Ajker Patrika

খেজুরে অতি মুনাফা, হতাশ ক্রেতা

রোকন উদ্দীন, ঢাকা
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫, ১৫: ৩২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে, আমদানি বৃদ্ধি এবং সরকারের শুল্ক কমানো—কোনোটারই সুবিধা পাচ্ছে না ভোক্তারা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এখন বাজারে খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে গত বছরের তুলনায় গড়ে খেজুরের দাম ১০ শতাংশ বেশি রয়েছে।

আমদানি বেড়েছে, বাজারেও প্রচুর

বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের হিসাব অনুয়ায়ী, বছরে দেশে খেজুরের গড় চাহিদা প্রায় ১ লাখ টন। এর মধ্যে রোজার মাসেই চাহিদা থাকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টনের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে খেজুর আমদানি করা হয় ৮০ হাজার ৯১০ টন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ আমদানির তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টন খেজুর বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে। এক বছর আগে এই সময়ে খালাস করা হয় ১১ হাজার ৭১৪ টন। সেই হিসাবে আমদানি বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মানিকনগরসহ কয়েকটি বাজারে গতকাল শনিবার ঘুরে দেখা যায়, খেজুরের সরবরাহ গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এসব বাজারে কিছু মৌসুমি ফলের ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে করেও খেজুর বিক্রি করতে দেখা যায়। বেশি দামের আজওয়া, মরিয়ম, মাবরুমের পাশাপাশি কম দামি জাইদি (খোলা), জাইদি (কার্টন), দাব্বাসসহ কয়েক ধরনের খেজুরও অনেক পাওয়া যাচ্ছে। শহরজুড়ে ফুটপাতেও খেজুর বিক্রি করছেন অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

আমদানির তুলনায় খুচরা দাম চড়া

আমদানিকারকদের নিজেদের দেওয়া তথ্যমতেই, ভালো মানের আজওয়া, মরিয়মসহ উচ্চমূল্যের খেজুরের আমদানি মূল্য কেজিপ্রতি মাত্র ৩৯০-৪০০ টাকা। এর সঙ্গে প্রতি কেজিতে ২০০ টাকা শুল্ক যোগ করে আমদানি মূল্য দাঁড়ায় কম-বেশি ৬০০ টাকা। আমদানিকারকদের দাবি, এর সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কমিশন, পরিবহন ব্যয়, মজুরের খরচ, মুনাফা ইত্যাদি যোগ করে বাদামতলীসহ পাইকারি বাজারগুলোতে খেজুর বিক্রি করা হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি করে। অথচ রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরায় তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৭০০ টাকা কেজি দরে।

ভালো মান ও দামের খেজুরের ক্রেতারাই শুধু নন, ঠকছেন কম দামি সাধারণ খেজুর কেনা নিম্ন আয়ের ভোক্তারাও। রাজধানীর বাজারগুলোতে ইরাকি জাইদিসহ অতি সাধারণ বা সাধারণ মানের খেজুরও বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এই খেজুরের আমদানি মূল্য ৮০-৯০ টাকা মাত্র। শুল্ক ও অন্যান্য খরচ যোগ করে তার পাইকারি বাজারের দামই ১২০-১৭০ টাকা।

দাব্বাসসহ মাঝারি মানের খেজুরের আমদানি মূল্য, শুল্ক ও অন্যান্যসহ প্রতি কেজির খরচ পড়ছে ৩০০ টাকা। রাজধানীর পাইকারি বাজারে এগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৪০০ টাকা কেজি দরে। বাজারগুলোতে এই খেজুরেরই খুচরা দাম ৫০০-৬০০ টাকা কেজি।

Capture

আশাভঙ্গ হওয়ায় হতাশ ক্রেতা

ভুক্তভোগী ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজার বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে খেজুরে অতি মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতেই দাম বাড়তি। অন্যদিকে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, তাঁরা সামান্য মুনাফাতেই বিক্রি করছেন। খুচরা বিক্রেতাদের অতি মুনাফার কারণেই খেজুরের দাম চড়া।

ক্রেতারা বলছেন, এবার সরকার শুল্কছাড় দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য খেজুরকে সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু যে হারে শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে, সে হারে দাম কমেনি।

কিছুটা ভালো মানের খেজুরের খুচরা দাম পড়ছে প্রতি কেজি হাজার টাকার ওপরে। আর সবচেয়ে ভালো মানের খেজুরের খুচরা মূল্য দেড় হাজার টাকার ওপরে, যা গত বছরের প্রায় সমান। অথচ এবার দাম কমার কথা ছিল। এমন অবস্থা দেখে সচেতন ক্রেতাদের অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তাহলে শুল্কছাড়ের সুবিধা কে পাচ্ছে?

রাজধানীর মানিকনগর বাজারে খেজুর কিনতে এসেছিলেন আয়েশা বেগম। এক কেজি কেনার পরিকল্পনা থাকলেও দাম দেখে আধা কেজি কিনেই সন্তুষ্ট হতে হলো তাঁকে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে আয়েশা বেগম বললেন, ‘গত বছর আজওয়া খেজুর কিনেছিলাম ১৭০০ টাকা কেজি করে। এবার শুনেছিলাম দাম অনেকটা কম থাকবে। সেভাবেই টাকা নিয়ে বের হয়েছিলাম। কিন্তু দাম দেখছি, গত বছরের চেয়ে মাত্র ১০০ টাকা কম।’

তিন বাজার ঘুরেও কম দামে পছন্দের খেজুর না পেয়ে আক্ষেপ করেন রামপুরা বাজারে আসা আলম মিয়া। তিনি বলেন, ‘সরকার শুল্কছাড় দেওয়ার পরও দাম গত বছরের মতোই। আমাদের মতো কম আয়ের মানুষ শুল্কছাড়ের সুবিধা পাচ্ছে না। এসব দেখার কি কেউ নেই!’

পরস্পরকে দোষারোপ

ফল আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আঙুল তুললেন খুচরা বিক্রেতাদের দিকে। আজকের পত্রিকা’কে তিনি বলেন, ‘পাইকারি বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের মরিয়ম ও আজওয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা কেজি। খরচ যোগ করে এটি ঠিকই আছে। এ দাম গত বছরের তুলনায় ২৫-৩০ শতাংশ কম। তবে এ দামে কিনে খুচরা বিক্রেতারা যদি কেজিতে ৫০০-৬০০ টাকা লাভে বিক্রি করেন, তবে আমাদের কী করার থাকে? এটা দেখার দায়িত্ব তো সরকারের।’

শুল্কায়নের রকমফের

গত বছর খেজুরের দর রোজার শুরুতেই বেড়েছিল ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। তখন যুক্তি হিসেবে শুল্কের হার ও শুল্কায়ন পদ্ধতি, এলসিতে শতভাগ মার্জিন আরোপ ইত্যাদি যুক্তি দেখিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এসব কারণে গত রমজানে খেজুর সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা থেকে এবার ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে শুল্কহার কমায় এনবিআর।

গত বছর তিনটি ধাপ বা ক্যাটাগরিতে শুল্ক মূল্য ধরা হয়। এর মধ্যে ভালো মানের খেজুরের ট্যারিফ ভ্যালু ছিল প্রতিটন ৪০০০ ডলার, মাঝারি মানের ২৫০০ ডলার ও নিম্ন মানের ক্ষেত্রে ১০০০ ডলার। এবার কমিয়ে প্রথম ক্যাটাগরিতে ট্যারিফ ভ্যালু রাখা হয়েছে ৩০৭৫ । দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে তা ২৬০০, ২৩০০, ২২০০ ও ১০০০ ডলার। তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ট্যারিফ ভ্যালু রাখা হয়েছে ৭০০ ডলার। এর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের আমদানি ব্যয় কমেছে ২০০-২৫০ টাকা।

গত ২১ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়। সম্পূর্ণ প্রত্যাহার হয় ৫ শতাংশ আগাম কর। মোট করহার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশে দাঁড়ায়।

সরকারের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমদানি বাড়িয়ে খেজুরের দাম কমানো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব একটা কাজে আসেনি এই উদ্যোগ।

‘দায়ী মনিটরিংয়ের অভাব’

খেজুরের বাজারের এ পরিস্থিতির জন্য শক্ত মনিটরিংয়ের অভাবকে দায়ী করলেন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, ‘রমজান এলে ব্যবসায়ীরা যত বেশি পারেন মুনাফা করতে চান। এটা মনিটরিংয়ের অভাবে হচ্ছে। যাঁরা মনিটরিং করবেন, তাঁরা এবার ব্যস্ত অন্য কাজে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত ভোজ্যতেলের বাজার সামলাতে আর জেলা প্রশাসকেরা ব্যস্ত রাজনৈতিক প্রটোকল নিয়ে। এই সুযোগে খুচরা ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি দাম রাখছেন।

আমদানিকারকদের ‘মিথ্যা ঘোষণাকেও’ দায়ী করলেন এই বাজার বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যখন শুল্ক দেন, তখন কম মূল্য ঘোষণা করেন আর যখন বিক্রি করেন তখন বাড়তি দাম দেখান। এজন্য এনবিআরের উচিত কোন গ্রেডের খেজুরের দাম কত সে তথ্য প্রকাশ করা এবং সে অনুযায়ী বাজারে দাম ঠিক আছে কি না, তার নজরদারি করা।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

২০২৫ সালে যেসব ঐতিহাসিক রহস্যের সমাধান দিল বিজ্ঞান

আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াত: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

বিজ্ঞপ্তি
ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার অর্জন করে ফার্স্টট্রিপ।

এক্সিলেন্স ইন বিজনেস ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফার্স্টট্রিপের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের শীর্ষ পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ সব সময় চায় গ্রাহকদের ভ্রমণ হোক সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দদায়ক। ফার্স্টট্রিপ ইতিমধ্যে নিজেদের একটা রিলায়েবল মডার্ন আর ফিউচার রেডি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

ফার্স্টট্রিপের হেড অব অপারেশন (বি-টু-সি) মীর তাজমুল হোসেনের হাতে ইবিএল আয়োজিত ‘স্কাইস্ফিয়ার: ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার।

ফার্স্টট্রিপের জন্য এই স্বীকৃতি একটি বড় মাইলস্টোন। ইনোভেশন এবং সঠিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এই পুরস্কারের পেছনে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে ফার্স্টট্রিপের শক্তিশালী পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় ফার্স্টট্রিপ গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট সলিউশনকে করে তুলেছে স্মার্ট ও সহজ।

ফার্স্টট্রিপের প্রতিনিধিরা এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাফল্য পুরো টিম এবং পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে ইবিএলের সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল যাত্রাকে আরও মসৃণ করেছে। ইনোভেশন ও গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

২০২৫ সালে যেসব ঐতিহাসিক রহস্যের সমাধান দিল বিজ্ঞান

আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াত: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিএসটিসি স্টুয়ার্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন ড. নূর মোহাম্মদ

বিজ্ঞপ্তি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (পিএসটিসি) নির্বাহী পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদকে সংস্থার পিএসটিসি স্টুয়ার্ডশিপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে। সংস্থার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অধিকারভিত্তিক কর্মসূচি এগিয়ে নেওয়া, দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দৃঢ় স্টুয়ার্ডশিপের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার আফতাবনগরে অবস্থিত পিএসটিসি ভবনে অনুষ্ঠিত সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) উপলক্ষে পিএসটিসি গভর্নিং বডির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। সভায় গভর্নিং বডির সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

গভর্নিং বডি জানায়, ড. নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে পিএসটিসি প্রাতিষ্ঠানিক টেকসই ও উৎকর্ষতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেবার পরিসর ও কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তাঁর দূরদর্শী দিকনির্দেশনা ও কৌশলগত নেতৃত্বে সংস্থাটি জাতীয় পর্যায়ে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

গভর্নিং বডির মতে, ড. নূর মোহাম্মদের অবদান পিএসটিসিকে একটি শক্তিশালী, বিশ্বাসযোগ্য ও ভবিষ্যৎমুখী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি স্থায়ী ও অনুকরণীয় কর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

২০২৫ সালে যেসব ঐতিহাসিক রহস্যের সমাধান দিল বিজ্ঞান

আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াত: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইবিএল ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস পেল ফুডি

বিজ্ঞপ্তি
: গত রোববার রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুডির সিওও মো. শাহনেওয়াজ মান্নানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইস্টার্ন ব্যাংকের সিইও আলী রেজা ইফতেখার।
: গত রোববার রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুডির সিওও মো. শাহনেওয়াজ মান্নানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইস্টার্ন ব্যাংকের সিইও আলী রেজা ইফতেখার।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির (ইবিএল) গত এক বছরের ডিজিটাল রূপান্তর ও প্রবৃদ্ধি যাত্রায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ইবিএল ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অর্জন করেছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কিউ-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেড (Foodi)। ‘এক্সিলেন্স ইন কিউ-কমার্স (ইমার্জি)’ ক্যাটাগরিতে এই সম্মাননা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. শাহনেওয়াজ মান্নানের হাতে এই সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার।

ডিজিটাল মার্কেটিং, উদ্ভাবনী অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকসেবায় বৈচিত্র্য আনায় বিশেষ অবদানের জন্য ফুডি এক্সপ্রেসকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় এ সংস্করণে ইবিএল মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে (এনাবলার, এক্সিলেন্স এবং পার্টনার্স ইন প্রোগ্রেস) ৪০টি পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে।

সম্মাননা প্রাপ্তির পর এক প্রতিক্রিয়ায় ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের সিওও মো. শাহনেওয়াজ মান্নান বলেন, ‘ইস্টার্ন ব্যাংকের মতো একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই অর্জন আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে নতুন সব উদ্ভাবনী ফিচার ও উন্নত সেবা নিয়ে আসার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি, ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে এই অংশীদারত্ব দেশের কিউ-কমার্স (Q-commerce) খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

২০২৫ সালে যেসব ঐতিহাসিক রহস্যের সমাধান দিল বিজ্ঞান

আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াত: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

একনেকে ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১০
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ৬১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ১৪টি ও সংশোধিত প্রকল্প পাঁচটি এবং মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প তিনটি।

সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কর্ণফুলী টানেল (আনোয়ারা) থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক (জেড-১০৪০) উন্নয়ন’ প্রকল্প, ‘দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক (এন-৫২১) যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টসমূহ পুনর্নির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প: সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আটটি ১৫তলা ভবনে ৬৭২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা ওয়াসা প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা একাডেমি স্থাপন’ প্রকল্প, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প, ‘জলবায়ু সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন বা ক্লাইমেট রেজলিয়েন্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড ইনহ্যান্সমেন্ট প্রোজেক্ট (সিআরএএলইপি)’ প্রকল্প, ‘পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটির মধ্যে মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প এবং সাভারে আর্মি ইনস্টিটিউট অব ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্প।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘Modernization and Expansion of Eastern Refinery Limited (ERL) প্রকল্প।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ কোনাবাড়ী, গাজীপুর (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘Education and Research Capacity Building of National Institute of Advanced Nursing Education and Research (NIANER) প্রকল্প।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কর্ণফুলী এবং সংযুক্ত নদীসমূহের (কাচালং, রাইখিয়ং ও শলক নদী) টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’, ‘গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন’ প্রকল্প, ‘সুরমা-কুশিয়ারা নদী অববাহিকার উন্নয়ন এবং বন্যা ও সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ এবং ‘Disaster Risk Management Enhancement Project (Component-1, BWDB Part) (proposed 2nd Revision) প্রকল্প’।

এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দারুল আরকাম ইসলামি শিক্ষা পরিচালনা ও সুসংহতকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন; খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ; স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গেজেট

এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি—জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের ক্ষোভ

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

২০২৫ সালে যেসব ঐতিহাসিক রহস্যের সমাধান দিল বিজ্ঞান

আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে প্রতিযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াত: নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত