Ajker Patrika

মধ্যনগরে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েই পরাজিত প্রার্থীর ওপর হামলা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৪, ২২: ০৬
মধ্যনগরে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েই পরাজিত প্রার্থীর ওপর হামলা

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দাতিয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাজ্জাক ভূঁইয়া রংপুর পুলিশের ডিআইজি আব্দুল বাতেনের ভাই। 

গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনে জয়লাভ করেন রংপুর পুলিশের ডিআইজি আব্দুল বাতেনের ভাই আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া। নির্বাচনের ফলাফলের ৪৮ ঘণ্টা না পেরোতেই শুক্রবার বিকেল তাঁর নির্দেশে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া ও পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। 

এ সময় রামদার কোপে পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমান (৬০), তাঁর ছেলে আরিফুর রহমান ঝিনুক (২৭), প্রার্থীর ভাই আজিজুর রহমান (৫৫), ভাগনে কামাল মিয়া (৪০), রানা আহমেদ (১৮) সহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য একজন নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমান নিজ বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে কয়েকজন কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন। এ সময় বিজয়ী প্রার্থী মো. আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়ার ভাতিজা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। 

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সুনামগঞ্জের নতুন উপজেলা হিসেবে প্রথমবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় মধ্যনগরে। এ নির্বাচনকে ঘিরে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা জমা দেন ৮ জন। কিন্তু নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আলোচনায় ছিলেন ডিআইজির আব্দুল বাতেনের ভাই আব্দুর রাজ্জাক ও অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমান। নির্বাচনে সময় প্রার্থী সাইদুর রহমান নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নিজ বাড়িতে এসে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেনের প্রভাব বিস্তার, মসজিদে ভোট চেয়ে খাবার বিতরণ এবং টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ দায়ের করেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন ডিআইজি আবদুল বাতেন ও তাঁর ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া। 

এ ছাড়া নির্বাচনে আগের রাতে টাকা বিলি করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ডিআইজি বাতেনের ভাগনে পুলিশের এসআই সাইদুর রহমান আটক হওয়ার পর ক্ষেপে যান চেয়ারম্যান ও ডিআইজি। এতে নির্বাচনের আগের দিন থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকলেও পুলিশের ভূমিকা ছিল নীরব। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর গত বৃহস্পতিবার দলবল নিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে সাইদুর রহমান ও তাঁর পরিবারের ওপর হামলা চালান নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া। 

জয়ী পক্ষের হামলায় আহত আরও দুজন। ছবি: আজকের পত্রিকা এ ব্যাপারে আহত পরাজিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমানের ছেলে আরিফুর রহমান ঝিনুক বলেন, ‘আমার পরিবারের ৭ জনের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, আমার বাবাকে কোপানো হয়েছে আমাকে কোপানো হয়েছে। এগুলোর পেছনে চেয়ারম্যান সাহেবের লোকজন জড়িত। নির্বাচনের সময়ে ডিআইজি ও নিকটাত্মীয় এসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় চেয়ারম্যান হয়েই বড় ভাইয়ের নির্দেশে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মধ্যনগর থানা-পুলিশ ডিআইজির ভাই হওয়ায় তাঁরা বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে এখন আমাদের হয়রানি করছে।’ 

এ বিষয়ে পরাজিত চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এমন ঘটনা ঘটবে আমরা তা কল্পনাও করতে পারিনি, নির্বাচনের বিরোধ নিয়ে ডিআইজি আব্দুল বাতেন ও তার ভাই চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, আমাকে কুপিয়েছে, আমার পরিবারের লোকজনকে কুপিয়েছে, নারী শিশুর ওপর হাত তুলেছে। তাঁরা এখন ক্ষমতা দেখাবে, আমাদের প্রাণে মেরে ফেলবে। আমরা এখন ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ডিআইজির নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা আমাদের খুঁজছে। তাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।’ 

অন্যদিকে, ডিআইজি আব্দুল বাতেনের পরিবারের হামলা ঘটনা মধ্যনগর থানা-পুলিশকে অবগত করলেও থানা-পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কোনো গুরুত্ব দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন সাইদুর রহমানের ছেলে আরিফুর রহমান ঝিনুক। পরে বিষয়টি পুলিশের আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে জানালে তিনি দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। 

এ বিষয়ে মধ্যনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার নির্দেশে এ রকম কোনো হামলা চালানো হয়নি। যে সময় এই ঘটনা ঘটেছে তখন আমি এলাকায় ছিলাম না। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাইদুর রহমান আগে থেকেই আমার সঙ্গে একটি সমস্যা করতে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। ফলে তাঁরাই প্রথমে আমার এক লোককে কুপিয়ে জখম করে। আমার লোকেরা রাগান্বিত হয়ে হামলা চালালেও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁরাই এসেছিল, আমরা না।’ 

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস বলেছেন, ‘পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার কোনো প্রশ্নই আসে না। ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ধর্মাপাশা সার্কেল অফিসার ওসিসহ ২০ জন পুলিশের সদস্য যায়। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অন্য পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ এসেছে শুনেছি।’ 

ডিআইজির প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘এ রকম করার সুযোগ নেই। তিনিও একজন সম্মানিত পুলিশ কর্মকর্তা। এটা উনিও বোঝেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।

সালাহউদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১০টার সময় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আরও বলেন, কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার: বিএনপিএস

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে আজ বুধবার বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠক। ছবি: আজকের পত্রিকা
কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে আজ বুধবার বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠক। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বসবাস করা ৫৫ শতাংশ নারী ও কন্যা শিশু প্রতিনিয়ত সুরক্ষা, শিক্ষা, পুষ্টি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়শিবিরগুলোয় ৯ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।

বিএনপিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে তারা কক্সবাজারের ৩৩টি শিবিরে বসবাস করছে, যা বিশ্বে বৃহত্তম শরণার্থী আশ্রয়স্থলগুলোর একটি। এই জনগোষ্ঠীর ৫২ শতাংশের বেশি নারী ও কন্যা।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আট বছরেরও বেশি সময়ে কক্সবাজারের প্রায় ৫ লাখ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের প্রভাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠী জীবিকা, মজুরি, বন ও জলসম্পদ, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সংহতির ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছে। ফলে এটি শুধু শরণার্থী সংকট নয়; এটি মানবিকতা, উন্নয়ন এবং শান্তির এক যৌথ চ্যালেঞ্জ।

‘শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অধিকার ও দায়িত্ব’ শীর্ষক এ গোল টেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন বিএনপিএসের উপপরিচালক নাসরিন বেগম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ শামসুদ্দৌজা নয়ন। এ ছাড়া শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এম এ সানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ পরিবশে আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হুমায়রা বেগমসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা কমে এসেছে। এর ফলে সামাজিক নিরাপত্তা সংকট তৈরি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারীরা।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা, খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং ও সহিংসতা থেকে সুরক্ষার অধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর অধীনে নিশ্চিত করা নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব। একইভাবে, আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়েরও টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, সম্মানজনক কাজ এবং জনসেবায় ন্যায্য প্রবেশাধিকারের জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যবিপ্রবির প্রথম উপাচার্য রফিকুল ইসলাম মারা গেছেন

­যশোর প্রতিনিধি
মো. রফিকুল ইসলাম সরকার। ছবি: সংগৃহীত
মো. রফিকুল ইসলাম সরকার। ছবি: সংগৃহীত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার মারা গেছেন (ইন্না...রাজিউন)। আজ বুধবার সকালে ঢাকার নিজ বাসা থেকে বের হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার যবিপ্রবি স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। সেখানে তিনি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কৃষিবিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়া তিনি একজন কৃষি বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলী হিসেবে দেশের কৃষি খাতের যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকায়নে দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে কৃতিত্বের সঙ্গে অবদান রেখেছেন।

এদিকে, ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, রিজেন্টবোর্ড সদস্যবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

এক শোক বার্তায় যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, রফিকুল ইসলাম সরকার ছিলেন একজন সৎ, মানবিক, ধর্মভীরু ও দায়িত্বশীল মানুষ। যবিপ্রবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।

তিনি ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক এবং বরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী। যবিপ্রবির সূচনালগ্নে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শী পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে ভিত গড়ে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে তিনি শূন্য থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন, তা যবিপ্রবি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ২৪
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর সেতু থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমাটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে একটি ট্রাক দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এ যানজট তৈরি হয়।

এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থেকে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, ব্যক্তিগত যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লাঙ্গলবন্দ ব্রিজ এলাকায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিংয়ে সজোরে আঘাত করে। ট্রাকটিতে প্রায় ২৭ টন মালামাল বোঝাই ছিল। দুর্ঘটনায় সেতুর রেলিং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি আরও জানান, ট্রাকটিতে অতিরিক্ত মালামাল থাকায় রেকার দিয়ে সরানো সম্ভব হয়নি। ফলে প্রথমে অন্য একটি ট্রাকে মালামাল স্থানান্তরের কাজ শুরু করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লাগায় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি বিকেলের আগে সরানো যায়নি। এর ফলে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। ছবি: আজকের পত্রিকা

পণ্যবাহী ট্রাকচালক শাহ আলম জানান, দুর্ঘটনার কারণে রাস্তা বন্ধ ছিল বুঝতে পারছি। কিন্তু এত সময় লাগবে ভাবিনি। মালামাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।

আরেক যাত্রী আক্তার হোসেন বলেন, আমি চট্টগ্রামে যাচ্ছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু তিন ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় আটকে আছি। ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব বিপদে পড়েছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে। বিকেল নাগাদ মালামাল সরিয়ে ট্রাকটি সড়ক থেকে অপসারণ করা হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত