Ajker Patrika

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেশি ভোট পাওয়া নিয়ে আ. লীগের ২ নেতার বাগ্‌বিতণ্ডা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেশি ভোট পাওয়া নিয়ে আ. লীগের ২ নেতার বাগ্‌বিতণ্ডা

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার আলোচনা সভার আয়োজন করে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। এতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি ভোট পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মহিউদ্দীন প্রত্যাশার চেয়ে কয়েক গুন কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ায় দলীয় কর্মীদের নাম প্রকাশ না করে সমালোচনা করেন। 

জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৮৮৯ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনারস প্রতীক ৪৫২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের প্রার্থী কেএম বজলুল হক খান রিপন ৪২৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

আলোচনা সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদ্য বিজয়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দীন। সভাপতি বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনাদের প্রচেষ্টায়, আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের আন্তরিকতায় একটি নাম না জানা অপরিচিত-অখ্যাত লোকের (জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুল রহমান খান রিপন) সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাকে নির্বাচিত হতে হয়েছে। আমার বিজয়ের সব সুনাম আপনাদের।’ 

গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আচ্ছা! ওনার (বজলুল হক খান রিপন) তো কোনো নির্বাচনী অফিস ছিল না, উনি তো কোনো নির্বাচনী ক্যাম্পে ছিল না, ওনার জন্য তো কেউ মিছিল করেনি, ওনার জন্য কেউ মিটিং করেনি, ওনার জন্য বিএনপি, জাসদ ও জাতীয় পার্টি মাঠেও নামেনি। তাহলে কোন শক্তির বলে উনি আমাকে খেয়ে ফেলতে চেয়েছিল?’ 

গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আমাকে খাওয়া মানে এই সভায় যারা উপস্থিত আছেন তাদের সবাইকে খাওয়া। শুধু তাই নয়, যিনি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে খাওয়ার অপপ্রয়াস চলছে।’ 

গোলাম মহিউদ্দীন নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন করে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপন যদি খালেদা জিয়ার মনোনীত হতো, বিএনপি বা জাতীয় পার্টি মনোনীত হইলেও হতো? তাহলে কিসের বলে, কোন শক্তির বলে তিনি এত ভোট পেল? এতটুকু বিশ্লেষণ না করতে পারলে তো রাজনীতি করতে পারব না।’ 

গোলাম মহিউদ্দীন আরও বলেন, ‘সত্য হলেও আমাদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। ক্ষীণ হলেও আমাদের মধ্যে অনৈক্য আছে। ক্ষীণ, অনৈক্য নিয়ে আমরা কীভাবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাহিদ মালেক স্বপনকে জেতাবো, কীভাবে নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে জেতাবো, কী করে মমতাজ বেগমকে জেতাবো। এটা ভাবতেছেন না?’ 

গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘এই মুহূর্তে নির্বাচনের ভোটের পরিসংখ্যান মাইকে বলা ঠিক না? সিঙ্গাইরে আমার বিরোধী শক্তি ১১৭ ভোট, আর আমার ভোট ৩৮, সদরে আমার বিরোধী শক্তি ৭১ ভোট, আর আমার ভোট ৭৩ তেমনি সাটুরিয়া আমার বিরোধী শক্তির ৬০ ভোট, আর আমার ভোট ৫৮, হরিরামপুরে আমার বিরোধী শক্তির ৭৩ ভোট আর আমার ৯৫ ভোট।’ 

এই বক্তব্যের পর পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম কিছু একটা বলে গোলাম মহিউদ্দীনকে থামাতে গেলে দুজন সভায় তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গোলাম মহিউদ্দীন পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামকে বলেন, ‘আমাকে জ্ঞান দিয়েন না।’ 

তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সালাম বলেন, ‘এটা জ্ঞানের কথা না।’ এ সময় মহিউদ্দীন বলেন, ‘আপনি রাখেন, স্টপ থাকেন।’ 

এ সময় সালাম বলেন, ‘আপনি ধমক দেন ক্যান।’ এ সময় মহিউদ্দীন টেবিল চাপড়ে সালামকে বলেন, ‘আমি ধমক দিবো না মানে? আপনি কয়দিন পার্টি অফিস করছেন।’ এরপর সালাম টেবিল থেকে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেন, ‘আস্তে?’ এ সময় একজন আরেকজনকে আঙুল তুলে ধমকের সুরে কথা বলতে থাকেন। 

পরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল এবং সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো উত্তেজিত দুজনকে থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র অনেক নেতা, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা চুপ থাকেন। 

ঘটনার সময় উপস্থিত সাংবাদিকেরা তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করতে গেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন একটি জাতীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধিকে পার্টি অফিস থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। 

এদিকে বক্তব্য শেষে গোলাম মহিউদ্দীন তাঁর বিজয়ের জন্য নিজের ছবি না দিয়ে দলীয় প্রধান এবং মন্ত্রী-এমপিদের ছবি দিয়ে জেলা শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা করতে অনুরোধ করেন। 

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সেক্রেটারি আব্দুস সালামসহ কিছু নেতার কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে গোলাম মহিউদ্দীন আশানুরূপ কম ভোট পেয়েছেন। আজ তিনি সভাপতির সাথে যে আচরণ করেছেন তা গ্রহণযোগ্য না।’ 

আর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে আবার ঠিক হয়ে গেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’ 

আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে এত কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পেছনে দলীয় নেতা-কর্মীদের হাত থাকতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত যাই হোক তা মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং এমপি মমতাজ বেগমের অজান্তে হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা আছে বলে আমি কম ভোট পেলেও বিজয়ী হয়েছি।’ 

প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থনে আনারস প্রতীক নিয়ে ২৭ ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুল হক রিপন গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫০টি ভোট পেয়েছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোটের আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তাঁর কোনো দলীয় পদ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’

নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’

বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬৭ বছর পর রামেক হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।

এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।

এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।

কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত