Ajker Patrika

খাদ্য বিভাগের ১৪০ বস্তা চাল গায়েব, ‘ধামাচাপায়’ ইউএনও

 রিমন রহমান, রাজশাহী
সরকারি খাদ্যগুদামের চাল নেওয়া হয় গুদামের এক নৈশপ্রহরীর বাড়িতে। ছবি: সংগৃহীত
সরকারি খাদ্যগুদামের চাল নেওয়া হয় গুদামের এক নৈশপ্রহরীর বাড়িতে। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর দুর্গাপুরে খাদ্য বিভাগের ১৪০ বস্তা চাল গায়েব হয়ে গেছে। সাত টন এই চালের বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। ঘটনা জানাজানি হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন তা ধামাচাপা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি চাল লোপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক যুবদল নেতাকে বলেছেন, ‘আপনি জিজ্ঞাসা করার কে?’ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দেখিয়েছেন তিনি।

এ নিয়ে ফেসবুকে এসে লাইভ করেছেন রেজাউল করিম নামের ওই যুবদল নেতা। চাল লোপাটের ওই ঘটনা ঘটে গত ২৮ আগস্ট। সেদিন খাদ্যগুদাম থেকে চালগুলো গুদামের নৈশপ্রহরী শাজাহান আলীর বাড়িতে ঢোকানো হচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় দ্রুতই সেখান থেকে আবার চাল সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে পরে ওই চাল কোথায় গেছে, এর হদিস মেলেনি। যদিও শাজাহানের বাড়িতে চাল ঢোকানো ও বের করার ভিডিও রয়েছে।

ফেসবুক লাইভে দুর্গাপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘যে কাজ সাংবাদিকদের করার কথা, সে কাজ আজ সাধারণ মানুষকে করতে হচ্ছে। গরিব মানুষের ১৪০ বস্তা চাল খাদ্যগুদাম থেকে চুরি করে খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইয়াসিন আলী নৈশপ্রহরী শাজাহানের সহযোগিতায় তার বাসায় রাখে। এর যথাযথ প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি ইউএনও স্যারের নাম বলেন। তাঁর নির্দেশেই নাকি এই চাল শাজাহানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও ভিডিওতে দেখা গেছে, গত ২৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় একটি চালের বস্তাভর্তি ট্রলি শাজাহানের বাড়ির সামনের রাস্তায় গিয়ে থামে। এ সময় ২০ জন শ্রমিকও আসেন। তাঁরা সরু রাস্তা দিয়ে প্রায় দেড় শ গজ দূরে চালের বস্তাগুলো শাজাহানের বাড়িতে নেওয়া শুরু করেন। এ সময় শাজাহানের আপন বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম সরকারি চাল বাড়িতে ঢুকতে দেখে বিস্মিত হন। জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শাজাহানকে প্রশ্ন করেন।

তবে শাজাহান বিষয়টি এড়িয়ে যান। এরপর বিপদ আঁচ করতে পেরে নিজে বাঁচতে জাহাঙ্গীর ফোনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। পরে তিনি দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর হায়দার আলীকেও জানান। এর মধ্যে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণ ও যুবদলের পৌর শাখার আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রেজাউল করিমসহ নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা এ সময় ঘটনাটির ভিডিও করেন। সেখানে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, ট্রলিতে ৫০ কেজি ওজনের ১৪০টি চালের বস্তা ছিল।

এ ব্যাপারে নৈশপ্রহরী শাজাহানকে ফোন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, ‘চাল ঢুকতে ও বের হতে দেখেছি। চাল ঢোকানোর কিছুক্ষণ পরই বের করা হয়েছে। তবে বের হওয়ার পর চাল কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা বলতে পারব না।’

সেখানে উপস্থিত যুবদল নেতা মো. সজিব বলেন, ‘শাজাহানের বাড়িতে চাল ঢোকার শেষ পর্যায়ে আমরা যুবদলের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ জানানোর জন্য ইউএনওর কাছে যাই। তবে তিনি এ সময় অফিসে ছিলেন না। আমরা শাজাহানের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রলিতে করে চাল সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে সেখানে উপস্থিত লোকজন এর ভিডিও করে রাখেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ইউএনওকে না পেয়ে গুদামে যাই। সেখানে খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তবে তিনি সদুত্তর না দিয়ে চাল ব্যবসায়ী বীরেনকে ফোনে ডাকেন। এ সময় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বীরেন আমাদের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে তাঁর প্রস্তাব আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এরপরেই ইউএনও অফিস থেকে সুমন নামের এক কর্মচারী ফোন দেন। ইউএনও তাঁর অফিসে আমাদের ডাকছেন বলে জানান।’

ফেসবুকে ঘটনার বিষয়ে লাইভ করা যুবদল নেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘ইউএনও সাবরিনা শারমিন অফিসে ডাকলে আমরা যাই। জিজ্ঞাসা করি, সরকারি চাল নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়িতে কীভাবে গেল? এ সময় ইউএনও উত্তেজিত হয়ে বলেন, “আপনি জিজ্ঞাসা করার কে?” আমি বলি, আমি বাংলাদেশের নাগরিক। এটা জানার অধিকার আছে। ইউএনও তখন বলেন, “বেশি কথা বললে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করব।” এ সময় ইউএনও এক আনসার সদস্যকে দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এই ভেবে যে, ফোনে ভিডিও আছে।’

রেজাউল করিম বলেন, ‘শাজাহানের বাড়ির চাল শেষ পর্যন্ত গুদামে ঢুকেছে কি না, এটা আমি জানতে চাই। ১৪০ বস্তা চাল কোথায় গেছে, কী অবস্থায় আছে, তার সঠিক তদন্ত চাই। এ চালের আনুমানিক বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। আমি মনে করি, এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে ইউএনও জড়িত আছেন। আর তা না হলে তিনি কেন খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বাঁচাতে চাইছেন? ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

জানতে চাইলে ইউএনও সাবরিনা শারমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রেজাউলের সঙ্গে এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। কী কথা হয়েছে, তা সিসি ক্যামেরা দেখলেই বোঝা যাবে। আমি গুদাম থেকে কিছু নষ্ট চাল জব্দ করেছিলাম। শাজাহানের বাড়িতে কোন চাল গিয়েছিল, সেগুলো বের করে আবার কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা খাদ্য বিভাগ বলতে পারবে। এ ঘটনার সঙ্গে আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হচ্ছে। এটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং, আমি শুনেছি যে যুবদল নেতা রেজাউল এক লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এসব ছড়াচ্ছেন।’

দুর্গাপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম আজম বলেন, ‘নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়ি থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১০০ গজ। খাদ্য অধিদপ্তরের সিলমোহরযুক্ত চালের বস্তা শাজাহানের বাড়িতে ঢুকেছে এবং বের হয়েছে, এটা আমি জানি। খাদ্যগুদামের সিসি ক্যামেরা চেক করলেই বোঝা যাবে চালের বস্তা সেখান থেকেই বের হয়েছে। দুর্গাপুর গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ চাল পাচারের সঙ্গে জড়িত। আর এ কর্মকর্তাকে ইউএনও কেন রক্ষা করতে চাচ্ছেন—সেটি আমার বোধগম্য নয়। এ ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।’

সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য গতকাল রোববার দুপুরে দুর্গাপুর খাদ্যগুদামে যাওয়া হয়। এ সময় প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কৌশলে গুদাম থেকে চলে যান। এরপর তাঁর ফোন বন্ধ করে দেন। আজ দুপুরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই চালের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কার চাল শাজাহানের বাড়ি গেছে, বস্তায় চাল ছিল নাকি ভুসি ছিল, কিছুই বলতে পারব না।’ এরপর ফোন কেটে দেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজশাহীর ১২টি সরকারি খাদ্যগুদামে শতকরা ৮০ শতাংশ নিম্নমানের পচা লাল চাল মজুত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে খাদ্য বিভাগে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে দুর্গাপুর ও পার্শ্ববর্তী বাগমারা উপজেলার পাঁচটি গুদাম থেকে ৯৫৪ বস্তা পচা চাল অপসারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক পচা চাল সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট ও অসাধু খাদ্য কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটিও গঠন করেছেন। বাগমারার ভবানীগঞ্জ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়াকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।

পচা চাল দুর্গাপুর খাদ্যগুদামেও পাওয়া যায়। তবে সেখানকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর তাঁর গুদাম থেকে নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়িতে চাল নেওয়া এবং জানাজানি হওয়ায় বের করে অজ্ঞাতনামা স্থানে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। আমাকে এ রকম ঘটনা কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’

একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’

স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’

জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গলায় রশি পেঁচানো নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।

বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাহাড়ে ভুট্টা চাষে ভালো ফলন পেলেন কৃষক জয়নাল

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।

উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

জামালপুর প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত