Ajker Patrika

বারিন্দ মেডিকেলে সমন্বয়কেরা অবরুদ্ধ: শিক্ষক-সাংবাদিকসহ ৯ জনকে আইনি নোটিশ

রাবি প্রতিনিধি  
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে গণমাধ্যমের সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মো. মেশকাত চৌধুরী। আজ ও গত বৃহস্পতিবার আইনজীবী মো. নাজবুল ইসলামের মাধ্যমে এসব নোটিশ পাঠান তিনি। রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মো. মেশকাত চৌধুরীসহ চারজন রাজশাহী বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে অবরুদ্ধ হন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে।

তৎক্ষণাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তাঁরা প্রতিষ্ঠানটিতে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিলেন। পরে মেশকাত ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। উভয় পক্ষই জানায়, সেখানে চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় ভিত্তিহীন ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায় গোলাম কিবরিয়া এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশ প্রেরণ করা ব্যক্তিরা হলেন ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক ও নির্বাহী লোটন একরাম এবং রাজশাহী ব্যুরোপ্রধান সৌরভ হাবিব, মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক এবং রাজশাহীর স্টাফ রিপোর্টার গোলাম রাব্বানী, মোহনা টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরোপ্রধান মেহেদী হাসান শ্যামল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদ, রাজশাহী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম, প্রিয়জন টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক ডা. নাজিব ওয়াদুদ এবং প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল প্রতিবেদক।

এ বিষয়ে গোলাম কিবরিয়া মো. মেশকাত চৌধুরী বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ও বারিন্দ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেও কয়েকটি প্রথম সারির গণমাধ্যমের সাংবাদিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া কয়েকজন ব্যক্তিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিয়েছেন, যা তাঁর সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। বিষয়টি তাঁর জন্য মানহানিকর ও অত্যন্ত দুঃখজনক। ফলে আইনিপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

গোলাম কিবরিয়া মো. মেশকাত চৌধুরী আরও বলেন, নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত