ইসলামী ব্যাংকে লুট
ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ ইউনিটেক্স। ১৯৮০ সালে ব্যবসা শুরু করেন গ্রুপটির কর্ণধার মো. হানিফ চৌধুরী। প্রথমে তৈরি পোশাক, পরে টেক্সটাইল, স্পিনিং, গ্যাস, সিনথেটিক খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয় ইউনিটেক্স গ্রুপ। ব্যবসা পরিচালনা করতে মো. হানিফ চৌধুরী প্রয়োজনীয় ঋণও নিয়েছিলেন কয়েকটি ব্যাংক থেকে।
তবে ব্যাংকিং খাতে ইউনিটেক্সের আধিপত্য শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে; হানিফ চৌধুরীর ছেলে বেলাল আহমেদের সঙ্গে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মেয়ের বিয়ের পর।
ওই সময় প্রতিষ্ঠানটি শত শত কোটি টাকা ঋণ নিতে থাকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে। বিশেষ করে ইসলামী ব্যাংকে এস আলমের মালিকানা প্রতিষ্ঠার পর ব্যাংকটি থেকে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা লোপাট করেছে গ্রুপটি। এ ছাড়া রূপালী ব্যাংক থেকে ৩২৬ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ৪৭ কোটি এবং এক্সিম ব্যাংকের ৪০ কোটি মিলিয়ে গ্রুপটির ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা।
গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এস আলম পরিবারের মতো গা ঢাকা দিয়েছেন ইউনিটেক্সের কর্ণধারেরাও।
এরপর খারাপ হতে শুরু করে গ্রুপটির ঋণমান। ইতিমধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের দেওয়া ঋণের ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এমনকি ঋণের টাকা উদ্ধারে গ্রুপটির বন্ধক রাখা স্থাপনাসহ সম্পত্তি নিলামে তুলেছে ব্যাংকটি। যদিও এই সম্পত্তি (৬২ দশমিক ৭৫ একর) বিক্রি করে ঋণের ২ শতাংশ (৮৩ কোটি) টাকাও উদ্ধার করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শ্বশুরের প্রভাব খাটিয়ে বেলাল আহমেদ ইসলামী ব্যাংক থেকে এই ঋণ হাতিয়ে নেন। ঋণ বিতরণে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। ঋণের তুলনায় বন্ধকি সম্পত্তি খুবই অপ্রতুল। তাই ঋণের টাকা আদায়ে বড় ঝুঁকিতে রয়েছে ব্যাংক।
ইসলামী ব্যাংকের ঋণের মধ্যে ইউনিটেক্স স্টিলের নামে ৮১৪ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে ব্যাংকটির পাহাড়তলী শাখা থেকে। শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ইউনিটেক্স স্টিলের ঋণ অনুমোদন হয় ২০২২ সালে। ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৩৮৮ কোটি ৫০ লাখ ফান্ডেড এবং ৩০০ কোটি টাকার নন-ফান্ডেড (যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র) অর্থাৎ ৪২৬ কোটি টাকার দায় তৈরি হয়েছে।
তবে আজকের পত্রিকা'র অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৮১৪ কোটি টাকা ঋণ নিলেও ইউনিটেক্স স্টিল এখনো একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির নামে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ১৮৮০ শতক জমি কেনা হলেও সেখানে কোনো কারখানা গড়ে ওঠেনি। ঋণের বিপরীতে ওই জমিগুলোই কোলাটারেল (বন্ধক) দেওয়া হয়েছে ব্যাংকে, যা বিক্রি করে সর্বোচ্চ ২৮ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এ ছাড়া বন্ধক রাখা জমিগুলো কেনা হয়েছে ২০২২ সালে। অর্থাৎ কারখানা তৈরি ও জমি কেনার আগেই কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণ করেছে ইসলামী ব্যাংক।
ইসলামী ব্যাংক পাহাড়তলী শাখার ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান সরকার বলেন, ‘কারখানা স্থাপনের আগেই প্রতিষ্ঠানটিতে বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঋণের টাকা উদ্ধারে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির বন্ধক রাখা সম্পত্তি নিলামে তুলেছি। একই সঙ্গে ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।’
ইউনিটেক্স গ্রুপের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ঋণ নিয়ে জমি কিনেছি। আমাদের এই প্রকল্প চলমান। এখনো শেষ হয়নি। তার মধ্যে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। অর্থায়নের অভাবে চলমান প্রকল্প বন্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠান খেলাপি হওয়ায় আমাদের পুরো গ্রুপের ওপর প্রভাব পড়বে।’
গ্রুপটির বাকি তিন প্রতিষ্ঠানের নামে ২ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের ওআর নিজাম রোড শাখা থেকে। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিটেক্সে এলপি গ্যাসে ২ হাজার ২৩ কোটি, ইউনিটেক্স কম্পোজিট স্পিনিংয়ে ৬০৭ কোটি এবং এবং ইউনিটেক্স গ্র্যান্ড স্পিনিংয়ে ২৯৩ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠান তিনটির কোলাটারেল (স্থাপনাসহ জমি) খুবই নগণ্য, যা বিক্রি করে সর্বোচ্চ ৫৫ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, এস আলমের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক ওআর নিজাম রোড শাখা থেকে প্রথম ঋণ নেয় ইউনিটেক্স। প্রথম দিকে নেওয়া কম্পোজিট স্পিনিং ও এলপি গ্যাসের ঋণটিতে কিছুটা হলেও নিয়মনীতি মানা হয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালে গ্র্যান্ড স্পিনিংয়ের নামে নেওয়া ঋণে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি।
গ্র্যান্ড স্পিনিংয়ে ইতিমধ্যে ২৯৩ কোটি টাকা ঋণ ছাড় হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির কারখানার এখনো একতলা নির্মাণ শেষ হয়নি। অথচ কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ফাইন্যান্স করলেও কারখানা নির্মাণের আগে ফান্ডেড ঋণ ছাড়ের কোনো সুযোগ নেই। এমনকি গ্র্যান্ড স্পিনিংয়ে ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার বিপরীতে কোলাটারেল মাত্র ৪ কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রথম দিকে নেওয়া ইউনিটেক্স কম্পোজিট স্পিনিং ও এলপি গ্যাসে গ্রুপটির চেয়ারম্যান মো. হানিফ চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বেলাল আহমেদের নাম রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি নেওয়া দুই প্রতিষ্ঠান ইউনিটেক্স স্টিল ও গ্র্যান্ড স্পিনিংয়ে মালিকানা দেখানো হয়েছে তাঁদের আত্মীয়স্বজনকে। যদিও এসব ঋণের সরাসরি বেনিফিশিয়ারি হানিফ ও বেলাল। মূলত ঋণের দায় এড়াতে তাঁরা এ কৌশল অবলম্বন করেছেন বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কোম্পানিগুলোতে নাম রয়েছে বেলালের স্ত্রী মাইমুনা খানম (এস আলমের মেয়ে), চাচা আব্দুল আজিজ, ফুফা শহীদুল্লাহ কাইছার, কাজিন সৈয়দ মশিউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ মহিউদ্দিন আহমেদ ও মো. মোহাইমেনুল ইসলাম চৌধুরী।
ইউনিটেক্স গ্রুপের কর্ণধারদের মধ্যে বেলাল আহমেদ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রী মাইমুনা খানম (এস আলমের মেয়ে) গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
ইউনিটেক্স গ্রুপের ঋণ প্রদানে যে কোনো নিয়মনীতি মানা হয়নি তার চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনেও। ওআর নিজাম রোড শাখা থেকে দেওয়া ইউনিটেক্স কম্পোজিট স্পিনিং, এলপি গ্যাস এবং গ্র্যান্ড স্পিনিংয়ের ঋণ পর্যালোচনা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের ঋণ আবেদন, মঞ্জুরি, বিতরণ, লেনদেন, বার্ষিক টার্নওভার, আর্থিক প্রতিবেদন, আয়কর বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রয়োজনের তুলনায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অতিরিক্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে। যে বিনিয়োগ ফান্ড ডাইভার্ট করার আশঙ্কা রয়েছে।
২০১৭ সাল থেকে ঋণ দেওয়া হলেও ইউনিটেক্সের চেয়ারম্যান মো. হানিফ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল আহমেদ ও পরিচালক মাইমুনা খানমের অনুকূলে দেওয়া ঋণের তথ্য সিআইবিতে রিপোর্ট করা হয়নি।
ঋণের বিপরীতে প্রতিষ্ঠান তিনটির মর্টগেজ করা সহায়ক জামানতে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মূল্যায়ন করা হয়েছে।
কোনো ধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ১১৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গ্র্যান্ড স্পিনিংকে। এমনকি কারখানা প্রতিষ্ঠার আগেই প্রতিষ্ঠানটিকে ২৯৩ কোটি টাকা ঋণছাড় করেছে ব্যাংক।
ইউনিটেক্স গ্রুপের জিএম (ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ মোস্তাক বলেন, ‘৪৫ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে আসছে ইউনিটেক্স গ্রুপ। ৫ আগস্টের আগে আমাদের ঋণখেলাপি হওয়ার রেকর্ড নেই। এস আলম পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তার কারণে আমাদের ওপর চাপ দেওয়া হলে পুরো ইউনিটেক্স গ্রুপই বিপাকে পড়বে। ঝুঁকিতে পড়বে ব্যাংক ও গ্রুপের বিনিয়োগ। কর্মসংস্থান হারাবে কয়েক হাজার লোক, যা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখকর নয়। বিনিয়োগ সুবিধা অব্যাহত রেখে ব্যবসার সুযোগ দেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারী ব্যাংক ও সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।’
ইউনিটেক্স গ্রুপের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউনিগ্যাস’ নামে বাজারজাত হওয়া ইউনিটেক্স এলপি গ্যাসের চট্টগ্রাম ও বগুড়ায় দুটি প্ল্যান্ট রয়েছে। প্ল্যান্ট দুটির সর্বোচ্চ সক্ষমতা ৫ হাজার ১৫০ টন। প্ল্যান্ট দুটি নির্মাণসহ ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রয়োজন। কিন্তু কোম্পানিটির নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ হাতিয়ে নিয়েছে গ্রুপটি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম।
ব্যাংকটির তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ নামে-বেনামে ও তাঁদের স্বজনেরা মিলে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা একাই বের করে নিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে এস আলম পরিবার ও তাঁর স্বজনেরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
আরও খবর পড়ুন:

চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ ইউনিটেক্স। ১৯৮০ সালে ব্যবসা শুরু করেন গ্রুপটির কর্ণধার মো. হানিফ চৌধুরী। প্রথমে তৈরি পোশাক, পরে টেক্সটাইল, স্পিনিং, গ্যাস, সিনথেটিক খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয় ইউনিটেক্স গ্রুপ। ব্যবসা পরিচালনা করতে মো. হানিফ চৌধুরী প্রয়োজনীয় ঋণও নিয়েছিলেন কয়েকটি ব্যাংক থেকে।
তবে ব্যাংকিং খাতে ইউনিটেক্সের আধিপত্য শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে; হানিফ চৌধুরীর ছেলে বেলাল আহমেদের সঙ্গে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মেয়ের বিয়ের পর।
ওই সময় প্রতিষ্ঠানটি শত শত কোটি টাকা ঋণ নিতে থাকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে। বিশেষ করে ইসলামী ব্যাংকে এস আলমের মালিকানা প্রতিষ্ঠার পর ব্যাংকটি থেকে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা লোপাট করেছে গ্রুপটি। এ ছাড়া রূপালী ব্যাংক থেকে ৩২৬ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ৪৭ কোটি এবং এক্সিম ব্যাংকের ৪০ কোটি মিলিয়ে গ্রুপটির ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা।
গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এস আলম পরিবারের মতো গা ঢাকা দিয়েছেন ইউনিটেক্সের কর্ণধারেরাও।
এরপর খারাপ হতে শুরু করে গ্রুপটির ঋণমান। ইতিমধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের দেওয়া ঋণের ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এমনকি ঋণের টাকা উদ্ধারে গ্রুপটির বন্ধক রাখা স্থাপনাসহ সম্পত্তি নিলামে তুলেছে ব্যাংকটি। যদিও এই সম্পত্তি (৬২ দশমিক ৭৫ একর) বিক্রি করে ঋণের ২ শতাংশ (৮৩ কোটি) টাকাও উদ্ধার করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শ্বশুরের প্রভাব খাটিয়ে বেলাল আহমেদ ইসলামী ব্যাংক থেকে এই ঋণ হাতিয়ে নেন। ঋণ বিতরণে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। ঋণের তুলনায় বন্ধকি সম্পত্তি খুবই অপ্রতুল। তাই ঋণের টাকা আদায়ে বড় ঝুঁকিতে রয়েছে ব্যাংক।
ইসলামী ব্যাংকের ঋণের মধ্যে ইউনিটেক্স স্টিলের নামে ৮১৪ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে ব্যাংকটির পাহাড়তলী শাখা থেকে। শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ইউনিটেক্স স্টিলের ঋণ অনুমোদন হয় ২০২২ সালে। ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৩৮৮ কোটি ৫০ লাখ ফান্ডেড এবং ৩০০ কোটি টাকার নন-ফান্ডেড (যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র) অর্থাৎ ৪২৬ কোটি টাকার দায় তৈরি হয়েছে।
তবে আজকের পত্রিকা'র অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৮১৪ কোটি টাকা ঋণ নিলেও ইউনিটেক্স স্টিল এখনো একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির নামে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ১৮৮০ শতক জমি কেনা হলেও সেখানে কোনো কারখানা গড়ে ওঠেনি। ঋণের বিপরীতে ওই জমিগুলোই কোলাটারেল (বন্ধক) দেওয়া হয়েছে ব্যাংকে, যা বিক্রি করে সর্বোচ্চ ২৮ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এ ছাড়া বন্ধক রাখা জমিগুলো কেনা হয়েছে ২০২২ সালে। অর্থাৎ কারখানা তৈরি ও জমি কেনার আগেই কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণ করেছে ইসলামী ব্যাংক।
ইসলামী ব্যাংক পাহাড়তলী শাখার ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান সরকার বলেন, ‘কারখানা স্থাপনের আগেই প্রতিষ্ঠানটিতে বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঋণের টাকা উদ্ধারে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির বন্ধক রাখা সম্পত্তি নিলামে তুলেছি। একই সঙ্গে ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।’
ইউনিটেক্স গ্রুপের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ঋণ নিয়ে জমি কিনেছি। আমাদের এই প্রকল্প চলমান। এখনো শেষ হয়নি। তার মধ্যে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। অর্থায়নের অভাবে চলমান প্রকল্প বন্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠান খেলাপি হওয়ায় আমাদের পুরো গ্রুপের ওপর প্রভাব পড়বে।’
গ্রুপটির বাকি তিন প্রতিষ্ঠানের নামে ২ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের ওআর নিজাম রোড শাখা থেকে। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিটেক্সে এলপি গ্যাসে ২ হাজার ২৩ কোটি, ইউনিটেক্স কম্পোজিট স্পিনিংয়ে ৬০৭ কোটি এবং এবং ইউনিটেক্স গ্র্যান্ড স্পিনিংয়ে ২৯৩ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠান তিনটির কোলাটারেল (স্থাপনাসহ জমি) খুবই নগণ্য, যা বিক্রি করে সর্বোচ্চ ৫৫ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, এস আলমের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক ওআর নিজাম রোড শাখা থেকে প্রথম ঋণ নেয় ইউনিটেক্স। প্রথম দিকে নেওয়া কম্পোজিট স্পিনিং ও এলপি গ্যাসের ঋণটিতে কিছুটা হলেও নিয়মনীতি মানা হয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালে গ্র্যান্ড স্পিনিংয়ের নামে নেওয়া ঋণে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি।
গ্র্যান্ড স্পিনিংয়ে ইতিমধ্যে ২৯৩ কোটি টাকা ঋণ ছাড় হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির কারখানার এখনো একতলা নির্মাণ শেষ হয়নি। অথচ কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ফাইন্যান্স করলেও কারখানা নির্মাণের আগে ফান্ডেড ঋণ ছাড়ের কোনো সুযোগ নেই। এমনকি গ্র্যান্ড স্পিনিংয়ে ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার বিপরীতে কোলাটারেল মাত্র ৪ কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রথম দিকে নেওয়া ইউনিটেক্স কম্পোজিট স্পিনিং ও এলপি গ্যাসে গ্রুপটির চেয়ারম্যান মো. হানিফ চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বেলাল আহমেদের নাম রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি নেওয়া দুই প্রতিষ্ঠান ইউনিটেক্স স্টিল ও গ্র্যান্ড স্পিনিংয়ে মালিকানা দেখানো হয়েছে তাঁদের আত্মীয়স্বজনকে। যদিও এসব ঋণের সরাসরি বেনিফিশিয়ারি হানিফ ও বেলাল। মূলত ঋণের দায় এড়াতে তাঁরা এ কৌশল অবলম্বন করেছেন বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কোম্পানিগুলোতে নাম রয়েছে বেলালের স্ত্রী মাইমুনা খানম (এস আলমের মেয়ে), চাচা আব্দুল আজিজ, ফুফা শহীদুল্লাহ কাইছার, কাজিন সৈয়দ মশিউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ মহিউদ্দিন আহমেদ ও মো. মোহাইমেনুল ইসলাম চৌধুরী।
ইউনিটেক্স গ্রুপের কর্ণধারদের মধ্যে বেলাল আহমেদ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রী মাইমুনা খানম (এস আলমের মেয়ে) গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
ইউনিটেক্স গ্রুপের ঋণ প্রদানে যে কোনো নিয়মনীতি মানা হয়নি তার চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনেও। ওআর নিজাম রোড শাখা থেকে দেওয়া ইউনিটেক্স কম্পোজিট স্পিনিং, এলপি গ্যাস এবং গ্র্যান্ড স্পিনিংয়ের ঋণ পর্যালোচনা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের ঋণ আবেদন, মঞ্জুরি, বিতরণ, লেনদেন, বার্ষিক টার্নওভার, আর্থিক প্রতিবেদন, আয়কর বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রয়োজনের তুলনায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অতিরিক্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে। যে বিনিয়োগ ফান্ড ডাইভার্ট করার আশঙ্কা রয়েছে।
২০১৭ সাল থেকে ঋণ দেওয়া হলেও ইউনিটেক্সের চেয়ারম্যান মো. হানিফ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল আহমেদ ও পরিচালক মাইমুনা খানমের অনুকূলে দেওয়া ঋণের তথ্য সিআইবিতে রিপোর্ট করা হয়নি।
ঋণের বিপরীতে প্রতিষ্ঠান তিনটির মর্টগেজ করা সহায়ক জামানতে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মূল্যায়ন করা হয়েছে।
কোনো ধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ১১৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গ্র্যান্ড স্পিনিংকে। এমনকি কারখানা প্রতিষ্ঠার আগেই প্রতিষ্ঠানটিকে ২৯৩ কোটি টাকা ঋণছাড় করেছে ব্যাংক।
ইউনিটেক্স গ্রুপের জিএম (ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ মোস্তাক বলেন, ‘৪৫ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে আসছে ইউনিটেক্স গ্রুপ। ৫ আগস্টের আগে আমাদের ঋণখেলাপি হওয়ার রেকর্ড নেই। এস আলম পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তার কারণে আমাদের ওপর চাপ দেওয়া হলে পুরো ইউনিটেক্স গ্রুপই বিপাকে পড়বে। ঝুঁকিতে পড়বে ব্যাংক ও গ্রুপের বিনিয়োগ। কর্মসংস্থান হারাবে কয়েক হাজার লোক, যা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখকর নয়। বিনিয়োগ সুবিধা অব্যাহত রেখে ব্যবসার সুযোগ দেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারী ব্যাংক ও সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।’
ইউনিটেক্স গ্রুপের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউনিগ্যাস’ নামে বাজারজাত হওয়া ইউনিটেক্স এলপি গ্যাসের চট্টগ্রাম ও বগুড়ায় দুটি প্ল্যান্ট রয়েছে। প্ল্যান্ট দুটির সর্বোচ্চ সক্ষমতা ৫ হাজার ১৫০ টন। প্ল্যান্ট দুটি নির্মাণসহ ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রয়োজন। কিন্তু কোম্পানিটির নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ হাতিয়ে নিয়েছে গ্রুপটি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম।
ব্যাংকটির তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ নামে-বেনামে ও তাঁদের স্বজনেরা মিলে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকা একাই বের করে নিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে এস আলম পরিবার ও তাঁর স্বজনেরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
আরও খবর পড়ুন:

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৬ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ ইউনিটেক্স। ১৯৮০ সালে ব্যবসা শুরু করেন গ্রুপটির কর্ণধার মো. হানিফ চৌধুরী। প্রথমে তৈরি পোশাক, পরে টেক্সটাইল, স্পিনিং, গ্যাস, সিনথেটিক খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয় ইউনিটেক্স গ্রুপ।
০৪ মে ২০২৫
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৮ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ ইউনিটেক্স। ১৯৮০ সালে ব্যবসা শুরু করেন গ্রুপটির কর্ণধার মো. হানিফ চৌধুরী। প্রথমে তৈরি পোশাক, পরে টেক্সটাইল, স্পিনিং, গ্যাস, সিনথেটিক খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয় ইউনিটেক্স গ্রুপ।
০৪ মে ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ ইউনিটেক্স। ১৯৮০ সালে ব্যবসা শুরু করেন গ্রুপটির কর্ণধার মো. হানিফ চৌধুরী। প্রথমে তৈরি পোশাক, পরে টেক্সটাইল, স্পিনিং, গ্যাস, সিনথেটিক খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয় ইউনিটেক্স গ্রুপ।
০৪ মে ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৬ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৮ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ ইউনিটেক্স। ১৯৮০ সালে ব্যবসা শুরু করেন গ্রুপটির কর্ণধার মো. হানিফ চৌধুরী। প্রথমে তৈরি পোশাক, পরে টেক্সটাইল, স্পিনিং, গ্যাস, সিনথেটিক খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয় ইউনিটেক্স গ্রুপ।
০৪ মে ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৬ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৮ ঘণ্টা আগে