Ajker Patrika

নিখোঁজ ২ মাদ্রাসাছাত্রী উদ্ধারের কৃতিত্ব নিয়ে র‍্যাব-পুলিশ মুখোমুখি

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১: ২২
নিখোঁজ ২ মাদ্রাসাছাত্রী উদ্ধারের কৃতিত্ব নিয়ে র‍্যাব-পুলিশ মুখোমুখি

সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধারের কৃতিত্ব নিয়ে র‍্যাব-পুলিশ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেরা উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৯। তবে পুলিশ বলছে, তারাই ওই দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করেছে। 

র‍্যাব বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে নগরের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত দুই কিশোরী গোলাপগঞ্জের এক মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জের খর্দ্দাপাড়া এলাকায় মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে তারা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে গোলাপগঞ্জ থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে গতকাল রাতে তাদের উদ্ধার করা হয়। 

এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে মেয়েরা পড়ালেখা করতে আগ্রহী না। তাদের পড়ালেখা করতে ভালো লাগে না। সে জন্য তারা অন্য একজন নারীর মাধ্যমে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে ওই নারী তাদের অভিভাবককে ফোন দিয়ে জানান যে তাঁদের মেয়েদের নেওয়ার জন্য। তখন আমরা তাদের অভিভাবকসহ সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করি। এ সময় র‍্যাবও চলে আসে। তখন র‍্যাব জানায় যে তারা সারা দিন ধরে তাদের (নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্রী) ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। সে জন্য তারা তাদের নিয়ে যায় এবং রাতেই থানায় তাদের হস্তান্তর করেছে।’ 
 
র‍্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) মো. মশিহুর রহমান সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছেও তাদের পরিবার অভিযোগ জানিয়েছিল। আমরা দিনভর তাদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছি। পরে রাতে কদমতলী থেকে তাদের উদ্ধার করি। এখানে তো এ রকম হওয়ার কথা না। আমরাই তাদের উদ্ধার করে আমাদের অফিসে নিয়ে আসছি এবং রাতেই তাদের থানায় হস্তান্তর করেছি।’ 

এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমীন বলেন, ‘আসলে এটা তো ঠিক না। আমার অফিসাররা গিয়ে তাদের উদ্ধার করেছে, আর পথিমধ্যে র‍্যাব তাদের পেয়ে অফিসারদের কাছ থেকে নিয়ে যায়। পরে এখন শুনি তারা উদ্ধার করেছে বলে আপনাদের কাছে প্রেস রিলিজ পাঠিয়েছে। মেয়ে দুটিকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরগুনায় নদীভাঙন: ঝুঁকিতে আবাসন প্রকল্প, খাদ্যগুদাম

  • পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর ভাঙনে প্রায় দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে
  • ভাঙনের করাল থাবায় এরই মধ্যে ফসলি জমি, বসতঘর ও ভিটেমাটিহারা হয়েছে শত শত পরিবার
  • বামনায় নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় সরকারি আবাসন প্রকল্প ও উপজেলার একমাত্র খাদ্যগুদামটি
  • দক্ষিণ রামনা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এক-তৃতীয়াংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে
মনোতোষ হাওলাদার, বরগুনা
বরগুনার বামনার কলাগাছিয়া গ্রামে বিষখালী নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে সরকারি আবাসন প্রকল্প। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরগুনার বামনার কলাগাছিয়া গ্রামে বিষখালী নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে সরকারি আবাসন প্রকল্প। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বর্ষা মৌসুমে শেষে শুষ্ক মৌসুমেও থামছে না উপকূলীয় জেলা বরগুনার তিনটি নদীতীরের ভাঙন। অসময়ের এই ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে নদীতীরের কয়েক হাজার বাসিন্দার। জেলার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর ভাঙনে প্রায় দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। ভাঙনের করাল থাবায় এরই মধ্যে ফসলি জমি, বসতঘর ও ভিটেমাটিহারা হয়েছে শত শত পরিবার।

জেলার বামনা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে বিষখালী নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে একটি আবাসন প্রকল্প ও উপজেলার একমাত্র খাদ্যগুদামটি। দক্ষিণ রামনা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এক-তৃতীয়াংশ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যেকোনো সময় বাঁধটি পুরোপুরি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের।

জানা গেছে, বরগুনা জেলা ভেতর দিয়ে প্রমত্তা পায়রা ও বিষখালী নদী বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। এ ছাড়া পাথরঘাটা উপজেলার পূর্বে বিষখালী ও পশ্চিম পাশ দিয়ে সাগরে মিলেছে বলেশ্বর। ফলে নদীবেষ্টিত বরগুনা জেলায় সারা বছরই ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটায় বাসিন্দারা।

জেলার তিনটি নদীর ভাঙনের হুমকিতে থাকা স্থানগুলো হলো বরগুনা সদর উপজেলার ছোট বালিয়াতলী, লতাকাটা, ডালভাঙা ও পালের বালিয়াতলী; বামনা উপজেলার দক্ষিণ রামনা, চলাভাঙ্গা, কলাগাছিয়া ও চেঁচান; বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি ও মোকামিয়া; পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া, কালমেঘা, পরিঘাটা ও গোড়াপদ্মা এবং তালতলী উপজেলার নলবুনিয়া, জয়ালভাঙা ও নিশানবাড়িয়া।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব এলাকায় কাগজে-কলমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থাকলেও বাস্তবে কোনো বাঁধই অবশিষ্ট নেই। অনেক স্থানে জলোচ্ছ্বাস ঠেকাতে দায়সারাভাবে কোনোমতে রিং বাঁধ নির্মাণ করা হয়; যা জোয়ারের তোড়ে উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে।

বরগুনা সদরের পায়রাতীরের বালিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা ছগির হোসেন বলেন, ‘পায়রা প্রতিবছর আমাদের ভিটেমাটি, ফসলি জমি গিলে খাচ্ছে। আমাদের এই স্থানে বাঁধ নেই দেড় যুগ ধরে। প্রতিবছরই নতুন করে বসতঘর স্থানান্তর করতে হয়। এবার ভাঙলে আমাদের মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই থাকবে না। তখন পথে নামতে হবে। পায়রা আমাদের শেষ করে দিয়েছে।’

একই গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পায়রা নদীর অসময় ভাঙনে আমাদের বাড়িঘর হারাতে বসেছি। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু কেড়ে নিচ্ছে নদী। আমাদের এখানে প্রায় ৬০টি পরিবারকে ভাঙনের ঝুঁকিতে রেখে ৫০০ ফুট দূরত্বে একটি রিং বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বন্যার সময় দিনরাত পানিতে ভাসতে হয়। আমাদের এই স্থানে যদি জিও বালুর বস্তা ফেলা হয়, তাহলে আমরা ভাঙন থেকে রক্ষা পাব।’

বামনার রামনা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জিও ব্যাগ ধসে বিষখালী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এই স্থান দিয়ে বাঁধটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে বিলীন হতে পারে। ভাঙন এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক নাসির মিয়া বলেন, ‘গত বছর এখানে বালুভর্তি বস্তা ফেলা হয়েছিল, কিন্তু তা ছয় মাসও টেকেনি। বিষখালীর উত্তাল ঢেউয়ের কবলে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে বাঁধের যে অংশটুকু টিকে আছে, তা যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে।’

বরগুনা পাউবো কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ২২টি পোল্ডারে ৮০৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে দুই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে ৪১/১ এ, বি ও ৪১/৭ পোল্ডারের বাঁধ পুনর্বাসন, বেতাগী শহর, বিষখালী ও পায়রা নদীভাঙন প্রতিরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আরএডিপি প্রকল্পের অর্থায়নে ৮২৬ কোটি টাকা বরাদ্দে ৪৬ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া একই প্রকল্পের আওতায় আরএডিপি প্রকল্পের অর্থায়নের ৭১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ দশমিক ১৬০ কিলোমিটার টেকসই (ব্লক দিয়ে নির্মাণ) বাঁধ নির্মাণকাজ চলছে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ করা হবে বলে আশাবাদী পাউবো।

বরগুনা জেলা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘ঝড় বা অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে উপকূলের নদ-নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার হলে পানির উচ্চতা ১৫ থেকে ১৮ ফুট বৃদ্ধি পায়। জেলার বিভিন্ন নদীতীরে ষাটের দশকের দিকে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বাঁধের উচ্চতা কম থাকায় উচ্চ জোয়ারে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। উপকূলের বাসিন্দাদের ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য বাঁধ মেরামতের পাশাপাশি উচ্চতাও বাড়ানো দরকার।’

বরগুনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল হান্নান প্রধান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়েছি, বরগুনায় ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা অনেক স্থানে এরই মধ্যে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ করেছি। ভাঙনকবলিত স্থানগুলো সাময়িকভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করব। তবে ওই জায়গাগুলোতে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ করার জন্য সম্ভাব্যতা পর্যালোচনা করা হয়েছে। একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। অর্থ বরাদ্দ পেলে নতুন ওই জায়গাগুলোতেও স্থায়ী প্রতিরক্ষার কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চিড়িয়াখানা ফাঁকা করে আবার প্রাণ ফেরানোর চেষ্টায় রাসিক

  • সংস্কারের সময় কিছু প্রাণী বিক্রি ও অনুদান দেওয়া হয়েছে
  • চিড়িয়াখানার ভেতরেই নির্মাণ করা হয়েছে রিসোর্ট
  • নতুন করে চালু করা হলেও তেমন প্রাণী নেই সেখানে
 রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা পশুপাখিশূন্য। এখন আবার পশুপাখি এনে চিড়িয়াখানার প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। সে জন্য করা হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা পশুপাখিশূন্য। এখন আবার পশুপাখি এনে চিড়িয়াখানার প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। সে জন্য করা হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় একসময় উট, হায়েনা, ভালুকসহ নানা বন্য প্রাণী ছিল। এসব একে একে মারা যাওয়ার পরও অজগর, বেবুন, বানর, হনুমানসহ নানা ধরনের পশুপাখি ছিল চিড়িয়াখানায়। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে মেরে ফেলেছে এই চিড়িয়াখানা। অবমুক্ত, অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি তারা বিক্রিও করে দিয়েছে পশুপাখি। এখন আবার পশুপাখি এনে চিড়িয়াখানার প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছে রাসিক।

রাজশাহী শহরের মানুষের বিনোদনের চাহিদা পূরণে ব্রিটিশ আমলে ঘোড়দৌড় মাঠে স্বাধীনতার পর উদ্যান ও চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও জেলা প্রশাসক আবদুর রউফ। ১৯৭২ সালে শুরু হয় কার্যক্রম। প্রায় ৩৩ একর জায়গাজুড়ে এই উদ্যান করা হয়।

আগে এর নাম ছিল ‘শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা’। তবে গণ-অভ্যুত্থানের পর সাইনবোর্ডে লেখা হয়েছে, ‘রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা’। সবুজে ঘেরা পরিবেশ আর নানা প্রজাতির পশুপাখি ছিল এই উদ্যানের প্রধান আকর্ষণ। এখানে একসময় উট, হায়েনা, গাধা, বানর, ভালুকসহ বেশ কিছু বন্য প্রাণী ছিল। ভালুকের জন্য পাশাপাশি দুটি নতুন খাঁচাও নির্মাণ করা হয়েছিল। করোনাকালে সিটি করপোরেশন এর সংস্কার ও উন্নয়নকাজ শুরু করে। চিড়িয়াখানার ভেতরেই নির্মাণ করা হয় একটি রিসোর্ট। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এর ভেতরে নভোথিয়েটারও নির্মাণ করেছে।

এসব কাজ চলমান থাকায় করোনা মহামারি-পরবর্তী সময়েও দীর্ঘদিন চিড়িয়াখানাটি বন্ধ থাকে। তখনই খাঁচা ভেঙে ভেঙে পশু-পাখিগুলোর কিছু অবমুক্ত করা হয়। কিছু বিক্রি করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কিছু পশুপাখি অন্য চিড়িয়াখানাকে অনুদান দেওয়া হয়। শুধু শতাধিক হরিণ, দুটি ঘড়িয়াল আর কিছু পাখি ও কবুতর অবশিষ্ট থাকে এ চিড়িয়াখানায়। পরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে চিড়িয়াখানাটি দর্শনার্থী প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এমন ফাঁকা চিড়িয়াখানা দেখে তখন থেকেই দর্শনার্থীরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে আসছেন।

তৎকালীন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছিলেন, এখানে জায়গা কম। এটি চিড়িয়াখানার জন্য উপযুক্ত নয়। এটি উদ্যান হিসেবেই থাকবে। আর শহরের অদূরে একটি সাফারি পার্ক করা হবে।

তবে সরকার পতনের পর সবকিছুই থেমে যায়। এ অবস্থায় সাফারি পার্কের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে চিড়িয়াখানাকেই প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছে রাসিক। চিড়িয়াখানার এ পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাংবাদিক আহমদ সফিউদ্দিন। তাঁর ভাষায়, শিশুদের মানসিক বিকাশে বাস্তবে পশুপাখি দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু চিড়িয়াখানা প্রকৃতির বদলে কংক্রিটের স্তূপে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এভাবে নীরবে একটি চিড়িয়াখানা ধ্বংস করে ফেলার নজির আছে কি না, তিনি সে প্রশ্ন তোলেন।

জানতে চাইলে চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সংস্কারের সময় খাঁচাগুলো ভেঙে ফেলা হয়। তখন কিছু পশুপাখি অনুদান দেওয়া হয়, কিছু বিক্রি করা হয় এবং কিছু অবমুক্ত করা হয়। এরপর শুধু হরিণ, ঘড়িয়াল ও কিছু পাখি থাকে। কথা ছিল, রাজশাহীতে আলাদা সাফারি পার্ক হবে। কিন্তু ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সে পরিকল্পনা থেমে গেছে।’

চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক জানান, এখন চিড়িয়াখানার কর্মীরা নিজ নিজ উদ্যোগে পশুপাখি সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে তিনটি বানর, কিছু খরগোশ ও দুটি হনুমান নতুন করে সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে চিঠি দিয়ে ময়ূর চাওয়া হয়েছে। ময়ূরের জন্য খাঁচা নির্মাণ করা হচ্ছে।

এখন চিড়িয়াখানায় তিনটি বানর, ২৪টি খরগোশ, দুটি হনুমান ছাড়াও ১২৩টি হরিণ, ২৪টি খরগোশ, দুটি ঘড়িয়াল ও কিছু পাখি এবং কবুতর আছে। চিড়িয়াখানাটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তাঁরা কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন ডা. ফরহাদ হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোর বিএনপি:৩ আসনে প্রার্থী বদল মাঠে বঞ্চিত ১০ জন

  • যশোর-৬ আসনে হতাশ শ্রাবণপন্থীরা। এখনো হাল ছাড়েননি অমলেন্দু দাস
  • যশোর-২ ও ৪ আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত ৯ জন মাঠে
­যশোর প্রতিনিধি
যশোর বিএনপি:৩ আসনে প্রার্থী বদল মাঠে বঞ্চিত ১০ জন

যশোরের ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতেই প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। মনোনয়ন পরিবর্তন করায় ক্ষুব্ধ বঞ্চিত প্রার্থীর অনুসারীরা। প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এ ছাড়া বঞ্চিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। শেষমেশ সমঝোতা না হলে এই জেলায় বিএনপির কয়েকজন ‘বিদ্রোহ প্রার্থী’ নির্বাচন করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

গত বুধবার রাতে যশোর-১ আসনে মফিকুল হাসান তৃপ্তির পরিবর্তে নুরুজ্জামান লিটন, যশোর-৬ আসনে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের পরিবর্তে আবুল হোসেন আজাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর আগে একই দিন দুপুরে যশোর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন করে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের (একাংশ) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়ার পর দেড় মাস ধরে তিনি এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। এই আসনে নতুন করে মনোনয়ন পেয়েছেন কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ। তিনি বলেন, ‘দল আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। দলের সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে কেশবপুরবাসীর ভালোবাসা ও সমর্থনে এই আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে পারব।’

দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে শ্রাবণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে মনোনয়ন পরিবর্তনের খবরে শ্রাবণপন্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

এ ছাড়া এই আসনে স্বতন্ত্র বিএনপির কেন্দ্রীয় সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা পর্যন্ত তিনিও অপেক্ষায় রয়েছেন।

যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। গত বুধবার দুপুরে হঠাৎ এই আসনে বিএনপির প্রার্থী বদল হয়ে যায়। এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয় বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের (একাংশ) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে।

এর আগেও আসনটি বিএনপির শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার বিএনপি নিজেদের প্রার্থী দেওয়ায় চাঙা হয়েছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তবে প্রার্থী বদল হওয়ায় আবারও নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতারা। স্থানীয় বিএনপি সূত্র বলছে, এই নেতা-কর্মীদের জোটের শরিকের প্রার্থীর পক্ষে কতটা প্রচারে নামানো সম্ভব হবে, এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্যও কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছে। প্রার্থী পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন নেতা-কর্মীরা। শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে এ সিদ্ধান্তে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

যশোর-৫ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

যশোর-১ আসনে মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পাওয়ার পর বেশ জোরেশোরেই প্রচার শুরু করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক এই সংসদ সদস্য। এলাকায় ভোট চেয়ে ব্যাপক গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে আসছিলেন তিনি।

তবে এই আসনে তাঁর বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন ও সাবেক সভাপতি বর্তমান উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু। শুরু থেকে তাঁরা সবাই বিএনপির মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তির বিরোধিতা করে প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে এককাট্টা হয়ে কর্মসূচিও পালন করেছেন।

এরপর বুধবার এই আসনের প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়। নতুন করে মনোনয়ন পেয়েছেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন।

দুই আসনে বঞ্চিত ৯ জন

এ ছাড়া যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে বিএনপির মনোনীত সাবিরা সুলতানা মুন্নী ছাড়া আরও পাঁচজন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুণ, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, বিএনপির নেতা মোহাম্মদ ইসহাক ও মেহেদী হাসান।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া) আসনে বিএনপির মনোনীত ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব ছাড়াও অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজী, বিএনপির নেতা মো. আবদুল হাই মনা ও নাজিম উদ্দিন আল আজাদ এবং টি এস আইয়ুবের ছেলে ফারহান সাজিদ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘মনোনয়নবঞ্চিতদের অনেকেই ক্ষোভ ও আবেগ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলে আশা করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেমরায় ডিবি পরিচয়ে অপহরণচেষ্টাকালে আটক ৩

শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. সোহাগ থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার, দুটি ওয়াকিটকি ও ওয়াকিটকির চার্জার জব্দ করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নিজেদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করলেও পলাতক আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মাহমুদুল হাসান খান (২৫); তিনি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ আলী খানের ছেলে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার শহীদবাগ মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় বসবাসকারী। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার করাই বটতলা বিজারী গ্রামের মো. বজলু রশিদের ছেলে মো. হোসেন রানা (২৯); বর্তমানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুরের মাদ্রাসা গলি এলাকায় বসবাস করেন। এ ছাড়া ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ বাগাপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. মমিন (২৪)।

ভুক্তভোগী মো. সোহাগ জানান, জুমার নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর পথ রোধ করে। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রয়েছে বলে দাবি করে এবং থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এ সময় আসামি মাহমুদুল হাসান খান তাঁকে বাঁচতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেন।

ভুক্তভোগী পরিবারকে জানাতে চাইলে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তাঁকে একটি প্রাইভেট কারে তোলার চেষ্টা করে এবং তাঁর হাতে থাকা আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। তিনি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।

তবে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তরা কোনো বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠলে খবর পেয়ে ডেমরা থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আটক ব্যক্তিদের হেফাজতে নেয়।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের শনিবার আদালতে পাঠানো হবে এবং পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২৪৩ আসনে প্রার্থী দিল জি এম কাদেরের জাপা

‘অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে খুন হন বগুড়ার সেই ব্যবসায়ী

সূর্যাস্তের আগে স্মৃতিসৌধে পৌঁছাতে পারলেন না তারেক রহমান, তাঁর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় নেতাদের

ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ

ভেসে আসা কোরালে ‘কপাল খুলল’ আনোয়ারের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত