পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি

১৯৭১ সালে এ দেশের নানা প্রান্তে পাকিস্তানি সেনাদের চালানো হত্যাযজ্ঞের মধ্যে একটি হলো রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা। পুঠিয়া উপজেলার মাইপাড়া গ্রামজুড়ে বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চালায় তাণ্ডব। সেই তারিখটি ছিল ১২ এপ্রিল।
আজ পুঠিয়ার মাইপাড়া গণহত্যা দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর থেকে এই এলাকায় দিবসটি ছোট পরিসরে পালিত হয়ে আসছে।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণদের তথ্য অনুযায়ী, এ দিনে প্রায় ২৮০-৩০০ জন সাধারণ মানুষ গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন। তবে বিড়ালদহ এলাকায় নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ১১৮ জনের নামের তালিকা রয়েছে। শহীদদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন বহিরাগত ও অপরিচিত। আর পাকিস্তানি সেনারা অনেক শহীদের লাশ একত্রে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। যার কারণে সকলের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এদিকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পূর্ণ হলেও উপজেলার বিহারিপাড়ার সেই গণকবরটি আজও জরাজীর্ণ ও অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।
১২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া হত্যাযজ্ঞের বিষয় উল্লেখ করে বানেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজি সুলতান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই দিন ছোট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত কেউ পাকবাহিনীর হাত থেকে রেহাই পায়নি। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মানুষের বাড়িঘর, গরু-ছাগল। এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ছিল শত শত মানুষের লাশ। কয়েক দিন পর্যন্ত ওই শহীদদের লাশগুলো শেয়াল-কুকুরে খেয়েছে। আবার কোথাও কোথাও লাশের স্তূপে পাকবাহিনীরা ডিজেল-পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজি সুলতান আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর হয়ে গেল কিন্তু বিহারিপাড়া এলাকায় গণকবরটির আজও সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। তবে এটা সম্মানের যে বিড়ালদহ গণহত্যায় শহীদদের নামে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি কাজি মুক্তাদির শরিফ (৬৮) বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমার বয়স ১৪ বছর। সে সময় আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করি। ১২ এপ্রিল ঠিক দুপুর ১২টার দিকে সাজোঁয়াযানসহ পাকসেনারা মাইপাড়ায় অবস্থান নেয়। স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় বেলা ২টার দিকে মাইপাড়া লোহার ব্রিজের কাছ থেকে হত্যাযজ্ঞ চালানো শুরু করে। বৃষ্টির মতো গুলি আর মর্টার শেলের আঘাতে স্তব্ধ হয়ে যায় আশপাশের কয়েকটি গ্রাম। মুহূর্তের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। চারদিকে মানুষ, গরু-ছাগল পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন।’
মুক্তাদির শরীফ আরও বলেন, সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে গুলির আওয়াজ থেমে যায়। এরপর ওই রাতে পাকসেনারা রাজশাহী শহরের দিকে চলে যায়। পরে ওই রাতে কেউ কেউ বাড়ি-ঘর দেখতে আসেন। সে সময় চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে লাশ আর লাশ। পাকবাহিনীরা কোথাও কোথাও লাশের স্তূপ করে অগ্নিসংযোগ করেছিল।
১৯৭১ সালের ওই দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ছায়দুল ইসলাম (৭২) নামে মাইপাড়া গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ এপ্রিল আমাদের মাইপাড়া গ্রামের জন্য একটি মর্মান্তিক দিন ছিল। ওই গ্রামে দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় পাকবাহিনী চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। সেদিন গুলি ও শেলের আঘাতের কাছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ্য হন। আর পাকবাহিনী এলাকাজুড়ে গণহত্যা আর অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। সেদিন তাদের হাত থেকে পশু-পাখিও রেহাই পায়নি। বাতাসে চারদিকে শুধু পোড়া লাশের দুর্গন্ধ ভেসে আসে। ঘটনার দুদিন পর বেঁচে থাকা লোকজন এলাকায় আসতে শুরু করেন। তাঁরা নিজেদের পরিচিত শহীদদের শনাক্ত করে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করেছেন। আবার অনেকের চেহারা বীভৎস হওয়ায় তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। সে কারণে তাদের একত্রিত করে বিভিন্ন জঙ্গলের ফাঁকা স্থানে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল।’
ছায়দুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ১১৮ জনের নাম তালিকা থাকলেও ওই দিন কমপক্ষে ২৮০ থেকে ৩০০ জন শহীদ হয়েছিলেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহতের গণকবরগুলো সরকার সংরক্ষণ ও সংস্কারে কাজ করছেন। এটা সারা দেশেই পর্যায়ক্রমে হচ্ছে। বিহারিপাড়ার গণকবরের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

১৯৭১ সালে এ দেশের নানা প্রান্তে পাকিস্তানি সেনাদের চালানো হত্যাযজ্ঞের মধ্যে একটি হলো রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা। পুঠিয়া উপজেলার মাইপাড়া গ্রামজুড়ে বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চালায় তাণ্ডব। সেই তারিখটি ছিল ১২ এপ্রিল।
আজ পুঠিয়ার মাইপাড়া গণহত্যা দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর থেকে এই এলাকায় দিবসটি ছোট পরিসরে পালিত হয়ে আসছে।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণদের তথ্য অনুযায়ী, এ দিনে প্রায় ২৮০-৩০০ জন সাধারণ মানুষ গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন। তবে বিড়ালদহ এলাকায় নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ১১৮ জনের নামের তালিকা রয়েছে। শহীদদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন বহিরাগত ও অপরিচিত। আর পাকিস্তানি সেনারা অনেক শহীদের লাশ একত্রে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। যার কারণে সকলের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এদিকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পূর্ণ হলেও উপজেলার বিহারিপাড়ার সেই গণকবরটি আজও জরাজীর্ণ ও অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।
১২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া হত্যাযজ্ঞের বিষয় উল্লেখ করে বানেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজি সুলতান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই দিন ছোট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত কেউ পাকবাহিনীর হাত থেকে রেহাই পায়নি। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মানুষের বাড়িঘর, গরু-ছাগল। এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ছিল শত শত মানুষের লাশ। কয়েক দিন পর্যন্ত ওই শহীদদের লাশগুলো শেয়াল-কুকুরে খেয়েছে। আবার কোথাও কোথাও লাশের স্তূপে পাকবাহিনীরা ডিজেল-পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজি সুলতান আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর হয়ে গেল কিন্তু বিহারিপাড়া এলাকায় গণকবরটির আজও সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। তবে এটা সম্মানের যে বিড়ালদহ গণহত্যায় শহীদদের নামে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি কাজি মুক্তাদির শরিফ (৬৮) বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমার বয়স ১৪ বছর। সে সময় আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করি। ১২ এপ্রিল ঠিক দুপুর ১২টার দিকে সাজোঁয়াযানসহ পাকসেনারা মাইপাড়ায় অবস্থান নেয়। স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় বেলা ২টার দিকে মাইপাড়া লোহার ব্রিজের কাছ থেকে হত্যাযজ্ঞ চালানো শুরু করে। বৃষ্টির মতো গুলি আর মর্টার শেলের আঘাতে স্তব্ধ হয়ে যায় আশপাশের কয়েকটি গ্রাম। মুহূর্তের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। চারদিকে মানুষ, গরু-ছাগল পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন।’
মুক্তাদির শরীফ আরও বলেন, সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে গুলির আওয়াজ থেমে যায়। এরপর ওই রাতে পাকসেনারা রাজশাহী শহরের দিকে চলে যায়। পরে ওই রাতে কেউ কেউ বাড়ি-ঘর দেখতে আসেন। সে সময় চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে লাশ আর লাশ। পাকবাহিনীরা কোথাও কোথাও লাশের স্তূপ করে অগ্নিসংযোগ করেছিল।
১৯৭১ সালের ওই দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ছায়দুল ইসলাম (৭২) নামে মাইপাড়া গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ এপ্রিল আমাদের মাইপাড়া গ্রামের জন্য একটি মর্মান্তিক দিন ছিল। ওই গ্রামে দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় পাকবাহিনী চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। সেদিন গুলি ও শেলের আঘাতের কাছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ্য হন। আর পাকবাহিনী এলাকাজুড়ে গণহত্যা আর অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। সেদিন তাদের হাত থেকে পশু-পাখিও রেহাই পায়নি। বাতাসে চারদিকে শুধু পোড়া লাশের দুর্গন্ধ ভেসে আসে। ঘটনার দুদিন পর বেঁচে থাকা লোকজন এলাকায় আসতে শুরু করেন। তাঁরা নিজেদের পরিচিত শহীদদের শনাক্ত করে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করেছেন। আবার অনেকের চেহারা বীভৎস হওয়ায় তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। সে কারণে তাদের একত্রিত করে বিভিন্ন জঙ্গলের ফাঁকা স্থানে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল।’
ছায়দুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ১১৮ জনের নাম তালিকা থাকলেও ওই দিন কমপক্ষে ২৮০ থেকে ৩০০ জন শহীদ হয়েছিলেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহতের গণকবরগুলো সরকার সংরক্ষণ ও সংস্কারে কাজ করছেন। এটা সারা দেশেই পর্যায়ক্রমে হচ্ছে। বিহারিপাড়ার গণকবরের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩৯ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

১৯৭১ সালে এ দেশের নানা প্রান্তে পাকিস্তানি সেনাদের চালানো হত্যাযজ্ঞের মধ্যে একটি হলো রাজশাহীর জেলার পুঠিয়া উপজেলা। পুঠিয়া উপজেলার মাইপাড়া গ্রাম জুড়ে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চালায় তাণ্ডব। সেই তারিখটি ছিল ১২ এপ্রিল...
১২ এপ্রিল ২০২৩
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

১৯৭১ সালে এ দেশের নানা প্রান্তে পাকিস্তানি সেনাদের চালানো হত্যাযজ্ঞের মধ্যে একটি হলো রাজশাহীর জেলার পুঠিয়া উপজেলা। পুঠিয়া উপজেলার মাইপাড়া গ্রাম জুড়ে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চালায় তাণ্ডব। সেই তারিখটি ছিল ১২ এপ্রিল...
১২ এপ্রিল ২০২৩
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩৯ মিনিট আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

১৯৭১ সালে এ দেশের নানা প্রান্তে পাকিস্তানি সেনাদের চালানো হত্যাযজ্ঞের মধ্যে একটি হলো রাজশাহীর জেলার পুঠিয়া উপজেলা। পুঠিয়া উপজেলার মাইপাড়া গ্রাম জুড়ে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চালায় তাণ্ডব। সেই তারিখটি ছিল ১২ এপ্রিল...
১২ এপ্রিল ২০২৩
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩৯ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন দাখিল করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান সাঈদ আল নোমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে সাঈদ আল নোমান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তবে শুধু সাঈদ আল নোমানই নন, মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রায় সব প্রার্থীই কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন প্রাপ্তির, অন্যদিকে বিব্রতকরও। এটা বাবার সময় থেকে দেখে আসছি।’ এমন পরিস্থিতির জন্য বিব্রতবোধ করার কথাও জানান তিনি।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থী বা তাঁর প্রস্তাবক, সমর্থকসহ পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না; এ সময় কোনো ধরনের মিছিল, শোডউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মো. জিয়াউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর একান্ত সচিব মো. রিদুয়ানুল ইসলাম জানান, ‘স্যার (বিভাগীয় কমিশনার) মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এই বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।’

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন দাখিল করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান সাঈদ আল নোমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে সাঈদ আল নোমান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তবে শুধু সাঈদ আল নোমানই নন, মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রায় সব প্রার্থীই কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন প্রাপ্তির, অন্যদিকে বিব্রতকরও। এটা বাবার সময় থেকে দেখে আসছি।’ এমন পরিস্থিতির জন্য বিব্রতবোধ করার কথাও জানান তিনি।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থী বা তাঁর প্রস্তাবক, সমর্থকসহ পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না; এ সময় কোনো ধরনের মিছিল, শোডউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মো. জিয়াউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর একান্ত সচিব মো. রিদুয়ানুল ইসলাম জানান, ‘স্যার (বিভাগীয় কমিশনার) মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এই বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।’

১৯৭১ সালে এ দেশের নানা প্রান্তে পাকিস্তানি সেনাদের চালানো হত্যাযজ্ঞের মধ্যে একটি হলো রাজশাহীর জেলার পুঠিয়া উপজেলা। পুঠিয়া উপজেলার মাইপাড়া গ্রাম জুড়ে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চালায় তাণ্ডব। সেই তারিখটি ছিল ১২ এপ্রিল...
১২ এপ্রিল ২০২৩
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩৯ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে