কুড়িগ্রাম ও উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের উলিপুরে গত দুদিনে একাধিক মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দির থেকে প্রতিমা তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার পৌর এলাকার যোদ্দারপাড়া ও খেওয়ারপাড় কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের আটকের চেষ্টা করছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উলিপুরে ঘটনাস্থলগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, যোদ্দারপাড়ার সন্ন্যাসীতলা মন্দিরের কালী প্রতিমাটি মন্দিরের নির্ধারিত স্থানে নেই। মন্দিরের ভেতরে পায়ের ছাপ। পাশে কয়েকটি স্থানে প্রতিমার ভাঙা টুকরা ও এক গুচ্ছ চুল পড়ে আছে।
স্থানীয় যুবক শৌমিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্দিরটি প্রায় সারা বছর তালাবদ্ধ থাকে। ভক্তরা প্রতিদিন বাইরে থেকে ঠাকুরকে পূজা দিয়ে যান। মন্দিরের গ্রিলের ওপরের ফাঁকা জায়গা দিয়ে কেউ ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিমাটি নিয়ে গেছে। বাইরে সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সেগুলোর ফুটেজ পরীক্ষা করলে আগন্তুককে চিহ্নিত করা যেতে পারে।’
এ বিষয়ে সন্ন্যাসীতলা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দেব ধ্রুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে পূজা করতে গিয়ে দেখি মন্দিরের প্রতিমা উধাও। আশপাশে প্রতিমার টুকরা পড়ে আছে। এটা খুবই দুঃখজনক।’
ধ্রুব আরও বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সাথে বাস করি। এ ধরনের কাজ স্থানীয় কেউ করেনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে, পরিকল্পিতভাবে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা হচ্ছে।’
সন্ন্যাসীতলা মন্দিরের দক্ষিণে কিছু দূর গেলেই বটতলা মন্দির। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ওই মন্দিরের একাধিক প্রতিমা ভাঙা হয়েছে। কালী প্রতিমার নিচের বড় অংশ জুড়ে ভাঙা। আজকের পত্রিকাকে এই মন্দিরের ভাঙা প্রতিমা দেখান স্থানীয় নারী টুকু রানী। তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁরা মন্দিরের কালী প্রতিমা ভাঙা দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় হিন্দুধর্মাবলম্বীরা বলছেন, মন্দিরের গ্রিল তালা দেওয়া থাকলেও গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বাঁশ ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে প্রতিমা ভাঙা হয়েছে। স্থানীয় বসতি ও সড়কের পাশের এই মন্দিরের প্রতিমা ভাঙায় স্থানীয়রা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ওই এলাকার যুবক শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোন দুনিয়াত আসলাম। এভাবে চলতে পারে না। বাইরের কোনো গ্রুপ এলাকায় এসে এ কাজ করে থাকতে পারে। স্থানীয় কারও এমন সাহস করার কথা নয়।’
প্রিতম নামের আরেক যুবক বলেন, ‘পরশু (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১২টার দিকে অল্প বয়সী এক ছেলেকে বাঁশ নিয়ে যেতে দেখেছি। সেই ছেলে এই কাজ করে থাকতে পারে। তবে আমি নিশ্চিত নই।’
এ বিষয়ে বটতলা মন্দির কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় যুবক শৌমিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহরের ব্যস্ততম জায়গায় এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবে কাম্য নয়। আগে ভাবতাম আমাদের এলাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কখনো এমন হামলা হবে না। কিন্তু ২০২১ সালের পর থেকে আমরা আতঙ্কিত থাকি।’
শৌমিক আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে আবারও এ ধরনের ঘটনা সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উসকানিমূলক হতে পারে। আমরা এ বিষয়ে শঙ্কিত।’
ওই মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘কোনো একটি মহল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এই কাজ করছে। স্থানীয় কারও ইন্ধনে বাইরের কোনো গোষ্ঠী পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে।’
উপজেলার কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরের কালী প্রতিমাও ভাঙচুর করা হয়েছে। দিনের বেলা শ্মশান এলাকায় লোক সমাগম থাকলেও রাতে থাকে সুনসান নীরবতা। ওই মন্দিরের কালী প্রতিমাসহ একাধিক প্রতিমা লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরে গেলে সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী ও পুরুষেরা। তারা বলছেন, ‘এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটানো হয়েছে। সবগুলো মন্দিরে হামলার পেছনে একই গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।’
সেখানে উপস্থিত যোদ্দার পাড়া এলাকার এক নারী পাখি রানী বলেন, ‘এটা কোনো সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না।’
এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উলিপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এসব কর্মকাণ্ড করছে। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা খুব মনঃকষ্ট পেয়েছি। বিষয়টি আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে অবহিত করেছি। তারা জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে কাজ করছেন।’
এ বিষয়ে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি গুরুত্বের সাথে দেখছি। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার চেষ্টার পাশাপাশি, উপজেলার সকল মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়াতে আমাদের লোকজন মাঠে কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে শারদীয় দুর্গা উৎসব চলাকালীন উলিপুরের বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী ও অস্থায়ী কয়েকটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে গত দুদিনে একাধিক মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দির থেকে প্রতিমা তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার পৌর এলাকার যোদ্দারপাড়া ও খেওয়ারপাড় কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের আটকের চেষ্টা করছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উলিপুরে ঘটনাস্থলগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, যোদ্দারপাড়ার সন্ন্যাসীতলা মন্দিরের কালী প্রতিমাটি মন্দিরের নির্ধারিত স্থানে নেই। মন্দিরের ভেতরে পায়ের ছাপ। পাশে কয়েকটি স্থানে প্রতিমার ভাঙা টুকরা ও এক গুচ্ছ চুল পড়ে আছে।
স্থানীয় যুবক শৌমিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্দিরটি প্রায় সারা বছর তালাবদ্ধ থাকে। ভক্তরা প্রতিদিন বাইরে থেকে ঠাকুরকে পূজা দিয়ে যান। মন্দিরের গ্রিলের ওপরের ফাঁকা জায়গা দিয়ে কেউ ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিমাটি নিয়ে গেছে। বাইরে সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সেগুলোর ফুটেজ পরীক্ষা করলে আগন্তুককে চিহ্নিত করা যেতে পারে।’
এ বিষয়ে সন্ন্যাসীতলা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দেব ধ্রুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে পূজা করতে গিয়ে দেখি মন্দিরের প্রতিমা উধাও। আশপাশে প্রতিমার টুকরা পড়ে আছে। এটা খুবই দুঃখজনক।’
ধ্রুব আরও বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সাথে বাস করি। এ ধরনের কাজ স্থানীয় কেউ করেনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে, পরিকল্পিতভাবে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা হচ্ছে।’
সন্ন্যাসীতলা মন্দিরের দক্ষিণে কিছু দূর গেলেই বটতলা মন্দির। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ওই মন্দিরের একাধিক প্রতিমা ভাঙা হয়েছে। কালী প্রতিমার নিচের বড় অংশ জুড়ে ভাঙা। আজকের পত্রিকাকে এই মন্দিরের ভাঙা প্রতিমা দেখান স্থানীয় নারী টুকু রানী। তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁরা মন্দিরের কালী প্রতিমা ভাঙা দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় হিন্দুধর্মাবলম্বীরা বলছেন, মন্দিরের গ্রিল তালা দেওয়া থাকলেও গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বাঁশ ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে প্রতিমা ভাঙা হয়েছে। স্থানীয় বসতি ও সড়কের পাশের এই মন্দিরের প্রতিমা ভাঙায় স্থানীয়রা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ওই এলাকার যুবক শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোন দুনিয়াত আসলাম। এভাবে চলতে পারে না। বাইরের কোনো গ্রুপ এলাকায় এসে এ কাজ করে থাকতে পারে। স্থানীয় কারও এমন সাহস করার কথা নয়।’
প্রিতম নামের আরেক যুবক বলেন, ‘পরশু (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১২টার দিকে অল্প বয়সী এক ছেলেকে বাঁশ নিয়ে যেতে দেখেছি। সেই ছেলে এই কাজ করে থাকতে পারে। তবে আমি নিশ্চিত নই।’
এ বিষয়ে বটতলা মন্দির কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় যুবক শৌমিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহরের ব্যস্ততম জায়গায় এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবে কাম্য নয়। আগে ভাবতাম আমাদের এলাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কখনো এমন হামলা হবে না। কিন্তু ২০২১ সালের পর থেকে আমরা আতঙ্কিত থাকি।’
শৌমিক আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে আবারও এ ধরনের ঘটনা সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উসকানিমূলক হতে পারে। আমরা এ বিষয়ে শঙ্কিত।’
ওই মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘কোনো একটি মহল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এই কাজ করছে। স্থানীয় কারও ইন্ধনে বাইরের কোনো গোষ্ঠী পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে।’
উপজেলার কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরের কালী প্রতিমাও ভাঙচুর করা হয়েছে। দিনের বেলা শ্মশান এলাকায় লোক সমাগম থাকলেও রাতে থাকে সুনসান নীরবতা। ওই মন্দিরের কালী প্রতিমাসহ একাধিক প্রতিমা লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরে গেলে সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী ও পুরুষেরা। তারা বলছেন, ‘এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটানো হয়েছে। সবগুলো মন্দিরে হামলার পেছনে একই গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।’
সেখানে উপস্থিত যোদ্দার পাড়া এলাকার এক নারী পাখি রানী বলেন, ‘এটা কোনো সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না।’
এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উলিপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এসব কর্মকাণ্ড করছে। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা খুব মনঃকষ্ট পেয়েছি। বিষয়টি আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে অবহিত করেছি। তারা জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে কাজ করছেন।’
এ বিষয়ে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি গুরুত্বের সাথে দেখছি। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার চেষ্টার পাশাপাশি, উপজেলার সকল মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়াতে আমাদের লোকজন মাঠে কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে শারদীয় দুর্গা উৎসব চলাকালীন উলিপুরের বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী ও অস্থায়ী কয়েকটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কুড়িগ্রাম ও উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের উলিপুরে গত দুদিনে একাধিক মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দির থেকে প্রতিমা তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার পৌর এলাকার যোদ্দারপাড়া ও খেওয়ারপাড় কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের আটকের চেষ্টা করছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উলিপুরে ঘটনাস্থলগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, যোদ্দারপাড়ার সন্ন্যাসীতলা মন্দিরের কালী প্রতিমাটি মন্দিরের নির্ধারিত স্থানে নেই। মন্দিরের ভেতরে পায়ের ছাপ। পাশে কয়েকটি স্থানে প্রতিমার ভাঙা টুকরা ও এক গুচ্ছ চুল পড়ে আছে।
স্থানীয় যুবক শৌমিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্দিরটি প্রায় সারা বছর তালাবদ্ধ থাকে। ভক্তরা প্রতিদিন বাইরে থেকে ঠাকুরকে পূজা দিয়ে যান। মন্দিরের গ্রিলের ওপরের ফাঁকা জায়গা দিয়ে কেউ ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিমাটি নিয়ে গেছে। বাইরে সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সেগুলোর ফুটেজ পরীক্ষা করলে আগন্তুককে চিহ্নিত করা যেতে পারে।’
এ বিষয়ে সন্ন্যাসীতলা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দেব ধ্রুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে পূজা করতে গিয়ে দেখি মন্দিরের প্রতিমা উধাও। আশপাশে প্রতিমার টুকরা পড়ে আছে। এটা খুবই দুঃখজনক।’
ধ্রুব আরও বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সাথে বাস করি। এ ধরনের কাজ স্থানীয় কেউ করেনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে, পরিকল্পিতভাবে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা হচ্ছে।’
সন্ন্যাসীতলা মন্দিরের দক্ষিণে কিছু দূর গেলেই বটতলা মন্দির। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ওই মন্দিরের একাধিক প্রতিমা ভাঙা হয়েছে। কালী প্রতিমার নিচের বড় অংশ জুড়ে ভাঙা। আজকের পত্রিকাকে এই মন্দিরের ভাঙা প্রতিমা দেখান স্থানীয় নারী টুকু রানী। তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁরা মন্দিরের কালী প্রতিমা ভাঙা দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় হিন্দুধর্মাবলম্বীরা বলছেন, মন্দিরের গ্রিল তালা দেওয়া থাকলেও গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বাঁশ ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে প্রতিমা ভাঙা হয়েছে। স্থানীয় বসতি ও সড়কের পাশের এই মন্দিরের প্রতিমা ভাঙায় স্থানীয়রা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ওই এলাকার যুবক শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোন দুনিয়াত আসলাম। এভাবে চলতে পারে না। বাইরের কোনো গ্রুপ এলাকায় এসে এ কাজ করে থাকতে পারে। স্থানীয় কারও এমন সাহস করার কথা নয়।’
প্রিতম নামের আরেক যুবক বলেন, ‘পরশু (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১২টার দিকে অল্প বয়সী এক ছেলেকে বাঁশ নিয়ে যেতে দেখেছি। সেই ছেলে এই কাজ করে থাকতে পারে। তবে আমি নিশ্চিত নই।’
এ বিষয়ে বটতলা মন্দির কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় যুবক শৌমিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহরের ব্যস্ততম জায়গায় এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবে কাম্য নয়। আগে ভাবতাম আমাদের এলাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কখনো এমন হামলা হবে না। কিন্তু ২০২১ সালের পর থেকে আমরা আতঙ্কিত থাকি।’
শৌমিক আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে আবারও এ ধরনের ঘটনা সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উসকানিমূলক হতে পারে। আমরা এ বিষয়ে শঙ্কিত।’
ওই মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘কোনো একটি মহল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এই কাজ করছে। স্থানীয় কারও ইন্ধনে বাইরের কোনো গোষ্ঠী পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে।’
উপজেলার কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরের কালী প্রতিমাও ভাঙচুর করা হয়েছে। দিনের বেলা শ্মশান এলাকায় লোক সমাগম থাকলেও রাতে থাকে সুনসান নীরবতা। ওই মন্দিরের কালী প্রতিমাসহ একাধিক প্রতিমা লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরে গেলে সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী ও পুরুষেরা। তারা বলছেন, ‘এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটানো হয়েছে। সবগুলো মন্দিরে হামলার পেছনে একই গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।’
সেখানে উপস্থিত যোদ্দার পাড়া এলাকার এক নারী পাখি রানী বলেন, ‘এটা কোনো সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না।’
এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উলিপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এসব কর্মকাণ্ড করছে। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা খুব মনঃকষ্ট পেয়েছি। বিষয়টি আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে অবহিত করেছি। তারা জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে কাজ করছেন।’
এ বিষয়ে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি গুরুত্বের সাথে দেখছি। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার চেষ্টার পাশাপাশি, উপজেলার সকল মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়াতে আমাদের লোকজন মাঠে কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে শারদীয় দুর্গা উৎসব চলাকালীন উলিপুরের বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী ও অস্থায়ী কয়েকটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে গত দুদিনে একাধিক মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দির থেকে প্রতিমা তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার পৌর এলাকার যোদ্দারপাড়া ও খেওয়ারপাড় কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের আটকের চেষ্টা করছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উলিপুরে ঘটনাস্থলগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, যোদ্দারপাড়ার সন্ন্যাসীতলা মন্দিরের কালী প্রতিমাটি মন্দিরের নির্ধারিত স্থানে নেই। মন্দিরের ভেতরে পায়ের ছাপ। পাশে কয়েকটি স্থানে প্রতিমার ভাঙা টুকরা ও এক গুচ্ছ চুল পড়ে আছে।
স্থানীয় যুবক শৌমিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্দিরটি প্রায় সারা বছর তালাবদ্ধ থাকে। ভক্তরা প্রতিদিন বাইরে থেকে ঠাকুরকে পূজা দিয়ে যান। মন্দিরের গ্রিলের ওপরের ফাঁকা জায়গা দিয়ে কেউ ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিমাটি নিয়ে গেছে। বাইরে সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সেগুলোর ফুটেজ পরীক্ষা করলে আগন্তুককে চিহ্নিত করা যেতে পারে।’
এ বিষয়ে সন্ন্যাসীতলা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দেব ধ্রুব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে পূজা করতে গিয়ে দেখি মন্দিরের প্রতিমা উধাও। আশপাশে প্রতিমার টুকরা পড়ে আছে। এটা খুবই দুঃখজনক।’
ধ্রুব আরও বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সাথে বাস করি। এ ধরনের কাজ স্থানীয় কেউ করেনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে, পরিকল্পিতভাবে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা হচ্ছে।’
সন্ন্যাসীতলা মন্দিরের দক্ষিণে কিছু দূর গেলেই বটতলা মন্দির। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ওই মন্দিরের একাধিক প্রতিমা ভাঙা হয়েছে। কালী প্রতিমার নিচের বড় অংশ জুড়ে ভাঙা। আজকের পত্রিকাকে এই মন্দিরের ভাঙা প্রতিমা দেখান স্থানীয় নারী টুকু রানী। তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁরা মন্দিরের কালী প্রতিমা ভাঙা দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় হিন্দুধর্মাবলম্বীরা বলছেন, মন্দিরের গ্রিল তালা দেওয়া থাকলেও গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বাঁশ ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে প্রতিমা ভাঙা হয়েছে। স্থানীয় বসতি ও সড়কের পাশের এই মন্দিরের প্রতিমা ভাঙায় স্থানীয়রা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ওই এলাকার যুবক শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোন দুনিয়াত আসলাম। এভাবে চলতে পারে না। বাইরের কোনো গ্রুপ এলাকায় এসে এ কাজ করে থাকতে পারে। স্থানীয় কারও এমন সাহস করার কথা নয়।’
প্রিতম নামের আরেক যুবক বলেন, ‘পরশু (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১২টার দিকে অল্প বয়সী এক ছেলেকে বাঁশ নিয়ে যেতে দেখেছি। সেই ছেলে এই কাজ করে থাকতে পারে। তবে আমি নিশ্চিত নই।’
এ বিষয়ে বটতলা মন্দির কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় যুবক শৌমিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহরের ব্যস্ততম জায়গায় এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবে কাম্য নয়। আগে ভাবতাম আমাদের এলাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কখনো এমন হামলা হবে না। কিন্তু ২০২১ সালের পর থেকে আমরা আতঙ্কিত থাকি।’
শৌমিক আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে আবারও এ ধরনের ঘটনা সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উসকানিমূলক হতে পারে। আমরা এ বিষয়ে শঙ্কিত।’
ওই মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘কোনো একটি মহল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এই কাজ করছে। স্থানীয় কারও ইন্ধনে বাইরের কোনো গোষ্ঠী পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে।’
উপজেলার কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরের কালী প্রতিমাও ভাঙচুর করা হয়েছে। দিনের বেলা শ্মশান এলাকায় লোক সমাগম থাকলেও রাতে থাকে সুনসান নীরবতা। ওই মন্দিরের কালী প্রতিমাসহ একাধিক প্রতিমা লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরে গেলে সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী ও পুরুষেরা। তারা বলছেন, ‘এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটানো হয়েছে। সবগুলো মন্দিরে হামলার পেছনে একই গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।’
সেখানে উপস্থিত যোদ্দার পাড়া এলাকার এক নারী পাখি রানী বলেন, ‘এটা কোনো সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না।’
এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উলিপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এসব কর্মকাণ্ড করছে। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা খুব মনঃকষ্ট পেয়েছি। বিষয়টি আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে অবহিত করেছি। তারা জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে কাজ করছেন।’
এ বিষয়ে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি গুরুত্বের সাথে দেখছি। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার চেষ্টার পাশাপাশি, উপজেলার সকল মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়াতে আমাদের লোকজন মাঠে কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে শারদীয় দুর্গা উৎসব চলাকালীন উলিপুরের বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী ও অস্থায়ী কয়েকটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তাঁরা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
৫ মিনিট আগে
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে নেওয়ার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। কারাগারের অফিস কক্ষে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার।
৭ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে শাখা ছাত্রদল। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে তাঁরা জানান ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে।
বিবৃতিতে ছাত্রদল নেতারা বলেন, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের দেওয়া হুমকিমূলক বক্তব্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি অশোভন এবং অছাত্রসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ। একজন ছাত্রনেতার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ জ্ঞানচর্চার পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে বারবার মারমুখী ও অশালীন আচরণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে তথাকথিত “তালা ঝোলানো” সংস্কৃতি ফ্যাসিবাদী মানসিকতারই প্রতিফলন। এর আগেও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যসহ একজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল, যা সারা দেশের শিক্ষক সমাজের কাছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।’
ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তারা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। তবে তথ্য-উপাত্ত ছাড়া অহেতুক ট্যাগিং ও অপপ্রচারের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।
এদিকে ছাত্রদলের বিবৃতি প্রসঙ্গে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউট ছাত্রদল যেহেতু আমাকে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সেহেতু আমি সঠিক পথেই আছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের নেতা-কর্মী নাকি আমাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘মনোনয়নপত্র নেওয়ার দিন মনে আছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের না, রাজশাহীর সর্বস্তরের কর্মী নিয়েও লাভ হয় নাই। সালাহউদ্দিন আম্মার একা দাঁড়াইয়া ছিল, ওই দিনও সব নেতা-কর্মীর স্লোগান, হুমকি-ধমকি দিয়ে একটা চুলও ছিঁড়তে পারে নাই। ডিনদের পদত্যাগ করাইলাম বাকি কাজও করে যাব।’
একই দিন রাতে জিএস আম্মারের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘একজন নির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধি হিসেবে রাকসুর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বশীলতা, সংযম ও প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বক্তব্যে তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র ফুটে উঠেছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘অনুষদ অধিকর্তাদের নির্বাচিত মেয়াদ সমাপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য তাঁদের দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কারও ভিন্নমত বা আপত্তি থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ভেতরে আলোচনা, আবেদন কিংবা প্রতিবাদের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই পথ অনুসরণ না করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য, কুরুচিপূর্ণ ভাষা প্রয়োগ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি প্রদান আইনশৃঙ্খলা, শিষ্টাচার ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিপন্থী।’
উল্লেখ্য, গতকাল সকাল থেকে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ দাবিতে আম্মারের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এতে ডিনদের চেম্বারে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি প্রশাসনের সকল দপ্তরে তালা দেন তাঁরা। পরে এদিন রাতে এক সভায় ছয় ডিন তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে শাখা ছাত্রদল। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে তাঁরা জানান ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে।
বিবৃতিতে ছাত্রদল নেতারা বলেন, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের দেওয়া হুমকিমূলক বক্তব্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি অশোভন এবং অছাত্রসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ। একজন ছাত্রনেতার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ জ্ঞানচর্চার পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে বারবার মারমুখী ও অশালীন আচরণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে তথাকথিত “তালা ঝোলানো” সংস্কৃতি ফ্যাসিবাদী মানসিকতারই প্রতিফলন। এর আগেও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যসহ একজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল, যা সারা দেশের শিক্ষক সমাজের কাছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।’
ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তারা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। তবে তথ্য-উপাত্ত ছাড়া অহেতুক ট্যাগিং ও অপপ্রচারের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।
এদিকে ছাত্রদলের বিবৃতি প্রসঙ্গে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউট ছাত্রদল যেহেতু আমাকে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সেহেতু আমি সঠিক পথেই আছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের নেতা-কর্মী নাকি আমাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘মনোনয়নপত্র নেওয়ার দিন মনে আছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের না, রাজশাহীর সর্বস্তরের কর্মী নিয়েও লাভ হয় নাই। সালাহউদ্দিন আম্মার একা দাঁড়াইয়া ছিল, ওই দিনও সব নেতা-কর্মীর স্লোগান, হুমকি-ধমকি দিয়ে একটা চুলও ছিঁড়তে পারে নাই। ডিনদের পদত্যাগ করাইলাম বাকি কাজও করে যাব।’
একই দিন রাতে জিএস আম্মারের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘একজন নির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধি হিসেবে রাকসুর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বশীলতা, সংযম ও প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বক্তব্যে তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র ফুটে উঠেছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘অনুষদ অধিকর্তাদের নির্বাচিত মেয়াদ সমাপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য তাঁদের দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কারও ভিন্নমত বা আপত্তি থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ভেতরে আলোচনা, আবেদন কিংবা প্রতিবাদের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই পথ অনুসরণ না করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য, কুরুচিপূর্ণ ভাষা প্রয়োগ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি প্রদান আইনশৃঙ্খলা, শিষ্টাচার ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিপন্থী।’
উল্লেখ্য, গতকাল সকাল থেকে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ দাবিতে আম্মারের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এতে ডিনদের চেম্বারে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি প্রশাসনের সকল দপ্তরে তালা দেন তাঁরা। পরে এদিন রাতে এক সভায় ছয় ডিন তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে গত দুদিনে একাধিক মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দির থেকে প্রতিমা তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার পৌর এলাকার যোদ্দারপাড়া ও খেওয়ারপাড় কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে...
১৬ মার্চ ২০২৩
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে নেওয়ার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। কারাগারের অফিস কক্ষে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার।
৭ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে নেওয়ার সময় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। কারাগারের অফিস কক্ষে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মারা যাওয়া নেতার নাম ওয়াসিকুর রহমান বাবু (৪৩)। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এনায়েতুর রহমানের ছেলে। বাবু রাজধানীর বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সুপার আল মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় ঝটিকা মিছিল করার সময় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হন ওয়াসিকুর রহমান বাবু। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ স্থানান্তর করা হয়। ওই মামলায় আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশের একটি দল তাকে হেফাজতে নিতে কারাগারে আসে। কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলাকালে তাকে অফিস কক্ষের (ভর্তি শাখা) একটি চেয়ারে বসানো হয়। এ সময় তিনি হঠাৎ চেয়ার থেকে ঢলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে নেওয়ার সময় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। কারাগারের অফিস কক্ষে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মারা যাওয়া নেতার নাম ওয়াসিকুর রহমান বাবু (৪৩)। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এনায়েতুর রহমানের ছেলে। বাবু রাজধানীর বাড্ডা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সুপার আল মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় ঝটিকা মিছিল করার সময় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হন ওয়াসিকুর রহমান বাবু। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ স্থানান্তর করা হয়। ওই মামলায় আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশের একটি দল তাকে হেফাজতে নিতে কারাগারে আসে। কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলাকালে তাকে অফিস কক্ষের (ভর্তি শাখা) একটি চেয়ারে বসানো হয়। এ সময় তিনি হঠাৎ চেয়ার থেকে ঢলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে গত দুদিনে একাধিক মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দির থেকে প্রতিমা তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার পৌর এলাকার যোদ্দারপাড়া ও খেওয়ারপাড় কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে...
১৬ মার্চ ২০২৩
ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তাঁরা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
৫ মিনিট আগে
খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার।
৭ ঘণ্টা আগেকাজী শামিম আহমেদ, খুলনা

খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) রয়েছে ১ হাজার ৮৫১টি ভোটকেন্দ্র।
প্রতিটি থানা থেকে সন্ত্রাসকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিভাগের ১০ জেলায় ৩৪টি আসনে ৪ হাজার ৮২৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৭৬৩টি। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ১ হাজার ৭২৩টি কেন্দ্র এবং সাধারণ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ৩৩৮টি।
সূত্র আরও জানায়, খুলনা জেলায় ১৩৫টি ভোটকেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। যশোরে ১৮৬টি, বাগেরহাটে ১৮৬টি, সাতক্ষীরায় ৫৯টি, যশোরে ৭১টি, ঝিনাইদহে ৩৩টি, মাগুরায় ৫৫টি, নড়াইলে ৪২টি, কুষ্টিয়ায় ৯৯টি, চুয়াডাঙ্গায় ৫৭টি এবং মেহেরপুরে ২৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে।
জানতে চাইলে খুলনার অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি (অপারেশনস) শেখ জয়নুদ্দিন বলেন, তিন ক্যাটাগরিতে ভোটকেন্দ্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় থানা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতকল্পে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কাজ করবে। এ লক্ষ্যে পুলিশের ২৮টি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০টি প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে, বাকি ৮টি প্রশিক্ষণ হবে।
খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে দুটি আসন। খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) এবং খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসন। আসন দুটিতে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৩০৯টি। এর মধ্যে ৭৯টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ এ দুটি আসনে ৬৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছে পুলিশ।
এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবার আগেভাগেই মহানগরীর ভোটকেন্দ্রগুলো যাচাই করেছে পুলিশ। এতে ৩০৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৯টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, খুলনা জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৮৪০টি। এর মধ্যে মহানগরীর ভেতরে রয়েছে ৩০৯টি কেন্দ্র। খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসনের সব ভোটকেন্দ্রই মহানগরীর ভেতরে। এর বাইরে খুলনা-১ আসনের ১৫টি এবং খুলনা-৫ আসনের ২২ কেন্দ্র পড়েছে নগরীর সীমানায়। এসব এলাকার সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শুধু মহানগরীর কেন্দ্রগুলোর ঝুঁকি আগে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে মহানগরীর ভেতরের ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে ঝুঁকি বিবেচনার জন্য থানার ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়। মহানগর পুলিশের আটটি থানার ওসি গত মাসে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) ত ম রোকনুজ্জামান জানান, আগে ওই কেন্দ্রে কখনো গোলযোগ হয়েছে কি না, কোনো কারণে অতীতে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়েছে কি না, কেন্দ্রটি কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়ির আশপাশে কি না, ভোটকেন্দ্রটি দুর্গম এলাকায় কি না, কেন্দ্রের চারপাশে সীমানাপ্রাচীর অথবা নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে কি না, অপরাধ করে দ্রুত সটকে পড়ার আশঙ্কা কেমন–এসব বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অতি গুরুত্বপূর্ণ তালিকা করা হয়।
খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন এবং উৎসবমুখর করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সেভাবেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেন, ভোটকেন্দ্র ও ভোটের পরিবেশ নিয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এবার ভোটকেন্দ্রে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, কয়েক মাস আগে থেকেই তাঁদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এখনো প্রশিক্ষণ চলছে। ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ যেন না হয়, সে জন্য করণীয়, গোলযোগ হলে কী করতে হবে—এসব বিষয়ে বিশদভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগে এ ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বলেন, খুলনার ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১৪১টিতে নিজস্ব সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। নির্বাচনের আগে বাকিগুলোতে ক্যামেরা সংযোজন করা হবে। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের কাছেও ক্যামেরা থাকবে।

খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) রয়েছে ১ হাজার ৮৫১টি ভোটকেন্দ্র।
প্রতিটি থানা থেকে সন্ত্রাসকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিভাগের ১০ জেলায় ৩৪টি আসনে ৪ হাজার ৮২৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৭৬৩টি। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ১ হাজার ৭২৩টি কেন্দ্র এবং সাধারণ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ৩৩৮টি।
সূত্র আরও জানায়, খুলনা জেলায় ১৩৫টি ভোটকেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। যশোরে ১৮৬টি, বাগেরহাটে ১৮৬টি, সাতক্ষীরায় ৫৯টি, যশোরে ৭১টি, ঝিনাইদহে ৩৩টি, মাগুরায় ৫৫টি, নড়াইলে ৪২টি, কুষ্টিয়ায় ৯৯টি, চুয়াডাঙ্গায় ৫৭টি এবং মেহেরপুরে ২৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে।
জানতে চাইলে খুলনার অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি (অপারেশনস) শেখ জয়নুদ্দিন বলেন, তিন ক্যাটাগরিতে ভোটকেন্দ্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় থানা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ ক্যাটাগরিতে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতকল্পে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কাজ করবে। এ লক্ষ্যে পুলিশের ২৮টি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০টি প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে, বাকি ৮টি প্রশিক্ষণ হবে।
খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে দুটি আসন। খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) এবং খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসন। আসন দুটিতে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৩০৯টি। এর মধ্যে ৭৯টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ এ দুটি আসনে ৬৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছে পুলিশ।
এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবার আগেভাগেই মহানগরীর ভোটকেন্দ্রগুলো যাচাই করেছে পুলিশ। এতে ৩০৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৯টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, খুলনা জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৮৪০টি। এর মধ্যে মহানগরীর ভেতরে রয়েছে ৩০৯টি কেন্দ্র। খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসনের সব ভোটকেন্দ্রই মহানগরীর ভেতরে। এর বাইরে খুলনা-১ আসনের ১৫টি এবং খুলনা-৫ আসনের ২২ কেন্দ্র পড়েছে নগরীর সীমানায়। এসব এলাকার সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শুধু মহানগরীর কেন্দ্রগুলোর ঝুঁকি আগে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে মহানগরীর ভেতরের ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে ঝুঁকি বিবেচনার জন্য থানার ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়। মহানগর পুলিশের আটটি থানার ওসি গত মাসে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) ত ম রোকনুজ্জামান জানান, আগে ওই কেন্দ্রে কখনো গোলযোগ হয়েছে কি না, কোনো কারণে অতীতে ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়েছে কি না, কেন্দ্রটি কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়ির আশপাশে কি না, ভোটকেন্দ্রটি দুর্গম এলাকায় কি না, কেন্দ্রের চারপাশে সীমানাপ্রাচীর অথবা নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে কি না, অপরাধ করে দ্রুত সটকে পড়ার আশঙ্কা কেমন–এসব বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অতি গুরুত্বপূর্ণ তালিকা করা হয়।
খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন এবং উৎসবমুখর করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সেভাবেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেন, ভোটকেন্দ্র ও ভোটের পরিবেশ নিয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এবার ভোটকেন্দ্রে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, কয়েক মাস আগে থেকেই তাঁদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এখনো প্রশিক্ষণ চলছে। ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ যেন না হয়, সে জন্য করণীয়, গোলযোগ হলে কী করতে হবে—এসব বিষয়ে বিশদভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগে এ ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বলেন, খুলনার ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১৪১টিতে নিজস্ব সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। নির্বাচনের আগে বাকিগুলোতে ক্যামেরা সংযোজন করা হবে। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের কাছেও ক্যামেরা থাকবে।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে গত দুদিনে একাধিক মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দির থেকে প্রতিমা তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার পৌর এলাকার যোদ্দারপাড়া ও খেওয়ারপাড় কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে...
১৬ মার্চ ২০২৩
ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তাঁরা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
৫ মিনিট আগে
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে নেওয়ার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। কারাগারের অফিস কক্ষে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার।
৭ ঘণ্টা আগেআয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর

মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার। নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে বসানো এসব ক্যামেরা কার্যত কোনো কাজে আসছে না। দ্রুত ক্যামেরাগুলো মেরামতের দাবি শহরবাসীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের মে মাসে তৎকালীন পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের উদ্যোগে এবং মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬০টি আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল। তবে স্থাপনের কিছুদিন পর থেকে ধীরে ধীরে ক্যামেরাগুলো নষ্ট হতে শুরু করে। বর্তমানে প্রায় এক বছর ধরে অধিকাংশ ক্যামেরা অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে, কিন্তু এখনো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে শহরে দিনদুপুরে চুরি, ছিনতাই, ইভ টিজিংসহ নানা অপরাধ বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারীপুর নতুন শহর, কালীবাড়ি, সুমন হোটেল মোড়, কলেজ রোড, বটতলা, বাদামতলা, পুরান বাজার, শকুনি লেকপাড়, ডিসি ব্রিজ, ইটেরপুল, পুরাতন ও নতুন বাসস্ট্যান্ড, রেন্ডিতলা, মিলন সিনেমা হল এলাকা, কাজীর মোড়, থানার সামনে, কলেজের সামনে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জজকোর্ট এলাকাসহ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে বসানো ক্যামেরাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অচল। অধিকাংশ ক্যামেরায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অনেক স্থানে ক্যামেরা ও সংযোগের তার চুরি হয়ে গেছে, আবার কোথাও ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে কোথাও শুধু বক্স, কোথাও শুধু ক্যামেরা, আবার কোথাও ঝুলে আছে তার। এতে করে শহরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ডিসি ব্রিজ এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো প্রায় এক বছর ধরে নষ্ট। এই এলাকা শহরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্ধ্যার পর চায়ের দোকানগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের আড্ডা বসে এবং প্রায়ই মারামারির ঘটনা ঘটে। ক্যামেরাগুলো সচল থাকলে অনেক অপরাধ আগেভাগেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।’
শকুনি লেকপাড় এলাকার খেলনা বিক্রেতা পারভীন বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেলের দিকে এখানে কয়েক শ মানুষ আসে। নানা বয়সের মানুষ ঘোরাফেরা করে। অনেক সময় নারীরা ইভ টিজিংয়ের শিকার হন। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো দ্রুত মেরামত করা হলে সাধারণ মানুষ অনেকটা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগির ক্যামেরাগুলো মেরামত করে আবার চালু করা সম্ভব হবে।

মাদারীপুর শহরে চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে প্রায় এক বছরের মধ্যে এসব ক্যামেরার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোথাও ক্যামেরার বক্স থাকলেও ক্যামেরা নেই; কোথাও ক্যামেরা আছে, বক্স নেই; আবার কোথাও শুধু ঝুলে আছে তার। নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে বসানো এসব ক্যামেরা কার্যত কোনো কাজে আসছে না। দ্রুত ক্যামেরাগুলো মেরামতের দাবি শহরবাসীর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের মে মাসে তৎকালীন পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের উদ্যোগে এবং মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬০টি আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল। তবে স্থাপনের কিছুদিন পর থেকে ধীরে ধীরে ক্যামেরাগুলো নষ্ট হতে শুরু করে। বর্তমানে প্রায় এক বছর ধরে অধিকাংশ ক্যামেরা অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে, কিন্তু এখনো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে শহরে দিনদুপুরে চুরি, ছিনতাই, ইভ টিজিংসহ নানা অপরাধ বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারীপুর নতুন শহর, কালীবাড়ি, সুমন হোটেল মোড়, কলেজ রোড, বটতলা, বাদামতলা, পুরান বাজার, শকুনি লেকপাড়, ডিসি ব্রিজ, ইটেরপুল, পুরাতন ও নতুন বাসস্ট্যান্ড, রেন্ডিতলা, মিলন সিনেমা হল এলাকা, কাজীর মোড়, থানার সামনে, কলেজের সামনে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জজকোর্ট এলাকাসহ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে বসানো ক্যামেরাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অচল। অধিকাংশ ক্যামেরায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অনেক স্থানে ক্যামেরা ও সংযোগের তার চুরি হয়ে গেছে, আবার কোথাও ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে কোথাও শুধু বক্স, কোথাও শুধু ক্যামেরা, আবার কোথাও ঝুলে আছে তার। এতে করে শহরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ডিসি ব্রিজ এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো প্রায় এক বছর ধরে নষ্ট। এই এলাকা শহরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্ধ্যার পর চায়ের দোকানগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের আড্ডা বসে এবং প্রায়ই মারামারির ঘটনা ঘটে। ক্যামেরাগুলো সচল থাকলে অনেক অপরাধ আগেভাগেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।’
শকুনি লেকপাড় এলাকার খেলনা বিক্রেতা পারভীন বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেলের দিকে এখানে কয়েক শ মানুষ আসে। নানা বয়সের মানুষ ঘোরাফেরা করে। অনেক সময় নারীরা ইভ টিজিংয়ের শিকার হন। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো দ্রুত মেরামত করা হলে সাধারণ মানুষ অনেকটা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগির ক্যামেরাগুলো মেরামত করে আবার চালু করা সম্ভব হবে।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে গত দুদিনে একাধিক মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দির থেকে প্রতিমা তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার পৌর এলাকার যোদ্দারপাড়া ও খেওয়ারপাড় কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে...
১৬ মার্চ ২০২৩
ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তাঁরা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
৫ মিনিট আগে
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে নেওয়ার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। কারাগারের অফিস কক্ষে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৮৪২টি ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জেলার ৩৪টি আসনে ৭৬৩টি এবং খুলনা মহানগরীর দুটি আসনে ৭৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে