ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ বা চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৪০ দিনে ১২টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এখনো ১২ শতাধিক আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্তৃপক্ষ। তবে খামারি ও কৃষকদের দাবি, উপজেলায় এই রোগে মৃত ও আক্রান্ত গরুর সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি। তাদের অভিযোগ—উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে কোনো ধরনের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় খামারি ও গৃহস্থ পর্যায়ে ১ লাখ ১৯টি গরু রয়েছে। গত ৪০ দিনে ১২ শতাধাক গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রোগ নিরাময়ে আক্রান্ত গরুকে মশারি টাঙিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যাতে মশা-মাছি বা রক্তচোষা প্রাণী গরুর আক্রান্ত স্থানে বসতে না পারে। ফলে মশা-মাছির মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে এ রোগ সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভ্যানে করে বাছুর নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে এসেছেন তোররা গ্রামের শফিজ উদ্দিন। তাঁর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের। শফিজ উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৪ দিন ধরে আমার আট মাসের বাছুর আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসা করাচ্ছি, এখনো ভালো হওয়ার লক্ষণ নাই। গ্রামের বেশির ভাগ গরুই এই রোগে আক্রান্ত।’
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, খামারির গরু থেকে শুরু করে কৃষকের হালের গরুও এই রোগে আক্রান্ত। প্রতিবেদকের কথা হয় বীরগড় গ্রামের আশরাফুল ইসলাম নামে এক খামারির সঙ্গে। ওই খামারি জানান, তাঁর সাতটি গরুর মধ্যে চারটি গরুতে এই রোগ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত গরুগুলোর চামড়ায় গুটি গুটি হয়ে ফুলে গেছে। পরে চামড়া উঠে ক্ষত থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গরু ঝিম মেরে থাকে ও কাঁপতে শুরু করে। অনেকটা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। ফলে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ছে। চিকিৎসা চলছে, এখনো আতঙ্ক কাটেনি তাঁর। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে চাহিদামতো ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।
রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা হালিমা বেগম বলেন, ‘খুব কষ্ট করে, অভাবের মধ্যেও তিনটা গরু পুষছিলাম। সপ্তাহখানেক আগে এই রোগে আমার দেড় লাখ টাকা দামের দুইটা গরুই মারা গেছে। এতে ভয়ে বাড়ির অন্য গরুটা বেঁচে দিছি।’
বীরগড় গ্রামের কৃষক নুর ইসলাম বলেন, ‘আমার দুটি গরু দেড় মাসে আগে আক্রান্ত হয়। মোটামুটি সুস্থ হলেও পায়ে ও বুকে ক্ষত এখনো আছে। গরুগুলো ঝিমায়, খাবার কম খায় এবং ক্ষতস্থান দিয়ে রক্ত ও পুঁজ বের হয়। আক্রান্ত প্রতিটি গরুর চিকিৎসায় খরচ অন্তত দুই থেকে তিন হাজার টাকা। এই ব্যয় বহনে হিমশিম খাচ্ছি।
খামারি ও কৃষকের অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু কায়েস বিন আজিজ বলেন, ‘মাসে ২৫ হাজার ভ্যাকসিনের চাহিদা থাকলেও আমরা বরাদ্দ পাচ্ছি মাত্র ৫০০ গরুর ভ্যাকসিন। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’
ডা. আবু কায়েস বিন আজিজ আরও বলেন, ‘এই রোগের সরাসরি কোনো প্রতিষেধক নেই। গরুর বসন্তের ভ্যাকসিন এই রোগে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে ভালো ফল মিলছে। রোগটি এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প করে খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ বা চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৪০ দিনে ১২টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এখনো ১২ শতাধিক আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্তৃপক্ষ। তবে খামারি ও কৃষকদের দাবি, উপজেলায় এই রোগে মৃত ও আক্রান্ত গরুর সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি। তাদের অভিযোগ—উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে কোনো ধরনের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় খামারি ও গৃহস্থ পর্যায়ে ১ লাখ ১৯টি গরু রয়েছে। গত ৪০ দিনে ১২ শতাধাক গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রোগ নিরাময়ে আক্রান্ত গরুকে মশারি টাঙিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যাতে মশা-মাছি বা রক্তচোষা প্রাণী গরুর আক্রান্ত স্থানে বসতে না পারে। ফলে মশা-মাছির মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে এ রোগ সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভ্যানে করে বাছুর নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে এসেছেন তোররা গ্রামের শফিজ উদ্দিন। তাঁর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের। শফিজ উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৪ দিন ধরে আমার আট মাসের বাছুর আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসা করাচ্ছি, এখনো ভালো হওয়ার লক্ষণ নাই। গ্রামের বেশির ভাগ গরুই এই রোগে আক্রান্ত।’
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, খামারির গরু থেকে শুরু করে কৃষকের হালের গরুও এই রোগে আক্রান্ত। প্রতিবেদকের কথা হয় বীরগড় গ্রামের আশরাফুল ইসলাম নামে এক খামারির সঙ্গে। ওই খামারি জানান, তাঁর সাতটি গরুর মধ্যে চারটি গরুতে এই রোগ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত গরুগুলোর চামড়ায় গুটি গুটি হয়ে ফুলে গেছে। পরে চামড়া উঠে ক্ষত থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গরু ঝিম মেরে থাকে ও কাঁপতে শুরু করে। অনেকটা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। ফলে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ছে। চিকিৎসা চলছে, এখনো আতঙ্ক কাটেনি তাঁর। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে চাহিদামতো ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।
রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা হালিমা বেগম বলেন, ‘খুব কষ্ট করে, অভাবের মধ্যেও তিনটা গরু পুষছিলাম। সপ্তাহখানেক আগে এই রোগে আমার দেড় লাখ টাকা দামের দুইটা গরুই মারা গেছে। এতে ভয়ে বাড়ির অন্য গরুটা বেঁচে দিছি।’
বীরগড় গ্রামের কৃষক নুর ইসলাম বলেন, ‘আমার দুটি গরু দেড় মাসে আগে আক্রান্ত হয়। মোটামুটি সুস্থ হলেও পায়ে ও বুকে ক্ষত এখনো আছে। গরুগুলো ঝিমায়, খাবার কম খায় এবং ক্ষতস্থান দিয়ে রক্ত ও পুঁজ বের হয়। আক্রান্ত প্রতিটি গরুর চিকিৎসায় খরচ অন্তত দুই থেকে তিন হাজার টাকা। এই ব্যয় বহনে হিমশিম খাচ্ছি।
খামারি ও কৃষকের অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু কায়েস বিন আজিজ বলেন, ‘মাসে ২৫ হাজার ভ্যাকসিনের চাহিদা থাকলেও আমরা বরাদ্দ পাচ্ছি মাত্র ৫০০ গরুর ভ্যাকসিন। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’
ডা. আবু কায়েস বিন আজিজ আরও বলেন, ‘এই রোগের সরাসরি কোনো প্রতিষেধক নেই। গরুর বসন্তের ভ্যাকসিন এই রোগে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে ভালো ফল মিলছে। রোগটি এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প করে খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে