সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে আবর্তিত হয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী—এই তিন দল ঘিরে। তবে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। তাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
দল দুটির প্রার্থীরা উঠান বৈঠক, মিছিল, পথসভা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গ্রাম থেকে শহরের সব জায়গায় ঝোলানো হয়েছে পোস্টার ও ব্যানার।
স্থানীয়দের মতে, এবার সিরাজগঞ্জের প্রায় সব আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। বিশেষ করে উল্লাপাড়া ও বেলকুচি-চৌহালী আসনে ভোটারদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। তবে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল বেড়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সিরাজগঞ্জ-১: কাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের একাংশ নিয়ে আসনটি গঠিত। এ আসনে জামায়াতের জেলা আমির মাওলানা শাহিনুর আলম ইতিমধ্যেই সভা-সমাবেশ শুরু করেছেন। তবে এ আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা। স্থানীয়দের মতে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব না মিটলে এ আসনে জামায়াতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কঠিন হবে।
সিরাজগঞ্জ-২: সদর ও কামারখন্দ নিয়ে গঠিত এ আসনে জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, এ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
সিরাজগঞ্জ-৩: রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপির ঐতিহ্যবাহী আসন হিসেবে পরিচিত। পরপর চারবার (১৯৯১, ১৯৯৬-এর ফেব্রুয়ারি ও জুন এবং ২০০১) এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান তালুকদার। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে রাহিদ মান্নান লেলিন মনোনয়ন চাইলেও দল সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি আয়নুল হককে। ফলে দলটির একটি অংশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
এদিকে এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আব্দুস সামাদকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি।
সিরাজগঞ্জ-৪: উল্লাপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি এম আকবর আলী। অন্যদিকে, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, আকবর আলীকে চূড়ান্ত প্রার্থী করা হলে এটি হবে বিএনপি-জামায়াতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসন। তবে এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজাদ হোসেন সমর্থকেরা মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
সিরাজগঞ্জ-৫: তাঁতশিল্প ও নদীভাঙনের জন্য আলোচিত বেলকুচি ও চৌহালী নিয়ে গঠিত এ আসন। এখানে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলীমকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে দল। তবে এ আসন থেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মনজুর কাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তিনি মিটিং-মিছিলও করছেন।
এদিকে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ আলী আলম, যিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির। স্থানীয়দের মতে, এই আসনেও বিএনপি-জামায়াতের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল না মিটলে আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি হাজি শেখ মুহাম্মদ নুরুন নবী এবং গণঅধিকার পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থী সোহরাওয়ার্দী হোসেনও রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
সিরাজগঞ্জ-৬: শাহজাদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ডা. এম এ মুহিত। তিনি সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ডা. এম এ মতিনের ছেলে। জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা মিজানুর রহমান। এ ছাড়া এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাঈদ মোস্তাফিজ এবং ইসলামী আন্দোলনের জেলা উপদেষ্টা মেসবাহ উদ্দিনও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত শাহজাদপুর, তবে স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে দলীয় কোন্দলে সংগঠন কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।

সিরাজগঞ্জের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে আবর্তিত হয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী—এই তিন দল ঘিরে। তবে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। তাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
দল দুটির প্রার্থীরা উঠান বৈঠক, মিছিল, পথসভা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গ্রাম থেকে শহরের সব জায়গায় ঝোলানো হয়েছে পোস্টার ও ব্যানার।
স্থানীয়দের মতে, এবার সিরাজগঞ্জের প্রায় সব আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। বিশেষ করে উল্লাপাড়া ও বেলকুচি-চৌহালী আসনে ভোটারদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। তবে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল বেড়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সিরাজগঞ্জ-১: কাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের একাংশ নিয়ে আসনটি গঠিত। এ আসনে জামায়াতের জেলা আমির মাওলানা শাহিনুর আলম ইতিমধ্যেই সভা-সমাবেশ শুরু করেছেন। তবে এ আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা। স্থানীয়দের মতে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব না মিটলে এ আসনে জামায়াতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কঠিন হবে।
সিরাজগঞ্জ-২: সদর ও কামারখন্দ নিয়ে গঠিত এ আসনে জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, এ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
সিরাজগঞ্জ-৩: রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপির ঐতিহ্যবাহী আসন হিসেবে পরিচিত। পরপর চারবার (১৯৯১, ১৯৯৬-এর ফেব্রুয়ারি ও জুন এবং ২০০১) এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান তালুকদার। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে রাহিদ মান্নান লেলিন মনোনয়ন চাইলেও দল সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি আয়নুল হককে। ফলে দলটির একটি অংশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
এদিকে এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আব্দুস সামাদকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি।
সিরাজগঞ্জ-৪: উল্লাপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি এম আকবর আলী। অন্যদিকে, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, আকবর আলীকে চূড়ান্ত প্রার্থী করা হলে এটি হবে বিএনপি-জামায়াতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসন। তবে এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজাদ হোসেন সমর্থকেরা মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
সিরাজগঞ্জ-৫: তাঁতশিল্প ও নদীভাঙনের জন্য আলোচিত বেলকুচি ও চৌহালী নিয়ে গঠিত এ আসন। এখানে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলীমকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে দল। তবে এ আসন থেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মনজুর কাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তিনি মিটিং-মিছিলও করছেন।
এদিকে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ আলী আলম, যিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির। স্থানীয়দের মতে, এই আসনেও বিএনপি-জামায়াতের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল না মিটলে আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি হাজি শেখ মুহাম্মদ নুরুন নবী এবং গণঅধিকার পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থী সোহরাওয়ার্দী হোসেনও রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
সিরাজগঞ্জ-৬: শাহজাদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ডা. এম এ মুহিত। তিনি সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ডা. এম এ মতিনের ছেলে। জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা মিজানুর রহমান। এ ছাড়া এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাঈদ মোস্তাফিজ এবং ইসলামী আন্দোলনের জেলা উপদেষ্টা মেসবাহ উদ্দিনও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত শাহজাদপুর, তবে স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে দলীয় কোন্দলে সংগঠন কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে আবর্তিত হয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী—এই তিন দল ঘিরে। তবে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। তাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
দল দুটির প্রার্থীরা উঠান বৈঠক, মিছিল, পথসভা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গ্রাম থেকে শহরের সব জায়গায় ঝোলানো হয়েছে পোস্টার ও ব্যানার।
স্থানীয়দের মতে, এবার সিরাজগঞ্জের প্রায় সব আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। বিশেষ করে উল্লাপাড়া ও বেলকুচি-চৌহালী আসনে ভোটারদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। তবে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল বেড়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সিরাজগঞ্জ-১: কাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের একাংশ নিয়ে আসনটি গঠিত। এ আসনে জামায়াতের জেলা আমির মাওলানা শাহিনুর আলম ইতিমধ্যেই সভা-সমাবেশ শুরু করেছেন। তবে এ আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা। স্থানীয়দের মতে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব না মিটলে এ আসনে জামায়াতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কঠিন হবে।
সিরাজগঞ্জ-২: সদর ও কামারখন্দ নিয়ে গঠিত এ আসনে জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, এ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
সিরাজগঞ্জ-৩: রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপির ঐতিহ্যবাহী আসন হিসেবে পরিচিত। পরপর চারবার (১৯৯১, ১৯৯৬-এর ফেব্রুয়ারি ও জুন এবং ২০০১) এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান তালুকদার। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে রাহিদ মান্নান লেলিন মনোনয়ন চাইলেও দল সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি আয়নুল হককে। ফলে দলটির একটি অংশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
এদিকে এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আব্দুস সামাদকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি।
সিরাজগঞ্জ-৪: উল্লাপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি এম আকবর আলী। অন্যদিকে, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, আকবর আলীকে চূড়ান্ত প্রার্থী করা হলে এটি হবে বিএনপি-জামায়াতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসন। তবে এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজাদ হোসেন সমর্থকেরা মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
সিরাজগঞ্জ-৫: তাঁতশিল্প ও নদীভাঙনের জন্য আলোচিত বেলকুচি ও চৌহালী নিয়ে গঠিত এ আসন। এখানে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলীমকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে দল। তবে এ আসন থেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মনজুর কাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তিনি মিটিং-মিছিলও করছেন।
এদিকে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ আলী আলম, যিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির। স্থানীয়দের মতে, এই আসনেও বিএনপি-জামায়াতের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল না মিটলে আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি হাজি শেখ মুহাম্মদ নুরুন নবী এবং গণঅধিকার পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থী সোহরাওয়ার্দী হোসেনও রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
সিরাজগঞ্জ-৬: শাহজাদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ডা. এম এ মুহিত। তিনি সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ডা. এম এ মতিনের ছেলে। জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা মিজানুর রহমান। এ ছাড়া এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাঈদ মোস্তাফিজ এবং ইসলামী আন্দোলনের জেলা উপদেষ্টা মেসবাহ উদ্দিনও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত শাহজাদপুর, তবে স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে দলীয় কোন্দলে সংগঠন কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।

সিরাজগঞ্জের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে আবর্তিত হয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী—এই তিন দল ঘিরে। তবে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। তাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
দল দুটির প্রার্থীরা উঠান বৈঠক, মিছিল, পথসভা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গ্রাম থেকে শহরের সব জায়গায় ঝোলানো হয়েছে পোস্টার ও ব্যানার।
স্থানীয়দের মতে, এবার সিরাজগঞ্জের প্রায় সব আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। বিশেষ করে উল্লাপাড়া ও বেলকুচি-চৌহালী আসনে ভোটারদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। তবে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল বেড়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সিরাজগঞ্জ-১: কাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের একাংশ নিয়ে আসনটি গঠিত। এ আসনে জামায়াতের জেলা আমির মাওলানা শাহিনুর আলম ইতিমধ্যেই সভা-সমাবেশ শুরু করেছেন। তবে এ আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা। স্থানীয়দের মতে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব না মিটলে এ আসনে জামায়াতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কঠিন হবে।
সিরাজগঞ্জ-২: সদর ও কামারখন্দ নিয়ে গঠিত এ আসনে জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলামকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, এ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
সিরাজগঞ্জ-৩: রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপির ঐতিহ্যবাহী আসন হিসেবে পরিচিত। পরপর চারবার (১৯৯১, ১৯৯৬-এর ফেব্রুয়ারি ও জুন এবং ২০০১) এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান তালুকদার। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে রাহিদ মান্নান লেলিন মনোনয়ন চাইলেও দল সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি আয়নুল হককে। ফলে দলটির একটি অংশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
এদিকে এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আব্দুস সামাদকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি।
সিরাজগঞ্জ-৪: উল্লাপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি এম আকবর আলী। অন্যদিকে, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, আকবর আলীকে চূড়ান্ত প্রার্থী করা হলে এটি হবে বিএনপি-জামায়াতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসন। তবে এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজাদ হোসেন সমর্থকেরা মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
সিরাজগঞ্জ-৫: তাঁতশিল্প ও নদীভাঙনের জন্য আলোচিত বেলকুচি ও চৌহালী নিয়ে গঠিত এ আসন। এখানে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলীমকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে দল। তবে এ আসন থেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মনজুর কাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তিনি মিটিং-মিছিলও করছেন।
এদিকে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ আলী আলম, যিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির। স্থানীয়দের মতে, এই আসনেও বিএনপি-জামায়াতের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল না মিটলে আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি হাজি শেখ মুহাম্মদ নুরুন নবী এবং গণঅধিকার পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থী সোহরাওয়ার্দী হোসেনও রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
সিরাজগঞ্জ-৬: শাহজাদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ডা. এম এ মুহিত। তিনি সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ডা. এম এ মতিনের ছেলে। জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা মিজানুর রহমান। এ ছাড়া এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাঈদ মোস্তাফিজ এবং ইসলামী আন্দোলনের জেলা উপদেষ্টা মেসবাহ উদ্দিনও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত শাহজাদপুর, তবে স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে দলীয় কোন্দলে সংগঠন কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
৭ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেজামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

সিরাজগঞ্জের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে আবর্তিত হয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী—এই তিন দল ঘিরে। তবে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। তাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
৭ দিন আগে
বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
৭ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেখান রফিক, বরিশাল

বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। সুযোগ নিচ্ছেন সারের পরিবেশকেরা (ডিলার)। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের সারের মূল্য বস্তাপ্রতি সাড়ে তিন শ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন বলে কৃষকেরা অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি বাড়তি টাকা দিয়েও সময়মতো সার মিলছে না।
কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভিন্ন উপজেলা থেকে মৌসুমি চাষিরা এই দুই উপজেলায় ঢুকে ব্যাপক তরমুজ চাষ শুরু করায় কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সারের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
হিজলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের তরমুজচাষি আলাউদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি গলাচিপা থেকে এসে তরমুজ চাষের জন্য চরের প্রায় ৩০ একর জমি ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। তাঁর দরকার ১০০ বস্তা, অথচ স্থানীয় ডিলাররা দিচ্ছেন ১০ বস্তা। তার ওপর দামও বেশি।
আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতি বস্তা ইউরিয়া ১ হাজার ৪০০ টাকা, টিএসপি ১ হাজার ৩৫০, ড্যাব ১ হাজার ৪০০ দরে কিনেছি; যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অনেক বেশি।’
আরেক তরমুজচাষি কেনান হোসেন বলেন, ‘হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ সীমান্তের বাউসিয়ার চরে ৩০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে এসে নতুন এ জমিতে চাষ করতে গিয়ে সারসংকটের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রতি বস্তা ড্যাপ সার সরকারনির্ধারিত ১ হাজার ৫০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। টিএসপি ১ হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৬৮০ এবং ইউরিয়া ১ হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৩৮০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমার ১০০ বস্তা সার লাগবে, কিন্তু ডিলার দিয়েছে ৫০ বস্তা। এখন তরমুজের চারা বড় হওয়ার সময়। পর্যাপ্ত সার না দিলে তরমুজের ফলন ভালো হবে না।’
জানা গেছে, জেলার হিজলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়জালিয়া, মেমানিয়া এবং মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর, আলিমাবাদ, জাঙ্গালিয়া, চরগোপালপুর, দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক তরমুজের চাষ শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হাবিব আল জনি বলেন, ‘সরকারনির্ধারিত প্রতি বস্তা ইউরিয়ার খুচরা মূল্য ১ হাজার ৩৫০, টিএসপির বস্তা ১ হাজার ৩৫০, ড্যাপ ১ হাজার ৫০ টাকা। ডিলাররা কৃষকদের কাছ থেকে সারের মূল্য বেশি নিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আহসানুল হাবিব আল জনি বলেন, ‘গত বছর হিজলায় মাত্র ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আবাদ হচ্ছে ২০০ হেক্টর জমিতে। এর কারণ হলো অন্য উপজেলা থেকে মৌসুমি চাষিরা এসে তরমুজ চাষ শুরু করেছেন।’
এদিকে মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের তরমুজচাষি সোহাগ জমাদ্দার বলেন, ‘এবার তিন একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কিন্তু সারের দাম বেশি। চাহিদামতো পাওয়াও যাচ্ছে না।’
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর বসু বলেন, ‘গত বছর মেহেন্দীগঞ্জে ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। এবার ৩০০ হেক্টর বেড়ে মোট ৫০০ হেক্টরে আবাদ হচ্ছে। এখানে ভোলা ও পটুয়াখালীর চাষিরা এসে তরমুজ চাষ করছেন। যে কারণে এ বছর চাহিদার চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টন সার বেশি লাগতে পারে। মৌসুমি চাষিরা যখন সার বেশি চান, তখন হয়তো ডিলার সেই সুযোগ নিচ্ছেন। তবু আমরা সারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তদারকি করব।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশালের উপপরিচালক মোসাম্মৎ মরিয়ম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে নতুন নতুন এলাকায় এবার তরমুজ আবাদ হচ্ছে। এ জন্য আমরা অতিরিক্ত সার চেয়েছি। তবে ডিলাররা অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ বুঝে বেশি টাকা নিচ্ছেন কি না জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। সুযোগ নিচ্ছেন সারের পরিবেশকেরা (ডিলার)। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের সারের মূল্য বস্তাপ্রতি সাড়ে তিন শ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন বলে কৃষকেরা অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি বাড়তি টাকা দিয়েও সময়মতো সার মিলছে না।
কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভিন্ন উপজেলা থেকে মৌসুমি চাষিরা এই দুই উপজেলায় ঢুকে ব্যাপক তরমুজ চাষ শুরু করায় কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সারের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
হিজলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের তরমুজচাষি আলাউদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি গলাচিপা থেকে এসে তরমুজ চাষের জন্য চরের প্রায় ৩০ একর জমি ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। তাঁর দরকার ১০০ বস্তা, অথচ স্থানীয় ডিলাররা দিচ্ছেন ১০ বস্তা। তার ওপর দামও বেশি।
আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতি বস্তা ইউরিয়া ১ হাজার ৪০০ টাকা, টিএসপি ১ হাজার ৩৫০, ড্যাব ১ হাজার ৪০০ দরে কিনেছি; যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অনেক বেশি।’
আরেক তরমুজচাষি কেনান হোসেন বলেন, ‘হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ সীমান্তের বাউসিয়ার চরে ৩০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে এসে নতুন এ জমিতে চাষ করতে গিয়ে সারসংকটের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রতি বস্তা ড্যাপ সার সরকারনির্ধারিত ১ হাজার ৫০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। টিএসপি ১ হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৬৮০ এবং ইউরিয়া ১ হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৩৮০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমার ১০০ বস্তা সার লাগবে, কিন্তু ডিলার দিয়েছে ৫০ বস্তা। এখন তরমুজের চারা বড় হওয়ার সময়। পর্যাপ্ত সার না দিলে তরমুজের ফলন ভালো হবে না।’
জানা গেছে, জেলার হিজলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়জালিয়া, মেমানিয়া এবং মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর, আলিমাবাদ, জাঙ্গালিয়া, চরগোপালপুর, দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক তরমুজের চাষ শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হাবিব আল জনি বলেন, ‘সরকারনির্ধারিত প্রতি বস্তা ইউরিয়ার খুচরা মূল্য ১ হাজার ৩৫০, টিএসপির বস্তা ১ হাজার ৩৫০, ড্যাপ ১ হাজার ৫০ টাকা। ডিলাররা কৃষকদের কাছ থেকে সারের মূল্য বেশি নিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আহসানুল হাবিব আল জনি বলেন, ‘গত বছর হিজলায় মাত্র ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আবাদ হচ্ছে ২০০ হেক্টর জমিতে। এর কারণ হলো অন্য উপজেলা থেকে মৌসুমি চাষিরা এসে তরমুজ চাষ শুরু করেছেন।’
এদিকে মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের তরমুজচাষি সোহাগ জমাদ্দার বলেন, ‘এবার তিন একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কিন্তু সারের দাম বেশি। চাহিদামতো পাওয়াও যাচ্ছে না।’
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর বসু বলেন, ‘গত বছর মেহেন্দীগঞ্জে ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। এবার ৩০০ হেক্টর বেড়ে মোট ৫০০ হেক্টরে আবাদ হচ্ছে। এখানে ভোলা ও পটুয়াখালীর চাষিরা এসে তরমুজ চাষ করছেন। যে কারণে এ বছর চাহিদার চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টন সার বেশি লাগতে পারে। মৌসুমি চাষিরা যখন সার বেশি চান, তখন হয়তো ডিলার সেই সুযোগ নিচ্ছেন। তবু আমরা সারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তদারকি করব।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশালের উপপরিচালক মোসাম্মৎ মরিয়ম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে নতুন নতুন এলাকায় এবার তরমুজ আবাদ হচ্ছে। এ জন্য আমরা অতিরিক্ত সার চেয়েছি। তবে ডিলাররা অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ বুঝে বেশি টাকা নিচ্ছেন কি না জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিরাজগঞ্জের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে আবর্তিত হয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী—এই তিন দল ঘিরে। তবে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। তাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
৭ দিন আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
৭ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
পুকুর ইজারা পাওয়া রায়হান আলী রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক। তাঁর বাবা গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস। অয়েজ উদ্দিন গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র ছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক। তাঁর ছেলেকে সরকারি পুকুর ইজারা দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রায়হানের মামলা ও পুকুর ইজারাসংক্রান্ত নথিপত্রে দেখা গেছে, গোদাগাড়ী থানা পোড়ানোর মামলায় গত ৮ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন যুবলীগ নেতা রায়হান আলী। এ সময় আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। এরপর ১৯ মে গোদাগাড়ী উপজেলার সরকারি খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
কারাগারে যাওয়া রায়হান আলী প্রকৃত মৎস্যচাষি না হয়েও আওয়ামী আমলে প্রভাব খাটিয়ে আশার আলো মৎস্যচাষি লিমিটেড নামের একটি সমবায় সমিতির নিবন্ধন নেন। হয়ে যান সমিতির সভাপতিও। তিনি জেলে যাওয়ার পর পুকুর ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে এ সমিতির নামে তিনটি পুকুর ইজারা নিতে আবেদন জমা দেওয়া হয়। আবেদনে স্বাক্ষরও ছিল রায়হান আলীর।
২৭ অক্টোবর উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি রায়হানের আশার আলো সমিতির নামে দুটি পুকুর ইজারা দেয়। সমিতিটি মোহনপুর ইউনিয়নের ৫৬ নম্বর কোচারপাড়া মৌজার ১ নম্বর খাসখতিয়ানভুক্ত ২৪৯ নম্বর দাগের ১ দশমিক ৫৮ একরের একটি পুকুর এবং ৬৭ নম্বর আইহাই মৌজার ৫০০ নম্বর দাগের দেড় একরের আরেকটি পুকুর ইজারা পায়। আশার আলো ৭৯ নম্বর মিরপুর মৌজার ২৭২ নম্বর দাগের শূন্য দশমিক ৯৯ একরের আরেকটি পুকুর ইজারা চেয়েছিল। এ পুকুর ইজারা দেওয়া হয়েছে সারাংপুর মধ্যপাড়া মৎস্যচাষি সমিতির নামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একটি সমিতিকে দুটির বেশি পুকুর ইজারা দেওয়া যায় না। তাই মিরপুরের পুকুরটি সারাংপুর মধ্যপাড়া সমিতির নামে দেওয়া হয়েছে। পুকুর তিনটি পেয়েছে একই চক্র। সারাংপুর মধ্যপাড়া সমিতিরও সভাপতি যুবলীগ নেতা রায়হান আলীর বড় ভাই তাইনুস আলী। তিনিও প্রকৃত মৎস্যচাষি নন। তিনি গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের একজন শিক্ষক।
এদিকে যুবলীগ নেতা রায়হান আলী ২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এবং উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদ্য যোগদান করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুস সাদাত রত্নকে লিখিতভাবে জানান, তিনি পুকুর ইজারা গ্রহণের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। ইজারা বাতিলের আবেদনও জানান তিনি।
তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই তিন পুকুর হাতিয়ে নিয়েছে পৌর এলাকার সারেংপুর মহল্লার মাহফুজ বারীর সিন্ডিকেট। মাহফুজ বারীও প্রকৃত মৎস্যচাষি নন। পেশায় তিনি কাপড় ব্যবসায়ী।
যোগাযোগ করা হলে জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়টি আংশিক স্বীকার করে মাহফুজুল বারী বলেন, ‘আমি জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কি না, সে বিষয়ে কিছু বলব না। ব্যস্ত আছি। পরে এ বিষয়ে আপনাকে ফোন দিয়ে জানাব।’ পরে আর ফোন দেননি তিনি।
ইউএনও ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নাজমুস সাদাত রত্ন বলেন, ‘এ ঘটনা আগের ইউএনওর সময়ের। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিতে হবে।’

রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
পুকুর ইজারা পাওয়া রায়হান আলী রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক। তাঁর বাবা গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস। অয়েজ উদ্দিন গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র ছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক। তাঁর ছেলেকে সরকারি পুকুর ইজারা দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রায়হানের মামলা ও পুকুর ইজারাসংক্রান্ত নথিপত্রে দেখা গেছে, গোদাগাড়ী থানা পোড়ানোর মামলায় গত ৮ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন যুবলীগ নেতা রায়হান আলী। এ সময় আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। এরপর ১৯ মে গোদাগাড়ী উপজেলার সরকারি খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
কারাগারে যাওয়া রায়হান আলী প্রকৃত মৎস্যচাষি না হয়েও আওয়ামী আমলে প্রভাব খাটিয়ে আশার আলো মৎস্যচাষি লিমিটেড নামের একটি সমবায় সমিতির নিবন্ধন নেন। হয়ে যান সমিতির সভাপতিও। তিনি জেলে যাওয়ার পর পুকুর ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে এ সমিতির নামে তিনটি পুকুর ইজারা নিতে আবেদন জমা দেওয়া হয়। আবেদনে স্বাক্ষরও ছিল রায়হান আলীর।
২৭ অক্টোবর উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি রায়হানের আশার আলো সমিতির নামে দুটি পুকুর ইজারা দেয়। সমিতিটি মোহনপুর ইউনিয়নের ৫৬ নম্বর কোচারপাড়া মৌজার ১ নম্বর খাসখতিয়ানভুক্ত ২৪৯ নম্বর দাগের ১ দশমিক ৫৮ একরের একটি পুকুর এবং ৬৭ নম্বর আইহাই মৌজার ৫০০ নম্বর দাগের দেড় একরের আরেকটি পুকুর ইজারা পায়। আশার আলো ৭৯ নম্বর মিরপুর মৌজার ২৭২ নম্বর দাগের শূন্য দশমিক ৯৯ একরের আরেকটি পুকুর ইজারা চেয়েছিল। এ পুকুর ইজারা দেওয়া হয়েছে সারাংপুর মধ্যপাড়া মৎস্যচাষি সমিতির নামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একটি সমিতিকে দুটির বেশি পুকুর ইজারা দেওয়া যায় না। তাই মিরপুরের পুকুরটি সারাংপুর মধ্যপাড়া সমিতির নামে দেওয়া হয়েছে। পুকুর তিনটি পেয়েছে একই চক্র। সারাংপুর মধ্যপাড়া সমিতিরও সভাপতি যুবলীগ নেতা রায়হান আলীর বড় ভাই তাইনুস আলী। তিনিও প্রকৃত মৎস্যচাষি নন। তিনি গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের একজন শিক্ষক।
এদিকে যুবলীগ নেতা রায়হান আলী ২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এবং উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদ্য যোগদান করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুস সাদাত রত্নকে লিখিতভাবে জানান, তিনি পুকুর ইজারা গ্রহণের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। ইজারা বাতিলের আবেদনও জানান তিনি।
তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই তিন পুকুর হাতিয়ে নিয়েছে পৌর এলাকার সারেংপুর মহল্লার মাহফুজ বারীর সিন্ডিকেট। মাহফুজ বারীও প্রকৃত মৎস্যচাষি নন। পেশায় তিনি কাপড় ব্যবসায়ী।
যোগাযোগ করা হলে জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়টি আংশিক স্বীকার করে মাহফুজুল বারী বলেন, ‘আমি জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কি না, সে বিষয়ে কিছু বলব না। ব্যস্ত আছি। পরে এ বিষয়ে আপনাকে ফোন দিয়ে জানাব।’ পরে আর ফোন দেননি তিনি।
ইউএনও ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নাজমুস সাদাত রত্ন বলেন, ‘এ ঘটনা আগের ইউএনওর সময়ের। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিতে হবে।’

সিরাজগঞ্জের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে আবর্তিত হয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী—এই তিন দল ঘিরে। তবে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। তাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
৭ দিন আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের ৮টি আসন
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এসব আসনে বিদ্রোহীদের চাপে যোগ-বিয়োগ মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে দলীয় নেতা-কর্মীরা। মনোনীতরা ঐক্যের ডাক দিলেও বঞ্চিতরা মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে এখনো সরব রয়েছেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে নীরবে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল-৮ ও টাঙ্গাইল-৪ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ও তাঁর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ভোটের মাঠে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আটটি আসনে এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। গণঅধিকার পরিষদ তিনটি এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন ২টি করে আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নির্বাচনী জোটের হিসাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।
টাঙ্গাইল-১ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে ফকির মাহবুব আনাম স্বপনকে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠঘাট চষে বেড়ানোর পাশাপাশি মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ করে চলেছেন দিনরাত। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বপন ফকিরের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা দুজনই বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।
এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলী সুশৃঙ্খল ও দলবদ্ধভাবে নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রার্থী সাইদুল ইসলাম আপন প্রচারাভিযানে রয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সব নেতা-কর্মী তাঁর প্রতি আস্থা রেখে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই আসনে জামায়াতের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শাকিলউজ্জামান জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির। মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদ। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং এই আসনে তিনবারের সাবেক এমপি। তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা নাসিরকে বয়কটের ডাক দিয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। এ আসনে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হোসনি মোবারক বাবুল জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লা হায়দার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু। উভয়েই সমানতালে গ্রামগঞ্জে সভা-সমাবেশ করে চলেছেন। এই আসনে পাঁচবার নির্বাচিত এমপি ও সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন।
এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের নায়েব আমির খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি গতকাল বৃহস্পতিবার প্রার্থী ঘোষণা করে। এখানে দলীয় প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যরা হলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সহসভাপতি ছাইদুল হক ছাদু, জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক শাতিল। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা জামায়াতের আমির আহসান হাবিব মাসুদ। তিনি ব্যাপকভাবে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন রবিউল আউয়াল লাভলু। টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে এই আসনেই বিএনপির সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার পর তাঁদের সক্রিয় প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও ২৯ নভেম্বর লাভলুর সমর্থকদের সঙ্গে মনোনয়নবঞ্চিত জুয়েল সরকারের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ডা. এ কে এম আব্দুল হামিদ।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিক। এই আসনে একাধিক ব্যক্তি বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত হলেও হাল ছাড়েননি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক-বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব। তিনি মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দলের জেলা শাখার শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ তালুকদার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) ব্যাপক জটিল অঙ্কের আসন। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। মনোনয়নবঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেলের হয়ে কাজ করছেন। এরই মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মন্ডলের সঙ্গে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন আযম খান। এই দ্বন্দ্ব এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনে কয়েক শ নেতা-কর্মী বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
এই আসনে দুবারের সাবেক এমপি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। বঙ্গবীর নির্বাচনে এলে নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ নতুন করে সাজাবে বাসাইল-সখীপুরের বাসিন্দারা।
এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক ও বাসাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি দুই উপজেলাতেই প্রচার চালাচ্ছেন।

টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর পর থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্ত আর বঞ্চিতদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং, দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে। এতে বদলে যায় সেখানকার ভোটের পরিস্থিতি। সব শেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বাকি থাকা টাঙ্গাইল-৫ আসনেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এসব আসনে বিদ্রোহীদের চাপে যোগ-বিয়োগ মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে দলীয় নেতা-কর্মীরা। মনোনীতরা ঐক্যের ডাক দিলেও বঞ্চিতরা মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে এখনো সরব রয়েছেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে নীরবে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইল-৮ ও টাঙ্গাইল-৪ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ও তাঁর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ভোটের মাঠে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আটটি আসনে এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। গণঅধিকার পরিষদ তিনটি এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন ২টি করে আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নির্বাচনী জোটের হিসাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।
টাঙ্গাইল-১ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে ফকির মাহবুব আনাম স্বপনকে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠঘাট চষে বেড়ানোর পাশাপাশি মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ করে চলেছেন দিনরাত। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বপন ফকিরের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁরা দুজনই বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।
এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলী সুশৃঙ্খল ও দলবদ্ধভাবে নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রার্থী সাইদুল ইসলাম আপন প্রচারাভিযানে রয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সব নেতা-কর্মী তাঁর প্রতি আস্থা রেখে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই আসনে জামায়াতের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শাকিলউজ্জামান জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির। মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদ। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং এই আসনে তিনবারের সাবেক এমপি। তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা নাসিরকে বয়কটের ডাক দিয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। এ আসনে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হোসনি মোবারক বাবুল জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লা হায়দার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু। উভয়েই সমানতালে গ্রামগঞ্জে সভা-সমাবেশ করে চলেছেন। এই আসনে পাঁচবার নির্বাচিত এমপি ও সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন।
এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের নায়েব আমির খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি গতকাল বৃহস্পতিবার প্রার্থী ঘোষণা করে। এখানে দলীয় প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যরা হলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সহসভাপতি ছাইদুল হক ছাদু, জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদুল হক শাতিল। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা জামায়াতের আমির আহসান হাবিব মাসুদ। তিনি ব্যাপকভাবে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন রবিউল আউয়াল লাভলু। টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে এই আসনেই বিএনপির সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার পর তাঁদের সক্রিয় প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও ২৯ নভেম্বর লাভলুর সমর্থকদের সঙ্গে মনোনয়নবঞ্চিত জুয়েল সরকারের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ডা. এ কে এম আব্দুল হামিদ।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিক। এই আসনে একাধিক ব্যক্তি বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত হলেও হাল ছাড়েননি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক-বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব। তিনি মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দলের জেলা শাখার শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ তালুকদার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) ব্যাপক জটিল অঙ্কের আসন। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। মনোনয়নবঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেলের হয়ে কাজ করছেন। এরই মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক খালেক মন্ডলের সঙ্গে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন আযম খান। এই দ্বন্দ্ব এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনে কয়েক শ নেতা-কর্মী বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
এই আসনে দুবারের সাবেক এমপি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। বঙ্গবীর নির্বাচনে এলে নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ নতুন করে সাজাবে বাসাইল-সখীপুরের বাসিন্দারা।
এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক ও বাসাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি দুই উপজেলাতেই প্রচার চালাচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে আবর্তিত হয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী—এই তিন দল ঘিরে। তবে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। তাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনেই বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
৭ দিন আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
৭ ঘণ্টা আগে