পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

আগস্টের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে যখন একের পর এক সংকটের ঢেউ ওঠে, তখন অনেক ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে পারেনি গ্রাহকের আস্থা। নগদ অর্থসংকটে হিমশিম খায় একাধিক বেসরকারি ব্যাংক বিশেষ করে শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কোথাও চেক বাতিল, কোথাও দীর্ঘ লাইন—অনেকে নিজের জমানো টাকায় হাত দিতে পারছিলেন না। এই অস্থির সময়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দাঁড়িয়ে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মেরুতে। অনড়, স্বচ্ছ ও আত্মবিশ্বাসী এক প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে।
গত সরকারের সময় দুর্নীতির অভিযোগ ও অর্থ পাচারের বিতর্কের পর যে আস্থার ফাটল তৈরি হয়েছিল ইসলামী ব্যাংক ঘিরে, নতুন সরকারের অধীনে সেই ফাটল পরিণত হয়েছে বিশ্বাসের ভিত্তিতে। ব্যাংকটির হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, গত সাড়ে সাত মাসে (২৭ আগস্ট ২০২৪ থেকে ১৬ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত) তাদের নতুন গ্রাহক বেড়েছে ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৬৫২ জন। নতুন আমানত এসেছে ২৪ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। দেশের ব্যাংক খাতে যখন গতি নেই, তখন এ প্রবৃদ্ধি শুধু ব্যতিক্রম নয়, বরং নজিরবিহীন। হিসাব খুলেছে সবচেয়ে বেশি মুদারাবা টার্ম ডিপোজিটে—৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৮২টি নতুন এমটিডিআরএ অ্যাকাউন্টে জমেছে ১৭ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা। মুদারাবা সঞ্চয়ী, স্পেশাল সেভিংস, হজ, বিবাহ ও শিক্ষার্থী হিসাবেও জমা পড়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। নতুন হিসাব ও আমানতের এই জোয়ারে ব্যাংকটির মোট আমানত এখন ১ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
এ প্রবণতা শুধু একটি ব্যাংকের সাফল্যগাথা নয়, বরং ব্যাংকিং আস্থার মানচিত্রে নতুন এক মোড়। এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো এম হেলাল আহমেদ জনি বলেন, আগের সরকারের সময় ইসলামী ব্যাংকসহ কিছু শরিয়াহ ব্যাংকে এস আলম গ্রুপ দখল নিয়ে অর্থ পাচার করে। সরকার বদলের পর সে অনিয়ম বন্ধ হয়েছে, আস্থা ফিরেছে। এমন সময় ১৮ লাখ নতুন হিসাব শুধু একক সফলতা নয়, গোটা খাতের জন্য স্বচ্ছতার বার্তা।
ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান নেটওয়ার্ক ও কার্যক্রম অনেক বিস্তৃত। দেশে ব্যাংকটির ৪০০টি শাখা, ২৬৫ উপশাখা, ২ হাজার ৭৮৩টি এজেন্ট আউটলেট এবং ৩ হাজার ৪০ এটিএম ও সিআরএম বুথ রয়েছে। এ ব্যাংকের গ্রাহকের সংখ্যা ২ কোটি ৫০ লাখ ছাড়িয়েছে। ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রেও ব্যাংকটি এগিয়ে। সেলফিন অ্যাপের ব্যবহারকারী ৪৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
রেমিট্যান্স, বাণিজ্য ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগেও ইসলামী ব্যাংক রেখেছে দৃঢ় অবস্থান। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকটি ৬৭ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। আমদানি ও রপ্তানিতে অংশ নিয়েছে যথাক্রমে ৬৫ হাজার ৭৮২ কোটি ও ৩৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকায়। এ ছাড়া ৩৪ হাজার গ্রামে ১৮ লাখ পরিবারকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে ব্যাংকটি প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি করেছে।
ইসলামী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওমর ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ব্যাংকটি সঠিক পথে ফিরেছে। গ্রাহকের আস্থা ফিরে এসেছে, যা ১৮ লাখ নতুন হিসাব ও ২৪ হাজার কোটি টাকার নতুন আমানতেই প্রমাণিত। তাঁর ভাষায়, ‘কঠিন সময়ে ব্যাংকের প্রতি এই আস্থা ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি।’
আরও খবর পড়ুন:

আগস্টের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে যখন একের পর এক সংকটের ঢেউ ওঠে, তখন অনেক ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে পারেনি গ্রাহকের আস্থা। নগদ অর্থসংকটে হিমশিম খায় একাধিক বেসরকারি ব্যাংক বিশেষ করে শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কোথাও চেক বাতিল, কোথাও দীর্ঘ লাইন—অনেকে নিজের জমানো টাকায় হাত দিতে পারছিলেন না। এই অস্থির সময়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দাঁড়িয়ে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মেরুতে। অনড়, স্বচ্ছ ও আত্মবিশ্বাসী এক প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে।
গত সরকারের সময় দুর্নীতির অভিযোগ ও অর্থ পাচারের বিতর্কের পর যে আস্থার ফাটল তৈরি হয়েছিল ইসলামী ব্যাংক ঘিরে, নতুন সরকারের অধীনে সেই ফাটল পরিণত হয়েছে বিশ্বাসের ভিত্তিতে। ব্যাংকটির হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, গত সাড়ে সাত মাসে (২৭ আগস্ট ২০২৪ থেকে ১৬ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত) তাদের নতুন গ্রাহক বেড়েছে ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৬৫২ জন। নতুন আমানত এসেছে ২৪ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। দেশের ব্যাংক খাতে যখন গতি নেই, তখন এ প্রবৃদ্ধি শুধু ব্যতিক্রম নয়, বরং নজিরবিহীন। হিসাব খুলেছে সবচেয়ে বেশি মুদারাবা টার্ম ডিপোজিটে—৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৮২টি নতুন এমটিডিআরএ অ্যাকাউন্টে জমেছে ১৭ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা। মুদারাবা সঞ্চয়ী, স্পেশাল সেভিংস, হজ, বিবাহ ও শিক্ষার্থী হিসাবেও জমা পড়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। নতুন হিসাব ও আমানতের এই জোয়ারে ব্যাংকটির মোট আমানত এখন ১ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
এ প্রবণতা শুধু একটি ব্যাংকের সাফল্যগাথা নয়, বরং ব্যাংকিং আস্থার মানচিত্রে নতুন এক মোড়। এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো এম হেলাল আহমেদ জনি বলেন, আগের সরকারের সময় ইসলামী ব্যাংকসহ কিছু শরিয়াহ ব্যাংকে এস আলম গ্রুপ দখল নিয়ে অর্থ পাচার করে। সরকার বদলের পর সে অনিয়ম বন্ধ হয়েছে, আস্থা ফিরেছে। এমন সময় ১৮ লাখ নতুন হিসাব শুধু একক সফলতা নয়, গোটা খাতের জন্য স্বচ্ছতার বার্তা।
ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান নেটওয়ার্ক ও কার্যক্রম অনেক বিস্তৃত। দেশে ব্যাংকটির ৪০০টি শাখা, ২৬৫ উপশাখা, ২ হাজার ৭৮৩টি এজেন্ট আউটলেট এবং ৩ হাজার ৪০ এটিএম ও সিআরএম বুথ রয়েছে। এ ব্যাংকের গ্রাহকের সংখ্যা ২ কোটি ৫০ লাখ ছাড়িয়েছে। ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রেও ব্যাংকটি এগিয়ে। সেলফিন অ্যাপের ব্যবহারকারী ৪৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
রেমিট্যান্স, বাণিজ্য ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগেও ইসলামী ব্যাংক রেখেছে দৃঢ় অবস্থান। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকটি ৬৭ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। আমদানি ও রপ্তানিতে অংশ নিয়েছে যথাক্রমে ৬৫ হাজার ৭৮২ কোটি ও ৩৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকায়। এ ছাড়া ৩৪ হাজার গ্রামে ১৮ লাখ পরিবারকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে ব্যাংকটি প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি করেছে।
ইসলামী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওমর ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ব্যাংকটি সঠিক পথে ফিরেছে। গ্রাহকের আস্থা ফিরে এসেছে, যা ১৮ লাখ নতুন হিসাব ও ২৪ হাজার কোটি টাকার নতুন আমানতেই প্রমাণিত। তাঁর ভাষায়, ‘কঠিন সময়ে ব্যাংকের প্রতি এই আস্থা ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি।’
আরও খবর পড়ুন:
পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

আগস্টের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে যখন একের পর এক সংকটের ঢেউ ওঠে, তখন অনেক ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে পারেনি গ্রাহকের আস্থা। নগদ অর্থসংকটে হিমশিম খায় একাধিক বেসরকারি ব্যাংক বিশেষ করে শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কোথাও চেক বাতিল, কোথাও দীর্ঘ লাইন—অনেকে নিজের জমানো টাকায় হাত দিতে পারছিলেন না। এই অস্থির সময়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দাঁড়িয়ে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মেরুতে। অনড়, স্বচ্ছ ও আত্মবিশ্বাসী এক প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে।
গত সরকারের সময় দুর্নীতির অভিযোগ ও অর্থ পাচারের বিতর্কের পর যে আস্থার ফাটল তৈরি হয়েছিল ইসলামী ব্যাংক ঘিরে, নতুন সরকারের অধীনে সেই ফাটল পরিণত হয়েছে বিশ্বাসের ভিত্তিতে। ব্যাংকটির হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, গত সাড়ে সাত মাসে (২৭ আগস্ট ২০২৪ থেকে ১৬ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত) তাদের নতুন গ্রাহক বেড়েছে ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৬৫২ জন। নতুন আমানত এসেছে ২৪ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। দেশের ব্যাংক খাতে যখন গতি নেই, তখন এ প্রবৃদ্ধি শুধু ব্যতিক্রম নয়, বরং নজিরবিহীন। হিসাব খুলেছে সবচেয়ে বেশি মুদারাবা টার্ম ডিপোজিটে—৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৮২টি নতুন এমটিডিআরএ অ্যাকাউন্টে জমেছে ১৭ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা। মুদারাবা সঞ্চয়ী, স্পেশাল সেভিংস, হজ, বিবাহ ও শিক্ষার্থী হিসাবেও জমা পড়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। নতুন হিসাব ও আমানতের এই জোয়ারে ব্যাংকটির মোট আমানত এখন ১ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
এ প্রবণতা শুধু একটি ব্যাংকের সাফল্যগাথা নয়, বরং ব্যাংকিং আস্থার মানচিত্রে নতুন এক মোড়। এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো এম হেলাল আহমেদ জনি বলেন, আগের সরকারের সময় ইসলামী ব্যাংকসহ কিছু শরিয়াহ ব্যাংকে এস আলম গ্রুপ দখল নিয়ে অর্থ পাচার করে। সরকার বদলের পর সে অনিয়ম বন্ধ হয়েছে, আস্থা ফিরেছে। এমন সময় ১৮ লাখ নতুন হিসাব শুধু একক সফলতা নয়, গোটা খাতের জন্য স্বচ্ছতার বার্তা।
ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান নেটওয়ার্ক ও কার্যক্রম অনেক বিস্তৃত। দেশে ব্যাংকটির ৪০০টি শাখা, ২৬৫ উপশাখা, ২ হাজার ৭৮৩টি এজেন্ট আউটলেট এবং ৩ হাজার ৪০ এটিএম ও সিআরএম বুথ রয়েছে। এ ব্যাংকের গ্রাহকের সংখ্যা ২ কোটি ৫০ লাখ ছাড়িয়েছে। ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রেও ব্যাংকটি এগিয়ে। সেলফিন অ্যাপের ব্যবহারকারী ৪৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
রেমিট্যান্স, বাণিজ্য ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগেও ইসলামী ব্যাংক রেখেছে দৃঢ় অবস্থান। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকটি ৬৭ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। আমদানি ও রপ্তানিতে অংশ নিয়েছে যথাক্রমে ৬৫ হাজার ৭৮২ কোটি ও ৩৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকায়। এ ছাড়া ৩৪ হাজার গ্রামে ১৮ লাখ পরিবারকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে ব্যাংকটি প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি করেছে।
ইসলামী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওমর ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ব্যাংকটি সঠিক পথে ফিরেছে। গ্রাহকের আস্থা ফিরে এসেছে, যা ১৮ লাখ নতুন হিসাব ও ২৪ হাজার কোটি টাকার নতুন আমানতেই প্রমাণিত। তাঁর ভাষায়, ‘কঠিন সময়ে ব্যাংকের প্রতি এই আস্থা ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি।’
আরও খবর পড়ুন:

আগস্টের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে যখন একের পর এক সংকটের ঢেউ ওঠে, তখন অনেক ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে পারেনি গ্রাহকের আস্থা। নগদ অর্থসংকটে হিমশিম খায় একাধিক বেসরকারি ব্যাংক বিশেষ করে শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কোথাও চেক বাতিল, কোথাও দীর্ঘ লাইন—অনেকে নিজের জমানো টাকায় হাত দিতে পারছিলেন না। এই অস্থির সময়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দাঁড়িয়ে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মেরুতে। অনড়, স্বচ্ছ ও আত্মবিশ্বাসী এক প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে।
গত সরকারের সময় দুর্নীতির অভিযোগ ও অর্থ পাচারের বিতর্কের পর যে আস্থার ফাটল তৈরি হয়েছিল ইসলামী ব্যাংক ঘিরে, নতুন সরকারের অধীনে সেই ফাটল পরিণত হয়েছে বিশ্বাসের ভিত্তিতে। ব্যাংকটির হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, গত সাড়ে সাত মাসে (২৭ আগস্ট ২০২৪ থেকে ১৬ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত) তাদের নতুন গ্রাহক বেড়েছে ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৬৫২ জন। নতুন আমানত এসেছে ২৪ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। দেশের ব্যাংক খাতে যখন গতি নেই, তখন এ প্রবৃদ্ধি শুধু ব্যতিক্রম নয়, বরং নজিরবিহীন। হিসাব খুলেছে সবচেয়ে বেশি মুদারাবা টার্ম ডিপোজিটে—৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৮২টি নতুন এমটিডিআরএ অ্যাকাউন্টে জমেছে ১৭ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা। মুদারাবা সঞ্চয়ী, স্পেশাল সেভিংস, হজ, বিবাহ ও শিক্ষার্থী হিসাবেও জমা পড়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। নতুন হিসাব ও আমানতের এই জোয়ারে ব্যাংকটির মোট আমানত এখন ১ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
এ প্রবণতা শুধু একটি ব্যাংকের সাফল্যগাথা নয়, বরং ব্যাংকিং আস্থার মানচিত্রে নতুন এক মোড়। এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো এম হেলাল আহমেদ জনি বলেন, আগের সরকারের সময় ইসলামী ব্যাংকসহ কিছু শরিয়াহ ব্যাংকে এস আলম গ্রুপ দখল নিয়ে অর্থ পাচার করে। সরকার বদলের পর সে অনিয়ম বন্ধ হয়েছে, আস্থা ফিরেছে। এমন সময় ১৮ লাখ নতুন হিসাব শুধু একক সফলতা নয়, গোটা খাতের জন্য স্বচ্ছতার বার্তা।
ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান নেটওয়ার্ক ও কার্যক্রম অনেক বিস্তৃত। দেশে ব্যাংকটির ৪০০টি শাখা, ২৬৫ উপশাখা, ২ হাজার ৭৮৩টি এজেন্ট আউটলেট এবং ৩ হাজার ৪০ এটিএম ও সিআরএম বুথ রয়েছে। এ ব্যাংকের গ্রাহকের সংখ্যা ২ কোটি ৫০ লাখ ছাড়িয়েছে। ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রেও ব্যাংকটি এগিয়ে। সেলফিন অ্যাপের ব্যবহারকারী ৪৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
রেমিট্যান্স, বাণিজ্য ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগেও ইসলামী ব্যাংক রেখেছে দৃঢ় অবস্থান। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকটি ৬৭ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। আমদানি ও রপ্তানিতে অংশ নিয়েছে যথাক্রমে ৬৫ হাজার ৭৮২ কোটি ও ৩৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকায়। এ ছাড়া ৩৪ হাজার গ্রামে ১৮ লাখ পরিবারকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে ব্যাংকটি প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি করেছে।
ইসলামী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওমর ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ব্যাংকটি সঠিক পথে ফিরেছে। গ্রাহকের আস্থা ফিরে এসেছে, যা ১৮ লাখ নতুন হিসাব ও ২৪ হাজার কোটি টাকার নতুন আমানতেই প্রমাণিত। তাঁর ভাষায়, ‘কঠিন সময়ে ব্যাংকের প্রতি এই আস্থা ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি।’
আরও খবর পড়ুন:

ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী হক চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়েকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র (পিএসআর) প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেলওয়ে করযোগ্য সত্তা নয়, এমন বিবেচনায় এনবিআর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা। সেখানেই নতুন দাম নির্ধারণ হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়। নতুন দাম আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
গত অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। আজ রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) নভেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির চিত্র প্রকাশ করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী হক চৌধুরী।
এ ছাড়া জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নেসলে বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপাল আবেইউক্রেমা এবং সহসভাপতি হয়েছেন লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আজ রোববার হোটেল লো মেরিডিয়েন ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফিকির ৬২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আগামী মেয়াদের জন্য ১৫ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদের নাম ঘোষণা করা হয়। বর্তমান সভাপতি জাভেদ আখতারের স্থলাভিষিক্ত হবেন রুপালী হক চৌধুরী। ১৫ সদস্যের নতুন বোর্ড ১ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমান বোর্ডের কার্যকাল শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।

ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী হক চৌধুরী।
এ ছাড়া জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নেসলে বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপাল আবেইউক্রেমা এবং সহসভাপতি হয়েছেন লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আজ রোববার হোটেল লো মেরিডিয়েন ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফিকির ৬২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আগামী মেয়াদের জন্য ১৫ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদের নাম ঘোষণা করা হয়। বর্তমান সভাপতি জাভেদ আখতারের স্থলাভিষিক্ত হবেন রুপালী হক চৌধুরী। ১৫ সদস্যের নতুন বোর্ড ১ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমান বোর্ডের কার্যকাল শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।

আগস্টের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে যখন একের পর এক সংকটের ঢেউ ওঠে, তখন অনেক ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে পারেনি গ্রাহকের আস্থা। নগদ অর্থসংকটে হিমশিম খায় একাধিক বেসরকারি ব্যাংক বিশেষ করে শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কোথাও চেক বাতিল, কোথাও দীর্ঘ লাইন—অনেকে নিজের জমানো টাকায় হাত দিতে পারছিলেন না...
০৮ মে ২০২৫
বাংলাদেশ রেলওয়েকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র (পিএসআর) প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেলওয়ে করযোগ্য সত্তা নয়, এমন বিবেচনায় এনবিআর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা। সেখানেই নতুন দাম নির্ধারণ হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়। নতুন দাম আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
গত অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। আজ রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) নভেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির চিত্র প্রকাশ করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ রেলওয়েকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র (পিএসআর) প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেলওয়ে করযোগ্য সত্তা নয়, এমন বিবেচনায় এনবিআর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ রোববার এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও করযোগ্য সত্তা না বিধায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ২৬৪-এর উপধারা (৪)-এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ রেলওয়েকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ (পিএসআর) উপস্থাপন করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান করযোগ্য আয়ের আওতায় পড়ে না, তাদের বেলায় রিটার্ন দাখিল বা পিএসআর প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য নয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে যেহেতু সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন এবং এর আয়-ব্যয় রাষ্ট্রীয় তহবিলের আওতায় পরিচালিত হয়, তাই পিএসআর প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তা ছিল একটি আনুষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতামাত্র।

বাংলাদেশ রেলওয়েকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র (পিএসআর) প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেলওয়ে করযোগ্য সত্তা নয়, এমন বিবেচনায় এনবিআর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ রোববার এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও করযোগ্য সত্তা না বিধায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ২৬৪-এর উপধারা (৪)-এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ রেলওয়েকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ (পিএসআর) উপস্থাপন করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান করযোগ্য আয়ের আওতায় পড়ে না, তাদের বেলায় রিটার্ন দাখিল বা পিএসআর প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য নয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে যেহেতু সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন এবং এর আয়-ব্যয় রাষ্ট্রীয় তহবিলের আওতায় পরিচালিত হয়, তাই পিএসআর প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তা ছিল একটি আনুষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতামাত্র।

আগস্টের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে যখন একের পর এক সংকটের ঢেউ ওঠে, তখন অনেক ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে পারেনি গ্রাহকের আস্থা। নগদ অর্থসংকটে হিমশিম খায় একাধিক বেসরকারি ব্যাংক বিশেষ করে শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কোথাও চেক বাতিল, কোথাও দীর্ঘ লাইন—অনেকে নিজের জমানো টাকায় হাত দিতে পারছিলেন না...
০৮ মে ২০২৫
ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী হক চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা। সেখানেই নতুন দাম নির্ধারণ হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়। নতুন দাম আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
গত অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। আজ রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) নভেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির চিত্র প্রকাশ করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারের আপত্তির পর ভোজ্যতেলের বর্ধিত দাম থেকে লিটারপ্রতি তিন টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন মিলমালিকেরা। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এর আগে সন্ধ্যায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করে তারা। সেখানেই নতুন দাম নির্ধারণ হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়। নতুন দাম আগামীকাল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পূর্বঘোষণা ছাড়াই গত সপ্তাহের শেষ দিকে এককভাবে মিলমালিকেরা ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করেছিলেন। সে সময় লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। ওই সময় বোতলজাত প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৯৬৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৯ টাকা ও প্রতি লিটার পাম তেল ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
তবে এই দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেনে নেয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছিলেন, সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন ব্যবস্থা নেবে। পরে গত বৃহস্পতিবার ও আজ দুই দফা বৈঠক করে আবার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়।
আজকের নতুন দাম অনুসারে এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম হবে ১৯৫ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলের দাম হবে ৯৫৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৭৬ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম প্রতি লিটার ১৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সে হিসাবে সয়াবিনের বোতলজাত প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা থেকে কমিয়ে ১৯৫ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯৬৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৯৫৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর পাম তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৬৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ আগস্ট সরকার ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে নির্ধারিত দাম ছিল প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা, পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৯২২ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৯ টাকা ও পাম তেলের দাম ১৫০ টাকা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত এই দামেই তেল বিক্রি হয়েছিল।

সরকারের আপত্তির পর ভোজ্যতেলের বর্ধিত দাম থেকে লিটারপ্রতি তিন টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন মিলমালিকেরা। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এর আগে সন্ধ্যায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করে তারা। সেখানেই নতুন দাম নির্ধারণ হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়। নতুন দাম আগামীকাল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পূর্বঘোষণা ছাড়াই গত সপ্তাহের শেষ দিকে এককভাবে মিলমালিকেরা ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করেছিলেন। সে সময় লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। ওই সময় বোতলজাত প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৯৬৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৯ টাকা ও প্রতি লিটার পাম তেল ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
তবে এই দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেনে নেয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছিলেন, সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন ব্যবস্থা নেবে। পরে গত বৃহস্পতিবার ও আজ দুই দফা বৈঠক করে আবার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়।
আজকের নতুন দাম অনুসারে এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম হবে ১৯৫ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলের দাম হবে ৯৫৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৭৬ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম প্রতি লিটার ১৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সে হিসাবে সয়াবিনের বোতলজাত প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা থেকে কমিয়ে ১৯৫ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯৬৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৯৫৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর পাম তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৬৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ আগস্ট সরকার ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে নির্ধারিত দাম ছিল প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা, পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৯২২ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৯ টাকা ও পাম তেলের দাম ১৫০ টাকা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত এই দামেই তেল বিক্রি হয়েছিল।

আগস্টের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে যখন একের পর এক সংকটের ঢেউ ওঠে, তখন অনেক ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে পারেনি গ্রাহকের আস্থা। নগদ অর্থসংকটে হিমশিম খায় একাধিক বেসরকারি ব্যাংক বিশেষ করে শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কোথাও চেক বাতিল, কোথাও দীর্ঘ লাইন—অনেকে নিজের জমানো টাকায় হাত দিতে পারছিলেন না...
০৮ মে ২০২৫
ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী হক চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়েকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র (পিএসআর) প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেলওয়ে করযোগ্য সত্তা নয়, এমন বিবেচনায় এনবিআর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গত অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। আজ রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) নভেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির চিত্র প্রকাশ করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। আজ রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) নভেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির চিত্র প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের তথ্য মতে, নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি আগের মাসের তুলনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। অক্টোবর মাসে তা ছিল ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বিবিএসের হিসাব অনুসারে, নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৯ দশমিক ০৮ শতাংশ। টানা দুই মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। যেখানে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৮০ ও ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
তিন বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি বলা যেতে পারে বাড়তি করের মতো। প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই যদি সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়, এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এবং সে অনুযায়ী আয় না বাড়লে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হয় কিংবা খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হয়। মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধি কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।

গত অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। আজ রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) নভেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির চিত্র প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের তথ্য মতে, নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি আগের মাসের তুলনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। অক্টোবর মাসে তা ছিল ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বিবিএসের হিসাব অনুসারে, নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৯ দশমিক ০৮ শতাংশ। টানা দুই মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। যেখানে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৮০ ও ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
তিন বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি বলা যেতে পারে বাড়তি করের মতো। প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই যদি সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়, এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এবং সে অনুযায়ী আয় না বাড়লে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হয় কিংবা খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হয়। মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধি কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।

আগস্টের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে যখন একের পর এক সংকটের ঢেউ ওঠে, তখন অনেক ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে পারেনি গ্রাহকের আস্থা। নগদ অর্থসংকটে হিমশিম খায় একাধিক বেসরকারি ব্যাংক বিশেষ করে শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কোথাও চেক বাতিল, কোথাও দীর্ঘ লাইন—অনেকে নিজের জমানো টাকায় হাত দিতে পারছিলেন না...
০৮ মে ২০২৫
ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী হক চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়েকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র (পিএসআর) প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেলওয়ে করযোগ্য সত্তা নয়, এমন বিবেচনায় এনবিআর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সন্ধ্যায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যবসায়ীরা। সেখানেই নতুন দাম নির্ধারণ হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়। নতুন দাম আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে