মধুপুরের শালবন
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবন একদা ভেষজ-গুল্মলতা আর প্রাণবৈচিত্র্যে পূর্ণ থাকলেও আজ আনারস, কলা ও ক্ষতিকর আকাশমণি-ইউক্যালিপটাসের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিকর কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী প্রকল্প ও বাগানের চাপে বন তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মধুপুর শালবনে ৪৫ হাজার ৫৬৫ দশমিক ৩৮ একর বনভূমি রয়েছে। শাল, সেগুন, গর্জন, গামারিসহ বহু প্রজাতির বৃক্ষ আর ভেষজ-গুল্মলতায় পূর্ণ ঘন বন নানা প্রাণীতে পরিপূর্ণ ছিল। সেই বন আজ বৃক্ষশূন্য। বন বিভাগের তথ্যমতে, টাঙ্গাইলের বনাঞ্চলের ৪১০ প্রজাতির গাছপালা ও ভেষজ-গুল্মলতা হারিয়ে গেছে। বনবাসী অজয় এ মৃ-এর মতে, গহিন এই বনে একসময় ৬৩ প্রজাতির ঔষধি গাছ ছিল। এর মধ্যে অর্জুন, বুনো ডুমুর, মনকাটা, জংলি খেজুর, দামন, তিতিজাম, কাশি গোটা, তিত ফল, দুধ কুরুজ, শতমূল, জারুল, পলাশ, তোফা, নাসিন ও গান্ধী গজারির মতো দেশীয় প্রজাতির গাছ ছিল। বর্তমানে ৪০ প্রজাতির বৃক্ষরাজির অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে আরবোরেটাম (উদ্ভিদবিদ্যা অনুশীলনের উপযোগী উদ্যান) স্থাপন করে হারিয়ে যাওয়া বৃক্ষরাজি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বনে একসময় নিরাপদে থাকত অসংখ্য মায়া ও চিতল হরিণ। এ ছাড়া বানর, হনুমান, চিতাবাঘ, বাঘডাশা, জংলি শূকর, সাপ, বনবিড়াল, শিয়াল, শজারু, খরগোশ, উদ, গুইসাপ ও বনমোরগের লক্ষণীয় বিচরণ ছিল। বর্তমানে কিছু বানর, হনুমান, মায়া হরিণ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর বিচরণ দেখা যায় না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই মধুপুর বনের গাছ লোপাট আর বনভূমি দখলের পাঁয়তারা শুরু করে প্রভাবশালীরা। কাঠ পাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকলে মধুপুরের অনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি ছাত্রসংগঠন বন রক্ষার আন্দোলন গড়ে তোলে। ওই আন্দোলনের পর বন আইন সংশোধনসহ নানা পদক্ষেপে বনবৃক্ষ লুট কিছুটা থামলেও পরে সরকারি অপরিণামদর্শী প্রকল্প বন ধ্বংসের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সামাজিক বনায়নের নামে প্লট বরাদ্দ পেয়েই প্রতি রাতে গাছ পাচার আর দিনে আকাশমণি-ইউক্যালিপটাস সৃজনে লিপ্ত হন স্থানীয় বাসিন্দা ও বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
টাঙ্গাইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হক বলেন, একসময় বন কর্মকর্তা, পুলিশ, রাজনৈতিক দলের নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা যৌথভাবে বনের গাছ লুট করেছেন। এখনো বন বিভাগের সহায়তায় বনভূমি দখল উৎসব চলমান।
বন গবেষক অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন জানান, বন শেষ হয়েছে সরকারের ভুল পদক্ষেপের কারণে। এতে সুবিধা নিয়েছে বন বিভাগ আর একশ্রেণির প্রভাবশালী। ১৯৮৬ সালে রাবারবাগান সৃজন করা হয়েছে গজারি বন ধ্বংস করে। এডিবির অর্থায়নে ১৯৯০ সালে থানা বনায়ন ও নার্সারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ভেষজ-গুল্মলতায় ভরা বাগান শেষ করে কৃত্রিম বনায়ন করে। তারপর উডলট ও অ্যাগ্রোফরেস্ট্রি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক কাঠ পাচার হয়। ২০০১-০৩ পর্যন্ত অর্থসংকটে বন বিভাগের কার্যক্রমে স্থবিরতার সময় কলা আর আনারস বাগানে পরিণত হয় পুরো বনাঞ্চল।
কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের হিসাব অনুসারে, মধুপুর বনাঞ্চলে ৬ হাজার ৬৩০ হেক্টরে আনারস, ২ হাজার ৬৮৫ হেক্টরে কলা, ৫৭৫ হেক্টরে পেঁপে, ৫৫০ হেক্টরে পেয়ারা, ২১৭ হেক্টরে লেবু, ৭০ হেক্টরে ড্রাগন আর প্রায় ১ হাজার হেক্টরে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করা হয়, যাতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। ফলে সেই ফসল প্রাণীরা খেতে না পেয়ে খাদ্যসংকটে পড়ছে।
বেরীবাইদ এলাকার লিটন সরকার জানান, খাদ্যের অভাবে বানরের দল লোকালয়ে রাস্তার পাশে এসে অনেক সময় মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে।
এ নিয়ে কথা হলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, মধুপুর বনাঞ্চলের ৪ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে সামাজিক বনায়ন করা হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে সামাজিক বনায়নের আওতায় সৃজিত বাগান শালবনে রূপান্তর করা হবে। একই সঙ্গে তা ভেষজ-গুল্মলতায় পরিপূর্ণ করে প্রাণবৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনা হবে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবন একদা ভেষজ-গুল্মলতা আর প্রাণবৈচিত্র্যে পূর্ণ থাকলেও আজ আনারস, কলা ও ক্ষতিকর আকাশমণি-ইউক্যালিপটাসের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিকর কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী প্রকল্প ও বাগানের চাপে বন তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মধুপুর শালবনে ৪৫ হাজার ৫৬৫ দশমিক ৩৮ একর বনভূমি রয়েছে। শাল, সেগুন, গর্জন, গামারিসহ বহু প্রজাতির বৃক্ষ আর ভেষজ-গুল্মলতায় পূর্ণ ঘন বন নানা প্রাণীতে পরিপূর্ণ ছিল। সেই বন আজ বৃক্ষশূন্য। বন বিভাগের তথ্যমতে, টাঙ্গাইলের বনাঞ্চলের ৪১০ প্রজাতির গাছপালা ও ভেষজ-গুল্মলতা হারিয়ে গেছে। বনবাসী অজয় এ মৃ-এর মতে, গহিন এই বনে একসময় ৬৩ প্রজাতির ঔষধি গাছ ছিল। এর মধ্যে অর্জুন, বুনো ডুমুর, মনকাটা, জংলি খেজুর, দামন, তিতিজাম, কাশি গোটা, তিত ফল, দুধ কুরুজ, শতমূল, জারুল, পলাশ, তোফা, নাসিন ও গান্ধী গজারির মতো দেশীয় প্রজাতির গাছ ছিল। বর্তমানে ৪০ প্রজাতির বৃক্ষরাজির অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে আরবোরেটাম (উদ্ভিদবিদ্যা অনুশীলনের উপযোগী উদ্যান) স্থাপন করে হারিয়ে যাওয়া বৃক্ষরাজি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বনে একসময় নিরাপদে থাকত অসংখ্য মায়া ও চিতল হরিণ। এ ছাড়া বানর, হনুমান, চিতাবাঘ, বাঘডাশা, জংলি শূকর, সাপ, বনবিড়াল, শিয়াল, শজারু, খরগোশ, উদ, গুইসাপ ও বনমোরগের লক্ষণীয় বিচরণ ছিল। বর্তমানে কিছু বানর, হনুমান, মায়া হরিণ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর বিচরণ দেখা যায় না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই মধুপুর বনের গাছ লোপাট আর বনভূমি দখলের পাঁয়তারা শুরু করে প্রভাবশালীরা। কাঠ পাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকলে মধুপুরের অনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি ছাত্রসংগঠন বন রক্ষার আন্দোলন গড়ে তোলে। ওই আন্দোলনের পর বন আইন সংশোধনসহ নানা পদক্ষেপে বনবৃক্ষ লুট কিছুটা থামলেও পরে সরকারি অপরিণামদর্শী প্রকল্প বন ধ্বংসের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সামাজিক বনায়নের নামে প্লট বরাদ্দ পেয়েই প্রতি রাতে গাছ পাচার আর দিনে আকাশমণি-ইউক্যালিপটাস সৃজনে লিপ্ত হন স্থানীয় বাসিন্দা ও বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
টাঙ্গাইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হক বলেন, একসময় বন কর্মকর্তা, পুলিশ, রাজনৈতিক দলের নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা যৌথভাবে বনের গাছ লুট করেছেন। এখনো বন বিভাগের সহায়তায় বনভূমি দখল উৎসব চলমান।
বন গবেষক অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন জানান, বন শেষ হয়েছে সরকারের ভুল পদক্ষেপের কারণে। এতে সুবিধা নিয়েছে বন বিভাগ আর একশ্রেণির প্রভাবশালী। ১৯৮৬ সালে রাবারবাগান সৃজন করা হয়েছে গজারি বন ধ্বংস করে। এডিবির অর্থায়নে ১৯৯০ সালে থানা বনায়ন ও নার্সারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ভেষজ-গুল্মলতায় ভরা বাগান শেষ করে কৃত্রিম বনায়ন করে। তারপর উডলট ও অ্যাগ্রোফরেস্ট্রি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক কাঠ পাচার হয়। ২০০১-০৩ পর্যন্ত অর্থসংকটে বন বিভাগের কার্যক্রমে স্থবিরতার সময় কলা আর আনারস বাগানে পরিণত হয় পুরো বনাঞ্চল।
কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের হিসাব অনুসারে, মধুপুর বনাঞ্চলে ৬ হাজার ৬৩০ হেক্টরে আনারস, ২ হাজার ৬৮৫ হেক্টরে কলা, ৫৭৫ হেক্টরে পেঁপে, ৫৫০ হেক্টরে পেয়ারা, ২১৭ হেক্টরে লেবু, ৭০ হেক্টরে ড্রাগন আর প্রায় ১ হাজার হেক্টরে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করা হয়, যাতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। ফলে সেই ফসল প্রাণীরা খেতে না পেয়ে খাদ্যসংকটে পড়ছে।
বেরীবাইদ এলাকার লিটন সরকার জানান, খাদ্যের অভাবে বানরের দল লোকালয়ে রাস্তার পাশে এসে অনেক সময় মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে।
এ নিয়ে কথা হলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, মধুপুর বনাঞ্চলের ৪ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে সামাজিক বনায়ন করা হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে সামাজিক বনায়নের আওতায় সৃজিত বাগান শালবনে রূপান্তর করা হবে। একই সঙ্গে তা ভেষজ-গুল্মলতায় পরিপূর্ণ করে প্রাণবৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনা হবে।

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৮ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৭ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবন একদা ভেষজ-গুল্মলতা আর প্রাণবৈচিত্র্যে পূর্ণ থাকলেও আজ আনারস, কলা ও ক্ষতিকর আকাশমণি-ইউক্যালিপটাসের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিকর কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী প্রকল্প ও বাগানের চাপে বন তা
২৬ মে ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৭ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবন একদা ভেষজ-গুল্মলতা আর প্রাণবৈচিত্র্যে পূর্ণ থাকলেও আজ আনারস, কলা ও ক্ষতিকর আকাশমণি-ইউক্যালিপটাসের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিকর কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী প্রকল্প ও বাগানের চাপে বন তা
২৬ মে ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৮ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবন একদা ভেষজ-গুল্মলতা আর প্রাণবৈচিত্র্যে পূর্ণ থাকলেও আজ আনারস, কলা ও ক্ষতিকর আকাশমণি-ইউক্যালিপটাসের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিকর কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী প্রকল্প ও বাগানের চাপে বন তা
২৬ মে ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৮ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৭ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

টাঙ্গাইলের মধুপুরের শালবন একদা ভেষজ-গুল্মলতা আর প্রাণবৈচিত্র্যে পূর্ণ থাকলেও আজ আনারস, কলা ও ক্ষতিকর আকাশমণি-ইউক্যালিপটাসের বাগানে পরিণত হয়েছে। এতে করে প্রাণিকুলের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতিকর কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বহু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অপরিণামদর্শী প্রকল্প ও বাগানের চাপে বন তা
২৬ মে ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৮ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৭ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে