আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর)

‘ভোট দিয়া হামার সিটির মানুষের লাভ কী হয়? কাজ-কাম বাদ দিয়া, দিন-হাজরি ফেলায়ে, ভোট দিয়া কি হামার কোনো লাভ আছে? সারা দিন কাম করি যে টাকা পাইম, সেই টাকা দিয়া বাজার করি বাড়ি আসি বউ-বাচ্চা নিয়া বসি খাইম, সেইটাই লাভ। কিসের মুই ভোট দিবার জাং।’
আজ শুক্রবার সকালে রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুকরুল বাজারের আমাশু উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন রিকশাচালক হায়দার আলী। এ সময় তাঁর কাছে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয় জানতে চাইলে আজকের পত্রিকার এই প্রতিনিধির কাছে এভাবেই নিজের নির্বাচনী ভাবনা প্রকাশ করেন হায়দার আলী।
পরে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘কাজ-কাম শ্যাষ করি যদি সময় পাং তাইলে যাইম ভোট দিবার, আর সময় না পাইলে নাই। এমপি নির্বাচনের ওপর এতটা ঝোঁক নাই।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতি হায়দার আলীর অনীহা ও আক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে মুখের কথা কেড়ে নিয়ে চা-দোকানদার একরামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন ভোট দিবার যামো, ভোট আসছে আজকে আর ওমার গুলার দেখা পাইছি। এর আগে যে মসিউর রহমান রাঁঙ্গা ভোট নিয়া গেইছে, পাঁচ বছরে আর কী কোনো দিন আসছিল হামার এইদিকে। তারপর এর আগে আসিফ একবার ভোট নিয়া গেইছে, সেও ঠিক রাঁঙ্গার মতনেই করছে। ভোট আসলে এদের দেখা পাই আর না আসলে কোনো দেখা নাই। এরা হামারগুলার ১ থাকি ৮ নম্বর সিটি করপোরেশনে বসন্তের কোকিল হয়া আইসে। বসন্ত শ্যাষ হইলে এমারগুলার আর দেখা পাওয়া যায় না।’
চা-দোকানি একরামুল আরও বলেন, ‘আর যদি কোনো কারণে এলাকার উন্নয়নের কাজের জন্য এমপির কাছে যাই, তাঁরা দ্যাখায়ে দেয় এটা সিটি করপোরেশন, তোমরা মেয়রের কাছে যাও, সিটি করপোরেশনের ভেতরে মেয়র কাজ করবে সেখানে আমার কোনো দায়িত্ব নাই। তাইলে তোমরাই কন, হামরা ক্যানে ভোট দিবার যামো। এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব এমপির নাই তাহলে ফির হামার ভোট দিবার কিসের দায়িত্ব।’
‘শুনিচোল এবার বেলে বাবলু নামে নতুন এক প্রার্থী দাঁড়াইছে, সে নাকি ভালো। এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল গঙ্গাচড়ার। ওই এলাকার নাকি অনেক কাজ করছে। যদি ভোট সেন্টারত যাই তাইলে ভোটটা ওয়াকে দ্যাইম আর না গেইলে নাই।’
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর-১ আসনের সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কিছু কিছু স্থানে নির্বাচনী পোস্টার সাঁটানো থাকলেও। এসব এলাকায় নেই কোনো নির্বাচনী আমেজ। এসব এলাকার স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনে এসব এলাকার লোকজন ভোট দিতে যান না।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গাচড়া উপজেলা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত রংপুর-১ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র এবং জাতীয় পার্টিসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির হুসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, তৃণমূল বিএনপির বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বখতিয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের শ্যামলী রায়। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মসিউর রহমান রাঁঙ্গা, আসাদুজ্জামান বাবলু, শাহিনুর আলম ও মোশাররফ হোসেন।
এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩২ হাজার ২১৯ জন। গঙ্গাচড়া উপজেলার ৯ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৮ এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের (১ থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে) মোট ভোটার ৯৮ হাজার ৭১ জন।

‘ভোট দিয়া হামার সিটির মানুষের লাভ কী হয়? কাজ-কাম বাদ দিয়া, দিন-হাজরি ফেলায়ে, ভোট দিয়া কি হামার কোনো লাভ আছে? সারা দিন কাম করি যে টাকা পাইম, সেই টাকা দিয়া বাজার করি বাড়ি আসি বউ-বাচ্চা নিয়া বসি খাইম, সেইটাই লাভ। কিসের মুই ভোট দিবার জাং।’
আজ শুক্রবার সকালে রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুকরুল বাজারের আমাশু উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন রিকশাচালক হায়দার আলী। এ সময় তাঁর কাছে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয় জানতে চাইলে আজকের পত্রিকার এই প্রতিনিধির কাছে এভাবেই নিজের নির্বাচনী ভাবনা প্রকাশ করেন হায়দার আলী।
পরে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘কাজ-কাম শ্যাষ করি যদি সময় পাং তাইলে যাইম ভোট দিবার, আর সময় না পাইলে নাই। এমপি নির্বাচনের ওপর এতটা ঝোঁক নাই।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতি হায়দার আলীর অনীহা ও আক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে মুখের কথা কেড়ে নিয়ে চা-দোকানদার একরামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন ভোট দিবার যামো, ভোট আসছে আজকে আর ওমার গুলার দেখা পাইছি। এর আগে যে মসিউর রহমান রাঁঙ্গা ভোট নিয়া গেইছে, পাঁচ বছরে আর কী কোনো দিন আসছিল হামার এইদিকে। তারপর এর আগে আসিফ একবার ভোট নিয়া গেইছে, সেও ঠিক রাঁঙ্গার মতনেই করছে। ভোট আসলে এদের দেখা পাই আর না আসলে কোনো দেখা নাই। এরা হামারগুলার ১ থাকি ৮ নম্বর সিটি করপোরেশনে বসন্তের কোকিল হয়া আইসে। বসন্ত শ্যাষ হইলে এমারগুলার আর দেখা পাওয়া যায় না।’
চা-দোকানি একরামুল আরও বলেন, ‘আর যদি কোনো কারণে এলাকার উন্নয়নের কাজের জন্য এমপির কাছে যাই, তাঁরা দ্যাখায়ে দেয় এটা সিটি করপোরেশন, তোমরা মেয়রের কাছে যাও, সিটি করপোরেশনের ভেতরে মেয়র কাজ করবে সেখানে আমার কোনো দায়িত্ব নাই। তাইলে তোমরাই কন, হামরা ক্যানে ভোট দিবার যামো। এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব এমপির নাই তাহলে ফির হামার ভোট দিবার কিসের দায়িত্ব।’
‘শুনিচোল এবার বেলে বাবলু নামে নতুন এক প্রার্থী দাঁড়াইছে, সে নাকি ভালো। এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল গঙ্গাচড়ার। ওই এলাকার নাকি অনেক কাজ করছে। যদি ভোট সেন্টারত যাই তাইলে ভোটটা ওয়াকে দ্যাইম আর না গেইলে নাই।’
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর-১ আসনের সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কিছু কিছু স্থানে নির্বাচনী পোস্টার সাঁটানো থাকলেও। এসব এলাকায় নেই কোনো নির্বাচনী আমেজ। এসব এলাকার স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনে এসব এলাকার লোকজন ভোট দিতে যান না।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গাচড়া উপজেলা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত রংপুর-১ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র এবং জাতীয় পার্টিসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির হুসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, তৃণমূল বিএনপির বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বখতিয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের শ্যামলী রায়। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মসিউর রহমান রাঁঙ্গা, আসাদুজ্জামান বাবলু, শাহিনুর আলম ও মোশাররফ হোসেন।
এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩২ হাজার ২১৯ জন। গঙ্গাচড়া উপজেলার ৯ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৮ এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের (১ থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে) মোট ভোটার ৯৮ হাজার ৭১ জন।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৪ ঘণ্টা আগে