নেত্রকোনা প্রতিনিধি

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনা সদরসহ তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নে ৯ জন, বারহাট্টা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ১১ জন ও আটপাড়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নে ৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এরই মধ্যে সদরসহ তিনটি উপজেলার সকল বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন, সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের মো. আনোয়ার হোসেন (আনারস), মৌগাতির এ এফ এম মহিউল ইসলাম খান (ঘোড়া), চল্লিশার মো. আব্দুল জব্বার ফকির (চশমা), দক্ষিণ বিশিউড়ার মো. আবুল কালাম (মোটরসাইকেল), মেদনীর আলহাজ মিজানুর রহমান খান (ঘোড়া), কালিয়ারা গাবরাগাতীর এ আর আলী আজগর খান (ঘোড়া), সিংহের বাংলার মোফাক্কারুল হোসেন (মিলন) (আনারস) ও মো. আলী আহসান (ঘোড়া), ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার (ঘোড়া)। আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নে মো. জহিরুল ইসলাম সামরুজ (চশমা), শুনইয়ে মোহাম্মদ ছানোয়ার উদ্দিন (ঘোড়া) ও মো. কামাল উদ্দিন খান (আনারস), বানিয়াজানে মোহাম্মদ নিজাম ইয়ার খান (ঘোড়া), তেলিগাতীতে মো. সঞ্জুর রহমান (ঘোড়া), দুওজ ইউনিয়নে আসাদুজ্জামান টিপন (চশমা), মো. কায়ছার ইমরান বাবুল (টেলিফোন) ও শাহীন তালুকদার (ঘোড়া), সুখারী ইউনিয়নে মো. কফিল উদ্দিন খোকন তালুকদার (আনারস)। বারহাট্টা উপজেলায় বাউসি ইউনিয়নে জিয়াউর রহমান খোকন (ঢোল), শেখ তারেক হাবিব (চশমা), সাহতায় মো. মিজানুর রহমান (ঘোড়া), বারহাট্টা সদর ইউনিয়নে মনোরঞ্জন সরকার (ঘোড়া) ও মো. সোহেল খান (মোটরসাইকেল), আসমায় মোহাম্মদ আবুল কাশেম (চশমা) ও সাইদুর রহমান খোকন (ঘোড়া), চিরামে মো. আমিরুল ইসলাম (ঘোড়া), সিংধায় আবুল কাশেম (ঘোড়া) ও সন্ধ্যা রানী রায় (মোটরসাইকেল), রায়পুরে আতিকুর রহমান রাজু (মোটরসাইকেল)।
নির্বাচনী ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, অনেক ইউনিয়নেই তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যে কারণে তিনটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংখ্যা ২৯ এ দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণেও অনেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের মিছিল, সমাবেশ তেমনভাবে দৃশ্যমান না হলেও ভোটাররা বলছেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নৌকার প্রার্থীর। এমনকি কোনো কোনো স্থানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা দুই নম্বর অবস্থানে নাও থাকতে পারে। সেই সুযোগে বিএনপি নির্বাচন না করলেও তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।
কালিয়ারা গাবড়াগাতি ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার জানান, আজগর ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান। গেল পাঁচ বছরে কোনো ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ নেই তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা তাঁকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট হলে এবারও আজগর ভাই চেয়ারম্যান হবেন।

তবে নৌকার সমর্থনকারীদের কথা ভিন্ন। তারা বলেন, ‘আমরা একটি দল করি। প্রত্যেক দলেরই একটা শৃঙ্খলা থাকা উচিত। যারা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে অবমাননা করে প্রার্থী হয়েছেন তারা ঠিক কাজ করেননি। তারা যদি দল মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গেই কাজ করতেন তাহলে বড় মনের পরিচয় দিতেন।’
ঠাকুরকোনা ইউনিয়নের নৌকা সমর্থনকারী হারেস নামের এক ভোটার জানান, আমরা সব সময়েই নৌকা করি। নৌকায় ভোট দেব। নৌকাই আমাদের কাছে মূল বিষয়। ব্যক্তি বিষয় নয়।
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল শহীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা দলের চেতনাকে বাদ দিয়ে, বঙ্গবন্ধু কন্যার শেখ হাসিনার নির্দেশকে অমান্য করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তাঁদের সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আটপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী খায়রুল ইসলাম বলেন, আমার উপজেলার যেসব ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু স্বাক্ষরিত সাময়িক বহিষ্কারের একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। এরপর বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে সে চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান থেকে মেয়র ছিলাম। আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকেই বলতে গেলে দলটির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু কখনো দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করিনি। দল যখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বর্তমানে দেখছি; টিকিট না পেলেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়। এটা দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, আগামী ১১ নভেম্বর নেত্রকোনা সদরসহ, বারহাট্টা ও আটপাড়া উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মারা যাওয়ায় এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনা সদরসহ তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নে ৯ জন, বারহাট্টা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ১১ জন ও আটপাড়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নে ৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এরই মধ্যে সদরসহ তিনটি উপজেলার সকল বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন, সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের মো. আনোয়ার হোসেন (আনারস), মৌগাতির এ এফ এম মহিউল ইসলাম খান (ঘোড়া), চল্লিশার মো. আব্দুল জব্বার ফকির (চশমা), দক্ষিণ বিশিউড়ার মো. আবুল কালাম (মোটরসাইকেল), মেদনীর আলহাজ মিজানুর রহমান খান (ঘোড়া), কালিয়ারা গাবরাগাতীর এ আর আলী আজগর খান (ঘোড়া), সিংহের বাংলার মোফাক্কারুল হোসেন (মিলন) (আনারস) ও মো. আলী আহসান (ঘোড়া), ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার (ঘোড়া)। আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নে মো. জহিরুল ইসলাম সামরুজ (চশমা), শুনইয়ে মোহাম্মদ ছানোয়ার উদ্দিন (ঘোড়া) ও মো. কামাল উদ্দিন খান (আনারস), বানিয়াজানে মোহাম্মদ নিজাম ইয়ার খান (ঘোড়া), তেলিগাতীতে মো. সঞ্জুর রহমান (ঘোড়া), দুওজ ইউনিয়নে আসাদুজ্জামান টিপন (চশমা), মো. কায়ছার ইমরান বাবুল (টেলিফোন) ও শাহীন তালুকদার (ঘোড়া), সুখারী ইউনিয়নে মো. কফিল উদ্দিন খোকন তালুকদার (আনারস)। বারহাট্টা উপজেলায় বাউসি ইউনিয়নে জিয়াউর রহমান খোকন (ঢোল), শেখ তারেক হাবিব (চশমা), সাহতায় মো. মিজানুর রহমান (ঘোড়া), বারহাট্টা সদর ইউনিয়নে মনোরঞ্জন সরকার (ঘোড়া) ও মো. সোহেল খান (মোটরসাইকেল), আসমায় মোহাম্মদ আবুল কাশেম (চশমা) ও সাইদুর রহমান খোকন (ঘোড়া), চিরামে মো. আমিরুল ইসলাম (ঘোড়া), সিংধায় আবুল কাশেম (ঘোড়া) ও সন্ধ্যা রানী রায় (মোটরসাইকেল), রায়পুরে আতিকুর রহমান রাজু (মোটরসাইকেল)।
নির্বাচনী ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, অনেক ইউনিয়নেই তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যে কারণে তিনটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংখ্যা ২৯ এ দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণেও অনেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের মিছিল, সমাবেশ তেমনভাবে দৃশ্যমান না হলেও ভোটাররা বলছেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নৌকার প্রার্থীর। এমনকি কোনো কোনো স্থানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা দুই নম্বর অবস্থানে নাও থাকতে পারে। সেই সুযোগে বিএনপি নির্বাচন না করলেও তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।
কালিয়ারা গাবড়াগাতি ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার জানান, আজগর ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান। গেল পাঁচ বছরে কোনো ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ নেই তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা তাঁকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট হলে এবারও আজগর ভাই চেয়ারম্যান হবেন।

তবে নৌকার সমর্থনকারীদের কথা ভিন্ন। তারা বলেন, ‘আমরা একটি দল করি। প্রত্যেক দলেরই একটা শৃঙ্খলা থাকা উচিত। যারা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে অবমাননা করে প্রার্থী হয়েছেন তারা ঠিক কাজ করেননি। তারা যদি দল মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গেই কাজ করতেন তাহলে বড় মনের পরিচয় দিতেন।’
ঠাকুরকোনা ইউনিয়নের নৌকা সমর্থনকারী হারেস নামের এক ভোটার জানান, আমরা সব সময়েই নৌকা করি। নৌকায় ভোট দেব। নৌকাই আমাদের কাছে মূল বিষয়। ব্যক্তি বিষয় নয়।
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল শহীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা দলের চেতনাকে বাদ দিয়ে, বঙ্গবন্ধু কন্যার শেখ হাসিনার নির্দেশকে অমান্য করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তাঁদের সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আটপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী খায়রুল ইসলাম বলেন, আমার উপজেলার যেসব ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু স্বাক্ষরিত সাময়িক বহিষ্কারের একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। এরপর বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে সে চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান থেকে মেয়র ছিলাম। আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকেই বলতে গেলে দলটির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু কখনো দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করিনি। দল যখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বর্তমানে দেখছি; টিকিট না পেলেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়। এটা দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, আগামী ১১ নভেম্বর নেত্রকোনা সদরসহ, বারহাট্টা ও আটপাড়া উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মারা যাওয়ায় এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২৪ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনা সদরসহ তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নে ৯ জন, বারহাট্টা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ১১ জন ও আটপাড়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নে ৯ জন বিদ্
০৩ নভেম্বর ২০২১
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনা সদরসহ তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নে ৯ জন, বারহাট্টা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ১১ জন ও আটপাড়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নে ৯ জন বিদ্
০৩ নভেম্বর ২০২১
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২৪ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনা সদরসহ তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নে ৯ জন, বারহাট্টা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ১১ জন ও আটপাড়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নে ৯ জন বিদ্
০৩ নভেম্বর ২০২১
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২৪ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনা সদরসহ তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নে ৯ জন, বারহাট্টা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ১১ জন ও আটপাড়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নে ৯ জন বিদ্
০৩ নভেম্বর ২০২১
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২৪ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে