আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

৯ মাস বয়সে ডান হাতের পাঁচটি আঙুল চুলার আগুনে পুরে যায় শিশু মাইশার (৫)। সে সময় চিকিৎসা করে ক্ষত ভালো হয়ে গেলেও তিনটি আঙুল কুঁকড়ে ছিল। আঙুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে আশা করে, সম্প্রতি ঢাকার এক চিকিৎসকের পরামর্শে আঙুলে অস্ত্রোপচার করানো হয় শিশুটির। আর সেই অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই মৃত্যু হয় মাইশার। কিন্তু মাইশার বাবার প্রশ্ন—মেয়ের আঙুল অপারেশন করার জন্য পেট কাটতে হলো কেন?
শিশুটির পুরো নাম মারুফা জাহান মাইশা। কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়ার মোজাফফর আলী ও বেলি আক্তার দম্পতির মেয়ে ছিল সে। মাইশার নানা ওসমান গণি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আজ শুক্রবার সকালে মাইশার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাতম চলছে। মেয়ের এমন ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তার বাবা-মা, স্বজন ও প্রতিবেশীরা। তারা মাইশার মৃত্যুর সঠিক কারণ তদন্ত করার দাবি জানান।
শিশু মাইশার পরিবার বলছে, সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আহসান হাবীব শরণাপন্ন হন মাইশার বাবা মোজাফফর। শিশু মাইশার হাত দেখে চিকিৎসক তাদের জানান, অপারেশন করলে মাইশার হাত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেই অনুযায়ী গত বুধবার সকালে ঢাকায় মিরপুর রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে হাতের অপারেশন হয় মাইশার। কিন্তু ঘণ্টা দেড়েক পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় শিশুটির অবস্থা খারাপ, তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্য গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিতে হবে। হতবিহ্বল বাবা-মা মেয়েকে নিয়ে ছোটেন মিরপুর ১ এর মাজার রোডের ওই হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় শিশুটি মারা গেছে, তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে।
মাইশার বাবা মোজাফফর জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশনের খরচ বাবদ নেওয়া টাকা তাঁদের ফিরিয়ে দেয়। মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও ঠিক করে দেয়। বাড়ি ফিরে মাইশাকে দাফনের জন্য গোসল করাতে গিয়ে নারীরা দেখতে পান, শিশু মাইশার নাভির নিচে পুরো পেট জুড়ে কেটে সেলাই করা। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। কিন্তু ঢাকায় অপারেশন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ চলে যায়। পরে নিরুপায় হয়ে মাইশাকে দাফন করা হয় বাড়ির আঙিনায়।
মোজাফফর আলী বলেন, ‘মেয়ের হাতের আঙুল ঠিক করার জন্য ঢাকার মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ডা. আহসান হাবীবের কাছে যাই। তিনি সবকিছু দেখে বলেন বুধবার সকালে অপারেশন করার কথা বলেন। রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল মেডিকেলে তাঁর শেয়ার আছে জানিয়ে ডাক্তার বলেন, সেখানে অপারেশন করালে খরচ কম লাগবে। বুধবার সেখানে হাতের অপারেশন করার সময় মেয়ে মারা যায়। পরে তারা আমাদের টাকা ফেরত দেয় এবং ধমক দিয়ে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি এসে মেয়েকে গোসল করার সময় স্থানীয় মহিলারা দেখেন, মেয়ের তলপেটের পুরো অংশ কেটে সেলাই করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটা দেখে নিরুপায় হয়ে পড়ি। আমরা গরিব মানুষ। কিছু বুঝি নাই। হাত অপারেশন করতে গিয়ে তারা কেন আমার মেয়ের পেট কাটল তা জানি না। আমাদেরকে কোনো কাগজপত্রও দেওয়া হয় নাই।’
শিশু মাইশার মরদেহ গোসল করানোর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় নারী মফিজা খাতুন। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ের হাতের আঙুল কাটা ছিল। পরে গোসলের সময় দেখি ওর তলপেটের পুরো অংশ কেটে সেলাই করা। পরে সকলকে জানাই।’
মেয়ে হারানোর শোকে কাতর মাইশার মা বেলী বলেন, ‘আমি কী ভুল করলাম! কেন মেয়েকে নিয়ে গেলাম। ওরা ডাক্তার না, কসাই। আমার মেয়ের পেট কাটল কেন? ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলছে। আমি এর বিচার চাই। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই।’
ভুক্তভোগীর পরিবার তাদের পরামর্শক ওই চিকিৎসকের ভিজিটিং কার্ড দিলে সেই মোবাইল নম্বরে কথা বলেন আজকের পত্রিকার এ প্রতিনিধি। মোবাইলের অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে ডা. আহসান হাবিব বলে দাবি করেন।
শিশু মাইশার অপারেশন ও মৃত্যুর বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে ওই বলেন, ‘আমি অপারেশন করিনি। আমার শেয়ার থাকা আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে অপারেশন অ্যারেঞ্জ করে দেই। সেখানে ঢাকা মেডিকেলের প্লাস্টিক সার্জারির চিকিৎসক (সহকারী অধ্যাপক) ডা. শরিফুল ইসলাম অপারেশন করেন। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত শিশুটি মারা যায়। আমি নিজেও এ ঘটনায় শক্ড।’
হাতের আঙুল অপারেশন করার সময় পেট কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ‘আহসান হাবীব’ এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এটা শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে করা হয়েছে। হাতের আঙুল অপারেশন করে ওই স্থানে স্কিন সংযুক্ত করার জন্য পেট থেকে স্কিন নেওয়া হয়েছিল। পরিণত বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে পায়ের থাই থেকে চামড়া নেওয়া হয়। কিন্তু শিশুটির থাই সরু থাকায় তার পেট থেকে চামড়া নিয়ে সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল।’
তাহলে হাতের অপারেশন করতে গিয়ে মাইশার মৃত্যুর কারণ কী, এমন প্রশ্নে ওই ‘চিকিৎসক’ বলেন, ‘আমি নিজেও অপারেশন থিয়েটারে প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলাম। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। পরে আমি আমার বাসায় চলে যাই। পরে শিশুটির মৃত্যুর কারণ জানতে ওই সার্জনের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি তখন জানান, সম্ভবত অ্যানেসথেসিয়ার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এখানে অন্য আর কোনো কারণ নেই। তবে পুরো ঘটনায় আমি নিজেও মর্মাহত।’
নিজেকে কুড়িগ্রামের সন্তান দাবি করে ‘ডা. আহসান হাবীব বলেন’, ‘রোগীটা আমার এলাকার। কুড়িগ্রামের যেকোনো লোক আসলে আমি হেল্প করি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এটা আসলে অ্যাকসিডেন্ট। তারপরও এটা মেনে নেওয়া কঠিন। আমি নিজেও সেদিন স্তব্ধ হয়ে গেছি।’
নিজের পরিচয় সম্পর্কে মো. আহসান হাবীব জানান, তিনি বিসিএস ২৫ ব্যাচের চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি মহাখালীতে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) হিসেবে কর্মরত। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মিরপুরে তাঁর চেম্বার।
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধির অনুসন্ধানে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ওয়েবসাইটে, তাঁর দেওয়া তথ্যমতে ডা. মো. আহসান হাবীব নামে অনকোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওই হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তবে ওয়েবসাইটে তাঁর কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।

৯ মাস বয়সে ডান হাতের পাঁচটি আঙুল চুলার আগুনে পুরে যায় শিশু মাইশার (৫)। সে সময় চিকিৎসা করে ক্ষত ভালো হয়ে গেলেও তিনটি আঙুল কুঁকড়ে ছিল। আঙুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে আশা করে, সম্প্রতি ঢাকার এক চিকিৎসকের পরামর্শে আঙুলে অস্ত্রোপচার করানো হয় শিশুটির। আর সেই অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই মৃত্যু হয় মাইশার। কিন্তু মাইশার বাবার প্রশ্ন—মেয়ের আঙুল অপারেশন করার জন্য পেট কাটতে হলো কেন?
শিশুটির পুরো নাম মারুফা জাহান মাইশা। কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়ার মোজাফফর আলী ও বেলি আক্তার দম্পতির মেয়ে ছিল সে। মাইশার নানা ওসমান গণি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আজ শুক্রবার সকালে মাইশার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাতম চলছে। মেয়ের এমন ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তার বাবা-মা, স্বজন ও প্রতিবেশীরা। তারা মাইশার মৃত্যুর সঠিক কারণ তদন্ত করার দাবি জানান।
শিশু মাইশার পরিবার বলছে, সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আহসান হাবীব শরণাপন্ন হন মাইশার বাবা মোজাফফর। শিশু মাইশার হাত দেখে চিকিৎসক তাদের জানান, অপারেশন করলে মাইশার হাত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেই অনুযায়ী গত বুধবার সকালে ঢাকায় মিরপুর রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে হাতের অপারেশন হয় মাইশার। কিন্তু ঘণ্টা দেড়েক পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় শিশুটির অবস্থা খারাপ, তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্য গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিতে হবে। হতবিহ্বল বাবা-মা মেয়েকে নিয়ে ছোটেন মিরপুর ১ এর মাজার রোডের ওই হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় শিশুটি মারা গেছে, তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে।
মাইশার বাবা মোজাফফর জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশনের খরচ বাবদ নেওয়া টাকা তাঁদের ফিরিয়ে দেয়। মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও ঠিক করে দেয়। বাড়ি ফিরে মাইশাকে দাফনের জন্য গোসল করাতে গিয়ে নারীরা দেখতে পান, শিশু মাইশার নাভির নিচে পুরো পেট জুড়ে কেটে সেলাই করা। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। কিন্তু ঢাকায় অপারেশন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ চলে যায়। পরে নিরুপায় হয়ে মাইশাকে দাফন করা হয় বাড়ির আঙিনায়।
মোজাফফর আলী বলেন, ‘মেয়ের হাতের আঙুল ঠিক করার জন্য ঢাকার মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ডা. আহসান হাবীবের কাছে যাই। তিনি সবকিছু দেখে বলেন বুধবার সকালে অপারেশন করার কথা বলেন। রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল মেডিকেলে তাঁর শেয়ার আছে জানিয়ে ডাক্তার বলেন, সেখানে অপারেশন করালে খরচ কম লাগবে। বুধবার সেখানে হাতের অপারেশন করার সময় মেয়ে মারা যায়। পরে তারা আমাদের টাকা ফেরত দেয় এবং ধমক দিয়ে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি এসে মেয়েকে গোসল করার সময় স্থানীয় মহিলারা দেখেন, মেয়ের তলপেটের পুরো অংশ কেটে সেলাই করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটা দেখে নিরুপায় হয়ে পড়ি। আমরা গরিব মানুষ। কিছু বুঝি নাই। হাত অপারেশন করতে গিয়ে তারা কেন আমার মেয়ের পেট কাটল তা জানি না। আমাদেরকে কোনো কাগজপত্রও দেওয়া হয় নাই।’
শিশু মাইশার মরদেহ গোসল করানোর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় নারী মফিজা খাতুন। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ের হাতের আঙুল কাটা ছিল। পরে গোসলের সময় দেখি ওর তলপেটের পুরো অংশ কেটে সেলাই করা। পরে সকলকে জানাই।’
মেয়ে হারানোর শোকে কাতর মাইশার মা বেলী বলেন, ‘আমি কী ভুল করলাম! কেন মেয়েকে নিয়ে গেলাম। ওরা ডাক্তার না, কসাই। আমার মেয়ের পেট কাটল কেন? ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলছে। আমি এর বিচার চাই। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই।’
ভুক্তভোগীর পরিবার তাদের পরামর্শক ওই চিকিৎসকের ভিজিটিং কার্ড দিলে সেই মোবাইল নম্বরে কথা বলেন আজকের পত্রিকার এ প্রতিনিধি। মোবাইলের অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে ডা. আহসান হাবিব বলে দাবি করেন।
শিশু মাইশার অপারেশন ও মৃত্যুর বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে ওই বলেন, ‘আমি অপারেশন করিনি। আমার শেয়ার থাকা আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে অপারেশন অ্যারেঞ্জ করে দেই। সেখানে ঢাকা মেডিকেলের প্লাস্টিক সার্জারির চিকিৎসক (সহকারী অধ্যাপক) ডা. শরিফুল ইসলাম অপারেশন করেন। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত শিশুটি মারা যায়। আমি নিজেও এ ঘটনায় শক্ড।’
হাতের আঙুল অপারেশন করার সময় পেট কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ‘আহসান হাবীব’ এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এটা শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে করা হয়েছে। হাতের আঙুল অপারেশন করে ওই স্থানে স্কিন সংযুক্ত করার জন্য পেট থেকে স্কিন নেওয়া হয়েছিল। পরিণত বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে পায়ের থাই থেকে চামড়া নেওয়া হয়। কিন্তু শিশুটির থাই সরু থাকায় তার পেট থেকে চামড়া নিয়ে সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল।’
তাহলে হাতের অপারেশন করতে গিয়ে মাইশার মৃত্যুর কারণ কী, এমন প্রশ্নে ওই ‘চিকিৎসক’ বলেন, ‘আমি নিজেও অপারেশন থিয়েটারে প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলাম। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। পরে আমি আমার বাসায় চলে যাই। পরে শিশুটির মৃত্যুর কারণ জানতে ওই সার্জনের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি তখন জানান, সম্ভবত অ্যানেসথেসিয়ার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এখানে অন্য আর কোনো কারণ নেই। তবে পুরো ঘটনায় আমি নিজেও মর্মাহত।’
নিজেকে কুড়িগ্রামের সন্তান দাবি করে ‘ডা. আহসান হাবীব বলেন’, ‘রোগীটা আমার এলাকার। কুড়িগ্রামের যেকোনো লোক আসলে আমি হেল্প করি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এটা আসলে অ্যাকসিডেন্ট। তারপরও এটা মেনে নেওয়া কঠিন। আমি নিজেও সেদিন স্তব্ধ হয়ে গেছি।’
নিজের পরিচয় সম্পর্কে মো. আহসান হাবীব জানান, তিনি বিসিএস ২৫ ব্যাচের চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি মহাখালীতে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) হিসেবে কর্মরত। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মিরপুরে তাঁর চেম্বার।
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধির অনুসন্ধানে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ওয়েবসাইটে, তাঁর দেওয়া তথ্যমতে ডা. মো. আহসান হাবীব নামে অনকোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওই হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তবে ওয়েবসাইটে তাঁর কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।
আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

৯ মাস বয়সে ডান হাতের পাঁচটি আঙুল চুলার আগুনে পুরে যায় শিশু মাইশার (৫)। সে সময় চিকিৎসা করে ক্ষত ভালো হয়ে গেলেও তিনটি আঙুল কুঁকড়ে ছিল। আঙুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে আশা করে, সম্প্রতি ঢাকার এক চিকিৎসকের পরামর্শে আঙুলে অস্ত্রোপচার করানো হয় শিশুটির। আর সেই অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই মৃত্যু হয় মাইশার। কিন্তু মাইশার বাবার প্রশ্ন—মেয়ের আঙুল অপারেশন করার জন্য পেট কাটতে হলো কেন?
শিশুটির পুরো নাম মারুফা জাহান মাইশা। কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়ার মোজাফফর আলী ও বেলি আক্তার দম্পতির মেয়ে ছিল সে। মাইশার নানা ওসমান গণি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আজ শুক্রবার সকালে মাইশার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাতম চলছে। মেয়ের এমন ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তার বাবা-মা, স্বজন ও প্রতিবেশীরা। তারা মাইশার মৃত্যুর সঠিক কারণ তদন্ত করার দাবি জানান।
শিশু মাইশার পরিবার বলছে, সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আহসান হাবীব শরণাপন্ন হন মাইশার বাবা মোজাফফর। শিশু মাইশার হাত দেখে চিকিৎসক তাদের জানান, অপারেশন করলে মাইশার হাত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেই অনুযায়ী গত বুধবার সকালে ঢাকায় মিরপুর রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে হাতের অপারেশন হয় মাইশার। কিন্তু ঘণ্টা দেড়েক পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় শিশুটির অবস্থা খারাপ, তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্য গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিতে হবে। হতবিহ্বল বাবা-মা মেয়েকে নিয়ে ছোটেন মিরপুর ১ এর মাজার রোডের ওই হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় শিশুটি মারা গেছে, তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে।
মাইশার বাবা মোজাফফর জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশনের খরচ বাবদ নেওয়া টাকা তাঁদের ফিরিয়ে দেয়। মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও ঠিক করে দেয়। বাড়ি ফিরে মাইশাকে দাফনের জন্য গোসল করাতে গিয়ে নারীরা দেখতে পান, শিশু মাইশার নাভির নিচে পুরো পেট জুড়ে কেটে সেলাই করা। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। কিন্তু ঢাকায় অপারেশন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ চলে যায়। পরে নিরুপায় হয়ে মাইশাকে দাফন করা হয় বাড়ির আঙিনায়।
মোজাফফর আলী বলেন, ‘মেয়ের হাতের আঙুল ঠিক করার জন্য ঢাকার মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ডা. আহসান হাবীবের কাছে যাই। তিনি সবকিছু দেখে বলেন বুধবার সকালে অপারেশন করার কথা বলেন। রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল মেডিকেলে তাঁর শেয়ার আছে জানিয়ে ডাক্তার বলেন, সেখানে অপারেশন করালে খরচ কম লাগবে। বুধবার সেখানে হাতের অপারেশন করার সময় মেয়ে মারা যায়। পরে তারা আমাদের টাকা ফেরত দেয় এবং ধমক দিয়ে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি এসে মেয়েকে গোসল করার সময় স্থানীয় মহিলারা দেখেন, মেয়ের তলপেটের পুরো অংশ কেটে সেলাই করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটা দেখে নিরুপায় হয়ে পড়ি। আমরা গরিব মানুষ। কিছু বুঝি নাই। হাত অপারেশন করতে গিয়ে তারা কেন আমার মেয়ের পেট কাটল তা জানি না। আমাদেরকে কোনো কাগজপত্রও দেওয়া হয় নাই।’
শিশু মাইশার মরদেহ গোসল করানোর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় নারী মফিজা খাতুন। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ের হাতের আঙুল কাটা ছিল। পরে গোসলের সময় দেখি ওর তলপেটের পুরো অংশ কেটে সেলাই করা। পরে সকলকে জানাই।’
মেয়ে হারানোর শোকে কাতর মাইশার মা বেলী বলেন, ‘আমি কী ভুল করলাম! কেন মেয়েকে নিয়ে গেলাম। ওরা ডাক্তার না, কসাই। আমার মেয়ের পেট কাটল কেন? ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলছে। আমি এর বিচার চাই। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই।’
ভুক্তভোগীর পরিবার তাদের পরামর্শক ওই চিকিৎসকের ভিজিটিং কার্ড দিলে সেই মোবাইল নম্বরে কথা বলেন আজকের পত্রিকার এ প্রতিনিধি। মোবাইলের অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে ডা. আহসান হাবিব বলে দাবি করেন।
শিশু মাইশার অপারেশন ও মৃত্যুর বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে ওই বলেন, ‘আমি অপারেশন করিনি। আমার শেয়ার থাকা আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে অপারেশন অ্যারেঞ্জ করে দেই। সেখানে ঢাকা মেডিকেলের প্লাস্টিক সার্জারির চিকিৎসক (সহকারী অধ্যাপক) ডা. শরিফুল ইসলাম অপারেশন করেন। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত শিশুটি মারা যায়। আমি নিজেও এ ঘটনায় শক্ড।’
হাতের আঙুল অপারেশন করার সময় পেট কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ‘আহসান হাবীব’ এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এটা শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে করা হয়েছে। হাতের আঙুল অপারেশন করে ওই স্থানে স্কিন সংযুক্ত করার জন্য পেট থেকে স্কিন নেওয়া হয়েছিল। পরিণত বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে পায়ের থাই থেকে চামড়া নেওয়া হয়। কিন্তু শিশুটির থাই সরু থাকায় তার পেট থেকে চামড়া নিয়ে সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল।’
তাহলে হাতের অপারেশন করতে গিয়ে মাইশার মৃত্যুর কারণ কী, এমন প্রশ্নে ওই ‘চিকিৎসক’ বলেন, ‘আমি নিজেও অপারেশন থিয়েটারে প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলাম। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। পরে আমি আমার বাসায় চলে যাই। পরে শিশুটির মৃত্যুর কারণ জানতে ওই সার্জনের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি তখন জানান, সম্ভবত অ্যানেসথেসিয়ার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এখানে অন্য আর কোনো কারণ নেই। তবে পুরো ঘটনায় আমি নিজেও মর্মাহত।’
নিজেকে কুড়িগ্রামের সন্তান দাবি করে ‘ডা. আহসান হাবীব বলেন’, ‘রোগীটা আমার এলাকার। কুড়িগ্রামের যেকোনো লোক আসলে আমি হেল্প করি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এটা আসলে অ্যাকসিডেন্ট। তারপরও এটা মেনে নেওয়া কঠিন। আমি নিজেও সেদিন স্তব্ধ হয়ে গেছি।’
নিজের পরিচয় সম্পর্কে মো. আহসান হাবীব জানান, তিনি বিসিএস ২৫ ব্যাচের চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি মহাখালীতে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) হিসেবে কর্মরত। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মিরপুরে তাঁর চেম্বার।
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধির অনুসন্ধানে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ওয়েবসাইটে, তাঁর দেওয়া তথ্যমতে ডা. মো. আহসান হাবীব নামে অনকোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওই হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তবে ওয়েবসাইটে তাঁর কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।

৯ মাস বয়সে ডান হাতের পাঁচটি আঙুল চুলার আগুনে পুরে যায় শিশু মাইশার (৫)। সে সময় চিকিৎসা করে ক্ষত ভালো হয়ে গেলেও তিনটি আঙুল কুঁকড়ে ছিল। আঙুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে আশা করে, সম্প্রতি ঢাকার এক চিকিৎসকের পরামর্শে আঙুলে অস্ত্রোপচার করানো হয় শিশুটির। আর সেই অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই মৃত্যু হয় মাইশার। কিন্তু মাইশার বাবার প্রশ্ন—মেয়ের আঙুল অপারেশন করার জন্য পেট কাটতে হলো কেন?
শিশুটির পুরো নাম মারুফা জাহান মাইশা। কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়ার মোজাফফর আলী ও বেলি আক্তার দম্পতির মেয়ে ছিল সে। মাইশার নানা ওসমান গণি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আজ শুক্রবার সকালে মাইশার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাতম চলছে। মেয়ের এমন ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তার বাবা-মা, স্বজন ও প্রতিবেশীরা। তারা মাইশার মৃত্যুর সঠিক কারণ তদন্ত করার দাবি জানান।
শিশু মাইশার পরিবার বলছে, সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আহসান হাবীব শরণাপন্ন হন মাইশার বাবা মোজাফফর। শিশু মাইশার হাত দেখে চিকিৎসক তাদের জানান, অপারেশন করলে মাইশার হাত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেই অনুযায়ী গত বুধবার সকালে ঢাকায় মিরপুর রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে হাতের অপারেশন হয় মাইশার। কিন্তু ঘণ্টা দেড়েক পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় শিশুটির অবস্থা খারাপ, তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্য গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিতে হবে। হতবিহ্বল বাবা-মা মেয়েকে নিয়ে ছোটেন মিরপুর ১ এর মাজার রোডের ওই হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় শিশুটি মারা গেছে, তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে।
মাইশার বাবা মোজাফফর জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশনের খরচ বাবদ নেওয়া টাকা তাঁদের ফিরিয়ে দেয়। মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও ঠিক করে দেয়। বাড়ি ফিরে মাইশাকে দাফনের জন্য গোসল করাতে গিয়ে নারীরা দেখতে পান, শিশু মাইশার নাভির নিচে পুরো পেট জুড়ে কেটে সেলাই করা। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। কিন্তু ঢাকায় অপারেশন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ চলে যায়। পরে নিরুপায় হয়ে মাইশাকে দাফন করা হয় বাড়ির আঙিনায়।
মোজাফফর আলী বলেন, ‘মেয়ের হাতের আঙুল ঠিক করার জন্য ঢাকার মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ডা. আহসান হাবীবের কাছে যাই। তিনি সবকিছু দেখে বলেন বুধবার সকালে অপারেশন করার কথা বলেন। রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল মেডিকেলে তাঁর শেয়ার আছে জানিয়ে ডাক্তার বলেন, সেখানে অপারেশন করালে খরচ কম লাগবে। বুধবার সেখানে হাতের অপারেশন করার সময় মেয়ে মারা যায়। পরে তারা আমাদের টাকা ফেরত দেয় এবং ধমক দিয়ে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি এসে মেয়েকে গোসল করার সময় স্থানীয় মহিলারা দেখেন, মেয়ের তলপেটের পুরো অংশ কেটে সেলাই করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটা দেখে নিরুপায় হয়ে পড়ি। আমরা গরিব মানুষ। কিছু বুঝি নাই। হাত অপারেশন করতে গিয়ে তারা কেন আমার মেয়ের পেট কাটল তা জানি না। আমাদেরকে কোনো কাগজপত্রও দেওয়া হয় নাই।’
শিশু মাইশার মরদেহ গোসল করানোর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় নারী মফিজা খাতুন। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ের হাতের আঙুল কাটা ছিল। পরে গোসলের সময় দেখি ওর তলপেটের পুরো অংশ কেটে সেলাই করা। পরে সকলকে জানাই।’
মেয়ে হারানোর শোকে কাতর মাইশার মা বেলী বলেন, ‘আমি কী ভুল করলাম! কেন মেয়েকে নিয়ে গেলাম। ওরা ডাক্তার না, কসাই। আমার মেয়ের পেট কাটল কেন? ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলছে। আমি এর বিচার চাই। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই।’
ভুক্তভোগীর পরিবার তাদের পরামর্শক ওই চিকিৎসকের ভিজিটিং কার্ড দিলে সেই মোবাইল নম্বরে কথা বলেন আজকের পত্রিকার এ প্রতিনিধি। মোবাইলের অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে ডা. আহসান হাবিব বলে দাবি করেন।
শিশু মাইশার অপারেশন ও মৃত্যুর বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে ওই বলেন, ‘আমি অপারেশন করিনি। আমার শেয়ার থাকা আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে অপারেশন অ্যারেঞ্জ করে দেই। সেখানে ঢাকা মেডিকেলের প্লাস্টিক সার্জারির চিকিৎসক (সহকারী অধ্যাপক) ডা. শরিফুল ইসলাম অপারেশন করেন। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত শিশুটি মারা যায়। আমি নিজেও এ ঘটনায় শক্ড।’
হাতের আঙুল অপারেশন করার সময় পেট কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ‘আহসান হাবীব’ এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এটা শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে করা হয়েছে। হাতের আঙুল অপারেশন করে ওই স্থানে স্কিন সংযুক্ত করার জন্য পেট থেকে স্কিন নেওয়া হয়েছিল। পরিণত বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে পায়ের থাই থেকে চামড়া নেওয়া হয়। কিন্তু শিশুটির থাই সরু থাকায় তার পেট থেকে চামড়া নিয়ে সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল।’
তাহলে হাতের অপারেশন করতে গিয়ে মাইশার মৃত্যুর কারণ কী, এমন প্রশ্নে ওই ‘চিকিৎসক’ বলেন, ‘আমি নিজেও অপারেশন থিয়েটারে প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলাম। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। পরে আমি আমার বাসায় চলে যাই। পরে শিশুটির মৃত্যুর কারণ জানতে ওই সার্জনের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি তখন জানান, সম্ভবত অ্যানেসথেসিয়ার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এখানে অন্য আর কোনো কারণ নেই। তবে পুরো ঘটনায় আমি নিজেও মর্মাহত।’
নিজেকে কুড়িগ্রামের সন্তান দাবি করে ‘ডা. আহসান হাবীব বলেন’, ‘রোগীটা আমার এলাকার। কুড়িগ্রামের যেকোনো লোক আসলে আমি হেল্প করি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এটা আসলে অ্যাকসিডেন্ট। তারপরও এটা মেনে নেওয়া কঠিন। আমি নিজেও সেদিন স্তব্ধ হয়ে গেছি।’
নিজের পরিচয় সম্পর্কে মো. আহসান হাবীব জানান, তিনি বিসিএস ২৫ ব্যাচের চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি মহাখালীতে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) হিসেবে কর্মরত। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মিরপুরে তাঁর চেম্বার।
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধির অনুসন্ধানে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ওয়েবসাইটে, তাঁর দেওয়া তথ্যমতে ডা. মো. আহসান হাবীব নামে অনকোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওই হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তবে ওয়েবসাইটে তাঁর কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।

জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পানিতে ডুবে ১৪ মাস বয়সী এক শিশু মারা গেছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু হাবিবুর রহমান ত্বহা বড়খাপন গ্রামের আওলাদ মিয়া ও তানজিলা খাতুন দম্পতির ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি ছাড়াই পরিচালিত অবৈধ শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে চারটি কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী। তবে সেখানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত রোববার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতারা সেলিম ওসমানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রায়ই তিনি গার্মেন্টসে অফিস করছেন, এমন গুঞ্জনের জবাবে তারেক আল মেহেদী জানান, সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সেই বৈঠকের পরদিন উইজডম অ্যাটায়ার্সে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও আলোচিত আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের বড় ভাই।

জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী। তবে সেখানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত রোববার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতারা সেলিম ওসমানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রায়ই তিনি গার্মেন্টসে অফিস করছেন, এমন গুঞ্জনের জবাবে তারেক আল মেহেদী জানান, সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সেই বৈঠকের পরদিন উইজডম অ্যাটায়ার্সে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও আলোচিত আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের বড় ভাই।

৯ মাস বয়সে ডান হাতের পাঁচটি আঙুল চুলার আগুনে পুরে যায় শিশু মাইশার (৫)। সে সময় চিকিৎসা করে ক্ষত ভালো হয়ে গেলেও তিনটি আঙুল কুঁকড়ে ছিল। আঙুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে আশা করে, সম্প্রতি ঢাকার এক চিকিৎসকের পরামর্শে আঙুলে অস্ত্রোপচার করানো হয় শিশুটির। আর সেই অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই মৃত্যু হয় মাইশার। কিন্তু মাইশার ব
০২ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পানিতে ডুবে ১৪ মাস বয়সী এক শিশু মারা গেছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু হাবিবুর রহমান ত্বহা বড়খাপন গ্রামের আওলাদ মিয়া ও তানজিলা খাতুন দম্পতির ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি ছাড়াই পরিচালিত অবৈধ শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে চারটি কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শাহজাহান শেখ (৪৫)। তিনি দক্ষিণখানের আশকোনা ডিলার বাড়ির হাকিম উদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, শাহজাহান শেখ বিমানবন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি আশকোনা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও ডিশের ব্যবসা করতেন।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান মিয়াদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাহজাহান ডিলার একটি গলি থেকে দৌড়ে তালতলা মোড়ের দিকে আসেন। তখন কয়েক দুর্বৃত্ত পেছন থেকে দৌড়ে এসে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তাঁর মাথা দুই খণ্ড হয়ে যায়। পরে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।’
মাহফুজ আরও জানান, দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি ক্যাপ (টুপি) ফেলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রকাশ্যে কিছু লোক শাহজাহানকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই দক্ষিণখান থানা পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
ডিএমপির দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, কতিপয় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহজাহান শেখকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করে। তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের শনাক্তকরণসহ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শাহজাহান শেখ (৪৫)। তিনি দক্ষিণখানের আশকোনা ডিলার বাড়ির হাকিম উদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, শাহজাহান শেখ বিমানবন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি আশকোনা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও ডিশের ব্যবসা করতেন।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান মিয়াদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাহজাহান ডিলার একটি গলি থেকে দৌড়ে তালতলা মোড়ের দিকে আসেন। তখন কয়েক দুর্বৃত্ত পেছন থেকে দৌড়ে এসে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তাঁর মাথা দুই খণ্ড হয়ে যায়। পরে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।’
মাহফুজ আরও জানান, দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি ক্যাপ (টুপি) ফেলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রকাশ্যে কিছু লোক শাহজাহানকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই দক্ষিণখান থানা পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
ডিএমপির দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, কতিপয় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহজাহান শেখকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করে। তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের শনাক্তকরণসহ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

৯ মাস বয়সে ডান হাতের পাঁচটি আঙুল চুলার আগুনে পুরে যায় শিশু মাইশার (৫)। সে সময় চিকিৎসা করে ক্ষত ভালো হয়ে গেলেও তিনটি আঙুল কুঁকড়ে ছিল। আঙুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে আশা করে, সম্প্রতি ঢাকার এক চিকিৎসকের পরামর্শে আঙুলে অস্ত্রোপচার করানো হয় শিশুটির। আর সেই অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই মৃত্যু হয় মাইশার। কিন্তু মাইশার ব
০২ ডিসেম্বর ২০২২
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
১ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পানিতে ডুবে ১৪ মাস বয়সী এক শিশু মারা গেছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু হাবিবুর রহমান ত্বহা বড়খাপন গ্রামের আওলাদ মিয়া ও তানজিলা খাতুন দম্পতির ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি ছাড়াই পরিচালিত অবৈধ শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে চারটি কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পানিতে ডুবে ১৪ মাস বয়সী এক শিশু মারা গেছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিশু হাবিবুর রহমান ত্বহা বড়খাপন গ্রামের আওলাদ মিয়া ও তানজিলা খাতুন দম্পতির ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিক হোসেন জানান, সকালে শিশুটির মা ঘরের ভেতরে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সবার অজান্তে ত্বহা বাড়ির পাশের একটি ছোট ডোবায় পড়ে যায়। কিছু সময় পর শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে ডোবা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে দ্রুত কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটি মারা গেছে।

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পানিতে ডুবে ১৪ মাস বয়সী এক শিশু মারা গেছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিশু হাবিবুর রহমান ত্বহা বড়খাপন গ্রামের আওলাদ মিয়া ও তানজিলা খাতুন দম্পতির ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিক হোসেন জানান, সকালে শিশুটির মা ঘরের ভেতরে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সবার অজান্তে ত্বহা বাড়ির পাশের একটি ছোট ডোবায় পড়ে যায়। কিছু সময় পর শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে ডোবা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে দ্রুত কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটি মারা গেছে।

৯ মাস বয়সে ডান হাতের পাঁচটি আঙুল চুলার আগুনে পুরে যায় শিশু মাইশার (৫)। সে সময় চিকিৎসা করে ক্ষত ভালো হয়ে গেলেও তিনটি আঙুল কুঁকড়ে ছিল। আঙুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে আশা করে, সম্প্রতি ঢাকার এক চিকিৎসকের পরামর্শে আঙুলে অস্ত্রোপচার করানো হয় শিশুটির। আর সেই অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই মৃত্যু হয় মাইশার। কিন্তু মাইশার ব
০২ ডিসেম্বর ২০২২
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি ছাড়াই পরিচালিত অবৈধ শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে চারটি কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
২ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি ছাড়াই পরিচালিত অবৈধ শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে চারটি কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী জেলার সদর ও মাধবদী থানাধীন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল। অভিযানকালে পরিবেশ অধিদপ্তর নরসিংদী জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় জেলা পুলিশ ও র্যাব-১১-এর একটি টহল দল অভিযানে সহায়তা করে।
সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা কারখানাগুলো হচ্ছে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর এলাকার মেসার্স রিহাম টেক্সটাইল, মাধবদীর বাগদাদ ডাইং, একই উপজেলার মেসার্স জে অ্যান্ড বি টেক্সটাইল মিলস এবং সদর উপজেলার ডেং ফেং লিমিটেড।
নরসিংদী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. বদরুল হুদা বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপিবিহীনভাবে পরিচালিত তিনটি ডাইং ও একটি ব্যাটারি কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পরিবেশদূষণ রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নরসিংদীতে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি ছাড়াই পরিচালিত অবৈধ শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে চারটি কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী জেলার সদর ও মাধবদী থানাধীন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল। অভিযানকালে পরিবেশ অধিদপ্তর নরসিংদী জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় জেলা পুলিশ ও র্যাব-১১-এর একটি টহল দল অভিযানে সহায়তা করে।
সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা কারখানাগুলো হচ্ছে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর এলাকার মেসার্স রিহাম টেক্সটাইল, মাধবদীর বাগদাদ ডাইং, একই উপজেলার মেসার্স জে অ্যান্ড বি টেক্সটাইল মিলস এবং সদর উপজেলার ডেং ফেং লিমিটেড।
নরসিংদী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. বদরুল হুদা বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপিবিহীনভাবে পরিচালিত তিনটি ডাইং ও একটি ব্যাটারি কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পরিবেশদূষণ রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

৯ মাস বয়সে ডান হাতের পাঁচটি আঙুল চুলার আগুনে পুরে যায় শিশু মাইশার (৫)। সে সময় চিকিৎসা করে ক্ষত ভালো হয়ে গেলেও তিনটি আঙুল কুঁকড়ে ছিল। আঙুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে আশা করে, সম্প্রতি ঢাকার এক চিকিৎসকের পরামর্শে আঙুলে অস্ত্রোপচার করানো হয় শিশুটির। আর সেই অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই মৃত্যু হয় মাইশার। কিন্তু মাইশার ব
০২ ডিসেম্বর ২০২২
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পানিতে ডুবে ১৪ মাস বয়সী এক শিশু মারা গেছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু হাবিবুর রহমান ত্বহা বড়খাপন গ্রামের আওলাদ মিয়া ও তানজিলা খাতুন দম্পতির ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে