Ajker Patrika

ইবিতে ৬ কোটি টাকার ভুয়া বিল: জড়িতদের শাস্তি নির্ধারণ করতে কমিটি গঠন

ইবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ মে ২০২৪, ১৮: ২৮
ইবিতে ৬ কোটি টাকার ভুয়া বিল: জড়িতদের শাস্তি নির্ধারণ করতে কমিটি গঠন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্যের গরমিলের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের কমিটি করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। 

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি এ কথা জানানো হয়। 

এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের সর্বশেষ চলতি বিল প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্যের গরমিল সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনা ও সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা নির্দিষ্ট করা নেই। 

তাই শাস্তি নির্ণয় ও নির্দিষ্ট করার জন্য সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভার ৫ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

কমিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুবকে আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আনিচুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্য জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলাম। 

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে একটি ‘উড়ো চিঠি’ পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, মেগা প্রকল্পের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের পঞ্চম বিলে মোট ছয় কোটির বেশি টাকার ভুয়া বিল করা হয়েছে। বিলের হিসাব ও সংশ্লিষ্ট নথি চিঠিতে সংযুক্ত করা হয়েছে।

সেই চিঠিতে আর্থিক সুবিধাভোগী ও সহযোগিতাকারী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান ছয় নেতার নাম উঠে আসে। এরপর অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভিক্ষুকের টাকা ছিনতাই করার অভিযোগে একজন আটক

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আটক ফারুক সরকার। ছবি: সংগৃহীত
আটক ফারুক সরকার। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার তিতাসে ভিক্ষুকের টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে মো. ফারুক সরকার (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মঙ্গলকান্দি গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাঁকে তিতাস থানায় নিয়ে যায়। আটক ফারুক সরকার মঙ্গলকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক সরকারের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জগতপুর-মঙ্গলকান্দি ব্রিজের ওপরে ভিক্ষুক আমির হোসেন (৭০) ও তাঁর স্ত্রী সেলিনা আক্তারের (৫৫) পথরোধ করে তাঁদের সারা দিনের উপার্জিত ৯০০ টাকা ছিনতাই হয়। বিষয়টি ভিক্ষুক দম্পতি এলাকাবাসীকে জানান।

ভিক্ষুক আমির হোসেন বলেন, ‘আমাদের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার আমিরাবাদ গ্রামে। আমরা স্বামী-স্ত্রী তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি টেগুরা পাড়া আলি মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকি। মঙ্গলবার দুপুরে মঙ্গলকান্দি হয়ে জগতপুর যাওয়ার পথে ব্রিজে উঠলে তারা কয়েকজন আমাদের আটক করে এবং আমাদের সঙ্গে থাকা ৯০০ টাকা রেখে দেয়। অনেক কান্নাকাটি করেছি তবু টাকাগুলো দেয় নাই। তারা বলে ভিক্ষুকের টাকা না খাইলে বড়লোক হওয়া যায় না, তাই নিয়ে নিলাম।’

এদিকে আটক ফারুক তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। তবে আমি জগতপুর থেকে আসার পথে ব্রিজের ওপর তাদেরকে দেখেছি এবং ছিনতাইকারীদেরকে চিনি।’

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ভিক্ষুকের টাকা ছিনিয়ে নেওয়ায় ফারুক নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। এ ব্যাপারে যাচাই-বাছাই চলছে। ফারক বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীর লালবাগে প্লাস্টিক গুদামে আগুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পুরান ঢাকার লালবাগে প্লাস্টিকের একটি গুদামে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

আজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে লালবাগে ইসলামবাগের চেয়ারম্যানঘাটে অবস্থিত ওই গুদামে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর খালে মিলল বৃদ্ধের লাশ

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আবু সৈয়দ। ছবি: সংগৃহীত
আবু সৈয়দ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত আবু সৈয়দ উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক চৌকিদারের বাড়ির মালেকুজ্জামানের ছেলে। তিনি আনোয়ারা থানাধীন সদর এলাকার কেজি ভবনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি এই বৃদ্ধ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে খালে একটি লাশ ভাসতে দেখেন মিলু আকতার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। পরে বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে আনোয়ারা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশটি আবু সৈয়দের বলে শনাক্ত করেন।

স্বজনদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আবু সৈয়দ। কয়েক মাস আগে ব্রেন স্ট্রোক করে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।

নিহত ব্যক্তির ছেলে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারা থানাধীন ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। পরে আমার মা আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বাবার পরনে লুঙ্গি ও গলার তাবিজ দেখে লাশ শনাক্ত করতে পেরেছি।’

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির প্রকৃত মালিক কে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৬
শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও সেটির মালিক সন্দেহে আটক হান্নান। ছবি: র‍্যাব
শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও সেটির মালিক সন্দেহে আটক হান্নান। ছবি: র‍্যাব

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলার রিমান্ড শুনানিতে মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে চাঞ্চল্যকর ও পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে আসে। পুলিশ কবিরকে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করলেও, কবির আদালতে দাবি করেছেন—মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধুর, যিনি কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে সেটি কিনেছিলেন।

গুরুতর আহত ওসমান হাদির অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মতিঝিল এলাকায় প্রচার চালিয়ে ফেরার পথে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত সোমবার তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে দুই দফায় গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।

এর মধ্যে গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) একই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে প্রথম গ্রেপ্তার হন মো. আব্দুল হান্নান। রিমান্ড শুনানিতে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর নয়। হাতে সমস্যার কারণে তিনি চালাতে পারছিলেন না বলে সেটি মিরপুর মাজার রোডের একটি শোরুমে বিক্রি করে দেন। মালিকানা বদলের জন্য শোরুম থেকে ফোনকল করা হলেও অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি।

হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রধান আসামি ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রধান আসামি ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির। ছবি: আজকের পত্রিকা

তবে গতকাল আদালতে মো. কবিরকে হাজির করা হলে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছিলেন এবং সেই কেনার সময় শুভ তাঁর (কবিরের) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেছিলেন।

অন্যদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে জোর দিয়ে দাবি করেন, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, হান্নানের বিক্রি করা মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক হলেন কবির।

র‍্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, মো. কবির ঢাকার আদাবর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। গত রোববার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকার একটি ইটভাটার ছনের ঘর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার রাতে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. কাইয়ুম হোসেন বলেন, হত্যাচেষ্টার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিমসহ কবির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে ওসমান হাদির কাছে গিয়েছিলেন। তাঁদের সেখানে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

গতকাল আদালতে শুনানিতে কবিরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক কবিরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কিছু বলার আছে?’ তখন কবির বলেন, ‘স্যার, আমি ১৮ দিন আগে ওনার (ফয়সাল করিম) গাড়ি (মোটরসাইকেলে ট্রিপ) ও পাঠাও চালাইতাম। উনি আমাকে ফোন দিলে আমি যেতাম। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। ১৮ দিন আগে ফয়সাল আমাকে বলেছে, আমি হাদির সঙ্গে ব্যবসা করি, তার নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করি। তার কাছে যাব। আমি যেতে চাইনি, এরপরও উনি আমাকে নিয়ে গেছেন। এই আমার অপরাধ স্যার।’

এ পর্যায়ে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘মোটরসাইকেলের মালিক কে?’ জবাবে কবির বলেন, ‘মোটরসাইকেলটা আমার এক বন্ধুর। আমি গাড়ি (মোটরসাইকেল) কিনতে গেছি। সে–ও গাড়ি কিনতে গেছে। সে আমার আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দিয়ে গাড়ি কিনছে।’ বিচারক বলেন, ‘তার নাম কী?’ কবির বলেন, ‘স্যার, মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ।’

র‍্যাব আরও জানায়, গত ৫ ডিসেম্বরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে মো. কবিরকে দেখা যায়। প্রথমে স্বীকার না করলেও ফুটেজ দেখানোর পর কবির নিশ্চিত করেন যে ফয়সাল করিমের সঙ্গে সেদিন তিনি প্রতিষ্ঠানটি দেখে আসতে সেখানে গিয়েছিলেন।

শুনানি শেষে বিচারক কবিরের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত কবির এবং প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম—উভয়েই পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রামের বাসিন্দা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত