয়ারে বিনিয়োগ করে? কারণ, এই ধরনের বিনিয়োগের রিটার্ন অনিশ্চিত। অথচ ব্যাংকগুলোকে আমানতের মতো স্থায়ী দায় সামলাতে হয়।
ব্যাংকগুলোর ক্ষতির পেছনে দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে বলে জানান এজ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও আলী ইমাম। তিনি বলেন, এই দুর্বল পারফরম্যান্স থেকে বোঝা যায় যে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ পোর্টফোলিও পরিচালনার পদ্ধতিতে বড় ধরনের সমস্যা আছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমে সুশাসন থাকার পরেও বিশাল ক্ষতি হয়েছে, যার প্রধান কারণ দক্ষতার ঘাটতি।
আলী ইমাম যোগ করেন, ব্যাংকের কর্মকর্তারা জামানতভিত্তিক ঋণ পরিচালনা করার জন্য অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত হন। কিন্তু ইকুইটি মার্কেটের বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেই। ওই কর্মকর্তারাই যখন ইকুইটি (শেয়ারে) বিনিয়োগ পরিচালনা করেন, তখন ভালো করতে পারেন না বা রিটার্ন আসে না।
২০২৪ সালজুড়ে বাজার নিম্নমুখী ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত বছর ১ হাজার ২৬ পয়েন্ট বা ১৬ শতাংশ কমেছিল। তবে আলী ইমাম বলেন, এটিই ব্যাংকগুলোর ক্ষতির প্রধান কারণ নয়। পোর্টফোলিও ম্যানেজাররা মন্দা পুঁজিবাজারেও ভালো দক্ষতা দেখাতে পারেন। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন, যা ব্যাংকিং থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
আরও খবর পড়ুন:

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৭ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

দেশের পুঁজিবাজারের জন্য মন্দার বছর ছিল ২০২৪ সাল। বছরটিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতোই ব্যাংকগুলোও মুনাফা করতে পারেনি। উল্টো বড় অঙ্কের লোকসান গুনেছে অনেক ব্যাংক। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্ত নয়, এমন ৩৪ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ২০২৪ সালে...
০২ অক্টোবর ২০২৫
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৯ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

দেশের পুঁজিবাজারের জন্য মন্দার বছর ছিল ২০২৪ সাল। বছরটিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতোই ব্যাংকগুলোও মুনাফা করতে পারেনি। উল্টো বড় অঙ্কের লোকসান গুনেছে অনেক ব্যাংক। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্ত নয়, এমন ৩৪ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ২০২৪ সালে...
০২ অক্টোবর ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

দেশের পুঁজিবাজারের জন্য মন্দার বছর ছিল ২০২৪ সাল। বছরটিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতোই ব্যাংকগুলোও মুনাফা করতে পারেনি। উল্টো বড় অঙ্কের লোকসান গুনেছে অনেক ব্যাংক। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্ত নয়, এমন ৩৪ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ২০২৪ সালে...
০২ অক্টোবর ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৭ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৯ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

দেশের পুঁজিবাজারের জন্য মন্দার বছর ছিল ২০২৪ সাল। বছরটিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতোই ব্যাংকগুলোও মুনাফা করতে পারেনি। উল্টো বড় অঙ্কের লোকসান গুনেছে অনেক ব্যাংক। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্ত নয়, এমন ৩৪ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ২০২৪ সালে...
০২ অক্টোবর ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৭ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৯ ঘণ্টা আগে