রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহীর দুর্গাপুরে খাদ্য বিভাগের ১৪০ বস্তা চাল গায়েব হয়ে গেছে। সাত টন এই চালের বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। ঘটনা জানাজানি হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন তা ধামাচাপা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি চাল লোপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক যুবদল নেতাকে বলেছেন, ‘আপনি জিজ্ঞাসা করার কে?’ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দেখিয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে ফেসবুকে এসে লাইভ করেছেন রেজাউল করিম নামের ওই যুবদল নেতা। চাল লোপাটের ওই ঘটনা ঘটে গত ২৮ আগস্ট। সেদিন খাদ্যগুদাম থেকে চালগুলো গুদামের নৈশপ্রহরী শাজাহান আলীর বাড়িতে ঢোকানো হচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় দ্রুতই সেখান থেকে আবার চাল সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে পরে ওই চাল কোথায় গেছে, এর হদিস মেলেনি। যদিও শাজাহানের বাড়িতে চাল ঢোকানো ও বের করার ভিডিও রয়েছে।
ফেসবুক লাইভে দুর্গাপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘যে কাজ সাংবাদিকদের করার কথা, সে কাজ আজ সাধারণ মানুষকে করতে হচ্ছে। গরিব মানুষের ১৪০ বস্তা চাল খাদ্যগুদাম থেকে চুরি করে খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইয়াসিন আলী নৈশপ্রহরী শাজাহানের সহযোগিতায় তার বাসায় রাখে। এর যথাযথ প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি ইউএনও স্যারের নাম বলেন। তাঁর নির্দেশেই নাকি এই চাল শাজাহানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও ভিডিওতে দেখা গেছে, গত ২৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় একটি চালের বস্তাভর্তি ট্রলি শাজাহানের বাড়ির সামনের রাস্তায় গিয়ে থামে। এ সময় ২০ জন শ্রমিকও আসেন। তাঁরা সরু রাস্তা দিয়ে প্রায় দেড় শ গজ দূরে চালের বস্তাগুলো শাজাহানের বাড়িতে নেওয়া শুরু করেন। এ সময় শাজাহানের আপন বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম সরকারি চাল বাড়িতে ঢুকতে দেখে বিস্মিত হন। জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শাজাহানকে প্রশ্ন করেন।
তবে শাজাহান বিষয়টি এড়িয়ে যান। এরপর বিপদ আঁচ করতে পেরে নিজে বাঁচতে জাহাঙ্গীর ফোনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। পরে তিনি দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর হায়দার আলীকেও জানান। এর মধ্যে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণ ও যুবদলের পৌর শাখার আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রেজাউল করিমসহ নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা এ সময় ঘটনাটির ভিডিও করেন। সেখানে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, ট্রলিতে ৫০ কেজি ওজনের ১৪০টি চালের বস্তা ছিল।
এ ব্যাপারে নৈশপ্রহরী শাজাহানকে ফোন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, ‘চাল ঢুকতে ও বের হতে দেখেছি। চাল ঢোকানোর কিছুক্ষণ পরই বের করা হয়েছে। তবে বের হওয়ার পর চাল কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা বলতে পারব না।’
সেখানে উপস্থিত যুবদল নেতা মো. সজিব বলেন, ‘শাজাহানের বাড়িতে চাল ঢোকার শেষ পর্যায়ে আমরা যুবদলের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ জানানোর জন্য ইউএনওর কাছে যাই। তবে তিনি এ সময় অফিসে ছিলেন না। আমরা শাজাহানের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রলিতে করে চাল সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে সেখানে উপস্থিত লোকজন এর ভিডিও করে রাখেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ইউএনওকে না পেয়ে গুদামে যাই। সেখানে খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তবে তিনি সদুত্তর না দিয়ে চাল ব্যবসায়ী বীরেনকে ফোনে ডাকেন। এ সময় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বীরেন আমাদের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে তাঁর প্রস্তাব আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এরপরেই ইউএনও অফিস থেকে সুমন নামের এক কর্মচারী ফোন দেন। ইউএনও তাঁর অফিসে আমাদের ডাকছেন বলে জানান।’
ফেসবুকে ঘটনার বিষয়ে লাইভ করা যুবদল নেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘ইউএনও সাবরিনা শারমিন অফিসে ডাকলে আমরা যাই। জিজ্ঞাসা করি, সরকারি চাল নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়িতে কীভাবে গেল? এ সময় ইউএনও উত্তেজিত হয়ে বলেন, “আপনি জিজ্ঞাসা করার কে?” আমি বলি, আমি বাংলাদেশের নাগরিক। এটা জানার অধিকার আছে। ইউএনও তখন বলেন, “বেশি কথা বললে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করব।” এ সময় ইউএনও এক আনসার সদস্যকে দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এই ভেবে যে, ফোনে ভিডিও আছে।’
রেজাউল করিম বলেন, ‘শাজাহানের বাড়ির চাল শেষ পর্যন্ত গুদামে ঢুকেছে কি না, এটা আমি জানতে চাই। ১৪০ বস্তা চাল কোথায় গেছে, কী অবস্থায় আছে, তার সঠিক তদন্ত চাই। এ চালের আনুমানিক বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। আমি মনে করি, এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে ইউএনও জড়িত আছেন। আর তা না হলে তিনি কেন খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বাঁচাতে চাইছেন? ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
জানতে চাইলে ইউএনও সাবরিনা শারমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রেজাউলের সঙ্গে এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। কী কথা হয়েছে, তা সিসি ক্যামেরা দেখলেই বোঝা যাবে। আমি গুদাম থেকে কিছু নষ্ট চাল জব্দ করেছিলাম। শাজাহানের বাড়িতে কোন চাল গিয়েছিল, সেগুলো বের করে আবার কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা খাদ্য বিভাগ বলতে পারবে। এ ঘটনার সঙ্গে আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হচ্ছে। এটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং, আমি শুনেছি যে যুবদল নেতা রেজাউল এক লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এসব ছড়াচ্ছেন।’
দুর্গাপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম আজম বলেন, ‘নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়ি থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১০০ গজ। খাদ্য অধিদপ্তরের সিলমোহরযুক্ত চালের বস্তা শাজাহানের বাড়িতে ঢুকেছে এবং বের হয়েছে, এটা আমি জানি। খাদ্যগুদামের সিসি ক্যামেরা চেক করলেই বোঝা যাবে চালের বস্তা সেখান থেকেই বের হয়েছে। দুর্গাপুর গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ চাল পাচারের সঙ্গে জড়িত। আর এ কর্মকর্তাকে ইউএনও কেন রক্ষা করতে চাচ্ছেন—সেটি আমার বোধগম্য নয়। এ ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।’
সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য গতকাল রোববার দুপুরে দুর্গাপুর খাদ্যগুদামে যাওয়া হয়। এ সময় প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কৌশলে গুদাম থেকে চলে যান। এরপর তাঁর ফোন বন্ধ করে দেন। আজ দুপুরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই চালের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কার চাল শাজাহানের বাড়ি গেছে, বস্তায় চাল ছিল নাকি ভুসি ছিল, কিছুই বলতে পারব না।’ এরপর ফোন কেটে দেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজশাহীর ১২টি সরকারি খাদ্যগুদামে শতকরা ৮০ শতাংশ নিম্নমানের পচা লাল চাল মজুত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে খাদ্য বিভাগে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে দুর্গাপুর ও পার্শ্ববর্তী বাগমারা উপজেলার পাঁচটি গুদাম থেকে ৯৫৪ বস্তা পচা চাল অপসারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক পচা চাল সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট ও অসাধু খাদ্য কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটিও গঠন করেছেন। বাগমারার ভবানীগঞ্জ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়াকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পচা চাল দুর্গাপুর খাদ্যগুদামেও পাওয়া যায়। তবে সেখানকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর তাঁর গুদাম থেকে নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়িতে চাল নেওয়া এবং জানাজানি হওয়ায় বের করে অজ্ঞাতনামা স্থানে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। আমাকে এ রকম ঘটনা কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখব।’

রাজশাহীর দুর্গাপুরে খাদ্য বিভাগের ১৪০ বস্তা চাল গায়েব হয়ে গেছে। সাত টন এই চালের বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। ঘটনা জানাজানি হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন তা ধামাচাপা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি চাল লোপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক যুবদল নেতাকে বলেছেন, ‘আপনি জিজ্ঞাসা করার কে?’ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দেখিয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে ফেসবুকে এসে লাইভ করেছেন রেজাউল করিম নামের ওই যুবদল নেতা। চাল লোপাটের ওই ঘটনা ঘটে গত ২৮ আগস্ট। সেদিন খাদ্যগুদাম থেকে চালগুলো গুদামের নৈশপ্রহরী শাজাহান আলীর বাড়িতে ঢোকানো হচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় দ্রুতই সেখান থেকে আবার চাল সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে পরে ওই চাল কোথায় গেছে, এর হদিস মেলেনি। যদিও শাজাহানের বাড়িতে চাল ঢোকানো ও বের করার ভিডিও রয়েছে।
ফেসবুক লাইভে দুর্গাপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘যে কাজ সাংবাদিকদের করার কথা, সে কাজ আজ সাধারণ মানুষকে করতে হচ্ছে। গরিব মানুষের ১৪০ বস্তা চাল খাদ্যগুদাম থেকে চুরি করে খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইয়াসিন আলী নৈশপ্রহরী শাজাহানের সহযোগিতায় তার বাসায় রাখে। এর যথাযথ প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি ইউএনও স্যারের নাম বলেন। তাঁর নির্দেশেই নাকি এই চাল শাজাহানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও ভিডিওতে দেখা গেছে, গত ২৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় একটি চালের বস্তাভর্তি ট্রলি শাজাহানের বাড়ির সামনের রাস্তায় গিয়ে থামে। এ সময় ২০ জন শ্রমিকও আসেন। তাঁরা সরু রাস্তা দিয়ে প্রায় দেড় শ গজ দূরে চালের বস্তাগুলো শাজাহানের বাড়িতে নেওয়া শুরু করেন। এ সময় শাজাহানের আপন বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম সরকারি চাল বাড়িতে ঢুকতে দেখে বিস্মিত হন। জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শাজাহানকে প্রশ্ন করেন।
তবে শাজাহান বিষয়টি এড়িয়ে যান। এরপর বিপদ আঁচ করতে পেরে নিজে বাঁচতে জাহাঙ্গীর ফোনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। পরে তিনি দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর হায়দার আলীকেও জানান। এর মধ্যে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণ ও যুবদলের পৌর শাখার আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রেজাউল করিমসহ নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা এ সময় ঘটনাটির ভিডিও করেন। সেখানে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, ট্রলিতে ৫০ কেজি ওজনের ১৪০টি চালের বস্তা ছিল।
এ ব্যাপারে নৈশপ্রহরী শাজাহানকে ফোন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, ‘চাল ঢুকতে ও বের হতে দেখেছি। চাল ঢোকানোর কিছুক্ষণ পরই বের করা হয়েছে। তবে বের হওয়ার পর চাল কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা বলতে পারব না।’
সেখানে উপস্থিত যুবদল নেতা মো. সজিব বলেন, ‘শাজাহানের বাড়িতে চাল ঢোকার শেষ পর্যায়ে আমরা যুবদলের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ জানানোর জন্য ইউএনওর কাছে যাই। তবে তিনি এ সময় অফিসে ছিলেন না। আমরা শাজাহানের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রলিতে করে চাল সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে সেখানে উপস্থিত লোকজন এর ভিডিও করে রাখেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ইউএনওকে না পেয়ে গুদামে যাই। সেখানে খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তবে তিনি সদুত্তর না দিয়ে চাল ব্যবসায়ী বীরেনকে ফোনে ডাকেন। এ সময় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বীরেন আমাদের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে তাঁর প্রস্তাব আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এরপরেই ইউএনও অফিস থেকে সুমন নামের এক কর্মচারী ফোন দেন। ইউএনও তাঁর অফিসে আমাদের ডাকছেন বলে জানান।’
ফেসবুকে ঘটনার বিষয়ে লাইভ করা যুবদল নেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘ইউএনও সাবরিনা শারমিন অফিসে ডাকলে আমরা যাই। জিজ্ঞাসা করি, সরকারি চাল নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়িতে কীভাবে গেল? এ সময় ইউএনও উত্তেজিত হয়ে বলেন, “আপনি জিজ্ঞাসা করার কে?” আমি বলি, আমি বাংলাদেশের নাগরিক। এটা জানার অধিকার আছে। ইউএনও তখন বলেন, “বেশি কথা বললে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করব।” এ সময় ইউএনও এক আনসার সদস্যকে দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এই ভেবে যে, ফোনে ভিডিও আছে।’
রেজাউল করিম বলেন, ‘শাজাহানের বাড়ির চাল শেষ পর্যন্ত গুদামে ঢুকেছে কি না, এটা আমি জানতে চাই। ১৪০ বস্তা চাল কোথায় গেছে, কী অবস্থায় আছে, তার সঠিক তদন্ত চাই। এ চালের আনুমানিক বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। আমি মনে করি, এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে ইউএনও জড়িত আছেন। আর তা না হলে তিনি কেন খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বাঁচাতে চাইছেন? ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
জানতে চাইলে ইউএনও সাবরিনা শারমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রেজাউলের সঙ্গে এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। কী কথা হয়েছে, তা সিসি ক্যামেরা দেখলেই বোঝা যাবে। আমি গুদাম থেকে কিছু নষ্ট চাল জব্দ করেছিলাম। শাজাহানের বাড়িতে কোন চাল গিয়েছিল, সেগুলো বের করে আবার কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা খাদ্য বিভাগ বলতে পারবে। এ ঘটনার সঙ্গে আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হচ্ছে। এটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং, আমি শুনেছি যে যুবদল নেতা রেজাউল এক লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এসব ছড়াচ্ছেন।’
দুর্গাপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম আজম বলেন, ‘নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়ি থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১০০ গজ। খাদ্য অধিদপ্তরের সিলমোহরযুক্ত চালের বস্তা শাজাহানের বাড়িতে ঢুকেছে এবং বের হয়েছে, এটা আমি জানি। খাদ্যগুদামের সিসি ক্যামেরা চেক করলেই বোঝা যাবে চালের বস্তা সেখান থেকেই বের হয়েছে। দুর্গাপুর গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ চাল পাচারের সঙ্গে জড়িত। আর এ কর্মকর্তাকে ইউএনও কেন রক্ষা করতে চাচ্ছেন—সেটি আমার বোধগম্য নয়। এ ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।’
সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য গতকাল রোববার দুপুরে দুর্গাপুর খাদ্যগুদামে যাওয়া হয়। এ সময় প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কৌশলে গুদাম থেকে চলে যান। এরপর তাঁর ফোন বন্ধ করে দেন। আজ দুপুরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই চালের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কার চাল শাজাহানের বাড়ি গেছে, বস্তায় চাল ছিল নাকি ভুসি ছিল, কিছুই বলতে পারব না।’ এরপর ফোন কেটে দেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজশাহীর ১২টি সরকারি খাদ্যগুদামে শতকরা ৮০ শতাংশ নিম্নমানের পচা লাল চাল মজুত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে খাদ্য বিভাগে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে দুর্গাপুর ও পার্শ্ববর্তী বাগমারা উপজেলার পাঁচটি গুদাম থেকে ৯৫৪ বস্তা পচা চাল অপসারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক পচা চাল সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট ও অসাধু খাদ্য কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটিও গঠন করেছেন। বাগমারার ভবানীগঞ্জ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়াকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পচা চাল দুর্গাপুর খাদ্যগুদামেও পাওয়া যায়। তবে সেখানকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর তাঁর গুদাম থেকে নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়িতে চাল নেওয়া এবং জানাজানি হওয়ায় বের করে অজ্ঞাতনামা স্থানে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। আমাকে এ রকম ঘটনা কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখব।’
রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহীর দুর্গাপুরে খাদ্য বিভাগের ১৪০ বস্তা চাল গায়েব হয়ে গেছে। সাত টন এই চালের বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। ঘটনা জানাজানি হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন তা ধামাচাপা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি চাল লোপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক যুবদল নেতাকে বলেছেন, ‘আপনি জিজ্ঞাসা করার কে?’ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দেখিয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে ফেসবুকে এসে লাইভ করেছেন রেজাউল করিম নামের ওই যুবদল নেতা। চাল লোপাটের ওই ঘটনা ঘটে গত ২৮ আগস্ট। সেদিন খাদ্যগুদাম থেকে চালগুলো গুদামের নৈশপ্রহরী শাজাহান আলীর বাড়িতে ঢোকানো হচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় দ্রুতই সেখান থেকে আবার চাল সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে পরে ওই চাল কোথায় গেছে, এর হদিস মেলেনি। যদিও শাজাহানের বাড়িতে চাল ঢোকানো ও বের করার ভিডিও রয়েছে।
ফেসবুক লাইভে দুর্গাপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘যে কাজ সাংবাদিকদের করার কথা, সে কাজ আজ সাধারণ মানুষকে করতে হচ্ছে। গরিব মানুষের ১৪০ বস্তা চাল খাদ্যগুদাম থেকে চুরি করে খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইয়াসিন আলী নৈশপ্রহরী শাজাহানের সহযোগিতায় তার বাসায় রাখে। এর যথাযথ প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি ইউএনও স্যারের নাম বলেন। তাঁর নির্দেশেই নাকি এই চাল শাজাহানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও ভিডিওতে দেখা গেছে, গত ২৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় একটি চালের বস্তাভর্তি ট্রলি শাজাহানের বাড়ির সামনের রাস্তায় গিয়ে থামে। এ সময় ২০ জন শ্রমিকও আসেন। তাঁরা সরু রাস্তা দিয়ে প্রায় দেড় শ গজ দূরে চালের বস্তাগুলো শাজাহানের বাড়িতে নেওয়া শুরু করেন। এ সময় শাজাহানের আপন বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম সরকারি চাল বাড়িতে ঢুকতে দেখে বিস্মিত হন। জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শাজাহানকে প্রশ্ন করেন।
তবে শাজাহান বিষয়টি এড়িয়ে যান। এরপর বিপদ আঁচ করতে পেরে নিজে বাঁচতে জাহাঙ্গীর ফোনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। পরে তিনি দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর হায়দার আলীকেও জানান। এর মধ্যে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণ ও যুবদলের পৌর শাখার আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রেজাউল করিমসহ নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা এ সময় ঘটনাটির ভিডিও করেন। সেখানে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, ট্রলিতে ৫০ কেজি ওজনের ১৪০টি চালের বস্তা ছিল।
এ ব্যাপারে নৈশপ্রহরী শাজাহানকে ফোন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, ‘চাল ঢুকতে ও বের হতে দেখেছি। চাল ঢোকানোর কিছুক্ষণ পরই বের করা হয়েছে। তবে বের হওয়ার পর চাল কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা বলতে পারব না।’
সেখানে উপস্থিত যুবদল নেতা মো. সজিব বলেন, ‘শাজাহানের বাড়িতে চাল ঢোকার শেষ পর্যায়ে আমরা যুবদলের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ জানানোর জন্য ইউএনওর কাছে যাই। তবে তিনি এ সময় অফিসে ছিলেন না। আমরা শাজাহানের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রলিতে করে চাল সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে সেখানে উপস্থিত লোকজন এর ভিডিও করে রাখেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ইউএনওকে না পেয়ে গুদামে যাই। সেখানে খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তবে তিনি সদুত্তর না দিয়ে চাল ব্যবসায়ী বীরেনকে ফোনে ডাকেন। এ সময় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বীরেন আমাদের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে তাঁর প্রস্তাব আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এরপরেই ইউএনও অফিস থেকে সুমন নামের এক কর্মচারী ফোন দেন। ইউএনও তাঁর অফিসে আমাদের ডাকছেন বলে জানান।’
ফেসবুকে ঘটনার বিষয়ে লাইভ করা যুবদল নেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘ইউএনও সাবরিনা শারমিন অফিসে ডাকলে আমরা যাই। জিজ্ঞাসা করি, সরকারি চাল নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়িতে কীভাবে গেল? এ সময় ইউএনও উত্তেজিত হয়ে বলেন, “আপনি জিজ্ঞাসা করার কে?” আমি বলি, আমি বাংলাদেশের নাগরিক। এটা জানার অধিকার আছে। ইউএনও তখন বলেন, “বেশি কথা বললে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করব।” এ সময় ইউএনও এক আনসার সদস্যকে দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এই ভেবে যে, ফোনে ভিডিও আছে।’
রেজাউল করিম বলেন, ‘শাজাহানের বাড়ির চাল শেষ পর্যন্ত গুদামে ঢুকেছে কি না, এটা আমি জানতে চাই। ১৪০ বস্তা চাল কোথায় গেছে, কী অবস্থায় আছে, তার সঠিক তদন্ত চাই। এ চালের আনুমানিক বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। আমি মনে করি, এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে ইউএনও জড়িত আছেন। আর তা না হলে তিনি কেন খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বাঁচাতে চাইছেন? ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
জানতে চাইলে ইউএনও সাবরিনা শারমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রেজাউলের সঙ্গে এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। কী কথা হয়েছে, তা সিসি ক্যামেরা দেখলেই বোঝা যাবে। আমি গুদাম থেকে কিছু নষ্ট চাল জব্দ করেছিলাম। শাজাহানের বাড়িতে কোন চাল গিয়েছিল, সেগুলো বের করে আবার কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা খাদ্য বিভাগ বলতে পারবে। এ ঘটনার সঙ্গে আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হচ্ছে। এটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং, আমি শুনেছি যে যুবদল নেতা রেজাউল এক লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এসব ছড়াচ্ছেন।’
দুর্গাপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম আজম বলেন, ‘নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়ি থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১০০ গজ। খাদ্য অধিদপ্তরের সিলমোহরযুক্ত চালের বস্তা শাজাহানের বাড়িতে ঢুকেছে এবং বের হয়েছে, এটা আমি জানি। খাদ্যগুদামের সিসি ক্যামেরা চেক করলেই বোঝা যাবে চালের বস্তা সেখান থেকেই বের হয়েছে। দুর্গাপুর গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ চাল পাচারের সঙ্গে জড়িত। আর এ কর্মকর্তাকে ইউএনও কেন রক্ষা করতে চাচ্ছেন—সেটি আমার বোধগম্য নয়। এ ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।’
সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য গতকাল রোববার দুপুরে দুর্গাপুর খাদ্যগুদামে যাওয়া হয়। এ সময় প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কৌশলে গুদাম থেকে চলে যান। এরপর তাঁর ফোন বন্ধ করে দেন। আজ দুপুরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই চালের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কার চাল শাজাহানের বাড়ি গেছে, বস্তায় চাল ছিল নাকি ভুসি ছিল, কিছুই বলতে পারব না।’ এরপর ফোন কেটে দেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজশাহীর ১২টি সরকারি খাদ্যগুদামে শতকরা ৮০ শতাংশ নিম্নমানের পচা লাল চাল মজুত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে খাদ্য বিভাগে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে দুর্গাপুর ও পার্শ্ববর্তী বাগমারা উপজেলার পাঁচটি গুদাম থেকে ৯৫৪ বস্তা পচা চাল অপসারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক পচা চাল সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট ও অসাধু খাদ্য কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটিও গঠন করেছেন। বাগমারার ভবানীগঞ্জ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়াকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পচা চাল দুর্গাপুর খাদ্যগুদামেও পাওয়া যায়। তবে সেখানকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর তাঁর গুদাম থেকে নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়িতে চাল নেওয়া এবং জানাজানি হওয়ায় বের করে অজ্ঞাতনামা স্থানে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। আমাকে এ রকম ঘটনা কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখব।’

রাজশাহীর দুর্গাপুরে খাদ্য বিভাগের ১৪০ বস্তা চাল গায়েব হয়ে গেছে। সাত টন এই চালের বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। ঘটনা জানাজানি হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন তা ধামাচাপা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি চাল লোপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক যুবদল নেতাকে বলেছেন, ‘আপনি জিজ্ঞাসা করার কে?’ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দেখিয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে ফেসবুকে এসে লাইভ করেছেন রেজাউল করিম নামের ওই যুবদল নেতা। চাল লোপাটের ওই ঘটনা ঘটে গত ২৮ আগস্ট। সেদিন খাদ্যগুদাম থেকে চালগুলো গুদামের নৈশপ্রহরী শাজাহান আলীর বাড়িতে ঢোকানো হচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় দ্রুতই সেখান থেকে আবার চাল সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে পরে ওই চাল কোথায় গেছে, এর হদিস মেলেনি। যদিও শাজাহানের বাড়িতে চাল ঢোকানো ও বের করার ভিডিও রয়েছে।
ফেসবুক লাইভে দুর্গাপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘যে কাজ সাংবাদিকদের করার কথা, সে কাজ আজ সাধারণ মানুষকে করতে হচ্ছে। গরিব মানুষের ১৪০ বস্তা চাল খাদ্যগুদাম থেকে চুরি করে খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইয়াসিন আলী নৈশপ্রহরী শাজাহানের সহযোগিতায় তার বাসায় রাখে। এর যথাযথ প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি ইউএনও স্যারের নাম বলেন। তাঁর নির্দেশেই নাকি এই চাল শাজাহানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও ভিডিওতে দেখা গেছে, গত ২৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় একটি চালের বস্তাভর্তি ট্রলি শাজাহানের বাড়ির সামনের রাস্তায় গিয়ে থামে। এ সময় ২০ জন শ্রমিকও আসেন। তাঁরা সরু রাস্তা দিয়ে প্রায় দেড় শ গজ দূরে চালের বস্তাগুলো শাজাহানের বাড়িতে নেওয়া শুরু করেন। এ সময় শাজাহানের আপন বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম সরকারি চাল বাড়িতে ঢুকতে দেখে বিস্মিত হন। জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শাজাহানকে প্রশ্ন করেন।
তবে শাজাহান বিষয়টি এড়িয়ে যান। এরপর বিপদ আঁচ করতে পেরে নিজে বাঁচতে জাহাঙ্গীর ফোনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। পরে তিনি দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর হায়দার আলীকেও জানান। এর মধ্যে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণ ও যুবদলের পৌর শাখার আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য রেজাউল করিমসহ নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা এ সময় ঘটনাটির ভিডিও করেন। সেখানে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, ট্রলিতে ৫০ কেজি ওজনের ১৪০টি চালের বস্তা ছিল।
এ ব্যাপারে নৈশপ্রহরী শাজাহানকে ফোন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, ‘চাল ঢুকতে ও বের হতে দেখেছি। চাল ঢোকানোর কিছুক্ষণ পরই বের করা হয়েছে। তবে বের হওয়ার পর চাল কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা বলতে পারব না।’
সেখানে উপস্থিত যুবদল নেতা মো. সজিব বলেন, ‘শাজাহানের বাড়িতে চাল ঢোকার শেষ পর্যায়ে আমরা যুবদলের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ জানানোর জন্য ইউএনওর কাছে যাই। তবে তিনি এ সময় অফিসে ছিলেন না। আমরা শাজাহানের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রলিতে করে চাল সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে সেখানে উপস্থিত লোকজন এর ভিডিও করে রাখেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ইউএনওকে না পেয়ে গুদামে যাই। সেখানে খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তবে তিনি সদুত্তর না দিয়ে চাল ব্যবসায়ী বীরেনকে ফোনে ডাকেন। এ সময় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বীরেন আমাদের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে তাঁর প্রস্তাব আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এরপরেই ইউএনও অফিস থেকে সুমন নামের এক কর্মচারী ফোন দেন। ইউএনও তাঁর অফিসে আমাদের ডাকছেন বলে জানান।’
ফেসবুকে ঘটনার বিষয়ে লাইভ করা যুবদল নেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘ইউএনও সাবরিনা শারমিন অফিসে ডাকলে আমরা যাই। জিজ্ঞাসা করি, সরকারি চাল নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়িতে কীভাবে গেল? এ সময় ইউএনও উত্তেজিত হয়ে বলেন, “আপনি জিজ্ঞাসা করার কে?” আমি বলি, আমি বাংলাদেশের নাগরিক। এটা জানার অধিকার আছে। ইউএনও তখন বলেন, “বেশি কথা বললে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করব।” এ সময় ইউএনও এক আনসার সদস্যকে দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এই ভেবে যে, ফোনে ভিডিও আছে।’
রেজাউল করিম বলেন, ‘শাজাহানের বাড়ির চাল শেষ পর্যন্ত গুদামে ঢুকেছে কি না, এটা আমি জানতে চাই। ১৪০ বস্তা চাল কোথায় গেছে, কী অবস্থায় আছে, তার সঠিক তদন্ত চাই। এ চালের আনুমানিক বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। আমি মনে করি, এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে ইউএনও জড়িত আছেন। আর তা না হলে তিনি কেন খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বাঁচাতে চাইছেন? ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
জানতে চাইলে ইউএনও সাবরিনা শারমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রেজাউলের সঙ্গে এ ধরনের কোনো কথা হয়নি। কী কথা হয়েছে, তা সিসি ক্যামেরা দেখলেই বোঝা যাবে। আমি গুদাম থেকে কিছু নষ্ট চাল জব্দ করেছিলাম। শাজাহানের বাড়িতে কোন চাল গিয়েছিল, সেগুলো বের করে আবার কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা খাদ্য বিভাগ বলতে পারবে। এ ঘটনার সঙ্গে আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হচ্ছে। এটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং, আমি শুনেছি যে যুবদল নেতা রেজাউল এক লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এসব ছড়াচ্ছেন।’
দুর্গাপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম আজম বলেন, ‘নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়ি থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১০০ গজ। খাদ্য অধিদপ্তরের সিলমোহরযুক্ত চালের বস্তা শাজাহানের বাড়িতে ঢুকেছে এবং বের হয়েছে, এটা আমি জানি। খাদ্যগুদামের সিসি ক্যামেরা চেক করলেই বোঝা যাবে চালের বস্তা সেখান থেকেই বের হয়েছে। দুর্গাপুর গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ চাল পাচারের সঙ্গে জড়িত। আর এ কর্মকর্তাকে ইউএনও কেন রক্ষা করতে চাচ্ছেন—সেটি আমার বোধগম্য নয়। এ ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।’
সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য গতকাল রোববার দুপুরে দুর্গাপুর খাদ্যগুদামে যাওয়া হয়। এ সময় প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কৌশলে গুদাম থেকে চলে যান। এরপর তাঁর ফোন বন্ধ করে দেন। আজ দুপুরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই চালের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কার চাল শাজাহানের বাড়ি গেছে, বস্তায় চাল ছিল নাকি ভুসি ছিল, কিছুই বলতে পারব না।’ এরপর ফোন কেটে দেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজশাহীর ১২টি সরকারি খাদ্যগুদামে শতকরা ৮০ শতাংশ নিম্নমানের পচা লাল চাল মজুত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ নিয়ে খাদ্য বিভাগে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে দুর্গাপুর ও পার্শ্ববর্তী বাগমারা উপজেলার পাঁচটি গুদাম থেকে ৯৫৪ বস্তা পচা চাল অপসারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক পচা চাল সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেট ও অসাধু খাদ্য কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটিও গঠন করেছেন। বাগমারার ভবানীগঞ্জ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়াকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পচা চাল দুর্গাপুর খাদ্যগুদামেও পাওয়া যায়। তবে সেখানকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর তাঁর গুদাম থেকে নৈশপ্রহরী শাজাহানের বাড়িতে চাল নেওয়া এবং জানাজানি হওয়ায় বের করে অজ্ঞাতনামা স্থানে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। আমাকে এ রকম ঘটনা কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখব।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলায় ছয়টি আসনে মোট ৯২৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৮টিকে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’, ২৮১টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ৪৬৪টি কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে পুলিশ।
৪ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে জাসাস নেতা ফরিদ সরকারকে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
২১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় চাঞ্চল্যকর পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার চেরাগআলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩২ মিনিট আগে
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে প্রার্থী হতে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার রেজাউল করিম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছেন। তাঁর জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, তিনি স্বাক্ষর দেননি। এমনকি নির্ধারিত ছকে টিপসইও নেই।
৪১ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলায় ছয়টি আসনে ৯২৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৮টি কেন্দ্রকে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’, ২৮১টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ৪৬৪টিকে ‘সাধারণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলো জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের ছবি পুলিশ প্রশাসনের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।
জেলায় মোট ভোটারসংখ্যা ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৮ জন। জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে (শাহজাদপুর উপজেলা)। এই আসনে ভোটার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪১২ জন ও নারী ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের তিনজন।
সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনে (কাজীপুর ও সদর উপজেলার একাংশ)। এখানে ভোটারসংখ্যা ৩ লাখ ৮৫ হাজার ২৪ জন। এখানে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৭৬ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৪৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন চারজন।
সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৪৮ ও নারী ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬২৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের চারজন।
রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ও নারী ২ লাখ ২১ হাজার ৬৮৩ এবং তৃতীয় লিঙ্গের সাতজন।
উল্লাপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০ ও নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ১২৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৬ জন।
বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৪ ও নারী ২ লাখ ৭ হাজার ৬৫৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গের দুজন।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু আজ বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রগুলো আমরা পরিদর্শন করছি। সব কেন্দ্র পরিদর্শন শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।’
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কী ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে—এ প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, এ বিষয়েও পরে জানানো হবে।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ‘জেলার ছয়টি আসনে মোট ভোটার ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৮ জন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা আমরা করি না। এটা করে পুলিশের ডিএসবি শাখা। তবে আমাদের কাছে সব কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলায় ছয়টি আসনে ৯২৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৮টি কেন্দ্রকে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’, ২৮১টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ৪৬৪টিকে ‘সাধারণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলো জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের ছবি পুলিশ প্রশাসনের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।
জেলায় মোট ভোটারসংখ্যা ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৮ জন। জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে (শাহজাদপুর উপজেলা)। এই আসনে ভোটার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪১২ জন ও নারী ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের তিনজন।
সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনে (কাজীপুর ও সদর উপজেলার একাংশ)। এখানে ভোটারসংখ্যা ৩ লাখ ৮৫ হাজার ২৪ জন। এখানে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৭৬ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৪৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন চারজন।
সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৪৮ ও নারী ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬২৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের চারজন।
রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ও নারী ২ লাখ ২১ হাজার ৬৮৩ এবং তৃতীয় লিঙ্গের সাতজন।
উল্লাপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০ ও নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ১২৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৬ জন।
বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে ভোটারসংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৪ ও নারী ২ লাখ ৭ হাজার ৬৫৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গের দুজন।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু আজ বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রগুলো আমরা পরিদর্শন করছি। সব কেন্দ্র পরিদর্শন শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।’
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কী ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে—এ প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, এ বিষয়েও পরে জানানো হবে।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ‘জেলার ছয়টি আসনে মোট ভোটার ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৮ জন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা আমরা করি না। এটা করে পুলিশের ডিএসবি শাখা। তবে আমাদের কাছে সব কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ।’

রাজশাহীর দুর্গাপুরে খাদ্য বিভাগের ১৪০ বস্তা চাল গায়েব হয়ে গেছে। সাত টন এই চালের বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। ঘটনা জানাজানি হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন তা ধামাচাপা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি চাল লোপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক যুবদল নেতাকে বলেছেন, ‘আপনি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাজীপুরের শ্রীপুরে জাসাস নেতা ফরিদ সরকারকে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
২১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় চাঞ্চল্যকর পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার চেরাগআলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩২ মিনিট আগে
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে প্রার্থী হতে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার রেজাউল করিম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছেন। তাঁর জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, তিনি স্বাক্ষর দেননি। এমনকি নির্ধারিত ছকে টিপসইও নেই।
৪১ মিনিট আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে জাসাস নেতা ফরিদ সরকারকে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত মো. ফরিদ সরকার (৩৫) উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মো. জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে। তিনি গোসিঙ্গা ইউনিয়ন জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
গ্রেপ্তার আবু তাহের ওরফে তারা ডাকাত (৪০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্য নারায়ণপুর গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান বলেন, ২৩ ডিসেম্বর রাতে খুনিরা ফরিদ সরকারকে মোবাইল ফোনে লতিফপুর গ্রামের কেবিএম ইটভাটায় ডেকে নেন। ডেকে নিয়ে গভীর রাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে ফেলে যান।
এ ঘটনায় নিহত ফরিদের বড় ভাই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আজ বুধবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গাজীপুরের শ্রীপুরে জাসাস নেতা ফরিদ সরকারকে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত মো. ফরিদ সরকার (৩৫) উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মো. জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে। তিনি গোসিঙ্গা ইউনিয়ন জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
গ্রেপ্তার আবু তাহের ওরফে তারা ডাকাত (৪০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সূর্য নারায়ণপুর গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান বলেন, ২৩ ডিসেম্বর রাতে খুনিরা ফরিদ সরকারকে মোবাইল ফোনে লতিফপুর গ্রামের কেবিএম ইটভাটায় ডেকে নেন। ডেকে নিয়ে গভীর রাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে ফেলে যান।
এ ঘটনায় নিহত ফরিদের বড় ভাই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আজ বুধবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

রাজশাহীর দুর্গাপুরে খাদ্য বিভাগের ১৪০ বস্তা চাল গায়েব হয়ে গেছে। সাত টন এই চালের বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। ঘটনা জানাজানি হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন তা ধামাচাপা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি চাল লোপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক যুবদল নেতাকে বলেছেন, ‘আপনি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলায় ছয়টি আসনে মোট ৯২৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৮টিকে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’, ২৮১টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ৪৬৪টি কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে পুলিশ।
৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় চাঞ্চল্যকর পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার চেরাগআলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩২ মিনিট আগে
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে প্রার্থী হতে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার রেজাউল করিম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছেন। তাঁর জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, তিনি স্বাক্ষর দেননি। এমনকি নির্ধারিত ছকে টিপসইও নেই।
৪১ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় চাঞ্চল্যকর পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার চেরাগআলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবক হলেন নিবির ইসলাম অনিক (২০)। তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা (মধ্য ভাটিবাড়ি) গ্রামের মো. কালিমুল্লাহর ছেলে।
তিনি ভালুকার একটি ফ্যাক্টরিতে নিটিং অপারেটর হিসেবে কাজ করেন।
১৮ ডিসেম্বর দীপুকে হত্যার পর রশি দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ভয়াবহ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ দেখতে পায়, সাদা শার্ট পরিহিত এক যুবক দীপুর নিথর দেহ রশি দিয়ে টেনে গাছের ওপর তুলছেন। প্রযুক্তির সহায়তায় সেই যুবককে অনিক হিসেবে শনাক্ত করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অনিক পলাতক ছিলেন। তাঁকে ধরতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। সর্বশেষ ঢাকার বনানী ও গাজীপুরের চেরাগআলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারী দল।
ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অনিক যে ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন, ঘটনার পর থেকে তিনি সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় চাঞ্চল্যকর পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার চেরাগআলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবক হলেন নিবির ইসলাম অনিক (২০)। তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা (মধ্য ভাটিবাড়ি) গ্রামের মো. কালিমুল্লাহর ছেলে।
তিনি ভালুকার একটি ফ্যাক্টরিতে নিটিং অপারেটর হিসেবে কাজ করেন।
১৮ ডিসেম্বর দীপুকে হত্যার পর রশি দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ভয়াবহ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ দেখতে পায়, সাদা শার্ট পরিহিত এক যুবক দীপুর নিথর দেহ রশি দিয়ে টেনে গাছের ওপর তুলছেন। প্রযুক্তির সহায়তায় সেই যুবককে অনিক হিসেবে শনাক্ত করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অনিক পলাতক ছিলেন। তাঁকে ধরতে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। সর্বশেষ ঢাকার বনানী ও গাজীপুরের চেরাগআলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারী দল।
ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অনিক যে ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন, ঘটনার পর থেকে তিনি সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

রাজশাহীর দুর্গাপুরে খাদ্য বিভাগের ১৪০ বস্তা চাল গায়েব হয়ে গেছে। সাত টন এই চালের বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। ঘটনা জানাজানি হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন তা ধামাচাপা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি চাল লোপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক যুবদল নেতাকে বলেছেন, ‘আপনি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলায় ছয়টি আসনে মোট ৯২৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৮টিকে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’, ২৮১টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ৪৬৪টি কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে পুলিশ।
৪ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে জাসাস নেতা ফরিদ সরকারকে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
২১ মিনিট আগে
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে প্রার্থী হতে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার রেজাউল করিম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছেন। তাঁর জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, তিনি স্বাক্ষর দেননি। এমনকি নির্ধারিত ছকে টিপসইও নেই।
৪১ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে প্রার্থী হতে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার রেজাউল করিম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছেন। তাঁর জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, তিনি স্বাক্ষর দেননি, এমনকি নির্ধারিত ছকে টিপসইও নেই।
তবে তিনি একা নন, রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৩৮ প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন হলফনামায় স্বাক্ষর কিংবা টিপসই দেননি।
রেজাউল করিম লন্ডন জিয়া পরিষদের নেতা। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুরে। তিনি ওই আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
হলফনামার তথ্যমতে, তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক ছিলেন। নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আবেদন করেন ২২ ডিসেম্বর। তারিখটিকে তিনি নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর হাতে আছে নগদ ৮০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯৫ টাকা।
হলফনামায় স্বাক্ষর না দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে রেজাউল করিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
অপর দিকে আরও যে চার প্রার্থী হলফনামায় স্বাক্ষর কিংবা টিপসই দেননি, তাঁরা হলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আমজনতার দল মনোনীত প্রার্থী সাঈদ পারভেজ, একই আসনের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ফজলুর রহমান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী তাজুল ইসলাম খান ও রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) মনোনীত প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোল্লা।
হলফনামায় স্বাক্ষর না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাঈদ পারভেজ বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বিষয়টা এ রকম হয়ে গেছে। এখন কী হবে, বুঝতে পারছি না। মনোনয়নপত্র বাতিল হলে আপিল করব।’
এ বিষয়ে রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা আফিয়া আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলফনামায় যদি স্বাক্ষর কিংবা টিপসই দেওয়ার স্থান থাকে, তাহলে সেটি না দিলে তো অনিয়ম। তবে আমি এখনো সবগুলো হলফনামা দেখিনি। তাই এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করছি না।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে প্রার্থী হতে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার রেজাউল করিম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছেন। তাঁর জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, তিনি স্বাক্ষর দেননি, এমনকি নির্ধারিত ছকে টিপসইও নেই।
তবে তিনি একা নন, রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৩৮ প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন হলফনামায় স্বাক্ষর কিংবা টিপসই দেননি।
রেজাউল করিম লন্ডন জিয়া পরিষদের নেতা। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুরে। তিনি ওই আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
হলফনামার তথ্যমতে, তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক ছিলেন। নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আবেদন করেন ২২ ডিসেম্বর। তারিখটিকে তিনি নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর হাতে আছে নগদ ৮০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯৫ টাকা।
হলফনামায় স্বাক্ষর না দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে রেজাউল করিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
অপর দিকে আরও যে চার প্রার্থী হলফনামায় স্বাক্ষর কিংবা টিপসই দেননি, তাঁরা হলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আমজনতার দল মনোনীত প্রার্থী সাঈদ পারভেজ, একই আসনের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ফজলুর রহমান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী তাজুল ইসলাম খান ও রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) মনোনীত প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোল্লা।
হলফনামায় স্বাক্ষর না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাঈদ পারভেজ বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বিষয়টা এ রকম হয়ে গেছে। এখন কী হবে, বুঝতে পারছি না। মনোনয়নপত্র বাতিল হলে আপিল করব।’
এ বিষয়ে রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা আফিয়া আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলফনামায় যদি স্বাক্ষর কিংবা টিপসই দেওয়ার স্থান থাকে, তাহলে সেটি না দিলে তো অনিয়ম। তবে আমি এখনো সবগুলো হলফনামা দেখিনি। তাই এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করছি না।’

রাজশাহীর দুর্গাপুরে খাদ্য বিভাগের ১৪০ বস্তা চাল গায়েব হয়ে গেছে। সাত টন এই চালের বাজারমূল্য আড়াই লাখ টাকা। ঘটনা জানাজানি হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন তা ধামাচাপা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি চাল লোপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক যুবদল নেতাকে বলেছেন, ‘আপনি
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলায় ছয়টি আসনে মোট ৯২৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৮টিকে ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’, ২৮১টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ৪৬৪টি কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে পুলিশ।
৪ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে জাসাস নেতা ফরিদ সরকারকে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্রীপুর থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
২১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় চাঞ্চল্যকর পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার চেরাগআলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩২ মিনিট আগে