Ajker Patrika

অর্থনীতি নিয়ে নতুন বছরে যত প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ

আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা রোকন উদ্দীন, ঢাকা
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪: ৪১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কালের গহ্বরে বিলীন হলো আরেকটি বছর। নতুন বছরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভবিষ্যতের সমৃদ্ধি গড়ে উঠবে। নতুন বছরে আসতে পারে এমন চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত—এ বিষয়ে কথা বলেছেন নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি জানুন আজকের পত্রিকায়, রোকন উদ্দীন ও আসাদুজ্জামান নূর-এর প্রতিবেদনে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক
ড. আব্দুর রাজ্জাক

আছে ৬ চ্যালেঞ্জ থাকছে সুযোগও

ড. আব্দুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‍্যাপিড)

নতুন বছর বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালীকরণ এবং ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হবে প্রধান অগ্রাধিকার। অনেক ব্যাংক বর্তমানে তারল্যসংকট, পরিচালন দুর্বলতা ও আস্থার সংকটে ভুগছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দ্রুত ও দৃঢ় নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি ২০২৫ সালে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য সংঘাত রপ্তানি খাতের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবর্তনে এ সংকট আরও বাড়তে পারে, যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে আরও জটিল করবে।

রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি। আয় না বাড়ালে আর্থিক পরিসর সংকুচিত হয়ে উন্নয়ন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য রাজস্বনীতি এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে, যা বৈষম্য হ্রাস ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।

পরবর্তী জাতীয় বাজেট একটি বড় পরীক্ষা হবে। আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে স্পষ্ট নীতি ও স্বচ্ছতা প্রয়োজন। শ্বেতপত্রে উঠে আসা সমস্যা মাথায় রেখে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার খাতে ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

পবিত্র রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি, যাতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি সুরক্ষিত থাকে এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বিশেষ সহায়তা পায়।

২০২৫ সাল অর্থনৈতিক সংস্কার ও জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ, যেখানে আর্থিক ব্যবস্থায় জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণ এ ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী নীতি ও বাজেট বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতা প্রত্যাশা করছে। সবশেষে ২০২৫ সালটি চ্যালেঞ্জের হলেও সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে তা মোকাবিলা সম্ভব। সেখানে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ ও জনমুখী নীতি অগ্রগতির পথ সুগম করবে।

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম
ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম

উৎপাদন খরচ নিয়ন্ত্রণে আনার বিকল্প নেই

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি অর্থনীতিবিদ

কোভিড-১৯-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, যা বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি করে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি উপকরণ, কৃষিভিত্তিক শিল্পপণ্য, জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্য। যদিও বেশির ভাগ দেশ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে, বাংলাদেশে তা ক্রমেই বাড়ছে। আমদানিনির্ভরতা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, এলসি খোলার বিলম্ব, আমদানি-রপ্তানি বিঘ্ন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, যা মুদ্রাস্ফীতিকে আরও উসকে দিয়েছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং পূর্ববর্তী সরকারের গ্রহণ করা নীতি, যেমন ক্রলিং পেগ, সুদহার পরিবর্তন, এসবের মাধ্যমে অর্থনীতিতে হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও তা কার্যকর হয়নি। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বাজারে মুদ্রা সরবরাহের কারণে মুদ্রাস্ফীতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতির মূল কারণ হচ্ছে কস্ট-পুশ বা উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি। এটি নিয়ন্ত্রণে উৎপাদন খরচ কমিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে উদ্ভাবনী নীতি এবং সহায়তার মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব। বিশেষ করে স্বল্পকালীন কৌশল হিসেবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়ানো এবং খাদ্যপণ্যের দাম মনিটরিং নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম মনিটরিং ও এন্ট্রি-হোর্ডিং রেগুলেশনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কেউ কোনোভাবে কৃত্রিম সরবরাহ সংকট তৈরি করে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করতে না পারে। আমদানি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি ঋণপত্র খোলাতে সহযোগিতা ও সময়মতো পণ্যের ডেলিভারি নিশ্চিত করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে কৃষিপণ্যের উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারব্যবস্থা উন্নয়নে অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে; যা আমাদের পণ্যের সরবরাহ এবং ডলারের রিজার্ভ বাড়াবে। উৎপাদন কার্যক্রম ও বাজারব্যবস্থা যাতে নিরবচ্ছিন্ন গতিতে চলতে পারে, সেই রকম আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে না পারলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে যাবে।

তাসকীন আহমেদ
তাসকীন আহমেদ

বড় চাওয়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি

তাসকীন আহমেদ, সভাপতি, ডিসিসিআই

বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান, যেগুলো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার জন্য প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করছে, কলকারখানার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা উৎপাদন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ব্যাংকিং খাতে উচ্চ সুদের হার, অর্থায়নের অভাব এবং জ্বালানির সরবরাহ সংকট ব্যবসায়ীদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনিক জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতাও ব্যবসায়িক পরিবেশে অসুবিধা সৃষ্টি করছে, ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে, ব্যবসার আয় কমছে এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।

নতুন বছরে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য আমাদের প্রধান প্রত্যাশা হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে। একটি স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে এবং নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করবে। একইভাবে ব্যবসায়িক খাতে যথাযথ অর্থায়ন নিশ্চিত করা জরুরি, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারের জন্য। এই খাতে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি সম্ভব হবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যাশা হলো নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। জ্বালানির অনিশ্চিত সরবরাহ উৎপাদন খাতে বড় সমস্যা তৈরি করছে, যা ব্যবসার গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে জ্বালানির সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনিক জটিলতা দূর করা অত্যন্ত জরুরি। প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার সহজীকরণ ব্যবসায়ীদের খরচ কমাবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের এই প্রত্যাশা থাকবে যে তারা ব্যবসায়ীদের জন্য নীতিগত সহায়তা প্রদান করবে এবং নীতিমালা বাস্তবায়নে জটিলতা দূর করবে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি, শিল্পে অর্থায়নের সুযোগ বৃদ্ধি এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজ করার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে এবং দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও উন্নত হবে এবং অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।

মহিউদ্দিন রুবেল
মহিউদ্দিন রুবেল

উদ্বেগ কাটাতে চাই ৩ সমস্যার সমাধান

মহিউদ্দিন রুবেল, সাবেক পরিচালক, বিজিএমইএ

২০২৪ সালে পোশাকশিল্প নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল, যার কারণে কাঙ্ক্ষিত রপ্তানি আয় অর্জন সম্ভব হয়নি। তবে ২০২৫ সালে আমরা বিশ্ব অর্থনীতি এবং পোশাকশিল্পের পুনরুদ্ধারের প্রতি গভীর আশাবাদী। এর জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, শিল্প সম্পর্কের উন্নয়ন এবং ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পোশাক খাতের টেকসই বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপগুলো অত্যাবশ্যক। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার এই বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

২০২৪ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হলেও জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি আয় ছিল ৩৪.৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের তুলনায় ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি ও কারখানা বন্ধের মতো অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়ানো হলেও জাতীয় নির্বাচনের সময়ে এটি বাস্তবায়নে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়।

শিল্পটি আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, যখন সরকার ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি প্রণোদনা ৬০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এদিকে বৈশ্বিক সংঘাত ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০২৪ সালের শেষে আঙ্কটাড বৈশ্বিক পোশাক বাণিজ্যে ৫ শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে। মজুরি বৃদ্ধির পরেও পোশাকের ইউনিট মূল্য হ্রাস পেয়েছে।

গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পরিবহন খরচের বৃদ্ধি এবং উচ্চ ব্যাংক সুদের কারণে পোশাকশিল্পের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে, যা বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জুলাই মাসের আন্দোলনের ফলে কিছু অস্থিরতা তৈরি হলেও পরবর্তী সময়ে রপ্তানিতে সামান্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। অক্টোবর মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়েছে। তবে এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যেও পোশাক খাত টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়েছে, যেমন লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং অ্যাকটিভ ওয়্যারের মতো নতুন পণ্যের বৈচিত্র্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের ই-রিটার্ন দাখিলে এনবিআরের হেল্প ডেস্ক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।

এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।

রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আকাশপথে পণ্য পরিবহনে অফডক চান ব্যবসায়ীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ১০
গ্রাফিকস: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিকস: আজকের পত্রিকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।

অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।

অফডক দরকার কেন

সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।

তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।

ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।

ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।

এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।

বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।

জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।

এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।

কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।

এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।

আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএসআরএম স্টিলসের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ০৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।

বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।

শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত