নীলফামারীর ডিমলা
মাসুদ পারভেজ রুবেল ডিমলা (নীলফামারী)
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অবাধে তোলা হচ্ছে পাথর। দুই মাস ধরে চলছে অবৈধভাবে পাথর তোলার এই মহোৎসব। স্থানীয়রা বলছেন, একটি প্রভাবশালী চক্র নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর তুলে অন্যত্র বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এদিকে নির্বিচারে বালু-পাথর উত্তোলনে নদীভাঙন, বর্ষায় আকস্মিক বন্যা এবং ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিস্তা থেকে অবৈধভাবে পাথর তোলার প্রতিবাদ করায় পাথরখেকো চক্রের কাছে ইতিমধ্যে অনেকেই নাজেহাল হয়েছেন। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিমলা উপজেলার দশটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টি তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত। নদীর যেসব এলাকা থেকে পাথর তোলা হচ্ছে, সেসব এলাকায় দুই পাড়ের গ্রামগুলো ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভাঙন এলাকায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় লোহার তৈরি ছেনি (জাকলা) দিয়ে নদীর তলদেশ গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছেন কিছু শ্রমিক। তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, তিস্তা ব্যারাজের আশপাশ, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, ভেন্ডাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলনে ২০ থেকে ৩০ ব্যক্তি জড়িত।
সম্প্রতি তিস্তা ব্যারাজের উজানে তেলির বাজার, ছোটখাতা ও ভাটিতে ডালিয়া বাইশপুকুর এলাকায় দেখা যায়, শ্রমিকেরা বেলচা, কোদাল ও শাবল ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করে অন্তত ১০টি নৌকায় বোঝাই করেছেন। পরে সেসব পাথর বিক্রির জন্য ট্রাক্টরে ভরে স্তূপ করা হচ্ছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সামনে তিস্তা সেচনালার ধারে।
বাইশপুকুর এলাকায় নদীর যে স্থানে পাথর তোলা হচ্ছে তার ৫০০ মিটার উজানে তিস্তা ব্যারাজ। পাশেই নদীর ভাঙন রোধে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তীরে জিওব্যাগ ফেলছেন পাউবোর ঠিকাদার।
পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকেরা জানান, নৌকা চলন্ত অবস্থায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত পাখা দিয়ে নদীর তলদেশের বালু সরিয়ে পাথর তুলে পানির ওপরে নিয়ে আসেন তাঁরা। এভাবেই নদীর বিভিন্ন স্থানে ১০ থেকে ১২টি দল পাথর উত্তোলন করছে। উত্তোলিত পাথর ৪০-৫০ টাকা সিএফটি দরে স্থানীয় সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে তারা। আর সিন্ডিকেটের সদস্যরা এসব পাথর ১০০-১২০ টাকা সিএফটি দরে বিক্রি করেন পাথর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের কাছে।
পাথর পরিবহনকারী একটি ট্রাক্টরের চালক জিয়াউর রহমান জানান, তাঁরা ভাড়া চুক্তিতে এক মাস ধরে পাথর পরিবহন করছেন। ডালিয়া বাজারের শহীদ ইসলাম তাঁদের নিযুক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে কথা হলে শহীদ ইসলাম বলেন, ‘যারা নৌকার মালিক তারাই পাথর তুলছে। আমি বিভিন্ন দলের কাছে প্রতি সিএফটি পাথর ৬৯ টাকায় কিনে ৭১ টাকা দরে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। আমার মতো অনেকেই তিস্তা নদীর পাথর প্রতিদিন কিনে নেন।’ শহীদ জানান, গত পাঁচ বছর নদীতে পাথর উত্তোলন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি আবার শুরু হয়েছে।
বাইশপুকুর এলাকার বাসিন্দা রাফাত ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহে নদীর ভাঙনে তাঁদের দেড় বিঘা বাদামের খেত বিলীন হয়েছে। আরও দুই বিঘা ফসলি জমি ভাঙনের মুখে।
নদী-তীরবর্তী বাসিন্দারা বলছেন, অবৈধভাবে পাথর-বালু উত্তোলন করে অনেকেই কোটিপতি হয়েছেন। কিন্তু নিঃস্ব হয়েছেন তীরবর্তী বাসিন্দারা।
অনেকেরই বসতভিটা ও আবাদি জমি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। এ ছাড়া পাথর পরিবহনের ট্রাক্টর থেকে পানি পড়ার কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও স্থানীয় সড়কও বেহাল হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদীর বালু, পাথরের দায়িত্ব আমাদের না। যারা পাথর উত্তোলন করছে তাদের ধরেন, শাস্তি দেন।’
এ বিষয়ে কথা হলে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, নদী থেকে পাথর উত্তোলনের সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অবাধে তোলা হচ্ছে পাথর। দুই মাস ধরে চলছে অবৈধভাবে পাথর তোলার এই মহোৎসব। স্থানীয়রা বলছেন, একটি প্রভাবশালী চক্র নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর তুলে অন্যত্র বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এদিকে নির্বিচারে বালু-পাথর উত্তোলনে নদীভাঙন, বর্ষায় আকস্মিক বন্যা এবং ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিস্তা থেকে অবৈধভাবে পাথর তোলার প্রতিবাদ করায় পাথরখেকো চক্রের কাছে ইতিমধ্যে অনেকেই নাজেহাল হয়েছেন। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিমলা উপজেলার দশটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টি তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত। নদীর যেসব এলাকা থেকে পাথর তোলা হচ্ছে, সেসব এলাকায় দুই পাড়ের গ্রামগুলো ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভাঙন এলাকায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় লোহার তৈরি ছেনি (জাকলা) দিয়ে নদীর তলদেশ গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছেন কিছু শ্রমিক। তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, তিস্তা ব্যারাজের আশপাশ, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, কালিগঞ্জ, ভেন্ডাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলনে ২০ থেকে ৩০ ব্যক্তি জড়িত।
সম্প্রতি তিস্তা ব্যারাজের উজানে তেলির বাজার, ছোটখাতা ও ভাটিতে ডালিয়া বাইশপুকুর এলাকায় দেখা যায়, শ্রমিকেরা বেলচা, কোদাল ও শাবল ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করে অন্তত ১০টি নৌকায় বোঝাই করেছেন। পরে সেসব পাথর বিক্রির জন্য ট্রাক্টরে ভরে স্তূপ করা হচ্ছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সামনে তিস্তা সেচনালার ধারে।
বাইশপুকুর এলাকায় নদীর যে স্থানে পাথর তোলা হচ্ছে তার ৫০০ মিটার উজানে তিস্তা ব্যারাজ। পাশেই নদীর ভাঙন রোধে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তীরে জিওব্যাগ ফেলছেন পাউবোর ঠিকাদার।
পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকেরা জানান, নৌকা চলন্ত অবস্থায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত পাখা দিয়ে নদীর তলদেশের বালু সরিয়ে পাথর তুলে পানির ওপরে নিয়ে আসেন তাঁরা। এভাবেই নদীর বিভিন্ন স্থানে ১০ থেকে ১২টি দল পাথর উত্তোলন করছে। উত্তোলিত পাথর ৪০-৫০ টাকা সিএফটি দরে স্থানীয় সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে তারা। আর সিন্ডিকেটের সদস্যরা এসব পাথর ১০০-১২০ টাকা সিএফটি দরে বিক্রি করেন পাথর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের কাছে।
পাথর পরিবহনকারী একটি ট্রাক্টরের চালক জিয়াউর রহমান জানান, তাঁরা ভাড়া চুক্তিতে এক মাস ধরে পাথর পরিবহন করছেন। ডালিয়া বাজারের শহীদ ইসলাম তাঁদের নিযুক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে কথা হলে শহীদ ইসলাম বলেন, ‘যারা নৌকার মালিক তারাই পাথর তুলছে। আমি বিভিন্ন দলের কাছে প্রতি সিএফটি পাথর ৬৯ টাকায় কিনে ৭১ টাকা দরে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। আমার মতো অনেকেই তিস্তা নদীর পাথর প্রতিদিন কিনে নেন।’ শহীদ জানান, গত পাঁচ বছর নদীতে পাথর উত্তোলন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি আবার শুরু হয়েছে।
বাইশপুকুর এলাকার বাসিন্দা রাফাত ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহে নদীর ভাঙনে তাঁদের দেড় বিঘা বাদামের খেত বিলীন হয়েছে। আরও দুই বিঘা ফসলি জমি ভাঙনের মুখে।
নদী-তীরবর্তী বাসিন্দারা বলছেন, অবৈধভাবে পাথর-বালু উত্তোলন করে অনেকেই কোটিপতি হয়েছেন। কিন্তু নিঃস্ব হয়েছেন তীরবর্তী বাসিন্দারা।
অনেকেরই বসতভিটা ও আবাদি জমি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। এ ছাড়া পাথর পরিবহনের ট্রাক্টর থেকে পানি পড়ার কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও স্থানীয় সড়কও বেহাল হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদীর বালু, পাথরের দায়িত্ব আমাদের না। যারা পাথর উত্তোলন করছে তাদের ধরেন, শাস্তি দেন।’
এ বিষয়ে কথা হলে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, নদী থেকে পাথর উত্তোলনের সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিন ফসলি কৃষিজমি রক্ষায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড স্থাপন পরিকল্পনা স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে নৃগোষ্ঠীগুলোর অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ১৪টি সংগঠন। সেই সঙ্গে সাঁওতাল নৃগোষ্ঠী ও কিছু বাঙালি কৃষিজীবী পরিবারের পূর্বপুরুষদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আনোয়ারা বেগম হত্যা মামলায় তাঁর স্বামী মানিক পাটোয়ারীকে (৫৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. আমিনুল হক...
৬ মিনিট আগেসুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মাদ্রাসার হিসাব-নিকাশ নিয়ে বিরোধের জেরে মুহতামিমকে (মাদ্রাসার প্রধান) মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।
৯ মিনিট আগেসকালে নিজ বাড়িতে বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত তারে জড়িয়ে পড়েন হারুন অর রশীদ। এতে তাঁর বাম হাত পুড়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।
১১ মিনিট আগে