গাইবান্ধা প্রতিনিধি

দিনরাত আলু নিয়ে হিমাগারে অপেক্ষা। তারপরও সেখানে রাখা যাচ্ছে না। বুকিং কার্ড থাকলেও আলু নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কৃষককে। হিমাগারের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আলু সংরক্ষণের কার্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষকেরা হিমাগারে আলু রাখতে পারছেন না।
জেলা কৃষি অফিস সূত্র বলেছে, গাইবান্ধায় এবার ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল; কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৪৯৭ হেক্টরে। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাতেই আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ১০৪ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৩১৮ হেক্টরে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ না হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
এদিকে উৎপাদিত আলু সংরক্ষণের জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বকচর হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজ-১, গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজ-২ ও উপজেলার সূর্যগাড়ি এলাকায় ১টি এবং সাপমারা এলাকায় অ্যাপেক্স অ্যাগ্রিসায়েন্স লিমিটেড নামে ৪টি হিমাগার রয়েছে। এ ছাড়া সাদুল্যাপুর উপজেলায় আরবি কোল্ডস্টোরেজ ও সুন্দরগঞ্জে আশরাফ আলী কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে। এই ছয়টি হিমাগারে ৫২ হাজার ৭৬০ টন আলু সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে হিমাগারগুলো প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে কৃষকেরা সংরক্ষণের সুযোগ না পেয়ে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে দাম কমে গিয়ে কৃষকেরা লোকসানে পড়েছেন।
সেহরি খেয়ে হিমাগারে আলু রাখতে যান কৃষক সাইফুল ইসলাম (৩৬)। পরদিন রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও আলু রাখতে না পেরে ফেরত যান তিনি। সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএডিসির মাধ্যমে ১০০ টাকা কেজি দরে আলুর বীজ কিনেছিলেন। দেড় বিঘা জমিতে রোপণ করেন তিনি। এতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৭০ মণ আলু। হিমাগারে ১০ বস্তা রাখার জন্য স্লিপ কিনেছেন। কিন্তু স্লিপ থাকার পরও হিমাগারে রাখতে না পেরে আলু নিয়ে ফেরত যান। এতে গুনতে হয়েছে বাড়তি গাড়িভাড়া। ফলে কম দামে বাড়ি থেকেই আলু বিক্রি করে দিয়েছেন।
আরেক কৃষক আব্দুল মান্নান (৬০) জানান, তিনিও দেড় বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছিলেন; কিন্তু দুদিন হিমাগারে ঘুরেও রাখতে পারেননি। পরে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের বাল্ল্যে গ্রামের কৃষক হেলাল সরকার এবার ৬ একর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। সংরক্ষণের বুকিং কার্ড সংকটের খবর পেয়ে কয়েকটি হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোনো কার্ডের ব্যবস্থা করতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করেন, হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রকৃত চাষিদের নয়, কেবল মজুতদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে আলু রাখার বুকিং কার্ড বিক্রি করেছে। ফলে এলাকার চাষিরা হিমাগারে আলু রাখার সুযোগ পাচ্ছেন না।
চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার শুরুতে আগাম জাতের আলুর দাম কিছুটা বেশি ছিল। তবে এখন দিনে দিনে দাম কমেছে। বর্তমানে ৩৮০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। গত বছর বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে প্রতি বস্তা আলু রাখার ভাড়া ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করে নিয়েছিল হিমাগারগুলো। এ বছর আবারও ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এবার কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন প্রতি কেজি ৮ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এতে ৬৫ কেজির এক বস্তা আলুর ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা। অগ্রিম বুকিং কার্ড নিতে দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা করে। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, গত বছর যে এক বস্তায় ৬৫-৬৬ কেজি পর্যন্ত আলু রাখা হয়েছিল, তা এবার ৫০ কেজি করে রাখতে হবে।
কৃষকেরা জানান, আলুর দাম কমে যাওয়ায় তারা উৎপাদনের অর্ধেক খরচও তুলতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে হিমাগারে রাখার চেষ্টা করছেন। হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি ও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও আলু রাখার বুকিং কার্ড না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। আলু রাখার স্লিপ কার্ড দেওয়া শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রয়ারি। ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্লিপ কার্ড দিয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। ১৮ ফেব্রুয়ারি শত শত আলুচাষি বুকিং কার্ডের দাবিতে গোবিন্দগঞ্জে হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের মেইন গেট অবরুদ্ধ এবং ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করেন।
কৃষকদের অভিযোগ, হিমাগার কর্তৃপক্ষ যোগসাজশ করে মজুতকারীদের আলু সংরক্ষণের কার্ড আগেভাগেই দিয়ে দিয়েছে। ফলে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের কার্ড থেকে সাধারণ আলুচাষিরা বঞ্চিত হয়েছেন। অথচ দিন-রাত ট্রলি, ট্রাক্টর, ভ্যানে করে ব্যবসায়ী ও মজুতকারীদের হাজার হাজার বস্তা আলু হিমাগারে প্রবেশ করছে। এদিকে বুকিং কার্ড না পেয়ে কৃষকেরা খেত থেকে তোলার সঙ্গে সঙ্গে আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে তাঁরা আগামী মৌসুমের জন্য বীজআলুও সংরক্ষণ করতে পারবেন না।
হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার মোজাম্মেল হক বলেন, বুকিং কার্ড শেষ হয়ে গেছে। বিগত বছর আমাদের হিমাগারে আলু রাখা ব্যবসায়ীদের এবারও বুকিং কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তা পরিমাণে অনেক কম। বুকিং কার্ড কালোবাজারে বিক্রির কোনো নিয়ম নেই।
গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার সজীব বলেন, ‘এ বছর আমরা স্থানীয় কৃষকদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। মজুতদারদের কোনো কার্ড দেওয়া হচ্ছে না। কৃষকেরা ৫ থেকে ১০ বস্তা করে আলু নিয়ে এলে কোল্ডস্টোরেজে রাখার কোনো সমস্যা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোল্ডস্টোরেজ দুটির ধারণক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বস্তা। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু বুকিং হয়েছে।’
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষকেরা যাতে তাঁদের উৎপাদিত আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারেন, সে জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। হিমাগার মালিক সমিতি আমাদের জানিয়েছে, তাঁদের হিমাগারগুলোয় যথেষ্ট জায়গা ফাঁকা রয়েছে। কৃষকদের বীজআলু রাখতে কোনো সমস্যা হবে না। কেউ অতিরিক্ত আলু মজুতের কারসাজি করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘এবার আলু উৎপাদনের জন্য আবহাওয়া ভালো ছিল। তাই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে জেলায় প্রায় দেড় গুণ বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। সব কৃষক যাতে করে কমপক্ষে বীজ হিসেবে আলু সংরক্ষণ করতে পারেন, সেটুকু ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কোল্ডস্টোরেজের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছি।’

দিনরাত আলু নিয়ে হিমাগারে অপেক্ষা। তারপরও সেখানে রাখা যাচ্ছে না। বুকিং কার্ড থাকলেও আলু নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কৃষককে। হিমাগারের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আলু সংরক্ষণের কার্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষকেরা হিমাগারে আলু রাখতে পারছেন না।
জেলা কৃষি অফিস সূত্র বলেছে, গাইবান্ধায় এবার ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল; কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৪৯৭ হেক্টরে। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাতেই আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ১০৪ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৩১৮ হেক্টরে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ না হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
এদিকে উৎপাদিত আলু সংরক্ষণের জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বকচর হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজ-১, গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজ-২ ও উপজেলার সূর্যগাড়ি এলাকায় ১টি এবং সাপমারা এলাকায় অ্যাপেক্স অ্যাগ্রিসায়েন্স লিমিটেড নামে ৪টি হিমাগার রয়েছে। এ ছাড়া সাদুল্যাপুর উপজেলায় আরবি কোল্ডস্টোরেজ ও সুন্দরগঞ্জে আশরাফ আলী কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে। এই ছয়টি হিমাগারে ৫২ হাজার ৭৬০ টন আলু সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে হিমাগারগুলো প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে কৃষকেরা সংরক্ষণের সুযোগ না পেয়ে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে দাম কমে গিয়ে কৃষকেরা লোকসানে পড়েছেন।
সেহরি খেয়ে হিমাগারে আলু রাখতে যান কৃষক সাইফুল ইসলাম (৩৬)। পরদিন রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও আলু রাখতে না পেরে ফেরত যান তিনি। সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএডিসির মাধ্যমে ১০০ টাকা কেজি দরে আলুর বীজ কিনেছিলেন। দেড় বিঘা জমিতে রোপণ করেন তিনি। এতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৭০ মণ আলু। হিমাগারে ১০ বস্তা রাখার জন্য স্লিপ কিনেছেন। কিন্তু স্লিপ থাকার পরও হিমাগারে রাখতে না পেরে আলু নিয়ে ফেরত যান। এতে গুনতে হয়েছে বাড়তি গাড়িভাড়া। ফলে কম দামে বাড়ি থেকেই আলু বিক্রি করে দিয়েছেন।
আরেক কৃষক আব্দুল মান্নান (৬০) জানান, তিনিও দেড় বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছিলেন; কিন্তু দুদিন হিমাগারে ঘুরেও রাখতে পারেননি। পরে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের বাল্ল্যে গ্রামের কৃষক হেলাল সরকার এবার ৬ একর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। সংরক্ষণের বুকিং কার্ড সংকটের খবর পেয়ে কয়েকটি হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোনো কার্ডের ব্যবস্থা করতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করেন, হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রকৃত চাষিদের নয়, কেবল মজুতদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে আলু রাখার বুকিং কার্ড বিক্রি করেছে। ফলে এলাকার চাষিরা হিমাগারে আলু রাখার সুযোগ পাচ্ছেন না।
চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার শুরুতে আগাম জাতের আলুর দাম কিছুটা বেশি ছিল। তবে এখন দিনে দিনে দাম কমেছে। বর্তমানে ৩৮০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। গত বছর বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে প্রতি বস্তা আলু রাখার ভাড়া ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করে নিয়েছিল হিমাগারগুলো। এ বছর আবারও ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এবার কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন প্রতি কেজি ৮ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এতে ৬৫ কেজির এক বস্তা আলুর ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা। অগ্রিম বুকিং কার্ড নিতে দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা করে। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, গত বছর যে এক বস্তায় ৬৫-৬৬ কেজি পর্যন্ত আলু রাখা হয়েছিল, তা এবার ৫০ কেজি করে রাখতে হবে।
কৃষকেরা জানান, আলুর দাম কমে যাওয়ায় তারা উৎপাদনের অর্ধেক খরচও তুলতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে হিমাগারে রাখার চেষ্টা করছেন। হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি ও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও আলু রাখার বুকিং কার্ড না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। আলু রাখার স্লিপ কার্ড দেওয়া শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রয়ারি। ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্লিপ কার্ড দিয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। ১৮ ফেব্রুয়ারি শত শত আলুচাষি বুকিং কার্ডের দাবিতে গোবিন্দগঞ্জে হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের মেইন গেট অবরুদ্ধ এবং ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করেন।
কৃষকদের অভিযোগ, হিমাগার কর্তৃপক্ষ যোগসাজশ করে মজুতকারীদের আলু সংরক্ষণের কার্ড আগেভাগেই দিয়ে দিয়েছে। ফলে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের কার্ড থেকে সাধারণ আলুচাষিরা বঞ্চিত হয়েছেন। অথচ দিন-রাত ট্রলি, ট্রাক্টর, ভ্যানে করে ব্যবসায়ী ও মজুতকারীদের হাজার হাজার বস্তা আলু হিমাগারে প্রবেশ করছে। এদিকে বুকিং কার্ড না পেয়ে কৃষকেরা খেত থেকে তোলার সঙ্গে সঙ্গে আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে তাঁরা আগামী মৌসুমের জন্য বীজআলুও সংরক্ষণ করতে পারবেন না।
হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার মোজাম্মেল হক বলেন, বুকিং কার্ড শেষ হয়ে গেছে। বিগত বছর আমাদের হিমাগারে আলু রাখা ব্যবসায়ীদের এবারও বুকিং কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তা পরিমাণে অনেক কম। বুকিং কার্ড কালোবাজারে বিক্রির কোনো নিয়ম নেই।
গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার সজীব বলেন, ‘এ বছর আমরা স্থানীয় কৃষকদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। মজুতদারদের কোনো কার্ড দেওয়া হচ্ছে না। কৃষকেরা ৫ থেকে ১০ বস্তা করে আলু নিয়ে এলে কোল্ডস্টোরেজে রাখার কোনো সমস্যা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোল্ডস্টোরেজ দুটির ধারণক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বস্তা। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু বুকিং হয়েছে।’
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষকেরা যাতে তাঁদের উৎপাদিত আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারেন, সে জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। হিমাগার মালিক সমিতি আমাদের জানিয়েছে, তাঁদের হিমাগারগুলোয় যথেষ্ট জায়গা ফাঁকা রয়েছে। কৃষকদের বীজআলু রাখতে কোনো সমস্যা হবে না। কেউ অতিরিক্ত আলু মজুতের কারসাজি করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘এবার আলু উৎপাদনের জন্য আবহাওয়া ভালো ছিল। তাই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে জেলায় প্রায় দেড় গুণ বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। সব কৃষক যাতে করে কমপক্ষে বীজ হিসেবে আলু সংরক্ষণ করতে পারেন, সেটুকু ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কোল্ডস্টোরেজের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

দিনরাত আলু নিয়ে হিমাগারে অপেক্ষা। তারপরও সেখানে রাখা যাচ্ছে না। বুকিং কার্ড থাকলেও আলু নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কৃষককে। হিমাগারের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আলু সংরক্ষণের কার্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষকেরা হিমাগারে আলু রাখতে পারছেন না।
জেলা কৃষি অফিস সূত্র বলেছে, গাইবান্ধায় এবার ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল; কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৪৯৭ হেক্টরে। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাতেই আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ১০৪ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৩১৮ হেক্টরে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ না হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
এদিকে উৎপাদিত আলু সংরক্ষণের জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বকচর হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজ-১, গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজ-২ ও উপজেলার সূর্যগাড়ি এলাকায় ১টি এবং সাপমারা এলাকায় অ্যাপেক্স অ্যাগ্রিসায়েন্স লিমিটেড নামে ৪টি হিমাগার রয়েছে। এ ছাড়া সাদুল্যাপুর উপজেলায় আরবি কোল্ডস্টোরেজ ও সুন্দরগঞ্জে আশরাফ আলী কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে। এই ছয়টি হিমাগারে ৫২ হাজার ৭৬০ টন আলু সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে হিমাগারগুলো প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে কৃষকেরা সংরক্ষণের সুযোগ না পেয়ে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে দাম কমে গিয়ে কৃষকেরা লোকসানে পড়েছেন।
সেহরি খেয়ে হিমাগারে আলু রাখতে যান কৃষক সাইফুল ইসলাম (৩৬)। পরদিন রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও আলু রাখতে না পেরে ফেরত যান তিনি। সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএডিসির মাধ্যমে ১০০ টাকা কেজি দরে আলুর বীজ কিনেছিলেন। দেড় বিঘা জমিতে রোপণ করেন তিনি। এতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৭০ মণ আলু। হিমাগারে ১০ বস্তা রাখার জন্য স্লিপ কিনেছেন। কিন্তু স্লিপ থাকার পরও হিমাগারে রাখতে না পেরে আলু নিয়ে ফেরত যান। এতে গুনতে হয়েছে বাড়তি গাড়িভাড়া। ফলে কম দামে বাড়ি থেকেই আলু বিক্রি করে দিয়েছেন।
আরেক কৃষক আব্দুল মান্নান (৬০) জানান, তিনিও দেড় বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছিলেন; কিন্তু দুদিন হিমাগারে ঘুরেও রাখতে পারেননি। পরে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের বাল্ল্যে গ্রামের কৃষক হেলাল সরকার এবার ৬ একর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। সংরক্ষণের বুকিং কার্ড সংকটের খবর পেয়ে কয়েকটি হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোনো কার্ডের ব্যবস্থা করতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করেন, হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রকৃত চাষিদের নয়, কেবল মজুতদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে আলু রাখার বুকিং কার্ড বিক্রি করেছে। ফলে এলাকার চাষিরা হিমাগারে আলু রাখার সুযোগ পাচ্ছেন না।
চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার শুরুতে আগাম জাতের আলুর দাম কিছুটা বেশি ছিল। তবে এখন দিনে দিনে দাম কমেছে। বর্তমানে ৩৮০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। গত বছর বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে প্রতি বস্তা আলু রাখার ভাড়া ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করে নিয়েছিল হিমাগারগুলো। এ বছর আবারও ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এবার কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন প্রতি কেজি ৮ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এতে ৬৫ কেজির এক বস্তা আলুর ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা। অগ্রিম বুকিং কার্ড নিতে দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা করে। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, গত বছর যে এক বস্তায় ৬৫-৬৬ কেজি পর্যন্ত আলু রাখা হয়েছিল, তা এবার ৫০ কেজি করে রাখতে হবে।
কৃষকেরা জানান, আলুর দাম কমে যাওয়ায় তারা উৎপাদনের অর্ধেক খরচও তুলতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে হিমাগারে রাখার চেষ্টা করছেন। হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি ও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও আলু রাখার বুকিং কার্ড না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। আলু রাখার স্লিপ কার্ড দেওয়া শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রয়ারি। ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্লিপ কার্ড দিয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। ১৮ ফেব্রুয়ারি শত শত আলুচাষি বুকিং কার্ডের দাবিতে গোবিন্দগঞ্জে হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের মেইন গেট অবরুদ্ধ এবং ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করেন।
কৃষকদের অভিযোগ, হিমাগার কর্তৃপক্ষ যোগসাজশ করে মজুতকারীদের আলু সংরক্ষণের কার্ড আগেভাগেই দিয়ে দিয়েছে। ফলে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের কার্ড থেকে সাধারণ আলুচাষিরা বঞ্চিত হয়েছেন। অথচ দিন-রাত ট্রলি, ট্রাক্টর, ভ্যানে করে ব্যবসায়ী ও মজুতকারীদের হাজার হাজার বস্তা আলু হিমাগারে প্রবেশ করছে। এদিকে বুকিং কার্ড না পেয়ে কৃষকেরা খেত থেকে তোলার সঙ্গে সঙ্গে আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে তাঁরা আগামী মৌসুমের জন্য বীজআলুও সংরক্ষণ করতে পারবেন না।
হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার মোজাম্মেল হক বলেন, বুকিং কার্ড শেষ হয়ে গেছে। বিগত বছর আমাদের হিমাগারে আলু রাখা ব্যবসায়ীদের এবারও বুকিং কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তা পরিমাণে অনেক কম। বুকিং কার্ড কালোবাজারে বিক্রির কোনো নিয়ম নেই।
গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার সজীব বলেন, ‘এ বছর আমরা স্থানীয় কৃষকদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। মজুতদারদের কোনো কার্ড দেওয়া হচ্ছে না। কৃষকেরা ৫ থেকে ১০ বস্তা করে আলু নিয়ে এলে কোল্ডস্টোরেজে রাখার কোনো সমস্যা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোল্ডস্টোরেজ দুটির ধারণক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বস্তা। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু বুকিং হয়েছে।’
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষকেরা যাতে তাঁদের উৎপাদিত আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারেন, সে জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। হিমাগার মালিক সমিতি আমাদের জানিয়েছে, তাঁদের হিমাগারগুলোয় যথেষ্ট জায়গা ফাঁকা রয়েছে। কৃষকদের বীজআলু রাখতে কোনো সমস্যা হবে না। কেউ অতিরিক্ত আলু মজুতের কারসাজি করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘এবার আলু উৎপাদনের জন্য আবহাওয়া ভালো ছিল। তাই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে জেলায় প্রায় দেড় গুণ বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। সব কৃষক যাতে করে কমপক্ষে বীজ হিসেবে আলু সংরক্ষণ করতে পারেন, সেটুকু ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কোল্ডস্টোরেজের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছি।’

দিনরাত আলু নিয়ে হিমাগারে অপেক্ষা। তারপরও সেখানে রাখা যাচ্ছে না। বুকিং কার্ড থাকলেও আলু নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কৃষককে। হিমাগারের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আলু সংরক্ষণের কার্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষকেরা হিমাগারে আলু রাখতে পারছেন না।
জেলা কৃষি অফিস সূত্র বলেছে, গাইবান্ধায় এবার ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল; কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৪৯৭ হেক্টরে। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাতেই আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ১০৪ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৩১৮ হেক্টরে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ না হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
এদিকে উৎপাদিত আলু সংরক্ষণের জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বকচর হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজ-১, গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজ-২ ও উপজেলার সূর্যগাড়ি এলাকায় ১টি এবং সাপমারা এলাকায় অ্যাপেক্স অ্যাগ্রিসায়েন্স লিমিটেড নামে ৪টি হিমাগার রয়েছে। এ ছাড়া সাদুল্যাপুর উপজেলায় আরবি কোল্ডস্টোরেজ ও সুন্দরগঞ্জে আশরাফ আলী কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে। এই ছয়টি হিমাগারে ৫২ হাজার ৭৬০ টন আলু সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে হিমাগারগুলো প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে কৃষকেরা সংরক্ষণের সুযোগ না পেয়ে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে দাম কমে গিয়ে কৃষকেরা লোকসানে পড়েছেন।
সেহরি খেয়ে হিমাগারে আলু রাখতে যান কৃষক সাইফুল ইসলাম (৩৬)। পরদিন রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও আলু রাখতে না পেরে ফেরত যান তিনি। সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএডিসির মাধ্যমে ১০০ টাকা কেজি দরে আলুর বীজ কিনেছিলেন। দেড় বিঘা জমিতে রোপণ করেন তিনি। এতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৭০ মণ আলু। হিমাগারে ১০ বস্তা রাখার জন্য স্লিপ কিনেছেন। কিন্তু স্লিপ থাকার পরও হিমাগারে রাখতে না পেরে আলু নিয়ে ফেরত যান। এতে গুনতে হয়েছে বাড়তি গাড়িভাড়া। ফলে কম দামে বাড়ি থেকেই আলু বিক্রি করে দিয়েছেন।
আরেক কৃষক আব্দুল মান্নান (৬০) জানান, তিনিও দেড় বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছিলেন; কিন্তু দুদিন হিমাগারে ঘুরেও রাখতে পারেননি। পরে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের বাল্ল্যে গ্রামের কৃষক হেলাল সরকার এবার ৬ একর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। সংরক্ষণের বুকিং কার্ড সংকটের খবর পেয়ে কয়েকটি হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোনো কার্ডের ব্যবস্থা করতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করেন, হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রকৃত চাষিদের নয়, কেবল মজুতদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে আলু রাখার বুকিং কার্ড বিক্রি করেছে। ফলে এলাকার চাষিরা হিমাগারে আলু রাখার সুযোগ পাচ্ছেন না।
চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার শুরুতে আগাম জাতের আলুর দাম কিছুটা বেশি ছিল। তবে এখন দিনে দিনে দাম কমেছে। বর্তমানে ৩৮০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। গত বছর বিদ্যুৎ বিলের অজুহাতে প্রতি বস্তা আলু রাখার ভাড়া ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করে নিয়েছিল হিমাগারগুলো। এ বছর আবারও ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এবার কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন প্রতি কেজি ৮ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এতে ৬৫ কেজির এক বস্তা আলুর ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা। অগ্রিম বুকিং কার্ড নিতে দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা করে। হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, গত বছর যে এক বস্তায় ৬৫-৬৬ কেজি পর্যন্ত আলু রাখা হয়েছিল, তা এবার ৫০ কেজি করে রাখতে হবে।
কৃষকেরা জানান, আলুর দাম কমে যাওয়ায় তারা উৎপাদনের অর্ধেক খরচও তুলতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে হিমাগারে রাখার চেষ্টা করছেন। হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি ও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও আলু রাখার বুকিং কার্ড না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। আলু রাখার স্লিপ কার্ড দেওয়া শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রয়ারি। ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্লিপ কার্ড দিয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। ১৮ ফেব্রুয়ারি শত শত আলুচাষি বুকিং কার্ডের দাবিতে গোবিন্দগঞ্জে হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের মেইন গেট অবরুদ্ধ এবং ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করেন।
কৃষকদের অভিযোগ, হিমাগার কর্তৃপক্ষ যোগসাজশ করে মজুতকারীদের আলু সংরক্ষণের কার্ড আগেভাগেই দিয়ে দিয়েছে। ফলে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের কার্ড থেকে সাধারণ আলুচাষিরা বঞ্চিত হয়েছেন। অথচ দিন-রাত ট্রলি, ট্রাক্টর, ভ্যানে করে ব্যবসায়ী ও মজুতকারীদের হাজার হাজার বস্তা আলু হিমাগারে প্রবেশ করছে। এদিকে বুকিং কার্ড না পেয়ে কৃষকেরা খেত থেকে তোলার সঙ্গে সঙ্গে আলু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে তাঁরা আগামী মৌসুমের জন্য বীজআলুও সংরক্ষণ করতে পারবেন না।
হিমাদ্রি কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার মোজাম্মেল হক বলেন, বুকিং কার্ড শেষ হয়ে গেছে। বিগত বছর আমাদের হিমাগারে আলু রাখা ব্যবসায়ীদের এবারও বুকিং কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে তা পরিমাণে অনেক কম। বুকিং কার্ড কালোবাজারে বিক্রির কোনো নিয়ম নেই।
গোবিন্দগঞ্জ কোল্ডস্টোরেজের ম্যানেজার সজীব বলেন, ‘এ বছর আমরা স্থানীয় কৃষকদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। মজুতদারদের কোনো কার্ড দেওয়া হচ্ছে না। কৃষকেরা ৫ থেকে ১০ বস্তা করে আলু নিয়ে এলে কোল্ডস্টোরেজে রাখার কোনো সমস্যা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোল্ডস্টোরেজ দুটির ধারণক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বস্তা। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা আলু বুকিং হয়েছে।’
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষকেরা যাতে তাঁদের উৎপাদিত আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারেন, সে জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। হিমাগার মালিক সমিতি আমাদের জানিয়েছে, তাঁদের হিমাগারগুলোয় যথেষ্ট জায়গা ফাঁকা রয়েছে। কৃষকদের বীজআলু রাখতে কোনো সমস্যা হবে না। কেউ অতিরিক্ত আলু মজুতের কারসাজি করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘এবার আলু উৎপাদনের জন্য আবহাওয়া ভালো ছিল। তাই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে জেলায় প্রায় দেড় গুণ বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। সব কৃষক যাতে করে কমপক্ষে বীজ হিসেবে আলু সংরক্ষণ করতে পারেন, সেটুকু ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কোল্ডস্টোরেজের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছি।’

মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের এবং উপকরণ সরবরাহকারীদের বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারী দুজন ঘটনার আগে-পরে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে ডিবি ও র্যাব
৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
৫ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
৫ ঘণ্টা আগেমুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, সুবর্ণচর (নোয়াখালী)

মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের উপযোগী হয়ে ওঠেনি।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)-এর হিসাবে, গত ৭০ বছরে নোয়াখালীতে প্রায় ২০০ বর্গকিলোমিটার ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি। তবে এই ভাঙা-গড়ার প্রক্রিয়ায় যারা সব হারায়, তাদের জন্য থাকে কেবল হাহাকার।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীভাঙনে নিঃস্ব মানুষের জন্য সরকারিভাবে কোনো আলাদা সুযোগ-সুবিধা নেই। নেই পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ। এমনকি কত মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছে, তারও কোনো নির্ভরযোগ্য তালিকা তৈরি করা হয়নি।
জানা গেছে, মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙনে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ও চরক্লার্ক ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই বছরে এই দুই ইউনিয়নে অন্তত তিন হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আরও বিস্তৃত হওয়ায় মোট ভিটেমাটি হারানো পরিবারের সংখ্যা প্রায় চার হাজার।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, চরক্লার্ক ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হেমায়েতপুরের একটি অংশ, চর বায়েজিদ মৌজা, চর খন্দকার, আলেমপুর, সৈয়দপুর, চর নোমান সমাজ ও চর মোজাম্মেল মৌজাসহ অন্তত ১০টি এলাকা ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি, চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের (সিডিএসপি) ৭/৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং বন বিভাগের রোপণ করা নানা প্রজাতির গাছ।
এক বছর আগে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চর খন্দকার এলাকায় সাবেক ২ নম্বর কাটাখালী স্লুইসগেট নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে জোয়ারের সময় পানি দ্রুত উত্তর দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে সোলেমান বাজারসহ আশপাশের এলাকাও নতুন করে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার।
জানতে চাইলে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল বাশার জানান, ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। উপদেষ্টা পর্যায়েও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সুবর্ণচরের সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী বাবলু বলেন, ভাঙা-গড়া প্রকৃতির নিয়ম হলেও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জেগে ওঠা চরে তাঁদের পুরোনো অবস্থান বা জীবন ফিরে পান না। নদীশাসন এবং জেগে ওঠা চরে বসতি স্থাপন নিয়ে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা জরুরি। নদী ভাঙলে শুধু মানুষের ঘরবাড়ি নয়, জনপদের চিহ্নও মুছে যায়।
এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমান বলেন, মোহাম্মদপুর ও চরক্লার্ক ইউনিয়নের ভাঙনের বিষয়টি প্রশাসনের জানা আছে। তবে এখনো পর্যন্ত কত পরিবার গৃহহীন হয়েছে, তার কোনো তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের উপযোগী হয়ে ওঠেনি।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)-এর হিসাবে, গত ৭০ বছরে নোয়াখালীতে প্রায় ২০০ বর্গকিলোমিটার ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি। তবে এই ভাঙা-গড়ার প্রক্রিয়ায় যারা সব হারায়, তাদের জন্য থাকে কেবল হাহাকার।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীভাঙনে নিঃস্ব মানুষের জন্য সরকারিভাবে কোনো আলাদা সুযোগ-সুবিধা নেই। নেই পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ। এমনকি কত মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছে, তারও কোনো নির্ভরযোগ্য তালিকা তৈরি করা হয়নি।
জানা গেছে, মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙনে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ও চরক্লার্ক ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই বছরে এই দুই ইউনিয়নে অন্তত তিন হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আরও বিস্তৃত হওয়ায় মোট ভিটেমাটি হারানো পরিবারের সংখ্যা প্রায় চার হাজার।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, চরক্লার্ক ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হেমায়েতপুরের একটি অংশ, চর বায়েজিদ মৌজা, চর খন্দকার, আলেমপুর, সৈয়দপুর, চর নোমান সমাজ ও চর মোজাম্মেল মৌজাসহ অন্তত ১০টি এলাকা ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি, চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের (সিডিএসপি) ৭/৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং বন বিভাগের রোপণ করা নানা প্রজাতির গাছ।
এক বছর আগে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চর খন্দকার এলাকায় সাবেক ২ নম্বর কাটাখালী স্লুইসগেট নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে জোয়ারের সময় পানি দ্রুত উত্তর দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে সোলেমান বাজারসহ আশপাশের এলাকাও নতুন করে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার।
জানতে চাইলে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল বাশার জানান, ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। উপদেষ্টা পর্যায়েও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সুবর্ণচরের সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী বাবলু বলেন, ভাঙা-গড়া প্রকৃতির নিয়ম হলেও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জেগে ওঠা চরে তাঁদের পুরোনো অবস্থান বা জীবন ফিরে পান না। নদীশাসন এবং জেগে ওঠা চরে বসতি স্থাপন নিয়ে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা জরুরি। নদী ভাঙলে শুধু মানুষের ঘরবাড়ি নয়, জনপদের চিহ্নও মুছে যায়।
এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমান বলেন, মোহাম্মদপুর ও চরক্লার্ক ইউনিয়নের ভাঙনের বিষয়টি প্রশাসনের জানা আছে। তবে এখনো পর্যন্ত কত পরিবার গৃহহীন হয়েছে, তার কোনো তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দিনরাত আলু নিয়ে হিমাগারে অপেক্ষা। তারপরও সেখানে রাখা যাচ্ছে না। বুকিং কার্ড থাকলেও আলু নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কৃষককে। হিমাগারের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আলু সংরক্ষণের কার্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
১১ মার্চ ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের এবং উপকরণ সরবরাহকারীদের বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারী দুজন ঘটনার আগে-পরে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে ডিবি ও র্যাব
৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
৫ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের এবং উপকরণ সরবরাহকারীদের বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারী দুজন ঘটনার আগে-পরে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে ডিবি ও র্যাব। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। এই হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল ওরফে দাউদের (৩৭) স্ত্রীসহ তিনজনকে গতকাল ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করেন মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। এই ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর রাতে পল্টন থানায় করা মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবির মতিঝিল বিভাগ।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম গতকাল বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ওসমান হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরে পৌঁছায়। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদির শরীরের অন্য অঙ্গগুলো এখনো ‘নিয়ন্ত্রণযোগ্য’ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা হামলায় অংশ নেওয়া দুজনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। তাঁরা হলেন–ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল ওরফে দাউদ ও আলমগীর হোসেন। তবে মামলার এজাহারে আলমগীরের নাম নেই। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই দুজনের এবং তাঁদের বহনকারী গাড়ির চালকদের তথ্য পেলেও হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। ফয়সাল ও আলমগীর ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে গেছেন বলেও ডিবি নিশ্চিত হয়েছে।
হামলার আগের রাতে সাভারের একটি রিসোর্টে ছিলেন দুজন। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হামলার আগের দিন, অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর রাতে সাভারের গ্রিন জোন রিসোর্টের পৃথক কক্ষে ছিলেন ফয়সাল ও আলমগীর। রাত ২টার দিকে সেখানে ফয়সালের বান্ধবী ছোট বোনকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সকালে হাদির কিছু ভিডিও দেখার পর ঢাকায় আসেন তাঁরা। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সালের বান্ধবী জানান, হাদির ভিডিও দেখার সময় গালিগালাজ করেন ফয়সাল। হাদিকে কিছু একটা করবেন, তা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন।
দুবার মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট পরিবর্তন: ১২ ডিসেম্বর সকালে সাভার থেকে ঢাকায় এসে ফয়সাল ও আলমগীর আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসায় যান। সেখানে ফয়সালের বাবা-মাও থাকেন। ওই বাসার গ্যারেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে ডিবি বলছে, বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ফয়সালের বাবা একটি নম্বরপ্লেট নিয়ে গ্যারেজে এলে তাঁরা নম্বরপ্লেট পরিবর্তন করে বের হন। গুলি করার পর পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা আবার আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসায় যান। আবার মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট পরিবর্তন করেন। একটি নম্বরপ্লেট তাঁরা ম্যানহোলে ফেলে দেন। বাসায় কিছুক্ষণ থেকে ফয়সাল ও আলমগীর দুটি কালো ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে বাসার নিরাপত্তাকর্মীর ঠিক করা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আমিন বাজারের ঢালে নামেন। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ওই অটোরিকশাচালক জানান, আমিনবাজারে ওই দুজন এক তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি গাড়ি নিয়ে আগে থেকে সেখানে অপেক্ষা করছিলেন বলে ডিবি নিশ্চিত হয়েছে। সেখানে তাঁরা মোবাইল ও সিম ফেলে দেন। এরপর কালামপুর, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা হয়ে ময়মনসিংহ যান। ময়মনসিংহের সেতুর পাড়ে গাড়ি বদলে আরেকটি প্রাইভেট কারে উঠে হালুয়াঘাটের ধারাবাজারের একটি পেট্রলপাম্পে গিয়ে থামেন। সেখানে তিন যুবক ওই দুজনকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে হালুয়াঘাটের ভুটিয়াপাড়ায় নিয়ে যান। রাত আড়াইটার দিকে ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দুজনে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরায় যান। হামলা ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পুরো বিষয়টি ছিল নিখুঁত পরিকল্পনার অংশ। ময়মনসিংহে নেওয়া গাড়িটি ছিল ভাড়া করা।
৪ ডিসেম্বর থেকে হামলাকারী ফয়সাল, আলমগীর ও জাকির প্রার্থী ওসমান হাদির গণসংযোগে নিয়মিত অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও পুলিশ। এর দেড় মাস আগে তাঁরা জুলাই যোদ্ধা পরিচয়ে হাদির দলে ভিড়েছিলেন।
ফয়সালের স্ত্রীসহ তিনজন রিমান্ডে: প্রধান আসামি ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ও ফয়সালের এক বান্ধবীকে গতকাল আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাঁদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হাদির মোবাইলের হদিস নেই: হামলার পর ওসমান হাদির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। ডিবি বলেছে, তাঁর মোবাইলে যেহেতু বারবার হত্যার হুমকি আসছিল, তাই মোবাইলটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে ঘটনার পর মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। ওই মোবাইল নম্বরটি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।
সীমান্ত পারাপারে জড়িত আরও দুজন আটক: হাদির ওপর হামলাকারীদের সীমান্ত পার করানোর ঘটনায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে আটক করেছে বিজিবি। ময়মনসিংহের ৩৯ বিজিবির সেক্টর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি জানান। আটক দুজন হলেন, শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে মানুষ পারাপারে সহায়তাকারী ফিলিপের মামাশ্বশুর বেঞ্জামিন চিড়ান এবং ফিলিপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সীশল। এর আগে রোববার ডিবি পুলিশ ওই এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। সিবিয়ন দিও ও সঞ্চয় চিসিম নামের ওই দুজন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের এবং উপকরণ সরবরাহকারীদের বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারী দুজন ঘটনার আগে-পরে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে ডিবি ও র্যাব। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। এই হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল ওরফে দাউদের (৩৭) স্ত্রীসহ তিনজনকে গতকাল ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করেন মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। এই ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর রাতে পল্টন থানায় করা মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবির মতিঝিল বিভাগ।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম গতকাল বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ওসমান হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরে পৌঁছায়। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদির শরীরের অন্য অঙ্গগুলো এখনো ‘নিয়ন্ত্রণযোগ্য’ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা হামলায় অংশ নেওয়া দুজনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। তাঁরা হলেন–ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল ওরফে দাউদ ও আলমগীর হোসেন। তবে মামলার এজাহারে আলমগীরের নাম নেই। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই দুজনের এবং তাঁদের বহনকারী গাড়ির চালকদের তথ্য পেলেও হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। ফয়সাল ও আলমগীর ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে গেছেন বলেও ডিবি নিশ্চিত হয়েছে।
হামলার আগের রাতে সাভারের একটি রিসোর্টে ছিলেন দুজন। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হামলার আগের দিন, অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর রাতে সাভারের গ্রিন জোন রিসোর্টের পৃথক কক্ষে ছিলেন ফয়সাল ও আলমগীর। রাত ২টার দিকে সেখানে ফয়সালের বান্ধবী ছোট বোনকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সকালে হাদির কিছু ভিডিও দেখার পর ঢাকায় আসেন তাঁরা। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সালের বান্ধবী জানান, হাদির ভিডিও দেখার সময় গালিগালাজ করেন ফয়সাল। হাদিকে কিছু একটা করবেন, তা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন।
দুবার মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট পরিবর্তন: ১২ ডিসেম্বর সকালে সাভার থেকে ঢাকায় এসে ফয়সাল ও আলমগীর আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসায় যান। সেখানে ফয়সালের বাবা-মাও থাকেন। ওই বাসার গ্যারেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে ডিবি বলছে, বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ফয়সালের বাবা একটি নম্বরপ্লেট নিয়ে গ্যারেজে এলে তাঁরা নম্বরপ্লেট পরিবর্তন করে বের হন। গুলি করার পর পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা আবার আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসায় যান। আবার মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট পরিবর্তন করেন। একটি নম্বরপ্লেট তাঁরা ম্যানহোলে ফেলে দেন। বাসায় কিছুক্ষণ থেকে ফয়সাল ও আলমগীর দুটি কালো ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে বাসার নিরাপত্তাকর্মীর ঠিক করা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আমিন বাজারের ঢালে নামেন। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ওই অটোরিকশাচালক জানান, আমিনবাজারে ওই দুজন এক তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি গাড়ি নিয়ে আগে থেকে সেখানে অপেক্ষা করছিলেন বলে ডিবি নিশ্চিত হয়েছে। সেখানে তাঁরা মোবাইল ও সিম ফেলে দেন। এরপর কালামপুর, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা হয়ে ময়মনসিংহ যান। ময়মনসিংহের সেতুর পাড়ে গাড়ি বদলে আরেকটি প্রাইভেট কারে উঠে হালুয়াঘাটের ধারাবাজারের একটি পেট্রলপাম্পে গিয়ে থামেন। সেখানে তিন যুবক ওই দুজনকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে হালুয়াঘাটের ভুটিয়াপাড়ায় নিয়ে যান। রাত আড়াইটার দিকে ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দুজনে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরায় যান। হামলা ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পুরো বিষয়টি ছিল নিখুঁত পরিকল্পনার অংশ। ময়মনসিংহে নেওয়া গাড়িটি ছিল ভাড়া করা।
৪ ডিসেম্বর থেকে হামলাকারী ফয়সাল, আলমগীর ও জাকির প্রার্থী ওসমান হাদির গণসংযোগে নিয়মিত অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও পুলিশ। এর দেড় মাস আগে তাঁরা জুলাই যোদ্ধা পরিচয়ে হাদির দলে ভিড়েছিলেন।
ফয়সালের স্ত্রীসহ তিনজন রিমান্ডে: প্রধান আসামি ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ও ফয়সালের এক বান্ধবীকে গতকাল আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাঁদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হাদির মোবাইলের হদিস নেই: হামলার পর ওসমান হাদির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। ডিবি বলেছে, তাঁর মোবাইলে যেহেতু বারবার হত্যার হুমকি আসছিল, তাই মোবাইলটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে ঘটনার পর মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। ওই মোবাইল নম্বরটি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।
সীমান্ত পারাপারে জড়িত আরও দুজন আটক: হাদির ওপর হামলাকারীদের সীমান্ত পার করানোর ঘটনায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে আটক করেছে বিজিবি। ময়মনসিংহের ৩৯ বিজিবির সেক্টর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি জানান। আটক দুজন হলেন, শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে মানুষ পারাপারে সহায়তাকারী ফিলিপের মামাশ্বশুর বেঞ্জামিন চিড়ান এবং ফিলিপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সীশল। এর আগে রোববার ডিবি পুলিশ ওই এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। সিবিয়ন দিও ও সঞ্চয় চিসিম নামের ওই দুজন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

দিনরাত আলু নিয়ে হিমাগারে অপেক্ষা। তারপরও সেখানে রাখা যাচ্ছে না। বুকিং কার্ড থাকলেও আলু নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কৃষককে। হিমাগারের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আলু সংরক্ষণের কার্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
১১ মার্চ ২০২৫
মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের
৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
৫ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
৫ ঘণ্টা আগেফটিকছড়ি সংবাদদাতা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
জানা গেছে, উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা, বাগানবাজার, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ও কাঞ্চননগর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব মাটি কাটার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে চলছে এই কর্মকাণ্ড।
স্থানীয়রা বলেন, কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা রোধে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে কৌশল বদলে দিনের বেলার পরিবর্তে রাতে কাটা হচ্ছে মাটি। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে মাটি কাটা।
জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার ফসলি জমি ও টিলা থেকে মাটি কাটছে অর্ধশতাধিক চক্র। এক্সকাভেটর দিয়ে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ডাম্পট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে ইটভাটা, পুকুর, ডোবা ও নতুন বাড়ির জায়গায় মাটি ভরাট করছে তাঁরা।
সরেজমিনে গত শনি ও রোববার দুই দিন উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, বাগানবাজার ইউনিয়নের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা মেলে পরিবেশ ধ্বংসের এমন ভয়াবহতার চিত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পাইন্দংয়ের ফকিরাচাঁন আমতল এলাকায় রাতের আঁধারে কয়েকটি এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে কৃষিজমির মাটি। ভূজপুর ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গলাচিপা এলাকায় স্থানীয় মো. রাশেদের নেতৃত্বে চার-পাঁচজনের একটি চক্র রাতের আঁধারে কেটে নিয়েছে বিশালাকার টিলার মাটি। এসব মাটি ডাম্পট্রাকে করে যাচ্ছে কাজীরহাট বাজারের একাধিক কৃষিজমি ভরাট কাজে। একই কায়দায় হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের আপন ব্রিকস ফিল্ডসংলগ্ন বাংলাবাজার সরকার বাড়ি এলাকায় কাটা হয়েছে টিলা। ভূজপুর ইউনিয়নের আছিয়া চা-বাগানসংলগ্ন মা আমেনা লেয়ার ফার্মের পাশে মো. আরিফ নামে এক ব্যক্তির মুরগির ফার্ম তৈরির জন্য কাটা হয়েছে বিশালাকার টিলা। একই দৃশ্য বাগানবাজার ইউনিয়নের লালমাই এলাকায়। যেখানে ভবন নির্মাণের জন্য দিনদুপুরে কাটা হচ্ছে উঁচু পাহাড়-টিলা। লালমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় মনির ও মফিজের নেতৃত্বে পেলোডার দিয়ে কেটে সাবাড় করা হয়েছে ব্যবসায়ী মো. হাসেমের টিলা।
মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন হাসেমের ছেলে মাহবুব। তিনি বলেন, ‘আমরা যাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছি তারা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’ তবে কাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছেন তাদের নাম বলেননি মাহবুব। একই ইউনিয়নের বাগমারা এলাকায় মাহবুবুল হকের বসত টিলা, গার্ডের দোকানে নবী মাস্টারের টিলা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক বাবুলের ভাই লায়েসের নেতৃত্বে কাটা হচ্ছে কৃষিজমি। তবে মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মো. লায়েস।
লালমাই এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের লোকেরাই পাহাড়-টিলা কর্তন করে। প্রভাবশালী হওয়ার ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না, প্রতিবাদ করে না।’
চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্স অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, কর্তনকৃত এসব স্থান পরিদর্শন করে শিগগিরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাটি কাটার সংবাদ পেলে যত রাতই হোক অভিযান পরিচালনা করছি।’ তিনি বলেন, টিলা-পাহাড় ও কৃষিজমির টপসয়েল কাটা আমলযোগ্য অপরাধ। পুলিশ প্রশাসন চাইলে স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
জানা গেছে, উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা, বাগানবাজার, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ও কাঞ্চননগর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব মাটি কাটার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে চলছে এই কর্মকাণ্ড।
স্থানীয়রা বলেন, কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা রোধে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে কৌশল বদলে দিনের বেলার পরিবর্তে রাতে কাটা হচ্ছে মাটি। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে মাটি কাটা।
জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার ফসলি জমি ও টিলা থেকে মাটি কাটছে অর্ধশতাধিক চক্র। এক্সকাভেটর দিয়ে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ডাম্পট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে ইটভাটা, পুকুর, ডোবা ও নতুন বাড়ির জায়গায় মাটি ভরাট করছে তাঁরা।
সরেজমিনে গত শনি ও রোববার দুই দিন উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, বাগানবাজার ইউনিয়নের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা মেলে পরিবেশ ধ্বংসের এমন ভয়াবহতার চিত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পাইন্দংয়ের ফকিরাচাঁন আমতল এলাকায় রাতের আঁধারে কয়েকটি এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে কৃষিজমির মাটি। ভূজপুর ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গলাচিপা এলাকায় স্থানীয় মো. রাশেদের নেতৃত্বে চার-পাঁচজনের একটি চক্র রাতের আঁধারে কেটে নিয়েছে বিশালাকার টিলার মাটি। এসব মাটি ডাম্পট্রাকে করে যাচ্ছে কাজীরহাট বাজারের একাধিক কৃষিজমি ভরাট কাজে। একই কায়দায় হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের আপন ব্রিকস ফিল্ডসংলগ্ন বাংলাবাজার সরকার বাড়ি এলাকায় কাটা হয়েছে টিলা। ভূজপুর ইউনিয়নের আছিয়া চা-বাগানসংলগ্ন মা আমেনা লেয়ার ফার্মের পাশে মো. আরিফ নামে এক ব্যক্তির মুরগির ফার্ম তৈরির জন্য কাটা হয়েছে বিশালাকার টিলা। একই দৃশ্য বাগানবাজার ইউনিয়নের লালমাই এলাকায়। যেখানে ভবন নির্মাণের জন্য দিনদুপুরে কাটা হচ্ছে উঁচু পাহাড়-টিলা। লালমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় মনির ও মফিজের নেতৃত্বে পেলোডার দিয়ে কেটে সাবাড় করা হয়েছে ব্যবসায়ী মো. হাসেমের টিলা।
মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন হাসেমের ছেলে মাহবুব। তিনি বলেন, ‘আমরা যাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছি তারা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’ তবে কাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছেন তাদের নাম বলেননি মাহবুব। একই ইউনিয়নের বাগমারা এলাকায় মাহবুবুল হকের বসত টিলা, গার্ডের দোকানে নবী মাস্টারের টিলা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক বাবুলের ভাই লায়েসের নেতৃত্বে কাটা হচ্ছে কৃষিজমি। তবে মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মো. লায়েস।
লালমাই এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের লোকেরাই পাহাড়-টিলা কর্তন করে। প্রভাবশালী হওয়ার ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না, প্রতিবাদ করে না।’
চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্স অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, কর্তনকৃত এসব স্থান পরিদর্শন করে শিগগিরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাটি কাটার সংবাদ পেলে যত রাতই হোক অভিযান পরিচালনা করছি।’ তিনি বলেন, টিলা-পাহাড় ও কৃষিজমির টপসয়েল কাটা আমলযোগ্য অপরাধ। পুলিশ প্রশাসন চাইলে স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।

দিনরাত আলু নিয়ে হিমাগারে অপেক্ষা। তারপরও সেখানে রাখা যাচ্ছে না। বুকিং কার্ড থাকলেও আলু নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কৃষককে। হিমাগারের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আলু সংরক্ষণের কার্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
১১ মার্চ ২০২৫
মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের এবং উপকরণ সরবরাহকারীদের বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারী দুজন ঘটনার আগে-পরে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে ডিবি ও র্যাব
৫ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
৫ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে দলের অপর অংশ। তবে অন্য দুই আসনে এমন বিরোধ নেই। সবকটি আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
শরীয়তপুর-১: স্বাধীনতার পর একবারই এখানে জয় পায় বিএনপি। সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল এটি। শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের বাসিন্দা। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন মেনে নিতে নারাজ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর অনুসারীরা। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দীন কালু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ। সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মোশারফ হোসেন মাসুদ দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপি থেকে মো. আব্দুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-২: নড়িয়া ও সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। দুজনই এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. দবির হোসেন শেখ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি মো. ইমরান হোসাইন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-৩: স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু ১৯৭৯ সালে একবার মুসলিম লীগ, ১৯৮৬ সালে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হন। গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি খবির উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে দলের অপর অংশ। তবে অন্য দুই আসনে এমন বিরোধ নেই। সবকটি আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
শরীয়তপুর-১: স্বাধীনতার পর একবারই এখানে জয় পায় বিএনপি। সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল এটি। শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের বাসিন্দা। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন মেনে নিতে নারাজ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর অনুসারীরা। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দীন কালু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ। সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মোশারফ হোসেন মাসুদ দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপি থেকে মো. আব্দুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-২: নড়িয়া ও সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। দুজনই এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. দবির হোসেন শেখ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি মো. ইমরান হোসাইন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-৩: স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু ১৯৭৯ সালে একবার মুসলিম লীগ, ১৯৮৬ সালে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হন। গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি খবির উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

দিনরাত আলু নিয়ে হিমাগারে অপেক্ষা। তারপরও সেখানে রাখা যাচ্ছে না। বুকিং কার্ড থাকলেও আলু নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কৃষককে। হিমাগারের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সঙ্গে আঁতাত করে ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আলু সংরক্ষণের কার্ড হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
১১ মার্চ ২০২৫
মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের এবং উপকরণ সরবরাহকারীদের বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারী দুজন ঘটনার আগে-পরে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে ডিবি ও র্যাব
৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
৫ ঘণ্টা আগে