জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে সেটি নিয়েছিলের বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তা-কর্মীরা।
শামসুল হক জানান, তাঁর ছবি ও খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর স্থানীয় শাখার তিন কর্মী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। হাতে ৮০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাঁরা বলেছিলেন, এটি ‘ভিক্ষা ঋণ’, পরিশোধ করতে হবে না। অথচ এখন জানতে পেরেছেন, তাঁর নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার টাকা। ওই কর্মকর্তারা বাকি টাকাটা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে আত্মসাৎ করলেও এখন দায় চেপেছে হতদরিদ্র গ্রাহকের কাঁধে।
শুধু শামসুল হক নন, সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখা থেকে তাঁর মতো ৮৪০ জন গ্রাহককে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে অন্তত দুই শ গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। সঠিক তথ্য অজানা থাকায় তাঁদের ঋণের পুরোটাই দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখার ব্যবস্থাপক সাদেকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বনির্ভর বাংলাদেশের আয়োজনে ৮৪০ জন গ্রাহকের মাঝে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ঋণ শুধু তাঁর শাখা থেকে বিতরণ করা হয়, যার পুরোটা বছরের পর বছর খেলাপি। টাকার পরিমাণ কম থাকায় মামলা হয়নি। এনজিওটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সব গ্রাহককে চিহ্নিতকরণ এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে বেগ পেতে হচ্ছে।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ ১৯৮১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুরুতে নানা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনে। এমআরএ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্থায়নে ৪০টি জেলায় ৩৩টি এরিয়া অফিস এবং ৭৭৫টি শাখার মাধ্যমে এনজিওটির বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটির বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংস্থাটির ঋণ কার্যক্রম যতটা বিস্তৃত, ততটা বিস্তার ঘটেছে কর্মকর্তাদের প্রতারণার ফাঁদও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় কেতকীবাড়ি ও ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রাহকের নামে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণগ্রহীতাদের অনেকে জানেন না, তাঁদের নামে ঋণ আছে। মূলত ‘ভিক্ষা ঋণ’ নাম দিয়ে তাঁদের ছবি ও স্বাক্ষর নিয়ে ওই ঋণ সৃজন করে একটি চক্র। একেকজনের নামে ২৫-৩৫ হাজার ঋণ নেওয়া হলেও তাঁরা পান ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। মূলত স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন কর্মকর্তা ওমর ফারুক ওরফে কাজল, মোকাররম হোসেন, মারুফ হোসেন, স্থানীয় দালালখ্যাত আশিকুর ও সাবুল এবং সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু ফয়েজ সংঘবদ্ধভাবে এই প্রতারণা করেন।
জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন ইউনিট ম্যানেজার ববি বেগম বলেন, ‘হাতে টাকা পায়নি এমন অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি। এটা রহস্যজনক। তবে ঋণ যে আদায় হয়নি, সেটা সত্য।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ কেন্দ্রে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর সদস্য ছিলেন রওশন আরা নামের এক গৃহিণী। এনজিওটির সদর ইউনিয়নের কর্মকর্তা নাজমা বেগম তাঁকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বাউফল অগ্রণী ব্যাংকের নিচে ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর ও ছবি নেওয়ার পর বলা হয়, ‘এখন চলে যান, ঋণ পাস হলে জানানো হবে।’ রওশন আরা ঋণের তথ্য জানতে পেরেছেন ঠিকই, তবে অন্তত চার বছর পর। যদিও ওই ঋণের কোনো টাকা পাননি তিনি।
একই এলাকার ভুক্তভোগী হানিফ হাওলাদার জানান, তাঁর বাড়িতে স্বনির্ভরের একটি কেন্দ্র ছিল। তখন ২৫ হাজার ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে আব্বাস নামের এক কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা ঋণ বকেয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। টাকা না দিলে মামলা করার ভয় দেখাচ্ছেন। সেই ভয়ে সপরিবার এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গা ঢাকা দিয়ে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করছেন তিনি।
সহজ শর্তে কৃষিঋণের নামে অগ্রণী ব্যাংকের বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ শাখা থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা এই ঋণের অধিকাংশই সংস্থাটির ক্রেডিট ম্যানেজার সরদার আলমগীর হোসেন অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত স্বনির্ভর বাংলাদেশ এখন কোনো ধরনের কার্যক্রমে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। এখন তারা শত শত গ্রাহককে খুঁজে পাচ্ছে না। ঋণের অর্থ তছরুপ করার কারণে নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়নি। এখন নতুন করে অর্থ তছরুপের লক্ষ্যে অর্থায়ন চাইছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অপরাধের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিনের কোন্দল, মামলা ও দখলবাজির কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কয়েক বছর ধরে বন্ধ। কোথাও কোনো শাখা চলছে না। এতে ঋণ বিতরণ ও আদায় বন্ধ রয়েছে। ফলে কমিশনও বন্ধ। এমনকি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ থাকায় ঋণের কমিশন ও এফডিআরের অর্থ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অর্থ দরকার। অর্থ পেলে কার্যক্রম আবার চালু করা সম্ভব। তখন ঋণ আদায় হবে।
বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকএসএফের) থেকে অর্থ নিয়েও ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। কিন্তু পিকেএসএফের ঋণ বিতরণের তথ্য গোপন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও।
পিকেএসএফের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও আরটিআই কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশের মাধ্যমে পিকেএসএফের ঋণের পরিমাণ ৩১ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। সুদ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। পাওনা আদায়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এমআরএর পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পরিচালিত পরিদর্শনে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর বহুবিধ অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনা উঠে এসেছে। ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটির মাঠপর্যায়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমনকি এমআরএ থেকে প্রাপ্ত মূল সনদ, পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণীও পরিদর্শনকে দল দেখাতে পারেনি এনজিওটি। হিসাব ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন, সাধারণ বাজেট অনুমোদন, নিরীক্ষক নিয়োগ, ভাতা পুনর্নির্ধারণ, রেজিস্টার বই, ক্যাশ ও ব্যাংক বই, সাধারণ খতিয়ান, এফডিআর রেজিস্টার, স্থায়ী সম্পদ রেজিস্টার, অপচয় রেজিস্টার সংরক্ষণের নির্দেশনা থাকলেও পরিদর্শনে গিয়ে এসব নথিপত্র পায়নি পরিদর্শক দল।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর পরিচালক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সহায়তা করে আসছে। কিন্তু সংগত কারণে কার্যক্রম থেমে গেছে। নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অর্থছাড়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। ঋণ আদায় হবে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে সেটি নিয়েছিলের বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তা-কর্মীরা।
শামসুল হক জানান, তাঁর ছবি ও খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর স্থানীয় শাখার তিন কর্মী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। হাতে ৮০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাঁরা বলেছিলেন, এটি ‘ভিক্ষা ঋণ’, পরিশোধ করতে হবে না। অথচ এখন জানতে পেরেছেন, তাঁর নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার টাকা। ওই কর্মকর্তারা বাকি টাকাটা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে আত্মসাৎ করলেও এখন দায় চেপেছে হতদরিদ্র গ্রাহকের কাঁধে।
শুধু শামসুল হক নন, সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখা থেকে তাঁর মতো ৮৪০ জন গ্রাহককে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে অন্তত দুই শ গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। সঠিক তথ্য অজানা থাকায় তাঁদের ঋণের পুরোটাই দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখার ব্যবস্থাপক সাদেকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বনির্ভর বাংলাদেশের আয়োজনে ৮৪০ জন গ্রাহকের মাঝে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ঋণ শুধু তাঁর শাখা থেকে বিতরণ করা হয়, যার পুরোটা বছরের পর বছর খেলাপি। টাকার পরিমাণ কম থাকায় মামলা হয়নি। এনজিওটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সব গ্রাহককে চিহ্নিতকরণ এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে বেগ পেতে হচ্ছে।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ ১৯৮১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুরুতে নানা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনে। এমআরএ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্থায়নে ৪০টি জেলায় ৩৩টি এরিয়া অফিস এবং ৭৭৫টি শাখার মাধ্যমে এনজিওটির বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটির বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংস্থাটির ঋণ কার্যক্রম যতটা বিস্তৃত, ততটা বিস্তার ঘটেছে কর্মকর্তাদের প্রতারণার ফাঁদও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় কেতকীবাড়ি ও ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রাহকের নামে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণগ্রহীতাদের অনেকে জানেন না, তাঁদের নামে ঋণ আছে। মূলত ‘ভিক্ষা ঋণ’ নাম দিয়ে তাঁদের ছবি ও স্বাক্ষর নিয়ে ওই ঋণ সৃজন করে একটি চক্র। একেকজনের নামে ২৫-৩৫ হাজার ঋণ নেওয়া হলেও তাঁরা পান ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। মূলত স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন কর্মকর্তা ওমর ফারুক ওরফে কাজল, মোকাররম হোসেন, মারুফ হোসেন, স্থানীয় দালালখ্যাত আশিকুর ও সাবুল এবং সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু ফয়েজ সংঘবদ্ধভাবে এই প্রতারণা করেন।
জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন ইউনিট ম্যানেজার ববি বেগম বলেন, ‘হাতে টাকা পায়নি এমন অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি। এটা রহস্যজনক। তবে ঋণ যে আদায় হয়নি, সেটা সত্য।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ কেন্দ্রে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর সদস্য ছিলেন রওশন আরা নামের এক গৃহিণী। এনজিওটির সদর ইউনিয়নের কর্মকর্তা নাজমা বেগম তাঁকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বাউফল অগ্রণী ব্যাংকের নিচে ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর ও ছবি নেওয়ার পর বলা হয়, ‘এখন চলে যান, ঋণ পাস হলে জানানো হবে।’ রওশন আরা ঋণের তথ্য জানতে পেরেছেন ঠিকই, তবে অন্তত চার বছর পর। যদিও ওই ঋণের কোনো টাকা পাননি তিনি।
একই এলাকার ভুক্তভোগী হানিফ হাওলাদার জানান, তাঁর বাড়িতে স্বনির্ভরের একটি কেন্দ্র ছিল। তখন ২৫ হাজার ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে আব্বাস নামের এক কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা ঋণ বকেয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। টাকা না দিলে মামলা করার ভয় দেখাচ্ছেন। সেই ভয়ে সপরিবার এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গা ঢাকা দিয়ে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করছেন তিনি।
সহজ শর্তে কৃষিঋণের নামে অগ্রণী ব্যাংকের বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ শাখা থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা এই ঋণের অধিকাংশই সংস্থাটির ক্রেডিট ম্যানেজার সরদার আলমগীর হোসেন অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত স্বনির্ভর বাংলাদেশ এখন কোনো ধরনের কার্যক্রমে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। এখন তারা শত শত গ্রাহককে খুঁজে পাচ্ছে না। ঋণের অর্থ তছরুপ করার কারণে নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়নি। এখন নতুন করে অর্থ তছরুপের লক্ষ্যে অর্থায়ন চাইছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অপরাধের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিনের কোন্দল, মামলা ও দখলবাজির কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কয়েক বছর ধরে বন্ধ। কোথাও কোনো শাখা চলছে না। এতে ঋণ বিতরণ ও আদায় বন্ধ রয়েছে। ফলে কমিশনও বন্ধ। এমনকি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ থাকায় ঋণের কমিশন ও এফডিআরের অর্থ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অর্থ দরকার। অর্থ পেলে কার্যক্রম আবার চালু করা সম্ভব। তখন ঋণ আদায় হবে।
বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকএসএফের) থেকে অর্থ নিয়েও ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। কিন্তু পিকেএসএফের ঋণ বিতরণের তথ্য গোপন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও।
পিকেএসএফের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও আরটিআই কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশের মাধ্যমে পিকেএসএফের ঋণের পরিমাণ ৩১ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। সুদ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। পাওনা আদায়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এমআরএর পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পরিচালিত পরিদর্শনে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর বহুবিধ অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনা উঠে এসেছে। ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটির মাঠপর্যায়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমনকি এমআরএ থেকে প্রাপ্ত মূল সনদ, পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণীও পরিদর্শনকে দল দেখাতে পারেনি এনজিওটি। হিসাব ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন, সাধারণ বাজেট অনুমোদন, নিরীক্ষক নিয়োগ, ভাতা পুনর্নির্ধারণ, রেজিস্টার বই, ক্যাশ ও ব্যাংক বই, সাধারণ খতিয়ান, এফডিআর রেজিস্টার, স্থায়ী সম্পদ রেজিস্টার, অপচয় রেজিস্টার সংরক্ষণের নির্দেশনা থাকলেও পরিদর্শনে গিয়ে এসব নথিপত্র পায়নি পরিদর্শক দল।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর পরিচালক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সহায়তা করে আসছে। কিন্তু সংগত কারণে কার্যক্রম থেমে গেছে। নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অর্থছাড়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। ঋণ আদায় হবে।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে সেটি নিয়েছিলের বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তা-কর্মীরা।
শামসুল হক জানান, তাঁর ছবি ও খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর স্থানীয় শাখার তিন কর্মী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। হাতে ৮০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাঁরা বলেছিলেন, এটি ‘ভিক্ষা ঋণ’, পরিশোধ করতে হবে না। অথচ এখন জানতে পেরেছেন, তাঁর নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার টাকা। ওই কর্মকর্তারা বাকি টাকাটা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে আত্মসাৎ করলেও এখন দায় চেপেছে হতদরিদ্র গ্রাহকের কাঁধে।
শুধু শামসুল হক নন, সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখা থেকে তাঁর মতো ৮৪০ জন গ্রাহককে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে অন্তত দুই শ গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। সঠিক তথ্য অজানা থাকায় তাঁদের ঋণের পুরোটাই দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখার ব্যবস্থাপক সাদেকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বনির্ভর বাংলাদেশের আয়োজনে ৮৪০ জন গ্রাহকের মাঝে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ঋণ শুধু তাঁর শাখা থেকে বিতরণ করা হয়, যার পুরোটা বছরের পর বছর খেলাপি। টাকার পরিমাণ কম থাকায় মামলা হয়নি। এনজিওটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সব গ্রাহককে চিহ্নিতকরণ এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে বেগ পেতে হচ্ছে।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ ১৯৮১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুরুতে নানা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনে। এমআরএ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্থায়নে ৪০টি জেলায় ৩৩টি এরিয়া অফিস এবং ৭৭৫টি শাখার মাধ্যমে এনজিওটির বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটির বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংস্থাটির ঋণ কার্যক্রম যতটা বিস্তৃত, ততটা বিস্তার ঘটেছে কর্মকর্তাদের প্রতারণার ফাঁদও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় কেতকীবাড়ি ও ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রাহকের নামে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণগ্রহীতাদের অনেকে জানেন না, তাঁদের নামে ঋণ আছে। মূলত ‘ভিক্ষা ঋণ’ নাম দিয়ে তাঁদের ছবি ও স্বাক্ষর নিয়ে ওই ঋণ সৃজন করে একটি চক্র। একেকজনের নামে ২৫-৩৫ হাজার ঋণ নেওয়া হলেও তাঁরা পান ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। মূলত স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন কর্মকর্তা ওমর ফারুক ওরফে কাজল, মোকাররম হোসেন, মারুফ হোসেন, স্থানীয় দালালখ্যাত আশিকুর ও সাবুল এবং সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু ফয়েজ সংঘবদ্ধভাবে এই প্রতারণা করেন।
জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন ইউনিট ম্যানেজার ববি বেগম বলেন, ‘হাতে টাকা পায়নি এমন অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি। এটা রহস্যজনক। তবে ঋণ যে আদায় হয়নি, সেটা সত্য।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ কেন্দ্রে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর সদস্য ছিলেন রওশন আরা নামের এক গৃহিণী। এনজিওটির সদর ইউনিয়নের কর্মকর্তা নাজমা বেগম তাঁকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বাউফল অগ্রণী ব্যাংকের নিচে ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর ও ছবি নেওয়ার পর বলা হয়, ‘এখন চলে যান, ঋণ পাস হলে জানানো হবে।’ রওশন আরা ঋণের তথ্য জানতে পেরেছেন ঠিকই, তবে অন্তত চার বছর পর। যদিও ওই ঋণের কোনো টাকা পাননি তিনি।
একই এলাকার ভুক্তভোগী হানিফ হাওলাদার জানান, তাঁর বাড়িতে স্বনির্ভরের একটি কেন্দ্র ছিল। তখন ২৫ হাজার ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে আব্বাস নামের এক কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা ঋণ বকেয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। টাকা না দিলে মামলা করার ভয় দেখাচ্ছেন। সেই ভয়ে সপরিবার এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গা ঢাকা দিয়ে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করছেন তিনি।
সহজ শর্তে কৃষিঋণের নামে অগ্রণী ব্যাংকের বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ শাখা থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা এই ঋণের অধিকাংশই সংস্থাটির ক্রেডিট ম্যানেজার সরদার আলমগীর হোসেন অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত স্বনির্ভর বাংলাদেশ এখন কোনো ধরনের কার্যক্রমে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। এখন তারা শত শত গ্রাহককে খুঁজে পাচ্ছে না। ঋণের অর্থ তছরুপ করার কারণে নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়নি। এখন নতুন করে অর্থ তছরুপের লক্ষ্যে অর্থায়ন চাইছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অপরাধের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিনের কোন্দল, মামলা ও দখলবাজির কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কয়েক বছর ধরে বন্ধ। কোথাও কোনো শাখা চলছে না। এতে ঋণ বিতরণ ও আদায় বন্ধ রয়েছে। ফলে কমিশনও বন্ধ। এমনকি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ থাকায় ঋণের কমিশন ও এফডিআরের অর্থ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অর্থ দরকার। অর্থ পেলে কার্যক্রম আবার চালু করা সম্ভব। তখন ঋণ আদায় হবে।
বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকএসএফের) থেকে অর্থ নিয়েও ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। কিন্তু পিকেএসএফের ঋণ বিতরণের তথ্য গোপন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও।
পিকেএসএফের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও আরটিআই কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশের মাধ্যমে পিকেএসএফের ঋণের পরিমাণ ৩১ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। সুদ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। পাওনা আদায়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এমআরএর পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পরিচালিত পরিদর্শনে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর বহুবিধ অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনা উঠে এসেছে। ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটির মাঠপর্যায়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমনকি এমআরএ থেকে প্রাপ্ত মূল সনদ, পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণীও পরিদর্শনকে দল দেখাতে পারেনি এনজিওটি। হিসাব ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন, সাধারণ বাজেট অনুমোদন, নিরীক্ষক নিয়োগ, ভাতা পুনর্নির্ধারণ, রেজিস্টার বই, ক্যাশ ও ব্যাংক বই, সাধারণ খতিয়ান, এফডিআর রেজিস্টার, স্থায়ী সম্পদ রেজিস্টার, অপচয় রেজিস্টার সংরক্ষণের নির্দেশনা থাকলেও পরিদর্শনে গিয়ে এসব নথিপত্র পায়নি পরিদর্শক দল।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর পরিচালক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সহায়তা করে আসছে। কিন্তু সংগত কারণে কার্যক্রম থেমে গেছে। নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অর্থছাড়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। ঋণ আদায় হবে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে সেটি নিয়েছিলের বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তা-কর্মীরা।
শামসুল হক জানান, তাঁর ছবি ও খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর স্থানীয় শাখার তিন কর্মী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। হাতে ৮০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাঁরা বলেছিলেন, এটি ‘ভিক্ষা ঋণ’, পরিশোধ করতে হবে না। অথচ এখন জানতে পেরেছেন, তাঁর নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার টাকা। ওই কর্মকর্তারা বাকি টাকাটা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে আত্মসাৎ করলেও এখন দায় চেপেছে হতদরিদ্র গ্রাহকের কাঁধে।
শুধু শামসুল হক নন, সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখা থেকে তাঁর মতো ৮৪০ জন গ্রাহককে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে অন্তত দুই শ গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। সঠিক তথ্য অজানা থাকায় তাঁদের ঋণের পুরোটাই দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখার ব্যবস্থাপক সাদেকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বনির্ভর বাংলাদেশের আয়োজনে ৮৪০ জন গ্রাহকের মাঝে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ঋণ শুধু তাঁর শাখা থেকে বিতরণ করা হয়, যার পুরোটা বছরের পর বছর খেলাপি। টাকার পরিমাণ কম থাকায় মামলা হয়নি। এনজিওটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সব গ্রাহককে চিহ্নিতকরণ এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে বেগ পেতে হচ্ছে।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ ১৯৮১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুরুতে নানা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনে। এমআরএ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্থায়নে ৪০টি জেলায় ৩৩টি এরিয়া অফিস এবং ৭৭৫টি শাখার মাধ্যমে এনজিওটির বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটির বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংস্থাটির ঋণ কার্যক্রম যতটা বিস্তৃত, ততটা বিস্তার ঘটেছে কর্মকর্তাদের প্রতারণার ফাঁদও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় কেতকীবাড়ি ও ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রাহকের নামে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণগ্রহীতাদের অনেকে জানেন না, তাঁদের নামে ঋণ আছে। মূলত ‘ভিক্ষা ঋণ’ নাম দিয়ে তাঁদের ছবি ও স্বাক্ষর নিয়ে ওই ঋণ সৃজন করে একটি চক্র। একেকজনের নামে ২৫-৩৫ হাজার ঋণ নেওয়া হলেও তাঁরা পান ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। মূলত স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন কর্মকর্তা ওমর ফারুক ওরফে কাজল, মোকাররম হোসেন, মারুফ হোসেন, স্থানীয় দালালখ্যাত আশিকুর ও সাবুল এবং সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু ফয়েজ সংঘবদ্ধভাবে এই প্রতারণা করেন।
জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন ইউনিট ম্যানেজার ববি বেগম বলেন, ‘হাতে টাকা পায়নি এমন অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি। এটা রহস্যজনক। তবে ঋণ যে আদায় হয়নি, সেটা সত্য।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ কেন্দ্রে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর সদস্য ছিলেন রওশন আরা নামের এক গৃহিণী। এনজিওটির সদর ইউনিয়নের কর্মকর্তা নাজমা বেগম তাঁকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বাউফল অগ্রণী ব্যাংকের নিচে ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর ও ছবি নেওয়ার পর বলা হয়, ‘এখন চলে যান, ঋণ পাস হলে জানানো হবে।’ রওশন আরা ঋণের তথ্য জানতে পেরেছেন ঠিকই, তবে অন্তত চার বছর পর। যদিও ওই ঋণের কোনো টাকা পাননি তিনি।
একই এলাকার ভুক্তভোগী হানিফ হাওলাদার জানান, তাঁর বাড়িতে স্বনির্ভরের একটি কেন্দ্র ছিল। তখন ২৫ হাজার ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে আব্বাস নামের এক কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা ঋণ বকেয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। টাকা না দিলে মামলা করার ভয় দেখাচ্ছেন। সেই ভয়ে সপরিবার এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গা ঢাকা দিয়ে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করছেন তিনি।
সহজ শর্তে কৃষিঋণের নামে অগ্রণী ব্যাংকের বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ শাখা থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা এই ঋণের অধিকাংশই সংস্থাটির ক্রেডিট ম্যানেজার সরদার আলমগীর হোসেন অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত স্বনির্ভর বাংলাদেশ এখন কোনো ধরনের কার্যক্রমে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। এখন তারা শত শত গ্রাহককে খুঁজে পাচ্ছে না। ঋণের অর্থ তছরুপ করার কারণে নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়নি। এখন নতুন করে অর্থ তছরুপের লক্ষ্যে অর্থায়ন চাইছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অপরাধের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিনের কোন্দল, মামলা ও দখলবাজির কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কয়েক বছর ধরে বন্ধ। কোথাও কোনো শাখা চলছে না। এতে ঋণ বিতরণ ও আদায় বন্ধ রয়েছে। ফলে কমিশনও বন্ধ। এমনকি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ থাকায় ঋণের কমিশন ও এফডিআরের অর্থ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অর্থ দরকার। অর্থ পেলে কার্যক্রম আবার চালু করা সম্ভব। তখন ঋণ আদায় হবে।
বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকএসএফের) থেকে অর্থ নিয়েও ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। কিন্তু পিকেএসএফের ঋণ বিতরণের তথ্য গোপন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও।
পিকেএসএফের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও আরটিআই কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশের মাধ্যমে পিকেএসএফের ঋণের পরিমাণ ৩১ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। সুদ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। পাওনা আদায়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এমআরএর পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পরিচালিত পরিদর্শনে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর বহুবিধ অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনা উঠে এসেছে। ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটির মাঠপর্যায়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমনকি এমআরএ থেকে প্রাপ্ত মূল সনদ, পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণীও পরিদর্শনকে দল দেখাতে পারেনি এনজিওটি। হিসাব ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন, সাধারণ বাজেট অনুমোদন, নিরীক্ষক নিয়োগ, ভাতা পুনর্নির্ধারণ, রেজিস্টার বই, ক্যাশ ও ব্যাংক বই, সাধারণ খতিয়ান, এফডিআর রেজিস্টার, স্থায়ী সম্পদ রেজিস্টার, অপচয় রেজিস্টার সংরক্ষণের নির্দেশনা থাকলেও পরিদর্শনে গিয়ে এসব নথিপত্র পায়নি পরিদর্শক দল।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর পরিচালক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সহায়তা করে আসছে। কিন্তু সংগত কারণে কার্যক্রম থেমে গেছে। নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অর্থছাড়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। ঋণ আদায় হবে।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১১ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১৮ মিনিট আগে
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
৪৪ মিনিট আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে স
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১১ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১৮ মিনিট আগে
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
৪৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে স
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১৮ মিনিট আগে
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
৪৪ মিনিট আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।
পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।
পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে স
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১১ মিনিট আগে
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
৪৪ মিনিট আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’
পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।
পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।
সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’
পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।
পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।
সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে স
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৫ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১১ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১৮ মিনিট আগে