হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

হাতে বিষ, কাফনের কাপড় পরে নির্বাচন কমিশনের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের মতো পরিবেশ হয়নি, ছিল না। এটা স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। নোয়াখালীর হাতিয়ায় দুই ইউপির প্রার্থীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের আয়েশা আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ বক্তব্য রাখেন তাঁরা।
সম্প্রতি কয়েকজন প্রার্থী হাতে বিষ ও কাফনের কাপড় পরে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় বিষয়টি উঠে এলে জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন স্থানীয়ভাবে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বায়েজীদ বিন আখন্দের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেছবাহ উদ্দিন, হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আমিন উল্যা, হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া হরনী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুশফিকুর রহমান ও চানন্দী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীমসহ কয়েকজন সদস্য পদপ্রার্থী।
সভায় দুই ইউনিয়নের ছয়জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, তিনজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী এবং ১০ জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে সম্প্রতি কয়েকজন প্রার্থীর ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন দাবিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, হাতিয়ার এ দুটি ইউনিয়নে দীর্ঘ ৩০ বছর পরে নির্বাচন হচ্ছে। জনগণ উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। সেখানে একটি পক্ষ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, মিছিল-মিটিং করে পরদিন সকালে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি এলাকায় আসতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গত ২৭ মে হরনী ইউনিয়নের হাতিয়া বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমানের ১০ কর্মী আহত হন। এ সময় পুলিশের বিশেষ শাখার এক উপপরিদর্শক আহত হন। এর পরপরই পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে আটক করে। পরে পুলিশবাদী মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ঘটনা ছাড়া উল্লেখ করার মতো এ দুই ইউনিয়নে নির্বাচনকালীন তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘যে বা যাঁরাই নির্বাচন কমিশনের সামনে গিয়ে বিষের বোতল হাতে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন, তা ঠিক করেননি। আগে আপনারা জেলা প্রশাসক কিংবা আমাকে দাবি সম্পর্কে জানাতে পারতেন। আমরাই ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। নোয়াখালীতে কয়েকটি নির্বাচন ইতিমধ্যে আমরা শেষ করেছি। কোথাও প্রাণহানি কিংবা বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। আপনাদের এই কর্মকাণ্ডে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।’ সেই সঙ্গে আপনাদের যেকোনো অভিযোগ লিখিতভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে পারেন। পরে প্রার্থীরা কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়াবেন না, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখবেন—এ বিষয়ে হাত তুলে শপথ করান পুলিশ সুপার।
এ সময় ঢাকায় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘আমাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আমরা যেন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা সুন্দরভাবে করতে পারি, সেই ব্যবস্থা করা এবং নির্বাচনের দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন হাতিয়ার হরনী ও চানন্দী ইউনিয়নের নির্বাচন। সম্পূর্ণ ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে এ দুই ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ।

হাতে বিষ, কাফনের কাপড় পরে নির্বাচন কমিশনের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের মতো পরিবেশ হয়নি, ছিল না। এটা স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। নোয়াখালীর হাতিয়ায় দুই ইউপির প্রার্থীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের আয়েশা আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ বক্তব্য রাখেন তাঁরা।
সম্প্রতি কয়েকজন প্রার্থী হাতে বিষ ও কাফনের কাপড় পরে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় বিষয়টি উঠে এলে জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন স্থানীয়ভাবে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বায়েজীদ বিন আখন্দের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেছবাহ উদ্দিন, হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আমিন উল্যা, হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া হরনী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুশফিকুর রহমান ও চানন্দী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীমসহ কয়েকজন সদস্য পদপ্রার্থী।
সভায় দুই ইউনিয়নের ছয়জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, তিনজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী এবং ১০ জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে সম্প্রতি কয়েকজন প্রার্থীর ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন দাবিতে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, হাতিয়ার এ দুটি ইউনিয়নে দীর্ঘ ৩০ বছর পরে নির্বাচন হচ্ছে। জনগণ উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। সেখানে একটি পক্ষ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, মিছিল-মিটিং করে পরদিন সকালে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি এলাকায় আসতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গত ২৭ মে হরনী ইউনিয়নের হাতিয়া বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমানের ১০ কর্মী আহত হন। এ সময় পুলিশের বিশেষ শাখার এক উপপরিদর্শক আহত হন। এর পরপরই পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে আটক করে। পরে পুলিশবাদী মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ঘটনা ছাড়া উল্লেখ করার মতো এ দুই ইউনিয়নে নির্বাচনকালীন তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘যে বা যাঁরাই নির্বাচন কমিশনের সামনে গিয়ে বিষের বোতল হাতে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন, তা ঠিক করেননি। আগে আপনারা জেলা প্রশাসক কিংবা আমাকে দাবি সম্পর্কে জানাতে পারতেন। আমরাই ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। নোয়াখালীতে কয়েকটি নির্বাচন ইতিমধ্যে আমরা শেষ করেছি। কোথাও প্রাণহানি কিংবা বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। আপনাদের এই কর্মকাণ্ডে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।’ সেই সঙ্গে আপনাদের যেকোনো অভিযোগ লিখিতভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে পারেন। পরে প্রার্থীরা কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়াবেন না, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখবেন—এ বিষয়ে হাত তুলে শপথ করান পুলিশ সুপার।
এ সময় ঢাকায় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘আমাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আমরা যেন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা সুন্দরভাবে করতে পারি, সেই ব্যবস্থা করা এবং নির্বাচনের দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন হাতিয়ার হরনী ও চানন্দী ইউনিয়নের নির্বাচন। সম্পূর্ণ ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে এ দুই ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১২ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
২৬ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেসহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘হাতে বিষ, পরনে কাফনের কাপড় পরে নির্বাচন কমিশনের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের মত পরিবেশ হয়নি, ছিল না। এটা স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।’ নোয়াখালী হাতিয়ায় দুই ইউপির প্রার্থীদের সঙ্গে...
০৩ জুন ২০২২
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
২৬ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

‘হাতে বিষ, পরনে কাফনের কাপড় পরে নির্বাচন কমিশনের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের মত পরিবেশ হয়নি, ছিল না। এটা স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।’ নোয়াখালী হাতিয়ায় দুই ইউপির প্রার্থীদের সঙ্গে...
০৩ জুন ২০২২
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১২ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

‘হাতে বিষ, পরনে কাফনের কাপড় পরে নির্বাচন কমিশনের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের মত পরিবেশ হয়নি, ছিল না। এটা স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।’ নোয়াখালী হাতিয়ায় দুই ইউপির প্রার্থীদের সঙ্গে...
০৩ জুন ২০২২
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১২ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
২৬ মিনিট আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

‘হাতে বিষ, পরনে কাফনের কাপড় পরে নির্বাচন কমিশনের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের মত পরিবেশ হয়নি, ছিল না। এটা স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।’ নোয়াখালী হাতিয়ায় দুই ইউপির প্রার্থীদের সঙ্গে...
০৩ জুন ২০২২
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১২ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
২৬ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে