রোকন উদ্দীন, ঢাকা

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে, আমদানি বৃদ্ধি এবং সরকারের শুল্ক কমানো—কোনোটারই সুবিধা পাচ্ছে না ভোক্তারা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এখন বাজারে খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে গত বছরের তুলনায় গড়ে খেজুরের দাম ১০ শতাংশ বেশি রয়েছে।
আমদানি বেড়েছে, বাজারেও প্রচুর
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের হিসাব অনুয়ায়ী, বছরে দেশে খেজুরের গড় চাহিদা প্রায় ১ লাখ টন। এর মধ্যে রোজার মাসেই চাহিদা থাকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টনের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে খেজুর আমদানি করা হয় ৮০ হাজার ৯১০ টন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ আমদানির তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টন খেজুর বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে। এক বছর আগে এই সময়ে খালাস করা হয় ১১ হাজার ৭১৪ টন। সেই হিসাবে আমদানি বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মানিকনগরসহ কয়েকটি বাজারে গতকাল শনিবার ঘুরে দেখা যায়, খেজুরের সরবরাহ গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এসব বাজারে কিছু মৌসুমি ফলের ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে করেও খেজুর বিক্রি করতে দেখা যায়। বেশি দামের আজওয়া, মরিয়ম, মাবরুমের পাশাপাশি কম দামি জাইদি (খোলা), জাইদি (কার্টন), দাব্বাসসহ কয়েক ধরনের খেজুরও অনেক পাওয়া যাচ্ছে। শহরজুড়ে ফুটপাতেও খেজুর বিক্রি করছেন অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
আমদানির তুলনায় খুচরা দাম চড়া
আমদানিকারকদের নিজেদের দেওয়া তথ্যমতেই, ভালো মানের আজওয়া, মরিয়মসহ উচ্চমূল্যের খেজুরের আমদানি মূল্য কেজিপ্রতি মাত্র ৩৯০-৪০০ টাকা। এর সঙ্গে প্রতি কেজিতে ২০০ টাকা শুল্ক যোগ করে আমদানি মূল্য দাঁড়ায় কম-বেশি ৬০০ টাকা। আমদানিকারকদের দাবি, এর সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কমিশন, পরিবহন ব্যয়, মজুরের খরচ, মুনাফা ইত্যাদি যোগ করে বাদামতলীসহ পাইকারি বাজারগুলোতে খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি করে। অথচ রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরায় তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৭০০ টাকা কেজি দরে।
ভালো মান ও দামের খেজুরের ক্রেতারাই শুধু নন, ঠকছেন কম দামি সাধারণ খেজুর কেনা নিম্ন আয়ের ভোক্তারাও। রাজধানীর বাজারগুলোতে ইরাকি জাইদিসহ অতি সাধারণ বা সাধারণ মানের খেজুরও বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এই খেজুরের আমদানি মূল্য ৮০-৯০ টাকা মাত্র। শুল্ক ও অন্যান্য খরচ যোগ করে তার পাইকারি বাজারের দামই ১২০-১৭০ টাকা।
দাব্বাসসহ মাঝারি মানের খেজুরের আমদানি মূল্য, শুল্ক ও অন্যান্যসহ প্রতি কেজির খরচ পড়ছে ৩০০ টাকা। রাজধানীর পাইকারি বাজারে এগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৪০০ টাকা কেজি দরে। বাজারগুলোতে এই খেজুরেরই খুচরা দাম ৫০০-৬০০ টাকা কেজি।

আশাভঙ্গ হওয়ায় হতাশ ক্রেতা
ভুক্তভোগী ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজার বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে খেজুরে অতি মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতেই দাম বাড়তি। অন্যদিকে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, তাঁরা সামান্য মুনাফাতেই বিক্রি করছেন। খুচরা বিক্রেতাদের অতি মুনাফার কারণেই খেজুরের দাম চড়া।
ক্রেতারা বলছেন, এবার সরকার শুল্কছাড় দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য খেজুরকে সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু যে হারে শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে, সে হারে দাম কমেনি।
কিছুটা ভালো মানের খেজুরের খুচরা দাম পড়ছে প্রতি কেজি হাজার টাকার ওপরে। আর সবচেয়ে ভালো মানের খেজুরের খুচরা মূল্য দেড় হাজার টাকার ওপরে, যা গত বছরের প্রায় সমান। অথচ এবার দাম কমার কথা ছিল। এমন অবস্থা দেখে সচেতন ক্রেতাদের অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তাহলে শুল্কছাড়ের সুবিধা কে পাচ্ছে?
রাজধানীর মানিকনগর বাজারে খেজুর কিনতে এসেছিলেন আয়েশা বেগম। এক কেজি কেনার পরিকল্পনা থাকলেও দাম দেখে আধা কেজি কিনেই সন্তুষ্ট হতে হলো তাঁকে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে আয়েশা বেগম বললেন, ‘গত বছর আজওয়া খেজুর কিনেছিলাম ১৭০০ টাকা কেজি করে। এবার শুনেছিলাম দাম অনেকটা কম থাকবে। সেভাবেই টাকা নিয়ে বের হয়েছিলাম। কিন্তু দাম দেখছি, গত বছরের চেয়ে মাত্র ১০০ টাকা কম।’
তিন বাজার ঘুরেও কম দামে পছন্দের খেজুর না পেয়ে আক্ষেপ করেন রামপুরা বাজারে আসা আলম মিয়া। তিনি বলেন, ‘সরকার শুল্কছাড় দেওয়ার পরও দাম গত বছরের মতোই। আমাদের মতো কম আয়ের মানুষ শুল্কছাড়ের সুবিধা পাচ্ছে না। এসব দেখার কি কেউ নেই!’
পরস্পরকে দোষারোপ
ফল আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আঙুল তুললেন খুচরা বিক্রেতাদের দিকে। আজকের পত্রিকা’কে তিনি বলেন, ‘পাইকারি বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের মরিয়ম ও আজওয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি। খরচ যোগ করে এটি ঠিকই আছে। এ দাম গত বছরের তুলনায় ২৫-৩০ শতাংশ কম। তবে এ দামে কিনে খুচরা বিক্রেতারা যদি কেজিতে ৫০০-৬০০ টাকা লাভে বিক্রি করেন, তবে আমাদের কী করার থাকে? এটা দেখার দায়িত্ব তো সরকারের।’
শুল্কায়নের রকমফের
গত বছর খেজুরের দর রোজার শুরুতেই বেড়েছিল ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। তখন যুক্তি হিসেবে শুল্কের হার ও শুল্কায়ন পদ্ধতি, এলসিতে শতভাগ মার্জিন আরোপ ইত্যাদি যুক্তি দেখিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এসব কারণে গত রমজানে খেজুর সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা থেকে এবার ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে শুল্কহার কমায় এনবিআর।
গত বছর তিনটি ধাপ বা ক্যাটাগরিতে শুল্ক মূল্য ধরা হয়। এর মধ্যে ভালো মানের খেজুরের ট্যারিফ ভ্যালু ছিল প্রতিটন ৪০০০ ডলার, মাঝারি মানের ২৫০০ ডলার ও নিম্ন মানের ক্ষেত্রে ১০০০ ডলার। এবার কমিয়ে প্রথম ক্যাটাগরিতে ট্যারিফ ভ্যালু রাখা হয়েছে ৩০৭৫ । দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে তা ২৬০০, ২৩০০, ২২০০ ও ১০০০ ডলার। তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ট্যারিফ ভ্যালু রাখা হয়েছে ৭০০ ডলার। এর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের আমদানি ব্যয় কমেছে ২০০-২৫০ টাকা।
গত ২১ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। সম্পূর্ণ প্রত্যাহার হয় ৫ শতাংশ আগাম কর। মোট করহার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশে দাঁড়ায়।
সরকারের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমদানি বাড়িয়ে খেজুরের দাম কমানো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব একটা কাজে আসেনি এই উদ্যোগ।
‘দায়ী মনিটরিংয়ের অভাব’
খেজুরের বাজারের এ পরিস্থিতির জন্য শক্ত মনিটরিংয়ের অভাবকে দায়ী করলেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, ‘রমজান এলে ব্যবসায়ীরা যত বেশি পারেন মুনাফা করতে চান। এটা মনিটরিংয়ের অভাবে হচ্ছে। যাঁরা মনিটরিং করবেন, তাঁরা এবার ব্যস্ত অন্য কাজে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত ভোজ্যতেলের বাজার সামলাতে আর জেলা প্রশাসকেরা ব্যস্ত রাজনৈতিক প্রটোকল নিয়ে। এই সুযোগে খুচরা ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি দাম রাখছেন।
আমদানিকারকদের ‘মিথ্যা ঘোষণাকেও’ দায়ী করলেন এই বাজার বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যখন শুল্ক দেন, তখন কম মূল্য ঘোষণা করেন আর যখন বিক্রি করেন তখন বাড়তি দাম দেখান। এজন্য এনবিআরের উচিত কোন গ্রেডের খেজুরের দাম কত সে তথ্য প্রকাশ করা এবং সে অনুযায়ী বাজারে দাম ঠিক আছে কি না, তার নজরদারি করা।
আরও খবর পড়ুন:

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে, আমদানি বৃদ্ধি এবং সরকারের শুল্ক কমানো—কোনোটারই সুবিধা পাচ্ছে না ভোক্তারা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এখন বাজারে খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে গত বছরের তুলনায় গড়ে খেজুরের দাম ১০ শতাংশ বেশি রয়েছে।
আমদানি বেড়েছে, বাজারেও প্রচুর
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের হিসাব অনুয়ায়ী, বছরে দেশে খেজুরের গড় চাহিদা প্রায় ১ লাখ টন। এর মধ্যে রোজার মাসেই চাহিদা থাকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টনের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে খেজুর আমদানি করা হয় ৮০ হাজার ৯১০ টন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ আমদানির তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টন খেজুর বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে। এক বছর আগে এই সময়ে খালাস করা হয় ১১ হাজার ৭১৪ টন। সেই হিসাবে আমদানি বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মানিকনগরসহ কয়েকটি বাজারে গতকাল শনিবার ঘুরে দেখা যায়, খেজুরের সরবরাহ গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এসব বাজারে কিছু মৌসুমি ফলের ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে করেও খেজুর বিক্রি করতে দেখা যায়। বেশি দামের আজওয়া, মরিয়ম, মাবরুমের পাশাপাশি কম দামি জাইদি (খোলা), জাইদি (কার্টন), দাব্বাসসহ কয়েক ধরনের খেজুরও অনেক পাওয়া যাচ্ছে। শহরজুড়ে ফুটপাতেও খেজুর বিক্রি করছেন অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
আমদানির তুলনায় খুচরা দাম চড়া
আমদানিকারকদের নিজেদের দেওয়া তথ্যমতেই, ভালো মানের আজওয়া, মরিয়মসহ উচ্চমূল্যের খেজুরের আমদানি মূল্য কেজিপ্রতি মাত্র ৩৯০-৪০০ টাকা। এর সঙ্গে প্রতি কেজিতে ২০০ টাকা শুল্ক যোগ করে আমদানি মূল্য দাঁড়ায় কম-বেশি ৬০০ টাকা। আমদানিকারকদের দাবি, এর সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কমিশন, পরিবহন ব্যয়, মজুরের খরচ, মুনাফা ইত্যাদি যোগ করে বাদামতলীসহ পাইকারি বাজারগুলোতে খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি করে। অথচ রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরায় তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৭০০ টাকা কেজি দরে।
ভালো মান ও দামের খেজুরের ক্রেতারাই শুধু নন, ঠকছেন কম দামি সাধারণ খেজুর কেনা নিম্ন আয়ের ভোক্তারাও। রাজধানীর বাজারগুলোতে ইরাকি জাইদিসহ অতি সাধারণ বা সাধারণ মানের খেজুরও বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এই খেজুরের আমদানি মূল্য ৮০-৯০ টাকা মাত্র। শুল্ক ও অন্যান্য খরচ যোগ করে তার পাইকারি বাজারের দামই ১২০-১৭০ টাকা।
দাব্বাসসহ মাঝারি মানের খেজুরের আমদানি মূল্য, শুল্ক ও অন্যান্যসহ প্রতি কেজির খরচ পড়ছে ৩০০ টাকা। রাজধানীর পাইকারি বাজারে এগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৪০০ টাকা কেজি দরে। বাজারগুলোতে এই খেজুরেরই খুচরা দাম ৫০০-৬০০ টাকা কেজি।

আশাভঙ্গ হওয়ায় হতাশ ক্রেতা
ভুক্তভোগী ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজার বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে খেজুরে অতি মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতেই দাম বাড়তি। অন্যদিকে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, তাঁরা সামান্য মুনাফাতেই বিক্রি করছেন। খুচরা বিক্রেতাদের অতি মুনাফার কারণেই খেজুরের দাম চড়া।
ক্রেতারা বলছেন, এবার সরকার শুল্কছাড় দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য খেজুরকে সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু যে হারে শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে, সে হারে দাম কমেনি।
কিছুটা ভালো মানের খেজুরের খুচরা দাম পড়ছে প্রতি কেজি হাজার টাকার ওপরে। আর সবচেয়ে ভালো মানের খেজুরের খুচরা মূল্য দেড় হাজার টাকার ওপরে, যা গত বছরের প্রায় সমান। অথচ এবার দাম কমার কথা ছিল। এমন অবস্থা দেখে সচেতন ক্রেতাদের অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তাহলে শুল্কছাড়ের সুবিধা কে পাচ্ছে?
রাজধানীর মানিকনগর বাজারে খেজুর কিনতে এসেছিলেন আয়েশা বেগম। এক কেজি কেনার পরিকল্পনা থাকলেও দাম দেখে আধা কেজি কিনেই সন্তুষ্ট হতে হলো তাঁকে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে আয়েশা বেগম বললেন, ‘গত বছর আজওয়া খেজুর কিনেছিলাম ১৭০০ টাকা কেজি করে। এবার শুনেছিলাম দাম অনেকটা কম থাকবে। সেভাবেই টাকা নিয়ে বের হয়েছিলাম। কিন্তু দাম দেখছি, গত বছরের চেয়ে মাত্র ১০০ টাকা কম।’
তিন বাজার ঘুরেও কম দামে পছন্দের খেজুর না পেয়ে আক্ষেপ করেন রামপুরা বাজারে আসা আলম মিয়া। তিনি বলেন, ‘সরকার শুল্কছাড় দেওয়ার পরও দাম গত বছরের মতোই। আমাদের মতো কম আয়ের মানুষ শুল্কছাড়ের সুবিধা পাচ্ছে না। এসব দেখার কি কেউ নেই!’
পরস্পরকে দোষারোপ
ফল আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আঙুল তুললেন খুচরা বিক্রেতাদের দিকে। আজকের পত্রিকা’কে তিনি বলেন, ‘পাইকারি বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের মরিয়ম ও আজওয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি। খরচ যোগ করে এটি ঠিকই আছে। এ দাম গত বছরের তুলনায় ২৫-৩০ শতাংশ কম। তবে এ দামে কিনে খুচরা বিক্রেতারা যদি কেজিতে ৫০০-৬০০ টাকা লাভে বিক্রি করেন, তবে আমাদের কী করার থাকে? এটা দেখার দায়িত্ব তো সরকারের।’
শুল্কায়নের রকমফের
গত বছর খেজুরের দর রোজার শুরুতেই বেড়েছিল ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। তখন যুক্তি হিসেবে শুল্কের হার ও শুল্কায়ন পদ্ধতি, এলসিতে শতভাগ মার্জিন আরোপ ইত্যাদি যুক্তি দেখিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এসব কারণে গত রমজানে খেজুর সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা থেকে এবার ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে শুল্কহার কমায় এনবিআর।
গত বছর তিনটি ধাপ বা ক্যাটাগরিতে শুল্ক মূল্য ধরা হয়। এর মধ্যে ভালো মানের খেজুরের ট্যারিফ ভ্যালু ছিল প্রতিটন ৪০০০ ডলার, মাঝারি মানের ২৫০০ ডলার ও নিম্ন মানের ক্ষেত্রে ১০০০ ডলার। এবার কমিয়ে প্রথম ক্যাটাগরিতে ট্যারিফ ভ্যালু রাখা হয়েছে ৩০৭৫ । দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে তা ২৬০০, ২৩০০, ২২০০ ও ১০০০ ডলার। তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ট্যারিফ ভ্যালু রাখা হয়েছে ৭০০ ডলার। এর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের আমদানি ব্যয় কমেছে ২০০-২৫০ টাকা।
গত ২১ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। সম্পূর্ণ প্রত্যাহার হয় ৫ শতাংশ আগাম কর। মোট করহার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশে দাঁড়ায়।
সরকারের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমদানি বাড়িয়ে খেজুরের দাম কমানো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব একটা কাজে আসেনি এই উদ্যোগ।
‘দায়ী মনিটরিংয়ের অভাব’
খেজুরের বাজারের এ পরিস্থিতির জন্য শক্ত মনিটরিংয়ের অভাবকে দায়ী করলেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, ‘রমজান এলে ব্যবসায়ীরা যত বেশি পারেন মুনাফা করতে চান। এটা মনিটরিংয়ের অভাবে হচ্ছে। যাঁরা মনিটরিং করবেন, তাঁরা এবার ব্যস্ত অন্য কাজে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত ভোজ্যতেলের বাজার সামলাতে আর জেলা প্রশাসকেরা ব্যস্ত রাজনৈতিক প্রটোকল নিয়ে। এই সুযোগে খুচরা ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি দাম রাখছেন।
আমদানিকারকদের ‘মিথ্যা ঘোষণাকেও’ দায়ী করলেন এই বাজার বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যখন শুল্ক দেন, তখন কম মূল্য ঘোষণা করেন আর যখন বিক্রি করেন তখন বাড়তি দাম দেখান। এজন্য এনবিআরের উচিত কোন গ্রেডের খেজুরের দাম কত সে তথ্য প্রকাশ করা এবং সে অনুযায়ী বাজারে দাম ঠিক আছে কি না, তার নজরদারি করা।
আরও খবর পড়ুন:

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৬ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৭ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে।
০২ মার্চ ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৬ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৭ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে।
০২ মার্চ ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৭ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে।
০২ মার্চ ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৬ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে।
০২ মার্চ ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৬ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৭ ঘণ্টা আগে