সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরবেষ্টিত একটি ভোটকেন্দ্রে ২০ বছর ধরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবারই কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভোটারদের।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে ভোটারদের মধ্যে।
ভোটকেন্দ্রটি উপজেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে কাপাসিয়া ইউনিয়নের নদীবেষ্টিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে। এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা এক সময় ছিল ৪ হাজারের অধিক। নদী ভাঙনের কারণে এই এলাকার অনেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে চলে গেছে। ফলে বর্তমানে এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১১ জনে। দুর্গম চরে অবস্থিত চর কাপাসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, কেন্দ্রটি ব্রহ্মপুত্র নদের বিপরীত পাড়ে হওয়ায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গত প্রায় দুই দশকে এখানে কখনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। এ অঞ্চলের প্রভাবশালী একটি পরিবার বরাবরই ভোটকেন্দ্র দখল করে। ওই পরিবার থেকেই বারবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছে। ২০০৩ সালের পরে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনগুলোতে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে যেতেই পারেন না।
২০০৩ সালের আগে এ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে কোনো ভোট হতো না। ভোটারদের কোণঠাসা করে একক প্রার্থী হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টুর সিলেকশনে মেম্বার নির্বাচিত হতেন। এখন পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে লায়েক আলী খান মিন্টুর পরিবারের লোকজনই মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভোটারদের অভিযোগ, এই কেন্দ্রে কখনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট না হওয়ায় ক্ষমতার পালাবদলও হয়নি। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টু নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তখন তাঁর বড় ভাইয়ের স্ত্রী মেম্বার পদে নির্বাচন করেন। তাঁরা ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী ইক্তিয়ার হোসেন বিপুলের এজেন্টদের বের করে দিয়ে এককভাবে সিল মারেন।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে লায়েক আলীর স্ত্রী খুরশিদ জাহান মেম্বার পদপ্রার্থী। এবারও ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে তাঁরা কেন্দ্রের পাশে লাঠি-সোটা জড়ো করছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ভোটার খয়বার হোসেন (৫২) বলেন, ‘আমি কখনো এই কেন্দ্রে ভোট দিতে পারিনি। লায়েক আলী খান মিন্টু কেন্দ্র দখল করে ভোট মেরে নেয়। কেন্দ্রটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় তাঁরা প্রতিবারই জাল ভোট মেরে মেম্বার নির্বাচিত হয়।’
আরেক ভোটার আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার জীবনে আমি কখনো এখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট দেখিনি। এবার আমরা আশায় আছি, ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেব।’
মেম্বার প্রার্থী ইক্তিয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে নির্বাচন করে আসছি। প্রভাবশালী লায়েক আলী খান মিন্টুর লোকজন আমাদের ভোটাধিকার হরণ করে বারবার নির্বাচিত হয়ে আসছে। আমি এবার ইউএনও, ওসি, নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, যাতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এখানে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব না। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
অপর মেম্বার প্রার্থী লায়েক আলী খান মিন্টুর স্ত্রী খুরশিদ জাহান বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে বরাবরই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হয়ে আসছে। আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য থাকায় ভোটারেরা আমাদেরই নির্বাচিত করে আসছে। আমাদের প্রতিপক্ষ বারবার হেরে গিয়ে এসব অপবাদ দিচ্ছে। আমি আশাবাদী, জনগণ এবার আমাকে নির্বাচিত করবে।’
ভোট কেন্দ্রের পাশে লাঠিসোটা জড়ো করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে খুরশিদ জাহান বলেন, ‘আমাদের ভোটাররা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসবে। তাই নারী ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য আমরা অস্থায়ী তাঁবু করে সেখানে রাখব। সে জন্য আমরা বাঁশ আর কাঠ সেখানে নিয়ে গিয়েছি। দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার জন্য নয়।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, ‘ওই কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া বাঁশ আর কাঠ অপসারণের জন্য আমি ইউএনও স্যারকে বলেছি। শিগগিরই সেগুলো অপসারণ করা হবে।’

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরবেষ্টিত একটি ভোটকেন্দ্রে ২০ বছর ধরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবারই কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভোটারদের।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে ভোটারদের মধ্যে।
ভোটকেন্দ্রটি উপজেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে কাপাসিয়া ইউনিয়নের নদীবেষ্টিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে। এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা এক সময় ছিল ৪ হাজারের অধিক। নদী ভাঙনের কারণে এই এলাকার অনেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে চলে গেছে। ফলে বর্তমানে এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১১ জনে। দুর্গম চরে অবস্থিত চর কাপাসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, কেন্দ্রটি ব্রহ্মপুত্র নদের বিপরীত পাড়ে হওয়ায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গত প্রায় দুই দশকে এখানে কখনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। এ অঞ্চলের প্রভাবশালী একটি পরিবার বরাবরই ভোটকেন্দ্র দখল করে। ওই পরিবার থেকেই বারবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছে। ২০০৩ সালের পরে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনগুলোতে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে যেতেই পারেন না।
২০০৩ সালের আগে এ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে কোনো ভোট হতো না। ভোটারদের কোণঠাসা করে একক প্রার্থী হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টুর সিলেকশনে মেম্বার নির্বাচিত হতেন। এখন পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে লায়েক আলী খান মিন্টুর পরিবারের লোকজনই মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভোটারদের অভিযোগ, এই কেন্দ্রে কখনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট না হওয়ায় ক্ষমতার পালাবদলও হয়নি। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টু নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তখন তাঁর বড় ভাইয়ের স্ত্রী মেম্বার পদে নির্বাচন করেন। তাঁরা ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী ইক্তিয়ার হোসেন বিপুলের এজেন্টদের বের করে দিয়ে এককভাবে সিল মারেন।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে লায়েক আলীর স্ত্রী খুরশিদ জাহান মেম্বার পদপ্রার্থী। এবারও ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে তাঁরা কেন্দ্রের পাশে লাঠি-সোটা জড়ো করছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ভোটার খয়বার হোসেন (৫২) বলেন, ‘আমি কখনো এই কেন্দ্রে ভোট দিতে পারিনি। লায়েক আলী খান মিন্টু কেন্দ্র দখল করে ভোট মেরে নেয়। কেন্দ্রটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় তাঁরা প্রতিবারই জাল ভোট মেরে মেম্বার নির্বাচিত হয়।’
আরেক ভোটার আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার জীবনে আমি কখনো এখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট দেখিনি। এবার আমরা আশায় আছি, ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেব।’
মেম্বার প্রার্থী ইক্তিয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে নির্বাচন করে আসছি। প্রভাবশালী লায়েক আলী খান মিন্টুর লোকজন আমাদের ভোটাধিকার হরণ করে বারবার নির্বাচিত হয়ে আসছে। আমি এবার ইউএনও, ওসি, নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, যাতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এখানে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব না। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
অপর মেম্বার প্রার্থী লায়েক আলী খান মিন্টুর স্ত্রী খুরশিদ জাহান বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে বরাবরই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হয়ে আসছে। আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য থাকায় ভোটারেরা আমাদেরই নির্বাচিত করে আসছে। আমাদের প্রতিপক্ষ বারবার হেরে গিয়ে এসব অপবাদ দিচ্ছে। আমি আশাবাদী, জনগণ এবার আমাকে নির্বাচিত করবে।’
ভোট কেন্দ্রের পাশে লাঠিসোটা জড়ো করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে খুরশিদ জাহান বলেন, ‘আমাদের ভোটাররা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসবে। তাই নারী ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য আমরা অস্থায়ী তাঁবু করে সেখানে রাখব। সে জন্য আমরা বাঁশ আর কাঠ সেখানে নিয়ে গিয়েছি। দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার জন্য নয়।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, ‘ওই কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া বাঁশ আর কাঠ অপসারণের জন্য আমি ইউএনও স্যারকে বলেছি। শিগগিরই সেগুলো অপসারণ করা হবে।’
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরবেষ্টিত একটি ভোটকেন্দ্রে ২০ বছর ধরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবারই কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভোটারদের।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে ভোটারদের মধ্যে।
ভোটকেন্দ্রটি উপজেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে কাপাসিয়া ইউনিয়নের নদীবেষ্টিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে। এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা এক সময় ছিল ৪ হাজারের অধিক। নদী ভাঙনের কারণে এই এলাকার অনেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে চলে গেছে। ফলে বর্তমানে এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১১ জনে। দুর্গম চরে অবস্থিত চর কাপাসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, কেন্দ্রটি ব্রহ্মপুত্র নদের বিপরীত পাড়ে হওয়ায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গত প্রায় দুই দশকে এখানে কখনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। এ অঞ্চলের প্রভাবশালী একটি পরিবার বরাবরই ভোটকেন্দ্র দখল করে। ওই পরিবার থেকেই বারবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছে। ২০০৩ সালের পরে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনগুলোতে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে যেতেই পারেন না।
২০০৩ সালের আগে এ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে কোনো ভোট হতো না। ভোটারদের কোণঠাসা করে একক প্রার্থী হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টুর সিলেকশনে মেম্বার নির্বাচিত হতেন। এখন পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে লায়েক আলী খান মিন্টুর পরিবারের লোকজনই মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভোটারদের অভিযোগ, এই কেন্দ্রে কখনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট না হওয়ায় ক্ষমতার পালাবদলও হয়নি। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টু নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তখন তাঁর বড় ভাইয়ের স্ত্রী মেম্বার পদে নির্বাচন করেন। তাঁরা ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী ইক্তিয়ার হোসেন বিপুলের এজেন্টদের বের করে দিয়ে এককভাবে সিল মারেন।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে লায়েক আলীর স্ত্রী খুরশিদ জাহান মেম্বার পদপ্রার্থী। এবারও ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে তাঁরা কেন্দ্রের পাশে লাঠি-সোটা জড়ো করছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ভোটার খয়বার হোসেন (৫২) বলেন, ‘আমি কখনো এই কেন্দ্রে ভোট দিতে পারিনি। লায়েক আলী খান মিন্টু কেন্দ্র দখল করে ভোট মেরে নেয়। কেন্দ্রটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় তাঁরা প্রতিবারই জাল ভোট মেরে মেম্বার নির্বাচিত হয়।’
আরেক ভোটার আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার জীবনে আমি কখনো এখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট দেখিনি। এবার আমরা আশায় আছি, ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেব।’
মেম্বার প্রার্থী ইক্তিয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে নির্বাচন করে আসছি। প্রভাবশালী লায়েক আলী খান মিন্টুর লোকজন আমাদের ভোটাধিকার হরণ করে বারবার নির্বাচিত হয়ে আসছে। আমি এবার ইউএনও, ওসি, নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, যাতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এখানে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব না। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
অপর মেম্বার প্রার্থী লায়েক আলী খান মিন্টুর স্ত্রী খুরশিদ জাহান বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে বরাবরই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হয়ে আসছে। আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য থাকায় ভোটারেরা আমাদেরই নির্বাচিত করে আসছে। আমাদের প্রতিপক্ষ বারবার হেরে গিয়ে এসব অপবাদ দিচ্ছে। আমি আশাবাদী, জনগণ এবার আমাকে নির্বাচিত করবে।’
ভোট কেন্দ্রের পাশে লাঠিসোটা জড়ো করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে খুরশিদ জাহান বলেন, ‘আমাদের ভোটাররা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসবে। তাই নারী ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য আমরা অস্থায়ী তাঁবু করে সেখানে রাখব। সে জন্য আমরা বাঁশ আর কাঠ সেখানে নিয়ে গিয়েছি। দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার জন্য নয়।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, ‘ওই কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া বাঁশ আর কাঠ অপসারণের জন্য আমি ইউএনও স্যারকে বলেছি। শিগগিরই সেগুলো অপসারণ করা হবে।’

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরবেষ্টিত একটি ভোটকেন্দ্রে ২০ বছর ধরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবারই কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভোটারদের।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে ভোটারদের মধ্যে।
ভোটকেন্দ্রটি উপজেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে কাপাসিয়া ইউনিয়নের নদীবেষ্টিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে। এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা এক সময় ছিল ৪ হাজারের অধিক। নদী ভাঙনের কারণে এই এলাকার অনেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে চলে গেছে। ফলে বর্তমানে এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১১ জনে। দুর্গম চরে অবস্থিত চর কাপাসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, কেন্দ্রটি ব্রহ্মপুত্র নদের বিপরীত পাড়ে হওয়ায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গত প্রায় দুই দশকে এখানে কখনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। এ অঞ্চলের প্রভাবশালী একটি পরিবার বরাবরই ভোটকেন্দ্র দখল করে। ওই পরিবার থেকেই বারবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছে। ২০০৩ সালের পরে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনগুলোতে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে যেতেই পারেন না।
২০০৩ সালের আগে এ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে কোনো ভোট হতো না। ভোটারদের কোণঠাসা করে একক প্রার্থী হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টুর সিলেকশনে মেম্বার নির্বাচিত হতেন। এখন পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে লায়েক আলী খান মিন্টুর পরিবারের লোকজনই মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভোটারদের অভিযোগ, এই কেন্দ্রে কখনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট না হওয়ায় ক্ষমতার পালাবদলও হয়নি। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টু নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তখন তাঁর বড় ভাইয়ের স্ত্রী মেম্বার পদে নির্বাচন করেন। তাঁরা ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী ইক্তিয়ার হোসেন বিপুলের এজেন্টদের বের করে দিয়ে এককভাবে সিল মারেন।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে লায়েক আলীর স্ত্রী খুরশিদ জাহান মেম্বার পদপ্রার্থী। এবারও ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে তাঁরা কেন্দ্রের পাশে লাঠি-সোটা জড়ো করছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ভোটার খয়বার হোসেন (৫২) বলেন, ‘আমি কখনো এই কেন্দ্রে ভোট দিতে পারিনি। লায়েক আলী খান মিন্টু কেন্দ্র দখল করে ভোট মেরে নেয়। কেন্দ্রটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় তাঁরা প্রতিবারই জাল ভোট মেরে মেম্বার নির্বাচিত হয়।’
আরেক ভোটার আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার জীবনে আমি কখনো এখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট দেখিনি। এবার আমরা আশায় আছি, ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেব।’
মেম্বার প্রার্থী ইক্তিয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে নির্বাচন করে আসছি। প্রভাবশালী লায়েক আলী খান মিন্টুর লোকজন আমাদের ভোটাধিকার হরণ করে বারবার নির্বাচিত হয়ে আসছে। আমি এবার ইউএনও, ওসি, নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, যাতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এখানে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব না। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
অপর মেম্বার প্রার্থী লায়েক আলী খান মিন্টুর স্ত্রী খুরশিদ জাহান বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে বরাবরই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হয়ে আসছে। আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য থাকায় ভোটারেরা আমাদেরই নির্বাচিত করে আসছে। আমাদের প্রতিপক্ষ বারবার হেরে গিয়ে এসব অপবাদ দিচ্ছে। আমি আশাবাদী, জনগণ এবার আমাকে নির্বাচিত করবে।’
ভোট কেন্দ্রের পাশে লাঠিসোটা জড়ো করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে খুরশিদ জাহান বলেন, ‘আমাদের ভোটাররা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসবে। তাই নারী ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য আমরা অস্থায়ী তাঁবু করে সেখানে রাখব। সে জন্য আমরা বাঁশ আর কাঠ সেখানে নিয়ে গিয়েছি। দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার জন্য নয়।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, ‘ওই কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া বাঁশ আর কাঠ অপসারণের জন্য আমি ইউএনও স্যারকে বলেছি। শিগগিরই সেগুলো অপসারণ করা হবে।’

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
১৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।
২১ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন দাখিল করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান সাঈদ আল নোমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে সাঈদ আল নোমান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তবে শুধু সাঈদ আল নোমানই নন, মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রায় সব প্রার্থীই কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন প্রাপ্তির, অন্যদিকে বিব্রতকরও। এটা বাবার সময় থেকে দেখে আসছি।’ এমন পরিস্থিতির জন্য বিব্রতবোধ করার কথাও জানান তিনি।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থী বা তাঁর প্রস্তাবক, সমর্থকসহ পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না; এ সময় কোনো ধরনের মিছিল, শোডউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মো. জিয়াউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর একান্ত সচিব মো. রিদুয়ানুল ইসলাম জানান, ‘স্যার (বিভাগীয় কমিশনার) মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এই বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।’

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন দাখিল করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান সাঈদ আল নোমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে সাঈদ আল নোমান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তবে শুধু সাঈদ আল নোমানই নন, মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রায় সব প্রার্থীই কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন প্রাপ্তির, অন্যদিকে বিব্রতকরও। এটা বাবার সময় থেকে দেখে আসছি।’ এমন পরিস্থিতির জন্য বিব্রতবোধ করার কথাও জানান তিনি।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থী বা তাঁর প্রস্তাবক, সমর্থকসহ পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না; এ সময় কোনো ধরনের মিছিল, শোডউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মো. জিয়াউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর একান্ত সচিব মো. রিদুয়ানুল ইসলাম জানান, ‘স্যার (বিভাগীয় কমিশনার) মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এই বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।’

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরবেষ্টিত একটি ভোটকেন্দ্রে গত ২০ বছর ধরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবারই কেন্দ্র দখল, ব্যালট বক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে প্রকাশ্যে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভোটারদের।
২৩ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
১৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।
২১ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
আটক যুবকের নাম মো. আরাফাত জামান (৩৯)। তিনি ধানমন্ডীর জিগাতলা এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কর্মসূচি চলাকালে ইনকিলাব মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক ও উপস্থিত সাধারণ জনতা সন্দেহজনক আচরণের কারণে ওই যুবককে আটক করে। পরে তাঁর হেফাজত থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয় এবং পরে পুলিশে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচি থেকে ইনকিলাব মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ জনতা খেলনা পিস্তলসহ একজনকে আটক করে। ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে।

রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
আটক যুবকের নাম মো. আরাফাত জামান (৩৯)। তিনি ধানমন্ডীর জিগাতলা এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কর্মসূচি চলাকালে ইনকিলাব মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক ও উপস্থিত সাধারণ জনতা সন্দেহজনক আচরণের কারণে ওই যুবককে আটক করে। পরে তাঁর হেফাজত থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয় এবং পরে পুলিশে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচি থেকে ইনকিলাব মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ জনতা খেলনা পিস্তলসহ একজনকে আটক করে। ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরবেষ্টিত একটি ভোটকেন্দ্রে গত ২০ বছর ধরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবারই কেন্দ্র দখল, ব্যালট বক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে প্রকাশ্যে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভোটারদের।
২৩ নভেম্বর ২০২১
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১২ মিনিট আগে
পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
১৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।
২১ মিনিট আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের। শীত থেকে বাঁচার মতো প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ও নেই শ্রমিকদের। একই সঙ্গে ঠান্ডার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাগানের বয়স্ক থেকে শিশুরা।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে।
সূর্যের দেখা না মেলায় ও ঘন কুয়াশা থাকায় মৌলভীবাজারে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই ঠান্ডার মধ্যেই গাছ-গাছালিতে ঘেরা চা-বাগানগুলোয় সকাল থেকে কাজে নেমে পড়ছেন চা-শ্রমিকের। তাঁদের পরনে নেই পর্যাপ্ত গরম কাপড়। অনেকে ঠান্ডার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
চা-শ্রমিকেরা জানান, শীতের কারণে অনেক কষ্টে পড়েছেন তাঁরা। বাগান কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোনো শীতবস্ত্র দেয় না। আর নিজেদের স্বল্প আয় দিয়ে গরম কাপড় কেনার সাধ্যও তাঁদের নেই। রাতে ঠান্ডার জন্য অনেকেই ঘুমাতে পারেন না। শীত নিবারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রাত কাটাতে হয়। কেউ কেউ বস্তা বিছিয়ে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেন।
শমশেরনগর চা-বাগানের চা-শ্রমিক গীতা রবিদাস ও মায়া রবিদাস বলেন, ‘এই শীতে কাজ করা অনেক কষ্টের। আমরা চা-শ্রমিকেরা কোনো শীতবস্ত্র পাই না। বাগানের শ্রমিকদের অবস্থা খুবই করুণ। ঠান্ডায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’
চা-শ্রমিকনেতা সীতারাম বিন বলেন, ‘প্রতিবছর শীতের সময় চা-শ্রমিকদের বেশি কষ্ট হয়। এমনিতেই শ্রীমঙ্গলসহ পুরো মৌলভীবাজার জেলায় শীত বেশি পড়ে। এ জেলায় ৯২টি চা-বাগান রয়েছে। কোনো বাগানের শ্রমিকদের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই। প্রতিদিন ঠান্ডার কারণে অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন চা-শ্রমিকেরা। বিশেষ করে শীতে বাগানের শিশু ও বৃদ্ধরা অনেক কষ্টে আছেন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরেই এই অঞ্চলে শীতের দাপট বেড়েছে। বিশেষ করে রাতে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আরও কয়েক দিন একই রকম তাপমাত্রা থাকবে।
শীতের দাপট বাড়ার সঙ্গে ঠান্ডার রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বিশেষ করে জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। অনেকেই চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটছেন। কেউ প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন মো. মামুনুর রহমান বলেন, শীতের মধ্যে সবাইকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরতে হবে। বিশেষ করে এ সময় শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরকে বেশি করে গরম কাপড় পরিধান করে রাখতে হবে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেল বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। কেউ আবেদন করলে তাদের শীতবস্ত্র দেব।’

পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের। শীত থেকে বাঁচার মতো প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ও নেই শ্রমিকদের। একই সঙ্গে ঠান্ডার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাগানের বয়স্ক থেকে শিশুরা।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে।
সূর্যের দেখা না মেলায় ও ঘন কুয়াশা থাকায় মৌলভীবাজারে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই ঠান্ডার মধ্যেই গাছ-গাছালিতে ঘেরা চা-বাগানগুলোয় সকাল থেকে কাজে নেমে পড়ছেন চা-শ্রমিকের। তাঁদের পরনে নেই পর্যাপ্ত গরম কাপড়। অনেকে ঠান্ডার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
চা-শ্রমিকেরা জানান, শীতের কারণে অনেক কষ্টে পড়েছেন তাঁরা। বাগান কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোনো শীতবস্ত্র দেয় না। আর নিজেদের স্বল্প আয় দিয়ে গরম কাপড় কেনার সাধ্যও তাঁদের নেই। রাতে ঠান্ডার জন্য অনেকেই ঘুমাতে পারেন না। শীত নিবারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রাত কাটাতে হয়। কেউ কেউ বস্তা বিছিয়ে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেন।
শমশেরনগর চা-বাগানের চা-শ্রমিক গীতা রবিদাস ও মায়া রবিদাস বলেন, ‘এই শীতে কাজ করা অনেক কষ্টের। আমরা চা-শ্রমিকেরা কোনো শীতবস্ত্র পাই না। বাগানের শ্রমিকদের অবস্থা খুবই করুণ। ঠান্ডায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’
চা-শ্রমিকনেতা সীতারাম বিন বলেন, ‘প্রতিবছর শীতের সময় চা-শ্রমিকদের বেশি কষ্ট হয়। এমনিতেই শ্রীমঙ্গলসহ পুরো মৌলভীবাজার জেলায় শীত বেশি পড়ে। এ জেলায় ৯২টি চা-বাগান রয়েছে। কোনো বাগানের শ্রমিকদের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই। প্রতিদিন ঠান্ডার কারণে অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন চা-শ্রমিকেরা। বিশেষ করে শীতে বাগানের শিশু ও বৃদ্ধরা অনেক কষ্টে আছেন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরেই এই অঞ্চলে শীতের দাপট বেড়েছে। বিশেষ করে রাতে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আরও কয়েক দিন একই রকম তাপমাত্রা থাকবে।
শীতের দাপট বাড়ার সঙ্গে ঠান্ডার রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বিশেষ করে জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। অনেকেই চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটছেন। কেউ প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন মো. মামুনুর রহমান বলেন, শীতের মধ্যে সবাইকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরতে হবে। বিশেষ করে এ সময় শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরকে বেশি করে গরম কাপড় পরিধান করে রাখতে হবে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেল বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। কেউ আবেদন করলে তাদের শীতবস্ত্র দেব।’

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরবেষ্টিত একটি ভোটকেন্দ্রে গত ২০ বছর ধরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবারই কেন্দ্র দখল, ব্যালট বক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে প্রকাশ্যে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভোটারদের।
২৩ নভেম্বর ২০২১
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।
২১ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।
এ ছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আখতারুল আলম ফারুক, খেলাফত মজলিসের মো. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মো. নূরে আলম সিদ্দিকী।
অপর দিকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন প্রয়াত প্রকৌশলী শামছ উদ্দিনের স্ত্রী অধ্যক্ষ আখতার সুলতানা, ছেলে তানভীর আহমেদ রানা ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, এই আসনে নির্বাচনের জন্য ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন, তাঁর মধ্যে আটজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলনকে মনোনয়ন দিলে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থকেরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা জামায়াত মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন ও অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থনে ‘ফুলবাড়িয়া ঐক্যবদ্ধ জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন।
এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সদস্যপদ (রুকনিয়াত) স্থগিত করে জামায়াতে ইসলামী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দল আমাকে মূল্যায়ন না করলেও মানুষের ভালোবাসায় প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচনে সাধারণ মানুষ আমার ওপর আস্থা রাখবে।’
উল্লেখ্য, একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসন। মোট ভোটার ৪ লাখ ১২ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ৪৭৯ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জন নারী এবং হিজড়া দুজন।

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।
এ ছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আখতারুল আলম ফারুক, খেলাফত মজলিসের মো. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মো. নূরে আলম সিদ্দিকী।
অপর দিকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন প্রয়াত প্রকৌশলী শামছ উদ্দিনের স্ত্রী অধ্যক্ষ আখতার সুলতানা, ছেলে তানভীর আহমেদ রানা ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, এই আসনে নির্বাচনের জন্য ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন, তাঁর মধ্যে আটজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলনকে মনোনয়ন দিলে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থকেরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা জামায়াত মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন ও অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থনে ‘ফুলবাড়িয়া ঐক্যবদ্ধ জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন।
এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সদস্যপদ (রুকনিয়াত) স্থগিত করে জামায়াতে ইসলামী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দল আমাকে মূল্যায়ন না করলেও মানুষের ভালোবাসায় প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচনে সাধারণ মানুষ আমার ওপর আস্থা রাখবে।’
উল্লেখ্য, একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসন। মোট ভোটার ৪ লাখ ১২ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ৪৭৯ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জন নারী এবং হিজড়া দুজন।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরবেষ্টিত একটি ভোটকেন্দ্রে গত ২০ বছর ধরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবারই কেন্দ্র দখল, ব্যালট বক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে প্রকাশ্যে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভোটারদের।
২৩ নভেম্বর ২০২১
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১২ মিনিট আগে
রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
১৫ মিনিট আগে