Ajker Patrika

সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হয়েও আ. লীগের পদে, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯: ৪৫
সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হয়েও আ. লীগের পদে, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ

সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হয়েও রয়েছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে। অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগে ঘাপলা, অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা, ক্ষমতার অপপ্রয়োগসহ রয়েছে নানা অভিযোগ। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

মইনুল ইসলাম গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ হয়। এর আগে ২০১৭ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সহসভাপতির পদ পান মইনুল ইসলাম। পরে তাঁর কলেজ সরকারিকরণ হলেও তিনি দলীয় পদ ছাড়েননি। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে তিনি এখনো আওয়ামী লীগের দলীয় পদে বহাল আছেন। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করায় তাঁকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে মইনুল ইসলামও লাপাত্তা। গত ১৩ আগস্ট কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা তাঁর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, মইনুলকে অধ্যক্ষ নিয়োগেই ঘাপলা ছিল। কলেজের সহকারী অধ্যাপকদের বাদ দিয়ে প্রভাষক ও দলীয় নেতা মইনুল ইসলামকে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করেছিলেন তৎকালীন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। পরে তাঁকেই অধ্যক্ষ করা হয়। এরপর থেকে ক্ষমতার দাপট দেখাতেন অধ্যক্ষ মইনুল।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কলেজটি সরকারিকরণ হয়। আর শিক্ষক-কর্মচারীদের এই কলেজেই আত্তীকরণের প্রজ্ঞাপন হয় চলতি বছরের ৬ মার্চ। এই প্রজ্ঞাপনে তিনি যোগ্যতা অনুযায়ী পঞ্চম গ্রেড প্রাপ্য হলেও প্রভাব খাটিয়ে নিজের বেতন করে নেন চতুর্থ গ্রেডে। তিনি প্রতি মাসে ১২ হাজার ৫০৬ টাকা করে বাড়তি বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বকেয়া হিসেবেই তিনি বাড়তি নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া চলতি বছরে আরও বাড়তি নিয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

কলেজের শিক্ষকেরা জানান, প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি সরকারিকরণের কথা বলে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ করেন। সে সময় তিনি সব শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা তুলে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।

সরকারি চাকরিজীবীদের কোনো দলীয় পদে থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু এই বিধি অমান্য করে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে এখনো আছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চর আষাড়িয়াদহ ও বাসুদেবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের পক্ষে দায়িত্ব পালন করেন।

অভিযোগে বলা হয়, অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন মইনুল ইসলাম। সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারেননি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি লাপাত্তা।

তবে প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক বলেন, সরকার পতনের পর শুধু গত ১৮ আগস্ট ১৫ মিনিটের জন্য অফিসে এসেছিলেন অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম। এরপর হাজিরা খাতায় কয়েক দিন ছুটি দেখিয়েছেন। এ ছাড়া অনুপস্থিত থাকা অন্য দিনগুলোতেও স্বাক্ষর দেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ২০ আগস্ট শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা তাঁর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা ইউএনওর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান।

এরপর ইউএনও আবুল হায়াত হাজিরা খাতা যাচাই করেন। অনুপস্থিত থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করায় তিনি সেই দিনগুলো অধ্যক্ষকে অনুপস্থিত লিখে দিয়েছেন। এ ছাড়া অধ্যক্ষ লাপাত্তা থাকায় তিনি শিক্ষকদের সভা করে জ্যেষ্ঠ কোনো শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী শিক্ষকেরা সভা করে সহকারী অধ্যাপক আসমা রেহেনাকে অধ্যক্ষের চলতি দায়িত্ব দেন।

সরকারি চাকরি করেও দলীয় পদে থাকাসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ীর ইউএনও আবুল হায়াত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অধ্যক্ষ মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর অর্থ আত্মসাৎসহ নিয়োগে অনিয়মের ব্যাপারে বলা যাবে। জাতীয়করণের নামে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়েছেন কিনা সেটিও তদন্ত হবে। যদি জাতীয়করণের পরও তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের পদে থাকেন, তাহলে সেটি বিধিসম্মত নয়। এর প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের মনিরামপুরের বাড়িতে মাতম

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে বিলাপ করছেন স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে বিলাপ করছেন স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।

নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।

নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।

নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান ব্রেন স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে আগুনে কিশোরের মৃত্যু, পুড়েছে ৫ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

চাঁদপুর প্রতিনিধি
দোকানের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দোকানের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাহার বাজারে জয়নালের মুদিদোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইমাম হোসেনের ফার্মেসি, নজরুল ইসলামের মাছের খাদ্যের দোকান, জহিরের ওয়ার্কশপ, রুবেলের সাইকেল গ্যারেজ এবং শাহ আলমের হার্ডওয়্যারের দোকান।

ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুল হাসান বলেন, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে আবারও শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা থেকে চলে আসার পর বেলা ১২টায় হাদি হত্যার বিচার চেয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।

ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মুন্সি বোরহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ১২টার সময়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসেছি হাদির হত্যার বিচার চাইতে। তারেক রহমান হাদির কবর জিয়ারত করতে আসায় আমরা সাময়িক সময়ের জন্য শাহবাগের পশ্চিম দিকে একটি পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম।’

আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর সেখানে শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান ও জিয়ারত করেন।

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাদি হত্যার বিচার দাবি শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। রাতভর অবস্থানের পর সকাল ১১টার আগে শাহবাগ মোড় ছেড়ে একদিকে সরে যান অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতের চেয়েও কাজ না পাওয়ার কষ্ট বেশি

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
কাজের অপেক্ষায় বসে আছেন কয়েকজন শ্রমজীবী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাজের অপেক্ষায় বসে আছেন কয়েকজন শ্রমজীবী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁয় গত কয়েক দিনে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েও অনেককে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে খালি হাতে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরে কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে এসে মুক্তির মোড়, ব্রিজের মোড় ও শিবপুর ব্রিজ (বাইপাস) এলাকায় জড়ো হয়েছেন দিনমজুরেরা। জীবিকার তাগিদে আসা এসব শ্রমজীবীর সঙ্গে থাকে মাটি কাটার ঝুড়ি ও কোদাল। কিন্তু একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে কাজ না পাওয়ার হতাশা—দুইয়ের বোঝা নিয়েই অনেককে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।

মুক্তির মোড়ে বসে থাকা ৭০ বছর বয়সী আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়েক দিন শীত কম ছিল। এখন হঠাৎ খুব শীত পড়েছে, সঙ্গে বাতাস। এই শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্ট। তারপরও পেটের দায়ে কাজে আসতে হয়। সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে। আয় কমে যাওয়ায় খুব বিপদে আছি।’

আরেক শ্রমজীবী তছলিম বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে সাইকেল চালিয়ে কাজে এলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গরিব মানুষ, কাজ না করলে চলবে না। শীতে যত কষ্টই হোক, বের হতে হয়। কিন্তু গত দুই দিন কোনো কাজই পাইনি।’

ব্রিজের মোড়ে কাজের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ বছর বয়সী হাজের আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুর ওপর নির্ভর করে। শীত পড়ার পর থেকেই কাজ কমে গেছে। পারিশ্রমিক কম হলেও যা পাই তা-ই করি। কেউ কাজ পায়, কেউ পায় না। কাজ না পেলে কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে বসে থাকতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত