
দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের যে আশঙ্কাজনক উত্থান ঘটেছে, তার সবচেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা সঞ্চিতির (প্রভিশন) বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রয়োজনীয় সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুরক্ষাকাঠামোই কার্যত দুর্বল...

আগাম ঘোষণা দিয়েও একীভূত প্রক্রিয়ায় থাকা কোনো ব্যাংকই আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রাহকের সুদসহ সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া গত সোমবার পর্যন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি।

দেশের ব্যাংক খাতে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মোট আমানত সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে ইসলামী ব্যাংক একাই সংগ্রহ করেছে ২১ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা, যা শতকরা হিসাবে ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

একীভূতকরণ উদ্যোগে এবার সম্মতি জানিয়েছে ইউনিয়ন ব্যাংক। আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে আয়োজিত বৈঠকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান এম ফরিদ উদ্দীন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। বৈঠকে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ভার্চুয়ালি অংশ নেন।